নওগাঁর পত্নীতলায় ইউপি মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার আলামিন। তিনি মাইক প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পত্নীতলায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানান।
আলামিন পত্নীতলা ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের সন্তান।
পত্নীতলা উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৪৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৮৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৪৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
গত ২০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। পত্নীতলা ইউনিয়ন পরিষদ ২ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী মেম্বার পদে আলামিনসহ চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৫ জানুয়ারি এই ইউপিতে ভোট।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকে মাঠে নেমেছেন আলামিন। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
স্থানীয় শম্ভুপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় খুবই পরিচিত মুখ আলামিন। সবার সঙ্গে তিনি সহজেই মিশতে পারেন। এলাকায় পরিচিত থাকায় আশা করা যাচ্ছে, নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হবেন।’
গৃহবধূ রেবেকা সুলতানা বলেন, ‘আলামিনকে আমরা সবাই খুবই পছন্দ করি। তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবাই তাকে ভোট দেব।’
প্রার্থী আলামিন বলেন, ‘আমি জনগণের সেবা করতে চাই। আমরা বৈষম্যের শিকার হই। আমাদের সহজে কেউ মেনে নিতে পারে না। জনগণ যদি আমাকে চায়, তাহলে বিজয়ী হতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
নির্বাচিত হলে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজনের সমন্বয়কারী আসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ট্রান্সজেন্ডারদের কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, এটা আমাদের জন্য আশাব্যঞ্জক ঘটনা। আলামিনের মাধ্যমে পত্নীতলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ট্রান্সজেন্ডার যারা আছেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতি তাড়াতে গিয়ে পাল্টা তাড়া খেয়ে পালানোর সময় বৈদ্যুতিক জেনারেটরের খোলা তারে জড়িয়ে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী নাকুগাঁও পাহাড়ে শুক্রবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো উসমান আলী ওই গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে একদল বন্যহাতি নাকুগাঁও পাহাড়ি এলাকায় বোরো ধানের ক্ষেতে ঢুকে যায়। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসলের ক্ষেত বাঁচাতে বন্যহাতি তাড়াতে যান। হাতি তাড়ানোর একপর্যায়ে বন্যহাতির দল পাল্টা তাড়া দিলে উসমান আলীসহ অন্যরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় পা পিছলে খেতের আইলে পড়ে গেলে পাশে থাকা বৈদ্যুতিক জেনারেটরের খোলা তারে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উসমানকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
নিহতের স্বজনরা জানায়, আড়াই মাস আগে বিয়ে করেন উসমান। তিনি ও তার পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
চন্দ্রপুর সীমান্তের ৯১৩/৪ এস পিলারের কাছে শুক্রবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো যুবকের নাম মুরালী চন্দ্র রায়, যিনি চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালাপাড়ার সুশীল চন্দ্র রায় বিদালের ছেলে। তার মরদেহ কালীগঞ্জ থানায় নেয়া হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, সীমান্ত পিলার থেকে ভারতের ১০০ গজ অভ্যন্তরে ১৫ থেকে ২০ জন বাংলাদেশি নাগরিক গরু চোরাচালানের জন্য প্রবেশ করেন। পরে ৭৫-চিত্রাকোট বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মুরালী নিহত হন। ওই সময় চন্দ্রপুর এলাকার অপর দুই বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও লিটন মিয়া গুলিবিদ্ধ হন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইমতিয়াজ কবীর বলেন, রাতে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সপ্তাহের কম সময়ে লালমনিরহাট সীমান্তে ফের হত্যা
স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে লিটন মিয়া (২০) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। এর এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে বাহিনীটির গুলিতে নিহত হলেন মুরালী চন্দ্র রায়।
আগের ঘটনায় নিহত লিটন মিয়া আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল ইসলামের ছেলে। তার মরদেহ গত বুধবার রাত একটার দিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:সিরাজগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একটি কক্ষ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈশপ্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া নুরুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কোলগয়লা মহল্লার প্রয়াত আজগর আলীর ছেলে।
সিরাজগঞ্জ টাউন সার্ভিসের ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সোহাগ হোসেন বলেন, ‘নৈশপ্রহরী যে কক্ষে থাকতেন, সে কক্ষের একটি ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ আমরা উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।’
তিনি আরও বলেন, নুরুল ইসলাম কোনো কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
দক্ষ কারিগর, প্রশিক্ষণ, সংরক্ষণ ও যথাযথ বাজারজাতকরণের অভাবে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী কাপড় খাদির বাজার। জেলায় নামে থাকলেও আসল খাদি মেলে না দোকানগুলোতে।
সময়ের বিবর্তনে খাদিতে মেশিনের ছোঁয়া লেগেছে। এতে ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে গেছে হাতে বোনা তাঁতের আসল খাদি। বর্তমানে গুটিকয়েক তাঁত টিকে আছে।
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার, চান্দিনা ও মুরাদনগর উপজেলায় হাজারেরও বেশি তাঁত ছিল। সেসব তাঁতের তৈরি কাপড় থেকে খাদির পাঞ্জাবি, ফতুয়া, কাপড় তৈরি হতো। এসব পোশাক কুমিল্লা থেকে চলে যেত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এ কারণে কুমিল্লা পরিচিত হয় ‘খাদির শহর’ হিসেবে।
সেই তাঁত এখন একেবারে কমে গেছে। তাঁতের সঙ্গে কমেছে আসল খাদিও। দিন দিন বাজার ছোট হয়ে আসায় শঙ্কা বাড়ছে তাঁতে তৈরি বস্ত্রটির বিলুপ্তির।
খাদির প্রচলন যেভাবে
খাদির ইতিহাস তুলে ধরে লেখক ও গবেষক আহসানুল কবীর বলেন, “তাঁতের মেশিনটি মাটিতে গর্ত করে বসানো হতো। মাটিতে খাদ তৈরি করে মেশিনটি বসালে মেশিনের প্যাডেল চালাতে সুবিধা হতো। সেই খাদ থেকেই মূলত খাদি শব্দটির প্রচলন হয়।
“১৯২০ সালে দেশে বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলন শুরু হয়। তখন খাদির প্রচার-প্রসারে ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধী কুমিল্লার চান্দিনায় আসেন। সেখানে তিনি চরকায় সুতা কাটেন। সেই থেকে খাদির প্রসার বাড়ে। পরে ১৯২২ সালে ‘ভারত তন্তু বায়’ নামে একটি সমিতি করেন। সেই সমিতি থেকে কুমিল্লার তাঁতের পোশাক ভারতে যেত।”
আহসানুল কবীর আরও বলেন, ‘একসময় কুমিল্লার চান্দিনা, দেবিদ্বারের শত শত পরিবার তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। এখন পাঁচ থেকে সাতটি পরিবার পাওয়া যাবে কি না, সন্দেহ।
‘খাদিকে বাঁচাতে হলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগবে। কারন খাদির সুতা তৈরি হয় তুলা থেকে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় চাষিদের দিয়ে তুলা চাষ করাতে হবে। সেই তুলা থেকে সুতা তৈরি করতে হবে। এ ছাড়াও খাদির পণ্য প্রসারে খাদি ফাউন্ডেশন করতে হবে। তবেই যদি খাদি তার পুরো স্বকীয়তা ফিরে পায়।’
তাঁতের অবস্থা এখন যেমন
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড়কামতা গ্রামের দুই ভাই চিন্তাহরণ দেবনাথ ও রণজিৎ দেবনাথ তাঁতের তৈরি খাদির সঙ্গে যুক্ত। স্বাধীনতার আগ থেকে পরিবারটি এতে সম্পৃক্ত।
আসল খাদির বাজার ছোট হয়ে আসা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে চিন্তাহরণ বলেন, ‘এখন মেশিনে বোনা হয় খাদি। তাঁতের খাদি ও মেশিনের খাদি দেখতে একই রকম হলেও গুণে-মানে অনেক তফাৎ রয়েছে। এখন কুমিল্লার বাজারে তাঁতের খাদি অনেক কম। মেশিনের খাদিই বেশি।’
চিন্তাহরণের ভাই রণজিৎ দেবনাথ মনে করেন, তাঁতের তৈরি খাদির বাজার সংকুচিত হওয়ার জন্য দায়ী যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা।
তার ভাষ্য, ‘একসময় হাজার তাঁতি ছিল এ অঞ্চলে। নারীরা চরকায় সুতা কাটত। তাঁত বুনে যে আয় হতো, তা দিয়ে পরিবার চালাত।
‘এখন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, তুলার সরবরাহ কম এবং সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় খাদির বাজার ছোট হয়ে আসছে। তাঁতিরা এখন অন্য পেশায় ঝুঁকছে।’
রণজিৎ দেবনাথ জানান, তার ছিল ৮টি তাঁত। একটি ছাড়া এখন সবই বন্ধ। শখের বশে দুই এক থান বুনেন তিনি।
স্মৃতি হাতড়ে রণজিৎ বলেন, ‘একসময় পুরো গ্রামের বাড়ি বাড়ি চরকায় সুতার কাটার শব্দে শত শত পিস থান কাপড় বেরিয়ে আসত। কতশত ব্যস্ততা ছিল তাঁতপাড়ায়।
‘কত আনন্দ-বেদনার গল্প লুকিয়ে ছিল। এখন সেই তাঁত নেই। তাঁতের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে আসল খাদি কাপড়।’
তাঁত থেকে তৈরি খাদি শিল্পকে রুগ্ন অবস্থা থেকে বের করে আনতে এখনই পদক্ষেপ না নেয়া হলে এ শিল্প বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন রণজিৎ।
খাদি কাপড়ের বর্ষীয়ান ব্যবসায়ী ও খাদিঘরের স্বত্বাধিকারী প্রদীপ কুমার রাহা বলেন, ‘একসময় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন এসেছিলেন আমার দোকানে। খাদির ডিজাইন পছন্দ করেছিলেন তিনি।’
শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খাদি শিল্পে অনেক নতুন নতুন ডিজাইন এসেছে। ১৯২১ সালের প্রেক্ষাপট ও চাহিদা এক নয়। শতবর্ষের খাদি পণ্য তার গুণগত মান বজায় রেখে আধুনিকতার সংমিশ্রণে প্রতিযোগিতার বাজারে চাহিদা ধরে রেখেছে।
‘পৃথিবীর যেখানে বাঙালি কমিউনিটি আছে, সেখানে খাদি কাপড়ের প্রসার ঘটেছে। বাংলাদেশের বিদেশি দূতাবাসে খাদিসহ দেশীয় পণ্যের প্রদর্শনী করলে তা পণ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটাবে।’
কুমিল্লার শত বছরের ঐতিহ্য খাদিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ডিসি খন্দকার মুশফিকুর রহমান জানান, খাদিকে ফিরিয়ে আনতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বের সঙ্গে জানানোর চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়াও কুমিল্লার খাদিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদনের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের চকরিয়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ছয়টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর বাড়িতে শুক্রবার সকালে র্যাব-১৫ এ অভিযান চালায়।
অভিযানে উদ্ধারকৃত প্রাণীগুলো চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে র্যাব জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী একজন খামারি। গরু, মহিষ, রাজহাঁস, কবুতরসহ নানা প্রজাতির পশুপাখি লালনপালন করেন তিনি। তার বাড়িতে অনেক দিন ধরে আলাদা ঘরে ছিল প্রাণীগুলো। এসব পশুপাখির দেখভাল করার জন্য লোকজন রয়েছেন।
বাহিনীটির ভাষ্য, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী অপরাধ হওয়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ওই ছয়টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৫-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইনের বাড়িতে কিছু বন্যপ্রাণী লালনপালনের খবর পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৫-এর একটি অভিযানিক দল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি মেছো বাঘ, দুটি বক, একটি ময়না ও একটি গন্ধগোকুল উদ্ধার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উদ্ধারকৃত বন্যপ্রাণীগুলো ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।’
সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোসাইন বলেন, ‘আমি বিভিন্ন ধরনের গৃহপালিত পশুপাখি লালনপালন করি। গরু, মহিষ, কবুতর, তোতা পাখি, ময়না পাখি থেকে শুরু করে নানা প্রজাতির পশুপাখি।
‘এসবের দেখাশোনা করার জন্য আমার আলাদা লোকজন আছে। শখের বসে পশুপাখিগুলো পালন করা আইনি অপরাধ আমি জানতাম না।’
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কিছুসংখ্যক বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫, তবে এখনও নবী হোসাইনের বিরুদ্ধে কেউই কোনো অভিযোগ করেনি।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফুয়াদ হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জেলার নলছিটি উপজেলায় নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাজী জেসমিন আক্তার উপজেলার সিদ্ধকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। প্রাণ হারানো ৩৭ বছর বয়সী ফুয়াদ কাজী সিদ্ধকাঠী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির পদে ছিলেন।
নলছিটি থানার ওসি মো. মুরাদ আলী নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহিতুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি নলছিটিতে সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফুয়াদ কাজী হত্যায় জড়িত সন্দেহে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ৭ জানুয়ারি রোববার ভোটের রাতে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফুয়াদ কাজীকে চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সারা দিন নির্বাচনি কার্যক্রম শেষে ঘটনার সময় মেয়ের জন্য খাবার নিয়ে ওই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফুয়াদ।
ঘটনার পর দিন ৮ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল পিপিএম আশ্বাস দেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
চেয়ারম্যান গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সুপার জানান, হত্যার ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের গ্রেপ্তারে অনেককেই নজরে রেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে ৮০০ টাকার জন্য বন্ধুর গুলিতে যুবক নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছ তার পরিবার।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ হন মুহাম্মদ জোবায়ের, যার মৃত্যু হয় রাতে।
প্রাণ হারানো জোবায়ের নাজিরপাড়ার প্রয়াত আবদুল খালেকের ছেলে।
জোবায়েরের ভাই মুহাম্মদ সাত্তার বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় ৮০০ টাকার জন্য একই এলাকার বাসিন্দা ও বন্ধু নজুমুদ্দিন জোবায়েরকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আহত অবস্থায় জোবায়েরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দুই দিন আগে সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া গ্রামের নজুমুদ্দিনের সঙ্গে একই এলাকার জোবায়েরের মধ্যে টাকার লেনদেন নিয়ে মোবাইলে কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে নজুমুদ্দিনের নেতৃত্বে জোবায়েরের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই জোবায়েরের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যান নজুমুদ্দিন ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য