× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Kovid 19 could not cause major damage to Bangladesh due to quick action of the government PM
google_news print-icon

করোনা বড় ক্ষতি করতে পারেনি: প্রধানমন্ত্রী

করোনা-বড়-ক্ষতি-করতে-পারেনি-প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
নিউ ইয়র্কভিত্তিক জনপ্রিয় সাময়িকী ফরচুনে সোমবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে শেখ হাসিনা লেখেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯-এর শিকার হতে পারত। কিন্তু আমরা আমাদের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগণ ও ব্যবসাগুলোর সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা মানুষ ও ব্যবসা সুরক্ষায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে কোভিড-১৯ মহামারি বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারেনি বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক জনপ্রিয় সাময়িকী ফরচুনে সোমবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে শেখ হাসিনা লেখেন, ‘বাংলাদেশ কোভিড-১৯-এর শিকার হতে পারত। কিন্তু আমরা আমাদের সর্বাধিক ঝুঁকিতে থাকা জনগণ ও ব্যবসাগুলোর সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

নিচে শেখ হাসিনার সম্পূর্ণ নিবন্ধটি দেয়া হলো:

যাদের সবচেয়ে বেশি সহায়তার প্রয়োজন তাদের সাহায্য করার মাধ্যমে আমরা কোভিড-১৯-এর অভিঘাত মোকাবিলা করেছি। বাংলাদেশও কোভিড-১৯ মহামারির শিকার হতে পারত। কিন্তু আমরা ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠী ও ব্যবসা উভয়কে সুরক্ষিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ফলে মহামারিটি বাংলাদেশে অন্যান্য দেশের মতো মারাত্মকভাবে আঘাত হানতে পারেনি। আমরা এই মহামারি থেকে খুব দ্রুত উত্তরণ করছি এবং এক দশক আগে আমাদের যে অর্থনৈতিক পুনরুত্থান ঘটেছিল, তা সচল রেখে একটি ভালো অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি।

কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল মানুষের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় করা এবং এরপর ব্যবসাগুলোকে প্রণোদনা দেয়া, যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

গত বছর মহামারির শুরুতে সরকার হতদরিদ্র, প্রতিবন্ধী, বয়োজ্যেষ্ঠ, অভিবাসী ও নিঃস্ব-অসহায় নারীদের ত্রাণ দিয়েছে। আমরা খুব দ্রুত চার কোটি বা দেশের এক-চতুর্থাংশ মানুষের মাঝে অর্থ বিতরণসহ বিভিন্ন সহায়তা দিই। মোট ২২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার বা আমাদের জিডিপির প্রায় ৬ দশমিক ২ শতাংশের এই সহায়তা ২৮টি পৃথক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আমরা আরো কয়েক শ কোটি ডলার ভ্যাকসিন কেনা ও অন্যান্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যয় করেছি।

করোনার ওমিক্রন ধরন এলে আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রতি জনগণের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

সরকারের নীতি হচ্ছে- ‘কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না।’ এই নীতির আলোকে ১৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন পরিবারকে চাল, শিশু-খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আমরা বয়স্ক, অক্ষম ও নিঃস্ব-অসহায় নারীদের এই অর্থ প্রদান করেছি।

আমার বাবা এ দেশের জাতির পিতা ও প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে মহামারির আগেই আমরা গৃহহীনদের জন্য বাড়ি নির্মাণকাজ সম্প্রসারিত করি। কার্যক্রমটি মহামারির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে ব্যাপক অবদান রাখে।

এ ছাড়াও সরকার করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও এর কর্মীদের নানাভাবে সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ায়। আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা, বিশেষত নারী ও কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছি। পর্যটন শিল্পের কর্মীদেরও সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে। করোনার কারণে শাটডাউনে এ শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা পেয়েছে: তৈরি পোশাক খাতের মতো রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসার কর্মীদেরও আমরা কয়েক শ কোটি ডলার দিয়েছি।
কর্মীদের আর্থিক বোঝা লাঘবের জন্য ওই ঋণগুলোর সুদ ঋণগ্রহীতা ও সরকারের মাঝে ভাগ করে নেয়া হয়। গত বছর দুই মাসের জন্য এবং এরপর পরবর্তী ১২ মাসের জন্য বাণিজ্যিক ঋণের সব সুদকে বস্তুত মওকুফ করে দেয়া হয়।

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ চালু করে, মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেয় এবং গত বছরের মার্চের শেষ থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত ৬৬ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। শিল্প উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। বৈশ্বিক লকডাউন চাহিদা হ্রাস করে এবং আমাদের পুরো অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেয়।

যাই হোক, আমরা কখনও নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারাইনি এবং আমাদের জনগণকে সক্রিয় রেখেছি। আমরা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করেছি। সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা গেছে তাদের চিহ্নিত করেছি। সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন সুবিধা স্থাপন করেছি।

আমরা ৬ হাজার ২০০ চিকিৎসক, ১০ হাজার নার্স এবং তিন হাজার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকর্মী নিয়োগ করেছি। পরিশেষে এটাও ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য যে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা এই বছরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা টেকসই রাখতে পেরেছি।

নতুন উদ্যোগ এবং অতীতের বিনিয়োগের সংমিশ্রণ অগণিত জীবন বাঁচিয়েছে এবং আমাদের অর্থনীতি এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ২ শতাংশ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের পাঁচটি দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির একটি। গত ১০ বছরেরও বেশি সময় বাংলাদেশ তার দারিদ্র্য হার ৩১.৫ থেকে ২০.৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

মাথাপিছু আয় এক দশকে তিন গুণ বেড়ে ২,২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আমাদের প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। মহামারি আমাদের অগ্রগতিতে বাধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে, যাদের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল তাদের সাহায্য করার প্রতি আমাদের নিরলস মনোযোগ স্পষ্টভাবে সুফল দিয়েছে। আমরা বিশেষভাবে গর্বিত যে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) ২০১৪ সাল থেকে রাজনীতিতে নারী ক্ষমতায়নে আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের পেছনে রেখে বাংলাদেশকে সপ্তম স্থানের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।

আমাদের শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৩.৬৭-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার কমে প্রতি লাখে ১৭৩-এ নেমে এসেছে। বাংলাদেশিদের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর।

ডিজিটাল পদ্ধতি গ্রহণ এবং অভিজ্ঞতা অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছে। আমাদের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ উদ্যোগ অর্থনীতিকে রূপান্তর এবং বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। এটি কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইকে সহজ করে তুলেছে, অন্যথায় হতো না। অধিকাংশ বাংলাদেশি এখন তাদের স্মার্টফোনের ওপর নির্ভর করে। ফলে প্রতি মিনিটে মহামারি সম্পর্কে তাদের অবহিত রাখা সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের অন্যতম দরিদ্র দেশগুলোর মধ্য থেকে অনেকদূর পাড়ি দিয়ে এসেছে এবং এ বছর নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করছে। এখন আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণের পথে রয়েছি। গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ মহামারি সত্ত্বেও এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে। মানুষের সম্পৃক্ততাই এই পরিবর্তনকে সম্ভব করেছে।

সূত্র: বাসস।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী মালদ্বীপ যাচ্ছেন আজ
বুধবার মালদ্বীপ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তরুণরাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে: প্রধানমন্ত্রী
আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
ক্রেতা নয়, নির্মাতা নৌবাহিনী চান প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
LNG Agreement with the United States in Trumps second term

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি চুক্তি বাংলাদেশের এলএনজি ট্যাংকারের মডেল। ছবি: রয়টার্স
আর্জেন্ট এলএনজির বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এলএনজি সরবরাহের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই প্রথম বড় চুক্তি।

বার্ষিক ৫০ লাখ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে একটি অবাধ্যতামূলক চুক্তিতে সই করেছে বাংলাদেশ।

আর্জেন্ট এলএনজি লুইজিয়ানায় বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ টন (এমটিপিএ) এলএনজি সুবিধা সরবরাহ করছে।

আর্জেন্ট এলএনজির বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এলএনজি সরবরাহের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এটিই প্রথম বড় চুক্তি।

ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, এমন দেশগুলোতে সুপার-চিল্ড গ্যাস রপ্তানির লাইসেন্সের ওপর জ্বালানি বিভাগের স্থগিতাদেশ বাতিলের নির্বাহী পদক্ষেপ নেন। তিনি এলএনজি রপ্তানি বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন।

চুক্তি অনুযায়ী পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্টের এলএনজি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এর কার্গো পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‌‘এই চুক্তি কেবল বাংলাদেশের সম্প্রসারিত শিল্প ভিত্তির জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্বকেও শক্তিশালী করবে।’

এলএনজির ওপর নির্ভরতা বাড়িয়ে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ এখনও মূল্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর এলএনজির দাম বেড়ে গেলে বাংলাদেশ আরও সাশ্রয়ী মূল্যের কয়লা ব্যবহারের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী আইন কংগ্রেসে অনুমোদন: ৪ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
লস অ্যাঞ্জেলেসে ফের দাবানল, আগুনের গ্রাসে ৯৪০০ একর ভূমি
ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা, ধীরে চলো নীতিতে মেক্সিকো
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের
ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনবেন, বিশ্বাস সিরিয়ার নতুন নেতার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Khaleda Zia left the hospital at her sons house

হাসপাতাল ছেড়ে ছেলের বাসায় খালেদা জিয়া

হাসপাতাল ছেড়ে ছেলের বাসায় খালেদা জিয়া স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে তিনটা) বেগম খালেদা জিয়াকে তারেক রহমান তার বাসায় নিয়ে যান। ছবি: বাসস
স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকরা আপাতত তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দীর্ঘ ১৭ দিন পর বাসায় ফিরেছেন যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

স্বাস্থ্যের যথেষ্ট উন্নতি হওয়ায় চিকিৎসকরা আপাতত তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে তিনটা) বেগম খালেদা জিয়াকে তারেক রহমান তার বাসায় নিয়ে যান।

এর আগে তারেক বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রিকলেন মসজিদে তার প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, শুক্রবার রাতের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসবে। সবকিছু ভালো থাকলে তাকে রিলিজ দেওয়া হতেও পারে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক প্রফেসর পেট্রিক কেনেডি ও জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।

খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি জানিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, ‘উনার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। কারণ উনার বয়সটা একটা বিবেচ্য বিষয়।

‘তা ছাড়া জেলে রেখে তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তখন তাকে বিদেশে নিয়ে আসা গেলে আরও হয়তো দ্রুত সুস্থ করা যেত। এখন আমাদের চিকিৎসকদের বক্তব্য হচ্ছে আগে হলে হয়তো উনার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যেত।’

ডা. জাহিদ আরও জানান, ‌বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, প্রেশার, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসসহ সব রোগের জন্য ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চলছে। আপাতত ওষুধের মাধ্যমেই এটি অব্যাহত থাকবে। এর বাইরেও আরও কোনো চিকিৎসা করা যায় কি না, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস হসপিটালের মেডিক্যাল টিমের সদস্যরা এখানে মেডিক্যাল বোর্ডের সভায় অংশ নিয়েছিলেন।

এদিকে দ্য ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রতিদিন বাসা থেকে খাবার এনে দেওয়া হতো। ছেলে তারেক রহমান, পুৃত্রবধূ জুবাইদা রহমান, নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমান বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়মিত দেখাশোনা করতেন।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ প্রতিদিন হাসপাতালে উপস্থিত থাকতেন।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেদিন হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি: চিকিৎসক
হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে এগিয়ে যেতে পারে: ফখরুল
অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ সরকারের
পণ্যে ভ্যাট ও শুল্ক বৃদ্ধি ভোগান্তি বাড়াবে: বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Saudi companies are interested in converting Matarbari into a regional mega port

মাতারবাড়ীকে আঞ্চলিক মেগা বন্দরে রূপান্তরে আগ্রহী সৌদির কোম্পানি

মাতারবাড়ীকে আঞ্চলিক মেগা বন্দরে রূপান্তরে আগ্রহী সৌদির কোম্পানি সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য শহর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভার ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের নির্বাহী চেয়ারম্যান আমির এ আলীরেজা। ছবি: ইউএনবি
বিশ্বমানের টার্মিনাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দর পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রবন্দর মাতারবাড়ীকে এ অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বন্দরে রূপান্তরে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি মালিকানাধীন কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল।

বিশ্বমানের টার্মিনাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্রবন্দর পরিচালনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য শহর দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভার ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কোম্পানির নির্বাহী চেয়ারম্যান আমির এ আলীরেজা।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানিটিকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের এবং দেশে আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলকে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য রপ্তানি ও শিপিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে আরও বন্দর গড়ে তুলবে।

আলীরেজা বলেন, পতেঙ্গা টার্মিনাল পরিচালনাকারী রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।

তিনি বলেন, কোম্পানিটি সম্প্রতি চীন থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ক্রেন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম আমদানির আদেশ দিয়েছে এবং আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারের সরঞ্জামের কার্যাদেশ দেবে।

তিনি আরও বলেন, ‘এগুলো হাইব্রিড সরঞ্জাম, যার অর্থ হলো তারা বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি উভয়েই চলতে পারে ও কার্বন নিঃসরণ কমাবে।’

মাতারবাড়ীকে গভীর সমুদ্র বন্দরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হিসেবে বর্ণনা করে আলীরেজা বলেন, তার কোম্পানি এ বন্দরে বিনিয়োগ এবং এটিকে এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান শিপিং হাবে পরিণত করতে আগ্রহী।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বন্দরের দক্ষতা দেশে বিপুল বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। কারণ অনেক শীর্ষ নির্মাতা তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তর করতে আগ্রহী হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং জেনেভায় জাতিসংঘে ঢাকার স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি
সৌদিতে ১৯ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেপ্তার
জার্মানিতে ক্রিসমাস মার্কেটে গাড়ি উঠিয়ে দুজনকে হত্যা সৌদি নাগরিকের
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টার প্ল্যান পুনর্গঠন হচ্ছে
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু, জাতীয় গ্রিডে ৬০০ মেগাওয়াট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The importance of the chief adviser in the process of ensuring free and fair elections

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার

অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াব বৃহস্পতিবার ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।

বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন কোনো বাধা বা হুমকি ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সেই প্রক্রিয়া তৈরি করার ওপর জোর দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ অভিমত দেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ডব্লিউইএফের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে ক্লাউস শোয়াব ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‌‘গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছিল।’

তিনি উল্লেখ করেন, আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকার দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি এঁকে তাদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন প্রকাশ করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগই হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার এজেন্ডা তুলে ধরে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ৮৪ বছর বয়সী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের মানুষ কোন ধরনের নির্বাচন চায়, সেটি না জেনে সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে না।

তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন আয়োজনের অপেক্ষায় রয়েছে, তবে এখন দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে প্রক্রিয়াটি কেমন হবে। তারা কী ছোট পরিসরের সংস্কার কর্মসূচিতে যাবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাইবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যদি মানুষ দ্রুত সংস্কার চায়, তাহলে আমরা এ বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন করার লক্ষ্য নিয়েছি। আর যদি বলে, না আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার দরকার, তাহলে আমাদের আরও ছয় মাস সময় লাগবে।’

বর্তমান প্রজন্মকে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম আখ্যায়িত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এ প্রজন্মের অমিত সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি বর্তমান প্রজন্মকে বদলে দেওয়ার কারণে তারা এখন শুধু বাংলাদেশি আর তরুণ নয়, বরং সারা বিশ্বের তরুণ প্রজন্মের অংশ হয়ে গেছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, এ প্রজন্ম পুরোনো বাংলাদেশে ফিরে যেতে চায় না। তাই একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণদের কাজের প্রতিটি অংশে ঐকমত্য গড়ে তোলার জন্য একটি ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করা হবে।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর
পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইসিবির সহায়তা চান ড. ইউনূস
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে নির্বাচনে দুর্নীতি কমবে: বদিউল আলম
সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে এগিয়ে যেতে পারে: ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Language soldier Ashraf Hossain Barada passed away

চলে গেলেন ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দা

চলে গেলেন ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দা আশরাফ হোসেন বড়দা। ছবি: বাসস
আশরাফ হোসেন বড়দা ১৯৫২ সালে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হন। জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটি লেখা পড়ে রাষ্ট্রভাষার প্রতি উদ্বুদ্ধ হন তিনি।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক ও রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বিশিষ্ট রাজনীতিক আশরাফ হোসেন বড়দা (৮৫) আর নেই।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তার।

তিনি এক কন্যাসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী, আত্মীয়স্বজন ও শুভান্যুধায়ী রেখে যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগরীর গুপ্তপাড়া জামে মসজিদে শুক্রবার বাদ জুমা জানাজা শেষে নূরপুর কবরস্থানে বড়দাকে দাফন করা হবে।

আশরাফ হোসেন বড়দা ১৯৫২ সালে লালমনিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ভাষা আন্দোলনে যুক্ত হন। জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর একটি লেখা পড়ে রাষ্ট্রভাষার প্রতি উদ্বুদ্ধ হন তিনি।

পরে প্রগতিশীল শিক্ষক সন্তোষ গুহের সান্নিধ্য ও কবি শাহ আমানত আলীর অনুপ্রেরণায় আন্দোলনে অংশ নেন তিনি।

ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতির স্বপ্ন না দেখা এ ভাষাসৈনিকের চাওয়া ছিল ‘ভাষা আগ্রাসন’ যেন বন্ধ হয়।

ভাষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করার কারণে আশরাফ হোসেন ১৯৫৪ সালে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ১৯৫৫ সাল থেকে রংপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

নগরীর গুপ্তপাড়ার নিউ ক্রস রোডের ডুয়ার্স ভবনই ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেনের ঠিকানা।

ঢাকা পোস্টের দ্বিতীয় বর্ষে পদাপর্ণ অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে ভাষাসৈনিক মোহাম্মদ আফজাল ও ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসনে বড়দাকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

এদিকে ভাষাসৈনিক আশরাফ হোসেন বড়দার মৃত্যুতে রংপুর বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেস ক্লাব রংপুর, সিটি প্রেস ক্লাব, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, মাহিগঞ্জ প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন রংপুর, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-টিসিএ, রংপুর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলার চোখসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন শোক জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:
জামালপুরের সর্বশেষ ভাষাসৈনিক 'কায়েস ভাই' আর নেই
সাইকেলে ৫২ কি.মি. চড়ে ভাষাসৈনিক ধীরেন্দ্রনাথকে স্মরণ 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Airline naval and road communication can be disrupted in dense fog
আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হতে পারে বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ

ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হতে পারে বিমান, নৌ ও সড়ক যোগাযোগ কুয়াশাচ্ছন্ন সড়কে বাতি জ্বালিয়ে যান চলাচল। ছবি: ইউএনবি
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবার কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে দেশে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবার কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িক ব্যাহত হতে পারে।

দেশে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীর বাঘাবাড়ীতে। আর টেকনাফে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর শনিবারের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে জানায়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়, সারা দেশের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে, বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: চার বন্দরে ১ নম্বর সংকেত
৬ ঘণ্টা পর ফেরি চালু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে
ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কে দিনেও বাতি যানবাহনে 
পাঁচ দিনে তাপমাত্রা আরও কমবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Al Gore praises Dr Yunuss Three Zero movement

ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর

ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসায় আল গোর সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি শহর দাভোসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কোলাজ: বাসস
সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা জুলাই বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্বাচন ও ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর কার্বন নিঃসরণ, সম্পদের কেন্দ্রীকরণ, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব দূরীকরণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে চালু হওয়া বিশ্বব্যাপী ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসা করেছেন।

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের পাহাড়ি শহর দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে আল গোর অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সময় তিনি ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলনের প্রশংসা করেন।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় জলবায়ু কর্মী হিসেবে পরিচিত আল গোর। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে এ তথ্য জানান।

সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা জুলাই বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত সংস্কার কর্মসূচি এবং নির্বাচন ও ভূরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচি এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে সমর্থন করার কথা জানান।

অধ্যাপক ইউনূস তাকে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় আঁকা গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্রের ওপর ভিত্তি করে রচিত শিল্পকর্ম সংকলন ‘দ্য আর্ট অফ ট্রায়াম্ফ’ বইটি উপহার দেন।

আল গোর শিল্পকর্ম সংকলনের বই এবং বাংলাদেশের তরুণদের বিপ্লবী চেতনাকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠা মনোযোগ দিয়ে দেখেছি।’

আরও পড়ুন:
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা, ধীরে চলো নীতিতে মেক্সিকো
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের
দাঙ্গাকারীসহ ১৫০০ আসামিকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরল টিকটক

মন্তব্য

p
উপরে