× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Conflicts in police clash with supporters of individual candidates
google_news print-icon

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ

স্বতন্ত্র-প্রার্থীর-সমর্থকদের-সঙ্গে-পুলিশের-দফায়-দফায়-সংঘর্ষ
কুষ্টিয়ার বটতৈল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর পুলিশেরর লাঠিচার্জ। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে দোস্তপাড়া ক্লাবমোড়ে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টু ফকিরের মিছিলে হামলা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের সমর্থকদের ওই হামলায় মিন্টুসহ পাঁচজন আহত হন।

কুষ্টিয়ায় একটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আহতের প্রতিবাদে জড়ো হওয়া সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।

কুষ্টিয়ার বটতৈল ইউনিয়নে দুই ঘণ্টার ওই সংঘর্ষের সময় কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ২টার দিকে সংঘর্ষ থামলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ সমর্থক আহত হয়েছেন। আর পুলিশের আহত এক সদস্যকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বেলা ১১টার দিকে দোস্তপাড়া ক্লাবমোড়ে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টু ফকিরের মিছিলে হামলা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান ও নৌকার প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের সমর্থকদের ওই হামলায় মিন্টুসহ পাঁচজন আহত হন।

তাকে হাসপাতালে ভর্তির খবর ছড়িয়ে পড়ার পর খাজানগর এলাকায় সড়কের ওপর জড়ো হতে থাকেন তার সমর্থকরা। দুপুর ১২টার দিকে সেখানে জড়ো হন মিন্টুর কয়েক হাজার সমর্থক। তারা ইট-পাটকেল, লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোস্তপাড়া ক্লাব মোড়ের দিকে এগোতে থাকেন। এতে কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর মধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। উত্তেজিত সমর্থকদের গতিরোধ করলে তারা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খাজানগর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান-চালের মোকাম হওয়ায় এখানে রয়েছে একাধিক চালকল। স্বতন্ত্র প্রার্থী মিন্টুর সমর্থকরা এসব চালকলের ভেতর থেকে বের হয়ে এসে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ফের চালকলের মধ্যে লুকিয়ে পড়ছিলেন।

এভাবে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে। ফাঁকা গুলিও করা হয়। এতে প্রথমে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও ফের সংগঠিত হয়ে ক্লাবমোড়ের দিকে এগোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়।

ওই সময় মুহুর্মুহু গুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়। ব্যাপক লাঠিপেটাও করেন পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত বেলা ২টার দিকে মিন্টুর সমর্থকরা সড়ক ছেড়ে চলে যান। এরপরই কুষ্টিয়া-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খাজানগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান করছে।

প্রথম হামলায় আহত মিন্টুর সমর্থক মানিক কাজী জানান, নৌকার প্রার্থী মোমিন মণ্ডলের লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে মিন্টুসহ পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মিন্টুসহ দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, খাজানগরের ধান-চালের মোকামের একটি বড় অংশ রয়েছে বটতৈল ইউনিয়নে। এখানকার মোকামের মালিক ও শ্রমিকদের বেশির ভাগের বাড়িই কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারীর চরে। পদ্মার ভাঙনে তারা খাজানগরে এসে বসবাস করছেন। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন মিন্টু ফকির। এ কারণে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তারা।

কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার জানান, সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য আহত হয়েছেন। এখনও মামলা হয়নি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এবং আহতদের পক্ষে একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
যশোরে আ.লীগের বিদ্রোহী ৩৯ প্রার্থী বহিষ্কার
নৌকার অফিসে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ‘আগুন’
সুষ্ঠু নির্বাচনের আকুতি নৌকার প্রার্থীর
বটতৈলে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর ওপর হামলা
দুই প্রার্থী ফলে সমান: চন্দ্রপুরে ফের হচ্ছে ভোট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Threatened to shoot the magistrate

ম্যাজিস্ট্রেটকে পেলেই গুলি করে হত্যার হুমকি

ম্যাজিস্ট্রেটকে পেলেই গুলি করে হত্যার হুমকি প্রতীকী ছবি
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মোবাইল ফোনে দুই দফা কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই হুমকি দেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে মোবাইল ফোনে দুই দফা কল করে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই হুমকি দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত নিজেই বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় এসেছি। আজ সকাল ৮টা ৪৪ মিনিট ও ৮টা ৪৮ মিনিটের দিকে দুটো কল আসে। একটি +৫৭২৫৮২৪৭৮, অপরটি +৮৮০১৯৪২২০৬০৩১ নম্বর থেকে। কল করে আমাকে যেখানে পাবে সেখানেই গুলি করবে, জবাই করবে এসব কথা বলেছে৷’

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাবিক হাসান বলেন, ‘প্রতীক দত্তকে মোবাইল ফোনে হুমকির ঘটনায় ঢাকার শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তার নিরাপত্তা ও হুমকির বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রুয়েটের ৯ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে উড়ো চিঠি, সাদা কাপড়
‘তোর জন্য দুটি গুলিই যথেষ্ট’
বখাটেদের হুমকিতে অনিশ্চিত চার ছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষা
পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছি: সালওয়া
সাবেক এমপিপুত্রের বিরুদ্ধে অভিনেত্রী সালওয়াকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
4 killed including husband and wife in Tangail bus crash

টাঙ্গাইলে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪

টাঙ্গাইলে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪ টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বৃহস্পতিবার বাসচাপায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ব্যাটারিচালিত ভ্যান। ছবি: নিউজবাংলা
দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান। পরে বাসটি জব্দ করে পুলিশ।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসচাপায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানের যাত্রী স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংগাইর বোমা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা গ্রামের ৫০ বছর বয়সী মাঈনুদ্দিন, তার স্ত্রী ৩০ বছর বয়সী তাহেরা বেগম ও একই গ্রামের ৪৫ বছর বয়সী ফরহাদ। নিহত শিশুর পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

মধুপুর থানার উপপরিদর্শক মুরাদ জানান, মধুপুর থেকে ঢাকাগামী বিনিময় পরিবহনের বাস বিপরীত দিক থেকে আসা ভ্যানটিকে চাপা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলে তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত এক শিশুকে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত চালক ও সহযোগী পালিয়ে যান। পরে বাসটি জব্দ করে পুলিশ।

আরও পড়ুন:
লরিতে পিকআপের ধাক্কা, দম্পতিসহ প্রাণ গেল ৩ জনের  
এক বাইকে চার আরোহী, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৩
সাভারে গাড়িচাপায় পথচারী নিহত
বসতঘরে উঠল কাভার্ড ভ্যান, প্রাণ গেল ঘুমন্ত মা-মেয়ের
মহাখালী উড়ালসেতু থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে শিশু নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Life sentence for wife in case of strangulation of husband

স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন  

স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন   স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় স্ত্রী সর্জিনা খাতুনের যাবজ্জীবন। ছবি: নিউজবাংলা
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মতিন এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পরকীয়ার জেরে স্বামী হারুন-অর-রশিদকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় স্ত্রী সর্জিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মতিন এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের হারুন-অর-রশিদকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার স্ত্রী সর্জিনা খাতুন ও তার প্রেমিক লিটন হোসেন। এ ঘটনায় হারুন-অর-রশিদের ভাই ইব্রাহিম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় সর্জিনা খাতুন ও লিটন হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।তদন্ত শেষে পুলিশ ২০০৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সর্জিনা খাতুন ও লিটনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলায় স্ত্রী সর্জিনা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। মামলার অপর আসামি লিটনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না যাবজ্জীবন পাওয়া সেকান্দারের
লালমনিরহাটে গরু ব্যবসায়ী হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন
১৩ বছর পর হত্যা মামলার রায়, গ্রেনেড বাবুর যাবজ্জীবন
শিশু ধর্ষণের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
স্বর্ণের ২৮ বার উদ্ধারের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 gold bars recovered at Panch Bhulat border in Sharsha

শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ স্বর্ণের বার উদ্ধার

শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ স্বর্ণের বার উদ্ধার শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ স্বর্ণের বার উদ্ধার। ছবি: নিউজবাংলা
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, পাচারকারী পালিয়ে গেছে। স্বর্ণের চালানটি শার্শা থানায় জমা দেয়া হয়েছে।    

যশোরের শার্শা উপজেলার পাঁচ ভুলাট সীমান্ত থেকে ১৪ স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি।

বুধবার রাত ১১টার দিকে বিজিবির একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে স্বর্ণের চালানটি জব্দ করে।

খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে এমন ধরনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল পাঁচ ভুলাট সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোপন অবস্থানে থাকে। ওই সময় এক লোককে সীমান্তের শুন্য লাইনের দিকে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাকে থামতে বলে। এ সময় ওই ব্যক্তি বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দিলে তার কাছে থাকা একটি পোটলা পড়ে যায়। পোটলাটি ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে তার মধ্যে থেকে ১৪ স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার ওজন ১ কেজি ৬৩০ গ্রাম এবং বাজারমূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

তিনি আরও জানান, পাচারকারী পালিয়ে গেছে। স্বর্ণের চালানটি শার্শা থানায় জমা দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম কিছুটা কমল
কোমরে লুকিয়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ যাচ্ছিল ভারতে
বোরকায় লুকিয়ে পাচার হচ্ছিল আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ
শাহজালাল বিমানবন্দরে কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ২
শাহজালালে ২৫ কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
50 bulkhead workers seized in Chandpur

চাঁদপুরে জব্দ বালুবাহী ৫০ বাল্কহেড, শতাধিক শ্রমিক আটক

চাঁদপুরে জব্দ বালুবাহী ৫০ বাল্কহেড, শতাধিক শ্রমিক আটক চাঁদপুরে জব্দ বাল্কহেড ঘিরে বৃহস্পতিবার নৌ পুলিশের তৎপরতা। ছবি: নিউজবাংলা
নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, রাতে চুরি করে বালু তুলে যাতে পরিবহন করে অন্য কোথাও বিক্রি করতে না পরে সে জন্য নৌ পুলিশের পাঁচটি দল ভোররাত থেকে অভিযানে অংশ নেয়।

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু তুলে পরিবহন বন্ধে অভিযান চালিয়েছে নৌ পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ এবং শতাধিক শ্রমিককে আটক করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুর নৌ পুলিশের সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা থেকে বালু তুলে বাল্কহেডে করে পরিবহন করা হচ্ছে।

নৌ পুলিশ এর আগেও কয়েকবার অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। চলতি বছর ১৫৫টি বালুবাহী বাল্কহেড আটক করা হয়।

সেই ধারাবাহিকতায় আবারও অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে আটক ব্যক্তি ও বাল্কহেড বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, রাতে চুরি করে বালু তুলে যাতে পরিবহন করে অন্য কোথাও বিক্রি করতে না পরে সে জন্য নৌ পুলিশের পাঁচটি দল ভোররাত থেকে অভিযানে অংশ নেয়।

তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু তোলা এবং অনিবন্ধিত বাল্কহেডের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।’

অভিযানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর নৌ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. তোফাজ্জেল হোসেন, চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (মোহনপুর) মো. মনিরুজ্জামান।

আরও পড়ুন:
নৌকায় বাল্কহেডের ধাক্কা, নিখোঁজ ২
সন্ধ্যায় বাল্কহেডডুবি: ৪ দিন পর মিলল মরদেহ
বাল্কহেডডুবি: নিখোঁজ ১ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে বাল্কহেডডুবি, নিখোঁজ সুকানি
কালবৈশাখী ঝড়ে ডুবল বাল্কহেড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death penalty for two murders for obstructing land acquisition

জমি দখলে বাধা দেয়ায় খুন, দুজনের মৃত্যুদণ্ড

জমি দখলে বাধা দেয়ায় খুন, দুজনের মৃত্যুদণ্ড ফাইল ছবি
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি এম. সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ জানান, দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করে।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জমি দখলে বাধা দেয়ায় এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যার মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই রায়ে চারজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন মো. জাবেদ ও হাবিজ আহমদ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিন্টু মিয়া। বেকসুর খালাস পান নুরুল আলম মেম্বার, হোসনে আরা, তারা বানু এবং পেয়ার আহমদ। তাদের মধ্যে পেয়ার আহমদ কর্ণফুলীর উত্তর চরলক্ষ্যার বাকিরা একই থানার খোয়াজনগর এলাকার বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৫ নভেম্বর সকালে কর্ণফুলীর খোয়াজনগরে মো. আব্দুস সবুরের দখলীয় জমিতে সিমেন্টের খুঁটি দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে আসামিরা অবৈধভাবে দখল করার চেষ্টা করেন। এসময় মো. আব্দুস সবুর ও তার ভাই আব্দুল করিম তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাবেদ ও হাবিজ আহমদ আব্দুস সবুরকে ছুরিকাঘাত ও আব্দুল করিমকে মারধর করেন। অন্যরা তাদের সহযোগিতা করেন।

পরবর্তীতে আব্দুস সবুরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী খুরশীদা বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজহারনামীয় ১০ আসামি হলেন মো. জাবেদ, হাবিজ আহমদ, নুরুল আলম মেম্বার, ছবির আহমদ, ফরিদ আহমদ, মো. আবছার, মিন্টু মিয়া, হোসনে আরা, তারা বানু এবং পেয়ার আহমদ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি এম. সিরাজুল মোস্তফা মাহমুদ জানান, মামলার পর পুলিশ ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মো. আবছারকে বাদ দিয়ে বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরমধ্যে ফরিদ আহমদের মৃত্যু হলে তাকে বাদ দিয়ে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল বাকি ৮ আসামির বিচার শুরু হয়৷ বিচার শুরুর পর ছবির আহমদের মৃত্যু হলে তাকেও মামলার কার্যক্রম থেকে বাদ দেয়া হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন:
শিশুকে অপহরণের পর হত্যার মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা জসিম হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড  
সিলেটে মা-ছেলে হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে কৃষক হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 people including husband and wife were killed when the pickup hit the lorry

লরিতে পিকআপের ধাক্কা, দম্পতিসহ প্রাণ গেল ৩ জনের  

লরিতে পিকআপের ধাক্কা, দম্পতিসহ প্রাণ গেল ৩ জনের   প্রতীকী ছবি
ফেনীর ছাগলনাইয়া মুহুরিগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাশেদ খান জানান, তিনজনের মরদেহ ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

ফেনীতে লরিতে পিকআপের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর কাজিরদিঘী এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তিনজন হলেন কুমিল্লার রামকৃষ্ণপুর সোয়ারাম পুর এলাকার ২৮ বছর বয়সী শিমুল, তার স্ত্রী ২০ বছর বয়সী ইয়াসমিন এবং আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তার নাম, পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ফেনীর ছাগলনাইয়া মুহুরিগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাশেদ খান জানান, চট্টগ্রাম থেকে বাসার মালামাল নিয়ে একটি পিকআপে কুমিল্লায় যাচ্ছিলেন তারা। পথিমধ্যে একটি মালবাহী লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসার মালামাল বহনকারী পিকআপ ভ্যানটি। এসময় দুমড়ে-মুচড়ে যায় পিকআপ ভ্যানটি। এতে ঘটনাস্থলেই শিমুল, ইয়াসমিন ও এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লার দেবিদ্ধার এলাকার ২১ বছর বয়সী সাগর ও ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তিনজনের মরদেহ ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রায়হান উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
পিকআপে ট্রাকের ধাক্কা, ৩ নারী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের গাড়িতে বাসের ধাক্কা
বাসের চাপায় ভাই-বোন নিহত
মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, সড়কেই প্রাণ হারালেন দুই বন্ধু
টেকনাফে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুজনের

মন্তব্য

p
উপরে