বিভ্রান্তি ছড়িয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপি বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করছেন।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠনে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, যেটা সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি, সেটা অনুসরণ করেই আমাদের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাষ্ট্রপতি। তাদের মতামতে সার্চ কমিটি গঠন এবং তাদের দেয়া নাম যাচাই-বাছাই করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এটাই হলো গণতান্ত্রিক ও সবচেয়ে উত্তম পন্থা। সেটা নিয়েও বিএনপি আজকে সমালোচনা করছে।’
সোমবার থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর ভিত্তিতেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। বিএনপি জানিয়েছে তারা এই সংলাপে অংশ নেবে না।
আগামী বছরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন করবে আওয়ামী লীগ সরকার, এমন আশা জানান আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যদিও ১২ বছর আমরা অতিক্রম করেছি, তবে এই ১২ বছরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমাদের সময় অতিক্রম হয়েছে। ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় কার্যকর হয়েছে, সরকার গঠনের মাত্র ৫৩ দিনের মাথায় ২০০৯ সালে পিলখানার মতো ঘটনা ঘটে।’
হানিফ বলেন, ‘এর বিচার দীর্ঘদিন চলেছে এবং সরকারকে তার শেষ করতে হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আইনটা আমরা এখনও করতে পারিনি। এর প্রক্রিয়া চলছে, আমরা আশা করি, আগামী বছরের মধ্যে এই আইনটা আমরা করতে পারব।’
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করেনি কেন এ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন হানিফ।
তিনি বলেন, ‘তারা বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এটা প্রশাসনের নাটক। এ রকম নানা অভিযোগ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে তারা। আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনারা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিলেন, তখন আপনারা কেন নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করেননি? এখন কেন আপনারা দাবি করছেন?’
বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। তাই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। লাগাতারভাবে মিথ্যাচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। যারা ধর্মের নামে ফতোয়া দিয়েছিল, সেই জামায়াতকে রাজনীতি করতে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বেঈমানি করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নস্যাৎ করেছিলেন তিনি।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবল ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশকে এখনও অনেক দূর এগুতে হবে। কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখনও গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্র হচ্ছে সর্বজনীন মূল্যবোধ, যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে, গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার বিকল্প নেই।
‘আমরা এ ধরণের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ- যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।’
গণতন্ত্র সম্পর্কে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি উপলব্ধি করতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রচলিত একটি বিশেষ দিন হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
তিনি জানান, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। এর ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। এই চিন্তা ও দর্শনকে আপোষহীন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় অগ্রগামী করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তারেক রহমান বলেন, ‘গণআকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে বার বার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা ধ্বংসের অপচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপর দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থী-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসকের পতন ঘটে।’
‘সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা’- এ বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের এই প্রতিপাদ্যকে অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। বলেন, ‘আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিগত ১৬/১৭ বছরে কোটি কোটি ভোটারকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা হয়েছে ভুয়া ভোটার দিয়ে। দেশের কোটি কোটি ভোটার অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।
‘দেশের কয়েক প্রজন্ম গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়াই একটি ভীতিকর ও কতৃর্ত্ববাদী পরিবেশে বেড়ে উঠেছে। অপশাসনে সংকুচিত স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা তথা মানবিক, মানসিক বিকাশ ও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিনযাপন করতে হয়েছে। তরুণদের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎকে নস্যাৎ করা হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।
‘ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।’
আরও পড়ুন:সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কার করবে, আগামী দিনে সেগুলো আবার সংস্কার করা হবে।
শনিবার নরসিংদীর ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চার শহীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও হতাহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নিশ্চয় তারা কিছু সংস্কার করবে এবং তারা কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।
‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেগুলো অত্যাবশ্যক।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। গণতন্ত্র নির্বাসনে পাঠিয়ে তারা একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা এদেশে হিংসা, প্রতিহিংসা, লুটপাট, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল।’
মঈন খান বলেন, ‘মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে তারা। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটের অধিকার ব্যতিরেকে কোনো দেশে গণতন্ত্র হতে পারে না। তারা মনে করেছিল এ দেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটা হতে পারে না। বাংলাদেশের মালিক হচ্ছে দেশের ১৮ কোটি মানুষ। এই মানুষগুলো তাদের কথা বলার ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে।’
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা ও নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সিলেটে একেবারেই কোণঠাসা ছিলো বিএনপি। হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। রাজপথে কর্মসূচিতেও আসত বাধা। মামলা-গ্রেপ্তারের ভয়ে দলীয় কর্মসূচিগুলোতে পদধারী নেতারাও থাকতেন অনুপস্থিত।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর এসব প্রতিবন্ধকতা কেটেছে। দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকা নেতাকর্মী-সমর্থকরাও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন কারাবন্দি নেতারা। ফলে দীর্ঘদিন পর সিলেটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিএনপি।
পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বড় ধরনের জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি। বিকেলে নগরে শোভাযাত্রা ও সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে কয়েক লাখ লোক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
ইতোমধ্যে কর্মসূচিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সিলেট জেলা, মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। এই সমাবেশে নেতা-কর্মীদের বড় জমায়েত ঘটাতে চায় দলটি।
শেখ হাসিনার পতনের সিলেটে বিএনপির এটিই প্রথম সমাবেশ।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এই সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে চায় দলটি। এছাড়া মাঠ নিজেদের দখলে রাখাও লক্ষ্য। সমাবেশ থেকে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবি জানানো হতে পারে।
জানা যায়, রোববার বেলা ২টায় শুরু হবে শোভাযাত্রা। সেটি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য দেবেন।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, সমাবেশ সফল করতে সিলেট শহরজুড়ে ছয়টি টিম প্রচার চালাচ্ছে। এছাড়াও বিভাগের প্রতিটি উপজেলা, মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি সভা করেছেন দলটির নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি সিলেট জেলা ও মহানগরের দায়িত্বশীলরা কাজ করছেন।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে জেলা ও মহানগর বিএনপি প্রস্তুতি সভা করেছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা-সমাবেশ সফল করতে নানা পরিকল্পনা নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতন্ত্রকামী দল। দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবর্ণনীয় নির্যাতন সহ্য করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি। এই ধারাবাহিক লড়াই ও ছাত্র-জনতার বিস্ফোরণের মুখে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা। দ্রততম সময়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন৷ গণতন্ত্র দিবসে আমরা এসব দাবিই জানাব।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমরা সিলেটের রাজপথে সবসময়ই সক্রিয় ছিলাম। তবে এখন ফ্যাসিস্টরা পালিয়েছে, পুলইশ নির্যাতনের ভয়ও নেই। তাই রোববারের সমাবেশে বিপুল জমায়েতের আশা করছি আমরা।’
এর আগে সবশেষ গত বছরের নভেম্বরে সিলেটে বড় জমায়েত করে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে নভেম্বরে নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে বড় সমাবেশ করে দলটি। তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এটি ছিলো প্রায় নয় বছর পর সিলেটে বিএনপির বড় সমাবেশ। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর নির্বাচনের আগে সিলেটে মহাসমাবেশ করে দলটি। সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন:রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ছায়া সংসদে তিনি এই মতামত তুলে ধরেন।
বদিউল আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আরপিও আইন ও নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হবে। কেননা নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যে আইন করা হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ।’
নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবাই কলঙ্কিত ও পলাতক। তারা বিশেষ সময়ের মধ্যে পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের বিচার সম্পন্ন না হলে এবং তারা পুনর্গঠিত হতে না পারলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হবে না। যারা ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে তারা সুস্পষ্টভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী।
‘সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচার হওয়া দরকার। নইলে আগামীতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হবে না।
বদিউল আলম বলেন, বিগত তিন জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ মানুষ সবাই নির্বাচনি অপরাধী, তাদের শাস্তি হওয়া যৌক্তিক।
আরও পড়ুন:এ জনপদের হাজার বছরের ইতিহাসে শেখ হাসিনার মতো নির্মম কারও জন্ম হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক।
টাঙ্গাইল জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে শহরের পৌর উদ্যানে শনিবার সকাল ১০টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া ও নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে গত ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮৭৫ জন নিহত ও ৩০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।
মামুনুল বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল শান্ত স্বাভাবিক পরিবেশে এমনিভাবে একটি সাধারণ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে এমন হত্যাযজ্ঞ চালানো যায়, আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে যা কল্পনা করা কঠিন। এ জন্য আমি বলে থাকি বাংলাদেশে হাজার বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার মতো এত নির্মম, এত বর্বর কোনো মানুষের জন্ম হয়েছে কি না, আমার সন্দেহ হয়।
‘এ নির্মমতার শিকার হয়েছে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা, শিকার হয়েছে সাধারণ জনতা ও মাদ্রাসার ছাত্ররা। হাসিনা এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে যে, লাশ গুম করে রেখেছে যাতে করে কোনো পরিবার লাশ কোথাও কেউ না পায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানুষকে গুমের পর গুম করেছে হাসিনা। মানুষ এখন তাদের স্বজনদের জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল, ঘরের সামনে তাকিয়ে থাকে ফিরে আসার অপেক্ষায়। এই ছিল শেখ হাসিনার বাংলাদেশের চিত্র।
‘এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দিয়ে গড়েনি। এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনাকে আল্লাহ বিতাড়িত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সরব অবস্থানের পর উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সংগঠনটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে থেকে শনিবার ভোরে দেয়া স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ ও রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে গত বছরের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ছিলেন এ সংগঠনের সদস্য সচিব। অন্যদিকে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ছিলেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।
৩১ সদস্যের এ কমিটির অনেকেই বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক পদে আছেন।
এমন এক সময়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি তাদের কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করেছে, যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীরা শুক্রবার ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
সমাবেশে শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফা বা ৯ দফার অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, কিন্তু সেই কথাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। সমন্বয়কদের অনেকেই এখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। আমরা এটি মেনে নেব না।’
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল, তবে ক্যাম্পাস থেকে রাজনীতি নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার কথা জানান ওই শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন:ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় সুসংহত হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘বিজয় তখনই সুসংহত হবে যদি এটা আমরা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে।’
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ অপশাসন, দুঃশাসন, গুম, খুন, নির্যাতন ও প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, জাস্ট নিউজের সম্পাদক এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তাদের মধ্যে অন্যতম। অনেকেই দেশে থাকতে পারেননি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। অনেকে দেশের বাইরে থেকে সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম।’
বিএনপি মহাসচিব বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পেছনে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর অনন্য ভূমিকার উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি মুশফিকুল ফজল আনসারীকে বাংলাদেশের ‘রিয়েল হিরো’ বলে আখ্যা দেন।
এ সময় সব সাংবাদিককে পেশাদারত্ব বজায় রেখে, নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ, তৈরি ও পরিবেশনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া ফুলেল সংবর্ধনা শেষে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মজলুম এই সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন নোবেল লরিয়েটকে সরকার প্রধান হিসেবে পেয়েছেন। তিনি আপাদমস্তক একজন নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’
একইসঙ্গে সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মুশফিকুল ফজল বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হোক এটা আমরা চাই না। তবে পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসররাই এখনও বেশিরভাগ মিডিয়া চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণের পক্ষের এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকদের দায়িত্ব দিতে হবে- যাতে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার ভাষা প্রতিফলিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেকটা নিরাপদ স্থানে থেকেই আমরা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি। যদিও নানাভাবে আমাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছিলো। তবে আমাদের ত্যাগের চেয়েও দেশে অবস্থান করে যারা লড়াই করে গেছেন তাদের অবদান ভোলার নয়।
‘শেখ হাসিনা সরকার নানাভাবে আমাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছিল। প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাটাই নিজের ব্রত মনে করেছি।’
এ সময় সংবর্ধনার ছবি ফেসবুকে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সময়টা আনন্দ-উৎসবের নয়। দয়া করে এসব ছবি দিয়ে শহীদ পরিবারগুলোর মনের কষ্ট বাড়িয়ে দেবেন না। এটা আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ। আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে শহীদি মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদেরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই শিকদার, এলাহি নেওয়াজ খান সাজু, মুরসালিন নোমানী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাঈদ খান। সূচনা বক্তব্য দেন সাংবাদিক শফিউল আলম দোলন।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. কামরুল আহসান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোসলেহ উদ্দিন তারেক, সাবেক জাসাস নেতা মোশারফ হোসেন ঠাকুর, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, সরকারি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির নেতা ড. নেয়ামুত উল্ল্যাহ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, কবি রেজা উদ্দিন স্টালিনসহ বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শিক্ষক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ নানা পেশার ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার অনেক সাংবাদিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুশফিকুল ফজল আনসারীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য