আস্থা জাগানোর যত উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে কোনোটিতেই কাজ হচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে ৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাতে প্রত্যাশা ছিল সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও গতি ফিরবে, কিন্তু তাতেও আস্থা ফেরেনি।
সূচক বাড়লেও মঙ্গলবার ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন দেখেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর আগের গত ১৮ এপ্রিল পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৬০২ কোটি টাকা। তারপর ১৯ এপ্রিল লেনদেন হয়েছিল ৬৯৭ কোটি টাকা। এরপর আর পুঁজিবাজারের লেনদেন ৬ হাজারে নেমেনি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে জানান, এপ্রিলের শেষ সময় থেকে নভেম্বরের শেষ সময় পর্যন্ত পুঁজিবাজারে যে লেনদেন হয়েছে তাতে সূচক কমে গেলেও আতঙ্কের কিছু ছিল বলে মনে হয়নি।
তিনি বলেন, এখন যেহেতু সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমে আসছে তাতে বলা যায়, কোনো পক্ষ শেয়ার বিক্রি করছে, কিন্তু নতুন বিনিয়োগ করছে না। এ বিষয়টি নজরদারি করা উচিত। পুঁজিবাজারে এমন অবস্থা আগেও হয়েছে। বর্তমান কমিশনের ওপর বিনিয়োগকারীদের অনেক আস্থা আছে। সেই আস্থার জায়গা থেকেই বিনিয়োগকারীরা করোনা মহামারির সময়ও বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা রেখেছে।
সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর কেন পুঁজিবাজারের এমন অবস্থা হচ্ছে সেটির সঠিক যাচাই-বাছাই প্রয়োজন বলে মনে করেন দেবব্রত কুমার।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে নজরদারি করা হচ্ছে, এটি ভালো দিক। আগে পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলেও এভাবে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা প্রদান বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়েছে। সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৫৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। পাশাপাশি অপর দুই সূচকও বেড়েছে।
তবে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে লেনদেন, ৬৫২ কোটি টাকা। আগের দিনও লেনদেন হয়েছিল ৮০৭ কোটি টাকা। এক দিনের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১৫৫ কোটি টাকা।
লেনদেনে বস্ত্র খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা গেছে। পাশাপাশি প্রকৌশল, বিবিধি, ব্যাংক খাতের প্রতি আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের।
এদিন ডিএসই এসএমই বোর্ডের সূচক ডিএসএমইএক্স ২৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর কমেছে। দুটির দর বেড়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
যেসব কোম্পানির দর বদ্ধিতে বেড়েছে সূচক
মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২.১০ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৫.৮৪ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর ৪.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ২.৮৩ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ার দর ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১.৫১ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ২.৩২ শতাংশ।
সূচক বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল বেক্সিমকোফার্মা, যার শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ১.৪৯ শতাংশ।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির শেয়ার দর এদিন বেড়েছে দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২৪৬ টাকা ৮০ পয়সা দরের শেয়ার হয়েছে ২৪৮ টাকা। এদিন কোম্পানিটির ৯৮ লাখ টাকার ৩৬ হাজার ৬৫৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো (বিএটিবিসি) শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১.২৪ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ১৭ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসীম বাংলাদেশের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৯৭ শতাংশ। যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
লেনদেন এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। গত ১০ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে চারদিন। বাকি ছয় দিন থেমে থেমে শেয়ার দর কমেছে।
মঙ্গলবার বেক্সিমকো লিমিটেডের ১০২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৬৬ রাখ ৬২ হাজার ৮৯২টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে এদিন ব্যাংক খাতের ছিল দুটি। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর সোমবার বেড়েছিল। তার আগে টানা সাত দিন কমেছে।
মঙ্গলবার আবারও দশমিক এক শতাংশ কমেছে ব্যাংকটির শেয়ার দর। মোট লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এদিন ব্যাংকটির ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের মোট ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৮১ লাখ ২০ হাজার ৪২৫টি শেয়ার।
এছাড়া ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৪০ হাজার ১৭৯টি শেয়ার।
জিএসপি ফিন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৮০টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৯ লাখ ৪ হাজার ৪৮টি শেয়ার।
এ তালিকায় ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। সোনালী পেপারের ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা এইড ছিল সেরা দশে।
দর বেড়েছে যে ১০ কোম্পানি
দিনের সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের বেশি বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল দুটি। এর মধ্যে একটি ছিল জেড ক্যাটাগরির তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। গত ১০ কর্মদিবেস কোম্পানিটির টানা চার কর্মদিবস দর কমেছে। সোমবার ও মঙ্গলবারসহ বাকি চারদিনও দর বেড়েছে কোম্পানিটির।
এদিন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। ১৪৭ টাকা ৬০ পয়সা দরের শেয়ার হয়েছে ১৬২ টাকা ৩০ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ফাইন ফুডসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা দরের শেয়ার হয়েছে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা সোনালী পেপারের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। হাক্কানি পাল্পের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির দশ কোম্পানির মধ্যে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি ছিল ৫টি। ফাইন ফুড সহ জিলবাংলা সুগার, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮৮ শতাংশ। এএমসিএল (প্রাণ), যার শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮০ শতাংশ। এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৫২ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৪৮ শতাংশ।
এছাড়া মুন্নু এএমজিএলর শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৫৭ শতাংশ। এতে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০৭ টাকা ৫০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা দেশ গার্মেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। এপেক্স ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৩৫ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে হাওয়েল টেক্সটাইলের ৮.৪৬ শতাংশ। এতে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা দরের শেয়ার কমে হয়েছে ৪১ টাকা ১০ পয়সা। ৬ লাখ ৮০ টাকা টাকার মোট ১৬ হাজার ৩৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.৬৫ শতাংশ। ৪০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার মোট ৩১ হাজার ৪৬৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সোনালী পেপার কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৪.৯৯ শতাংশ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৬৭ শতাংশ। সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৬৫ শতাংশ।
এদিন দর পতনের থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিলকো ফার্মার শেয়ার দর কমেছে ৩.৮৪ শতাংশ। পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩.৭৫ শতাংশ। এটলাস বাংলাদেশের শেয়ার দর কমেছে ৩.২২ শতাংশ। আরএসআরএম কোম্পানির শেয়ার দর ২২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩.১১ শতাংশ কমে হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ২ লাখ ১ হাজার ২০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দর পতনে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.৯৩ শতাংশ। মেঘনা পেট কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ২.৮৯ শতাংশ। অনালিমা ইয়ার্ডের শেয়ার দর কমেছে ২.৮৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডে পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদকে এ পদের নিয়োগ দেয়া হয় বলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে, প্রগ্রেসিভ লইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বীমাদাবি যথাসময়ে পরিশোধ না করায় প্রতিনিয়ত গ্রাহকরা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষে অভিযোগ দাখিল করেছে। বীমাদাবি সমসয়মতো পরিশোধ না করার জন্য গ্রাহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে এবং বীমা শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সব বিষয় কর্তৃপক্ষের গোচরীভূত হওয়ায় কোম্পানির পরিচালনাগত স্বচ্ছতা উন্নয়নের মাধ্যমে বীমা গ্রাহকদের বীমাদাবি পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্য্ক। এ লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহা. আব্দুল মজিদকে পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হলো।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট কপি ও ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিটের তথ্য চেয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আয়কর নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রতিষ্ঠানটির দেয়া তথ্যের মধ্যে অসঙ্গতি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এ নির্দেশনা এসেছে।
এনবিআরে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল জানিয়েছে, এনবিআরের আয়কর বিভাগে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের দাখিল করা ডকুমেন্টসে ডিএসইতে দেয়া তথ্যের সঙ্গে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
ইন্টেলিজেন্স সেল বলছে, এ তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে ওই দুই অর্থবছরের ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট কপি ও ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিটের তথ্য চেয়েছে বিএসইসি। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।
গত ১১ মে বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১১ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির জন্য প্রতিটি শেয়ার ২৫ টাকা (প্রিমিয়াম ১৫ টাকা) করে ইস্যুর মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছিল।
ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে আসা এই কোম্পানিটি এখন শোচনীয় অবস্থায়। এতে আইপিও পূর্ব ৬ মাসের ৩.০৫ টাকার শেয়ারপ্রতি মুনাফা এখন চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে লোকসান শেয়ারপ্রতি ৩.০৮ টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের অন্যতম শীর্ষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ২০০ কোটি টাকার মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আনবে। ফান্ডটির নাম- ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড।
এটি হবে একটি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড। ফান্ডটির উদ্যোক্তা দেশের সবচেয়ে বড় ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক। আলোচিত ফান্ডের ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি)।
রোববার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ফান্ডের উদ্যোক্তা গ্রামীণ ব্যাংক এবং ফান্ডের ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি)-এর মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
একই দিনে ফান্ডের স্পন্সর গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডও একটি চুক্তি সই করেছে।
ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চুক্তি সম্পাদন ও চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ক্যাপিটেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার সুমিত পাল, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম সাইফুল মজিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোসলেহ উদ্দীন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মানব সম্পদ ও সেবা ব্যবস্থাপনা) মো. ছাইদুজ্জামান ভূঞা, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) প্রদীপ কুমার সাহা, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ (আইসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ আহমেদুর রহমান এবং উপমহাব্যবস্থাপক মো. শরকিুল আনামসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড হবে ক্যাপিটেক অ্যাসেট পরিচালিত চতুর্থ মিউচুয়াল ফান্ড। প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে তিনটি বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করছে। তালিকাভুক্ত হলে আকারের দিক থেকে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড হবে দ্বিতীয় বৃহত্তম মিউচুয়াল ফান্ড।
জানা গেছে, বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড হবে একটি বর্ধিষ্ণু ফান্ড। এই ফান্ডের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ক্যাপিটাল গেইন ও নগদ লভ্যাংশের সমন্বিত আয়ের উপর ভিত্তি করে ঝুঁকি সামঞ্জস্যপূর্ণ আয় করা এবং পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারে অনুমোদিত উপকরণগুলোতে বিনিয়োগ করে ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ প্রদান করা।
আরও পড়ুন:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন সূচকের সঙ্গে আগের কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন প্রায় ৮৭ কোটি টাকা কমেছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
দিন শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৬১ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ০৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৬৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৪টির, দর কমেছে ৬৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৫টির।
ডিএসইতে ৭৫৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা কম। এর আগেরদিন লেনদেন হয়েছিল ৮৪৬ কোটি ২১ লাখ টাকার।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৭৪ পয়েন্টে।
সিএসইতে ১৯০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির এবং ৯৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৫০ কোটি টাকা রয়েছে, সেসব শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) যদি ৫০ পর্যন্ত হয় তাহলেও মার্জিন ঋণ সুবিধা পাওয়ার বিধান রেখে সম্প্রতি নির্দেশনা জারি করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাস বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ওই নির্দেশনায় কিছুটা পরিবর্তন এনে বুধবার জারি করা নতুন নির্দেশনায় সংস্থাটি বলছে, ওইসব ভালো কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা হলেও তারা মার্জিন ঋণ সুবিধা পাবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্র জানিয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পিই রেশিও ৪০-এর বেশি থাকা শেয়ারকে মার্জিন ঋণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচনা করবে না স্টক এক্সচেঞ্জ। একই সঙ্গে স্টক ব্রোকাররা তাদের গ্রাহকদের এ ধরনের শেয়ার কেনায় মার্জিন ঋণ দেবে না। তবে যেসব কোম্পানির শেয়ার টানা তিন বছর ধরে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছে এবং যাদের পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৩০ কোটি টাকা, সেসব কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও ৫০ পর্যন্ত মার্জিন ঋণের সুবিধা পাবে। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত কমিশনের জারি করা আগের নির্দেশনাগুলোর কার্যকারিতা রদ করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ভালো ও মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে পড়ে আছে। এসব শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই এবং বাজারে এগুলোর লেনদেন হয় না বললেই চলে। তাই এসব মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে পিই রেশিও ৫০ পর্যন্ত মার্জিন ঋণ দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ৩০ কোটির ওপরে যেসব ‘এ’ ক্যাটাগরির ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানির আছে, যারা ডিভিডেন্ড দেয়, সেসব কোম্পানিতে যারা মার্জিন লোন নিয়ে বিনিয়োগ করতে চায়, তাদের সুবিধার্থে পিই রেশিও ৪০ থেকে ৫০ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সিকিউরিটিজগুলোর ডিমান্ড কিছুটা বাড়বে বলে প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮ শতাংশের বেশি।
ব্যাংকটির সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এ প্রতিবেদনের আলোকে সবশেষ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পর্ষদ।
নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের হিসাব বছরে এ মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির নিট মুনাফা বেড়েছে ১৩৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।
সবশেষ হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। আগের হিসাব বছরে এটি ছিল ২ টাকা ৯৯ পয়সা।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ২১ পয়সায়। আগের হিসাব বছরে এটি ছিল ৪০ টাকা ৮২ পয়সায়।
এদিকে এ বছরের ২২ জুন বেলা সাড়ে ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আহ্বান করেছে ব্যাংকটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ মে।
সর্বশেষ ক্রেডিট রেটিং অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘এএএ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-১’।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ ঋণমান নির্ধারণ করে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
১৯৮৫ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ইসলামী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ২ হাজার কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪ হাজার ৯৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
ব্যাংকের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে রয়েছে ৫৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ শেয়ার। এ ছাড়া ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১০ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। আর ওই দিন শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৩৩ টাকা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩১ টাকা ৩০ পয়সা ও ৩৬ টাকা।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ৮ দশমিক ৫৬।
ঈদুল ফিতরের পরে দেশের পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইছে। যা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) দৈনন্দিন লেনদেনের দিকে তাকালেই তা বোঝা যাচ্ছে। টানা নয় কার্যদিবস সূচক বাড়ার পাশাপাশি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন ৯৬৭ কোটি ছাড়িয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন।
এর আগে চলতি বছরে ঢাকার পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় গত ১৮ জানুয়ারি। সেদিন ডিএসইতে ৯৩৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বুধবার ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। যা এ বছরের তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন।
বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ শেয়ার হাতবদল হয়। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৬ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট।
এদিন ডিএসইএস ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে। এদিন সূচক কমার তালিকায় নাম লেখায় ডিএসই৩০। এই সূচকটি ৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই ছিল ২১০টি, দাম বেড়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৭৯টি এবং দাম কমার তালিকায় নাম লেখায় ৬২টি প্রতিষ্ঠান।
অপরদিকে চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা শেয়ার। আগের দিন বুধবার ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টি, কমেছে ৪৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৮টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য