আস্থা জাগানোর যত উদ্যোগই নেয়া হচ্ছে কোনোটিতেই কাজ হচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণে ৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাতে প্রত্যাশা ছিল সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনেও গতি ফিরবে, কিন্তু তাতেও আস্থা ফেরেনি।
সূচক বাড়লেও মঙ্গলবার ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন দেখেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এর আগের গত ১৮ এপ্রিল পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ৬০২ কোটি টাকা। তারপর ১৯ এপ্রিল লেনদেন হয়েছিল ৬৯৭ কোটি টাকা। এরপর আর পুঁজিবাজারের লেনদেন ৬ হাজারে নেমেনি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে জানান, এপ্রিলের শেষ সময় থেকে নভেম্বরের শেষ সময় পর্যন্ত পুঁজিবাজারে যে লেনদেন হয়েছে তাতে সূচক কমে গেলেও আতঙ্কের কিছু ছিল বলে মনে হয়নি।
তিনি বলেন, এখন যেহেতু সূচকের পাশাপাশি লেনদেনও কমে আসছে তাতে বলা যায়, কোনো পক্ষ শেয়ার বিক্রি করছে, কিন্তু নতুন বিনিয়োগ করছে না। এ বিষয়টি নজরদারি করা উচিত। পুঁজিবাজারে এমন অবস্থা আগেও হয়েছে। বর্তমান কমিশনের ওপর বিনিয়োগকারীদের অনেক আস্থা আছে। সেই আস্থার জায়গা থেকেই বিনিয়োগকারীরা করোনা মহামারির সময়ও বড় বিনিয়োগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে চাঙ্গা রেখেছে।
সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার পর কেন পুঁজিবাজারের এমন অবস্থা হচ্ছে সেটির সঠিক যাচাই-বাছাই প্রয়োজন বলে মনে করেন দেবব্রত কুমার।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে নজরদারি করা হচ্ছে, এটি ভালো দিক। আগে পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলেও এভাবে চিঠি দিয়ে নির্দেশনা প্রদান বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়েছে। সূচক দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭৫৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে। পাশাপাশি অপর দুই সূচকও বেড়েছে।
তবে আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে লেনদেন, ৬৫২ কোটি টাকা। আগের দিনও লেনদেন হয়েছিল ৮০৭ কোটি টাকা। এক দিনের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১৫৫ কোটি টাকা।
লেনদেনে বস্ত্র খাতের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা গেছে। পাশাপাশি প্রকৌশল, বিবিধি, ব্যাংক খাতের প্রতি আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের।
এদিন ডিএসই এসএমই বোর্ডের সূচক ডিএসএমইএক্স ২৩ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৯০ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। তালিকাভুক্ত ছয়টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর কমেছে। দুটির দর বেড়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
যেসব কোম্পানির দর বদ্ধিতে বেড়েছে সূচক
মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২.১০ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ৫.৮৪ শতাংশ। লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫২ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫৫ টাকা ২০ পয়সা।
ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর ৪.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ২.৮৩ শতাংশ। ব্যাংকটির শেয়ার দর ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১.৫১ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ২.৩২ শতাংশ।
সূচক বৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল বেক্সিমকোফার্মা, যার শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ। এতে সূচক বেড়েছে ১.৪৯ শতাংশ।
ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির শেয়ার দর এদিন বেড়েছে দশমিক ৪৮ শতাংশ। ২৪৬ টাকা ৮০ পয়সা দরের শেয়ার হয়েছে ২৪৮ টাকা। এদিন কোম্পানিটির ৯৮ লাখ টাকার ৩৬ হাজার ৬৫৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো (বিএটিবিসি) শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে ১.২৪ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ১৭ শতাংশ।
লাফার্জ হোলসীম বাংলাদেশের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৯৭ শতাংশ। যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর বৃদ্ধিতে সূচক বেড়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
লেনদেন এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। গত ১০ কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে চারদিন। বাকি ছয় দিন থেমে থেমে শেয়ার দর কমেছে।
মঙ্গলবার বেক্সিমকো লিমিটেডের ১০২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ৬৬ রাখ ৬২ হাজার ৮৯২টি শেয়ার এদিন হাতবদল হয়েছে।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে এদিন ব্যাংক খাতের ছিল দুটি। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর সোমবার বেড়েছিল। তার আগে টানা সাত দিন কমেছে।
মঙ্গলবার আবারও দশমিক এক শতাংশ কমেছে ব্যাংকটির শেয়ার দর। মোট লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এদিন ব্যাংকটির ১ কোটি ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের মোট ১৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৮১ লাখ ২০ হাজার ৪২৫টি শেয়ার।
এছাড়া ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৪০ হাজার ১৭৯টি শেয়ার।
জিএসপি ফিন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৯৮০টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারের লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৯ লাখ ৪ হাজার ৪৮টি শেয়ার।
এ তালিকায় ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। সোনালী পেপারের ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়া, সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, ফার্মা এইড ছিল সেরা দশে।
দর বেড়েছে যে ১০ কোম্পানি
দিনের সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের বেশি বা ১০ শতাংশের কাছাকাছি দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল দুটি। এর মধ্যে একটি ছিল জেড ক্যাটাগরির তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। গত ১০ কর্মদিবেস কোম্পানিটির টানা চার কর্মদিবস দর কমেছে। সোমবার ও মঙ্গলবারসহ বাকি চারদিনও দর বেড়েছে কোম্পানিটির।
এদিন তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ। ১৪৭ টাকা ৬০ পয়সা দরের শেয়ার হয়েছে ১৬২ টাকা ৩০ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানি ফাইন ফুডসের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯১ শতাংশ। ৪৫ টাকা ৪০ পয়সা দরের শেয়ার হয়েছে ৪৯ টাকা ৯০ পয়সা।
এ ছাড়া, দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা সোনালী পেপারের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। হাক্কানি পাল্পের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির দশ কোম্পানির মধ্যে খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের কোম্পানি ছিল ৫টি। ফাইন ফুড সহ জিলবাংলা সুগার, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮৮ শতাংশ। এএমসিএল (প্রাণ), যার শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮০ শতাংশ। এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৫২ শতাংশ এবং ন্যাশনাল টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৪৮ শতাংশ।
এছাড়া মুন্নু এএমজিএলর শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৫৭ শতাংশ। এতে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০৭ টাকা ৫০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় থাকা দেশ গার্মেন্টের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৯১ শতাংশ। এপেক্স ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৩৫ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে হাওয়েল টেক্সটাইলের ৮.৪৬ শতাংশ। এতে ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা দরের শেয়ার কমে হয়েছে ৪১ টাকা ১০ পয়সা। ৬ লাখ ৮০ টাকা টাকার মোট ১৬ হাজার ৩৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সে কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৫.৬৫ শতাংশ। ৪০ লাখ ৩৬ হাজার টাকার মোট ৩১ হাজার ৪৬৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
সোনালী পেপার কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৪.৯৯ শতাংশ। এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৬৭ শতাংশ। সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.৬৫ শতাংশ।
এদিন দর পতনের থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিলকো ফার্মার শেয়ার দর কমেছে ৩.৮৪ শতাংশ। পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩.৭৫ শতাংশ। এটলাস বাংলাদেশের শেয়ার দর কমেছে ৩.২২ শতাংশ। আরএসআরএম কোম্পানির শেয়ার দর ২২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩.১১ শতাংশ কমে হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার ২ লাখ ১ হাজার ২০৩টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দর পতনে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ২.৯৩ শতাংশ। মেঘনা পেট কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ২.৮৯ শতাংশ। অনালিমা ইয়ার্ডের শেয়ার দর কমেছে ২.৮৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য