খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনে থার্টি ফার্স্ট নাইটে প্রকাশ্যে সভা, সমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সম্প্রতি এ নির্দেশ জারি করে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি-মহাসচিবকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এতে বলা হয়েছে, ‘খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।’
‘প্রতি বছর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান শুভ বড়দিন, ২৫ ডিসেম্বর যথাযথ মর্যাদা, আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। সে সঙ্গে খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষেও বিভিন্ন স্থানে আনন্দ-উৎসবের আয়োজন করা হয়। অতিমারি কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী সব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলিম, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সব ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিতভাবে পালিত হয়েছে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন এবং খ্রিষ্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।
‘এ লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী অব্যাহত রাখাসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং প্রয়োজনে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিত করতে হবে।’
বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটের সকল অনুষ্ঠান সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজন নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয় চিঠিতে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে তারা দেশে ফেরেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে এই ২৬ বাংলাদেশিকে পরিবহন খরচসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও ব্র্যাক এই প্রবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণে কাজ করবে। এজন্য তাদের চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত জুলাই মাসে ৫৭ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার ও শাস্তি পান।
পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে ৫৭ বাংলাদেশির ক্ষমার আদেশ দেন আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ৩১ জন তিন দফায় দেশে ফিরে আসেন। বাকি ২৬ জন শুক্রবার ফিরলেন।
আরও পড়ুন:ঐক্য ধরে রাখতে পারলেই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বিজয় সুসংহত হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘বিজয় তখনই সুসংহত হবে যদি এটা আমরা ধরে রাখতে পারি। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে।’
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ অপশাসন, দুঃশাসন, গুম, খুন, নির্যাতন ও প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, জাস্ট নিউজের সম্পাদক এবং ওয়াশিংটনভিত্তিক অধিকার সংস্থা রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও সাংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেড।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী তাদের মধ্যে অন্যতম। অনেকেই দেশে থাকতে পারেননি ফ্যাসিবাদী হাসিনার কারণে। অনেকে দেশের বাইরে থেকে সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন। আমরা দেশের ভেতরে থেকে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলাম।’
বিএনপি মহাসচিব বাংলাদেশের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পেছনে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর অনন্য ভূমিকার উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি মুশফিকুল ফজল আনসারীকে বাংলাদেশের ‘রিয়েল হিরো’ বলে আখ্যা দেন।
এ সময় সব সাংবাদিককে পেশাদারত্ব বজায় রেখে, নীতি-নৈতিকতার সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ, তৈরি ও পরিবেশনের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া ফুলেল সংবর্ধনা শেষে বক্তব্য দেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মজলুম এই সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন নোবেল লরিয়েটকে সরকার প্রধান হিসেবে পেয়েছেন। তিনি আপাদমস্তক একজন নির্লোভ ব্যক্তি। তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।’
একইসঙ্গে সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মুশফিকুল ফজল বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হোক এটা আমরা চাই না। তবে পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগী দোসররাই এখনও বেশিরভাগ মিডিয়া চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণের পক্ষের এবং বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকদের দায়িত্ব দিতে হবে- যাতে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষার ভাষা প্রতিফলিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেকটা নিরাপদ স্থানে থেকেই আমরা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি। যদিও নানাভাবে আমাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হয়েছিলো। তবে আমাদের ত্যাগের চেয়েও দেশে অবস্থান করে যারা লড়াই করে গেছেন তাদের অবদান ভোলার নয়।
‘শেখ হাসিনা সরকার নানাভাবে আমাকে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করেছিল। প্রলোভন দেখিয়েছিল। কিন্তু নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করাটাই নিজের ব্রত মনে করেছি।’
এ সময় সংবর্ধনার ছবি ফেসবুকে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সময়টা আনন্দ-উৎসবের নয়। দয়া করে এসব ছবি দিয়ে শহীদ পরিবারগুলোর মনের কষ্ট বাড়িয়ে দেবেন না। এটা আপনাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ। আল্লাহ যেন তাদের সবাইকে শহীদি মর্যাদা দান করেন।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদেরে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই শিকদার, এলাহি নেওয়াজ খান সাজু, মুরসালিন নোমানী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দৈনিক আমার দেশের বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী ও ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাঈদ খান। সূচনা বক্তব্য দেন সাংবাদিক শফিউল আলম দোলন।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. কামরুল আহসান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোসলেহ উদ্দিন তারেক, সাবেক জাসাস নেতা মোশারফ হোসেন ঠাকুর, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, সরকারি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির নেতা ড. নেয়ামুত উল্ল্যাহ, গণঅধিকার পরিষদ নেতা তারেক রহমান, কবি রেজা উদ্দিন স্টালিনসহ বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শিক্ষক, আইনজীবী, কৃষিবিদ, চিকিৎসকসহ নানা পেশার ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার অনেক সাংবাদিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুশফিকুল ফজল আনসারীর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরে আসছে। বাংলাদেশ তাদের স্বাগত জানানোর প্রস্তুতির পাশাপাশি বহুমাত্রিক আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে ভারতের নয়াদিল্লি সফরে রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলটি আজ শনিবার ঢাকায় পৌঁছবে। তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেবে।
পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
সফরের আগে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র যে গুরুত্ব দেয়, (এই মেয়াদে) প্রথম প্রতিনিধি দলের আগমন তার একটি বড় উদাহরণ। এ থেকে বোঝা যায় যে এই আলোচনা হবে বহুমাত্রিক। এটি শুধু একটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আলোচনায় শুধু একটি নয়, বিস্তৃত বিষয় থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র জানান, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকারে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সফরকালে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।
লু ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকের জন্য একটি আন্তঃসংস্থা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ, ইউএসএআইডি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাদের এই সফরে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।
আলোচনার সুনির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আলোচনা শুরুর আগে আমি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে চাই না, যা আলোচনার স্বাভাবিকতাকে ক্ষুণ্ন করবে।’
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের আন্তর্জাতিক বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে। সফরে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী লু আমাদের অংশীদারদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতার প্রচারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন।’
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের যেকোনো সফর সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।’
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স লিন্ডসে ডব্লিউ ফোর্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি/অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স ব্রেন্ট নেইম্যান প্রতিনিধি দলে থাকবেন।
এই ভূমিকায়, ফোর্ড এই অঞ্চলের জন্য প্রতিরক্ষা কৌশল এবং পরিকল্পনার বিকাশ ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সমস্ত নীতিগত বিষয়গুলোর জন্য প্রতিরক্ষা বিভাগের মধ্যে জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।
তার দায়িত্বের ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান বাদে ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সুরক্ষা সম্পর্ক।
নেইম্যান যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থের ডেপুটি-আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন:সীমান্ত হত্যার বিষয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী আইসিপিতে বিজিবির রংপুর রিজিয়ন এবং বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের মধ্যে বৃহস্পতিবার সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি ঠাকুরগাঁও সেক্টর সদরদপ্তরের কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আজ ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২ ঘটিকায় ভারতের অভ্যন্তরে ফুলবাড়ীতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিজিবির পক্ষে বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ তৌহিদুর রহমান এবং বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
‘অপরদিকে বিএসএফের পক্ষে বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি শ্রী সুরিয়া কুমার শর্মা এবং শিলিগুড়ি ও কিষাণগঞ্জ সেক্টরের ডিআইজিগণসহ বিএসএফের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বৈঠকে গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক জয়ন্ত কুমার সিংহকে (১৫) গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়। বিএসএফ নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ওপর গুলি চালানো হবে না মর্মে বিজিবি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।
‘সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধ ও আন্তসীমান্ত অপরাধ দমনকল্পে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুপুর ১৩৩০ ঘটিকায় বৈঠকটি শেষ হয়।’
আরও পড়ুন:দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তিনটি ইউনিটের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩২ মিনিটে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ওই ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও সেটি থেকে রাতে প্রাথমিকভাবে ৭০ থেকে ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হচ্ছে। এটি চালু রাখতে ৮০০ থেকে ৯০০ টন কয়লা প্রয়োজন হয়।
প্রধান প্রকৌশলী জানান, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইলেকট্রো হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্প নষ্ট হওয়ায় ৩ নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি জানান, ১ নম্বর ইউনিটটি অনেক দিনের পুরোনো। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে সংস্কারকাজের জন্য সেটিও বন্ধ করা হয়েছিল। মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার রাতে সেটি চালু করা হয়েছে।
এ কর্মকর্তা আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। তারা ১৫ দিন সময় চেয়েছে। চীন থেকে মেশিন এলেই ৩ নম্বর ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকার ধারণ করেছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানায়।
বার্তায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হতে পারে।
‘এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:আগামী একশ’ দিনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী ১০০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতারকে দক্ষ ও জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেয়া হবে। স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন এবং গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলী) আইন ও সম্প্রচার আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য দপ্তর/সংস্থার সাংগঠনিক কাঠামোর আইনি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য আইন, বিধি ও নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামোর যৌক্তিক সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক ডিজিটালাইজেশনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ঘোষিত রোডম্যাপে একশ’ দিনের মধ্যে অনলাইন নিউজ পোর্টালের লাইসেন্স প্রদান নীতিমালা যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনের চারটি শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
চলমান প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে সম্পাদনে কিংবা প্রয়োজনীয় সংস্কার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) আয়বর্ধক কর্মসূচির জন্য বিজনেস সল্যুশন প্রোগ্রামের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন আইন, ১৯৫৭-কে যুগোপযোগী করা হবে।
বাংলাদেশ বেতার থেকে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের পথে শীর্ষক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ ছাত্র-জনতাকে নিয়ে এপিসোড প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ বেতারের অনিয়মিত শিল্পীদের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
ঢাকাসহ সারাদেশে দেওয়াল লিখন, স্লোগান এবং গ্রাফিতি তুলে ধরে তথ্য বিবরণীমূলক অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার করা হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে ২০০টি ফিচার প্রকাশসহ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যুগোপযোগী করা হবে। তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরিসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।
পতিত সরকারের ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত সব দুর্নীতি, অনাচার, দমন-পীড়ন, মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে ডকুমেন্টারি তৈরির জন্য প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সব শহীদের ওপর পরিচিতিভিত্তিক ডকুমেন্টারি নির্মাণ এবং দেওয়ালে অংকিত গ্রাফিতির ওপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর কর্তৃক অ্যালবাম তৈরি করা হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং রাষ্ট্র সংস্কারভিত্তিক ফিচার প্রকাশ করা হবে।
বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমসহ অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকাভিত্তিক সেমিনার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর্ড অবস্থায় থাকা চলচ্চিত্রসমূহ নীতিমালা ও যৌক্তিকতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। চলচ্চিত্র বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি পুনর্গঠন করা হবে।
তথ্য উপদেষ্টা জানান, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আইন ২০১৮-এর কতিপয় ধারা সংশোধন করে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ যুগোপযোগী করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তথ্য কমিশনের বিদ্যমান চাকরির বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য