× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Crying suppressed under the joy of victory
google_news print-icon

বিজয় উল্লাসে চাপা কান্না

বিজয়-উল্লাসে-চাপা-কান্না
ডা. দিগেন্দ্র চন্দ এন্দের পরিবারের সাত জনকে মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় গণকবর দেওয়া হয়। ছবি: নিউজবাংলা
একাত্তরে বিজয়ের দিনে একটি মর্টারের আঘাতে নিহত হন ডা. দিগেন্দ্র চন্দ এন্দসহ তার পরিবারের ৯ সদস্য। কিন্তু শহীদ হিসেবে তাদের কোনো স্বীকৃতি আজও মেলেনি।   

সালটা ১৯৭১। ডিসেম্বরের ১৬। বাঙালির বিজয়ের সকাল।

চারদিক থেকে তখন ভেসে আসছে বিজয়ের বার্তা। লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন বীর যোদ্ধারা। হতোদ্যম

পাকিস্তানিরা প্রস্তুতি নিচ্ছে আত্মসমর্পণের। ৯ মাসের রুদ্ধশ্বাস যুদ্ধ শেষ। সবখানেই বিজয় উল্লাস। নতুন পাওয়া স্বাধীনতার সুখে সবাই বাঁধনহারা।

বিজয়ের এই সকালে বিমান থেকে একটি মর্টার শেল এসে পড়ে সিলেট শহরের মণিপুরী রাজবাড়ী এলাকার একটি বাসায়।

যুদ্ধের সময়ে এক বন্ধুর বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন ডা. দিগেন্দ্র চন্দ এন্দের পরিবার। বিজয়ের খবর শুনতে ঘরের একটি কক্ষে রেডিওকে ঘিরে বসেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। বোমায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যান সবাই। প্রাণ হারান এই পরিবারের ৯ জন।

কোনো বিমান থেকে ফেলা বোমায় শহীদ হন এই ৯ জন, নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই কারো কাছে। তবে অনেকের ধারণা, ভারতীয় মিত্রবাহিনীর বিমান থেকেই পড়েছিল লক্ষভ্রষ্ট মর্টার শেলটি।

শহীদ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও দাবি এমন। পাশের পাকিস্তানি ক্যাম্প লক্ষ্য করে ছোড়া ভারতীয় মিত্র বাহিনীর মর্টার শেলেই ৯ জন প্রাণ হারান বলে মনে করেন তারা।

বিজয় উল্লাসে চাপা কান্না
গণকবরের সামনে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ছবি:নিউজবাংলা

যার বোমাতেই এ বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটে থাকুক, তারা সবাই যুদ্ধের শিকার। তবে এখন পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই এই শহীদদের। কোনো তালিকায়ও নাম নেই তাদের। বিজয় উল্লাসের নিচে চাপা পড়ে যায় এই পরিবারের কান্না। চাপা পড়ে যান শহীদেরা।

এমনকি যে স্থানে সমাহিত করা হয়েছিল এই শহীদদের, সেই স্থানটি সংরক্ষণেরও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই। সমাধিস্থলে এখন গড়ে উঠেছে দোকানপাট।

বিজয় দিবসে বাঙালির সবচেয়ে আনন্দের দিনটি দিগেন্দ্র চন্দ এন্দের পরিবারের সদস্যদের জন্য ব্যক্তিগত বিষাদের। ৫০ বছরেও স্বীকৃতি না পাওয়ার আফসোসেরও।

শহীদ ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দের নাতি প্রতীক এন্দ সিলেটের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। একাত্তরেই জন্ম তার। ডিসেম্বরে বয়স ছিল মাত্র এক মাস। বাবা পার্থ শখা এন্দের মুখে শুনেছেন পারিবারিক সেই ট্র্যাজেডি। পার্থ শাখাও আহত হয়েছিলেন সেদিন।

বাবার মুখে শোনা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রতীক এন্দ জানান, ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ ছিলেন সিলেট পৌরসভার চিকিৎসক। একাত্তরের আগেই তিনি অবসরে চলে যান। তবে যুদ্ধকালীন অনেককে সেবা দিয়েছেন। তিনি পরিবার নিয়ে মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এন্দ বলেন, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরিবারের নারী সদস্যদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পার্শ্ববর্তী মণিপুরী রাজবাড়ী এলাকার একটি বাসায় সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেন। তখন ওই বাসায় থাকতেন দাদার বন্ধু আব্দুর রহমান চৌধুরী।’

বাবার মুখে শোনা ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে প্রতীক এন্দ বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের সকালে সব দিক থেকে বিজয়ের খবর ভেসে আসছে। আমার দাদা ঘরের সবাইকে নিয়ে রেডিওতে এসব খবর শুনছিলেন। সকাল তখন প্রায় ৯টা। এমন সময় বিমান থেকে মর্টার শেলটি এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যান ডা. দিগেন্দ্র চন্দ্র এন্দ, তার স্ত্রী সুরুচি বালা এন্দ এবং আত্মীয় প্রকৌশলী গোপেশ দাস। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান দিগেন্দ্র চন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পুত্র দিব্যেন্দু এন্দ, মেয়ে শিখা এন্দ এবং দিব্যেন্দু এন্দের ছেলে অপু এন্দ।’

আহত অবস্থায় হাসপাতালে থেকে তিন দিন পর মারা যান দিগেন্দ্রের আরেক মেয়ে শিবানী এন্দ ও সাত মাসের শিশুকন্যা পম্পা এন্দ। সাত দিন পর মারা যান দিগেন্দ্রের পুত্রবধূ খনা এন্দ।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক ও শহীদ মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের তালিকা নিয়ে ড. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের সম্পাদনায় ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদ চিকিৎসক জীবনকোষ। এই বইয়ে উল্লেখ রয়েছে ডা. দিগেন্দ্রের জীবনী ও তার পরিবারের আত্মদানের কথা। এ ছাড়া তাজুল মোহাম্মদের লেখা ‘সিলেটে গণহত্যা’ বইয়েও রয়েছে এ কাহিনীর উল্লেখ।

দিগেন্দ্র এন্দের পরিবারের শহীদ সদস্যদের সেদিন হিন্দু রীতিতে সমাহিত করা যায়নি। এমনটি জানিয়ে প্রতীক এন্দ বলেন, ‘তখনও তো যুদ্ধাবস্থা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক। বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে দাহ করার জন্য শ্মশান ঘাটে নিয়ে যাওয়ার সাহস করেনি কেউ। বিজয় দিবসের দিন ও তিন দিন পর মারা যাওয়া সাতজনকে মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় গণকবর দেওয়া হয়। সাত মাসের শিশু শম্পার মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয় পানিতে। শুধু সাত দিন পর মারা যাওয়া খনা এন্দকে দাহ করা হয়েছিল।’

দিগেন্দ্র এন্দ পরিবারের সাত সদস্যকে যেখানে সমাহিত করা হয়, সেটি নগরের নয়াসড়ক এলাকার বিশ্বম্ভর আখড়ার জমি।

সোমবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গণকবরের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই; বরং যে জায়গায় সমাহিত করা হয়েছিল, সেখানে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক স্থাপনা, দোকানপাট।

সমাধিস্থল সংরক্ষণ না করা ও শহীদদের স্বীকৃতি না মেলায় আফসোস জানিয়ে প্রতীক এন্দ বলেন, ‘আমরা আর্থিক সহায়তা চাই না। শুধু স্বীকৃতিটুকু চাই। আমার দাদাকে শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানাই।’

একই দাবি সিলেট মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মনেরও। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর সকালে আমরা ছিলাম বিমানবন্দর এলাকায়। বিকেলে শহরে প্রবেশ করেছি। পরে এই ঘটনা শুনেছি।’

কাদের বিমান থেকে বোমা পড়েছিল, এমন প্রশ্নে ভবতোষ বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর কোনো পাকিস্তানি বিমান উড়তে দেওয়া হয়নি। তার আগেই বিমানবন্দর দখলে নেওয়া হয়েছিল। ফলে মিত্রবাহিনীর বিমান থেকেই মর্টার শেল পড়ার আশঙ্কা বেশি।’

এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘কার গুলিতে মারা গেছেন, এটা বড় প্রশ্ন নয়, তারা সবাই যুদ্ধের শিকার। স্বীকৃতি ও শহীদের মর্যাদা তাদের প্রাপ্য।’

বিজয় উল্লাসে চাপা কান্না
দিগেন্দ্র চন্দ এন্দের পরিবারের সদস্যদের গণকবরটি সংরক্ষণ ও তাদের স্বীকৃতির দাবি জানায় বিভিন্ন সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা

রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেয়নি। গণকবর চিহ্নিত নেই। মানুষজনও ভুলে গেছে। তাদের মৃত্যুর দিনটি স্মরণ করে না কেউ। ব্যতিক্রম শুধু কিছু তরুণ। ছাইভস্ম থেকে তারা খুঁড়ে বের করছেন ইতিহাস। কয়েক বছর ধরে তারা স্মরণ করেছেন এই শহীদদের।

এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন সিলেটের নাগরিক সংগঠক আব্দুল করিম কিম। তিনি যুদ্ধের সময় দিগেন্দ্র এন্দের পরিবারকে আশ্রয় দানকারী আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।

কিম বলেন, ‘বাবার কাছে এই ইতিহাস জানার পর আমরা এই শহীদদের স্মরণের উদ্যোগ নেই। কয়েক বছর ধরে তা নিয়মিতভাবেই করে আসছি। এ রকম একটি স্মরণ অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান উপস্থিত হয়ে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে এরপর সে উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি।’

এ বছরও ১৬ ডিসেম্বর সকালে ‘বিশ্ব সিলেট সম্মিলন আয়োজক কমিটির’ উদ্যোগে ‘লেখা আছে অশ্রুজলে...’ নামে একটি স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গণকবরটি সংরক্ষণের দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন:
বিজয়ের ৫০: কূটনীতিতে ‘বঙ্গবন্ধু পদক’ প্রবর্তন
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে স্টেট ইউনিভার্সিটির আলোচনা সভা
ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হলো আ. লীগের বিজয় শোভাযাত্রা
মহানন্দার বুকে সেরা আবু মাঝির দল
কেমন আছেন শহীদ আজাদের মা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In Pirojpur 5 candidates got a job in the police at Tk 120

পিরোজপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৫ জন প্রার্থী

পিরোজপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৫ জন প্রার্থী

মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পিরোজপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইনস ড্রিল সেডে জেলা পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের, পুলিশ কনস্টবল রিক্রুটমেন্ট-২০২৫ এর ফলাফল ঘোষণা করেন।

এতে পুলিশ কনস্টেবল পদে ১৫ জন চাকরির সুযোগ পেয়েছেন।
এ সময় ফলাফলে নিজেদের নাম শুনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ঘোষিত ও ভবিষ্যৎ পুলিশ কনস্টেবল ও তাদের অভিভাবকরা। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়াই ১২০ টাকায় চাকরি পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নিয়োগপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় টাকা-পয়সা ছাড়া যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

পিরোজপুরে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ১৫ জন প্রার্থী

পিরোজপুর পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা ও কনস্টেবল এর নিয়োগপ্রাপ্ত মো: শিহাব উদ্দিন সিকদার বলেন, চাকরির আশায় প্রথমে অনলাইনে আবেদন করেছি। এরপর মাঠে এসে যাবতীয় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি। শারীরিক, লিখিত, মৌখিক সবগুলো পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি, চাকরিও হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করিনি। আমার কাছে এ চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
মোঃ শিহাব উদ্দিনের আম্মা বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে আমার ছেলের চাকরি হয়েছে। কোনো ধরনের ঘুষ, সুপারিশ কিছুই লাগেনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) খান মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, নিয়োগপ্রাপ্তরা শতভাগ স্বচ্ছতা, দুর্নীতিমুক্ত ও ঘুষমুক্ত পরিবেশে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সব মিলিয়ে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি।

এ সময় টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সম্মানিত সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বরগুনা সদর সার্কেল মোঃ আবদুল হালিম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল(গৌরনদী সার্কেল)মোসাঃ শারমিন সুলতানা রাখী সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলা থেকে সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ

নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলা থেকে সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপজেলা ভোলায় বুধবার মধ্যরাত থেকে বওয়া ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির প্রভাবে ভোলা থেকে ঢাকা সহ অভ্যন্তরীন রুটের সকল যাত্রীবাহী লঞ্চ ও ফেরী চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন বিআইডব্লিউটিসি।

ভোলা নদী বন্দর সূত্রে জানা যায়, সাগরে নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রবন্দর এলাকায় ৩ নম্বর বিপদসংকেত দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় চরফ্যাশন বেতুয়া-ঢাকা, ভোলা-লক্ষ্মীপুর, ভোলা-আলেকজান্ডার, ভোলা-তজুমদ্দিন-মনপুরা, হাতিয়া মনপুরাসহ সকল রুটের নৌযান চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

নিম্নচাপের প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় বুধবার রাত থেকে ভোলার ইলিশা থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরী ঘাট ও ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বরিশালের লাহার হাট ঘাটে কোনো ফেরি চলাচল করেনি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ দুইটি রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভোলার সব রুটে নৌযান ও ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে গিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে অনেককে। এতে করে বেশি বিপাকে পড়েছে অসুস্থ রোগী ও তাদের স্বজনদের।

মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল থাকায় মাছ ধরার কোনো নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের নদীতে যেতে দেখা যায়নি। জেলে ও নৌকার মাঝিদের মাছঘাটে বসে লুডু খেলে ও পরিবারের সাথে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে দূর্যোগপূর্ন আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় ভোলায় সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সাথে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি আবার কখনো ভাড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জোয়ারে স্বাভাবিক পানির চেয়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে আলিমুদ্দিন বাংলাবাজার, হাকিমুদ্দিন, খাঁসমহল, কাজীরহাট এলাকায় জোয়ারের পানিতে কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভোলার ২৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে জোয়ারের পানিতে ভোলার তজুমদ্দিনের নির্মাণাধীন রিং বেড়িবাঁধ কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে রাতে ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে সেটি সংস্কার করা হয়েছে। এখন মোটামুটি ঝুঁকিমুক্ত রয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The young man lost control of the motorcycle

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণ গেল যুবকের প্রতীকী ছবি।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফ মন্ডল (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবক দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুর্শিদ মন্ডলের ছেলে।

নিহতের পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, আরিফ মন্ডল আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুতগতিতে কুষ্টিয়ার যাওয়ার পথে ডাংমড়কা এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত আরিফ মন্ডলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. হোসেন ইমাম জানান, দূর্ঘটনায় আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা জানান, মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজন মোটরসাইকেল চালক গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা যায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Warning signal at the port of rain at the shore of the shore

লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারী বৃষ্টি হচ্ছে।

লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ খবর জানানো হয়েছে।

সতর্কবার্তায় বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের কারণে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, লঘুচাপের কারণে আজ (বুধবার) ভোর থেকে পটুয়াখালিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউএনবির পটুয়াখালীর প্রতিনিধি।

তিনি আরও জানান, পটুয়াখালীর আকাশ আজ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ না বাড়লেও অমাবশ্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ‍উত্তাল হয়েছে উঠেছে।

তাছাড়া, ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে অন্তত পাঁচ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানায়, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চলসহ বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।

এর ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আজ (বুধবার) সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমার আভাস দেওয়া হয়েছে।

পরের তিন দিন একই ধরনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে জানানো হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

দ্বিতীয় দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে পরের দুদিন প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এছাড়াও পঞ্চম দিন রবিবারও বৃষ্টিপাতের পর এই প্রবণতা কমে ফের গরম বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
News of the Environmental Advisor to Sherpur is not right

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলার খবরটি সঠিক নয়

শেরপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি বহরে হামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সঠিক নয়।

সোমবার (২৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শেরপুরে পরিবেশ উপদেষ্টার গাড়ি বহরে হামলা বিষয়ে কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই খবরটি বিভ্রান্তিকর ও এটি সত্যনির্ভর নয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘উপদেষ্টা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শেরপুরের নালিতাবাড়ীর দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরে মধুটিলা রেঞ্জে দীর্ঘমেয়াদি বাগান এলাকা পরিদর্শনের উদ্দেশে রওনা হন।

‘পরবর্তীতে তিনি মধুটিলাতে একটি জনসভা করেন। সেখানে তিনি হাতির আক্রমণে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেন এবং হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব ও প্রাকৃতিক বন রক্ষার বিষয়ে মতবিনিময় করেন, যা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল।’

এসব অনুষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানানো হয়েছে। ‘এরপরে একটি স্থানে কয়েকজন সাংবাদিক ও কতিপয় ব্যক্তির মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।’

তবে, এটি উপদেষ্টার সফরের সম্পর্কিত নয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kishoreganj Journalist Forum Dhaka took charge of the new committee

কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ছবি: সংগৃহীত

আজ রবিবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিক ফোরাম-ঢাকা’র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সাবেক কমিটির সভাপতি রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টু নব নির্বাচিত সভাপতি এরফানুল হক নাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার মহাসচিব উদয় হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম আঙ্গুর, সংগঠনের সাবেক সভাপতি এরশাদ উদ্দিন, নবনির্বাচিত কমিটির সিনিয়র সভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম, যুগ্ম সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ এনায়েত উল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক যোবায়ের আহসান জাবের, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসূল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম শাহীন আরিফিন, কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাছান, মুশতাক আহমেদ লিটন, জহুরুল আলম জাবেদ।

দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে নবনির্বাচিত সভাপতির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কিরণের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি ঢাকার মহাসচিব উদয় হাকিম, সিনিয়র সাংবাদিক আজিজুল হক এরশাদ, সিনিয়র সহসভাপতি হামিদ মোহাম্মদ জসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম শাহজাহান, শফিকুল ইসলাম সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসাইন, নির্বাহী সদস্য জহুরুল আলম জাবেদ, জনকল্যাণ সম্পাদক গোলাম রসুল ভূইয়া, মুস্তাক আহমেদ লিটন, আবুল হাছান প্রমুখ।

বক্তারা সংগঠন কে অগ্রসর করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। সংগঠনের প্রয়াত নেতৃবৃন্দকে স্মরণ করা হয় এবং যারা অসুস্থ আছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়। বক্তারা বেকার সদস্যদের চাকুরির ব্যবস্থা করা, সদস্যদের যে কোনো সমস্যায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, জনকল্যাণ ফান্ড কে শক্তিশালী করাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য গত ১৭ মে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এ কমিটি ষোষণা করা হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
May rain all four days across the country

সারা দেশে চার দিন বৃষ্টি হতে পারে

সারা দেশে চার দিন বৃষ্টি হতে পারে ছবি: সংগৃহীত

আগামী চার দিন সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া ২৭ মে পশ্চিম-মধ্য এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পাবে।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং রংপুর বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

আর আগামী বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো কিংবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা (১-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

মন্তব্য

p
উপরে