আবারও বড় পতন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। টানা পতনের পর গত সপ্তাহের বুধবার সূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়ার পর রোববার আবারও সেই পতনে পুঁজিবাজার। সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট।
গত বৃহস্পতিবার মহান বিজয় দিবসের সরকারি ছুটি ছিল। তার আগের দিন বুধবার সূচক বেড়েছিল। যদিও গত সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় পতনেই ছিল সূচক।
বুধবার সূচক বাড়ার পর বিনিয়োগাকরীদের প্রত্যাশা ছিল চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ভালো যাবে পুঁজিবাজার। লেনদেনের শুরুর প্রথম কয়েক মিনিট সেই ধারাতেই ছিল সূচক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চাপে উত্থানের পতন শুরু হয়।
বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে সূচকের সেই পতন আর উত্থানে ফেরেনি। ফলে দিন শেষে মাত্র ৮৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। কমেছে ২৬৬টি কোম্পানির।
এর আগের বড় পতনের পরিসংখ্যান বলছে ৭ নভেম্বর সূচক পড়েছে ৫১ পয়েন্ট। ১২ নভেম্বর কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। ১৪ নভেম্বর কমেছে ৬৫ পয়েন্ট। ২১ নভেম্বর ৬ পয়েন্ট কমলেও ২৮ নভেম্বর কমেছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনেও ভাটার টান দেখা গেছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন আট মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এলেও রোববার তা আরও কমেছে। এদিন লেনদেন হয়েছে ৭৮৬ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৮০৭ কোটি টাকা। রোববার যে লেনদেন হয়েছে তা গত ১০ ফেব্রুয়ারির সমান। সেদিনও লেনদেন হয়েছে ৭৮৬ কোটি টাকা।
এদিন সূচকের পতনে ব্যাংক, বস্ত্র, প্রকৌশলের মতো প্রধান খাতগুলোয় ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ফলে সূচকে এর প্রভাব পড়েছে।
সূচক পতনে এদিন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি), যার ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ ছাড়া টেলিকম খাত রবির শেয়ারদর ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, লাফার্জ হোলসিম, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মাসহ আটটি কোম্পানির শেয়ারের দর পতনে সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর খবরে এদিনও ৪ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ছয়টি কোম্পানির। এর মধ্যে সোনালী পেপারের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
এ ছাড়া জিলবাংলা সুগার, সাভার রিফ্যাক্টরিস, পেপার প্রসেসিং কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
এদিন দিনের সর্বোচ্চ দর বেড়েছে বিমা খাতের ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর বুধবার কমলেও তার আগে দুই কর্মদিবস বেড়েছিল। রোববার দিনের সর্বোচ্চ দরে এসে ১০৮ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ১১৮ টাকা ৮০ পয়সায়। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৭ রাখ ৮৩ হাজার ৯৫৫টি।
দর বৃদ্ধিতে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সসহ পর পর তিনটি কোম্পানি ছিল বিমা খাতের। এ ছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ।
৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া আরও দুটি কোম্পানি ছিল, যার একটি বিবিধ খাতের খান ব্রাদার পিপি ওভেন কোম্পানি। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ আর প্রকৌশল খাতের সুহিৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ।
দর বৃদ্ধিতে ছিল সোনালী পেপার, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৪৯ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ লরাখ ৬ হাজার ১৯টি।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.২৫ শতাংশ। প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৯৫ শতাংশ।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার দর ৩ হাজার ১৮০ টাকা থেকে ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৯ টাকা ২০ পয়সা। এ ছাড়া, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৮৪ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতনের থাকা এসএস স্টিলের শেয়ার দর কমেছে ৮.৪১ শতাংশ। শেয়ার দর ২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, হাতবদল হয়েছে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১টি শেয়ার।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার দর কমেছে ৮.২২ শতাংশ। শেয়ার দর ১৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এরামিট সিমেন্টের শেয়ার দর কমেছে ৬.৯৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ৪৯ লাখ ২২ হাজার টাকা। ফরচুন সুজের শেয়ার দর কমেছে ৬.৫৩ শতাংশ।
বীচ হ্যাচারির শেয়ার দর কমেছে ৬.১৭ শতাংশ। আজিজ পাইপের শেয়ার দর কমেছে ৫.৯৯ শতাংশ। গত চার কার্মদিবস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে আজিজ পাইপের শেয়ার দর। গত দশ কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির ছয়দিন শেয়ার দর বেড়েছে।
এছাড়া, মেঘনা পেটের শেয়ার দর গত কর্মদিবসে বাড়লেও রোববার কমেছে ৫.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২০ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৪ হাজার ৯০০টি।
এপেক্সফুডের শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৩ শতাংশ। সোনালী পেপারের শেয়ারে দর কমেছে ৫.৪৮ শতাংশ। এপেক্স স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩৭ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা লেনদেন হাতবদল হয়েছে ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ২০৯টি শেয়ার। এছাড়া ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ৬৪টি। ব্যাংকটির শেয়ার দর গত সাত কর্মদিবস ধরে কমছে।
সোনালী পেপারের লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩০ লাখ ৬ হাজার ১৯টি। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ। গত ৫ কর্মদিবস ধরে কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে।
ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৩টি।
একটিভ ফাইনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৯টি।
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ রাখ ৯৬ হাজার ৮১১টি।
এছাড়া ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের ১৫ কোটি ৬ লাখ, বিএটিবিসি’র ১৪ কোটি ৯৪ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭ লাখ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য