আবারও বড় পতন হয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। টানা পতনের পর গত সপ্তাহের বুধবার সূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়ার পর রোববার আবারও সেই পতনে পুঁজিবাজার। সূচক কমেছে ৮৪ পয়েন্ট।
গত বৃহস্পতিবার মহান বিজয় দিবসের সরকারি ছুটি ছিল। তার আগের দিন বুধবার সূচক বেড়েছিল। যদিও গত সপ্তাহের বেশির ভাগ সময় পতনেই ছিল সূচক।
বুধবার সূচক বাড়ার পর বিনিয়োগাকরীদের প্রত্যাশা ছিল চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন ভালো যাবে পুঁজিবাজার। লেনদেনের শুরুর প্রথম কয়েক মিনিট সেই ধারাতেই ছিল সূচক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চাপে উত্থানের পতন শুরু হয়।
বেলা ১১টা ২০ মিনিট থেকে সূচকের সেই পতন আর উত্থানে ফেরেনি। ফলে দিন শেষে মাত্র ৮৭টি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। কমেছে ২৬৬টি কোম্পানির।
এর আগের বড় পতনের পরিসংখ্যান বলছে ৭ নভেম্বর সূচক পড়েছে ৫১ পয়েন্ট। ১২ নভেম্বর কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। ১৪ নভেম্বর কমেছে ৬৫ পয়েন্ট। ২১ নভেম্বর ৬ পয়েন্ট কমলেও ২৮ নভেম্বর কমেছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনেও ভাটার টান দেখা গেছে। আগের কর্মদিবসে লেনদেন আট মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এলেও রোববার তা আরও কমেছে। এদিন লেনদেন হয়েছে ৭৮৬ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহের বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৮০৭ কোটি টাকা। রোববার যে লেনদেন হয়েছে তা গত ১০ ফেব্রুয়ারির সমান। সেদিনও লেনদেন হয়েছে ৭৮৬ কোটি টাকা।
এদিন সূচকের পতনে ব্যাংক, বস্ত্র, প্রকৌশলের মতো প্রধান খাতগুলোয় ব্যাপক দরপতন হয়েছে। ফলে সূচকে এর প্রভাব পড়েছে।
সূচক পতনে এদিন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি), যার ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ারের দরপতনে সূচক কমেছে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এ ছাড়া টেলিকম খাত রবির শেয়ারদর ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, লাফার্জ হোলসিম, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মাসহ আটটি কোম্পানির শেয়ারের দর পতনে সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
পুঁজিবাজারে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর খবরে এদিনও ৪ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ছয়টি কোম্পানির। এর মধ্যে সোনালী পেপারের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। রেনউইক যজ্ঞেশ্বরের শেয়ারদর বেড়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের শেয়ারদর বেড়েছে ৫ শতাংশ।
এ ছাড়া জিলবাংলা সুগার, সাভার রিফ্যাক্টরিস, পেপার প্রসেসিং কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
এদিন দিনের সর্বোচ্চ দর বেড়েছে বিমা খাতের ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর বুধবার কমলেও তার আগে দুই কর্মদিবস বেড়েছিল। রোববার দিনের সর্বোচ্চ দরে এসে ১০৮ টাকার শেয়ার পৌঁছেছে ১১৮ টাকা ৮০ পয়সায়। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। আর শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৭ রাখ ৮৩ হাজার ৯৫৫টি।
দর বৃদ্ধিতে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সসহ পর পর তিনটি কোম্পানি ছিল বিমা খাতের। এ ছাড়া এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৬ শতাংশ। আর বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৫ শতাংশ।
৯ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া আরও দুটি কোম্পানি ছিল, যার একটি বিবিধ খাতের খান ব্রাদার পিপি ওভেন কোম্পানি। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৫২ শতাংশ আর প্রকৌশল খাতের সুহিৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৩০ শতাংশ।
দর বৃদ্ধিতে ছিল সোনালী পেপার, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৪৯ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ লরাখ ৬ হাজার ১৯টি।
রেনউইক যজ্ঞেশ্বর কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৬.২৫ শতাংশ। প্রভাতি ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৯৫ শতাংশ।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের শেয়ার দর ৩ হাজার ১৮০ টাকা থেকে ৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩৩৯ টাকা ২০ পয়সা। এ ছাড়া, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৮৪ শতাংশ।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পতনের থাকা এসএস স্টিলের শেয়ার দর কমেছে ৮.৪১ শতাংশ। শেয়ার দর ২১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, হাতবদল হয়েছে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১টি শেয়ার।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার দর কমেছে ৮.২২ শতাংশ। শেয়ার দর ১৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এরামিট সিমেন্টের শেয়ার দর কমেছে ৬.৯৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ৪৯ লাখ ২২ হাজার টাকা। ফরচুন সুজের শেয়ার দর কমেছে ৬.৫৩ শতাংশ।
বীচ হ্যাচারির শেয়ার দর কমেছে ৬.১৭ শতাংশ। আজিজ পাইপের শেয়ার দর কমেছে ৫.৯৯ শতাংশ। গত চার কার্মদিবস ধরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে আজিজ পাইপের শেয়ার দর। গত দশ কর্মদিবসের মধ্যে কোম্পানিটির ছয়দিন শেয়ার দর বেড়েছে।
এছাড়া, মেঘনা পেটের শেয়ার দর গত কর্মদিবসে বাড়লেও রোববার কমেছে ৫.৯৬ শতাংশ। শেয়ার দর ২১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২০ টাকা ৫০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৪ হাজার ৯০০টি।
এপেক্সফুডের শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৩ শতাংশ। সোনালী পেপারের শেয়ারে দর কমেছে ৫.৪৮ শতাংশ। এপেক্স স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ৫.৩৭ শতাংশ।
লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি
এদিন লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার ৭৩ কোটি ৩ লাখ টাকা লেনদেন হাতবদল হয়েছে ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ২০৯টি শেয়ার। এছাড়া ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ৬৪টি। ব্যাংকটির শেয়ার দর গত সাত কর্মদিবস ধরে কমছে।
সোনালী পেপারের লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩০ লাখ ৬ হাজার ১৯টি। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ। গত ৫ কর্মদিবস ধরে কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে।
ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৬৩টি।
একটিভ ফাইনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫৮ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৯টি।
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৮ রাখ ৯৬ হাজার ৮১১টি।
এছাড়া ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের ১৫ কোটি ৬ লাখ, বিএটিবিসি’র ১৪ কোটি ৯৪ লাখ, জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭ লাখ, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য