× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The President called for speeding up the judiciary
google_news print-icon

বিচারকাজে গতি আনার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বিচারকাজে-গতি-আনার-আহ্বান-রাষ্ট্রপতির
সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে শনিবার আয়োজিত আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিচারকদের খেয়াল রাখতে হবে মামলার রায় হওয়ার পর রায়ের কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করতে না হয়।’

মামলার জট কমাতে এবং বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত সেবা দিতে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ব্যবহার করে মামলা ব্যবস্থাপনায় গতি আনার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। একই সঙ্গে রায়ের কপি পেতে বিচারপ্রার্থীদের যেন কষ্ট না হয়, সে বিষয়েও বিচারকদের খেয়াল রাখতে বলেছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘বিচারকাজ একটা জটিল বিষয়। তার পরও আমি বলব মামলার পরিমাণ দিন দিন যে হারে বাড়ছে, সেটাকে আয়ত্তের মধ্যে আনতে হলে বিচারকদের আরও বেশি কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এবং বিচারকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বিচারকদের খেয়াল রাখতে হবে মামলার রায় হওয়ার পর রায়ের কপি পাওয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীদের যেন আদালতের বারান্দায় ঘোরাঘুরি করতে না হয়।’

শনিবার সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সন্ধ্যায় বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি।

বিচারকাজে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশের বিচার বিভাগ সচল রাখতে সরকার গত বছরের ৯ মে আদালতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ জারি করে, যা পরে আইনে পরিণত হয়।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘করোনার সময় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা বিচারপ্রার্থী জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।’

বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘দেশের সব আদালতের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে বিচার কার্যক্রমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে অনলাইন কজলিস্ট চালু হয়েছে। অনলাইন বেল কনফার্মেশন ব্যবস্থাও কার্যকরভাবে চলছে।’

মামলা করা থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত আদালতের বিচারিক কাজের ডিজিটাল সংরক্ষণেরও তাগিদ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু ‘কোর্ট অফ রেকর্ড’, সেহেতু এর সব নথিকে ডিজিটাল নথিতে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মামলা করা থেকে রায় ঘোষণা পর্যন্ত সব কার্যক্রমকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করাও জরুরি।’

বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতির পিতা সংবিধানে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতগুলো নিজ নিজ এখতিয়ার ও সীমার মধ্যে স্বাধীনভাবে আইন অনুসারে বিচারকাজ পরিচালনা করবে।

‘বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ নিশ্চিত হয়, যখন ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তার যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মানুষের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প সময়ে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তি ও সংকটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

আলোচনা সভায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বিচার পাওয়ার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই আমাদের সংবিধানের মূল লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘শক্ত আইনি কাঠামো থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের নারীরা নানাভাবে বিচারবঞ্চিত। তারা যাতে পিছিয়ে না থাকেন, তাদের বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সংবেদনশীল হতে হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক মানুষ, অসচ্ছল মানুষকে আইনি সহায়তা দিতে এগিয়ে আসতে হবে।’

করোনা মহামারিতে মারা যাওয়া বিচারক ও আইনজীবীদের স্মরণ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এই করোনার সময়ে আমাদের অনেক বিজ্ঞ আইনজীবী ও বিচারককে হারিয়েছি। ১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু নিজে সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধন করেন। সেই সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের যাত্রা শুরু হয়। এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

‘বঙ্গবন্ধু তার সূদুরপ্রসারী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, কিছু বিপথগামী লোক তার সেই অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়। এরপর মানুষের বিচার পাওয়ার পথকে রুদ্ধ করে দেয়। বিচার যাতে না হয় সে জন্য দায়মুক্তির আইন পাস করা হয়। দীর্ঘ সময় পরে হলেও বিচার বিভাগ আজ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচারক সংকট কাটাতে আরও বিচারক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট দিবস উদযাপনসংক্রান্ত জাজেস কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্ট দিবস আজ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মামলা ৯০ দিনে শেষ করার নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ৯ বিচারপতির শপথ
সুপ্রিম কোর্টের সেপ্টেম্বরের অবকাশ ছুটি বাতিল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Advise to buy tickets from app or counter to avoid fraud in the Eid train

ঈদে ট্রেনযাত্রায় প্রতারণা এড়াতে অ্যাপ বা কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ

ঈদে ট্রেনযাত্রায় প্রতারণা এড়াতে অ্যাপ বা কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ প্রতীকী ছবি
বিপুল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিকিট কালোবাজারি করতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন আইডি থেকে কেনা টিকিট বেআইনিভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে। এতে যাত্রী সাধারণের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনযাত্রায় যাত্রী হয়রানি ও প্রতারণা এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা সরাসরি কাউন্টার থেকে যাত্রীদের টিকিট কেনার পরামর্শ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

গত ১৪ মার্চ থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

বিপুল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিকিট কালোবাজারি করতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন আইডি থেকে কেনা টিকিট বেআইনিভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে। এতে যাত্রী সাধারণের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) ব্যবহার করে কিংবা সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঈদযাত্রায় (২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত) একটি আইডি থেকে সর্বোচ্চ একবার চারটি টিকেট কেনা যাবে। এ ক্ষেত্রে আইডিধারী ব্যক্তির সহযাত্রীদের নামও ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনুরূপভাবে ফেরত যাত্রার ক্ষেত্রেও (৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত) একটি আইডি থেকে সর্বোচ্চ একবার চারটি টিকিট কেনা যাবে।

ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) এবং নির্ধারিত কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোথাও ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না।

কোনো যাত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) এবং নির্ধারিত কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থান থেকে টিকিট কিনলে তিনি নিশ্চিতভাবে প্রতারিত হবেন।

আরও পড়ুন:
১০ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ চালু
চ্যালেঞ্জ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে ট্রেনচালকের আসনে ফরিদা
বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার, চলবে ১৪ বিশেষ ট্রেন
ট্রেন বন্ধে বাস ভাড়া বাড়ল দ্বিগুণের বেশি
ট্রেনের বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh has shown extraordinary generosity with the Rohingya shelter UN Secretary General

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ছবি: বাসস
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বজুড়ে অনেক সীমান্তই বন্ধ। আপনারা যে অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা অনুসরণ করা উচিত।’

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই অসাধারণ।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শনিবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘপ্রধানের সম্মানে আয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার ইফতার পার্টিতে তিনি এ কথা বলেন।

কক্সবাজার এবং এর আশেপাশের এলাকায় সমাজ, অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর নাটকীয় প্রভাব সত্ত্বেও ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এ অসাধারণ উদারতার জন্য গুতেরেস বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত বিশ্বজুড়ে অনেক সীমান্তই বন্ধ। আপনারা যে অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা অনুসরণ করা উচিত।’

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা যে আতিথেয়তার সুবিধা পাচ্ছেন, তাদের জীবনে এর কোনো বিকল্প ছিল না।

বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে গুতেরেস বলেন, ‘এটি দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম নিখুঁত গণতন্ত্রে পরিণত করতে সাহায্য করবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনাদের আশীর্বাদ আমাদের প্রয়োজন। বিশেষ করে একটি বিষয় মোকাবিলা করতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তা হলো ভুয়া তথ্য, যা আমাদের হত্যা করছে।’

জাতিসংঘপ্রধানের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ সফর জাতির জন্য আনন্দ বয়ে এনেছে। আমরা রমজানের মাঝামাঝি সময় পার করছি।

‘কিন্তু আপনার সফরের কারণে এবার ঈদের আনন্দ আগেই বিরাজ করছে। আপনি আপনার সফর দিয়ে আমাদের ঈদ আনন্দের সূচনা করেছেন।’

আরও পড়ুন:
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব
ঢাকায় ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন সংস্থাটির মহাসচিবের
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত গুতেরেসের
বাংলাদেশ সফরে যেসব কার্যক্রমে অংশ নেবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
রোহিঙ্গাদের খাবারের জন্য বরাদ্দ অর্ধেকের বেশি কমাচ্ছে জাতিসংঘ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Murder Twenty five death sentences and five life imprisonment

আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল

আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবনের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আপিল বেঞ্চ রবিবার এ রায় দেন।

এর আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হয়।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় আসে, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমি কারাগার থেকে পালিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর গত ৬ আগস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান।

আবরার ছিলেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

মামলার আসামিদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে আটজন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ভয়ংকর বিবরণ উঠে আসে তাদের জবানবন্দিতে।

আরও পড়ুন:
ট্রাম্পের গলফ রিসোর্টে হামলা
খাগড়াছড়িতে মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে আটক
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ এপ্রিল
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The UN Secretary General left Dhaka after a four day visit

ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘের মহাসচিব হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রবিবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে বিদায় জানান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
সফরকালে জাতিসংঘের মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ইফতারে অংশ নেন।

বাংলাদেশে চার দিনের সফর শেষে আজ রোববার সকাল ৯:৫৫ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

ঢাকা ত্যাগের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানান প্রধান উপদেষ্টার পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।

সফরকালে, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তিনি প্রধান উপদেষ্টার সাথে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন এবং প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে রমজানের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইফতারে অংশ নেন।

এছাড়া চার দিনের সফরে আন্তোনিও গুতেরেস জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশের তরুণ সম্প্রদায় এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সিরিয়ার পুনর্গঠনে বিশ্বকে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জাতিসংঘের
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাব পাস
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
ঢাকায় অফিস খুলবে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Guterres inaugurate the UN House in Dhaka

ঢাকায় ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন সংস্থাটির মহাসচিবের

ঢাকায় ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন সংস্থাটির মহাসচিবের ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ছবি: ইউএনবি
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা জানায়, বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন গুতেরেস।

রাজধানীর গুলশানে শনিবার ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

সকালে এ উদ্বোধন শেষে ভবনটি পরিদর্শন করেন মহাসচিব।

প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা জানায়, বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন গুতেরেস।

তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। পরে তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন গুতেরেস।

এ বৈঠক শেষে তরুণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। রবিবার সকালে ঢাকা ছাড়বেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস।

আরও পড়ুন:
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে প্রস্তাব পাস
চিন্ময়ের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
ঢাকায় অফিস খুলবে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন
দুই দিনের সফরে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান
জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান ভলকার তুর্ক ঢাকায় আসছেন মঙ্গলবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Guterres recycled UN support for Bangladesh on the Rohingya issue

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত গুতেরেসের

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত গুতেরেসের রাজধানীর গুলশানে শনিবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: পিআইডি
জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, তারা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

রাজধানীর গুলশানে শনিবার সকালে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ আশ্বাস দেন।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, তারা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন।

গুতেরেস আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করতে গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনে যান।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন।

গুতেরেস এবং শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যৌথভাবে গুলশানে ‘ইউএন হাউস ইন বাংলাদেশ’ উদ্বোধন করেন।

ওই সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

আরও পড়ুন:
রোহিঙ্গা সংকট: জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরকালে জরুরি পদক্ষেপ চায় একশনএইড
বাংলাদেশ সফরে যেসব কার্যক্রমে অংশ নেবেন জাতিসংঘের মহাসচিব
রোহিঙ্গাদের খাবারের জন্য বরাদ্দ অর্ধেকের বেশি কমাচ্ছে জাতিসংঘ
জাতিসংঘের সুপারিশের বিষয়ে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে দুজনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Abrar Fahad Kill High Court verdict Sunday

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ। ফাইল ছবি
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে রবিবার।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ করে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, খন্দকার বাহার রুমি, নূর মুহাম্মদ আজমী ও রাসেল আহম্মেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জব্বার জুয়েল, লাবনী আক্তার, তানভীর প্রধান ও সুমাইয়া বিনতে আজিজ।

আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে শনিবার দেখা যায়, এটি রায়ের জন্য রবিবারের কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের পানিবণ্টন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করে সংগঠনটির ক্যাডাররা। পরে রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ। মাত্র ৩৭ দিনে তদন্ত শেষ করে একই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় আরও পাঁচ শিক্ষার্থীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান রাসেল (২৪), মো. অনিক সরকার ওরফে অপু (২২), মেহেদী হাসান রবিন ওরফে শান্ত (২৩), ইফতি মোশাররফ সকাল (২০), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১), মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (২৩), মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ (২০), মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ (২১), খন্দকার তাবাকারুল ইসলাম ওরফে তানভির (২১), হোসেন মোহাম্মদ তোহা (২১), মো. শামীম বিল্লাহ (২১), এ এস এম নাজমুস সাদাত (২১), মুনতাসির আল জেমী (২০), মো. মিজানুর রহমান মিজান (২২), এস এম মাহমুদ সেতু (২৪), সামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২০), এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০), যিনি পলাতক, মোহাম্মদ মোর্শেদ উজ্জামান মণ্ডল প্রকাশ জিসান (২২), যিনি পলাতক এবং মুজতবা রাফিদ (২১), যিনি পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন অমিত সাহা (২১), ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (২১), মো. আকাশ হোসেন (২১), মুহতাসিম ফুয়াদ (২৩) ও মো. মোয়াজ ওরফে মোয়াজ আবু হোরায়রা (২১)।

বিচারিক আদালতের রায় খতিয়ে দেখতে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি মামলার নথি হাইকোর্টে পৌঁছায়।

ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। এটাকেই ডেথ রেফারেন্স বলা হয়।

পরে কারাবন্দি আসামিরা জেল আপিল করেন। পাশাপাশি অনেকে ফৌজদারি আপিলও করেন।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।

আরও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে মা-বাবাকে কুপিয়ে জখম, ছেলে আটক
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের যোগদানে বাধা নেই
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ এপ্রিল
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত ইসরায়েল
ইচ্ছা ছিল বিচারক হওয়ার, বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে

মন্তব্য

p
উপরে