× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Naeems robot will inform Bangabandhu Bangladesh
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে জানাবে নাঈমের রোবট

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে-জানাবে-নাঈমের-রোবট
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র শেখ নাঈম হাসান মুন ও তার দলের বানানো রোবট। ছবি: নিউজবাংলা
রোবটের প্রধান নির্মাতা নাঈম বলেন, ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের সভা-সেমিনারগুলোতে অনেক সময় বক্তার কথায় মনোযোগ থাকে না শ্রোতাদের। বক্তা রোবট হলে কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই আগ্রহ বাড়বে। আর এটি চিন্তা করেই হিউম্যানয়েড রোবট বানিয়েছি আমরা।’

‘আসসালামু আলাইকুম। সবাইরে বিজয় দিবসের শুভেসসা। আমি মানিক, মানিক মিয়া; আসতাছি বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লইয়া মাইনষেরে জানাইতে। মা হাসুরে...আমি তোর মানিক চাচারে…তোর আব্বাজানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আমি আমার বন্ধুর গপ্পো সবাইরে কইতে আসতেছিরে মা। তোর লগেও দ্যাহা করুমনে।’

চেয়ারে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশবাসীর উদ্দেশে কথাগুলো বলছিলেন ঘন গোঁফওয়ালা, চশমা পরা বয়স্ক এক ব্যক্তি। কাঁচা-পাকা চুলওয়ালা ব্যক্তির পরনে সবুজ চেকের পাঞ্জাবি। তার গলায় ঝোলানো মাফলার।

শুরুতে দেখে মনে হতে পারে, ওই ব্যক্তি কোনো পাপেট শোর চরিত্র, কিন্তু আদতে তা নয়। এ মানিক মিয়া গল্পকথক এক রোবট, যার প্রধান নির্মাতা শেখ নাঈম হাসান মুন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রুপ্রেনিয়রশিপ বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র নাঈম। তার ধ্যান-জ্ঞান রোবোটিকস। ‘মানিক মিয়া’সহ এ পর্যন্ত ৩০টি রোবট বানিয়েছেন যশোরের এ তরুণ; পেয়েছেন পুরস্কারও।

সবশেষ রোবটটি নির্মাণ নিয়ে নাঈমের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। সে আলাপে উঠে এসেছে উদ্ভাবনের আদ্যোপান্ত।

ধারণা এলো কীভাবে

২০১৯ সালের আগস্টে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। সেই অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের একজন ছিলাম আমি। ‘গ্যারি’ নামের একটি রোবটের জন্য অ্যাওয়ার্ডটি পাই। এটি মূলত নেটওয়ার্কিং রোবট, যেটা সাইবার সিকিউরিট দেয়। তো সেই সময়ে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে কে, কোন ধরনের ইনোভেশন করবে, তার একটা আলোচনা চলছিল। আমার মাথায় তখন কমপ্লিট একটু কিছু করার প্ল্যান আসল। অর্থাৎ এমন কিছু একটা করা, যেটা হবে কমপ্লিট প্যাকেজ। এতে একসঙ্গে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলার ইতিহাস জানা যাবে। আর সেই থেকেই কাজটা শুরু করি।

দলে ভাঙা-গড়া

এ রোবটটা বানাতে গিয়ে আমি রিসার্চে অনেক টাইম দিয়েছি। আমার টিম ব্যাপক ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে গেছে। চারবার টিম ভেঙেছে। কারণ টিম মেম্বারদের সবার সমান ডেডিকেশন ছিল না। আমার তখন বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের দুটি অংশ মাথায় আসছিল। সেগুলো হলো ‘আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না’, ‘যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ো।’ এই ইন্সপিরেশন নিয়ে প্রজেক্ট থেকে না সরে এগিয়ে গেছি। ফাইনালি চারজনের দল নিয়ে এটা বানাতে পেরেছি। এ দলে আমার সঙ্গে আছে আর এন বাধন, মনিরুজ্জামান হৃদয় ও নাঈমুল ইসলাম অরণ্য।

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে জানাবে নাঈমের রোবট

নির্মাণের সময়

আমার প্রথম টার্গেট ছিল মুজিববর্ষ শুরুর দিন ২০২০ সালের ১৭ মার্চ রোবটটা লঞ্চ করা, কিন্তু সে সময় আমার পর্যাপ্ত ফান্ডিং ছিল না। এ কারণে কাজটা পিছিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে টার্গেট ধরলাম ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তখন ফেইল করলাম অন্য একটা কারণে। আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে একটা দোটানা ছিল। অক্টোবরে জানতে পারলাম আমাদের অটোপাস দেয়া হয়েছে। এর পরে দুই মাস সময়ে এ কাজ কমপ্লিট করা সম্ভব ছিল না। তাই রোবটটা বানাতে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করলাম। এবার আমি একটু নীরবে কাজ করতে থাকি। এ বছরের জুলাইয়ের শেষের দিকে এসে আমি টিম নিয়ে কাজ শুরু করি। তখনই আসলে হিউম্যানয়েড রোবট নিয়ে কাজ করার বিষয়টা জানাজানি হলো। আমার টিমমেটরা হার্ডওয়ার্ক করেছে। তাদের কারণে এই ১৬ ডিসেম্বরে বেটা ভার্সনটা রিলিজ করতে পেরেছি।

টাকার জোগান কীভাবে

রোবটটার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ফাইনাল প্রোডাক্ট মিলিয়ে মোট খরচ ৯ লাখ টাকার কাছাকাছি। আমার নিজের একটা আইটি ফার্ম আছে ‘এনাবেল আইডি’ নামে। এটা মূলত রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটি এবং অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করে। সেখানে আমার ব্যক্তিগত আয়ের কিছু অংশ থেকে ৬ লাখ টাকার মতো আরঅ্যান্ডডি (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) খাতে ব্যয় করি। বাকি তিন লাখ টাকার মতো দিয়েছেন নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন।

মানিক মিয়া নামকরণ কেন

বেটা ভার্সন রিলিজের আগে নভেম্বরে আমরা নামটা ফিক্স করি। যেহেতু আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুকে জানানো, সেহেতু এ কাজে তারই কাছের একজনকে বেছে নেয়া হয়েছে। সে মানিক মিয়া কে, তা যথাসময়ে জানানো হবে।

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে জানাবে নাঈমের রোবট

কী বার্তা দেবেন মানিক মিয়া

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে নেটে জানতে গেলে তথ্য পাওয়া গেলেও অনেক সময় তা বিক্ষিপ্তভাবে থাকে। অর্থাৎ একসঙ্গে কমপ্লিট আকারে পাওয়া যায় না। আমরা সে কাজটা করতে চাই। ধরা যাক, বঙ্গবন্ধু অবসরে কী কী কাজ করতেন, কী খেতেন, এমন তথ্য হয়তো নেটে পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেটা এতটা ডিটেইল আকারে পাওয়া হয়তো যাবে না। আমরা মানিক মিয়াকে দিয়ে ডিটেইল বলাব। এ রোবট একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংগ্রামের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাসের কথা বলবে।

ইতিহাস জানাতে রোবট কেন

ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের সভা-সেমিনারগুলোতে অনেক সময় বক্তার কথায় মনোযোগ থাকে না শ্রোতাদের। বক্তা রোবট হলে কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই আগ্রহ বাড়বে। আর এটি চিন্তা করেই হিউম্যানয়েড রোবট বানিয়েছি আমরা।

আপনাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী

আমরা চাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানুক। সে কারণে আমরা ফাইনাল ভার্সনটা সময় নিয়ে গুছিয়ে করার চেষ্টা করছি। আমাদের এরই মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রেডি হয়ে গেছে। এরপরও আমরা সেটি সংযুক্ত করিনি। আমরা একটা গাইডলাইন খুঁজছি। তার আলোকে আমরা কাজটা করব।

চূড়ান্ত সংস্করণ কবে আসবে

আমাদের টিমের লক্ষ্য আগামী বছরের শুরুর মাসগুলোতে রোবটটাকে পাবলিক করা, তবে সে সময়কে চূড়ান্ত বলতে পারছি না। কারণ এটা খুবই সেনসিটিভ একটা কাজ। এখানে একটা ভুলে বড় ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে; অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা চাই বিষয়টা আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখাই। তিনিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আমরা গাইডলাইন নেব। আমরা ডেটা টিমও গোছাচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে বিষয়টা ফাইনালাইজ করব।

সাড়া কেমন পাচ্ছেন

বেটা ভার্সন নিয়ে এরই মধ্যে অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছে। পলক ভাই (আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক) কংগ্রাচুলেট করেছেন। মাশরাফি ভাই (জাতীয় দলের ক্রিকেটার) প্রেইজ করেছেন। এর বাইরে অনেকেই পারসোনালি কংগ্রাচুলেট করেছে।

আরও পড়ুন:
বয়স্ক ও শারীরিক অক্ষমদের জন্য রোবট আনছে হুন্দাই
কাব্য প্রতিভায় তাক লাগালো রোবট আই-দা
রোবট মাছে কেমো হবে নির্ভুল, থাকবে না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সন্তান জন্ম দিতে পারা রোবট উদ্ভাবন
২ লাখ ডলারে চেহারা ও কণ্ঠ বিক্রি করার সুযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Royal Bengal AI is offering internships at home on AI

এআইয়ের উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে রয়েল বেঙ্গল এআই

এআইয়ের উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে রয়েল বেঙ্গল এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েল বেঙ্গল এআই। প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যামিক বা কলেজ শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ দিচ্ছে। কোডিং না জানলেও শুধু মাত্র এআইয়ের উপর আগ্রহী এমন কর্মীই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটি ৩ জনকে শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করত, পাশাপাশি মাসে ১০০ ডলার সম্মানি।

কোডিং জানার প্রয়োজন নেই, কোনও পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতাও দরকার নেই। সাবলীল ইংরেজির প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র এআই সম্পর্কে কৌতূহলী এবং শিখতে, গবেষণা করতে এবং ধারণা সংগঠিত করতে আগ্রহী এমন প্রার্থীকেই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঘরে বসেই এআইয়ের উপর অভিজ্ঞ মানুষদের সাথে কাজ পাশাপাশি থাকবে সার্টিফিকেট, এআইয়ের উপর বাস্তব-বিশ্বের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।

আবেদনের শেষ তারিখ ৪ জুলাই ২০২৫। আবেদন করতে https://shorturl.at/2o8Uc লিংকে প্রবেশ করুণ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Opo A3X is now 12 bucks
অবিশ্বাস্য মূল্যে অনবদ্য ডিভাইস

অপো এ৩এক্স এখন ১২,৯৯০ টাকায়!

অপো এ৩এক্স এখন ১২,৯৯০ টাকায়!

ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ – শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো তাদের ডিউরেবিলিটি পাওয়ারহাউজ স্মার্টফোনকে আরও বেশি সাশ্রয়ী করে তুলেছে। অসাধারণ দৃঢ়তা ও পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত ডিভাইস অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২,৯৯০ টাকায়; আগে এর দাম ছিল ১৩,৯৯০ টাকা। নতুন অফারের আকর্ষণীয় এই স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের সকল অনুমোদিত অপো স্টোর থেকে কেনা যাবে।

স্মার্টফোন থেকে যারা অনেক বেশি প্রত্যাশা করেন, তাদের কথা বিবেচনা করেই এ অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, যা ১.২ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা থেকে পতন বা যেকোনো দিক থেকে আসা আঘাতের পরও ফোনটিকে আগের মতোই সচল রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি, এর সাথে যুক্ত হওয়া মাল্টিপল লিকুইড রেজিজট্যান্স ও স্প্ল্যাশ টাচ প্রযুক্তির কারণে হাত ভেজা থাকলেও ফোনটি সক্রিয় থাকবে। অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়া বা হঠাৎ ছিটে আসা পানির ক্ষেত্রে এটি একদম নিখুঁতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।

একইসাথে, ডিভাইসটিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে ৫,১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ সুবিধা ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, এটি মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ এবং মাত্র ৭৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হতে সক্ষম। ফোনটির ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট চার্জিং ফিচার আপনার প্রতিদিনের ব্যবহারের অভ্যাস থেকে শিখতে সক্ষম, যা ব্যাটারির লাইফকে দীর্ঘায়িত করে। উল্লেখযোগ্য কোনোরকম ঝক্কি ছাড়াই এই স্মার্টফোনটি অন্তত ৪ বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।

অপো এ৩এক্স ডিভাইসে শক্তিশালী কাঠামোর পাশাপাশি, মসৃণ ও আধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, এর ডিসপ্লেতে রয়েছে ১,০০০ নিটস, যা প্রখর সূর্যের আলোতেও ফোন দেখার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। অপো এ৩এক্স-এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি স্মার্টফোন নিয়ে এসেছি যা প্রতিদিনের ফোন চালানোর চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে যাবতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আর আকর্ষণীয় ও নতুন এই মূল্যের পাশাপাশি, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা অপোর টেকসই প্রযুক্তিও ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।”

এখন মাত্র ১২,৯৯০ টাকার অবিশ্বাস্য মূল্যে সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি)। আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
False propaganda claims injured in the coup to smugglers Factwatch

চোরাচালানকারী ভারতীয়কে ‘অভ্যুত্থানে আহত’ দাবি করে মিথ্যা প্রচার: ফ্যাক্টওয়াচ

চোরাচালানকারী ভারতীয়কে ‘অভ্যুত্থানে আহত’ দাবি করে মিথ্যা প্রচার: ফ্যাক্টওয়াচ

পণ্য চোরাচালানকারী এক ভারতীয় নাগরিক অভ্যুত্থানে আহত হয়েছে দাবি করে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।

বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে কাজ করা ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ফ্যাক্টওয়াচ একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সত্তা, যা লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।

ফ্যাক্টওয়াচ জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি হুইলচেয়ারে বসা এক ব্যক্তির কাছে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন পণ্য জব্দ করার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দাবি করা হয়, তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত একজন বাংলাদেশি, যিনি বিদেশ থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে মাদকসহ ধরা পড়েছেন।

কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ব্যক্তি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কেউ নন। নজরুল হক নামের ওই ব্যক্তি একজন ভারতীয় নাগরিক। তিনি ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ রোগীর ছদ্মবেশে কলকাতা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। কৌশলে মাদক ও কসমেটিকস আনতে গিয়ে ধরা পড়ার সময়ই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।

ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান টিম জানিয়েছে, পরবর্তী অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়, যেখানে সংযুক্ত ছবিগুলোর সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর মিল পাওয়া গেছে।

জানা যায়, গত ১৭ মার্চ রাতে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন নজরুল হক। তিনি সিসিইউ ইউনিটের রোগী সেজে হুইলচেয়ারে করে বিমানবন্দর ত্যাগের সময় কাস্টমসের অভিযানে ধরা পড়েন। তার দেহ তল্লাশি করে কৌশলে লুকানো ২০ কেজি কসমেটিকস, ৪ লিটার মদ, ৩টি মোবাইল ফোন ও ৭ পিস কাপড় জব্দ করা হয়। কাস্টমস হাউস ঢাকার প্রিভেন্টিভ দল এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে মুচলেকা নিয়ে নজরুলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ফ্যাক্টওয়াচ আরো জানায়, ‘ওই ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা পণ্য নিয়ে ভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত একজন বাংলাদেশি। তবে এসব পোস্টকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।’

একটি মহল দেশ-বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব, ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে-এমন প্রমাণও পেয়েছে ফ্যাক্টওয়াচ। শুধু এপ্রিল মাসেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেছে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান টিম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
What is the battery Monster fame on this smartphone

কী আছে ব্যাটারি মনস্টার খ্যাত রিয়েলমির এই স্মার্টফোনে

কী আছে ব্যাটারি মনস্টার খ্যাত রিয়েলমির এই স্মার্টফোনে

স্মার্টফোন পছন্দ করার আগে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটারি পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা চান। ফোন কেনার আগে ব্যাটারির সক্ষমতা কতটা সেটা যাচাই করেন ক্রেতারা। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ দিতে পারে এমন ফোন থাকে অধিকাংশ ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। এমন ক্রেতাদের জন্য ব্যাটারি মনস্টার খ্যাত নতুন একটি স্মার্টফোন এনেছে তরুণদের পছন্দের অন্যতম প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। চলুন জেনে নেয়া যাক, কী থাকছে শক্তিশালী ব্যাটারির এই স্মার্টফোনে।

ব্যাটারি সক্ষমতা: ব্যবহারকারীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবার নিশ্চয়তা দিতে রিয়েলমি সি৭১-এ রয়েছে সুবিশাল ৬,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। মাত্র ১ ঘণ্টার চার্জেই ব্যবহারকারীরা দুই দিনের জন্য ফোনটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন, যা এখনকার ব্যস্ত জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে যাবে।

আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন: তরুণ ব্যবহারকারীদের পছন্দের সঙ্গে মানানসই হয় এমন নান্দনিক ও প্রাণবন্তভাবে ডিজাইন করা হয়েছে রিয়েলমি সি৭১। এর ‘লাইট পালস’নোটিফিকেশন ফিচারটি বিশেষ করে, মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ চলাকালে কল বা মেসেজ আসার সময় নিঃশব্দে চোখে পড়বে। ফোনটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে। এই দামের অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে এই রিফ্রেশ রেট সাধারণত দেখা যায় না; ফলে রিয়েলমি’র এই ফোনটি গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

এআই-সক্ষমতা: রিয়েলমি সি৭১-এ এআই-সক্ষম একাধিক ফিচার রয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই নয়েজ রিডাকশন কল ২.০, যা কলের ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ কমায়। এআই ক্লিয়ার ফেস যা ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে আরও সমৃদ্ধ করে। এআই ইমেজ ম্যাটিং, যা সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করতে সহায়তা করে। এআই ইরেজার, যা ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় অপসারণ করে। এছাড়াও, গুগল জেমিনি ও সার্কেল-টু-সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সার্চের সুবিধা নিশ্চিত করে। এসব ফিচার একত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করে।

ক্যামেরা: ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি এআই ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীদের নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে রয়েছে- একটি ফ্লিকার লেন্স, যেটি পারিপার্শ্বিক আলো থেকে ফ্লিকার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ণয় করে এবং ছবি তোলার সময় ফ্লিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া- রিয়ার প্যানেলে আছে ‘পালস লাইট’ অর্থ্যাৎ আলোর ভিন্ন একটি প্যানেল, যার মাধ্যমে ভাইব্রেশন কিংবা শব্দ ছাড়াই এক ধরনের নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি, স্মৃতিময় মুহূর্ত ধারণ করার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।

সাশ্রয়ী মূল্য: রিয়েলমি সি৭১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ৪ জিবি র্যা ম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যা ম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে ডায়নামিক মেমরি এক্সপানশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নেয়া সম্ভব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bri has invented three new varieties of rice

নতুন আরো তিন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে ব্রি

নতুন আরো তিন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে ব্রি

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ধানের আরও তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে একটি লবণাক্ততা সহনশীল, একটি উচ্চফলনশীল বোরো এবং অন্যটি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এ নিয়ে ব্রি আটটি উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড জাতসহ মোট ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।

নতুন উদ্ভাবিত তিনটি জাত হলো; লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি-১১২, উচ্চফলনশীল বোরো ব্রি-১১৩ ও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ব্রি-১১৪। গত বুধবার জাতীয় বীজ বোর্ডের (এনএসবি) ১১৪তম সভায় নতুন এ তিনটি জাত অনুমোদন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততা সহনশীল ও মাঝারি জীবনকালীন রোপা আমনের জাত। এ জাতের ডিগপাতা প্রচলিত ব্রি ধান-৭৩-এর চেয়ে খাড়া। ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততার মাত্রাভেদে হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ১৪ থেকে ৬ দশমিক ১২ টন ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের জীবনকাল ১২০ থেকে ১২৫ দিন এবং গাছের উচ্চতা ১০৩ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার। গাছের কাণ্ড মজবুত। এ কারণে ঢলে পড়ে না। এ জাতের ধানের চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। ভাত ঝরঝরে। এটি লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। দানা মাঝারি চিকন ও শিষ থেকে ধান সহজে ঝরে পড়ে না। জীবনকাল তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ফসল কর্তনের পর মধ্যম উঁচু থেকে উঁচু জমিতে সূর্যমুখী ও লবণ সহনশীল সরিষা আবাদের সুযোগ তৈরি হবে।

ব্রি ধান-১১৩ জাতটি বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি-২৯-এর বিকল্প হিসেবে ছাড়করণ করা হয়েছে। এটি মাঝারি চিকন দানার উচ্চফলনশীল জাত। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা এবং ধান পাকলেও সবুজ থাকে। গাছ শক্ত ও মজবুত বিধায় সহজে হেলে পড়ে না। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৩ দিন। চালের আকার-আকৃতি মাঝারি চিকন ও রং সাদা। দেখতে অনেকটা নাজিরশাইলের মতো। এ ধানের চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৮ শতাংশ এবং ভাত ঝরঝরে। এ ছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় দেখা গেছে, জাতটি ব্রি ধান-৮৮-এর চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি ফলন দিয়েছে। এ জাতের গড় ফলন হেক্টরে ৮ দশমিক ১৫ টন। উপযুক্ত পরিবেশে সঠিক ব্যবস্থাপনা করলে জাতটি হেক্টরে ১০ দশমিক ১ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, নতুন ব্রি ধান-১১৪ বোরো মৌসুমের দীর্ঘ জীবনকালীন ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। গাছ মজবুত এবং হেলে পড়ে না। পাতার রং গাঢ় সবুজ। এর গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৭৬ টন। দানা মাঝারি মোটা এবং সোনালি বর্ণের। ভাত ঝরঝরে হয়। জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে এ জাতের ধান চাষে কৃষককে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হবে না, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে।

ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, জাতগুলো অনুমোদন লাভ করায় এখন আমরা এসব ধানের বীজ বাজারজাত করতে পারব। কৃষকেরা এ জাতের ধান চাষ করে লাভবান হবেন। তাদের উৎপাদনও বাড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকায় অনেক সময় ধান চাষ করা যেত না। এখন আমাদের ব্রি ধান-১১২ সেসব এলাকায় সহজে চাষ করা যাবে। এ ছাড়া অন্য জাতগুলো আমাদের ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

সূত্র: বাসস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Server storage and network proper care for seamless performance

নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিতে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কের যথাযথ যত্ন

নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিতে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কের যথাযথ যত্ন

বর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। আর তাই প্রতিষ্ঠানের নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কের যথাযথ যত্ন নিয়ে সার্ভিসিং২৪ বেশকিছু সহজ ও কার্যকর টিপস শেয়ার করছে। চলুন আজ তা জেনে নিই –

নিয়মিত হেলথ চেক ও ডেটা সেন্টারের যথাযথ পরিবেশ

প্রতিষ্ঠানের সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো প্রতি মাসে অন্তত একবার পরীক্ষা করে দেখুন। এটি বড় ধরনের ডেটা লস এড়াতে সহায়তা করবে। ধুলো-ময়লা ও অতিরিক্ত গরম আইটি ডিভাইসের পারফরম্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই, ডেটা সেন্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ও এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

ডেটা ব্যাকআপ নিন ও রিকভারি টেস্ট করুন

শুধু ডেটা ব্যাকআপ নিলেই হবে না; একইসাথে, এগুলো থেকে ডেটা রিকভারি করা সম্ভব হচ্ছে কিনা, তাও পরীক্ষা করা জরুরি। অনেক সময় ব্যাকআপ ডেটা করাপ্টেড থাকতে পারে বা রিকভারি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না-ও করতে পারে। নিয়মিত রিকভারি টেস্ট এ ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

সিকিউরিটি প্যাচ ও সফটওয়্যার আপডেট করুন

অপারেটিং সিস্টেম, হাইপারভাইজর, ডেটাবেজ ও অন্যান্য সফটওয়্যারের সিকিউরিটি প্যাচ ও আপডেট সময়মতো ইনস্টল করা জরুরি। আপডেট না করলে সিস্টেমের দুর্বলতাগুলো হ্যাকারদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে; এক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকা ও সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স ও মাল্টি-ভেন্ডর অ্যাকসেস মনিটর করুন

ধীরগতির নেটওয়ার্ক পুরো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে। তাই নেটওয়ার্কের কর্মক্ষমতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী তা টিউনিং করা জরুরি। এছাড়া, আইটি সিস্টেমে একাধিক ভেন্ডর বা ইউজার কাজ করলে, তাদের সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত অ্যাকসেস নিশ্চিত করা জরুরি। এতে তথ্যের গোপনীয়তা ও সিস্টেমের নিরাপত্তা বজায় থাকে। অ্যাকসেস রুলস ও মনিটরিং ব্যবস্থাও সবসময় আপডেট রাখা জরুরি।

ফেইলওভার ক্লাস্টার, আরটিও-আরপিও মেইনটেইন করুন

ফেইলওভার ক্লাস্টার ব্যবস্থায় একটি সার্ভার বা হার্ডডিস্ক ব্যর্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি সিস্টেম বা ডিস্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। ফলে, আইটি সিস্টেম সবসময় সচল থাকে এবং ডাউনটাইমে ব্যাকআপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। পাশাপাশি, সিস্টেমে সমস্যা হলে তা কতক্ষণের মধ্যে রিকভার হবে তা জানতে ‘রিকভারি টাইম অবজেকটিভ’ (আরটিও) ও সর্বশেষ কোন পর্যায় পর্যন্ত ডেটা রিস্টোর করা যাবে, তা নিশ্চিতে ‘রিকভারি পয়েন্ট অবজেকটিভ’ (আরপিও) মেইনটেইন করতে হবে। এতে করে ডেটা রিকভারি দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করা সম্ভব।

এ বিষয়ে সার্ভিসিং২৪-এর সিইও নাসির ফিরোজ বলেন, “স্থিতিশীল ও সুরক্ষিত আইটি অবকাঠামো আধুনিক ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল ডিভাইস স্থাপন করলেই হবে না, এগুলো নিয়মিত মেইনটেনেন্স করতে হবে। আর তা হলেই প্রতিষ্ঠানের নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Inaugurated the sky defense radar in Bogra
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর র‌্যাডার ইউনিট

বগুড়ায় আকাশ প্রতিরক্ষা র‌্যাডার উদ্বোধন

বগুড়ায় আকাশ প্রতিরক্ষা র‌্যাডার উদ্বোধন

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর র‌্যাডার ইউনিট বগুড়ায় বুধবার (১৮-৬-২০২৫) নব স্থাপিত জিএম ৪০৩এম আকাশ প্রতিরক্ষা র‌্যাডার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা র‌্যাডার এর উদ্বোধন করেন।

বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন স্থাপনা ও যুদ্ধোপকরণ সংযোজন চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আকাশ প্রতিরক্ষা র‌্যাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এই অঙ্গীকারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। নতুন অন্তর্ভুক্ত র‌্যাডারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, অত্যাধুনিক এ র‌্যাডারটি বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে