× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Naeems robot will inform Bangabandhu Bangladesh
google_news print-icon

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে জানাবে নাঈমের রোবট

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে-জানাবে-নাঈমের-রোবট
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র শেখ নাঈম হাসান মুন ও তার দলের বানানো রোবট। ছবি: নিউজবাংলা
রোবটের প্রধান নির্মাতা নাঈম বলেন, ‘ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের সভা-সেমিনারগুলোতে অনেক সময় বক্তার কথায় মনোযোগ থাকে না শ্রোতাদের। বক্তা রোবট হলে কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই আগ্রহ বাড়বে। আর এটি চিন্তা করেই হিউম্যানয়েড রোবট বানিয়েছি আমরা।’

‘আসসালামু আলাইকুম। সবাইরে বিজয় দিবসের শুভেসসা। আমি মানিক, মানিক মিয়া; আসতাছি বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লইয়া মাইনষেরে জানাইতে। মা হাসুরে...আমি তোর মানিক চাচারে…তোর আব্বাজানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। আমি আমার বন্ধুর গপ্পো সবাইরে কইতে আসতেছিরে মা। তোর লগেও দ্যাহা করুমনে।’

চেয়ারে বসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশবাসীর উদ্দেশে কথাগুলো বলছিলেন ঘন গোঁফওয়ালা, চশমা পরা বয়স্ক এক ব্যক্তি। কাঁচা-পাকা চুলওয়ালা ব্যক্তির পরনে সবুজ চেকের পাঞ্জাবি। তার গলায় ঝোলানো মাফলার।

শুরুতে দেখে মনে হতে পারে, ওই ব্যক্তি কোনো পাপেট শোর চরিত্র, কিন্তু আদতে তা নয়। এ মানিক মিয়া গল্পকথক এক রোবট, যার প্রধান নির্মাতা শেখ নাঈম হাসান মুন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রুপ্রেনিয়রশিপ বিভাগের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র নাঈম। তার ধ্যান-জ্ঞান রোবোটিকস। ‘মানিক মিয়া’সহ এ পর্যন্ত ৩০টি রোবট বানিয়েছেন যশোরের এ তরুণ; পেয়েছেন পুরস্কারও।

সবশেষ রোবটটি নির্মাণ নিয়ে নাঈমের সঙ্গে কথা বলেছে নিউজবাংলা। সে আলাপে উঠে এসেছে উদ্ভাবনের আদ্যোপান্ত।

ধারণা এলো কীভাবে

২০১৯ সালের আগস্টে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়। সেই অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের একজন ছিলাম আমি। ‘গ্যারি’ নামের একটি রোবটের জন্য অ্যাওয়ার্ডটি পাই। এটি মূলত নেটওয়ার্কিং রোবট, যেটা সাইবার সিকিউরিট দেয়। তো সেই সময়ে মুজিববর্ষকে সামনে রেখে কে, কোন ধরনের ইনোভেশন করবে, তার একটা আলোচনা চলছিল। আমার মাথায় তখন কমপ্লিট একটু কিছু করার প্ল্যান আসল। অর্থাৎ এমন কিছু একটা করা, যেটা হবে কমপ্লিট প্যাকেজ। এতে একসঙ্গে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলার ইতিহাস জানা যাবে। আর সেই থেকেই কাজটা শুরু করি।

দলে ভাঙা-গড়া

এ রোবটটা বানাতে গিয়ে আমি রিসার্চে অনেক টাইম দিয়েছি। আমার টিম ব্যাপক ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে গেছে। চারবার টিম ভেঙেছে। কারণ টিম মেম্বারদের সবার সমান ডেডিকেশন ছিল না। আমার তখন বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের দুটি অংশ মাথায় আসছিল। সেগুলো হলো ‘আমাদের দাবায়া রাখতে পারবা না’, ‘যার যা কিছু আছে তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ো।’ এই ইন্সপিরেশন নিয়ে প্রজেক্ট থেকে না সরে এগিয়ে গেছি। ফাইনালি চারজনের দল নিয়ে এটা বানাতে পেরেছি। এ দলে আমার সঙ্গে আছে আর এন বাধন, মনিরুজ্জামান হৃদয় ও নাঈমুল ইসলাম অরণ্য।

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে জানাবে নাঈমের রোবট

নির্মাণের সময়

আমার প্রথম টার্গেট ছিল মুজিববর্ষ শুরুর দিন ২০২০ সালের ১৭ মার্চ রোবটটা লঞ্চ করা, কিন্তু সে সময় আমার পর্যাপ্ত ফান্ডিং ছিল না। এ কারণে কাজটা পিছিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে টার্গেট ধরলাম ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর। তখন ফেইল করলাম অন্য একটা কারণে। আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা হবে কি হবে না, সেটা নিয়ে একটা দোটানা ছিল। অক্টোবরে জানতে পারলাম আমাদের অটোপাস দেয়া হয়েছে। এর পরে দুই মাস সময়ে এ কাজ কমপ্লিট করা সম্ভব ছিল না। তাই রোবটটা বানাতে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করলাম। এবার আমি একটু নীরবে কাজ করতে থাকি। এ বছরের জুলাইয়ের শেষের দিকে এসে আমি টিম নিয়ে কাজ শুরু করি। তখনই আসলে হিউম্যানয়েড রোবট নিয়ে কাজ করার বিষয়টা জানাজানি হলো। আমার টিমমেটরা হার্ডওয়ার্ক করেছে। তাদের কারণে এই ১৬ ডিসেম্বরে বেটা ভার্সনটা রিলিজ করতে পেরেছি।

টাকার জোগান কীভাবে

রোবটটার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ও ফাইনাল প্রোডাক্ট মিলিয়ে মোট খরচ ৯ লাখ টাকার কাছাকাছি। আমার নিজের একটা আইটি ফার্ম আছে ‘এনাবেল আইডি’ নামে। এটা মূলত রোবোটিকস, সাইবার সিকিউরিটি এবং অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করে। সেখানে আমার ব্যক্তিগত আয়ের কিছু অংশ থেকে ৬ লাখ টাকার মতো আরঅ্যান্ডডি (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) খাতে ব্যয় করি। বাকি তিন লাখ টাকার মতো দিয়েছেন নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন।

মানিক মিয়া নামকরণ কেন

বেটা ভার্সন রিলিজের আগে নভেম্বরে আমরা নামটা ফিক্স করি। যেহেতু আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধুকে জানানো, সেহেতু এ কাজে তারই কাছের একজনকে বেছে নেয়া হয়েছে। সে মানিক মিয়া কে, তা যথাসময়ে জানানো হবে।

বঙ্গবন্ধু-বাংলাদেশকে জানাবে নাঈমের রোবট

কী বার্তা দেবেন মানিক মিয়া

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য নিয়ে নেটে জানতে গেলে তথ্য পাওয়া গেলেও অনেক সময় তা বিক্ষিপ্তভাবে থাকে। অর্থাৎ একসঙ্গে কমপ্লিট আকারে পাওয়া যায় না। আমরা সে কাজটা করতে চাই। ধরা যাক, বঙ্গবন্ধু অবসরে কী কী কাজ করতেন, কী খেতেন, এমন তথ্য হয়তো নেটে পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেটা এতটা ডিটেইল আকারে পাওয়া হয়তো যাবে না। আমরা মানিক মিয়াকে দিয়ে ডিটেইল বলাব। এ রোবট একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংগ্রামের ইতিহাস, বাংলার ইতিহাসের কথা বলবে।

ইতিহাস জানাতে রোবট কেন

ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের সভা-সেমিনারগুলোতে অনেক সময় বক্তার কথায় মনোযোগ থাকে না শ্রোতাদের। বক্তা রোবট হলে কিন্তু স্বাভাবিক কারণেই আগ্রহ বাড়বে। আর এটি চিন্তা করেই হিউম্যানয়েড রোবট বানিয়েছি আমরা।

আপনাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী

আমরা চাই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানুক। সে কারণে আমরা ফাইনাল ভার্সনটা সময় নিয়ে গুছিয়ে করার চেষ্টা করছি। আমাদের এরই মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) রেডি হয়ে গেছে। এরপরও আমরা সেটি সংযুক্ত করিনি। আমরা একটা গাইডলাইন খুঁজছি। তার আলোকে আমরা কাজটা করব।

চূড়ান্ত সংস্করণ কবে আসবে

আমাদের টিমের লক্ষ্য আগামী বছরের শুরুর মাসগুলোতে রোবটটাকে পাবলিক করা, তবে সে সময়কে চূড়ান্ত বলতে পারছি না। কারণ এটা খুবই সেনসিটিভ একটা কাজ। এখানে একটা ভুলে বড় ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে; অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আমরা চাই বিষয়টা আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখাই। তিনিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে আমরা গাইডলাইন নেব। আমরা ডেটা টিমও গোছাচ্ছি। সবকিছু ঠিকঠাক হলে বিষয়টা ফাইনালাইজ করব।

সাড়া কেমন পাচ্ছেন

বেটা ভার্সন নিয়ে এরই মধ্যে অনেকে আগ্রহ দেখিয়েছে। পলক ভাই (আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক) কংগ্রাচুলেট করেছেন। মাশরাফি ভাই (জাতীয় দলের ক্রিকেটার) প্রেইজ করেছেন। এর বাইরে অনেকেই পারসোনালি কংগ্রাচুলেট করেছে।

আরও পড়ুন:
বয়স্ক ও শারীরিক অক্ষমদের জন্য রোবট আনছে হুন্দাই
কাব্য প্রতিভায় তাক লাগালো রোবট আই-দা
রোবট মাছে কেমো হবে নির্ভুল, থাকবে না পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সন্তান জন্ম দিতে পারা রোবট উদ্ভাবন
২ লাখ ডলারে চেহারা ও কণ্ঠ বিক্রি করার সুযোগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
GamingGar Kia Kis shooting

'গেমিংগার্ল' কেয়া কীসের শ্যুটিং এ!

'গেমিংগার্ল' কেয়া কীসের শ্যুটিং এ! শাওন ও কেয়া পায়েল।

সম্প্রতি ছোটপর্দার পরিচিত মুখ শাওন ও কেয়া পায়েলকে একটি অ্যাকশন দৃশে দেখা গেছে।

সাধারণত এর আগে তাদেরকে এমন দৃশ্যে খুব কমই দেখে গেছে। একটি ছবিতে দেখা গেছে কেয়া ও শাওন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। অ্যাকশন ভঙ্গিমার এ ছবি দেখে মনে হচ্ছে যেন তারা কোনো বিশেষ অভিযানে যাচ্ছেন।অন্য একটি ছবিতে কেয়া পায়েলকে বন্দুক হাতে নিশানা করতে দেখা যাচ্ছে। যেন সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য ভেদ করতে চান তিনি।

এরপরে একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে তাদের দুজনের হাতে স্মার্টফোন এবং তারা ফোনে গেম খেলায় ব্যস্ত। এতে কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে হয়ত কোনো গেমিং ফোনের ওপর বিশেষ কিছু নিয়ে হাজির হচ্ছেন ছোট ছোটপর্দার এই দুই তারকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Performance Series 3G smartphone is bringing Realmy

পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি

পারফরম্যান্স সিরিজ ১৪ ৫জি স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
"পারফরম্যান্সের দানব" হিসেবে পরিচিত এই ডিভাইস দুটি সিরিয়াস হার্ডওয়্যার এবং উদ্ভাবনী ফিচার্সে পরিপূর্ণ যা পাওয়ার ইউজার এবং গেমার উভয়ের জন্যই উপযুক্ত।

তরুণ প্রজন্মের পছন্দের অন্যতম প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি তাদের পারফরম্যান্সকেন্দ্রিক আইকনিক নাম্বার সিরিজ থেকে নতুন দুটি স্মার্টফোন আনতে যাচ্ছে। রিয়েলমি ১৪ ৫জি এবং ১৪টি ৫জি ফোন দুটি আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১২ই মে দেশের বাজারে বাজারে উন্মোচন করা হবে।

রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোনটি ব্যবহার করা হয়েছে দেশের প্রথম স্ন্যাপড্রাগন সিক্স জেনারেশন ৪ ৫জি চিপসেট। যা স্মুথ মাল্টিটাস্কিং এবং দ্রুত গেম লোডিং নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, ১৪টি ৫জি স্মার্টফোনটিতে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬৩০০ ৫জি চিপসেট রয়েছে, যা কার্যকর পারফরম্যান্স, উন্নত কানেক্টিভিটি এবং পাওয়ার-সেভিং বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। "পারফরম্যান্সের দানব" হিসেবে পরিচিত এই ডিভাইস দুটি সিরিয়াস হার্ডওয়্যার এবং উদ্ভাবনী ফিচার্সে পরিপূর্ণ যা পাওয়ার ইউজার এবং গেমার উভয়ের জন্যই উপযুক্ত।

সীমিত সময়ের অফারসহ একটি বিশেষ প্রি-বুকিং প্রচারাভিযান শুরু হয়েছে এবং এটি ১৪ মে, ২০২৫ পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে যারা এই স্মার্টফোনগুলি প্রি-বুক করবেন তারা একটি আকর্ষণীয় বোনাস পাবেন - বিনামূল্যে এক জোড়া রিয়েলমি বাডস টি২০০ লাইট, যা গেমিং এবং বিনোদনের নিখুঁত অডিও সঙ্গী। এই বাডসগুলোও একই দিনে লঞ্চ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will eat your job AI Fevers warning

আপনার চাকরি খেয়ে ফেলবে এআই: ফাইভার প্রধানের হুঁশিয়ারি

আপনার চাকরি খেয়ে ফেলবে এআই: ফাইভার প্রধানের হুঁশিয়ারি

চাকরির বাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্রমাগত পরিবর্তনশীল প্রভাব নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলি বহুজাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিকা কাউফম্যান। এআই নির্ভর ভবিষ্যতে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে দক্ষতা ও খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।

ফাইভারের একটি অভ্যন্তরীণ মেমোর বিস্তারিত বিবরণে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন। পরবর্তীতে সেটি সামাজিকমাধ্যমেও শেয়ার দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।

যেভাবে দ্রুতগতিতে প্রযুক্তির বিকাশ ঘটছে, তাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মনির্ভর বাজারসহ শিল্পকারখানা নতুন করে ঢেলে সাজানোর সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সেই দিকে আভাস দিয়ে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলায় উপযুক্ত করে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে ফ্রিল্যান্সার্স ও কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘কঠিন সত্য হলো—আপনার কর্মসংস্থান দখল করতে আসছে এআই, আমার চাকরিটাও তারা নিয়ে নেবে। এটা আপনাদের জেগে ওঠার ডাক। তাতে হোক না আপনি প্রোগ্রামার, ডিজাইনার, পণ্য ব্যবস্থাপক, ডেটা বিজ্ঞানী, আইনজীবী, বিক্রেতা কিংবা কোনো ব্যবসায়ী। আপনাদের কর্মসংস্থান কেড়ে নিতে ধেয়ে আসছে এআই।’

“একসময় যেসব কাজকে সহজ বলে বিবেচনা করা হতো, এখন আর সেগুলোর অস্তিত্ব নেই। আবার যে কাজগুলো কঠিন বলে বিবেচনা করা হতো, সেগুলো সহজ হয়ে গেছে। আর যে কাজগুলো অসম্ভব বলে মনো হতো, সেটা এখন নতুন ‘কঠিন কাজ’।”

তিনি বলেন, ‘আপনি যা করছেন, সেখানে যদি একেবারে ব্যতিক্রমী মেধাবী না হন, কয়েক মাসের ব্যবধানে আপনাদের কর্মসংস্থান পরিবর্তনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে,’ বলেন ফাইভারের এই প্রধান নির্বাহী।

সর্বশেষ এআই উদ্ভাবন নিয়ে আরও লেখাপড়া ও দক্ষতা অর্জনে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মিকা কাউফম্যান বলেন, ‘এআই প্রোগ্রাম লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেলসের (এলএলএমএস) ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে।’

যারা এটার কদর বুঝবেন না, অর্থাৎ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না, তাদের ক্যারিয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলেও হুশিয়ার করেন ফাইভার প্রধান নির্বাহী। কাজেই কর্মীদের আরও দক্ষতা ও দ্রুততার সাথে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সার্চ জায়ান্ট গুগল ‘সেকেলে’ হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মিকা কাউফম্যান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Samsung Signtek and Principal Group signing the Smart Cooling Project in Narayanganj

নারায়ণগঞ্জে স্মার্ট কুলিং প্রকল্প নিয়ে স্যামসাং, সাইনটেক ও প্রিন্সিপাল গ্রুপের চুক্তি স্বাক্ষর

নারায়ণগঞ্জে স্মার্ট কুলিং প্রকল্প নিয়ে স্যামসাং, সাইনটেক ও প্রিন্সিপাল গ্রুপের চুক্তি স্বাক্ষর

নারায়ণগঞ্জে বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্যিক প্রকল্প প্রিন্সিপাল ১০০ শপিংমলে স্মার্ট কুলিং পদ্ধতি স্থাপনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ, সাইনটেক টেকনোলজি ও প্রিন্সিপাল গ্রুপ।

এ উপলক্ষে রাজধানীর ওয়েস্টিন ঢাকায় গতকাল (৫ মে) এক অনুষ্ঠানে এই তিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এ অংশীদারিত্ব নারায়ণগঞ্জের রিটেইল খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে শপিংমলটিতে স্যামসাংয়ের অত্যাধুনিক ডাক্ট-টাইপ ইনডোর ইউনিট সহ ভিআরএফ ডিভিএম এস২ সিস্টেম স্থাপন করা হবে; যা জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি, সর্বোচ্চ কর্মক্ষম কুলিং সমাধান প্রদান করবে। এটি ক্রেতাদের জন্য আরামদায়ক ও কার্যকর কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাং মিন জাং, হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (এসএসি বিজনেস ইনচার্জ) শাহীন হোসেন খান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এছাড়া, আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাইনটেক টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. আল-আমিন, চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল; প্রিন্সিপাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. একেএম ফজলুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. ওবায়েদ উল্লাহ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাদ্দিস কাজী মো. শরিফ উল্লাহ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Waterproof smartphone Realmia C3 X feature

পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্সের বৈশিষ্ট্য

পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্সের বৈশিষ্ট্য রিয়েলমি সি৭৫এক্স স্মার্টফোন
রিয়েলমি সি৭৫এক্স স্মার্টফোনটি পানি, ধুলো ও দুর্ঘটনাজনিত পতনেও ফোনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। কারণ এই স্মার্টফোনটি আইপি৬৯, আইপি৬৮, আইপি৬৬ রেটিং সম্বলিত এবং মিলিটারি গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স সার্টিফাইড। আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে।

ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ব্র্যান্ডগুলো স্মার্টফোনে নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করছে। টেকসই ও স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা দিতে যুক্ত করা হচ্ছে এসব প্রযুক্তি। একইসঙ্গে লুকিং বাড়ানোর জন্য গুরুত্ব পাচ্ছে ফোনের রং ও অন্যান্য বাহ্যিক ডিজাইনও। সম্প্রতি দেশের বাজারে আসা এমন একটি স্মার্টফোন হলো রিয়েলমি সি৭৫এক্স। আর্মরশেল প্রোটেশন-যুক্ত ড্যামেজ-প্রুফ ফিচার ফোন এটি। মধ্যম বাজেটের ফোনটি দিয়ে করা যাবে আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফিও। চলুন এক নজরে দেখা যাক কী আছে নতুন এই স্মার্টফোনটিতে।


আইপি ৬৯ রেটিং


রিয়েলমি সি৭৫এক্স স্মার্টফোনটি পানি, ধুলো ও দুর্ঘটনাজনিত পতনেও ফোনকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। কারণ এই স্মার্টফোনটি আইপি৬৯, আইপি৬৮, আইপি৬৬ রেটিং সম্বলিত এবং মিলিটারি গ্রেড শক রেজিস্ট্যান্স সার্টিফাইড। আইপি৬৬ পানির শক্তিশালী জেটের বিরুদ্ধে, আইপি৬৮ পানির নিচে এবং আইপি৬৯ হাই-প্রেসার, হাই-টেম্পারেচার পানির জেটের বিরুদ্ধে ফোনকে রক্ষা করে।

এ সার্টিফিকেশন অনুযায়ী, ফোনটি ০.৫ মিটার পানির নিচে ১০ দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ অক্ষত থাকে। এ ছাড়া ২.৫ মিটারে ১২ ঘণ্টা, ২ মিটারে ১ ঘণ্টা এবং ১.৫ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ডুবে থাকাসহ উচ্চচাপের পানি স্প্রে, এমনকি ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গরম পানির স্প্রেতেও কার্যক্ষম থাকে। এ জন্য দুর্ঘটনাবশত পানিতে পড়ে যাওয়া, বৃষ্টিতে ভেজা কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের মতো পরিস্থিতিতে ফোনটি থাকবে সম্পূর্ণ নিরাপদ।


ক্যামেরা


রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি রিয়ার ক্যামেরা। এছাড়া পেছনের প্যানেলে একটি ফ্লিকার লেন্স রয়েছে। যেটিকে অক্সিলারি লেন্সও বলা হয়। ফ্লিকার বা অক্সিলারি এই লেন্সের প্রধান কাজ হলো আলোর ফ্রিকোয়েন্সি শনাক্ত করা, যা ছবি তোলার সময় গ্লেয়ার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া পেছনের প্যানেলে সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আরো একটি বাম্প রাখা হয়েছে। তবে পুরোপুরি বন্ধ রাখা এই বাম্পটি সেন্সর এরিয়া হিসেবেও কাজ করে। বাম্পটিতে দুইবার টাচ করলে কিউআর কোড স্ক্যান করা যাবে। এছাড়া ফোনটিতে রয়েছে একটি ৮-মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।


ব্যাটারি সক্ষমতা


রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’ এ রয়েছে- ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জ সক্ষমতার ৫৬০০এমএএইচ ব্যাটারি। ৫ মিনিটের চার্জেই ফোনে কথা বলা যায় ৩ ঘণ্টা। আর একবার পুরোপুরি চার্জ সম্পূর্ণ হলে ৭ ঘণ্টা টানা গেমিং, ১৩.২ ঘণ্টা ধারাবাহিক ইউটিউব ভিডিও প্লে এবং ২৪ ঘণ্টার স্ট্যান্ডবাই সম্ভব স্মার্টফোনটি দিয়ে।


এসব বৈশিষ্ট্য ছাড়াও রিয়েলমি ‘সি৭৫এক্স’ গ্রাহকদের দেবে এই সেগমেন্টের বেস্ট এআই এক্সপেরিয়েন্স। ডিভাইসটিতে আছে- গুগল জেমিনি চ্যাটবট এবং এটি ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর, দ্রুততম সময়ে কোনো কিছু অনুসন্ধান, অ্যাপগুলোর মধ্যে নির্বিঘ্ন এআই স্মার্ট লুপ, এআই ইমেজ এডিটিং অর্থাৎ ব্লারি বা ঘোলা ছবিকে স্পষ্ট করা ইত্যাদি ফিচার আছে। ৬/১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের রিয়েলমি‘সি৭৫এক্স’স্মার্টফোনটি পাওয়া যাচ্ছে ১৭,৯৯৯ টাকায়। ফলে মধ্যম বাজেটের এই স্মার্টফোনটি হতে পারে প্রযুক্তি প্রেমীদের জন্য একটি দারুণ ডিভাইস।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The simple solution to e commerce website for domestic entrepreneurs

দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সহজ সমাধান দেশীকমার্স

দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সহজ সমাধান দেশীকমার্স

দ্রুত পরিবর্তনশীল এই ডিজিটাল যুগে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়ীদের (এসএমই) জন্য সহজলভ্য এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য ই-কমার্স সমাধানের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যথেষ্ট জটিল এবং ব্যয়বহুল একটি কাজ। এই কাজটিকেই সহজ করছে দেশীকমার্স।

দেশীকমার্স মূলত একটি SaaS সলিউশন যেটি দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্সকে সহজলভ্য করার স্বপ্ন নিয়ে দেশীকমার্সের যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। কোম্পানিটি এখন ১৫০-র অধিক দেশী উদ্যোক্তাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

স্বপ্ন এবং সাধ্যের ব্যবধান ঘুচানোর পথে

বিগত কয়েক দশকে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে মানুষের কেনাকাটার ধরনে পরিবর্তন এসেছে বিশেষ করে ই-কমার্সের উত্থানের ফলে ব্যবসায়িক জগতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত একটি গ্রামের একজন মধু বা আম বিক্রেতার পক্ষেও সরাসরি ঢাকার একজন কাস্টমারের কাছে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে।

২০১৮ সালে ঢাকাভিত্তিক BluBird Interactive Ltd.-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রা শুরু করে DeshiCommerce। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে এই উপলব্ধি থেকে — দেশীয় ব্যবসায়ীরা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে নানা সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং ওয়েবসাইট তৈরীর উচ্চ খরচ SME-দের ই-কমার্সে প্রবেশের স্বপ্নে বাধা দেয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য DeshiCommerce এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যেটা দিয়ে নামমাত্র খরচে মাত্র কয়েক মিনিটে একটি দ্রুতগতির ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

একটা সময় ছিল যখন ভালো মানের একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করতে কয়েক মাস এবং কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে হতো। দেশীকমার্স সেটাকে নিয়ে এসেছে মাত্র কয়েক মিনিট এবং কয়েকশো থেকে হাজার টাকার মধ্যে। DeshiCommerce-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্স সলিউশনকে সহজলভ্য ও সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা। যাতে তারা সহজেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করে সফলতা পেতে পারেন।”

দেশীয় বাজারকে মাথায় রেখে ডিজাইন

দেশীকমার্স প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশের বাজার ও ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে রয়েছে কাস্টমাইযেবল ডিজাইন, সহজ পণ্য ব্যবস্থাপনা, অর্ডার রিটার্ন রিফান্ড ম্যানেজমেন্ট, পেমেন্ট ও ডেলিভারি অপশন ব্যবহারের সুবিধা। প্ল্যাটফর্মটি RedX, Pathao, Steadfast-এর মতো লোকাল লজিস্টিকস এবং bKash, SSLCommerz-এর মতো পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে ইন্টিগ্রেটেড — যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে করে আরও সহজ।

ব্যবসার আকার অনুযায়ী দেশীকমার্স-এর বিভিন্ন প্রাইস প্যাকেজ রয়েছে যাতে উদ্যোক্তারা নিজেদের উপযোগী প্ল্যান বেছে নিতে পারেন।দেশীকমার্স মূলত SME দের উদ্দেশ্য করে তৈরী হলেও অনেক বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও দেশীকমার্স ব্যবহার করে তাদের ই-কমার্স বিজনেস পরিচালনা করছে। দেশীকমার্স-এর আর একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাজী শাহীন বলেন, “এর বড় কারণ হলো - দেশীকমার্স সহজে ব্যবহার করা খুব সহজ, মাত্র কয়েক মিনিটে আপনার সাইট রেডি হয়ে যাবে এবং আপনি সহজেই 'স্কেল' করতে পারবেন।”

ইকমার্স উদ্যোক্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ

ডিজিটাল টুল ব্যবহারে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেশীকমার্স গুরুত্ব দিয়ে দেখে। তাই দেশীকমার্স বিভিন্ন ভিডিও ও লেখার মাধ্যমে টিউটোরিয়াল, প্রিন্টযোগ্য পিডিএফ ইবুক এবং নিয়মিত ওয়েবিনার আয়োজন করে। সেইসাথে রয়েছে অনলাইন ও অন-সাইট প্রশিক্ষণের সুবিধা যা পরিচালনা করেন অভিজ্ঞ ট্রেইনাররা।

দেশীকমার্স একটি পূর্ণাঙ্গ বাংলা ই-কমার্স ব্লগও চালায়, যেখানে মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, টুল ব্যবহারের কৌশল, মার্কেট রিসার্চ, ও ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির নানা আপডেট প্রকাশিত হয়। এসব তথ্য উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানের ভাণ্ডার হিসেবে কাজ করে।

ভবিষ্যতে কী?

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বেটা ভার্সনে চালু হওয়ার পর থেকে দেশীকমার্স ইতোমধ্যেই ১৫০-এর বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার পেয়েছে। ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে তারা প্রতিনিয়ত প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে দেশীকমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হতে যাচ্ছে AI-ভিত্তিক ফিচার—যেমন স্বয়ংক্রিয় প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা ও পার্সোনালাইজড প্রোডাক্ট রেকমেন্ডেশন—যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।

দেশীকমার্স শুধু বাংলাদেশে থেমে থাকতে চায় না। ভবিষ্যতে কোম্পানিটি অন্যান্য এশিয়ান দেশ, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও নিজেদের বিস্তার ঘটাতে চায়। উদ্ভাবন, নির্ভরযোগ্যতা ও পার্টনারশিপের ওপর ভর করে তারা হতে চায় গ্লোবাল ই-কমার্স ইকোসিস্টেমের অন্যতম চালিকাশক্তি।

বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতি যেমন বাড়ছে, তেমনি দেশীকমার্স-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলো স্থানীয় ব্যবসাগুলোর অনলাইন জগতে টিকে থাকা এবং বেড়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

মন্তব্য

লাইসেন্স পেল স্টারলিংক

লাইসেন্স পেল স্টারলিংক

মার্কিন এনজিএসও সেবাদাতা স্টারলিংকের লাইসেন্স অনুমোদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সোমবার এই লাইসেন্স অনুমোদন করেন তিনি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ ‘নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর ইন বাংলাদেশ শীর্ষক লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। ওই গাইডলাইনের আওতায় স্টারলিংক সার্ভিস বাংলাদেশ নন-জিওস্টেশনারি অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইট সার্ভিস অপারেটর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য প্রযোজ্য ফি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিটিআরসি বরাবর আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে আবেদন করা লাইসেন্স ইস্যুর জন্য গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্টারলিংক বাংলাদেশের ইন্টারনেটে নতুন সংযোজন। শ্রীলঙ্কার পরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে বৈশ্বিক এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করল।

এ প্রসঙ্গে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের উপর্যুপরি ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংককে বাংলাদেশের নিয়ে আসা একটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রধান উপদেষ্টার। বাংলাদেশের হাওর বাওড় দ্বীপাঞ্চলে, দুর্গম পার্বত্য এলাকায়, বিশেষভাবে উপকূলীয় দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেসব অঞ্চলে এখনো ফাইবার পৌঁছেনি সেখানে দ্রুততম সময়ে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা স্বউদ্যোগী হয়ে স্পেইসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করে ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংককে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানান। এ লক্ষ্য অর্জনে বিডা, বিটিআরসি, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।’

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, স্টারলিংকের সেবাগুলো মধ্যে একটা প্রাথমিক সেবা হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট, যেখানে লোডশেডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাবে না, যেটা আইএসপির ক্ষেত্রে হয়। অনেক ক্ষেত্রে যদি লম্বা সময় ধরে লোডশেডিং থাকে, মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারির ব্যাকআপ ফুরিয়ে গেলে মোবাইল ইন্টারনেটেও বিঘ্ন ঘটে। স্টারলিংকের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশে ফাইবার নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি সীমিত। উপরন্তু এই ফাইবার নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য অংশ টেলকো গ্রেডের নয়। বাংলাদেশের অন্তত ৬৫ শতাংশ টেলিযোগাযোগ টাওয়ার এখনো ফাইবারাইজেশনের বাইরে। সেখানে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে সেবা দেওয়া হয়, যার ধারণ ক্ষমতা খুবই সীমিত। আবার আমাদের মোবাইল নেটওয়ার্কের যে কাভারেজ ও ক্যাপাসিটি আছে, তাতেও সমস্যা আছে। হাইওয়ে মোবিলিটি কভারেজের সমস্যা আছে। স্টারলিংক এসব সমস্যার সমাধান করবে।

তিনি জানান, স্টারলিংক বাংলাদেশের মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করবে। এর মাধ্যমে ভয়েস কল এবং ডেটা বান্ডেলভিত্তিক গতানুগতিক ইন্টারনেট সেবাদান ব্যবস্থা ডিজিটাল সার্ভিস কেন্দ্রিক নতুন রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, স্টার্লিংকের সার্ভিসের ফলে কমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রিতে ডিরেগুলেশনের সূচনা হবে। প্রতিযোগিতা বাড়বে, শহর কিংবা গ্রামভেদে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্পন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির নিশ্চয়তা তৈরি হবে।

মন্তব্য

p
উপরে