× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
I had to pay for free solar panels
google_news print-icon

টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে বিনা মূল্যের সোলার প্যানেল

টাকা-দিয়ে-নিতে-হচ্ছে-বিনা-মূল্যের-সোলার-প্যানেল
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় বিনা মূল্যে সোলার প্যানেল দেয়ার কথা থাকলেও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা টাকার বিনিময়ে সোলার প্যানেল দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ উঠেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিনা মূল্যের প্যানেল পেতে সুবিধাভোগীদের ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। এলাকার দালালচক্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকা চলে গেছে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের পকেটে। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, নতুন প্রকল্পেও তাদেরই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের নতুন পদ সৃষ্টি করে আবার নিয়োগ দিয়েই শুরু হলো বিনা মূল্যে সোলার বিতরণ প্রকল্পের কাজ। সরকার থেকে বিনা মূল্যে বলা হলেও সোলার প্যানেল দেয়া হচ্ছে টাকার বিনিময়ে। এমনটিই ঘটেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সৌরবিদ্যুৎ (সোলার প্যানেল) স্থাপন প্রকল্পে।

অভিযোগ উঠেছে, চলতি অর্থবছরে পার্বত্যাঞ্চলে বিনা মূল্যে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে কোনো পদ না থাকলেও মন্ত্রণালয়ে তদবিরের মাধ্যমে তিন জেলায় কনসালট্যান্ট পদ বানিয়ে সাতজনকে নিয়োগ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।

রাঙ্গামাটির সোলার প্যানেল প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার লিটন চাকমা, প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার, বান্দরবানের আশুতোষ চাকমা ও খাগড়াছড়ির কামাল উদ্দিন– এ চারজনের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে টাকার বিনিময়ে সোলার প্যানেল দিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সূত্র নিউজবাংলাকে জানায়, ২১৭ কোটি টাকার ব্যয়ে ১৫ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প’ উদ্বোধন হয়েছে।

বান্দরবান জেলার রুমার গ্যালেঙ্গায় এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। এতে ১২২ পরিবার পাবেন বিনা মূল্য ১৫০ ওয়াটের একটি করে সোলার প্যানেল, চারটি লাইট ও একটি ফ্যান।

প্রকল্পে ৪০ হাজার হোম সিস্টেম ও ২৫০০টি কমিউনিটি সিস্টেম সোলার প্যানেলসহ যাবতীয় সরঞ্জাম দেয়া হবে। এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২৩ সালের শেষের দিকে।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে সোলার প্যানেল প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ৭৬ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার টাকা, যার সুবিধাভোগী হোম সিস্টেম ১০ হাজার ৮৯০ এবং কমিউনিটি সিস্টেম ২০ হাজার ৮১৪টি।

বিনা মূল্যের সরকারি সোলার প্যানেল বিতরণের নির্দেশনা থাকলেও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এসব কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কয়েকটি দালাল সিন্ডিকেটকে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কোনো স্টাফ নন এমন কয়েকজন ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধাভোগীর তালিকা তৈরি করেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, এ দালাল সিন্ডিকেটের মধ্যে রাঙামাটিতে সুবিধাভোগীদের তালিকা করতেন কে কে রায় সড়কের অনিল চাকমা ওরফে জীবন বাপ। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কোনো স্টাফ না হয়েও সোলার প্যানেল পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

এতে প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে অভিযোগ। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কয়েকজন চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং এলাকার প্রতিনিধি নামধারী দালালচক্রও এর সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থ ব্যয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে।

প্রকল্পটি ২০১৫-১৬ অর্থবছর অনুমোদন হয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয় পরবর্তী অর্থবছর থেকে। শেষ হয়েছে ২০১৯ সালের জুন মাসের দিকে।

এ প্রকল্পের আওতায় প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুৎবঞ্চিত পরিবার এবং বিভিন্ন সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিনা মূল্যে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেয়ার কথা।

তবে এই প্রকল্প নিয়ে অবৈধভাবে টাকা আদায়সহ চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। সম্পূর্ণ সরকারি খরচে সরাসরি সুবিধাভোগীর ঘরে গিয়ে স্থাপন করে দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে এক জায়গায় বসে একসঙ্গে অনেককে বিতরণ করা হয়ে থাকে ওই সব সোলার প্যানেল।

প্যানেল নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহারে সুবিধাভোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নেই।

প্রতিটি সোলার প্যানেল বিতরণের বিপরীতে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ৫-৭ হাজার টাকা করে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা ছাড়া বিনা মূল্যের সরকারি সোলার প্যানেল জোটে না।

প্রকল্পে রাঙ্গামাটিতে বিনা মূল্যে সরকারি সোলার প্যানেল স্থাপন নিয়ে দুর্নীতিতে জড়িতদের মধ্যে প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার, কারিগরি কর্মকর্তা লিটন চাকমা, অফিস সহকারী সত্যজিৎ চৌধুরী ও দালালচক্রের অনিল চাকমা ওরফে জীবন বাপসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ব্যক্তির নাম উঠে আসছে।

প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলমের ছেলে। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যসহ দালাল শ্রেণির স্থানীয় কিছু ব্যক্তিও এর সঙ্গে জড়িত।

মূলত এদের মাধ্যমেই সোলার প্যানেলের বিপরীতে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করে থাকেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে আদায় করা টাকার একটি ভাগ পান দালালরা। বাকি সিংহভাগ অর্থ ভাগাভাগি হয় প্রকল্প সমন্বয়ক ও কারিগরি কর্মকর্তাসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে।

রাঙ্গামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝন্টু চাকমা, কালাইয়া চাকমা, জ্যাশন চাকমা, অতীশ চাকমা, রিপন চাকমা, মোহন চাকমা, চিকন চাকমা, অরুণ চাকমা, অমর জ্যোতি চাকমাসহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, প্রকল্পে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রামে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৮৮ সোলার প্যানেল দেয়া হয়েছে। ওই সব প্যানেলের সিংহভাগের বিপরীতে দিতে হয়েছে ৫-৭ হাজার টাকা। ওই সব সোলার প্যানেলে শুধু বন্দুকভাঙা ইউনিয়ন থেকে অন্তত ১৫ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

এসব টাকা দিতে হয়েছে বিতরণকালে উপস্থিত থাকা প্রকল্প সমন্বয়ক ও কারিগরি কর্মকর্তা লিটন চাকমাসহ প্রকল্পসংশ্লিষ্ট লোকজনকে। এলাকার প্রতিনিধি নামধারী দালাল ব্যক্তিদের মাধ্যমেই টাকাগুলো দিতে হয়েছে।

তা ছাড়া প্যানেলগুলো এক জায়গায় বসে বিতরণ করা হলেও সবগুলো সরাসরি সুবিধাভোগীদের ঘরে গিয়ে স্থাপন করে দেয়া হয়নি। অথচ প্রকল্পে এসব সোলার প্যানেল স্থাপন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলাদা বরাদ্দ আছে। ভুয়া বিল দেখিয়ে ওই সব খরচের টাকাও আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকল্প পরিচালক বরাবরে লিখিতভাবে দাখিল করলেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

সোলার প্যানেল বিতরণের তালিকায় ছিল তপোবন বনকুটির ও বরকল ভূষণছড়ার জুনোপহর উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম। তালিকায় নাম থাকলেও সেখানে দেয়া হয়নি সোলারের কোনো সরঞ্জাম।

এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলার ৩ নম্বর বুড়িঘাট ইউনিয়নের তপোবন বনকুটিরের (অনাথ আশ্রম) রঞ্জন বিকাশ চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোলার দেবে বলে টেকনিক্যাল অফিসার লিটন চাকমা তালিকা করেছেন। সোলার প্যানেল যারা পাবে, সেই তালিকায় আমাদের নাম দেখছি। কিন্তু এখনও পাইনি।’

একই কথা বলেন বরকল ভূষণছড়ার জুনোপহর উচ্চ বিদ্যালয়ের সুরেশ সুর চাকমা। তিনি বলেন, ‘নাম জমা নিছে। এখনও খবর নেই।’

খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছর এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সোলার প্যানেল বিতরণে রাঙ্গামাটির বরকল এবং লংগদু উপজেলার বহু মানুষের কাছ থেকে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। আদায় করা টাকা দেয়া হয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সত্যজিৎ চৌধুরীর কাছে। আর টাকা আদায় করা হয়েছে স্থানীয় কিছু দালাল শ্রেণির ব্যক্তির মাধ্যমে, যাতে পূর্বসম্মতি ছিল রাঙ্গামাটির প্রকল্প সমন্বয়কের।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন সত্যজিৎ চৌধুরী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’

রাঙ্গামাটির প্রকল্প সমন্বয়ক হাসান শাহরিয়ার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ভুল থাকবে স্বাভাবিক। গত প্রকল্পে যা হওয়ার হয়েছে, চলতি প্রকল্পে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করা হবে না। তা ছাড়া আমাদের নাম ব্যবহার করে যদি কেউ সোলার প্যানেল দেয়ান মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়, তাহলে তা আমাদের কপালের দোষ। প্রকল্পে সরকারি টাকায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেয়া হচ্ছে।

‘এতে কেউ কাউকে টাকা দিয়েছেন কি না, তা নিয়ে তথ্য-প্রমাণাদিসহ লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে সত্যতা যাচাই করা হবে। সুবিধাভোগী প্রতিটি ঘরে গিয়ে সোলার প্যানেল স্থাপন করে দেয়া হয় এবং পরে প্রশিক্ষণসহ ব্যবহারবিধির বই দেয়া হয় তাদের হাতে।’

রাঙামাটির সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার লিটন চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কনসালটেন্ট পদে আমাকে ও শাহরিয়ারসহ মোট সাত জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পে অতীতে যা হয়েছে, বাদ দেন। সামনে ভালো কিছু করার চেষ্টা করা হবে। নিউজ করলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। এমনি অনেক সমস্যায় আছি।’

খাগড়াছড়ির কমলছড়ির বাসিন্দা বিনতি চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোলার দিবে বলে নামের তালিকা দিয়েছিলাম। শুনেছি সোলার প্রকল্প শেষও হয়েছে। কিন্তু এখনও সে সোলার বাড়িতে আসল না। প্রধানমন্ত্রীর বিনা মূল্য সোলার প্রকল্পেও দুর্নীতি হয়!’

তবে এসব কিছু জানেন না বলে দাবি করছেন খাগড়াছড়ির সোলার প্যানেল স্থাপন প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার কামাল উদ্দিন। তার কাছ থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং পদ সৃষ্টি করে নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে রং নাম্বার বলে মোবাইলের কল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

পরে অন্য মোবাইল নাম্বর দিয়ে কল দিলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই-আড়াই বছর প্রকল্প কোনো কিছু ছিল না। এ বিষয়ে সম্পূর্ণ বলতে পারব না।’

সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অনিল চাকমা ওরফে জীবন বাপ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ করা হয়েছে, সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি শাহরিয়ার ও লিটনের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে পরে জানাচ্ছি।’

বান্দরবানের দুর্গম এলাকায় সোলার প্যানেল বিতরণ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে সেখানকার টেকনিক্যাল অফিসার আশুতোষ চাকমার বিরুদ্ধে।

থানচি থেকে চহ্লা মারমা নিউজবাংলাকে বলেন, থানচি ও রুমা উপজেলার এলাকা থেকে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন আশুতোষসহ দালাল সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে অনেকে মুখ খুলতে চায়নি। তবে সোলার প্রকল্পের বিষয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচার হয়েছে।

টাকা দিয়ে নিতে হচ্ছে বিনা মূল্যের সোলার প্যানেল

জানতে চাইলে বান্দরবান সোলার প্যানেল স্থাপনের টেকনিক্যাল অফিসার আশুতোষ চাকমার সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন (উপসচিব) কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকা, যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেখানে বিদ্যুতের আলো পৌঁছাবে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। যে এলাকায় সোলার স্থাপন করা হবে, সেখানকার কেউ সোলার প্যানেল থেকে বঞ্চিত হবে না।

‘তবে যারা গত অর্থ বছরে সোলার পেয়েছেন, তারা এবার সম্পূর্ণ বাদ যাবেন। প্রতি সুবিধাভোগী এবারে পাবেন ১৫০ ওয়াটের সোলার প্যানেল, ব্যাটারি, চারটি লাইট ও একটি ফ্যান।’

কনসালট্যান্ট পদে নিয়োগ হওয়া অভিযুক্তদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা কনসালট্যান্ট পদে নিয়োগ হয়েছেন, তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অতীতে কী অভিযোগ ছিল, আমার জানা নেই। তবে নতুন প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শতভাগ নিশ্চয়তা দেব।’

অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কেন পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সবাইকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তা নয়। দু-একজনের হয়তো নিয়োগ হয়েছে। তা ছাড়া পিডিপির নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসন থেকে প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি থেকে তাদের পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রকল্প হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিনা মূল্যে সোলার বিতরণ প্রকল্প। যারা সুবিধাভোগী, তারা যদি সোলার পেয়ে থাকে, তা হলে বিনা মূল্যে পাবে।’

আরও পড়ুন:
পাহাড়ে শান্তির কপোত কি অধরা?
পার্বত্য অঞ্চল বোঝা হবে না: বীর বাহাদুর
পার্বত্যচুক্তি ২৩ বছরেও অকার্যকর কেন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Demand for small and medium beef in Chittagong Hut

চট্টগ্রামের হাটে ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা

চট্টগ্রামের হাটে ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা

কোরবানির ঈদের আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম নগরীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। এবার চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর।

টানা ছয়দিন বৃষ্টির পর বুধবার সকাল থেকে তা কিছুটা কমায় হাটমুখো হয়েছেন ক্রেতারা। তবে এর মাঝেও থেমে থেমে চলা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ভোগাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

কাদা আর গরুর হাটের আবর্জনা মাড়িয়ে হাটগুলোতে চলছে দরদাম। জমে উঠেছে বেচাকেনাও। ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা এবার সবচেয়ে বেশি।

বুধবার বিকালে নগরীর বিবিরহাট গরুর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এই হাটে বেশিরভাগ গরু এসেছে উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও গরু নিয়ে হাটে এসেছেন ব্যাপারিরা।

জামালপুর থেকে তিনদিন আগে এই হাটে আসা বিক্রেতা সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২২টা গরু নিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত চাইরটা বেচছি। লোকজন দাম বলে কম।

“দুই লাখ ২০ হাজার টাকা একটা গরুর দাম চাইলাম। কাস্টমাররা ১ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত বলছে। এই দামে গরু বেচা সম্ভব না। আরেকটু বাড়তি পেলে বিক্রি করতাম।”

তবে পাল্টা অভিযোগ ক্রেতাদের; বলছেন- বিক্রেতারা দাম ছাড়ছে না; ঈদের আগের দুই দিনের বাজার পরিস্থিতি দেখার অপেক্ষায় বিক্রেতারা।

এই হাট থেকে দেড় লাখ টাকায় একটি গরু কিনে ফেরার পথে নগরীর কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বুধবার বলেন, “গরুর দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে খুব বেশি না।

“বাজারে অনেক গরু আছে। আজকে একটা কিনলাম। কালকে বাজার দেখে আরেকটা কিনব।”

বুধবার নগরীর আতুরার ডিপো থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিবিরহাটে গরু কিনতে আসা আকবর হোসেন বলেন, “একটার সময় হাটে আসছি। ৩ ঘণ্টা ঘুরে বেশ কয়েকটা গরু দেখলাম। বাজারে গরু আছে পর্যাপ্ত। কিন্তু ব্যাপারিরা দাম ছাড়ছে না।

“তারা মনে করছে কাল-পরশু দুইদিন সময় হাতে আছে। আমরাও অপেক্ষা করব। কালকে দেখেশুনে কিনব।”

বুধবার দুপুরে গিয়ে নগরীর সবচেয়ে বড় কোরবানি পশুর হাট সাগরিকা গরুর বাজারেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের গরু নিয়ে এসেছে ব্যাপারিরা।

সাগরিকা গরুর বাজারে কুষ্টিয়া থেকে ৪৫টি গরু নিয়ে আসা সিরাজুল আলম বলেন, “চারদিন হলো আসছি। আমাদের বেশিরভাগই বড় গরু। বৃষ্টি বেশি থাকায় এতদিন হাটে লোকজন আসেনি।

“কালকে আর আজকে মিলে মাঝারি সাইজের ৫টা গরু বেচছি। বড় গরুর পার্টি আজকে কেবল আসা শুরু করছে। তারা দর দেখতেছে। কালকে থেকে হয়ত কিনবে।”

সাগরিকা গরু বাজারের হাসিল গ্রহণকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “হাটে প্রচুর গরু আছে। এতদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় লোকজন খুব একটা আসেনি। আজকে আসতেছে। বেচাকেনাও হচ্ছে। শহরের লোকজন কোরবানের ২-৩ দিন আগেই গরু কেনে।

“আমাদের হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিমও আছে। এখন পর্যন্ত সব ভালোভাবে চলছে।”

বিবিরহাট গরু বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুধবার বিকালে একটি দলকে টহল দিতে দেখা গেছে। তারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন। হাটের বাইরেও সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।

এ হাটে গরুর চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি দল কাজ করছে।

এই দলের সদস্য সুব্রমনিয়ম বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দূর-দূরান্ত থেকে গরুগুলো দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িতে করে এখানে আনা হয়। পাশাপাশি গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি পড়েছে।

“একারণে কিছু কিছু গরুর শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এরকম গরু চিহ্নিত হলে জ্বরের ওষুধ ও অ্যান্টি হিস্টামিন ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০টি গরু নিয়ে গত ২৯ মে বিবিরহাটে এসেছেন আবদুস সামাদ ও তার সঙ্গীরা। সেখানে গরুগুলোর পাশেই খালি জায়গায় নিজেদের জন্য খাবার রান্নার কাজও চলছিল।

আবদুস সামাদ বলেন, “এতদিন বৃষ্টিতে খুব কষ্ট পাইছি। কালকে থেকে বিক্রি শুরু হইছে। আজ পর্যন্ত ১১টা গরু বিক্রি করছি। বাকি গরু আশা করি, কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে।”

হাটের বাইরে গরু সাজানোর গলার মালা বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রেতা মো. শফিও খুশি বেচাকেনা জমে ওঠায়। দেড়শ থেকে তিনশ টাকার মধ্যে মালা বিক্রি করছেন তিনি।

গরুর সাজসজ্জা সামগ্রী বিক্রেতা মো. শফি বলেন, “গতকাল প্রায় ১০ হাজার টাকার মাল বেচেছি। আজকেও বিক্রি ভালো। বৃষ্টির কারণে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি বাড়লে মানুষ হাটে কম আসে।”

বিবিরহাট বাজার লাগোয়া বাইরের গলিতে বিক্রি হচ্ছে ছাগল। সাড়ে ১৯ হাজার টাকায় একটি ছাগল কেনা হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, “বাড়ি যাবার পথে ছাগল কিনে নিলাম। গরু কিনব গ্রামে খামারির বাড়ি থেকে।”

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর সংখ্যা মোট ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৬২টি। জেলায় এবার কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। সে হিসাবে জেলায় এবার ৩৫ হাজার পশুর ঘাটতি আছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৪০ হাজারের বেশি গরু এসেছে আজকে পর্যন্ত। আরো আসতে পারে। কাজেই এবার গরুর স্বল্পতা হবে না।

“গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম সামান্য বেড়েছে। এটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। হাটগুলোতে বিক্রিও শুরু হয়েছে। হাটে আসা গরু-মহিষে তেমন কোনো রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়নি।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২৪ সালে জেলায় কোরবানি হয়েছিল ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৮টি পশু।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nine Six for the advanced varieties of grass farming projects at Daulatpur Livestock Department

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে উন্নত জাতের ঘাস চাষ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খামারীকে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ‘‘শীর্ষক” প্রকল্পেরে আওতায় দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতি ইউনিয়নে ২জন করে নির্বাচিত ২৮ জন খামারীকে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ প্রর্দশনী প্লট স্থাপন বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সরকারি এ বরাদ্দকৃত অর্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারীদের প্রদান করেন জনপ্রতি ৪৪০০ টাকা। এতে খামারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের খামারী ময়না খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ সেটা ঠিক জানিনা, তবে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে মোট ৮৮০০ টাকা আমাকে দিয়েছে।

মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামের খামারী জোয়াদুর রহমানসহ একাধিক খামারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের বরাদ্দ ৫০০০ টাকা থাকলেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে ৮৮০০ টাকা সকলকে দিয়েছে। কেন কম দিলো সেটা আমরা জানিনা।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কমিউনিটি এক্সট্রেনশন এজেন্ট শাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা স্যার যা বলেছে আমি তাই করেছি, আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম খামারীদের প্রাপ্য অর্থ কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অডিট ও মাঠ পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য টাকা কম দেয়া হয়েছে। এসকল খরচ তো আমি পকেট থেকে দেবনা। তাই খামারীদের ৬০০ টাকা করে কম দেয়া হয়েছে। আপনি অফিসে আসেন কথা বলি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Surma Kushiyara at 5 points of water is above the danger line

সুরমা-কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে

নিম্নাঞ্চলে নতুন করে বন্যার শঙ্কা
সুরমা-কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে

ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। এতে করে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদী দুটির চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বইছে ১৩ দশমিক ৬২ মিটার উচ্চতায়। যেখানে বিপৎসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে ১৭ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায়, যেখানে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৫১ মিটার উচ্চতায় বইছে, যেখানে বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৪৬ মিটার ওপরে রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বইছে ৯ দশমিক ৭৯ মিটার উচ্চতায় যা বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৩৪ মিটার বেশি।

পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানি এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে উজানের ঢলের প্রভাব বেশি পড়ছে সীমান্তবর্তী পয়েন্টগুলোতে।

এদিকে, জেলার ধলাই নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি কমতির দিকে আছে।

জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ভারতের দিক থেকে হঠাৎ করে ঢল নামায় কুশিয়ারা নদীর পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। নদীর পাড়ঘেঁষে অনেক ঘরবাড়ি আছে, এখনই পানি না নামলে কয়েকদিনের মধ্যেই প্লাবিত হওয়ার ভয় আছে। আগে থেকে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিচু এলাকা ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রত্যন্ত ও প্লাবনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ
The Sundarbans will be surrounded by nets to prevent tigers in the locality

লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা, রুখতে জাল দিয়ে ঘেরা হবে সুন্দরবন

লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা, রুখতে জাল দিয়ে ঘেরা হবে সুন্দরবন

সুন্দরবন বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় প্রায়ই বাঘ চলে আসে। সম্প্রতি এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাই লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ রুখতে বাঘ প্রকল্পের বিস্তীর্ণ অংশ ঘেরা রয়েছে জালের বেড়া দিয়ে। তবে বহু অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। আবার বেশ কিছু জায়গায় এখনও দেওয়া হয়নি জালের বেড়া। এবার বন্যপ্রাণী বিশেষ করে বাঘের প্রবেশ থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করতে পুরনো নেট পরিবর্তন করে নতুন নেট লাগানো হবে। একইসঙ্গে, এখনও পর্যন্ত যেসব এলাকা অরক্ষিত রয়েছে সেগুলি প্রথমবার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।

বাঘ প্রকল্পের দুটি রেঞ্জে ১০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে জালের বেড়া রয়েছে। এই পুরো এলাকা জুড়ে নতুন জাল লাগানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন আধিকারিকরা। জুলাইয়ের শেষ থেকে তাঁরা এই কাজ করতে চাইছেন। সে বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আধিকারিকরা। এই অবস্থায় কথাটা যার প্রয়োজন? কত খরচ পড়বে? তার হিসেবে চলছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বন বিভাগের কাছে প্রস্তাব দেবেন আধিকারিকরা। এবিষয়ে বাঘ প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনও পরিকল্পনা চলছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে এই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনে। যার ফলে বিভিন্ন অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আর সেই সুযোগে বার বার লোকালয়ে এসে পড়ে বাঘ। তাছাড়া, বহুদিন ধরে নতুন জল লাগানো হয়নি। অনেক জায়গায় জলের বেড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এসব কারণেই নতুন জাল লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন বা প্রকল্পের আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, বিশেষ করে গত বছর সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাঘের আনাগোনা বেড়েছিল। এইসবের কারণে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সে কথা মাথায় রেখেই ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কোনও বনাঞ্চল রাখতে চাইছেন না আধিকারিকরা। তাই বাসিন্দাদের সুরক্ষায় যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত জালের বেড়ার সুযোগে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ না করতে পারে তারজন্য নতুন জল টাঙানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন বাঘ প্রকল্পের আধিকারিকরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In front of the sacrifice is a cattle hut 

কুরবানি সামনে রেখে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট 

কুরবানি সামনে রেখে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট 

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা।আসন্ন কুরবানীকে কেন্দ্র করে পাথরঘাটায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট।গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে ঝিরিঝিরি ও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে পাথরঘাটায়। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও পাথরঘাটার সব থেকে বড় গরুর হাট নাচনাপাড়া মানিকখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু।আজ সোমবার(২জুন) সকাল থেকে শুরু করে দুপুর তিনটা পর্যন্ত ছোট-বড়-মাঝারি আকারের গরু, কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। এদিন সরবরাহ বেশি থাকায় মূল হাটের আশেপাশেও গরু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন ক্রেতারা।

হাটে ক্রেতা আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল কিছুটা কম। অধিকাংশই দেখেছেন, যাচাই করছেন দাম। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, ছোট আকারের দুই থেকে চার মন ওজনের গরু, বিক্রি হয়েছে ষাট হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে। মাঝারি আকারের তিন থেকে পাঁচ মন ওজনের গরুর দাম, ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার মধ্যে। বিশাল আকারের গরু এই বাজারে তেমন ছিল না।

নাচনাপাড়া ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া গ্রামের রুস্তম আলী জানান, বাজারে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকার গরুর চাহিদা বেশি। যারা ছোট গরু বাজারে এনেছেন তারা কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন। বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রিও কম। খুব বেশী লাভ হচ্ছে না।

নাচনাপাড়া ইউনিয়নের খামারি ফারুক "প্রতিদিনের সংবাদকে" বলেন, পশু পালনে খরচ বেড়েছ। কিন্তু সে তুলনায় মিলছে না দাম। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, গত বছর ২ হাজার টাকায় যে খড় পাওয়া যেত এবছর তার দাম ৩ হাজার টাকা। ভূষি, খুদ, কুড়ার দামও প্রায় আগের তুলনায় ৫০ ভাগ বেড়েছে। খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই।

ক্রেতাদের ভাষ্য, বৈরি আবহাওয়ার জন্য ক্রেতা কম। এছাড়াও বিগত বছরগুলোতে যারা বড় বড় গরু কিনতেন রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারনে তাদের বেশিরভাগ পলাতক। ফলে বাজারে গরু বেচাকেনা কম। সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ। এ কারণে বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা।

রাসেল নামের এক ব্যাপারী "প্রতিদিনের সংবাদকে" বলেন, যারা পলাতক তারা অনেক টাকার মালিক ছিল। অনেকগুলো কোরবানি দিত। বড় থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও গরু কিনত। সেই অংশটা বাজারে না আসায় চাঙ্গা ভাবটা নেয়।

জ্ঞানপাড়া গ্রামের নসির মীর গরু কিনতে এসে বলেন, আমি একটি গরু আগেই কিনেছি এখন, ঘুরে ঘুরে গরু দেখছি। বাজেট আর পছন্দ মতো হলে আরও একটা কিনব।তিনি আরো বলেন, কোনো হাটেই জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে না। বড় গরুর বিক্রি নেই বললেই চলে। বড় গরুর খামারিদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

ইজারাদার হাবিবুর রহমান "প্রতিদিনের সংবাদ"কে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর হাটে গরু বেচা কেনা খুবই কম। আগে এমন সময় হাটে প্রায় ১০০ গরু বিক্রি হতো আর এ বছর ৫০ টা ও বিক্রি হচ্ছে না। তবে শেষ দিকে গরু বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা এই ইজারাদারের।তিনি ক্রেতা- বিক্রেতাদের উদ্দেশ্য আরো বলেন, হাটে পর্যপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন তারা।

বাংলাদেশ
Hafiz Ibrahims financial assistance to the victims under the influence of low pressure in Borhanuddin

বোরহানউদ্দিনে নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের হাফিজ ইব্রাহিমের আর্থিক সহায়তা

বোরহানউদ্দিনে নিম্নচাপের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের হাফিজ ইব্রাহিমের আর্থিক সহায়তা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ টবগী ও হাসাননগরের পানিবন্দী পরিবারকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাফরুজা সুলতানার দিক-নির্দেশনায় শুক্রবার ( ৩০ মে ) বিকেল ৪ টায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে হাসাননগরের পুরান হাকিমুদ্দিন বাজার ও টবগী ৪নং ওয়ার্ডে পানিবন্দী এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক শহীদুল আলম নাসিম কাজী।

এসময় তারা টবগী ও হাসাননগর ইউনিয়নে নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ একশত পরিবারের মাঝে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন শেষে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক সরোয়ার আলম খাঁন ও যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী মো: শহীদুল আলম নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বোরহানউদ্দিনের মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী শতাধিক বাড়িঘর ডুবে যায়। এছাড়া হাকিমুদ্দিন থেকে কাজীরহাটে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে সে বেড়িবাঁধের দুটি জায়গায় ছিদ্র হয়ে পড়ায় লোকালয়ে পানি ডুকে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্কেকের সৃষ্টি হয়। পরে আমাদের টবগী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেজোয়াল সহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেড়িবাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে দুটি পয়েন্টে মাটি দিয়ে ভরাট করে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে একশত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আরো সহায়তা করা হবে। তারা বলেন, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই বেড়িবাধটি পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন না করলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরহানউদ্দিন উপজেলা হুমকির মুখে পড়বে। তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের আহ্বান এই বেড়িবাঁধটি অতিদ্রুত পুনঃসংস্কার করা হোক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আলমগীর মাতাব্বর, হাসাননগর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির পাটোয়ারী, সমাজ সেবক সোহেল হাওলাদার, টবগী ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হাওলাদার, হাসাননগর যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক হান্নান সর্দার, টবগী যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম শেফজল, পৌর যুবদল যুগ্ন আহ্বায়ক সুমন পঞ্চায়েত, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক তানজিল হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন টিপু প্রমূখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The low pressure has crossed the coast

নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করেছে

নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করেছে ছবি: সংগৃহীত

সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রমরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিম্নচাপটি বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৭ টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাসমূহের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসাথে ভারী বর্ষণজনিত কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।

এছাড়া অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, পাবনা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

মন্তব্য

p
উপরে