চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ধানবোঝাই গরুর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে আল আমিন নামে দেড় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আল আমিন জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের পূর্বপাড়ার উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে।
উজ্জ্বল হোসেন জানান, বিকেলে বাড়ির সামনে খেলছিল আল আমিন। এ সময় রাস্তা পার হতে গেলে একটি ধানবোঝাই গরুর গাড়ির চাকার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয় সে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যায় শিশুটি। তার বুকের হাড় ভেঙে গেছে। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:পায়রা বন্দরের জন্য উচ্চক্ষমতার দুটি টাগবোট নির্মাণ করছে খুলনা শিপইয়ার্ড।
৭০ টন বোলার্ড পুলবিশিষ্ট দুটি টাগবোট তৈরি করা হবে। নির্মাণ শেষ হলে এ দুটি হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বোলার্ড পুল ক্ষমতার টাগবোট।
সোমবার দুপুরে খুলনা শিপইয়ার্ডে দুটি টাগবোটের কিল লেয়িং উদ্বোধন করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।
তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। অচিরেই এটি দেশের আমদানি-রপ্তানির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে প্রচুর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে।
পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, জাহাজ নির্মাণে খুলনা শিপইয়ার্ডের ঐতিহ্য রয়েছে। ভবিষ্যতেও পায়রা বন্দর ও খুলনা শিপইয়ার্ড পারস্পরিক উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজিজ। উপস্থিত ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর এম মামুনুর রশীদসহ শিপইয়ার্ডের কর্মকর্তারা।
খুলনা শিপইয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টাগ বোট দুটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন হবে। এটা আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় যাতায়াতে সক্ষম।
বোট দুটি বন্দরের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়াবে। এ ছাড়া পায়রা বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বন্দরে পরিণত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
সাত ঘণ্টা ধরে জ্বলছে গাজীপুরের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কারখানার আগুন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
কারখানার লার্জ ভলিউম প্যারেন্টাল ইউনিটে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগে।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, প্রথমে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ও মির্জাপুরের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
আগুন বাড়তে থাকলে কালিয়াকৈর থেকে আরও একটি, মির্জাপুর থেকে একটি, টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে দুটি, সাভার ইপিজেড থেকে দুটি, জয়দেবপুরের দুটি ও ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়ার্টার থেকে দুটি ইউনিট এসে যোগ দেয়।
স্টেশন মাস্টার বলেন, ‘কারখানার নিচতলা, দ্বিতীয় তলা, তৃতীয় তলাসহ প্রতিটি ফ্লোরেই আগুন ছড়িয়েছে। যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে সেখানে ওষুধ তৈরির নানা কেমিক্যাল ও দাহ্য পদার্থ রয়েছে। যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’
এ ঘটনার তথ্য ও ছবি সংগ্রহে কারখানা এলাকায় সংবাদকর্মীদের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
চ্যানেল-২৪-এর গাজীপুর প্রতিনিধি রফিক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। তবে কারখানার গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। পাশের সিমেন্ট কারখানা থেকে অনেক কষ্টে ফুটজ ও ছবি সংগ্রহ করছি।’
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে কারখানার নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলতে চাননি।
আরও পড়ুন:তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। নববধূর হাতে মেহেদির রং এখনও শুকায়নি। এর মধ্যেই বিষপান করে একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী! কিন্তু এ ঘটনাটিকে রহস্যজনক বলছে তাদের স্বজন ও পরিচিতরা। কারণ মাত্র তিন মাসেই সুখী দম্পতি হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন তারা।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাটি দাপুনিয়া এলাকায় রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নবদম্পতির এমন মৃত্যুকে রহস্যজনক বলছে পুলিশও।
নিহত দম্পতির মধ্যে ২২ বছর বয়সী স্বামী রনি মিয়া ভাটি দাপুনিয়া এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। আর ১৯ বছর বয়সী স্ত্রী সেতু আক্তার নগরীর বলাশপুর কসাইপাড়া এলাকার তারা মিয়ার মেয়ে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক ফারুক হোসেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, তিন মাস আগে রনি ও সেতুর বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে মধুর সম্পর্ক ছিল। রোববার মধ্যরাতে নিজ বাড়িতে বিষ পান করেন তারা।
বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন ওই নবদম্পতিকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সেতু আক্তারের বাবা তারা মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তারা স্বামী-স্ত্রী সুখেই ছিল। প্রায় দিনই মোবাইলে কথা বলতাম। গত রাত ১২টার দিকেও মেয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি। তখন তারা ভালোই ছিল। কথা বলার আধঘণ্টা পর শুনি মেয়ে অসুস্থ। পরে হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি মেয়ে আর জামাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না। কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না।’
দাপুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে গেছি। এরা এভাবে মারা যাবে কল্পনাও করিনি। মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ দুইজনের সুখের সংসার ছিল।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যু রহস্যজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন:দুই সপ্তাহ ধরে লাগাতার বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের হাওরের জনপদ। টানা ছয় দিন সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শনিবার রাত থেকে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে সুনামগঞ্জে বাড়ি-ঘর থেকেও বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও হাওরপাড়ের মানুষের বেড়েছে দুর্ভোগ। বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির সঙ্কটে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ শহরের শান্তিবাগের বাসিন্দা বিমল রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চার দিন আগে ঘরে পানি উঠেছিল। এখন পানি নামা শুরু করেছে, কিন্তু ঘরে পানি আইয়া সব জিনিস নষ্ট করি দিসে। ছেলেটাও অসুস্থ হই গেছে এই পানিতে থেকে।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লালপুর এলাকার শ্রমজীবী রোকন আলী বলেন, ‘পানি কমলেও সারা ঘর জুড়িয়া পানির পচা গন্ধ। আমরা নদী থাকি পানি আনিয়া খাইতাম, এখন এই পানিও ভালা না। অনেক দূর থেকে টিউবওয়েল থেকে পানি আনিয়া খাইরাম।’
শহরের উত্তর আরপিন নগর এলাকা লুকনা বিবি বলেন, ‘দুই মেয়ে স্বামী নিয়া তিনদিন হাঁটু পানিতে থেকেছি। এখন পানি নামছে তো বড় মেয়ের ডায়রিয়া আর ছোট মেয়ের সারা শরীরও চুলকানি। ফার্মেসি থাকি তারার বাবায় ওষুধ আনিয়া দিসোইন এগুলো খাওয়াচ্ছি।’
শহরতলির ভাদেরটেক গ্রামের বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ‘১২ মে সড়ক ভেঙে করচার হাওরের উঁচু এলাকায় পানি ঢুকে ধান ডুবেছিল। পানির নিচ থেকে কেউ কেউ ধান কেটে এনেছিলেন, কিন্তু এই ধান শুকানোর সুযোগ না পাওয়ায় পচে নষ্ট হচ্ছে আবার অনেক ধানে চারা উঠে গিয়েছে।’
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামছুদ্দোহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার সকালে সুরমা নদীর পানি ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আবহাওয়া এখন ভালো, ২৪ ও ২৫ মে বৃষ্টি কমবে। এই দুদিন উজানেও (মেঘালয়-চেরাপুঞ্জি) বৃষ্টি কম হবে।’
বানের জলে ভেসে গেছে ১২৫০ পুকুরের মাছ
জেলায় পাহাড়ি ঢলে ধানের পাশাপাশি মাছেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসাবে ১ হাজার ২৫০টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
সেরা মৎস্য খামারির পুরস্কার পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুর রহিম জানান, ব্যাংক থেকে ১২ লাখ টাকা ঋণ তুলে মাছ চাষ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘রুই, মৃগেলসহ দেশীয় জাতের পোনাও বেশি ছেড়েছিলাম এবার। কিন্তু চাষের বেশির ভাগ মাছই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এখন কী করবেন বুঝতে পারছি না।’
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সীমা রানী বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জেলার ২০ হাজার ৪৬৯টি মাছের পুকুরের মধ্যে ১ হাজার ২৫০ পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ১৬ হাজার ৫০০ খামারির মধ্যে ১ হাজার ১০০ খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
‘প্রায় ৩ কোটি টাকার বড় মাছ, ৩০ লাখ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে। ১২ লাখ টাকার অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।’
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৫টি উপজেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। বন্যার্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন, আমরা তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সেখানও ত্রাণসামগ্রী দেয়া হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সচাপায় এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো আব্দুল মালিকের বাড়ি মৌলভীবাজারে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের।
ওসমানী হাসপাতাল ফাঁড়ি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পার্কিং করার সময় আব্দুল মালিককে চাপা দেয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বুলেন্স। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সমন্বয়ক কায়সার খোকন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে আনার আগেই আব্দুল মালিক মারা যান। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।’
হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক জানান, হাসপাতাল চত্বরের ভেতর সব সময় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের ভিড় থাকে। তাদের কারণে রোগীদেরও দুর্ভোগও পোহাতে হয়। এসব অ্যাম্বুলেন্সের অদক্ষ চালকরা হাসপাতাল চত্বরেও বেপোরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়।
পুলিশ কর্মকর্তা বি এম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করেছে। তবে চালক সবুজ আহমদ পালিয়ে গেছেন। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন:নরসিংদীর বেলাবতে স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে হত্যার মামলায় গিয়াসউদ্দিন শেখকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর আগে তিনি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম চতুর্থ আদালতে সোমবার বিকেলে তোলা হলে বিচারক রকিবুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নরসিংদীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গিয়াসের নামে তার শ্যালক মো. মোশারফ রোববার রাতে বেলাব থানায় হত্যা মামলা করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গিয়াসের দেয়া তথ্যের বরাতে পরিদর্শক সালাউদ্দিন জানান, তিনি রংমিস্ত্রির ঠিকাদারের কাজ করেন। তার জমি ও বাড়ি নিয়ে প্রতিবেশী রানু শেখের সঙ্গে অনেকদিনের বিরোধ ছিল। তিনি নিয়মিত জুয়া খেলতেন। জুয়ার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, এলাকার লোকজন ও শ্বশুরবাড়ির অনেকের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন বিভিন্ন সময়। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো ঋণ তার। পাশাপাশি আরেক নারীর সঙ্গে তার বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কও চলছিল।
গিয়াস পিবিআইকে আরও জানান, ঘটনার সপ্তাহখানেক আগে রেনু শেখের সঙ্গে জমির বিরোধের জেরে তার তর্কাতর্কি হয়, যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এরপর থেকে রেনুর উপর ক্ষুব্ধ হন তিনি। সেইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের চাপও ছিল। তিনি ভাবেন, স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে রেনুকে ফাঁসিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নিতে পারবেন ও বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবেন। সেই ধারণা থেকে তিনি স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
আরও পড়ুন:নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বরিশালকে এখন প্রাচ্যের ভেনিস বলতে লজ্জা লাগে, কেননা এই অঞ্চলের নদী-খাল দূষণে ভরে গেছে। এগুলো দখল হয়ে গেছে, বন্ধ হয়ে গেছে।’
তা উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআইডব্লিউটিএর বহরে ৪০টি ড্রেজার সংযুক্ত করেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে আরও ৩৫টি ড্রেজার সংযুক্ত করা হবে। পাশাপাশি দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ দেয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
বরিশালে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজার বেইজের উদ্বোধনকালে সোমবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘৪০ বছরে যা হয়নি, ১৩ বছরে তার থেকে বেশি হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এসব সংযুক্ত করেছি আমরা। আগে কেন হয়নি? ’৭৫-পরবর্তী কোনো সরকারই নদীমাতৃক বাংলাদেশকে ধরে রাখার চেষ্টা করেনি, যা করেছে তা লোক দেখানো।
‘বরিশাল নদীবন্দরকে আধুনিক করতে শিগগিরই কাজ শুরু হবে। নদী রক্ষায় বরিশালে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে। অল্পদিনের মধ্যে নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে বরিশালে পাঠানো হবে।
‘কীর্তণখোলা নদীসহ যেসব নদী দখল ও দূষণ হয়ে গেছে, সেগুলো চিহ্নিত করে নদীর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে। নদীকে শাসন করা যাবে না, নদীকে সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে হবে’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি ও এর প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে এ সময় নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যুবকদের দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন, আর জিয়াউর রহমান সেই যুবকদের হাতে অস্ত্র-মাদক তুলে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়ার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে এসেছে, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিয়ে এসেছে এবং সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংযোজন করেছে।
‘বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন চরিত্র ধরে নিয়ে এসে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, সেই প্ল্যাটফর্মের নাম আজকের বিএনপি। এ রকম জোড়াতালি দেয়া প্ল্যাটফর্ম কি টিকতে পারে? বিএনপির উদ্দেশ্যই ছিল দেশকে ধ্বংস করা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিক্ষা কোনোদিন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারেনি, চলতে দেয়নি খালেদা জিয়া।’
ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও এমন পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না; এমন আলোচনাকারীদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে উঠে যারা বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাচ্ছে, তারা প্যানিক সৃষ্টি করছে। পৃথিবীজুড়েই একটা অস্থিরতা চলছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে কী অবস্থা, ইউরোপের দেশগুলোয় কী অবস্থা জিজ্ঞাসা করুন। আমরা তো দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী না যে আমরা চাঁদে গিয়ে থাকব।’
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস।
বরিশাল ড্রেজার বেইজের আওতায় ২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক সরঞ্জামাদি থাকবে। এ প্রকল্পে মোট ২৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখান থেকেই বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকার নৌপথ খননে তদারক করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য