× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Country of power surplus from load shedding
google_news print-icon

লোডশেডিং থেকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্তের দেশ

বিদ্যুৎ
বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে রাজধানীতে আলোকসজ্জা। ছবি: সাইফুল ইসলাম
একটা সময় ছিল, যখন সারা দেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। জেলার পর জেলা থাকত অন্ধকারে। বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ মানুষ বিভিন্ন উপকেন্দ্রে হামলা করত। এখন দেশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ৫০০ মেগাওয়াট। আর মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন স্টেশন ও সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনটিতে মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ হয়েছে ২০০ মেগাওয়াটেরও কম।

বিজয়ের ৫০ বছরে এসে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে। কেবল সরকারের নীতি পরিবর্তনের কারণে এই রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আইপিপি (বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র) নীতি গ্রহণ করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বার্জ মাউন্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে আসেন। এ ছাড়া ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ নীতি করে শিল্পে বিদ্যুৎ দেয়া হয়। তখন আইপিপি করার ক্ষেত্রে সরকারের মধ্যেও দ্বিধা ছিল। সে সময়ের অর্থসচিব আকবর আলী খান আইপিপি করাকে আত্মঘাতী হবে উল্লেখ করে অর্থ দিতে চাননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এসব সমস্যা সমাধান করেন। এরপর ২০০৯ সালে আবার বিদ্যুৎ-সংকটের মধ্যে সরকার দায়িত্ব নিল। তখন থেকে নানারকম নীতির পরিবর্তন করে সরকার বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার করে আজকের এ অবস্থায় পৌঁছেছে।’

অন্যদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০০৯ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার করে। ইতোমধ্যে গ্রিডের বিদ্যুৎ ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে পৌঁছে গেছে। আশা করছি, আগামী মার্চের মধ্যে ১০০ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।’

একটা সময় ছিল, যখন সারা দেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হতো। জেলার পর জেলা থাকত অন্ধকারে। বিদ্যুতের অভাবে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিভিন্ন উপকেন্দ্রে হামলা করত। হরতালসহ বড় আন্দোলনও হতো এই বিদ্যুতের দাবিতে।

সে পরিস্থিতি এখন আর নেই। দেশ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সক্ষমতা চাহিদার দ্বিগুণ। ৯৯ শতাংশ মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। মাথাপ্রতি বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষমতা ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টা। তবে বিদ্যুৎ বিতরণে এখনও কমবেশি সমস্যা রয়েছে। ফলে কোনো কোনো স্থান থেকে এখনও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর আসে।

বিষয়টি স্বীকার করছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নিজেও। তিনি বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছি। এখন আমাদের কোয়ালিটি সরবরাহের দিকে যেতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছি।’

কেবল উৎপাদন ও সরবরাহ লাইনের উন্নতি নয়, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর অঙ্গীকার পূরণে প্রতিকূলতা আছে দেশের ভৌগলিক আবস্থানেও। দেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে বড়বড় নদী। সাগর মোহনায় আছে অসংখ্য দ্বীপ ও জনবসতি। সেসব স্থানে গ্রিডের বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়াও ছিল চ্যালেঞ্জ। শরীয়তপুরের চর আত্রা, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি, ভোলার চরকুকরিমুকরি, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মতো স্থানগুলোতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সাবমেরিন কেবল প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হয়েছে।

দেশে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের পরিকল্পনা সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন দেশে ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধা পাচ্ছে। মুজিববর্ষের মধ্যে শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কাজ চলছে। এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২৪ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।’

৫০ বছরে বিদ্যুতের পথচলা

একেবারেই সহজ ছিল না ৫০ বছরের এই পথচলা। একাত্তরের মার্চে শুরু হওয়া বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় সমগ্র বাংলাদেশ। ওই সময়ে ঠিক কত পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ছিল, তার বিশ্বাসযোগ্য কোনো হিসাব নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগে।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪৭৫ মেগাওয়াট। ১৯৭২ সালে দেশে স্থাপিত বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫০০ মেগাওয়াট। এই ক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎও উৎপাদন করা যেত না। এই সামান্য পরিমাণ বিদ্যুৎ নিয়েই স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এখন উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট। যদিও বর্তমানে সংযোগ-চাহিদা আছে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ সক্ষমতা দ্বিগুণ।

প্রায় ১২৫ বছর আগে ব্রিটিশ শাসিত পূর্ববঙ্গে গাজীপুর জেলার ভাওয়াল পরগনার রাজা প্রথম বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন। তিনি বিলেত থেকে জেনারেটর এনে রাজবাড়ি আলোকিত করেন।

এর পর ১৯০১ সালে ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহর বাসভবনে একটি জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। পর্যায়ক্রমে ঢাকার কয়েকটি অভিজাত ভবনকেও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়।

সরকারের জ্বালানি বিভাগ জানায়, উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি বিদ্যুৎ হলেও এ খাতে বিনিয়োগ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। স্বাধীনতার আগে থেকেই বিদ্যুৎ খাত ছিল সরকারনির্ভর। বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ ছিল না। ফলে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ছিল অত্যন্ত ঢিমেতালে। আশির দশকে এরশাদ সরকারের আমলে দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে উন্নয়ন সহযোগীরা এ খাতে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকে।

১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে এ খাতে কমবেশি বিনিয়োগ শুরু হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়সাপেক্ষ। ফলে রাতারাতি এ খাতে উল্লেখযোগ্য উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি।

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। এ সময় বিদ্যুৎ খাত বেসরকারি মালিকানার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। আইপিপি অর্থাৎ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার নীতিমালা করা হয়। এ সরকারের আমলেই দেশি-বিদেশি অনেক বিনিয়োগ হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে। বেসরকারি খাত থেকেই ১২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি করা হয়। বিদ্যুৎ খাতে এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এরপর ক্রমেই উৎপাদন বাড়তে থাকে। বর্তমানে বেসকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৯; উৎপাদন হয় ৯ হাজার ৩৬৪ মেগাওয়াট। আর সরকারি খাতে কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৪; উৎপাদন হয় ৯ হাজার ৫৪৪ মেগাওয়াট।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জিয়াউর রহমানের আমলে ১৯৭৭ সালে গঠিত হয় আরইবি অর্থাৎ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ড। উদ্দেশ্য ছিল দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিতরণ করা। এটি বিদ্যুৎ খাতে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ সংস্থার দায়িত্ব ছিল পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন নির্মাণ করা। এই বিতরণ অবকাঠামো নির্মাণে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করতে থাকে। কিন্তু উৎপাদন ঘাটতি থাকার কারণে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল খুবই কম। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে পল্লী অঞ্চলে বিতরণ অবকাঠামোও দ্রুত বাড়তে থাকে। এখন সারাদেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আছে। পাহাড়ি ও দুর্গম কিছু এলাকা ছাড়া সারাদেশেই পল্লী বিদ্যুতের লাইন আছে। বর্তমানে আরইবির গ্রাহকই ৩ কোটি ১১ লাখ। ৮০টি সমিতির মাধ্যমে সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।

একবিংশ শতকের শুরুতে ২০০১ সালে খালেদা জিয়া সরকারের আমলে বিদ্যুৎ খাতের সার্বিক উন্নয়নের গতি আবারও শ্লথ হয়ে পড়ে। সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থতা ও দুর্নীতির কারণে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় মাত্র ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। যদিও প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। ঘাটতির কারণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ২০০৬ সালের মে মাস নাগাদ ১ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করে।

এ সময় বিদ্যুতের দাবিতে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্দোলন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটে। একই সময় রাজধানীর শনিরআখড়ায় হাজার হাজার এলাকাবাসী বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে। বিদ্যুৎ অফিসে হামলা, আগুন, ভাঙচুর ছিল নিয়মিত ঘটনা।

এরপর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরেও এ খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে বার বার পরিবর্তন আসে। কিন্তু এ খাতের চেহারায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসেনি। দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর এই সরকার জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে।

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে বিশাল জয় নিয়ে ক্ষমতায় আসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। ২০০৯ সালের শুরুতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। প্রকৃত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল যদিও ৩ হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট (৬ জানুয়ারি, ২০০৯)। এরপরই বিদ্যুৎ খাতে এক প্রকার বিপ্লব সূচিত হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ৩৮ বছরে যা হয়েছে, গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ খাতে তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি উন্নতি হয়েছে। এই ১২ বছরকে বিদ্যুৎ খাতের সোনালি অধ্যায় হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।

২০০৯ সালের শুরুতে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল মাত্র ২৭টি। বর্তমানে ১৪৪টি। ১২ বছরে বেড়েছে ১১৭টি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা ২৪ হাজার ৯৮২ মেগাওয়াট। বেড়েছে ২০ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। সঞ্চালন লাইন ছিল ৮ হাজার সার্কিট কিলোমিটার; বর্তমানে ১২ হাজার ৬৯২ কিলোমিটার। বেড়েছে ৪ হাজার ৬৯২ কিলোমিটার। গ্রিড উপকেন্দ্র ছিল ১৫ হাজার ৮৭০টি। বর্তমানে ৪৯ হাজার ৩৮৪টি। বেড়েছে ৩৩ হাজার ৫১৪টি। বিতরণ লাইন ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার। বর্তমানে ৬ লাখ ৩ হাজার কিলোমিটার। বেড়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার কিলোমিটার। বিদ্যুৎ গ্রাহক ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। বর্তমানে ৩ কোটি ৯৬ লাখ। বেড়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ। সিস্টেম লস ছিল ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বর্তমানে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ। কমেছে ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট হলেও এ অবধি সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট। ব্যাখ্যা হলো, বিদ্যুৎ এমনই একটা পণ্য, এটা মজুদ করা যায় না। যখন যতটুকু উৎপাদন হয়, তখন ততটুকুই বিতরণ হয়ে যায়। সারা দেশে বর্তমানে যে সংযোগ আছে, (আবাসিক, বাণিজ্য, শিল্প মিলিয়ে) সেখানে সংযোগ চাহিদা ওই ১২ হাজার ৮৯৩ মেগাওয়াট। অর্থাৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ কাঠামো সর্বোচ্চ ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ কোনো একদিন সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও বর্তমানে এর দ্বিগুণ পরিমাণ উৎপাদন করার সুযোগ আছে। বর্তমানে চাহিদা বাড়লেও তা পূরণ করা কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ২৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের সক্ষমতা আছে।

বিশ্লেষকরা জানান, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উৎপাদন-ক্ষমতা সবসময় কিছুটা উদ্বৃত্ত রাখা হয়। কারণ, যেকোনো সময় একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে পড়তে পারে।

মাস্টারপ্ল্যান ২০৪১

বিদ্যুৎ উৎপাদনে এখন বহুমুখী জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এ নীতি অনুসরণ করা হয়। কারণ বিশ্ববাজারে বিভিন্ন রকম জ্বালানির মূল্য ওঠানামা করে। আমাদের দেশে এক সময় অধিকাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ছিল প্রাকৃতিক গ্যাস। এখন গ্যাসের পাশাপাশি কয়লা, ফার্নেস অয়েল, পারমাণবিক শক্তি, ডিজেল, পানি, সৌরশক্তি, বায়ু ইত্যাদির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশবান্ধব জ্বালানির কথা বিশেষ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এ জন্য সোলার বা সৌর, বায়ু, পানির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান ভিশন-২০৩০ এ বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ মুখ্য জ্বালানির উৎস তৈরি করতে হবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ৫০ শতাংশ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে, যার ২৫ শতাংশ হবে কয়লা, ২০ শতাংশ হবে প্রাকৃতিক গ্যাস ও বাকি ৫ শতাংশ হাইড্রো ও নবায়নযোগ্য শক্তি।

তবে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিঘাত মোকাবিলায় বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে সরকার মাস্টারপ্ল্যানে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। এ ক্ষেত্রে কয়লাভিত্তিক ১০টি বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করে নবায়নযোগ্য ও গ্রিন এনার্জির দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের নতুন মাস্টারপ্ল্যানকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত টার্গেট ধরা হয়েছে।

২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার ৫২ শতাংশ, ফার্নেস অয়েল ২৭ শতাংশ, ডিজেল ৬ শতাংশ, কয়লা ৮ শতাংশ, জল ১ দশমিক ১ শতাংশ, গ্রিড সোলার শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ, বিদ্যুৎ আমদানি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে ভিশন ২০৩০-এ পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরিবেশ দূষণ ও এসডিজির দিকে লক্ষ্য রেখে সরকার মাস্টারপ্ল্যানে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জ্বালানি উন্নয়নে শীর্ষ ১০ এ বাংলাদেশ

ওয়ার্ল্ড এনার্জি কাউন্সিলের প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড এনার্জি ট্রিলেমা ইনডেক্স-২০২০-এর তথ্য বলছে, জ্বালানি খাতের দ্রুত উন্নয়ন করছে এমন শীর্ষ দশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। জ্বালানি নিরাপত্তায় বাংলাদেশের স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৩৯। একই মানদণ্ডে পরিবেশগত টেকসই বিষয়ে বাংলাদেশের স্কোর ৫৬ এবং জ্বালানি সরবরাহ ও প্রাপ্যতায় ৫০ দশমিক ৪। সদস্যভুক্ত ৮৪টি দেশসহ মোট ১৩৩টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড এনার্জি কাউন্সিল।

সংস্থাটি বলছে, জ্বালানি খাতের উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের জিডিপিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে।

জ্বালানি সরবরাহ বিবেচনায় গত পাঁচ বছরে মানসম্মত জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে বাংলাদেশে। এ সময়ে জ্বালানির প্রাপ্যতা বেড়েছে ৬ শতাংশ, সরবরাহ সক্ষমতা বেড়েছে ১১ শতাংশ এবং মাথাপিছু জিডিপি বেড়েছে ৯ শতাংশ।

সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বিজয়ের আনন্দ যেখানে ম্লান
বাংলাদেশের সমর ক্ষমতা দেখলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
শহীদ পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্মৃতিসৌধে বিএনপির হট্টগোল-ভাঙচুর
স্মৃতিসৌধে বিশৃঙ্খলায় ঢাবি উপাচার্যের উষ্মা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
It may rain but the heat will not decrease

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না তীব্র গরমে একটু স্বস্তির জন্য নগরীতে গাছের নিচে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
An ongoing burn may continue for 72 hours

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে গরমে পানিতে নামা শিশুর উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Protecting motherland is our main duty Army Chief

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’

সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’

মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB Director General inspects Naikshyongchari border

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী চাকঢালা বিওপি পরিদর্শনকালে মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।

পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে