× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Health care at peoples doorstep
google_news print-icon

মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা

মানুষের-দোরগোড়ায়-স্বাস্থ্য-সেবা
কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে নারীরা। ছবি: নিউজবাংলা
৫০ বছর পর এখন দেশের প্রতিটি উপজেলায় আছে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র আছে। সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গেছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা।

একাত্তর সালে স্বাধীন বাংলাদেশের যখন যাত্রা শুরু হয়, তখন দেশে আটটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, একটি স্নাতকোত্তর মেডিকেল ইনস্টিটিউট, ৩৭টি যক্ষ্মা ক্লিনিক, ১৫১টি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৯১টি মাতৃ ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র ছিল।

৫০ বছর পর এখন দেশের প্রতিটি উপজেলায় আছে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এগুলো ৩১ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। এসব হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগ আছে। এ ছাড়া আছে পৃথক মা ও নবজাতক বিভাগ। বিশেষায়িত রোগ ছাড়া এইসব হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে।

এসব হাসপাতালে টিকা দেওয়া হয়, শ্বাসতন্ত্রের তীব্র প্রদাহের চিকিৎসা দেয়া হয়, পরিবার পরিকল্পনা সেবা দেওয়া হয়। পুষ্টিসেবার জন্য আছে বিশেষ কর্নার। আছে এক্স-রে সুবিধাসহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ।

দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র আছে। সরকার ইতিমধ্যে প্রায় ১০০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সরকার গড়ে তুলেছে।

স্বাধীনতার ৫০ বছরে স্বাস্থ্যখাতে বেশ কিছু মাইলফলক ছুঁয়েছে দেশ। নবজাতক ও প্রসূতিদের মৃত্যু কমিয়ে আনা, পোলিও নির্মূল, কলেরা, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে খাবার স্যালাইনের ব্যবহার, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, টাইফয়েড রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ বিশ্বজুড়ে দৃষ্টান্ত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অর্জন সম্ভব হয়েছে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও জনগণের সম্মিলিত অর্জনের মাধ্যমে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীতে সবার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ থাকলে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনে অন্যান্য মাইলফলকও ছুঁতে পারবে দেশ। তবে প্রয়োজন নীতিমালা প্রণয়ন ও সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজানো।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দেশের স্বাস্থ্য খাতে প্রায় সব সূচকে তলানিতে ছিল বাংলাদেশ। ৫০ বছরে সেই দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যসেবায় টপকে গেছে ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ আরও বহু দেশকে। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৫ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যামে গ্রামের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসায় একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে।’

এই বিশেষজ্ঞ জানান, পাঁচ দশকের ব্যবধানে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকেরা দেশের ৯৮ শতাংশ মানুষের চাহিদা মিটিয়ে ওষুধ রপ্তানি করছে। তবে চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ এখনও ব্যক্তির পটেক থেকে যায়। করোনার মধ্যে এই ব্যয় আরও বাড়ছে।

ডব্লিউএইচও ও বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন বলছে, দেশে চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে গত বছর বিশ্বের ৫০ কোটির বেশি মানুষ চরম দারিদ্র্যের দিকে চলে গেছে। এর বাইরে নয় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের বড় একটি শ্রেণি চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখি হচ্ছে। সার্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে এগুলো বড় বাধা।

মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা

স্বাস্থ্যসেবার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক

স্বাধীনতার পরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় থাকলেও দীর্ঘ ৫০ বছরে গ্রামীণ পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমন্বয়ে সারা দেশে প্রাথমিক চিকিৎসার একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে অবকাঠামোও তৈরি হয়েছে। গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় সেবা নিয়ে গেছে কমিউনিটি ক্লিনিক। এ ছাড়া জেলা ও সদর হাসপাতাল বা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তো রয়েছেই।

এসবের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, টিকা, যক্ষ্মার চিকিৎসা, পুষ্টিসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রায় ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। ক্লিনিক থেকে দেয়া সেবার মধ্যে আছে: মা, নবজাতক ও অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা, প্রজননস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান, পুষ্টিশিক্ষা ও অনুপুষ্টি কণা সরবরাহ, স্বাস্থ্যশিক্ষা, বয়স্ক ও কিশোর-কিশোরীদের লক্ষণভিত্তিক শিক্ষা, অসংক্রামক রোগ শনাক্তকরণ।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকারের সঠিক নীতি ও পরিকল্পনার কারণে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। মহামারি মধ্যে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। অন্যান্য দেশ যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে, আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এর জন্য একটি অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অটোমেশন, রোবোটিক সার্জারিসহ আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা এখন বাংলাদেশেই আছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ চিকিৎসা সেবায় আরও এগিয়ে যাবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় দেশে স্বাস্থ্য অবকাঠামো ছিল না বললেই চলে। তবে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে উপযুক্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোকে সেবা দেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ অর্গানোগ্রাম ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা দূর করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
আত্মসমর্পণের গ্লানি ৩৩ বছরেও ভুলতে পারেননি নিয়াজী
অনেকেই এখন টিকা নিতে আসে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাতে দ্রুতই পৌনে ৫ লাখ নিয়োগ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Four people died in dengue in 24 hours 660 in hospital

ডেঙ্গুতে দেশে ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬০

ডেঙ্গুতে দেশে ২৪ ঘণ্টায় চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৬৬০
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ২১৪ জন। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪২ হাজার ৪৭০ জন।

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৪ জন।

এদিকে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬০ জন ডেঙ্গু রোগী। এই সংখ্যাসহ চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪২ হাজার ৪৭০ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে রোববার পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার। বাকি একজন ময়মনসিংহ বিভাগের।

একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬৬০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনে ৩২৮ ও বাকিরা ঢাকার বাইরে সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৬৯৭ জন। আর জানুয়ারি থেকে রোববার ১৩ অক্টোবর রোববার পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ ও খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৩
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১
ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bashundhara Eye Hospital 37 people operated free of cost 

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৭ জনের অস্ত্রোপচার 

বসুন্ধরা চক্ষু হাসপাতালে বিনা মূল্যে ৩৭ জনের অস্ত্রোপচার  যৌথভাবে এ অপারেশন কার্যক্রমের আয়োজন করে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্ট ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ছবি: বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বিনা মূল্যে ৩৭ জন গরিব ও দুস্থ রোগীর চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সাবরিনা সোবহান রোডে অবস্থিত বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ ফ্রি অপারেশন অনুষ্ঠিত হয়।

যৌথভাবে এ অপারেশন কার্যক্রমের আয়োজন করে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্ট ইনস্টিটিউট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন ও চিকিৎসা সহায়তা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. সালেহ আহমদের তত্ত্বাবধানে এ সার্জারিতে অংশ নেন ডা. অ্যান্থনি অ্যালবার্ট, ডা. তাসরুবা শাহনাজ, ডা. জেরিন পারভীন এবং ডা. নুসরাত লুবনা ইসলাম।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজে একটি আই ক্যাম্প করা হয়। সেখানে ‌১ হাজার ২০০ রোগীর চোখ পরীক্ষা করে ৪২০ জনকে অস্ত্রোপচারের জন্য বাছাই করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই রোগীদের পঞ্চম ব্যাচের ৩৭ জনের চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। এর মধ্যে ১৫ পুরুষ ও ২২ জন নারী রয়েছেন।

এ বিষয়ে বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অবৈতনিক পরিচালক এবং ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমদ বলেন, ‘২০১৪ সাল থেকে আমরা বিনা মূল্যে রোগীদের চোখ অপারেশন করার এই কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা দেশের দূরদুরান্ত অঞ্চলে গিয়ে বিনা মূল্যে আই ক্যাম্প করি। সেখানে অপারেশনের রোগী বাছাই করে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।

‘অপারেশন শেষে আবার তাদের নিজ বাড়িতে দিয়ে আসি। এ পুরো কার্যক্রমই আমরা আমাদের নিজ খরচে করে থাকি। আমি মনে করি এই কার্যক্রমে আমাদের সফলতা শতভাগ।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষরা চোখ নিয়ে অবহেলা করেন। শিশুদের কিছু জন্মগত চোখের রোগ হয়, যেটা বাবা-মা বুঝতে পারেন না। পরবর্তী সময়ে শিশু যখন স্কুলে যায় তখন সেসব সমস্যা ধরা পড়ে।

‘তাই শিশুদের পাঁচ বছরের আগে চোখের স্ক্রিনিং করে নেয়া দরকার। এ ছাড়া ৪০ বছরের পরে চোখের ছানি পড়াসহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাদেরও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানো দরকার, যাতে চোখ ভালো থাকে এবং ভালোভাবে দেখতে পায়।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বসুন্ধরা আই হসপিটালে চোখের ছানির অস্ত্রোপচার করাতে আসা মো. ইকরামুল হক বলেন, ‘এই কার্যক্রমটি নিঃসন্দেহে একটি মহৎ। মানবসেবা সবচেয়ে বড় ধর্ম।

‘এ ধর্মটা সবাই পালন করতে পারেন না। বসুন্ধরা আই হসপিটাল সেটা করতে পারছে। এখানকার ডাক্তারসহ অন্যান্যদের ব্যবহার খুবই চমৎকার। তারা রোগীদের বাবা-চাচা-ভাইয়ের মতো করে সেবা যত্ন করেন। তাদের ব্যবহার অতুলনীয়, যেন সবাই তাদের আপনজন।’

একই এলাকা থেকে অস্ত্রোপচার করতে আসা মোমেনা বেগম বলেন, ‘আমি আগে চোখে ঝাপসা দেখতাম। টাকার জন্য চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমাদের এলাকার একজনের কাছে খবর পেয়ে আই ক্যাম্পে বিনা মূল্যে চোখ পরীক্ষা করাতে যাই। পরে তারা চোখ পরীক্ষা করে অপারেশনের জন্য নিয়ে আসে।

‘আমার কোনো খরচ হয়নি। এখন আবার আমি ঠিকভাবে দেখতে পারব। আল্লাহ এদের ভালো করুক।’

বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ম্যানেজার (এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, ‘গরিব-দুস্থ ও অন্ধ রোগীদের চক্ষু চিকিৎসার সাহায্যার্থে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুস্থদের সেবায় আগে থেকেই এ ধরনের কার্যক্রম চলমান আছে।

‘সারা দেশে বিনা মূল্যে এ ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তিন হাজার ১৪৫ জনের বেশি রোগীর চোখ বিনা মূল্যে অপারেশন করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কারাগারে মাথায় আঘাত, সাবেক এমপি লতিফ হাসপাতালে
বসুন্ধরা কিংস ফুটবল একাডেমির যাত্রা শুরু
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
বসুন্ধরার প্রতারণা, প্রধান উপদেষ্টাকে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three more deaths from dengue in hospital 1033

ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৩

ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১০৩৩ ফাইল ছবি।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৯৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার ৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৯৮ জন পুরুষ ও ৯৮ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮২২ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এই সময়ে ৯৩৯ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১
ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five more people died of dengue in hospital 981

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৮১
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন।

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৮১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৯৩ জন। তাদের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ ও ৯৭ জন নারী। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী। এই সময়ে ৯৭১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন আরও পাঁচজন, হাসপাতালে ১১৫২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nurses strike on one point demand causes suffering to patients

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি নার্সদের কর্মবিরতিতে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। ছবি: নিউজবাংলা
নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ সময় জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ এবং এইচডিইউ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

দাবি আদায়ে ফের আন্দোলনে নেমেছেন নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরাসহ চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মুমুর্ষু রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন তারা। লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার তারা এক ঘণ্টা বাড়িয়ে পাঁচ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিক‍্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

নার্স ও মিডওয়াইফারি শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগামীকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন।

তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এ সময় জরুরি বিভাগ, ইমারজেন্সি ওটি, ডায়ালাইসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, পিআইসিইউ এবং এইচডিইউ এই কর্মবিরতি কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মো. শরিফুল ইসলাম মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবি হলো- নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে সব ক্যাডার প্রত্যাহার করে অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, পরিচালক, কাউন্সিলে প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্ট্রার পদে যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করতে হবে।’

দাবি আদায়ে আবারও নার্সদের কর্মবিরতি, রোগীদের ভোগান্তি

শরিফুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে নার্স ও মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীরা রোগীর সেবা অক্ষুণ্ন রেখে পরিষদ ঘোষিত বিভিন্ন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছি।

‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে ছিল পতাকা মিছিল, সংবাদ সম্মেলন, প্রতীকী কর্মবিরতি, লাল ব্যাজ ধারণ ও তিন ঘণ্টার কর্মবিরতি। ওইদিনের কর্মবিরতি চলাকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে আমরা পরবর্তী কর্মবিরতি প্রত্যাহার করি।

‘উপদেষ্টা বলেছিলেন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবেন। এর ধারাবাহিকতায় নার্সেস কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্সকে পদায়ন করে, যা আমাদের এক দফা দাবির একটি অংশ মাত্র।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (উপ-সচিব, প্রশাসন) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে অধিদপ্তর থেকে প্রত্যাহার করে মহাপরিচালক পদে এখনও যোগ্য ও অভিজ্ঞ নার্স পদায়ন করা হয়নি। তাই আমরা আজ এক দফা দাবি পূরণে সংস্কার পরিষদ ঘোষিত কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছি।’

আরও পড়ুন:
হাসপাতালগুলোতে বুধবার থেকে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চলবে
ঢামেক আউটডোর কাল থেকে সীমিত পরিসরে চালু
ঢামেকে বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় জরুরি বিভাগে রোগীর চাপ
শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ২৪ ঘণ্টার জন্য স্থগিত
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, দুর্ভোগে রোগী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Four more people died of dengue in hospital 1225

ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫

ডেঙ্গুতে আরও চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২৫ ফাইল ছবি।
রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকার, একজন রাজশাহী ও একজন খুলনা বিভাগের। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হলো ১৮৬ জনের।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়কালে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২২৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

চলতি বছরে এ নিয়ে ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৬ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৯০ জন।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজন ঢাকার। এছাড়া একজন রাজশাহী ও একজন খুলনা বিভাগের।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন আরও পাঁচজন, হাসপাতালে ১১৫২
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Five more people died of dengue and 927 were admitted to hospital

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭

ডেঙ্গুতে আরও পাঁচজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২৭ প্রতীকী ছবি।
সবশেষ মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। একই সময়কালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন।

এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুহীন একটি দিন পার করার পরদিনই এই রোগে মারা গেলেন আরও পাঁচজন। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এই মৃত্যুর পাশাপাশি হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ ডেঙ্গু রোগী।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৯২৭ জন রোগী।

মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী। এই সময়ে ৭১৬ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

সবশেষ মৃত্যু নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮২ জনের। তাদের মধ্যে ৮৯ জন পুরুষ ও ৯৩ জন নারী।

এ ছাড়া একই সময়কালে দেশে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ২৬৫ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৮ জনের প্রাণ
ডেঙ্গুতে আরও তিন মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৪৪
ডেঙ্গুতে মারা গেলেন আরও পাঁচজন, হাসপাতালে ১১৫২
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ডেঙ্গুতে দুজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১২২১

মন্তব্য

p
উপরে