সপ্তাহের প্রথম তিন কর্মদিবসে ১৪৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট সূচক পতনের পর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ৩০ পয়েন্ট সূচক বাড়লেও বিনিয়োগকারীদের মনে স্বস্তি ফেরেনি।
সোমবার আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হওয়ার পরদিন আবার তা হাজার কোটি টাকার বেশি উঠলেও বুধবার তা আবার নেমেছে তলানিতে। কোনো রকমে ৮০০ কোটির ঘর অতিক্রম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এমনিতে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হলেও সেদিন বিজয় দিবসের সাধারণ ছুটি থাকায় লেনদেন বন্ধ থাকবে।
লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে কিছুক্ষণ পর তা আবার কমে গেলে টানা চতুর্থ দিন সূচক পড়ার শঙ্কা জাগে। তবে বেলা ১টার পর থেকে শেয়ারগুলো কিছুটা দর ফিরে পেতে থাকলে শেষ পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন।
শেষ পর্যন্ত দর হারানো ও দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির সংখ্যা দেখা গেছে সমানসংখ্যক। বেড়েছে ১৫৯টির দর, কমেছে ১৫৮টির। ৬০টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পেরেছে।
তবে লেনদেন কমে গেছে ২০ শতাংশ। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সেখান থেকে কমে হয়েছে ৮০৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর মূলধন বাড়ানোর ইস্যুতে আবার বেড়েছে এই ধরনের কোম্পানির দর। আগের দিন দরপতন হয়েছে, এমন কিছু কোম্পানি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে সূচক বাড়ানোর প্রধান ভূমিকায় এসব কোম্পানি কখনও প্রভাব রাখে না। ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর পাশাপাশি টানা দর সংশোধনে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডসহ বেশ কিছু কোম্পানির ইতিবাচক প্রবণতায় সূচকের পতন থেমেছে এবার।
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর দর বৃদ্ধির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৭ দশমিক ৮ পয়েন্ট। বেক্সিমকোর কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট।
এ ছাড়া বেক্সিমকো ফার্মা, ইউনিলিভার, স্কয়ার ফার্মা, রেকিট বেনকিজার, গ্রামীণফোন, ডেল্টা লাইফ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও বিএসআরএম লিমিটেডও সূচকে যোগ করেছে বেশ কিছু পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে ১০টি কোম্পানিই সূচক বাড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে এই কোম্পানির ভূমিকাই ছিল প্রধান।
এর বিপরীতে রবি, ওয়ালটন, ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার, পাওয়ারগ্রিড, তিতাস গ্যাস, কাট্টালী টেক্সটাইল, ডেসকো, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, আইসিবির মতো কোম্পানিগুলো সূচক কিছুটা টেনে ধরেছে।
এই ১০টি কোম্পানি মিলিয়ে সূচক কমিয়েছে ১৩ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট।
বিবিধ, ওষুধ ও রসায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে তুলনামূলক ভালো দিন গেছে। প্রধান অন্য খাতগুলোর মধ্যে বেশির ভাগেই দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
বেশ কিছুদিন পর বেক্সিমকো লিমেটেডে আগ্রহ বাড়ার পর লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বিবিধ খাত। দুই সপ্তাহের মধ্যে এক দিন ছাড়া প্রতিদিন শীর্ষে থাকা ব্যাংক খাত নেমে এসেছে তৃতীয় অবস্থানে। দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।
আগের দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি আদেশ এসেছে, যার দুটি ব্যাখ্যা করা যায়। ব্যাংকগুলোয় করোনার সময় বিশেষ সুবিধাগ্রাপ্ত ঋণগুলোর জন্য অতিরিক্ত ২ শতাংশ সঞ্চিতি সংরক্ষণের আদেশ দেয়া হয়েছে। এর ফলে তাদের চূড়ান্ত আয় কমে যেতে পারে। আবার এমনও একটি সুযোগ দেয়া হয়েছে, যাকে ইতিবাচক হিসেবেও দেখা যায়। কিস্তির ২৫ শতাংশ জমা দিলেও সুদকে ব্যালান্স শিটে দেখানো যাবে। ফলে এটা ইতিবাচকও হতে পারে।
এই নির্দেশের পর বিনিয়োগকারীরা যে কিছুটা বিভ্রান্ত, সেটি দেখা গেছে লেনদেনে। দর বৃদ্ধি ও কমার হারও খুব একটা বেশি ছিল না। তবে নতুন করে এই খাতে বিনিয়োগে যেতে চাননি বিনিয়োগকারীরা। ফলে কমেছে লেনদেন।
দর বৃদ্ধিতে দশ কোম্পানি
মঙ্গলবার দর পতনের পর বুধবার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে পাট খাতের জুট স্পিনার্স। লোকসানি ও স্বল্পমূলধনি এই কোম্পানিটির শেয়ার দর এদিন বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ৯.৯৪ শতাংশ। শেয়ার দর ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২৮ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ১৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার ১৩ হাজার ১৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
আরেক লোকসানি কোম্পানি বিবিধি খাতের খান ব্রাদাস পিপি ওভেন ছিল দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে। কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯.৫৬ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকার ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫১১টি শেয়ার।
স্বল্প মূলধনি এএমসিএল (প্রাণ) এর দর বেড়েছে ৮.৬৮ শতাংশ।
এছাড়া সাত থেকে আট শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে দুটি কোম্পানির। এর মধ্যে মেট্টো স্পিনিংয়ের দর বেড়েছে ৭.২৬ শতাংশ আর লিব্রা ইনফিউশনের দর বেড়েছে ৭.১৪ শতাংশ। এছাড়া স্বল্প মূলধনি লোকসানি রেনউইক যগেশ্বরের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.২৪ শতাংশ। রহিমা ফুডের দর বেড়েছে ৬.০৪ শতাংশ।
৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও দুটি কোম্পানির দর। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের জিবিবি পাওয়ারের দর বেড়েছে ৫.৬৩ শতাংশ আর স্বল্প মূলধনি ন্যাশনাল টি কোম্পানির দর বেড়েছে ৫.২১ শতাংশ।
এছাড়া চার শতাংশের বেশি শেয়ার বেড়েছে সাতটি কোম্পানির দর। একই সংখ্যক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি। আর ১৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে দুই শতাংশের বেশি।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এই তালিকার শীর্ষে ছিল কাট্টালি টেক্সটাইল, যেটি দর হারিয়েছে ৬.৮১ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৭টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকে উসমানিয়া গ্লাস কোম্পানি দর হারিয়েছে ৪.৮৮ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর মঙ্গলবার বেড়েছিল। এছাড়া গত দশ কর্মদিবসের পরিসংখ্যানে কোম্পানির শেয়ার দর মাত্র দুইদিন কমেছে। বাকি আটদিন দর বেড়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৪.৪৩ শতাংশ। ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের শেয়ার দর কমেছে ৩.৭৮ শতাংশ। কোম্পানিটির ১ কোটি ৮ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে, হাতবদল হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৪৬টি শেয়ার।
স্বল্প মূলধনি উৎপাদন বন্ধ আজিজ পাইপের দর কমেছে ৩.৭০ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে লোকসান দেয়ার পর অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণায় লাফ দেয়া আরামিট সিমেন্টের দর কমেছে ৩.৬০ শতাংশ আর সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ৩.১৯ শতাংশ।
মঙ্গলবার দর বৃদ্ধি পাওয়া ফু ওয়াং সিরামিকের শেয়ার দর কমেছে ৩.৩১ শতাংশ। এছাড়া তুং হাই নিটিংয়ের দর ৩.১৭ শাতংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের দর ২.৯৪ শতাংশ ও স্বল্প মূলধনি রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ২.৯২ শতাংশ।
লেনদেনের শীর্ষে ১০ কোম্পানি
লেনদেনে এগিয়ে থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে বুধবার তিনটি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। বাকি সাতটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল বিবিধ খাতের বেক্সিমকো লিমিটেড, যার ১২৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বেশ কিছুদিন পর কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৪২ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৩টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকের দর টানা ছয় দিনের মতো কমেছে। ব্যাংকটির মোট ২ কোটি ৫২ লাখ ৩ হাজার ৪২১টি শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
চতুর্থ স্থানে থাকা তথ্য প্রযুক্তি খাতের জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার দর বেড়েছে ১.৩৭ শতাংশ। মোট লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১৫ লাখ ২৫ হাজার ৩০৪টি শেয়ার।
সোনালী পেপারের লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৪৮ টি শেয়ার ।
একটিভ ফাইননের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার, হাতবদল হয়েছে ৯০ লাখ ১২ হাজার ৬৪৬টি শেয়ার।
জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, হাতবদল হয়েছে ৮১ লাখ ১ হাজার ৯৩০টি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য