অপ্রত্যাশিত বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লভ্যাংশের খবরে অস্বাভাবিক হারে শেয়ারদর বেড়ে যাওয়ার পর সম্প্রদি তিনটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ব্যাপক লোকসান করেছে বিনিয়োগকারীরা। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও আরও একটি কোম্পানির অপ্রত্যাশিত লভ্যাংশ ঘোষণায় সেই তিনটির মতোই শেয়ারদর দিয়েছে লাফ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে চার বছর পর মুনাফায় ফিরেও লভ্যাংশ দেয়নি আরামিট সিমেন্ট। অথচ এবার লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনায় শেয়ারদর বাড়ছিল তরতর করে। গত এক বছরে শেয়ারমূল্য সর্বনিম্ন ১৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা পর্যন্ত উঠে।
গত ২৮ অক্টোবর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার দিন শেয়ারদর ছিল ৫৯ টাকা ১০ পয়সা। পরের কর্মদিবসে মূল্যসীমা না থাকার সুযোগে এক লাফে শেয়ারদর প্রায় ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর প্রথম প্রান্তিকে বড় লোকসান দেয়ার পরিসংখ্যান জানানোর পর শেয়ারদর আবার কমতে কমতে ২ ডিসেম্বর ৩০ টাকা ১০ পয়সায় নামে।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যেটি ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয় সোমবার।
এই খবরে শেয়ারদর দেয় লাফ। আগের দিন দর ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের লেনদেন শুরু হয় ১৯ শতাংশ বেড়ে ৪১ টাকা ৫০ পয়সায়।
দিনভর দর উঠানামা করে ৩৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪২ টাকা ৭০ পয়সায়। দিন শেষে দাম স্থির হয় ৪১ পয়সায়। বাড়ে ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৮.৫০ শতাংশ।
কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর এই প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করল কোম্পানিটি।
ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লভ্যাংশ দিলেই সেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে হয়, এমন নয়। আবার কোম্পানি এক বছর লাভ করলে পরের বছর লাভ করবে, এই ধারণাও ঠিক নয়। কোম্পানি কী উৎপাদন করছে, তাদের পণ্যের বাজার কেমন, ভবিষ্যৎ কী, তা বিবেচনা করে শেয়ার কেনা উচিত।’
দর এক দিনে প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ার দিন শেয়ার বিক্রিও হয়েছে বেশি। সারা দিনে হাতবদল হয়েছে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯২ টি। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৩টি। তারও আগের দিন লেনদেন ছিল ৯০ হাজারের কিছু বেশি।
হামিদ ফেব্রিক্স
হামিদ ফেব্রিক্স শেষ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। তারপরও শেয়ারধারীতের রিজার্ভ থেকে ৫০ পয়সা হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। এমন খবরেও উত্থান ছিল কোম্পানিটির শেয়ার দর।
২৭ অক্টোবর লভ্যাংশ ঘোষণার দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। পরের দিন শেয়ার দরে কোনো সীমা না থাকায় সেখান থেকে এক লাফে বাড়ে দর ৬৭.২০ শতাংশ। দিন শেষে দাম স্থির হয় ৩০ টাকা ৬০ পয়সায়।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে পরের কয়েক দিন দাম আরও বাড়ে। একপর্যায়ে গত কয়েক বছরের সর্বোচ্চ দাম ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছে যায়।
তবে গত ১০ নভেম্বর থেকে টানা কমছে দাম। সোমবার শেয়ার দর স্থির হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ লভ্যাংশ ঘোষণার পর দিন যে দাম ছিল, সেই দামের চেয়েও নিচে নেমে গেছে।
সর্বোচ্চ দরে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের লোকসান এখন শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা ২০ পয়সা।
আবার দর বাড়ার সুযোগে কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হাতের হাতে থাকা শেয়ারের অর্ধেকের বেশি বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। গত ৩১ অক্টোবর মোট শেয়ারের ৪২.৮২ শতাংশ শেয়ার ছিল তাদের হাতে। এক মাস পর ৩০ নভেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হিস্যা কমে হয়েছে ২০.০৬ শতাংশ।
অন্যদিকে অক্টোবর শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ার ছিল ৫.৬৭ শতাংশ। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ২৮.৪৩ শতাংশ।
আবার শেয়ারদর যখন বাড়ছিল, তখন লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। এখন দর কমে আসার পর ক্রেতা কমে এসেছে।
হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ারে লভ্যাংশ ঘোষণার আগের নয় মাসে কখনও দিনে ২০ লাখ শেয়ার হাতবদলের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এই সময়ে মাত্র একদিন সর্বোচ্চ ১৭ লাখ শেয়ার একদিনে হাতবদলের হিসেব পাওয়া যায়।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ২৭ অক্টোবর শেয়ার হাতবদল হয়েছিল ৫০ হাজার ৬৩২টি শেয়ার। এই ঘোষণা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আসার দিন শেয়ার হাতবদল হয় এক কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ১৯৩টি।
একদিন পরই কোটি শেয়ার হাতবদলের সংখ্যা নেমে আসে ৪০ লাখে। তারপর একদিনে সর্বোচ্চ ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার শেয়ারের রেকর্ড পাওয়া গেছে।
প্রাইম টেক্সটাইল
হামিদ ফেব্রিক্সের মতোই অভিজ্ঞতা হয় প্রাইম টেক্সটাইলে। এই কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বড় লোকসানে ছিল। চতুর্থ প্রান্তিকে অস্বাভাবিক আয় দেখিয়ে শেয়ার প্রতি ৬২ পয়সা মুনাফা করার কথা জানানো হয়। আর এর মধ্যে ২০ পয়সা বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত কোম্পানি নেয় ১ নভেম্বর।
হামিদের মতোই পরিস্থিতি হতে পারে, এই প্রত্যাশ্যায় আগের কয়েক দিন ধরেই শেয়ারদর বাড়ছিল কোম্পানিটির। ২৫ অক্টোবর শেয়ারদর ছিল ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। ৫ কর্মদিবস পর লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম দাঁড়ায় ২৪ টাকা ২০ পয়সা।
সেই বিকেলে ঘোষণা আসার পরের দিন ছিল না মূল্যসীমা। সেদিন দাম উঠে ৩২ টাকা পর্যন্ত। তবে দিন শেষ করে ২৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
হামিদ ফেব্রিক্সের লভ্যাংশ ঘোষণার পর বেশ কয়েকদিন দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রাইমের ক্ষেত্রে ওই এক দিনই বাড়ে।
এখন শেয়ারদর নেমে এসেছে ২৩ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ যারা সর্বোচ্চ দরে কিনেছিলেন তারা শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ১০ পয়সা করে লোকসানে আছেন।
হামিদ ফেব্রিক্সের মতোই প্রাইমের ক্ষেত্রেও দেখা যায় দর বাড়ার দিন লেনদেন ছিল বেশি। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। এই ঘোষণার পর প্রান্তসীমা না থাকার দিন বেশি দামে হাতবদল হয় ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৩টি শেয়ার। গত দুই বছরেও কোনো এক দিনে এত বেশি শেয়ার লেনদেন হয়নি।
সোমবার ‘কম দামে’ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৯১টি।
ফারইস্ট নিটিং
এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ দেবে না-এমন ধারণা ছিল না। তবে লভ্যাংশের হারে চমৎকৃত হয়েছিল বিনিয়োগকারীরা।
গত ৭ অক্টোবর বিকেলে লভ্যাংশ ঘোষণার আগে ওই দিন শেয়ার লেনদেন হয় ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়। সন্ধ্যায় জানা যায়, শেয়ার প্রতি ৭৯ পয়সা আয় করে তারা এক টাকা হারে লভ্যাংশ দেবে।
দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১০ অক্টোবর যেদিন মূল্যসীমা ছিল না, সেদিন শেয়ারদর এক লাফে বেড়ে যায় ২৫ টাকা ৩০ পয়সা।
তবে এই বেশি দামে শেয়ার কিনে এখন হতাশ বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার দর কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামে যারা কিনেছেন তারা শেয়ার প্রতি লোকসানে আছেন ৮ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটির শেয়ারও দর বাড়ার পর বেশি হাতবদল হয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ৭ অক্টোবর কোম্পানিটির ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। পরের দিন এই লভ্যাংশের ঘোষণায় মূল্যসীমা না থাকার দিন বেশি দামে ১০ অক্টোবর হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯৬ হাজার ১০টি শেয়ার।
দাম কমার পর সোমবার হাতবদল হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৩টি।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কম।
গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আজ সকালে ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়।
এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, তবে ডিএস৩০-এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেঞ্চমার্ক সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আগাম শেয়ার নিষ্পত্তি, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে তারল্য সহায়তা এবং সম্ভাব্য মূলধন লাভের কর কমানোসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে বাজারে এই ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।’
বিনিয়োগকারীদেরও সচেতনভাবে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে দেখা যাচ্ছে। তারা হয় পূর্ববর্তী বিনিয়োগ থেকে মুনাফা সুরক্ষিত করেছে বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উপার্জনের প্রতিবেদনসহ স্টকগুলোতে মূলধন পুনরায় বিনিয়োগ করেছে। এই নির্বাচনমূলক পদ্ধতি আশার সঞ্চার করায় তা সামগ্রিক বাজারের গতিতে অবদান রেখেছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৬ দশমিক ৯ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে পাঁচ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় বাজার লেনদেন ৪৫ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৬০৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা হয়েছে।
আগের পাঁচ সপ্তাহে ৬১৬ পয়েন্ট হারানোর পর টানা দুই সপ্তাহে ২০২ পয়েন্ট যোগ করেছে ডিএসইএক্স।
ডিএসইর খাতভিত্তিক সূচকগুলোকেও বেশ ভালো করতে দেখা গেছে। ৩০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ ইনডেক্স ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে লেনদেন শেষ করেছে। একইভাবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ডিএসইএস সূচক ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকায়।
বাজার কার্যকলাপের একটি প্রধান সূচক বাজার লেনদেন এই সপ্তাহে তিন হাজার ২৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের দু’হাজার ৮৩ কোটি টাকার লেনদেনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬০৬ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের গড় ৪১৬ কোটি টাকার তুলনায় ৪৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন:শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘর্মেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে যাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ প্রথমবারের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) যাচ্ছেন। এমন খবরে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার।
দেশের দুই শেয়ারবাজারে বুধবার উল্লেখযোগ্য উত্থানের ধারাবাহিকতা দেখা গেছে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারও। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট ডিএসইর সূচক বৃদ্ধি শুরু হয়। সূচক বৃদ্ধির এই ধারা ১১ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ওই চারদিনে সূচকের উত্থান হয় ৭৮৬ পয়েন্ট। এরপর ১২ আগস্ট শুরু হয় ধারাবাহিক পতন।
টানা দরপতন আর লেনদেন খরার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে মূল্যসূচক। সে সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এতে এ বাজারটিতেও সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দুই শেয়ারবাজারেই মূল্যসূচক বাড়লো।
গতকাল বুধবার থেকে বাজার বড় আকারে ঘুরে দাঁড়ায়। ওইদিন ডিএসইর সূচকে বেড়েছে ১১৮ পয়েন্টের বেশি। আর আজ বৃহস্পতিবার বেড়েছে ১৪৭ পয়েন্টের বেশি।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা শেয়ারবাজারের গুরুত্ব অনুধাবন করে নিজেই বিএসইসিতে যাচ্ছেন। যেখানে এর আগে কোনো মন্ত্রী বা উপদেষ্টা যাননি। শেয়ারবাজারের জন্য এটি একটি ভিন্ন বার্তা। শেয়ারবাজারের প্রতি অর্থ উপদেষ্টার এমন আগ্রহের কারণে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জানান, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
রাশেদ মাকসুদ বলেন, অর্থ উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নীতি সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার মধ্যে কিছু থাকবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু বিষয় মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
যেসব নীতি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।
পদক্ষেপগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে এক দিনে নামিয়ে আনা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পরিমাণ অনাদায়ি পুঞ্জীভূত ঋণাত্মক ঋণ (নেগেটিভ ইক্যুইটি) রয়েছে চূড়ান্তভাবে সেগুলোর নিষ্পত্তি করা, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে মূলধনি মুনাফার কর হার কমানো, শেয়ার পুনঃক্রয় ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস আরোপ না করা এবং সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের কার্যক্রম বেড়েছে। এক লাখ ৩৬ হাজার লেনদেনের মাধ্যমে মোট ১৫ দশমিক ৮ কোটি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে, যার মোট লেনদেনের পরিমাণ ৩৪৬ কোটি টাকা। যদিও এটি সোমবারের ৩৫৭ কোটি টাকা থেকে সামান্য কম।
মঙ্গলবার মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২টি কোম্পানির মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, ৫৭টির কমেছে এবং ২৫টি অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেনের এই অবস্থা বিস্তৃত বাজার পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৭ দশমিক ৩২ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১৩ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে এবং বিশেষায়িত ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ৫২ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৫৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মতিন স্পিনিং মিলস পিএলসি, বিডিকম অনলাইন লিমিটেড, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসিআই লিমিটেড, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, বাংলাদেশ অটোকারস লিমিটেড এবং জেমিনি সি ফুড পিএলসি।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ১৭ দশমিক ৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে দেখা যায়, এক হাজার ৮৩৩টি লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৫১ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ১০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এই বাজারে সোমবার লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৮০টি কোম্পানির মধ্যে ১০২টির মুনাফা বেড়েছে, ৫২টির কমেছে এবং ২২টির শেয়ারমূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এটিও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের (বেক্সিমকো) শেয়ার কারসাজির দায়ে নয় বিনিয়োগকারীকে ৪২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই জরিমানা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে কোনো কোম্পানির শেয়ার কারসাজির দায়ে এতো বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা এর আগে আর করা হয়নি।
উল্লিখিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মারজানা রহমানকে ৩০ কোটি, ট্রেড নেক্সট ইন্টারন্যাশনালকে চার কোটি এক লাখ, মুশফিকুর রহমানকে ১২৫ কোটি, মমতাজুর রহমানকে ৫৮ কোটি, জুপিটার ব্যবসাকে ২২ কোটি ৫০ লাখ, অ্যাপোলো ট্রেডিংকে ১৫ কোটি ১০ লাখ, এআরটি ইন্টারন্যাশনালকে ৭০ কোটি, আবদুর রউফকে ৩১ কোটি এবং ক্রিসেন্ট লিমিটেডকে ৭৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও কমিশন সভায় নয়টি কোম্পানির আইপিও/আরপিওর তহবিলের ব্যবহার পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়।
কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেস্ট হোল্ডিং, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিএলসি) শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বুধবার বিএসইসির এক আদেশে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের দাম ও পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে উঠা-নামা করেছে, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়, উল্লিখিত স্ক্রিপের ইউনিটের এমন অস্বাভাবিক উঠা-নামার পেছনে বাজার কারসাজি, অভ্যন্তরীণ লেনদেন, অন্যান্য বাজারের অপব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণ উদঘাটনে ৬ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কেনাবেচা তদন্ত করবে ডিএসই।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কিছু ব্যবসায়ী গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার চেষ্টা করছে। তাই তারা বড় অঙ্কের শেয়ার কিনছে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে এই ব্যাংকের শেয়ারের দাম হু হু করে বেড়েছে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকায় দেশসেরা এই ক্রিকেটারকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে এই কারসাজি করেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি শেয়ারবাজারের আলোচিত চরিত্র আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তারা বাবা আবুল কালাম মাতবর, মো. জাহিদ কামাল, হিরুর প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট, ইসহাল কমিউনিকেশন ও লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে কারসাজিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে এসব ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকেও জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে একাধিক শেয়ার কারসাজির তদন্ত প্রতিবেদনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নাম উঠে আসে। তবে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাকে জরিমানা করেনি বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, ফরচুন সুজ, বিডিকম অনলাইন, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির বিষয়ে করা তদন্ত প্রতিবেদনে সাকিব আল হাসানের নাম জড়ায়। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির জন্য তাকে জরিমানা করা হয়নি। এবারই প্রথম সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির প্রমাণ মিললো।
এর আগে শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগ তদন্তে সাকিবের নাম যতবার উঠে আসে সবগুলোতেই আলোচিত শেয়ার কারসাজিকারী আবুল খায়ের হিরুর নাম ছিল। সাকিবের বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ না মিললেও হিরুর বিরুদ্ধে কারসাজির প্রমাণ মেলে এবং তাকে জরিমানা করা হয়।
এবারও সাকিবের সঙ্গে শেয়ার কারসাজিতে হিরুর নামে উঠে এলো। প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতে জড়িত থাকায় হিরুকে ২৫ লাখ এবং সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া হিরুর বাবা আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ, মো. জাহিদ কামালকে এক লাখ, হিরুর প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টকে এক লাখ, ইসহাল কমিউনিকেশনকে ৭৫ লাখ ও লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিএসইসির এর আগে ‘দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম’-এর শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নিয়োগ বাতিল করে। গত ২৮ আগস্ট জরুরি সভা করে এই সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য