অপ্রত্যাশিত বা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লভ্যাংশের খবরে অস্বাভাবিক হারে শেয়ারদর বেড়ে যাওয়ার পর সম্প্রদি তিনটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ব্যাপক লোকসান করেছে বিনিয়োগকারীরা। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও আরও একটি কোম্পানির অপ্রত্যাশিত লভ্যাংশ ঘোষণায় সেই তিনটির মতোই শেয়ারদর দিয়েছে লাফ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে চার বছর পর মুনাফায় ফিরেও লভ্যাংশ দেয়নি আরামিট সিমেন্ট। অথচ এবার লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনায় শেয়ারদর বাড়ছিল তরতর করে। গত এক বছরে শেয়ারমূল্য সর্বনিম্ন ১৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬৪ টাকা পর্যন্ত উঠে।
গত ২৮ অক্টোবর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার দিন শেয়ারদর ছিল ৫৯ টাকা ১০ পয়সা। পরের কর্মদিবসে মূল্যসীমা না থাকার সুযোগে এক লাফে শেয়ারদর প্রায় ২৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৪৫ টাকা ৫০ পয়সা।
এরপর গত ১৮ নভেম্বর প্রথম প্রান্তিকে বড় লোকসান দেয়ার পরিসংখ্যান জানানোর পর শেয়ারদর আবার কমতে কমতে ২ ডিসেম্বর ৩০ টাকা ১০ পয়সায় নামে।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ৫ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যেটি ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশ হয় সোমবার।
এই খবরে শেয়ারদর দেয় লাফ। আগের দিন দর ছিল ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। দিনের লেনদেন শুরু হয় ১৯ শতাংশ বেড়ে ৪১ টাকা ৫০ পয়সায়।
দিনভর দর উঠানামা করে ৩৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৪২ টাকা ৭০ পয়সায়। দিন শেষে দাম স্থির হয় ৪১ পয়সায়। বাড়ে ৬ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৮.৫০ শতাংশ।
কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর এই প্রথম লভ্যাংশ ঘোষণা করল কোম্পানিটি।
ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লভ্যাংশ দিলেই সেই কোম্পানির শেয়ার কিনতে হয়, এমন নয়। আবার কোম্পানি এক বছর লাভ করলে পরের বছর লাভ করবে, এই ধারণাও ঠিক নয়। কোম্পানি কী উৎপাদন করছে, তাদের পণ্যের বাজার কেমন, ভবিষ্যৎ কী, তা বিবেচনা করে শেয়ার কেনা উচিত।’
দর এক দিনে প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ার দিন শেয়ার বিক্রিও হয়েছে বেশি। সারা দিনে হাতবদল হয়েছে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯২ টি। আগের দিন লেনদেন ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৩টি। তারও আগের দিন লেনদেন ছিল ৯০ হাজারের কিছু বেশি।
হামিদ ফেব্রিক্স
হামিদ ফেব্রিক্স শেষ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ১ টাকা ৭৫ পয়সা। তারপরও শেয়ারধারীতের রিজার্ভ থেকে ৫০ পয়সা হারে লভ্যাংশ দিয়েছে। এমন খবরেও উত্থান ছিল কোম্পানিটির শেয়ার দর।
২৭ অক্টোবর লভ্যাংশ ঘোষণার দিন কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। পরের দিন শেয়ার দরে কোনো সীমা না থাকায় সেখান থেকে এক লাফে বাড়ে দর ৬৭.২০ শতাংশ। দিন শেষে দাম স্থির হয় ৩০ টাকা ৬০ পয়সায়।
এ নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে পরের কয়েক দিন দাম আরও বাড়ে। একপর্যায়ে গত কয়েক বছরের সর্বোচ্চ দাম ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছে যায়।
তবে গত ১০ নভেম্বর থেকে টানা কমছে দাম। সোমবার শেয়ার দর স্থির হয়েছে ২৪ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ লভ্যাংশ ঘোষণার পর দিন যে দাম ছিল, সেই দামের চেয়েও নিচে নেমে গেছে।
সর্বোচ্চ দরে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তাদের লোকসান এখন শেয়ার প্রতি ১৪ টাকা ২০ পয়সা।
আবার দর বাড়ার সুযোগে কোম্পানির প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হাতের হাতে থাকা শেয়ারের অর্ধেকের বেশি বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। গত ৩১ অক্টোবর মোট শেয়ারের ৪২.৮২ শতাংশ শেয়ার ছিল তাদের হাতে। এক মাস পর ৩০ নভেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হিস্যা কমে হয়েছে ২০.০৬ শতাংশ।
অন্যদিকে অক্টোবর শেষে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে শেয়ার ছিল ৫.৬৭ শতাংশ। সেটি বেড়ে এখন হয়েছে ২৮.৪৩ শতাংশ।
আবার শেয়ারদর যখন বাড়ছিল, তখন লেনদেনও হয়েছে ব্যাপক। এখন দর কমে আসার পর ক্রেতা কমে এসেছে।
হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ারে লভ্যাংশ ঘোষণার আগের নয় মাসে কখনও দিনে ২০ লাখ শেয়ার হাতবদলের রেকর্ড পাওয়া যায়নি। এই সময়ে মাত্র একদিন সর্বোচ্চ ১৭ লাখ শেয়ার একদিনে হাতবদলের হিসেব পাওয়া যায়।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ২৭ অক্টোবর শেয়ার হাতবদল হয়েছিল ৫০ হাজার ৬৩২টি শেয়ার। এই ঘোষণা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আসার দিন শেয়ার হাতবদল হয় এক কোটি ৪১ লাখ ৪৩ হাজার ১৯৩টি।
একদিন পরই কোটি শেয়ার হাতবদলের সংখ্যা নেমে আসে ৪০ লাখে। তারপর একদিনে সর্বোচ্চ ৫৮ লাখ ৯৫ হাজার শেয়ারের রেকর্ড পাওয়া গেছে।
প্রাইম টেক্সটাইল
হামিদ ফেব্রিক্সের মতোই অভিজ্ঞতা হয় প্রাইম টেক্সটাইলে। এই কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত বড় লোকসানে ছিল। চতুর্থ প্রান্তিকে অস্বাভাবিক আয় দেখিয়ে শেয়ার প্রতি ৬২ পয়সা মুনাফা করার কথা জানানো হয়। আর এর মধ্যে ২০ পয়সা বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার সিদ্ধান্ত কোম্পানি নেয় ১ নভেম্বর।
হামিদের মতোই পরিস্থিতি হতে পারে, এই প্রত্যাশ্যায় আগের কয়েক দিন ধরেই শেয়ারদর বাড়ছিল কোম্পানিটির। ২৫ অক্টোবর শেয়ারদর ছিল ১৯ টাকা ৪০ পয়সা। ৫ কর্মদিবস পর লভ্যাংশ ঘোষণার দিন দাম দাঁড়ায় ২৪ টাকা ২০ পয়সা।
সেই বিকেলে ঘোষণা আসার পরের দিন ছিল না মূল্যসীমা। সেদিন দাম উঠে ৩২ টাকা পর্যন্ত। তবে দিন শেষ করে ২৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
হামিদ ফেব্রিক্সের লভ্যাংশ ঘোষণার পর বেশ কয়েকদিন দাম বেড়েছে। কিন্তু প্রাইমের ক্ষেত্রে ওই এক দিনই বাড়ে।
এখন শেয়ারদর নেমে এসেছে ২৩ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ যারা সর্বোচ্চ দরে কিনেছিলেন তারা শেয়ার প্রতি ৮ টাকা ১০ পয়সা করে লোকসানে আছেন।
হামিদ ফেব্রিক্সের মতোই প্রাইমের ক্ষেত্রেও দেখা যায় দর বাড়ার দিন লেনদেন ছিল বেশি। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। এই ঘোষণার পর প্রান্তসীমা না থাকার দিন বেশি দামে হাতবদল হয় ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ৪০৩টি শেয়ার। গত দুই বছরেও কোনো এক দিনে এত বেশি শেয়ার লেনদেন হয়নি।
সোমবার ‘কম দামে’ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ১৯১টি।
ফারইস্ট নিটিং
এই কোম্পানিটি লভ্যাংশ দেবে না-এমন ধারণা ছিল না। তবে লভ্যাংশের হারে চমৎকৃত হয়েছিল বিনিয়োগকারীরা।
গত ৭ অক্টোবর বিকেলে লভ্যাংশ ঘোষণার আগে ওই দিন শেয়ার লেনদেন হয় ১৭ টাকা ৯০ পয়সায়। সন্ধ্যায় জানা যায়, শেয়ার প্রতি ৭৯ পয়সা আয় করে তারা এক টাকা হারে লভ্যাংশ দেবে।
দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১০ অক্টোবর যেদিন মূল্যসীমা ছিল না, সেদিন শেয়ারদর এক লাফে বেড়ে যায় ২৫ টাকা ৩০ পয়সা।
তবে এই বেশি দামে শেয়ার কিনে এখন হতাশ বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার দর কমে এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সা।
অর্থাৎ সর্বোচ্চ দামে যারা কিনেছেন তারা শেয়ার প্রতি লোকসানে আছেন ৮ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটির শেয়ারও দর বাড়ার পর বেশি হাতবদল হয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ৭ অক্টোবর কোম্পানিটির ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৬০টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। পরের দিন এই লভ্যাংশের ঘোষণায় মূল্যসীমা না থাকার দিন বেশি দামে ১০ অক্টোবর হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৯১ লাখ ৯৬ হাজার ১০টি শেয়ার।
দাম কমার পর সোমবার হাতবদল হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৩টি।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য