এক দিনের ব্যবধানেই বিপরীত চিত্র। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে দিন লাফ দেয়া স্বল্প মূলধনি বেশিরভাগ কোম্পানির দর পড়ে গেছে দ্বিতীয় দিনে।
আগের দিন সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ৫০টি কোম্পানির প্রায় সবগুলোই ছিল স্বল্প মূলধনি। পরের দিন সবচেয়ে বেশি দর হারানো বেশিরভাগ কোম্পানিই স্বল্প মূলধনির।
রোববারের মতোই সূচক পড়ল সোমবারও। তবে পতনের হার কিছুটা কম। আগের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক থেকে হারিয়ে গিয়েছিল ৬৪ পয়েন্ট, আজ কমল ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন নেমে এসেছে আট মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৬৯৬ কোটি ১৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম লেনদেন ছিল গত ১৮ এপ্রিল। করোনার জন্য দেয়া লকডাউনের সেই সময়ে তখন লেনদেন নেমেছিল তলানিতে। হাতবদল হয়েছেল ৬০২ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা।
তবে ওই সময়টায় পুঁজিবাজার তলানি থেকে উঠে আসার চেষ্টায় ছিল, যে কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশা তৈরি হয়েছিল। আর বর্তমান সময়টায় তুঙ্গে থেকে পুঁজিবাজার কেবল পড়ছেই।
গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সিদ্ধান্ত নেয়, যেসব কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম, তাদেরকে এক বছরের মধ্যে মূলধন এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। যেসব কোম্পানির মূলধন ২০ কোটি টাকার বেশি, তারা সময় পাবে ৬ মাস, আর যেগুলোর মূলধন ২০ কোটি টাকার কম, তারা সময় পাবে এক বছর।
মূলধন বাড়ানোর ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ার, রাইট শেয়ার বা রিপিট আইপিওর পরামর্শ দেয় বিএসইসি। আর এই খবরে রোববার যাচাই বাছাই ছাড়া দাম বাড়তে থাকে।
পুঁজিবাজারে এই ধরনের স্বল্প মূলধনি কোম্পানি আছে মোট ৬৪টি। এর মধ্যে এর মধ্যে ২০ কোটি টাকার বেশি আর ৩০ কোটি টাকার কম, এমন কোম্পানির সংখ্যা ১৪টি। পরিশোধিত মূলধন ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা- এমন কোম্পানির সংখ্যা ২০টি। ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানির সংখ্যা ১৭টি আর ৫ কোটি টাকার নিচে মূলধনের কোম্পানি ১৩টি।
এসব কোম্পানির মধ্যে বহুগুলো লোকসানি, বছরের পর বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। কোনো কোনোটির উৎপাদন বন্ধ, ঋণে জর্জর। কিন্তু দাম বেড়েছে প্রায় সবগুলোর।
কিন্তু একটি বিষয় বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। সেটি হলো পর পর তিন বছর মুনাফায় না থাকলে রিপিট আইপিও করা যাবে না, রিজার্ভ টাকা না থাকলেও বোনাস ও রাইটও দেয়া যাবে না।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের একটি বক্তব্যও লেনদেনের পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রভাব ফেলে। তিনি জানিয়েছেন, তারা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব চাইবেন, যারা কোম্পানি পুনর্গঠন করার মতো অবস্থায় না, তাদেরকে এসএমই বোর্ডে নিয়ে যাওয়া হবে।
সেই বোর্ডে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করতে পারে না। এসএমই বোর্ডে এখন পর্যন্ত ছয়টি কোম্পানি আছে। মূল বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে সেখানকার কোম্পানিগুলোর শেয়ারগুলো এত বেশি নয়। নতুন তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি তিন মাসের মধ্যেই অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে গেছে।
এই অবস্থায় দ্বিতীয় দিনেই কিছুটা ‘হুঁশ ফেরে’ বিনিয়োগকারীদের। আর এই প্রক্রিয়ায় আগের দিন বেশি দরে যারা শেয়ার কিনেছিলেন, তারা এক দিনেই পড়েছেন লোকসানে।
দেশ গার্মেন্টসের দর আগের দিন ১৭৫ টাকা থেকে ১৮১ টাকা ৩০ পয়সা হয়ে গিয়েছিল। সেটি দর হারিয়েছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
এএমসিএল প্রাণের শেয়ারদর ২৬৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছির ২৭৩ টাকা ৭০ পয়সা। এই কোম্পানি দর হারিয়েছে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৫৪ টাকা ৮০ পয়সা।
আগের দিন লোকসানি নর্দার্ন জুটের দর ২৯২ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়ে যায় ৩১০ টাকা ১০ পয়সা। সেটি দর হারিয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২৯১ টাকা ৪০ পয়সা।
বঙ্গজের শেয়ারদর আগের দিন ১২৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়ে যায় ১৩১ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১২৩ টাকা ৭০ পয়সা।
বিডি ল্যাপসের দর আগের দিন ২০৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়ে যায় ২১৯ টাকা ৫০ পয়সা। সেটি দর হারিয়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা। শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ২০৬ টাকা ৪০ পয়সা।
সূচক পতনের যেসব কোম্পানির কারণে
স্বল্প মূলধনি কোম্পানি শেয়ারের দরপতন হলেও সূচকে এসব কোম্পানির অবদান থাকে কমই। যে কারণে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব রাখা ১০টির একটি মাত্র কোম্পানি ছিল এই ধরনের।
টানা দ্বিতীয় দিন সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। ৩.৪৪ শতাংশ দরপতনে সূচক থেকে কমেছে ১০.৮৪ পয়েন্ট।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি। এই কোম্পানিটির ০.৫৫ শতাংশ দরপতনে সূচক কমেছে ৪.৩৭ পয়েন্ট।
এছাড়া ওয়ালটন, লিনডে বিডি, গ্রামীণ ফোন, বেক্সিমেকো ফার্মা, ওয়ান ব্যাংক, ইবিএল, ইউনিলিভার, রবির দরপতনের কারণেও সূচক পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানিই সূচক ফেলেছে ৩১.৪১ পয়েন্ট।
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে এদিন সবচেয় বেশি দর হারিয়েছে প্রকৌশল, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ, বস্ত্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং তথ্য প্রযুক্তির কোম্পানিগুলেঅ।
বিপরীতে কিছুটা হলেও ভালো দিন গেছে আর্থিক ও বিমা খাতে। ব্যাংক খাতে ওয়ান ছাড়া অন্য কোম্পানিগুলোর দরপতনের হারও বেশি ছিল না, তেমনি যেগুলোর দর বেড়েছে, সেগুলোও বেড়েছে কমই।
লেনদেনে আবার সেরা ব্যাংক খাত। এর পরের অবস্থান ছিল আর্থিক, ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র, বিবিধ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।
পতনের দিন সূচক আরও পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, রেকিট বেনকিনজার, আইসিবি, সোনালী পেপার, পাওয়ারগ্রিড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, জিএসপি ফাইন্যান্স বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি এবং আরামিট সিমেন্ট।
এই ১০টি কোম্পানি মিলিয়ে সূচক বাড়িয়েছে ১২.৪২ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি
দর বৃদ্ধিতে এগিয়ে ছিল সিমেন্ট খাতের আরামিট সিমেন্ট। শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে ১৮.৫০ শতাংশ বেড়েছে দর। শেয়ারদর ৬ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে দিন শেষে স্থির হয়েছে ৪১ টাকা।
এমনিতে একটি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধি বা হ্রাস পেতে পারে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। কিন্তু লভ্যাংশ সংক্রান্ত ঘোষণা থাকলে এই সীমারেখা থাকে না।
চার বছর পর মুনাফায় ফিরলেও গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্তের পর কোম্পানিটির শেয়ারদরে ব্যাপক পতন হয়েছিল। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৯৬ পয়সা লোকসানের তথ্য আসার পর আরেক দফা পড়ে দর।
এই সময়ের মধ্যে শেয়ারদর ৫৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ১০ পয়সায় নেমে আসে। এরপর গত ৬ কর্মদিবসের মধ্যে ৫ দিন বেড়ে রোববার দর দাঁড়ায় ৩৪ টাকা ৬০ পয়সা। এর মধ্যে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে ৫ শতাংশ নগদ ঘোষণা করেছে।
কোম্পানিটিতে লেনদেন হয়েছে মোট ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯২টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৮৯ শতাংশ। গত তিন কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ার দর কমলেও চতুর্থ কর্মদিবসে শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ। ১৪ কোটি ১ লাখ টাকার ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বল্প মূলধনি রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.২৩ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে মোট ৪১ হাজার ৮৬৩টি শেয়ার।
জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার দর ২৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬.৮৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। ৪৮ কোটি টাকা লেনদেনে হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৯টি শেয়ার।
স্বল্প মূলধনি ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের দর বেড়েছে ৪.৯২ শতাংশ। এদিন চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে এমন কোম্পানি ছিল আরও দুটির। এগুলো হচ্ছে সোনালী পেপার ও প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স।
তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে পাঁচটি কোম্পানির। এরমধ্যে একমি পেস্টিসাইডের ৩.৮১ শতাংশ, স্বল্প মূলধনি রেকিট বেনকিনজারের ৩.৭৪ শতাংশ ও ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৩.১৫ শতাংশ।
এইগুলো ছাড়াও দুই শতাংশ থেকে তিন শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার দর বেড়েছে আটটি কোম্পানির।
দর পতনের ১০ কোম্পানি
এদিন সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে দেশ গামেন্টস। শেয়ারদর ১৮১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮.১০ শতাংশ কমে হয়েছে ১৬৬ টাকা ৬০ পয়সা।
কোম্পানিটির ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এএমসিএল (প্রাণ) শেয়ার দর কমেছে ৬.৯০ শতাংশ। শেয়ার দর ২৭৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ টাকার, হাতবদল হয়েছে ৮০ হাজার ৫৩৮টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা নর্দান ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬.০৩ শতাংশ। এছাড়া বঙ্গজের শেয়ার দর কমেছে ৬ শতাংশ। ৮৫ লাখ টাকার মোট ৬৮ হাজার ৪১৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়া অবস্থানে থাকা আনালিমা ইয়ার্নের দর কমেছে ৫.৯৭ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পের ৫.৯৬ শতাংশ, ফু ওয়াং সিরামিকের দর ৫.৮৮ শতাংশ, জি কিউ বলপেনের দর ৫.৭৭ শতাংশ, মেঘনা পেটের দর কমেছে ৫.৭৩ শতাংশ।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
সোমবার লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল জিএসপি ফাইন্যান্স, যাতে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
তরপরই ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, যার লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৮ লাখ ৬৬ হাজার ১৪৩টি শেয়ার। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৩.৪৪ শতাংশ।
অস্বাভাবিক উত্থানের পর টানা দরপতনের মুখে থাকা ওয়ান ব্যাংক ছিল তৃতীয় স্থানে। লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ৪.৮৫ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৮০ পয়সা। হাতবদল হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৭টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারটেকে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৯২ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৭টি শেয়ার।
সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি টাকার। হাতবদল হয়েছে মোট ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ১৪৮টি শেয়ার।
ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসে র লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ৪৭ হাজার ৫৯০ টি শেয়ার।
এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংকে ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সোনালী পেপারে ১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফে ১২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য