৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নয় এমন কোম্পানিতে এক বছরের মধ্যে এই পরিমাণ মূলধন সংগ্রহে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির আদেশের প্রতিক্রিয়া পুঁজিবাজরে এই ধরনের কোম্পানির শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। মৌলভিত্তি, আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস বিবেচনায় নিলে এমনিতেই শেয়ার মূল্য সার্বিক বাজারের তুলনায় বেশি। এবার তা দিয়েছে আরও লাফ।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বেড়েছে, এমন ৪০টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টিই ছিল স্বল্প মূলধনি। এদের মধ্যে বেশিরভাগের ব্যবসার পরিধি, শেয়ার প্রতি আয়, লভ্যাংশের ইতিহাস তেমন একটা ভালো নয়। কোনো কোনো কোম্পানি ১০ বছরেও লভ্যাংশ দেয়নি।
তবে এসব কোম্পানির দর বৃদ্ধির প্রভাব সূচকে পড়ে খুবই কম। বহুজাতিক তিনটি স্বল্প মূলধনি কোম্পানি, একটি কাগজ খাতের কোম্পানি ছাড়া সূচক বৃদ্ধিতে বাকিগুলো অবদান রাখতে পারেনি বললেই চলে।
বিপরীতে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর সিংহভাগই শেয়ারদর হারিয়েছে। সব মিলিয়ে সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৯টি এবার ভালো লভ্যাংশ ঘোষণা করেছ। চলতি অর্থবছরেও ভালো আয় করে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছিল। অন্য একটি কোম্পানি মৌলভিত্তির হলে সেটি আইনি জটিলতায় লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি। তবে সম্প্রতি শেয়ারদরে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছে।
এটা স্পষ্ট যে বিনিয়োগকারীরা হাতে থাকা বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ার কম দামে হলেও বিক্রি করে গিয়ে স্বল্প মূলধনিতে বিনিয়োগ করছেন।
এই পরিস্থিতিতে সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়েই শুরু হলো সপ্তাহের লেনদেন। যত শেয়ারের দর বেড়েছে, তার দ্বিগুণেরও বেশি শেয়ারের দরপতনে সূচক থেকে হারিয়ে গেছে ৬৪ পয়েন্ট।
সব মিলিয়ে বেড়েছে ৯৯টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ২৪২ টির দর। দাম ধরে রাখতে পেরেছে ৩৫টি কোম্পানি।
তবে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিতে ব্যাপক আগ্রহের কারণে লেনদেনে দেখা গেছে গতি।
বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল এক হাজার ৪৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সেখান থেকে বেড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৮৪ কোটি ২৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি এক আদেশে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকে কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা মূলধন সংগ্রহের নির্দেশ দেয়। যাদের মূলধন ২০ কোটি টাকার বেশি, তাদেরকে ৬ মাস, আর যাদের মূলধন ২০ কোটি টাকার কম, তাদেরকে সময় দেয়া হয় এক বছর।
এই মূলধন সংগ্রহে বোনাস ও রাইট শেয়ার বা রিপিট আইপিও করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে।
পুঁজিবাজারে ৩০ কোটি টাকার কম মূলধনের কোম্পানি আছে মোট ৬৪টি। এর মধ্যে ২০ কোটি টাকার বেশি আর ৩০ কোটি টাকার কম, এমন কোম্পানির সংখ্যা ১৪টি।
পরিশোধিত মূলধন ১০ থেকে ২০ কোটি টাকা- এমন কোম্পানির সংখ্যা ২০টি। ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানির সংখ্যা ১৭টি আর ৫ কোটি টাকার নিচে মূলধনের কোম্পানি ১৩টি।
এসব কোম্পানির মধ্যে বহুগুলো লোকসানি, বছরের পর বছর লভ্যাংশ দিতে পারেনি। কোনো কোনোটির উৎপাদন বন্ধ, ঋণে জর্জর। কিন্তু দাম বেড়েছে প্রায় সবগুলোর।
দিন শেষে সূচক পড়লেও শুরু হয়েছিল উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেলা ১০টা ৫ মিনিটে আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট বেশি ছিল সূচক। কিন্তু পরের পুরোট সময় কমে কিছুটা উঠে আবার পড়ে সূচক।
সূচকের পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। ২.২ শতাংশ দরপতনে এই একটি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ৯.২২ পয়েন্ট। একই গ্রুপের বেক্সিমকো ফার্মার ২.৭২ শতাংশ দরপতনের কারণে সূচক পড়েছে ৭.৩ পয়েন্ট।
পাওয়ারগ্রিড, ওয়ান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ডেল্টা লাইফ, আইএফআইসি ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, আইসিবি ও বিকন ফার্মার দরপতন সূচক কমায় রেখেছে প্রধান ভূমিকায়।
এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক থেকে হারিয়েছে গেছে ৪৬.০৮ পয়েন্ট।
বিপরীতে সূচকে সবচেয়ে বেশি ১৩.৮৮ পয়েন্ট সূচক বাড়িয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি। স্বল্প মূলধনি বহুজাতিক তিন কোম্পানি লিনডে বিডি, বার্জার পেইন্টস, ইউনিলিভার, রেটিক বেনকিনজারও ছিল এই তালিকায়।
সোনালী পেপার, ওয়ালটন ইন্ডাস্ট্রিজ, রবি, জেনেক্স ইনফোসিস ও ফরচুন সুজও বাড়িয়েছে সূচক।
এই ১০ কোম্পানি মিলিয়ে সূচক বাড়িয়েছে ৩৭.৭৪ পয়েন্ট।
সূচকের পতনের দিনে লেনদেনে শীর্ষস্থান এক দিন পরেই ফিরে পেয়েছে ব্যাংক খাত। গত বৃহস্পতিবার শীর্ষে উঠে আসা বস্ত্র খাত এদিন ছিল তৃতীয় অবস্থানে। সব মিলিয়ে তিনটি খাতে একশ কোটি টাকার বেশি, ৭০ কোটি টাকার বেশি আরও তিন খাতে, ৬০ কোটি টাকার বেশি দুটি খাতে এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে আরও দুটি খাতে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে প্রায় সবই স্বল্প মূলধনি
৬ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের আমারিম লিমিটেড দর বৃ্দ্ধির শীর্ষ অবস্থানে। বৃহস্পতিবার শেয়ারদর ছিল ৩২৪ টাকা, বাড়া সম্ভব ছিল ৩৫৩ টাকা পর্যন্ত। হয়েছেও তা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৮.৭৪ শতাংশ।
কোম্পানিটির কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, ব্যবসা বৃদ্ধির কোনো ঘোষণা নেই। তারপরেও শেয়ারদরে এই লাফ দেয়ার কারণ শেয়ার সংখ্যা বাড়ানোর আদেশ।
৬০ লাখ শেয়ার আছে কোম্পানিটির। বিএসইসির আদেশ অনুযায়ী সেটিতে তিন কোটিতে নিয়ে যেতে হবে আগামী এক বছরে।
২ কোটি ২৩ লাখ টাকায় কোম্পানিটির ৬৩ হাজার ২৫৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এদিন নয় শতাংশ বা দশ শতাংশ পর্যন্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার দর বাড়েনি। আট শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে চারটি কোম্পানির, যার প্রতিটির শেয়ার সংখ্যা কম।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ২ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের কোম্পানি অ্যামবি ফার্মার দর বেড়েছে ৮.৭৩ শতাংশ। ৩৯ লাখ ৯২ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে কোম্পানিটিতে, হাতবদল হয়েছে মোট ৮ হাজার ২৫২টি শেয়ার।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৭১ শতাংশ। শেয়ার দর ২৫৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮০ টাকা ৬০ পয়সা। ৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় হাতবদল হয়েছে ৩ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার।
৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের মনোস্পুল পেপারের দর বেড়েছে ৮.১৫ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৬০ হাজার ১৮০ টি শেয়ার।
১০ কোটি ৯১ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের দর বেড়েছে ৭.৯৬ শতাংশ। ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৫ লাখ ২ হাজার ৮৫৭টি শেয়ার।
৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের এপেক্স ফুডের দর বেড়েছে ৭.৫৪ শতাংশ। ১৪৮ টাকা ৬০ পয়সার শেয়ারদর বেড়ে হয়েছে ১৫৯ টাকা ৮০ পয়সা।
২১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের সোনালী পেপারের দর ৭.৪৯ শতাংশ দর বেড়েছে। ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১টি শেয়ার।
এছাড়া ২ কোটি ৭৩ লাখ পরিশোধিত মূলধনের মুন্নু অ্যাগ্রোর দর ৭.৫০ শতাংশ, ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের লিব্রা ইনফিউশনের দর ৭.৪৯ শতাংশ, ৩ কোটি ১২ লাখ টাকার ফার্মা এইডের দর ৭.৪৫ শতাংশ বেড়েছে।
স্বল্প মূলধনি ন্যাশনাল টি, আজিজ পাইপ, ইমাম বাটন, মেঘটা পেট, বিডি ল্যাপস, হাক্কানি পাল্প, এপেক্স স্পিনিং, সোনালী আঁশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকসের দরও বেড়েছে স্বল্প মূলধনির মুলধন বৃদ্ধির ইস্যুতে।
দর পতনের দশ কোম্পানি
এই তালিকায় শীর্ষে ছিল গত এক মাসে ব্যাংক খাতে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ওয়ান ব্যাংক। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাবলেও শেয়ারদর কমেছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। আগের দিনের চেয়ে ৯.৮৩ শতাংশ দর হারিয়ে হাতবদল হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লাখ ২৬ হাজার ১৯টি শেয়ার।
দ্বিতীয় অবস্থানে ফিনিক্স ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৫.৯২ শতাংশ। ২৭ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সা।
তৃতীয় অবস্থানে ছিল নতুন তালিকাভুক্ত সেনাকল্যাণ ইন্সুরেন্স। শেয়ার দর ৭৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫.৯১ শতাংশ কমে হয়েছে ৭৪ টাকা ৮০ পয়সা।
আরেক নতুন তালিকাভুক্ত একমি পেস্টিসাইডসের শেয়ার দর ৫.৬৮ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর ৫.৮৮ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিসের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫৫ শতাংশ।
পাঁচ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে এমন আরও তিনটি কোম্পানি ছিল। এগুলো হচ্ছে এসকে ট্রিমস, তওফিকা ইন্ডাস্ট্রিস, আরামিট সিমেন্ট।
চার শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ২৩টি কোম্পানির। এছাড়া দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ২৯টি কোম্পানির। এক শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমেছে ৭৬টি কোম্পানির।
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০ কোম্পানি
লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানির মধ্যে ব্যাংক খাতেরই আছে তিনটি, যার প্রতিটির দর কমেছে।
সবচেয়ে বেশি লেনদনে হওয়া ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দিনের সবচেয়ে বেশি। আর লেনদনে হয়েছে ৮৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকে যার ২৩ কোটি ৩১ লাখ টাকায় ১ কোটি ৭০ লাখ ৮১ হাজার ৩৯৪টি আর আইএফআইসি ব্যাংকে ২২ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮৪৩টি শেয়ার।
সবচেয়ে বেশি লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। ৫৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৫১৫টি শেয়ার।
সাইফ পাওয়ারটেকে লেনদেন হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। হাতবদল হয়েছে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১টি শেয়ার।
সোনালী পেপারে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪১৬টি শেয়ার।
ফরচুন সুজে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ (বিএটিবিসি) শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।
এছাড়া ডেল্টা লাইফে ২০ কোটি ১৯ লাখ টাকা আর জিএসপি ফাইন্যান্সে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য