× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Why is there joy in Murads area even after losing the state minister
google_news print-icon

প্রতিমন্ত্রী হারালেও মুরাদের এলাকায় উল্লাস কেন

প্রতিমন্ত্রী-হারালেও-মুরাদের-এলাকায়-উল্লাস-কেন
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগের খবরে এলাকায় আনন্দ মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী তার পদ হারিয়েছেন, এমন খবরে নিজের নির্বাচনি এলাকার লোকজন ও কর্মীদের কষ্ট পাওয়ার কথা ছিল, তবে মুরাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো দৃশ্য দেখেছি। এতেই বোঝা যায় মুরাদের জনপ্রিয়তা আর নেতার প্রতি কর্মীদের ভালোবাসা কতটা কম।’

নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পদত্যাগ করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। দলের পদ থেকেও তাকে দেয়া হয়েছে অব্যাহতি।

মুরাদের পদত্যাগের পর তার এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, মুরাদ তার অনুসারীদের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। এ ছাড়া তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে খোদ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাই বিব্রত ছিলেন। এ কারণে তার মন্ত্রিত্ব হারানোর পর উল্লসিত এলাকাবাসী।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, মুরাদের রাজনীতির শুরু বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের মাধ্যমে হলেও কিছু দিনের মধ্যে তিনি যোগ দেন ছাত্রলীগে। এরপর যুবলীগ করে হয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। দ্বিতীয়বার এমপি হওয়ার পর পান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ।

দাম্ভিকতা আর অশালীন মন্তব্যের কারণে সব মহলেই সমালোচনার পাত্র ছিলেন তিনি। এ কারণে প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানোর পর তাকে জামালপুর জেলার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদও এখন তার নেই।

জামালপুরের স্থানীয়রা জানান, মুরাদের বাড়ি সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে। তবে তার পরিবার এখন থাকে জামালপুর শহরের নয়াপাড়ার একটি বাসায়।

প্রতিমন্ত্রী হারালেও মুরাদের এলাকায় উল্লাস কেন
পদত্যাগের খবরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে একজন আরেকজনকে মিষ্টিমুখ করান আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা

মুরাদের বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার। তিনি দীর্ঘদিন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন।

মুরাদের শিক্ষাজীবন ও ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জামালপুর জিলা স্কুল থেকে ১৯৯০ সালে তিনি এসএসসি পাস করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের (মমেক) এম-৩০ ব্যাচে এমবিবিএসে ভর্তি হন।

তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। মেডিক্যালে ভর্তির পরই ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় হন মুরাদ। ১৯৯৬ সালে কলেজ শাখা কমিটি দেয়া হলে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান।

তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ডিসেম্বরেই ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রলীগে যোগ দেন মুরাদ। ১৯৯৭ সালে মমেক শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি। ২০০০ সালে একই শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।

মুরাদের সময় ছাত্রদলের মমেক শাখার সভাপতি ছিলেন সৈয়দ মেহবুব উল কাদির। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইসহাক।

ডা. মেহবুব উল কাদির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের হয়ে মিছিল-মিটিংয়ে মুরাদের সরব উপস্থিতিসহ অন্যান্য সাংগঠনিক কার্যক্রমেও তিনি যুক্ত ছিলেন। কমিটিতে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করলে তার কার্যক্রম দেখে আমরা প্রচার সম্পাদকের পদ দিই।’

প্রতিমন্ত্রী হারালেও মুরাদের এলাকায় উল্লাস কেন
সদ্য বিদায়ী তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান

মুরাদ হাসান যে কমিটিতে ছিলেন, সে কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন তখনকার জেলা ছাত্রদল সভাপতি মোতাহার হোসেন তালুকদার।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুরাদ বরাবরই সুবিধাবাদী ছিলেন, দলের দুঃসময়ে তিনি পল্টি দেন। ক্ষমতার পালাবদলে নিজে ভোল পাল্টে ছাত্রদলের পদধারী নেতা থেকে হয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি। এ জন্য মুরাদকে একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতা হিসেবেই আমরা চিনতাম।’

তখনকার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম রিপন নিউজবাংলাকে জানান, মুরাদ ১৯৯৩ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসে ভর্তির পরই ছাত্রদলের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে তিনি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

মুরাদের বাবা মতিউর রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচরও ছিলেন। এসব দিক বিবেচনায় পরে মুরাদকে ছাত্রলীগে পদ দেয়া হয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, মুরাদ ২০০১ সালে এমবিবিএস পাস করেন। ২০০৩ সালে তিনি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। একই বছর আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা শাখার সদস্যও হন।

এরপর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী, মেস্টা ও তিতপল্যা) আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

২০১৪ সালে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ২০১৫ সালে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন মুরাদ। ২০১৭ সালে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্যও হন।

২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেলেও ২০১৮ সালে ফের নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য হন মুরাদ। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে।

২০১৯ সালের ১৯ মে মন্ত্রিসভায় রদবদল আনা হলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে মুরাদকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের অভিযোগ, মুরাদ তার বাবার কারণে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি হয়েই তিনি দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করেন। আধিপত্য বিস্তার করতে একটি ক্যাডার বাহিনীও গঠন করেন।

ওই সময় তার ‘ক্যাডার বাহিনী’ সরিষাবাড়ীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার ক্যাডারদের হাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী লাঞ্ছিত হন। এ ছাড়া তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও মনগড়া মন্তব্যে বিব্রত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে মুরাদের দ্রুত উত্থান হয়েছিল। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগে পদ পাওয়ার পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একের পর এক পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে নিজের ব্যবহারের কারণে প্রকৃতিও তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘মুরাদ এমপি হওয়ার পর নিজেকে সংযত রাখতে পারেননি। তার পাশে অনেক অবাঞ্ছিত কর্মীকে জায়গা দিয়েছেন। নিজেও সংযত না হওয়ার কারণেই আজ সব হারাতে বসেছেন তিনি।’

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘একজন প্রতিমন্ত্রী তার পদ হারিয়েছেন, এমন খবরে নিজের নির্বাচনি এলাকার লোকজন ও কর্মীদের কষ্ট পাওয়ার কথা ছিল, তবে মুরাদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টো দৃশ্য দেখেছি।

‘সাধারণ জনতাসহ নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। এতেই বোঝা যায় মুরাদের জনপ্রিয়তা আর নেতার প্রতি কর্মীদের ভালোবাসা কতটা কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুরাদ আগে থেকেই বিতর্কিত ছিলেন। তার ছত্রছায়ায় থাকা কিছু নেতা-কর্মী তাকে আরও বিতর্কিত করেছেন। এ জন্য মুরাদের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীরা তার পাশে নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

গত ১ ডিসেম্বর এক ফেসবুক লাইভে মুরাদ হাসান খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এরপর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তার অশোভন কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে শুরু হয় নতুন বিতর্ক।

এমন পরিস্থিতিতে মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টি সোমবার রাতে নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মুরাদ পরদিন পদত্যাগপত্র দিলে রাতেই সেটি গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি।

আরও পড়ুন:
মন্ত্রিত্ব হারানো মুরাদ দেশ ছেড়ে কানাডার পথে
ফ্লাইট ডিলে, বিমানে চড়েছেন মুরাদ
মুরাদের জন্য কেঁদে ভাইরাল রানা যুবলীগের নেতা নন
আলালের ‘অশালীন’ বক্তব্যে ফখরুলের সমর্থনে কাদেরের ক্ষোভ
মুরাদ বিদেশ যাবেন কি না জানা নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
6 fugitive accused in Jhenaidah murder case arrested

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার শৈলকুপায় হত্যা মামলার ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়রা জানায়, রোববার বিকেলে কাদা খেলা নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বাধীন বিশ্বাস হত্যা মামলার ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬।

উপজেলার ভাটই বাজার এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ভগবাননগর গ্রামের সজীব বিশ্বাস (২০), বিজয় বিশ্বাস (১৮), সুশান্ত বিশ্বাস (৩৫), সুভাষ বিশ্বাস (৪০), প্রশনজিৎ বিশ্বাস (২৬) ও পলাশ বিশ্বাস (১৬)।

এর আগে রোববার রাতে উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার সুনিল বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাসকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

স্থানীয়রা জানায়, ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নীলপূজার অংশ হিসেবে কাদা খেলার আয়োজন করে স্থানীয় বাগদি সম্প্রদায়। রোববার বিকেলে এ নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা। রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই দিন রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাধীনের মৃত্যু হয় স্বাধীনের।

এ ঘটনায় স্বাধীন বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, সোমবার বিকেলে র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প)-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত
কাদা খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ‘সন্ন্যাসীদের’ পিটুনিতে যুবক নিহত
ঝরে গেল হাসনাহেনা, মা শুধুই কাঁদছেন
গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The sound of mortar shells is coming intermittently in Teknaf

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ কক্সবাজারের টেকনাফের একটি এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।’

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান লড়াইয়ের মধ্যে থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফে।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলাটিতে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের ভাষ্য, সীমান্তে বসবাসকারীদের জন্য নাফ নদী দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তখন মিয়ানমারের ওপার থেকে ভারি বিস্ফোরণের শব্দ এপারে ভেসে আসে। এতে সীমান্তের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে।

‘সারা দিন থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রাতে তা তীব্র হয়ে উঠে আরও। এখনও এ রকম চলতেছে। এপারের ভূখণ্ডে গোলা না পড়লেও ভূখণ্ড কাঁপছে ঠিকই।’

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।

‘ঈদের দিন ও মধ্যরাতসহ এখনও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ওপার থেকে টেকনাফ সীমান্তে ভেসে আসছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী রাখাইনে তাদের অভ্যন্তরের অনেক দূরে গোলাগুলি চলছে। এ কারণে এপারে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সীমান্তবর্তী লোকজনের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিন সপ্তাহ পর উদ্ধার টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ
৮০০ টাকার জন্য যুবককে গুলি করে হত্যা, দাবি পরিবারের
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
টেকনাফের অপহৃত চারজন ফিরেছেন ‘মুক্তিপণ দিয়ে’, এক কৃষকের খোঁজ নেই

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Injured laborer died after falling in Rooppur

রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু

রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু প্রাণ হারানো আব্দুল হালিম। ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রকল্পের রোসেম কোম্পানির চুল্লিতে কাজ করার সময় অসাবধানবশত অনেক উঁচু থেকে নিচে পড়ে গেলে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান আব্দুল হালিম।

দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে কর্মরত এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আব্দুল হালিমের (৩০) মৃত্যু হয়। তিনি ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বড়ইচড়া পশ্চিম পাড়ার শহিদ মণ্ডলের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রকল্পের রোসেম কোম্পানির চুল্লিতে কাজ করার সময় অসাবধানবশত অনেক উঁচু থেকে নিচে পড়ে গেলে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান আব্দুল হালিম। এ সময় আহত হালিমকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। ১০ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা অবস্থায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান তিনি।

ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা মৃত্যুর খবর শুনেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

আরও পড়ুন:
দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৩ বন্ধু নিহত
ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু
পাত্রীকে পছন্দ হয়নি পাত্রের, দুলাভাইকে তাই ‘পিটিয়ে হত্যা’
মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য নিয়ে আ.লীগের দু পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
সপরিবারে সদরঘাটে নিহত মুক্তা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two people including a woman were killed in a collision between two buses in Mymensingh

ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত

ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত ময়মনসিংহে মঙ্গলবার সকালে দুটি বাসের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। ছবি: নিউজবাংলা
তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘যাত্রীবাহী শেরপুরগামী বাসটি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রল পাম্প পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস দুটি খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হন।’

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।

শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কে উপজেলার কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রল পাম্পের পাশে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয় এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যাত্রীবাহী শেরপুরগামী বাসটি সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোদলধর এলাকার হিমালয় পেট্রল পাম্প পর্যন্ত আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাস দুটি খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই নারীসহ দুই যাত্রী নিহত হন।

‘এ ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন। স্থানীয়রা তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।’

ওসি জানান, বাসের নিচে আরও মরদেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রেকার দিয়ে খাদে পড়া বাস দুটি উদ্ধারের কাজ করছেন। নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত
মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ৩ বন্ধু নিহত
ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে এক নারীর মৃত্যু
পাত্রীকে পছন্দ হয়নি পাত্রের, দুলাভাইকে তাই ‘পিটিয়ে হত্যা’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eight injured in AC blast in Taylors

টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত

টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত সাভার পৌরসভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স নামের দোকানটিতে সোমবার রাত আটটার দিকে দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা
সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মেহেরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে রাত আটটা ২৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসি। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা বিস্ফোরণের কারণে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।’

ঢাকার সাভারে একটি টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে পথচারীসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

পৌরসভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আদ্রিতা ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেইলার্স নামের দোকানটিতে সোমবার রাত আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং দুজনকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন টেইলার্সটির মালিক ইউসুফ, তার বন্ধু নাহিদ ও মো. আজাদ।

আহত আজাদ বলেন, ‘রাত সোয়া আটটার দিকে বিকট শব্দে দোকানটিতে থাকা এসি বিস্ফোরণ হয়। এ সময় আমি রাস্তার বিপরীতে দাঁড়ানো ছিলাম। দোকানের গ্লাস ভেঙে ছিটকে এসে মুখে লেগে আমি সামান্য আহত হই।

‘এ ছাড়াও টেইলার্সে থাকা তিনজন, এক নারী ও পথচারীসহ অন্তত সাতজন এই ঘটনায় আহত হন। এর মধ্যে কয়েকজন দগ্ধ ও কয়েকজন বিভিন্নভাবে আহত হয়েছেন।’

তিনি জানান, দগ্ধ দুজনকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও দুজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

সাভার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মেহেরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সংবাদ পেয়ে রাত আটটা ২৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে আসি। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা বিস্ফোরণের কারণে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

‘আমরা এসে কোনো আগুন পাইনি। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে আসার পর আমরা আহত কাউকে পাইনি।’

এ ঘটনায় ঠিক কতজন দগ্ধ কিংবা আহত রয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এ কর্মকর্তা।

সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘আমরা ইউসুফ ও নাহিদ নামের দগ্ধ দুইজনকে পেয়েছি। তারা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।’

আরও পড়ুন:
মা-বাবার জন্য অপেক্ষা ফুরোয় না সাজিদের
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
গাজীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: প্রাণহানি বেড়ে ১৭
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, এক পরিবারের চারজন দগ্ধ
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
13 killed in pickup bus collision in Faridpur

ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩ ফরিদপুর সদরে মঙ্গলবার সকালে পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন। ছবি: নিউজবাংলা
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ফরিদপুর সদরে মঙ্গলবার পিকআপ ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সকালে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে মাগুরা যাচ্ছিল। অন্যদিকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে জেলা সদরে যাচ্ছিল পিকআপ ভ্যানটি। পথে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় পিকআপটিকে ধাক্কা দেয় বাস। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন নিহত হন।

ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত চারজনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাকি দুজন।

আরও পড়ুন:
গুলশানে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ইউনাইটেড হাসপাতালের কর্মী নিহত
সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি, দুই লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল
ঈদের সকালে হরিয়ানায় স্কুলবাস উল্টে ৬ শিশু নিহত, ‘মদ্যপ ছিলেন’ চালক
নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
চট্টগ্রামে ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কা, চালকসহ নিহত ২

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dutch Bengal agent bank is accused of looting money by making the employee unconscious

কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ

কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব‍্যাংক কর্মচারী সাগর শেখ। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যাংক এজেন্ট বিপ্লব হোসেন জানান, প্রতিদিন ব্যাংকে অনেক টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতিদিনের লেনদেনের আরও টাকা থাকে। তাই কত টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।

মেহেরপুরের মুজিবনগরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকের কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ব্যাংক থেকে টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার শিবপুরে সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় কর্মচারী সাগর শেখকে অজ্ঞান করে টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুইজন।

ঘটনার বেশ কিছু সময় পরে স্থানীয়রা অসুস্থ অবস্থায় সাগর শেখকে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের শিবপুর গলাকাটা বাজারে বিপ্লব হোসেন এজেন্ট হিসেবে ব্যাংক পরিচালনা করে আসছেন। সোমবার দুপুরে ব্যাংক কর্মচারী সাগর শেখ কাজ করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতরা ব্যাংকে প্রবেশ করে তাকে অজ্ঞান করে। আশপাশের লোকজন টের পাওয়ার আগেই তারা ব্যাংক থেকে টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আরও জানায়, ঘটনার আগে তারা ব্যাংকে অজ্ঞাত দুজনকে প্রবেশ করতে দেখেছিলেন, তবে তারাই যে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউ। তাদের প্রবেশের কিছুক্ষণ পরে সাগরকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখেন স্থানীয়রা।

ব্যাংক এজেন্ট বিপ্লব হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। অজ্ঞাতরা এ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে ডাকাতি করেছে বলে ধারণা তার।

বিপ্লব হোসেন আরও জানান, প্রতিদিন ব্যাংকে অনেক টাকা লেনদেন হয়ে থাকে। এর সঙ্গে প্রতিদিনের লেনদেনের আরও টাকা থাকে। তাই কত টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে তা সঠিক হিসাব না করে বলা যাচ্ছে না।

মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ব্যাংক কর্মচারীর শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। চোখ খুলে তাকাচ্ছে, কিন্তু তার চেতনা ফেরেনি। তাকে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছে না চোখে চেতনানাশক স্প্রে করা হয়েছে তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে।’

মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জ্বল দত্ত জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে ভর্তি কর্মচারী সুস্থ হলে তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে, তবে পুলিশের তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ভল্ট ভাঙতে ব্যর্থ হয়ে সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ: র‌্যাব
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে কুকি চিন জড়িত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রুমার পর এবার থানচিতে দিনদুপুরে দুই ব্যাংকে ডাকাতি, লুট
১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ১১ হাজার মানুষকে অর্থসহায়তা দিল এনআরবিসি ব্যাংক

মন্তব্য

p
উপরে