সমুদ্রপথে ট্রানজিট সুবিধা সৃষ্টির মাধ্যমে বন্দরকেন্দ্রিক বড় অঙ্কের আয়ের সুযোগ থেকে এখনও বেশ দূরে বাংলাদেশ। কারণ বিশ্বের বড় বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারে না। ফলে এসব জাহাজের পণ্য বন্দরের জেটিতে আনতে দরকার পড়ে একাধিক মাঝারি (সিস্টার ভেসেল) কিংবা ছোট (লাইটার) জাহাজের। এতে পণ্য খালাসে ঝুঁকি ও জটিলতার পাশাপাশি বাড়ে ব্যয়ও।
একই কারণে বন্দরকেন্দ্রিক অন্যান্য বাণিজ্যে (যেমন: বড় বড় জাহাজ রিফুয়েলিং) পিছিয়ে বাংলাদেশ, তবে আশা জাগাচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প। এটি বাস্তবায়ন হলে সমুদ্র অর্থনীতিতে নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
এই সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের সুযোগ পাবে ভারত, নেপাল, ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো। এতে ট্রানজিট মাশুল থেকে বিপুল রাজস্ব আয়ের দ্বার উন্মোচন হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটি জাপানি কোম্পানি গভীর সমুদ্রবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে। এতে সময় লাগবে বছরখানেক।
২০২২ সালের শেষের দিকে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ গুছিয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরোদমে শুরু হবে গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ। কাজ শেষ হবে ২০২৬ সালের মধ্যে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গভীর সমুদ্রবন্দর হলে ভবিষ্যতে মাতারবাড়ী হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড।
গভীর সমুদ্রবন্দরের আলোচনা যখন শুরু
চট্টগ্রাম বন্দরের সূচনা ১৮৮৭ সালে। এ বন্দরের জোয়ারের সময় সর্বোচ্চ গভীরতা হয় সাড়ে ৯ মিটারের মতো। ফলে সেখানে বড় জাহাজ ভিড়তে পারে না। এ অবস্থায় দেশে যে বাড়তি গভীরতার বন্দর দরকার, তা প্রথম উপলব্ধিতে আসে ১৯৭৮ সালে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পুরোনো এক প্রকাশনায় দেখা যায়, ওই বছর নেদারল্যান্ডস ইকোনমিক ইনস্টিটিউট নামের একটি সংস্থা ১১টি স্থান পরিদর্শন করে কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে গভীর পানির টার্মিনাল নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সুপারিশ করে। যদিও সেই উদ্যোগ আর বাস্তবায়ন হয়নি।
এরপর ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো দেশে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন এটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে। পরে আলোচনায় আসে পটুয়াখালীর পায়রা। সবশেষে সিদ্ধান্ত হয় কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতেই হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। অবশেষে গত বছরের মার্চে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। আগামী বছরের জুলাইয়ে শুরু হবে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ।
যে প্রক্রিয়ায় কাজ এগোচ্ছে
মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ দুই ধাপে বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। এ ধাপে সম্পন্ন হবে নকশা প্রণয়ন ও দরপত্রের প্রক্রিয়া। আর দ্বিতীয় ধাপে নির্মাণ হবে একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ও একটি কনটেইনার টার্মিনাল। একই সময়ে চলবে চ্যানেল তৈরির কাজও।
পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। শুরুতে ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে কাজ শুরু হলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি হবে গভীর সমুদ্রবন্দর। কেননা কোনো বন্দরে ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ার সক্ষমতা থাকলেই সেটিকে গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে ধরা হয়। মাতারবাড়ীতে ১৮ মিটার গভীরতার জাহাজও ভিড়তে পারবে।
যেসব কারণে গভীর সমুদ্রবন্দর
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বেড়ে যাওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে বাড়তি চাপ সামলানো কঠিন হচ্ছে। বন্দরটির অবকাঠামোগত সক্ষমতা তেমন একটা বাড়ানোরও সুযোগ নেই। তাই একটি গভীর সমুদ্রবন্দর এখন সময়ের দাবি।
দেশের নতুন ইকোনমিক জোনগুলো পুরোদমে চালু হলে শিল্পপণ্য আমদানি-রপ্তানি ব্যাপক হারে বাড়বে। এমন বাস্তবতায় গভীর সমুদ্রবন্দর অনেকটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে দুই থেকে আড়াই হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারে। আর গভীর সমুদ্রবন্দরে সহজেই ভিড়তে পারবে ৮ থেকে ১০ হাজার কনটেইনারবাহী জাহাজ।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে বর্তমানে নদীপথে যুক্ত। পরে সড়ক ও রেলপথও যুক্ত হবে।
মাতারবাড়ী নিয়ে জাপানভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সমীক্ষায় বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে মাতারবাড়ী টার্মিনালে সমুদ্রপথে প্রতি ২০ ফুট কনটেইনারে খরচ কমবে ১৩১ ডলার। আর ৪০ ফুট কনটেইনারে কমবে প্রায় ২০০ ডলার।
জাপানের বিগ-বি মাতারবাড়ীতে
এর আগে অনেক দেশ বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর বানানোর আগ্রহ দেখালেও সবশেষ জাপান হাজির হয় ‘বিগ বি’ ধারণা নিয়ে, যা ‘দ্য বে অফ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট’ হিসেবে পরিচিত। এ কৌশলগত পরিকল্পনায় ওই এলাকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বন্দর, যোগাযোগ, শিল্পাঞ্চলসহ সমন্বিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বলা হয়। এর বাস্তব রূপ দিতে ২০১৬ সালে জাইকা একটি জরিপ চালায়, যাতে মাতারবাড়ীতে বন্দর নির্মাণের পরামর্শ দেয়া হয়। এরপর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ‘মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প’ নেয়, যা যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
যদিও চট্টগ্রাম বন্দরের আওতাধীন হওয়ায় নথিপত্রে এটিকে মাতারবাড়ী টার্মিনাল বলা হচ্ছে। কার্যত এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর।
প্রকল্পে ব্যয় কত
গভীর সমুদ্রবন্দরের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। আর ৮ হাজার ৮২০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বন্দর নির্মাণে। প্রকল্প ব্যয়ের ১২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা স্বল্প সুদে ঋণ দিচ্ছে জাপান।
গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকার চিত্র
কর্ণফুলী নদী থেকে সাগরপথে মাতারবাড়ীর দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। সেখানে গিয়ে দেখা মেলে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নৌপথের। সাগর থেকে উপকূল পর্যন্ত পাথর দিয়ে তৈরি বাঁধ থাকায় নৌপথে তেমন ঢেউ নেই। এতে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানোয় পাওয়া যাবে বাড়তি সুবিধা।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এলাকায় পানি পুরো নীল। দেশের আর কোনো বন্দরে এমন নীল পানি নেই। নীল পানি থাকা মানে নৌপথের বড় অংশে পলি জমার আশঙ্কা কম।
এই নৌপথে ঢোকার ডান পাশে যেখানে বন্দর নির্মাণ হবে, সেখানে এখনও স্থাপনা নেই। কিছুদূর পরপর চোখে পড়ল লাল কাপড় টাঙানো ছোট্ট খুঁটি। আছে ছোট একটি টাওয়ার। নৌপথের এই পাশে একটি ৩০০ মিটার এবং আরেকটি ৪৬০ মিটার জেটি নির্মাণ হবে। এই দুটি জেটি নিয়েই হচ্ছে প্রথম টার্মিনাল।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সময়মতো টার্মিনালের কাজ শেষ হলেও পণ্য পরিবহনের পুরোপুরি সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে এক থেকে দেড় বছর। কারণ টার্মিনাল থেকে সড়কপথে পণ্য আনা-নেয়ার জন্য প্রায় ২৮ কিলোমিটার সড়ক প্রস্তুত হবে বন্দরের প্রথম জেটি নির্মাণের দেড় বছর পর। বর্তমানে সড়কের নকশা প্রণয়ন ও জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাপানি কোম্পানি বন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রতিবেদন দিলে আগামী বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। আশা করি এরপর চার বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ হবে। আর এটি হলে বড় বড় জাহাজ একেবারে বন্দরের টার্নিমালে ভিড়তে পারবে। এতে পণ্য ওঠানো-নামানোর খরচ কমে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তারাও লাভবান হবেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা উন্নত দেশের যে স্বপ্ন দেখছি, তার ভিত্তি তৈরি করবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। এটি ব্যবহার করে শুধু আমরাই না, পাশের বেশ কয়েকটি দেশও উপকৃত হবে।
‘গভীর সমুদ্রবন্দরে যেহেতু বড় বড় জাহাজ ঢুকতে পারবে, সেহেতু আমাদের দেশেই বড় বড় জাহাজের মালিক গড়ে উঠবে। বড় বড় জাহাজের ব্যবসা গড়ে উঠবে। শুধু তা-ই নয়, এসব জাহাজ তৈরির কারখানাও গড়ে উঠবে। সব মিলিয়েই এই মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের অর্থনীতির পথনকশা বদলে দেবে।’
একই এলাকায় চলমান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন গভীর সমুদ্রবন্দরের বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় গভীর সমুদ্রবন্দরের বেশিরভাগ কাজ হয়েই আছে। পরে আর কিছু কাজ করলেই এটি শতভাগ গভীর সমুদ্রবন্দরে রূপান্তর হবে।’
তিনি জানান, ২৫০ মিটার প্রশস্ত বন্দরের চ্যানেলটি আরও ১০০ মিটার বাড়ানোর কাজ চলছে। বর্তমানে যে প্রশস্ততা রয়েছে, সেখানে প্যানাম্যাক্স ভেসেল ঢুকতে পারে। এরই মধ্যে ৩৭টি বড় মাদার ভেসেল এখানে পণ্য খালাস করেছে।
আরও পড়ুন:National Single Window (NSW) প্রকল্প কর্তৃক “Celebrating Half a Million CLPs & Seminar on Paperless Customs & Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers” শীর্ষক অনুষ্ঠান ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, লা মেরিডিয়ান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, মাননীয় উপদেষ্টা, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব শেখ বশির উদ্দিন, মাননীয় উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রনালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত জনাব লুৎফে সিদ্দিকী এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মো: আবদুর রহমান খান, এফসিএমএ, সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এবং চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ/উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা BSW প্ল্যাটফর্মের ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
BSW সিস্টেমটি বাণিজ্য প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানিকারকগণের খরচ হ্রাস করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
গত ০২ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি: তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে BSW পোর্টাল উদ্বোধন ও আংশিকভাবে সিস্টেমটি চালু করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে, সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট ইস্যুকারী ১৯ টি সংস্থার মধ্যে ৭ টি সংস্থার (DoE, DGDA, EPB, DoEX, BNACWC, BEPZA and BEZA) ক্ষেত্রে Go-Live এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। ইতোমধ্যে অন্য ১২ টি সংস্থাও (BAEC, BGMEA, BKMEA, BSTI, BTRC, CAAB, , DLS, , DoF, PQW, , BAERA, BIDA, CCIE) BSW সিস্টেমে যুক্ত হয়েছে এবং অনলাইনে সাটির্ফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট প্রদানের কার্যক্রম সম্পাদন করছে।
বিগত ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হতে পরিপত্র জারীর মাধ্যমে সকল সংস্থার (১৯ টি) ক্ষেত্রেই BSW সিস্টেম এর মাধ্যমে CLP প্রদানের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। BSW এর মাধ্যমে এ পযর্ন্ত মোট ৫,৭৮,৪৯১টি সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট অনলাইনে ইস্যু করা হয়েছে।
অনলাইনে ইস্যুকৃত এসব সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিটসমূহের মধ্যে ৮৪ শতাংশের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের ১ ঘণ্টার মধ্যে এবং ৯৫ শতাংশের ক্ষেত্রে আবেদন দাখিলের ১ দিনের মধ্যেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তগুলো:
• Celebrating Half a Million CLPs: BSW প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ০৫ (পাঁচ) লক্ষ সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুর মাইলফলক অতিক্রম করায়, এ কৃতিত্বপূর্ণ অর্জন উদযাপন করা হয়। এছাড়াও BSW এর কার্যকারিতা এবং ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য এর প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো তুলে ধরা হয়। অধিকন্তু সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ও পারমিট (CLP) ইস্যুর ফলে বিভিন্ন অংশীজনদের অভিজ্ঞতা ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়।
• Seminar on Paperless Customs: বাংলাদেশের বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পেপারলেস Customs. WTO –TFA Agreement এর আর্টিকেল ১০.৪ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ কাস্টমস এর রূপরেখা হিসেবে Paperless Customs বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদান করা হয়। Paperless Customs বাস্তবায়ন হলে পন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে ।
• Conferring e-Return Champion Certificate to the Tax Payers: বিগত কর বছরে সর্বাধিক অনলাইন রিটার্ন দাখিলকারী ০৫ টি প্রতিষ্ঠানকে “e-Return Champion” সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ১) সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ২) ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ৩) ব্র্যাক, ৪) বুরো বাংলাদেশ, ৫) রেনেটা পিএলসি
প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন অংশীজনগণ তাঁদের বক্তব্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
NSW প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে BSW এবং e-Return সিস্টেমের অধিকতর উন্নয়নের জন্য ভূমিকা রাখতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রকল্প দুটি সফল করার ক্ষেত্রে সকল সহযোগী সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, বেসরকারি খাতের সকল অংশীজন এবং সম্মানিত সকল করদাতাগণের দৃঢ় ভূমিকার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
রাজশাহী উপশহরে নতুন একটি উপশাখা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাজশাহী উপশহরে দড়িখরবোনা রোডের মনোয়ারা ম্যাক্স টাওয়ারে আনুষ্ঠানিকভাবে উপশাখাটি উদ্বোধন করেন।
ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিওও মো: সাব্বির হোসেন, সিনিয়র জোনাল হেড ফর নর্থ এ. কে. এম. তারেক এবং ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অর্থকরী ফসল - আম ও রেশমের মতো জন্য বিখ্যাত। এই উপশাখা চালুর ফলে এখানকার ব্যবসায়িক ও ব্যক্তি পর্যায়ের গ্রাহকরা অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের মাল্টি-চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউশন স্ট্র্যাটেজির অংশ হিসেবে উপশাখা নেটওয়ার্ক চালু করেছে।
নতুন উপশাখাটি একটি বিস্তৃত পরিসরে আধুনিক ব্যাংকিং সেবার ব্যবস্থা করবে, যা একক ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে। এখানে গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ জমা ও উত্তোলন, ডিপোজিট পেনশন স্কিম, ইএফটিএন (EFTN) ও আরটিজিএস (RTGS) ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রেমিটেন্স, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইল, কনজিউমার লোন, ডেবিট কার্ড ও চেকবুক প্রসেসিং, আস্থা অ্যাপ নিবন্ধন, স্কুল ব্যাংকিং, সঞ্চয়পত্র এবং আরও অনেক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন, তবে বৈদেশিক মুদ্রা সংক্রান্ত সেবা এখানে প্রদান করা হবে না।
২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস ও ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯৪টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শরীয়াহ্ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসিতে সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য শরীয়াহ্ নীতিমালার আলোকে আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প চালু রয়েছে। এ সকল আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্পে সকলের বেশ আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। নিজ নিজ প্রয়োজনানুসারে ব্যাংকের ১৭৪ টি শাখা ও উপ-শাখায় আমানত হিসাব ও সঞ্চয় প্রকল্প সমূহের সেবা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন ব্যাংক সর্বস্তরের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানকে জানাচ্ছে সু-স্বাগতম।
জনাব আখতারুদ্দিন মাহমুদ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি-তে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা পদে যোগদান করেছেন।
জনাব মাহমুদ ব্যাংকিং ও ফাস্ট মুভিং কনজ্যুমার গুডস (এফএমসিজি) সেক্টরে মানবসম্পদ নেতৃত্বে দুই দশকেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক। ব্যাংক এশিয়ায় যোগদানের পূর্বে তিনি ব্র্যাক ব্যাংকে হেড অফ হিউম্যান রিসোর্সেস হিসেবে কর্মরত ছিলেন, যেখানে তিনি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার কৌশলগত নীতি, সাংগঠনিক সংস্কৃতি শক্তিশালীকরণ এবং ট্রান্সফরমেটিভ এইচআর প্র্যাকটিস চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সাংগঠনিক উন্নয়ন, প্রতিভা বিকাশ ও নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং কর্মীর উদ্যোগকে ব্যবসায়িক কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ক্ষেত্রে জনাব মাহমুদ ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষভাবে পরিচিত। তার মানবসম্পদ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠানে শক্তিশালী টিম গঠন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশ গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তার যোগদান ব্যাংক এশিয়ার কর্মকৌশলকে ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সমন্বয় করার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করা এবং নেতৃত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। জনাব মাহমুদ একজন এক্সিকিউটিভ এমবিএ এবং এভিয়েশনে স্নাতক ডিগ্রীধারী।
রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহিত করতে বিকাশ ও বিজ্ঞান চিন্তার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান উৎসবের আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকা’র পর বিভাগীয় এই শহর দু’টির উৎসবে প্রায় ১০০টি স্কুলের ১৫০০-এর বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ, বিজ্ঞানবিষয়ক আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বসহ নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিজ্ঞান চর্চার এই আয়োজন।
সম্প্রতি রংপুর পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাজশাহীর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ -এ আয়োজিত এই উৎসবে দুই বিভাগ থেকে ১২০টির বেশি প্রকল্প প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। খুদে বিজ্ঞানীদের প্রদর্শিত নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মধ্য থেকে প্রতিটি বিভাগে সেরা দশ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, রংপুর উৎসবে কুইজে অংশগ্রহণকারী ৮০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই ক্যাটাগরিতে ২৫ জন ও রাজশাহীতে ৫৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন কুইজ বিজয়ীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
রংপুরে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডীন ড. মিজানুর রহমান, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কে এম জালাল উদ্দীন আকবর ও বিকাশ এর ইভিপি ও রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর প্রধান হুমায়ুন কবির। রাজশাহীতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ব্যানার্জি ও বিকাশ এর রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান এবং বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার ।
বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, বিজ্ঞান ভিত্তিক জাদুর প্রদর্শনী, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে ও কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকে বীমা আবেদনের ঝুঁকি পর্যালোচনা বা আন্ডাররাইটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইমেইলের মাধ্যমে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট পেয়ে যাবেন। এই উদ্যোগ দেশের বীমা খাতে গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনের এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
সাধারণত, বীমা আবেদনের ঝুঁকি পর্যালোচনার পর কাগজে প্রিন্ট করা পলিসি ডক্যুমেন্ট গ্রাহককে সরবরাহ করতে কয়েকদিন সময় লাগে। এই নতুন উদ্ভাবনের ফলে এখন গ্রাহকরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইমেইলে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট পাবেন, যা তাদের জন্য আরও অনেক সুবিধাজনক হবে। উল্লেখ্য, গ্রাহক কাগজে ছাপানো পলিসি ডকুমেন্টও পাবেন। গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব তথ্য পাওয়া সাপেক্ষে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হবে।
ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্টে থাকবে গ্রাহকের পূরণকৃত আবেদনপত্র, বীমা পলিসির বিস্তারিত তথ্য, একটি স্বাগত বার্তা এবং শর্তাবলি। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক ডক্যুমেন্টের মতো, বীমা সম্পর্কিত ডক্যুমেন্টও সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটাল চ্যানেল যুক্ত হওয়ায় এখন গ্রাহকরা আরও সহজে তাদের বীমা ডক্যুমেন্ট নিরাপদে সংরক্ষণ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।
“মেটলাইফে, আমাদের লক্ষ্য হলো গ্রাহকদের জন্য বীমা সহজ, দ্রুত এবং আরও সহজলভ্য করা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল পলিসি ডক্যুমেন্ট ইস্যু চালু করে, আমরা কেবল প্রক্রিয়াটি দ্রুততর-ই করছি না, সেই সাথে গ্রাহকদের বীমা অভিজ্ঞতায় নতুনত্ব নিয়ে আসছি। এই উদ্ভাবনটি সুরক্ষা এবং সুবিধার সমন্বয় করার ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটায় এবং নিশ্চিত করে যে আমাদের গ্রাহকরা যেন তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে মনোনিবেশ করতে পারেন,” আলা আহমদ, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, মেটলাইফ বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে মেটলাইফ প্রায় ১০ লাখ গ্রাহককে আর্থিক সুরক্ষা দিয়ে আসছে। মেটলাইফের বিস্তৃত জীবনবীমা সেবা এবং ডিজিটাল উদ্যোগ দেশের আর্থিক নিরাপত্তা ও আস্থার উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
দেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংকের গ্রাহকেরা নিজস্ব ব্যাকিং অ্যাপ ‘সিটি টাচ’ থেকে সরাসরি গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পলিসি কিনতে পারবেন। নতুন এই ফিচারটির মাধ্যমে গ্রাহকেরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের পলিসি সম্পর্কে জানা, তাৎক্ষণিক পলিসি কেনা, এমনকি ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম জমা দিতে পারবেন। ইন্স্যুরেন্স খাতে এই নতুনত্ব প্রমাণ করে যে, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স একত্রিত হলে তা গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সুবিধা এবং আর্থিক নিরাপত্তা দিতে পারে।
গার্ডিয়ান এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী শেখ রকিবুল করিম এফসিএ বলেন, “ইন্স্যুরেন্সকে সবার জন্য সহজ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, তবে জীবন ও স্বপ্নকে সুরক্ষা দিতে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে আমরা দ্রুত, নির্ভরযোগ্য ও ঝামেলামুক্ত সেবা নিশ্চিত করছি। এ অংশীদারিত্বের ফলে গ্রাহকেরা খুব সহজেই অনলাইনে এখন তাদের ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন।”
সিটি ব্যাংকের ডিএমডি এবং হেড অফ রিটেল ব্যাংকিং মোঃ অরূপ হায়দার বলেন, “সিটি ব্যাংকই প্রথম ব্যাংক যারা বাজারে ব্যাংকান্সুরেন্স চালু করে। স্থানীয় ব্যাংকিং ইন্ডাষ্ট্রিতে ডিজিটাল সমাধান আনার ক্ষেত্রেও আমরা এগিয়ে আছি। তাই ব্যাংকিং অ্যাপে সরাসরি বীমা পণ্য চালু করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক হওয়া একটি স্বাভাবিক অগ্রগতি ছিল, যার ফলে আমাদের গ্রাহকদের বিস্তৃত পরিসরের আর্থিক সমাধান প্রদান করা হচ্ছে।”
গার্ডিয়ান সব সময় ইন্স্যুরেন্সকে আরও সহজলভ্য ও স্বচ্ছ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের সেবার অনুশীলন অনুসরণ করে আসছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সূচনা দিয়ে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তা এখন এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আরও বিস্তৃত হয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ানের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
মন্তব্য