× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Blackmail cycle trapped in love
google_news print-icon

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল চক্র

প্রেমের-ফাঁদে-ফেলে-ব্ল্যাকমেইল-চক্র
টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাকে কোনোভাবে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে এরপর সেখানে অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা।

রাজশাহী শহরে এখন বেশ কয়েকটি চক্র ফাঁদ পেতে লোকজনকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করছে। এসব চক্রের নারী সদস্যরা কখনও প্রেমের ফাঁদে ফেলে টার্গেট করা ব্যক্তিকে বাসায় ডেকে আনছেন, কখনও আবার বিপদে পড়ার ভান করে সহযোগিতা চেয়ে মানুষকে জিম্মি করছেন।

টার্গেট করা ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাকে কোনোভাবে নিজেদের আস্তানায় নিয়ে এরপর সেখানে অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে টাকা।

জিম্মি হওয়ার পরও অনেকেই সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে কাউকে কিছু বলছেন না।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক জানান, এসব চক্রের বিরুদ্ধে তারা বিশেষ অভিযান চালাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি চক্রকে তারা এরই মধ্যে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। তবে শহরে এমন চক্রের সংখ্যা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের তথ্য মতে, প্রতারণার অভিযোগে রাজশাহীতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আটক করা হয় ২১ জনকে। প্রতিটি দলে ছিলেন অন্তত একজন নারী। অনেক দলে দুইজন নারীও পাওয়া গেছে।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এমন চক্রের প্রথম সন্ধান পায় পুলিশ। এখন পর্যন্ত এমন মামলা হয়েছে সাতটি। এসব মামলায় ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তথ্য মতে, শহরে এই চক্রের সংখ্যা বাড়ছে। একেকটি চক্র খুব বড় নয়। একটি দলে চার থেকে সর্বোচ্চ ছয়জন থাকে। বছরের পর বছর চক্রগুলো এগুলো করে আসছে। অনেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আবার এগুলো করছে।

প্রতারক চক্রগুলো সহজ সরল লোককে টার্গেট করে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকাকে বেছে নেয় চক্রটি। নগরীর লক্ষ্মীপুরে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে রোগী ও তাদের স্বজনরা আসেন। এখানে গ্রাম থেকে আসা লোকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয়।

সম্প্রতি ধরা পড়া একটি চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই চক্রগুলোর সঙ্গে জড়িতরা কম কষ্টে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার মাধ্যম হিসেবে এই পথ বেছে নিচ্ছে। এদের সঙ্গে থাকা নারীদের কাউকে জোর করে এ পথে আনা হয়নি। বরং তারা নিজেরাই এই পথে যুক্ত হচ্ছে বাড়তি আয়ের আশায়। এক চক্রের সঙ্গে অন্য চক্রের যোগাযোগও সেভাবে নেই।

একেকটি চক্র নিজেরা নিজেদের মতো করে প্রতারণা করে। তারা একজনকে জিম্মি করতে পারলে তার কাছ থেকে বারবার টাকা আদায় করে। একই ছবি প্রচারের ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন টাকা আদায় করা হয়। যখন-তখন ফোন দিয়ে টাকা চায়।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। পশ্চিম রেলের একজন কর্মকর্তাকে (৪২) পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে একটি চক্র বাসায় দাওয়াত দেয়। চক্রের সদস্য সাবিনা ওরফে রজনী (২৫) মোবাইল ফোনে ওই কর্মকর্তাকে বাসায় ডেকে নেন। সেখানে যাওয়ার পরই চক্রের বাকি সদস্যরা তাকে জিম্মি করে ফেলেন। একজন নারীর সঙ্গে বসিয়ে বিবস্ত্র করে তার ছবি তোলা হয়। এরপর তার কাছে তারা ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিকাশের মাধ্যমে তারা শুরুতে ৬ হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং একটি ফাঁকা স্ট্যাম্প কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনায় ওই সময় মামলা করেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা। এর পরই পুলিশ সাবিনাসহ তিনজনকে আটক করে।

রাজশাহীর বেসরকারি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য এসে বসে ছিলেন মানিক নামে এক যুবক। কিছুক্ষণ পর তার পাশে এসে বসেন এক নারী। তিনি মানিককে ‘ছোট ভাই’ সম্বোধন করেন। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। এরপর তিনি সুকৌশলে যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে চক্রের সদস্যরা তাকে ঘরে আটকে মারধর করে অশালীন ছবি ও ভিডিও করে। তারা ২ লাখ টাকা দাবি করে। মানিক বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা দেন। পরে চক্রটি তাকে একটি অন্ধকার গলিতে নিয়ে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় মানিক রাজপাড়া থানায় মামলা করলে চক্রের চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক চারজনের মধ্যে দুজন নারী ও দুজন পুরুষ।

এই চক্রটি পুলিশের কাছে স্বীকার করে, দীর্ঘদিন ধরে তারা লক্ষ্মীপুরে চিকিৎসার জন্য আসা ব্যক্তিদের নানা প্রলোভনে বাসায় নিয়ে নারীদের সঙ্গে অশ্লীল ছবি তুলত। পরে ব্ল্যাকমেইল করত।

সব শেষ ১ নভেম্বর এমনই একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলো রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানার সমসাধীপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সায়েম উদ্দিন শ্যাম (৩৫), বোয়ালিয়া মডেল থানার হাদির মোড় নদীর ধার এলাকার পারভেজ (৩২), এয়ারপোর্ট থানার বায়া তেরিপাড়া গ্রামের রাজিয়া সুলতানা সুমা (৩০) ও রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার শরিফা আক্তার সাথী (২৭)।

আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স করপোরাল গত ৩১ অক্টোবর নাটোর থেকে শিরোইল বাস টার্মিনালে নেমে বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় আরও দুই নারী যাত্রী একই অটোরিকশায় ওঠেন। কিছুক্ষণ পর নারী যাত্রীরা তার হাতে ঠিকানা লেখা একটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে বলেন, তারা রাজশাহীতে নতুন এসেছেন, কিছু চেনেন না। তাদেরকে ওই চিরকুটের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তারা।

ওই ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে আসামিদের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়ার জন্য অটোরিকশা নিয়ে ঐতিহ্য চত্বরে এলে আরও দুই আসামি অটোরিকশায় ওঠেন। এরপর তারা সকলে অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একজনের বাড়িতে নিয়ে চক্রের এক নারী সদস্যের সঙ্গে জোর করে অশ্লীল ছবি তোলেন।

অপহরণকারীরা তার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ ও চাঁদা দাবি করেন। টাকা না পেলে অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। সম্মানের ভয়ে ওই ব্যক্তি ব্যাগে থাকা স্ত্রীর চিকিৎসার ৫০ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেন।

ওই ভুক্তভোগী বিষয়টি জানিয়ে ডিবি পুলিশকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকা থেকে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এসব চক্র ফাঁদ পেতে অপহরণ ও চাঁদাবাজি করে আসছে। তিনি এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। এরই মধ্যে বেশ কিছু চক্র আটক হয়েছে। তবে, যখনই কোনো চক্র ধরা পড়ছে, দেখা যাচ্ছে তারা নতুন। আগে ধরা পড়েনি। এ কারণে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না এমন চক্রের সংখ্যা কত। যারা ধরা পড়ছে, তাদের ব্যাপারে নজরদারি করা হচ্ছে। এদের একটা ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ বিষয়ে কাজ করছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, মানুষের মধ্যে এক ধরনের আস্থা এসেছে যে, তারা অভিযোগ দিলে পুলিশ কাজ করছে। এ কারণে এখন অনেকেই এসব ঘটনা পুলিশকে বলছে। আগে যেটা হতো না।

আরও পড়ুন:
গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে সমবায় সমিতি উধাও
উপবৃত্তির টাকা দেয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা
উপবৃত্তি দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক
ফাল্গুনী শপ ডটকমের সিইও পাভেলসহ গ্রেপ্তার চার
বিক্রয় ডটকমে মোবাইলের ক্রেতারাই তাদের টার্গেট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

p
উপরে