বর্তমান সরকার অন্যায়ের ভারে নুয়ে পড়েছে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বলেছেন, এই ধরনের সরকার পতনে আন্দোলন লাগে না।
বৃহস্পতিবার বনানীর কার্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল ও করিমগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মী এই আনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
জি এম কাদের বলেন, `যে সরকার অন্যায়, অবিচার, অনাচার, দুর্নীতি, দুঃশাসনের ভারে ক্রমেই ভারী হতে থাকে, সেই সরকারকে হটাতে আন্দোলনের প্রয়োজন হয় না। ওই ভারেই তাদের নুয়ে পড়তে হয়। বর্তমান সরকারের হয়েছে সেই অবস্থা।‘
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ‘অচল মুদ্রা’র এপিঠ আর ওপিঠ উল্লেখ করে জাপা নেতা বলেন, ‘এই মুদ্রায় আর লেনদেন চলবে না। দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন এখন অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন কোনোভাবেই ভালো নেই। তারা চরম হতাশায় ভুগছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এখন জাতীয় পার্টিই হচ্ছে দেশের মানুষের প্রত্যাশিত সেই রাজনৈতিক শক্তি।‘
দলের মহাসচিব মুজিবুল চুন্নুর সভাপতিত্বে সভায় যোগদানকারী নেতাদের জাতীয় পার্টিতে স্বাগত জানান জি এম কাদের। বলেন, ‘ক্ষমতাহীনভাবে ৩১ বছর ধরে টিকে থাকা আমাদের পার্টির প্রতি মানুষের আস্থা অর্জিত হয়েছে বলেই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন দল থেকে নেতা-কর্মীরা জাতীয় পার্টিতে যোগদান করছেন।
‘আমাদের কল্যাণকামী রাজনীতিকে যদি প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম প্রবাহিত করতে পারি, তাহলেই জাতীয় পার্টি টিকে থাকবে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন ঘটবে। আজকের মতো যোগদান অব্যাহত থাকলেই জাতীয় পার্টি নতুন দিনে নতুন সূর্য হয়ে মানুষের মনে আলো ছড়াবে।’
সভায় যোগদানকারী নেতাদের মধ্যে হলেন তাড়াইল উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহীন, করিমগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা আক্তার, তাড়াইল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সুলতানা, তাড়াইল উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আমজাদ হোসেন খান দিদার, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা খান ওরফে জুবাইদা রহমানের মামলার রুল উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য উঠছে।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দুটি রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিলের আবেদনটিও শুনানির জন্য আপিল বিভাগের তালিকায় রয়েছে।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দৈনন্দিন তালিকায় মামলাগুলো দেখা যায়।
শামীম এস্কান্দারের মামলা রোববার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন এক নম্বর আপিল কোর্টের তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছে। আর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চের ৪১ ও ৪২ নম্বর তালিকায় রয়েছে তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের মামলা।
ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ মামলা করা হয়।
মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেয়।
রুল জারির ১৫ বছর পর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল রিট মামলা হাইকোর্টের কার্য তালিকায় ওঠে। এরপর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন। ওইদিন তারেক ও জোবাইদার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্ট শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন।
ওদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শামীম এস্কান্দারের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৫ মে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। পরে শামীম এস্কান্দার মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
গত ১৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ এ আবেদনের শুনানির জন্য ২৯ মে তারিখ নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দো প্যাসিফিক ইকোনোমিক ফ্রেমওয়ার্ক বা আইপিইএফ নামে যে নতুন অর্থনৈতিক জোট গঠন করা হয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই জোটকে ‘দূরভিসন্ধিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন।
তারা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরসহ এশিয়ার ১৩ দেশ নিয়ে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যে নয়া জোট গঠন করেছে তা স্পষ্টতই দূরভিসন্ধিমূলক। সবচেয়ে উদ্বেগের কথা হলো, বাংলাদেশকে এই জোটে যুক্ত করতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘জাপান সফরকালে এই জোটের ঘোষণা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাদের মন্দ অভিপ্রায় অনেকটাই প্রকাশ করে ফেলেছেন। সেটি হলো, এশিয়ার বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ আধিপত্য এবং সেটি উৎপাদনের জোরে নয়, বরং তদারকি ক্ষমতার জোরে।
‘শুরুতেই এই জোটের আলোচনায় সারা দুনিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি চীনকে বাইরে রাখা হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র কাম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমারকে। এ জোটের ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, তারা জোটভুক্ত দেশগুলোর সাপ্লাই চেইন, জ্বালানি খাত, বাণিজ্য কর, শ্রম আইন ইত্যাদি বিষয়ে তদারকিমূলক ভূমিকা রাখবে। ফলে বেশ পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, জোটের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে কার কর্তৃত্ব প্রধান হবে।’
তারা আরও বলেন, ‘শুধু তাই নয়, বাণিজ্য জোটের নামে এটি আসলে এক ধরনের রাজনৈতিক জোট। যার লক্ষ্য হলো, ইউক্রেন যুদ্ধের নয়া প্রেক্ষাপটে চীন এবং রাশিয়ার বিপরীতে তাদের নিজস্ব শক্তিবলয় গড়ে তোলা। একই সঙ্গে এশিয়ায় ন্যাটোর দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতির প্রেক্ষাপট শক্তিশালী করা এবং একপর্যায়ে চীনের বেল্ট এন্ড রোড প্রকল্পকে বিঘ্নিত করা। যা নিশ্চিতভাবেই এশিয়ায় বিরাট সংঘাতের জন্ম দেবে।’
বাংলাদেশ সরকারকে এই জোটে শরিক না হয়ে দূরত্বে থাকার দাবি জানিয়ে সিপিবি বিবৃতিতে বলে, এশিয়ার জনগণ কোনোভাবেই এই সংঘাতময় পরিস্থিতিকে স্বাগত জানাতে পারে না।
তাই, অবিলম্বে এই (আইপিইএফ) জোট প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানায় দলটি। সে সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে কোনোভাবেই এই জোটে শরিক না হওয়া এবং এর থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকারও দাবি জানায় দলটি।
আরও পড়ুন:দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সাতটি রাজনৈতিক দল নিয়ে হচ্ছে নতুন জোট। একে অনানুষ্ঠানিকভাবে ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ বলছেন জোটভুক্ত দলগুলোর নেতারা।
জোটে রয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সদ্য সাবেক দুই শরিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলন।
একসঙ্গে দুই জোটে থাকা-না থাকার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাম জোটের সঙ্গে আলোচনা চলছিল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণসংহতি আন্দোলনের। মঙ্গলবার বাম জোটের বৈঠকে দল দুটির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
দীর্ঘদিনের জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বাম জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া এই দুই নেতার কাছে দুঃখজনক, তবে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক স্বার্থে আবার একসঙ্গে কাজ করা হবে বলেও মনে করেন তারা।
‘বন্ধুদের বোঝাতে সক্ষম হইনি’
বাম জোটের শরিকদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের জোটের বন্ধুরা রাজনৈতিক কোনো বিজ্ঞতার পরিচয় দেন নাই। পরিচয় দেন নাই এই জায়গা থেকে যে, আমরা যেটা বলেছিলাম, গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, এখানে আমাদের জোটের শরিকদের সবাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন।
‘তারা অংশ নিলে এটার নেতৃত্ব গঠন, পরিচালনা বা সমগ্র এই আন্দোলনটা অনেক বেশি গতি পেত। আমরা আমাদের বন্ধুদের এখন পর্যন্ত বোঝাতে সক্ষম হইনি। সেটা আমাদের জন্য নিশ্চয়ই দুঃখের এবং বেদনার।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে জোটটার কথা ভাবছি, যেটা আত্মপ্রকাশ করবে, সেটাও ভবিষ্যতের ব্যাপার। আত্মপ্রকাশ করতেও পারে, নাও পারে। অনেক সম্ভাবনা তো অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। এটা তো এখনও একটা লাইনও আনুষ্ঠানিক বলা হয়নি বা আত্মপ্রকাশ করেনি, তবে রেসপন্সটা বেশ দ্রুত ছড়িয়েছে।
‘সে জায়গা থেকে আমাদের প্রস্তাব ছিল যে আমাদের দুই দলের সদস্যপদ নিষ্ক্রিয় বা স্থগিত রাখেন। সেই হিসেবে স্থগিত রাখা হয়েছে, কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ও যোগাযোগটা আছে।
‘রাজপথে যদি এই মঞ্চ দাঁড়ায়, তাহলে নিশ্চয়ই আবার আমরা তাদের সঙ্গেও কথা বলব যে, যুগপৎভাবে রাজপথে কীভাবে দাঁড়ানো যায়। তাদের প্রতি এই আহ্বানটা স্ট্যান্ডিং আছে। হয়তো ভবিষ্যতে আমরা এক জায়গায় আসতেও পারি, সেটা যেকোনো বড় পরিধিতে।’
বাম জোটে আর কখনও ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল বলেন, ‘সেই সম্ভাবনা তো থাকছেই। যদি আমরা দেখি যে আমরা যে উদ্যোগটা নিয়েছি, এটা বাস্তবে কোনো সম্ভাবনা নাই দাঁড়ানোর জন্য, তখন আমরা আমাদের অবস্থান পর্যালোচনা করতে পারি। এরপর আসলে কী করব, সেটা ভবিষ্যতের ব্যাপার। এখনই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
বাম জোটের দীর্ঘদিনের বন্ধুদের সঙ্গে আর থাকতে না পারায় মন খারাপ এই রাজনীতিকের।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার যথেষ্ট মন খারাপ। মন খারাপ এই জন্য যে, আমরা তো এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসন থেকে শুরু করে প্রথমে পাঁচ দল, পরে ১১ দল, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, ২০১৮ সালের পর থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সব মিলিয়ে এই বন্ধুদের সঙ্গে আমার প্রায় ৩৫/৩৬ বছরের জার্নি।
‘তাদের সঙ্গেই তো রাজপথে চলেছি। আমার জন্য তো এটা যথেষ্ট কষ্ট এবং বেদনার যে আমাদের বন্ধুরা এখন আমরা একসঙ্গে দাঁড়াতে পারছি না। জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা একটা বৃহত্তর পরিসরে একসঙ্গে দাঁড়াতে পারলাম না। আমরাও তাদের বোঝাতে সক্ষম হইনি কেন এ রকম একটা বৃহত্তর জাতীয় উদ্যোগ দরকার। তার মানে আজকে না হলে কালকে হবে না তা নয়, পরশুও হতে পারে।’
‘বিচ্ছেদ আনন্দদায়ক নয়’
রাজনৈতিক কর্মকৌশলের কারণে বাম জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও বিষয়টি মোটেও আনন্দের নয় বলে মন্তব্য করেছেন জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে বিচ্ছেদ, এই বিষয়টা মোটেও আনন্দদায়ক নয়। আমাদের দীর্ঘদিনের হৃদ্যতা। যখন আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম, সেটা আনন্দের নয়, এটা বরং আপাতত আনন্দদায়ক হতো আমরা যদি একসঙ্গে একটি কর্মকৌশলে ঐকমত্যে আসতাম, কিন্তু আমাদের নিজেদের দলের উপলব্ধির পার্থক্য আছে, রাজনৈতিক কর্মকৌশলের পার্থক্য আছে।’
সাকি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের (গণসংহতি আন্দোলন) প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে বাম জোটের নেতারা এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে আজকেও আমাদের অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। ওটাই আমরা আলোচনা করেছি। এই আহ্বান তো আমাদের সব সময় আছে।
‘আমরা মনে করি যে বর্তমান এই সময়ের যে কর্মকৌশল আমাদের নিতে হবে, সেটা হচ্ছে বাম জোট রেখেই ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার কর্মসূচির ভিত্তিতে অপরাপর গণতান্ত্রিক শক্তিকে মিলে অধিকতর বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা। সেই আহ্বানটা আমরা এখনও জানিয়ে যাচ্ছি। ‘আমরা আশা করি যে লড়াইয়ের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা আরও ঐক্যবদ্ধ কাজ করার পথ অনুসন্ধান করতে পারব; আমরা একসঙ্গে আবারও কাজের জায়গা তৈরি করতে পারব।’
বাম গণতান্ত্রিক জোটে ফেরার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখানে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বলে তো কিছু নাই। আমাদের এখনকার যে বিচ্ছেদ, সেটাও তো চিরস্থায়ী না। আমরা তো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় একসঙ্গে রয়েছি। তেল-গ্যাস জাতীয় কমিটিতে একসঙ্গে আছি। আরও কিছু জায়গায় আমাদের কাজের সম্পর্ক আছে।’
দেশে এখন ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এখন তো বাংলাদেশে একটা বিশেষ অবস্থা বিরাজমান। দেশে একটা কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে; ফ্যাসিবাদী শাসন চলছে। ফলে এই মুহূর্তে গণতন্ত্রের গতিমুখে ফেরাটা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।
‘না ফিরতে পারলে বাংলাদেশ একটা গভীর বিপদের মধ্যে পড়বে এবং সবাই মিলেই সেই বিপদের মধ্যে পড়ব। সরকারি দল তাদের সংকীর্ণ স্বার্থে সেটা এখন উপলব্ধি করতে পারছে না, কিন্তু গণতন্ত্রে ফেরা এখন বাংলাদেশের স্বার্থ, সকলের স্বার্থ।
‘কাজেই আমরা মনে করি এই উপলব্ধি যারা করছেন, তাদের অগ্রগামী ভূমিকা নিতে হবে এবং একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এই মুহূর্তে গণতন্ত্রের লড়াইটা প্রধান লড়াই হিসেবে এসেছে। এই লড়াইয়ের কর্মকৌশলে আমাদের পার্থক্য হচ্ছে, কিন্তু এটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত না। পরিস্থিতি বদলে যাবে। তখনকার পরিস্থিতিতে নতুন মেরুকরণ ঘটবে। সেই বিষয়গুলো তো থাকবেই।’
আরও পড়ুন:বিএনপি পদ্মা সেতু উদ্বোধন ঘিরে দেশবাসীর আনন্দ ম্লান করার চক্রান্ত করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি লালমনিরহাট সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দেশের মানুষ আনন্দ করবে। বিএনপি চক্রান্ত করে সেই আনন্দ ম্লান করতে চাচ্ছে। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলসহ বহিরাগতদের দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এর দায় চাপাচ্ছে ছাত্রলীগের ওপর। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চক্রান্ত প্রতিহত করব।’
পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারে এসে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করেছি। তবে শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার জন্য নির্ধারিত রসিদ মূলে জেলা পর্যায়ে শ্রমিকদের একটি পক্ষ ৩০ টাকা এবং মালিকপক্ষ ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এটি চাঁদা না, শ্রমিক সংগঠন পরিচালনার জন্য এ অর্থ ব্যয় করা হয়। শ্রমিকদের বাইরেও দেশের বিভিন্ন পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিআইডব্লুউটিএর নৌবন্দরগুলোতে একইভাবে ফেরিপ্রতি ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে ইজারার নামে চাঁদাবাজি চলছে। আমরা এসব চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারসহ সংগঠনগুলোকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাই।’
শাজাহান খান দুপুরে দুই দিনের সফরে লালমনিরহাট পৌঁছান। বেলা ৩টার দিকে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন।
আরও পড়ুন:বিএনপির বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠায় নেতারা আবোলতাবোল বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
লালমনিরহাট সার্কিট হাউসে শনিবার দুপুরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিদায় ঘণ্টা তো বিএনপি আগেই বাজিয়েছিল। নয়াপল্টনের অফিসে থেকে ২০০৯ সালেই তারা ঘণ্টা বাজানো শুরু করেছে। যতই ঘণ্টা বাজাচ্ছে ততই তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
‘আসলে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। নেতারা এখন আবোলতাবোল বকছেন।
মির্জা ফখরুল সকালে এক কথা বলেন, বিকেলে আরেক কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এক কথা সকালে বলে বিকেলে আরেক কথা বলেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, স্বপ্ন বিএনপি দেখতেই পারে, তবে স্বপ্ন দেখতে গিয়ে যদি অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাহলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেল্টা প্ল্যান করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ডেল্টা প্ল্যান করেছেন দেশের মানুষের কথা চিন্তা করেই। এই প্ল্যানের আলোকে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিস্তা খনন সেই প্ল্যানেরই অংশ।
সারা দেশে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টে বহিরাগতরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তারা মূলত নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েই এসব করেছে। দেশে যেন কেউ অগ্নিসন্ত্রাস করতে না পারে সে জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা সজাগ আছেন।’
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকসহ পৃথিবীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেন অর্থ লগ্নি করতে না পারে, সে জন্য বিএনপি নানা অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এরপরও নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নির্মাণ করে ফেলেছে। এখন জনগণ তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আসতে পারে, এই ধারণায় স্ট্যাম্প, লাঠিসোঁটা নিয়ে ও হেলমেট মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তাদের একটি অংশকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মোটরসাইকেলের শোডাউনও দিতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অন্যদিনের তুলনায় আজকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢিলেঢালা অবস্থায় ছিলেন। লাঠিসোঁটাগুলো একপাশে রাখা ছিল, সবার হাতে হাতে ছিল না।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ছাত্রদল আসেনি। তারা বলছেন, আজকের কর্মসূচি জেলা এবং মহানগর ইউনিটের জন্য।
গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষ হয়।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এলাকায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় শনিবার দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ কর্মসূচি ডেকেছে ছাত্রদল।
রোববার সব উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও কলেজে মিছিল করবে সংগঠনটি।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক নেতা জানান, আজকের কর্মসূচি শুধু জেলা ও মহানগর ইউনিটের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ তাদের কোনো কর্মসূচি নেই।
এদিকে হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ইউনিটের নেতাকর্মীরা সকাল ৯টায় হল থেকে বের হয়ে ছাত্রদলকে রুখে দেয়ার স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) জড়ো হতে থাকেন। ওই সময় সব হল থেকে লাঠিসোঁটাও বের করা হয়।
এরপর বিভিন্ন হল ইউনিট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েন। এসব লাঠিসোঁটা যে হলের, যেখানে অবস্থান, তার একপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য, ডাস চত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, আইন অনুষদ, কার্জন হল এবং চাঁনখারপুলের সামনে নেতাকর্মীদের অবস্থান দেখা গেছে। ওই সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গানও পরিবেশন করেন।
বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অবস্থান ছিল।
সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আনার আগে তারা পয়েন্টগুলো থেকে অবস্থান সরিয়ে নেয়।
পরে ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়ে হলে ফিরে আসেন।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের এমন অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ আচরণ এবং সহযোগিতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যাশা করে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণার্থে যেসব জিনিস আমাদের কাজে লাগবে সেগুলোই শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করবে।’
ছাত্রলীগের এই অবস্থানকে সহযোগিতা হিসেবে দেখছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো সংগঠনের নাম উল্লেখ করিনি। শিক্ষার পরিবেশ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেই শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের স্বার্থে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থেকে সহযোগিতা করাটাই বড় উন্নয়ন।
‘আমরা সবার কাছে সহযোগিতা চাইছি। কেউ যদি সহযোগিতা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমাদের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সুস্পষ্ট অনুরোধ এবং নির্দেশনা দেয়া আছে। এতে কার কী পরিচয় সেটা আমাদের কাছে বড় নয়।’
আরও পড়ুন:সরকারের নির্দেশেই ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, হামলার নির্দেশদাতা ও হামলাকারীরা কেউই ছাড় পাবে না। সবার বিচার হবে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ এ কথা বলেন।
রাজপথ থেকেই এ সরকারকে ধাক্কা দিতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এ বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘ছাত্রদল সেই ধাক্কা দেয়ার সূচনা করেছে। ছাত্রদল যে আন্দোলন শুরু করেছে তাতে সবাইকে অংশ নিতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’
মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- বাংলাদেশ যাবে কোন পথে ফয়সালা হবে রাজপথে। এখন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে ছাত্রদলের পাশে থেকে একই ইস্যুতে আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলনের বিকল্প নেই।
‘আমাদের এই আন্দোলনের ইস্যু সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল ও খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমাদের ইস্যু একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ নিজের ভোট নিজে দেবে, ইভিএমের মাধ্যমে না। আমি আহ্বান জানাবো, যারা এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে চান তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসুন।’
ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আমাদের ছেলেদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে; আমাদের এক ছাত্রী নেত্রীকে মারধর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এসব অপকর্ম করছে। এ ধরনের ঘৃণ্য আচরণের জন্য নিন্দা জানাই, ক্ষোভ জানাই, ঘৃণা জানাই।’
পাল্টা আক্রমণের বিকল্প নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘মার খাওয়াই একমাত্র কাজ নয়। রক্ত দিয়ে প্রতিবাদের খাতায় নাম লেখালে হবে না। বাধা এলে পাল্টা বাধা দিতে হবে। আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করতে হবে।’
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য