পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে রাষ্ট্রায়ত্ত ১৭ কোম্পানিকে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি। মূলধন সংগ্রহে কোম্পানিগুলোকে শেয়ার বা বন্ড ইস্যুর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯টি কোম্পানি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের। অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে প্রকৌশল এবং ভ্রমণ খাতের আছে দুটি করে।
বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত দুটি হলো বাংলাদেশ বিমান ও সরকারি ওষুধ কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস।
এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি বুধবার কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে বিএসইসির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ১৭টি কোম্পানিকে পাঠানো হয়েছে। মূলত যেসব কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ভালো, সেসব কোম্পানিকে চিঠি দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি নতুন কিছু নয়। ২০১৯ সালে সে সময়ের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কোম্পানিগুলোর বৈঠক হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের তাগাদা দেয়া হচ্ছে, যাতে কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে মূলধন সংগ্রহ করে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বণ্টনের মাধ্যমে অংশীদারত্ব বাড়ায়।’
চিঠিতে তালিকাভুক্তির সুবিধা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে ইক্যুইটি শেয়ার, বন্ড ইত্যাদিসহ বিভিন্ন উপায়ে মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করার সুযোগ রয়েছে। এতে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে। প্রতিষ্ঠানে সাধারণ জনগণের মালিকানা থাকলে তারাও উপকৃত হবে।
পুঁজিবাজার থেকে সংগৃহীত মূলধন সরকারের ওপর পুনঃবিনিয়োগের বোঝা কমাবে উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সার্বিক সহযোগিতা কমিশন সব সময় সেবাদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন, সরকারি কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করা উচিত। যেসব বহুজাতিক কোম্পানি ব্যবসা করছে তাদেরও পুঁজিবাজারে নিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এসব কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে সরকারও নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কাজ হয়নি। এখন যেহেতু নতুন করে বিএসইসি আবারও উদ্যোগ নিয়েছে, সেহেতু তাদের এখন বাধ্য করে হলেও পুঁজিবাজারে আনা উচিত।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকেও চিঠি দেয়া হবে, যেন তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।
চিঠি দেয়া হয়েছে সেব কোম্পানিকে
যাদের তালিকাভুক্ত হতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কোম্পানিই বেশি। এগুলো হলো- বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, এলফি গ্যাস, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি-জিটিসিএল, জালালাবাদ গ্যাস টিঅ্যান্ডডি সিস্টেম, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি ও ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অফ বাংলাদেশ।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানির মধ্যে আছে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ ও বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প।
ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের কোম্পানির মধ্যে আছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, হোটেলস ইন্টারন্যাশনাল।
টেলিযোগাযোগ খাতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকেও দেয়া হয়েছে চিঠি।
অন্য দুই কোম্পানি হলো কাগজ ও প্রকাশনা খাতের কর্ণফুলী পেপার মিলস, ওষুধ ও রসায়ন খাতের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি এবং সিরামিক খাতের বাংলাদেশ ইন্স্যুলেটর অ্যান্ড সেনেটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি।
আর্থিক অবস্থা
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মোট আয় করেছে ২ হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাাজর ৯৭৯ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ২ হাজার ৬৩৪ কোটি ৫১ লাখ ৬৬ হাজার ২৫ টাকা।
এই সময়ে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৪৮ কোটি ৭১ লাখ ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে কর-পরবর্তী আয় হয়েছিল ৯৭ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ টাকা।
এলপি গ্যাস লিমিটেড তথ্যে দেখা গেছে, উত্তর পতেঙ্গা চট্টগ্রাম এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ কৈলাশটিলার এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট দুটিতে উৎপাদিত এলপিজি পাইপলাইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে বোতলজাত করা হয়।
বোতলজাত এলপিজি বিপিসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে বাজারজাত করার লক্ষ্যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও এসএওসিএলকে বিপিসির নির্দেশিত হারে সরবরাহ করা হয়।
এক শিফটে এলপি গ্যাস লিমিটেডের চট্টগ্রাম কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ১০ হাজার মেট্রিক টন এবং কৈলাশটিলা কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক সাড়ে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ।
জালালাবাদ গ্যাস টিঅ্যান্ডডি সিস্টেম লিমিটেডের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানিটি ডিএসএল বাবদ ৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা, লভ্যাংশ বাবদ ৭০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আয়কর বাবদ ৭৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, আমদানি শুল্ক বাবদ ১১ কোটি ১ লাখ টাকাসহ ১৬৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানির এলএনজি ডিভিশনের আওতায় এলএনজি সংক্রান্ত টার্মিনাল ডেভেলপমেন্ট, এলএনজি আমদানি, রিগ্যাসিফাই ও জাতীয় গ্রিডে আরএলএনজি সরবরাহ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ এবং রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অর্জনে সরকারি সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পেট্রোবাংলার তত্ত্বাবধানে আরপিজিসিএল কর্তৃক যথাযথ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে এলএনজি টার্মিনাল (ভাসমান ও স্থলভিত্তিক) স্থাপনসহ এলএনজি সংক্রান্ত কার্যাবলি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ কোম্পানির আওতায় কক্সবাজারে মহেশখালীতে ৫০০ এমএমএসসিএফ ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে ২০১৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে জাতীয় গ্যাস গ্রিডে রিগ্যাসসিফাইড এলএনজি সরবরাহ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য