× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Bangladeshi workers waiting for good days in Maldives
google_news print-icon

মালদ্বীপে ‘সুদিনের অপেক্ষায়’ বাংলাদেশি কর্মীরা

মালদ্বীপ
মালদ্বীপে কাজ করা বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় এক লাখ। ছবি: আশিক হোসেন/নিউজবাংলা
মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তথ্য বলছে, দেশটিতে কাজ করা বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় এক লাখ। অথচ সরকারি হিসাবে দেশটির জনসংখ্যাই হলো পাঁচ লাখ। অর্থাৎ দেশটিতে প্রতি পাঁচজনে একজন বাংলাদেশি বাস করছেন।

মালদ্বীপের রাজধানী মালের সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত একমাত্র দ্বীপ হুলুমালে। দ্বীপটির রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে বা যেকোনো দোকানে পণ্যের দাম জানতে গিয়ে যদি কানে বাংলা ভেসে আসে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। শুধু হুলুমালে নয়, মালেসহ মালদ্বীপের যেকোনো দ্বীপেই দেখা মিলবে বাংলাদেশি কর্মীদের।

দেশটির অবকাঠামো, পর্যটন, মৎস্যশিল্পসহ সব খাতেই কাজ করছেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ হাইকমিশনের তথ্য বলছে, দেশটিতে কাজ করা বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় এক লাখ। অথচ সরকারি হিসাবে দেশটির জনসংখ্যাই হলো পাঁচ লাখ। অর্থাৎ দেশটিতে প্রতি পাঁচজনে একজন বাংলাদেশি বাস করছেন।

মালদ্বীপে কাজ করা বাংলাদেশিদের অভিযোগ, দেশটিতে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ তৈরি হলেও বাংলাদেশ সরকার শ্রমবাজার সম্প্রসারণে যথেষ্ট তৎপর নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশি কর্মীদের মজুরি বাড়াতেও তৎপর নয় বাংলাদেশ দূতাবাস।

মালদ্বীপে ‘সুদিনের অপেক্ষায়’ বাংলাদেশি কর্মীরা

হুলুমালের নিরোলহু মাগু এলাকার গেস্ট হাউস সি এরিনার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন কুমিল্লার মো. রিয়াদ। তিনি জানান, প্রায় চার বছর ধরে দেশটিতে আছেন তিনি।

মালদ্বীপে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে রিয়াদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানকার মানুষ খুব ভালো মানসিকতার। মধ্যপ্রাচ্যের মতো এখানে বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় কম। এখানে প্রচুর বাংলাদেশি কাজ করছেন, সামনে আরও কাজের সুযোগ বাড়বে। ‘কিন্তু মূল সমস্যা হচ্ছে, মালদ্বীপ অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি দেশ। সে হিসেবে কর্মীরা যে বেতন পান তা অত্যন্ত কম।’

বাংলাদেশিদের গড় বেতন কত- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা এখানে গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার করে পান। পাশাপাশি থাকা ও খাওয়ার জন্য সামান্য ভাতা। এ কারণে একটি ঘরে অনেককে গাদাগাদি করে থাকতে হয়।’

মালদ্বীপে ‘সুদিনের অপেক্ষায়’ বাংলাদেশি কর্মীরা

হুলুমালের একই এলাকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনের অভিজ্ঞতাও একই। তিনি মালদ্বীপে আছেন প্রায় ১২ বছর।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অন্য দেশ থেকে যারা আসেন যেমন ভারত বা শ্রীলঙ্কা, তাদের বেতনের বিষয়টি ওই দেশগুলোর দূতাবাস আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে। এ ক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাস কোনো উদ্যোগ নিলে আমরা আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম। এ বিষয়টিতে আমাদের সরকারের নজর দেয়া উচিত।’

মালদ্বীপে প্রবাসীরা কীভাবে থাকেন তা কিছুটা আন্দাজ করা যায় নিরোলহু মাগুর দোকান কর্মচারী আফতাবের কথা থেকে। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশিরা এখানে মূলত গেস্টহাউসগুলোতে থাকেন। একটি কক্ষে দেখা যায় ১২ থেকে ১৬ জন পর্যন্ত থাকেন।

‘আমি যেখানে থাকি, সেখানে এক কক্ষে ১৬ জন আছেন। মাস শেষে আমাদের ভাড়া আসে প্রায় ৫০ হাজার রুপিয়া (এক রুপিয়া সমান ৫ টাকা)। এটিই এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা।’

মালদ্বীপে ‘সুদিনের অপেক্ষায়’ বাংলাদেশি কর্মীরা

ভারত মহাসাগরের নীল পানিবেষ্টিত ছোট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। প্রায় ১২০০ ছোট-বড় দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এ দেশ। স্থলভাগ মাত্র ২৯৮ বর্গকিলোমিটার আর সমুদ্রসীমা ধরলে আয়তন প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার।

দেশটিতে সাধারণত দুই ধরনের দ্বীপ দেখা যায়। এর মধ্যে এক ধরনের দ্বীপকে বলা হয় লোকাল আইল্যান্ড, যেখানে স্থানীয়রা বসবাস করেন। আর পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত দ্বীপগুলো রিসোর্ট আইল্যান্ড নামে পরিচিত। দুই ধরনের দ্বীপেই আছেন বাংলাদেশি কর্মীরা।

দেশটিতে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে আরও কর্মসংস্থান তৈরির বিষয়ে কাজ করছেন তারা।

মালদ্বীপে ‘সুদিনের অপেক্ষায়’ বাংলাদেশি কর্মীরা

মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মালদ্বীপে সব মিলিয়ে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ। এদের মধ্যে ৫০ হাজারই এখন অনিয়মিত। তারা এখানে কাজ করলেও ওয়ার্ক পারমিট নেই।

‘অন্য দিকে ২০১৯ সালে মালদ্বীপ সরকার একটি সিদ্ধান্ত নেয়। সেটি ছিল তারা এক বছর বাংলাদেশ থেকে কোনো কর্মী নেবে না। এক বছর পার হয়ে গেলে এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা, তবে আমরা জানতে পারছি, তারা নতুন করে বাংলাদেশ থেকে কাউকে এখানে ওয়ার্ক পারমিট দিচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে দেশটির সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা কথা বলছি। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীও তুলেছিলেন।’

বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, ‘শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরের কথা রয়েছে। সফরের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটি হয়তো দুই-এক মাসের মধ্যেই হবে। সেই সফরে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যখন নানা ইস্যুতে কথা উঠবে, এটি নিয়েও কথা হবে। শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক থেকে একটি সুখবর আসবে বলে আমরা আশা করছি।’

মালদ্বীপে বাংলাদেশিদের কাজের সুযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে যে বাংলাদেশিরা আছেন তারা দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এটা মালদ্বীপ সরকারও স্বীকার করে। তাদের অবকাঠামো, ফিসিং, পর্যটনসহ সব খাতেই বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ করছেন।

‘অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা এখানে যেসব কাজ করেন, সেটা অন্য দেশের কর্মীরা করতে চান না। মালদ্বীপে সামনে অবকাঠামো খাতে অনেক প্রকল্প শুরু হবে। আমি মনে করি, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কর্মীদের বিকল্প নেই। কোভিডের পর এখন নতুন করে মালদ্বীপের পর্যটন খাত খুলতে শুরু করেছে। এ ক্ষেত্রেও তাদের অনেক বিদেশি কর্মী লাগবে, যার ভালো জোগান আসতে পারে বাংলাদেশ থেকে।’

আরও পড়ুন:
নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সম্পর্ক
বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক নিতে চায় মালদ্বীপ
৩ দিনের সফরে ঢাকায় মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট
১১ দিনে ৭৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
E passport service launched at Bangladesh Mission in Saudi

সৌদিতে বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

সৌদিতে বাংলাদেশ মিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে শুক্রবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত। ছবি: ইউএনবি
দূতাবাস মিলনায়তনে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবাসী প্রভাবশালী ব্যক্তি, পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও বিপুল প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে শুক্রবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিবুল্লাহ।

এ ছাড়া ঢাকা থেকে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কারিগরি দল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দূতাবাস মিলনায়তনে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবাসী প্রভাবশালী ব্যক্তি, পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও বিপুল প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর সুমিরিয়ার সাদেকিন উপস্থিত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন।

তিনি বলেন, আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন পাঁচ বছর বা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য। আবেদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় কারিগরি দল।

আরও পড়ুন:
সৌদিতে প্রথমবার ভ্রমণ: মাথায় রাখবেন যেসব বিষয়
চলতি বছর হজে ১৩ শতাধিক মৃত্যু
শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও কাবা শরিফ তাওয়াফের মাধ্যমে হজ সমাপ্ত
গাজায় যুদ্ধের মধ্যে হজ শুরু
সৌদিতে হজের নতুন আইন কার্যকর, ভাঙলেই সাজা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Pardon 57 Bangladeshis sentenced in Emirates

আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা

আমিরাতে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মেরিনার একটি নৌকায় উড়ছে আমিরাতের পতাকা। ছবি: আহমেদ জাদাল্লাহ/রয়টার্স
গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

এসব বাংলাদেশিকে শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে।

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যম সম্পাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গত ১৮ আগসট ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্তদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘তখন (দূতাবাসের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দুবাইয়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, এরা সন্ত্রাসী (প্রবাসী আন্দোলনকারীরা), এরা স্বাধীনতাবিরোধী। এদেরকে অ্যারেস্ট করলে উনাদের আপত্তি নেই, যার কারণে কোনো প্রকার আইনগত সহায়তা দেয়া হয়নি।

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে এদেরকে (আন্দোলকারীদের) চুপ করাতে হবে, শাস্তি দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টাসহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি উনারা যেন রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবস্থা নেন। আমরা দেশ থেকে লিগ্যাল সাপোর্ট দেব।’

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে নিন্দা জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
আমিরাতে ৭৫ বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, নিহত অন্তত ১
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুবকের তথ্য চেয়ে পুরস্কার ঘোষণা এফবিআই’র
মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় তিন বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
More than 14 crore Bangladeshi Internet users Palak

১৪ কোটির বেশি বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: পলক

১৪ কোটির বেশি বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী: পলক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত
পলক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বর্তমানে যে ১৯ কোটি মোবাইল সিম গ্রাহক আছে, যারা বাংলাদেশে প্রায় ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু ১৪ কোটি মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করে।’

দেশ ও বিদেশে ১৪ কোটির বেশি বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন বলে রোববার জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

দেশে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফের চালু নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পলক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বর্তমানে যে ১৯ কোটি মোবাইল সিম গ্রাহক আছে, যারা বাংলাদেশে প্রায় ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু ১৪ কোটি মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

‘বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক, ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি মিলিয়ে ১৩ কোটি, কিন্তু বাংলাদেশের বাইরে যে এক কোটি প্রবাসী ভাই-বোনেরা থাকে, তারাও কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তো সেই ক্ষেত্রে কিন্তু বাংলাদেশের বলতে গেলে ১৪ কোটির ওপরের মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তো আপনারা জানেন যে, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই, আজকে ২৮ জুলাই। এই ১০ দিন সময়ের মধ্যে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি, এটা আমরা অনেক ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কিছু কিছু জায়গায় ১৭ এবং ১৮ তারিখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধ এবং নির্দেশনা, পরামর্শ সাপেক্ষে আমরা বিটিআরসি থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করি। সেটা হচ্ছে নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে।’

আরও পড়ুন:
বিকেল তিনটার পর মোবাইল ইন্টারনেটে যুক্ত হলেই ৫ জিবি বোনাস
মোবাইলে ফোরজি সেবা চালু বিকেল ৩টায়
কোটা আন্দোলনের আরও দুই সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে
পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও মামলা প্রত্যাহারসহ চার দাবি ববি শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিন সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে: হারুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Protests in Toronto to protest the loss of lives in the quota reform movement

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানির প্রতিবাদে টরন্টোতে বিক্ষোভ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণহানির প্রতিবাদে টরন্টোতে বিক্ষোভ কানাডায় বুধবারের প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত
বাংলা টাউনে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট ইন কানাডার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন এবং তারা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান।

দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় মঙ্গলবার আন্দোলনকারীসহ ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে কানাডার টরন্টোতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মৌন প্রতিবাদ সভা করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে টরন্টোর শহীদ মিনার চত্বরে অন্যস্বর ও অন্য থিয়েটারের আয়োজনে মৌন প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়।

অনুসরের প্রধান সংস্কৃতিকর্মী আহমাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই প্রতিবাদে টরন্টোর সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। তারা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।

এর আগে বাংলা টাউনে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট ইন কানাডার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের এক বিক্ষোভ সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সমাবেশেও শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন এবং তারা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
শাটডাউন: দেশজুড়ে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি
ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় রাতেও শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ
নিহত ওয়াসিমের মায়ের কান্না থামছে না
কুবিতে গায়েবানা জানাজায় ইমামের ‘না’
যৌথ অভিযানে চার ঘণ্টা পর মুক্ত রাবি উপাচার্য

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demand for ransom from the families of 4 youths kidnapped in Libya

লিবিয়ায় অপহৃত ৪ প্রবাসীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি

লিবিয়ায় অপহৃত ৪ প্রবাসীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি অপহৃত নাজিম, সাগর, সোহান ও বিদ্যুৎ। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘অপহরণকারীরা বাংলায় কথা বলছে, তার মানে তারা বাংলাদেশি। তারা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছে, তবে পরিবারগুলোর পক্ষে টাকা পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় তাদের জীবন এখন হুমকির মুখে।’

জীবিকার তাগিদে প্রায় দুই বছর আগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামের সোহান প্রামানিক, সাগর হোসেন ও বিদ্যুৎ হোসেন পাড়ি জমান আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায়। একই গ্রামের নাজিম আলী দুই মাস আগে লিবিয়াতে যান কাজের জন্য।

সবই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু গত ২ জুন লিবিয়া প্রবাসী এ চার যুবককে জিম্মি করে অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

অপহরণকারীদের পাঠানো ভিডিওতে দেখা যায়, লিবিয়া প্রবাসী সোহানকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করছে অপহরণকারীরা। এরপর এক এক করে নাজিম, সাগর ও বিদ্যুৎকেও নির্যাতন করা হচ্ছে।

পরে সেই ভিডিও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করছেন অপহরণকারীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি যুবকদের পরিবারের কাছে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠাচ্ছেন তারা।

এতে অপহৃতদের পরিবারে চলছে আহাজারি। দ্রুত চারজনকে মুক্ত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

সরেজমিনে শুক্রবার বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় এ চার পরিবারের সঙ্গে। তাদের আহাজারি ঘিরে জমা হয়েছে গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ।

সোহানের মা দুলি বেগম ও বাবা শাহজাহান আলী বলেন, ‘ইমো নম্বরে কল করে সোহান বলছে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা বাংলায় কথা বলছেন। ১০ লাখ টাকা না দিলে সোহানকে মেরে ফেলবে বলছে। ছেলেকে ঋণ করে বিদেশে পাঠিয়েছি। বাড়ির ভিটে ছাড়া কোনো জমি-জমাও নেই।’

এ অবস্থা থেকে ছেলেকে মুক্ত করতে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

জিম্মি সাগরের বিধবা মা ছকেরা বেওয়া জানান, তিনি সরকারি টিআর কাবিখা প্রকল্পে কাজ করেন। অনেক কষ্টে ঋণ করে সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। এখন আবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ছাড়াতে হবে।

এত টাকা তার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না বলে জানান তিনি।

অপহৃত নাজিমের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, ‘অপহরণকারীরা স্বামীকে ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। এখন ১০ হাজার টাকা দেয়ার মতোও সামর্থ্য নেই।’

স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘অপহরণকারীরা বাংলায় কথা বলছে, তার মানে তারা বাংলাদেশি। তারা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছে, তবে পরিবারগুলোর পক্ষে টাকা পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় তাদের জীবন এখন হুমকির মুখে।’

সরকারের কাছে তাদের দ্রুত উদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

নাটোরে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যেহেতু পুরো ঘটনাটি লিবিয়ায় ঘটছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো মোবাইল নাম্বার কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার তারা দেয়নি। তাই এখনও নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কোনো ব্যক্তি বা এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি।

‘তাদের ধারণা, ওইখানে বাংলাদেশি কোনো মাফিয়া বা সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েছে প্রবাসী চারজন। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছি, বাংলাদেশে কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
‘এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাইয়ে পৌঁছবেন’
মুক্তিপণ পৌঁছায় দুই রাত আগে, ডলার জাল কি না পরীক্ষার পরই ছাড়া পান নাবিকরা
‘জিম্মি নাবিকদের চলতি মাসেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে’
ঈদের আগে জিম্মি নাবিকদের মুক্তির সম্ভাবনা কম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
3 to 4 thousand workers could not go to Malaysia General Secretary Baira

৩ থেকে ৪ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি

৩ থেকে ৪ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি
শনিবার শাহজালাল বিমানবন্দরের দুটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। বৃহস্পতিবার রাতে বা তার আগেই অনেক শ্রমিক বিমানবন্দরে চলে আসেন। শ্রমিকদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, রিক্রুটিং এজেন্টরা তাদের ফোন ধরছেন না।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পাওয়ায় তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)।

বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) আমাদের অফিস বন্ধ থাকায় কতজন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন এবং কতজন সেখানে যেতে পারেননি তার চূড়ান্ত সংখ্যা আমরা এখনও পাইনি। আমরা আগামীকাল (রোববার) বলতে পারব।’

তিনি জানান, কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর সময়সীমা ৩১ মে শেষ হওয়ায় এবং তাদের কাছে উড়োজাহাজের টিকিট না থাকায় প্রায় তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।

শ্রমিকদের প্রবেশের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়াগামী কয়েকশ প্রবাসী শ্রমিক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। স্থানীয় রিক্রুটিং এজেন্টরা সময়মতো টিকিট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তারা উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে আসেন।

শনিবার বিমানবন্দরের দুটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। বৃহস্পতিবার রাতে বা তার আগেই অনেক শ্রমিক বিমানবন্দরে চলে আসেন। শ্রমিকদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, রিক্রুটিং এজেন্টরা তাদের ফোন ধরছেন না।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, ‘মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় বিমানবন্দরের পরিস্থিতি এখন শান্ত।’

আরও পড়ুন:
কর্মীরা ৩১ মে পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন: হাইকমিশনার
‘মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হবে না’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The mayor of Lowestoft in the United Kingdom is Nasima of Bangladeshi origin

যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফটের মেয়র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাসিমা

যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফটের মেয়র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাসিমা নাসিমা বেগম
সম্প্রতি ওই ভোটাভুটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই জয় পান। এই খবরে যুক্তরাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাসিমা বেগম যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফট টাউন হল থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্প্রতি ওই ভোটাভুটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই জয় পান। এই খবরে যুক্তরাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল হাশিমের মেয়ে নাসিমা বেগম। যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফট টাউনে জন্মগ্রহণ করেন নাসিমা। তিনি পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয়।

নাসিমা বেগম পড়ালেখা করেছেন লোয়েস্টওফট টাউনে। তখন থেকেই তিনি সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত হন। তিনি টানা তিনবার লোয়েস্টওফট টাউন হলের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমি সব সময় চিন্তা করেছি যে টাউন কাউন্সিলের মতো একটি তৃণমূল সংস্থাকে সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে তা প্রতিফলিত করা প্রয়োজন। তাই সব বয়স ও ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউন্সিলর থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

‘একজন তরুণ কাউন্সিলর হিসেবে, একজন নারী, একজন মা এবং একটি জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু থেকে কেউ আমি মেয়র হিসেবে আমার সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করব টাউন কাউন্সিলকে সমর্থন করার জন্য, লোয়েস্টওফটের সবার হয়ে কাজ করার জন্য।’

যুক্তরাজ্যের বাংলা মিরর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল করিম গণি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে আমাদের বাঙালিদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে। নাসিমা বেগম মেয়র নির্বাচিত হয়ে বাঙালি কমিউনিটিতে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’

নাসিমা বেগম কামারখাল গ্রামের বাড়িতে আসেন সর্বশেষ গত শুক্রবার। তিনি বাবার কবর জিয়ারত ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ওই দিনই তিনি দেশ ত্যাগ করেন।

মন্তব্য

p
উপরে