নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য ও ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান।
এবার তার সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট হয়েছে আদালতে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী এই রিট করেন। রিটে মুরাদের অসাংবিধানিক বক্তব্য সম্পর্কে বিচারিক তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য পদ চ্যালেঞ্জ করে রিট ফাইল করেছি। সে সঙ্গে বিচারিক তদন্ত চেয়েছি।’
মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসন থেকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে ২০০৮ সালেও তিনি একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার মুরাদ হাসানকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আওয়ামী লীগের কোনো পদে তিনি থাকবেন কি না সেটা নিয়েও সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায় দলটি।
আরও পড়ুন:
বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত পোস্তগোলা ব্রিজে আগামী ১ জুলাই থেকে টোল নেয়া হবে না বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে টোল দিতে হবে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে।
প্রতিবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে বুধবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি উপস্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, টেন্ডারের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে টোল আদায় করা হচ্ছিল। এ কারণে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে টোল আদায় বন্ধে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে পোস্তগোলা ব্রিজের জন্য আলাদা করে টোল দিতে হবে না। শুধু এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে।
বিদেশ থেকে পাচারের টাকা ফেরত আনা ও করপোরেট কর হ্রাসের সুবিধা পেতে শর্ত শিথিলসহ কিছু সংশোধনী এনে প্রস্তাবিত অর্থবিল পাস হচ্ছে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বাজেট বিষয়ে এসব সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন এবং পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হবে। সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২-২৩ প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য রাখবেন।
যেসব সংশোধনী আনা হচ্ছে, সেগুলো মূলত আয়কর, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং আমদানি শুল্কসংক্রান্ত। গত ৯ জুন নতুন অর্থবছরের জন্য যে বাজেট ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী, তাতে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে বিভিন্ন খাতে করহার বৃদ্ধি, করারোপসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়।
এরই মধ্যে দেশের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট মহল কিছু ক্ষেত্রে এসব কর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন এবং তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবারের মতো এবারও প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হচ্ছে।
অর্থবিল পাসের পরের দিন অর্থাৎ ৩০ জুন পাস হবে প্রস্তাবিত বাজেট, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
আগের দুই বছরের ধারাবাহিকতায় এবারের বাজেটে শেয়ারবাজারে লিস্টেড এবং নন-লিস্টেড উভয় ধরনের কোম্পানির ক্ষেত্রে বর্তমানের চেয়ে করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে এই সুবিধা পেতে কঠিন শর্ত জুড়ে দেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, কোনো কোম্পানিকে এই সুবিধা পেতে হলে তাকে অব্যশই বছরে ১২ লাখ টাকার বেশি লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে করতে হবে। তা না হলে আগের রেটে কর পরিশোধ করতে হবে। কোম্পানি ছোট হোক বা বড়, সবার ক্ষেত্রে একই শর্ত প্রযোজ্য।
মূলত অর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সব লেনদেনকে ব্যাংকিং চ্যানেলের আওতায় নিয়ে আসার এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এ শর্তের বিরোধিতা করে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এর মাধ্যমে ‘ক্যাশলেস লেনদেন’ (নগদ মুদ্রাবিহীন লেনদেন) চালু করতে যাচ্ছে সরকার, যা বাংলাদেশের বাস্তবতার আলোকে সম্ভব নয়। বাজেটের এ উদ্যোগ কার্যকর হলে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করা কঠিন হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এটি বাতিল হচ্ছে না। বরং ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে শর্ত শিথিল করে এখানে কিছুটা ছাড় দেয়া হচ্ছে। কোম্পানির লেনদেন ১২ লাখ টাকার পরিবর্তে ৩৬ লাখ টাকায় উন্নীত করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনো কোম্পানি বছরে ৩৬ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন ব্যাংকের বাইরে করতে পারবে। এর বেশি লেনদেন করতে হলে অব্যশই ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে।
যেসব কোম্পানি কম হারে করপোরেট কর দিতে চাইবে, তাদের অবশ্যই এই শর্ত মানতে হবে।
অস্থাবর সম্পত্তি আনতে চাইলে ৭ শতাংশ কর
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশ থেকে নগদ টাকাসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি আনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত কর দিয়ে বৈধ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
বাজেট ঘোষণার পর দেশজুড়ে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ওঠে।
জানা যায়, সরকার তার অবস্থান থেকে সরেনি। তবে শর্ত কিছু শিথিল করে এ ক্ষেত্রে কিছুটা সংশোধনী আনা হচ্ছে।
বাজেটে বলা হয়, বিদেশে অবস্থিত কেউ যদি অস্থাবর সম্পত্তি বৈধ ঘোষণা করতে চান, তা হলে ১০ শতাংশ কর দিলে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।
সূত্র জানায়, এখানে করের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে।
অন্য দুটি– নগদ টাকা এবং স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে শর্ত একই রাখা হচ্ছে।
কিছু পণ্যের কর প্রস্তাবে সংশোধনী
ব্যবসায়ীর দাবির মুখে ল্যাপটপ কম্পিউটার, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেটসহ কিছু পণ্যের করহার তুলে দেয়া হতে পারে।
বাজেট ঘোষণায় কম্পিউটার-ল্যাপটপ আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়। সংশোধনীতে এই পণ্যটির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার হতে পারে।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। স্থানীয় শিল্পের বিকাশের ধারা অব্যাহত রাখতে মোবাইল সেটের ওপর থেকে এই কর প্রত্যাহার হতে পারে।
কম্পিউটার প্রিন্টার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হলেও তা প্রত্যাহার হতে পারে।
আরও পড়ুন:জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় বাড়ানো হয়েছে। বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এ সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক-পূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম পূরণের সময় ৬ জুলাই বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো হলো।
প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে কোনো শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই ৫ জুলাইয়ের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বাতিল করে অনলাইনে চূড়ান্ত ভর্তি ফরম পূরণ করতে হবে। অন্যথায় দ্বৈত ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীর ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রথম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে, তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে এবং অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ২০ জুলাই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের তৃতীয় পর্বে অংশ নেয়া ১০টি দলের মধ্যে সাতটি ‘হ্যাঁ’ এবং তিনটি ‘না’ বলেছে।
কোনো কোনো দল ৩০০ আসনেই ইভিএমের ব্যবহারের পক্ষে বলেছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির ইভিএম যাচাইয়ের মতবিনিময় সভায় দলগুলোর এমন অবস্থান উঠে আসে৷
ইভিএম সংক্রান্ত তৃতীয় দফায় ১৩ টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রথম দফায় অনুপস্থিত দল গণফোরাম সময় চাওয়ায় তাদের আজ আবার সভায় উপস্থিত থাকার সুযোগ দেয় ইসি।
এই ১৪ টি দলের মধ্যে ১০ টি এ সভায় অংশ নেয়। তবে এলডিপি, সিপিবি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ আলোচনায় আসেনি।
যেসব দলগুলো ইভিএমের পক্ষে, তারা হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা, তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল-এমএল, গণতন্ত্রী পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।
অন্যদিকে ইভিমের বিপক্ষে বলেছে গণফোরাম, বাংলাদেশ ন্যাপ ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।
যারা বিপক্ষে তারা কী বলছেন
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরাইয়া বেগম বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে খুব সহজেই জালিয়াতি করার অনেক ম্যাকানিজম রয়েছে। ই ভোটিং পদ্ধতিতে প্রোগামিং পরিবর্তন করে জালিয়াতি করার সুযোগ থেকেই যায়।’
ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ‘ইভিএমে জনগণের কোনো আস্থা নেই৷ রাজনৈতিক দলগুলো মনে করে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোট চুরির যন্ত্র। অনেক দেশ ইভিএম থেকে সরে এসেছে।’
সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সভা প্রধান আবু লায়েন্স মুন্না বলেন, ‘দেশের আশি শতাংশ ভোটার গ্রামে বাস করে। তাদের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।’
ইভিএমের পক্ষে যারা
ইভিএমের পক্ষে, তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার না করে ক্ষেত্র প্রস্তুতের পক্ষে জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ইভিএম পরিচিত করানো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। এই মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট করা ঠিক হবে না। স্থানীয় নির্বাচনসহ পেশাজীবীদের ভোটে ইভিএম পরিচিত করা হোক।’
গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন শ আসনেই ইভিএমে ভোট করার মত। তিনি বলেন, ‘মেশিন যদি ঠিকঠাক থাকে, ভালো সার্ভিস দেবে।’
বিকল্প ধারার মহাসচিব আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা অবশ্যই ইভিএম চাই। তবে প্রশ্ন হলো এই প্রযুক্তিতে ভোটাররা ভোট দিতে পারবে কি না? সবগুলো বুথে ইভিএম ব্যবহারের সক্ষমতা আছে কি না।’
ইভিএমকে উন্নত প্রযুক্তি বলে মনে করেন ওয়াকার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তিনি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইভিএম ব্যবহারের আগে স্থানীয় নির্বাচনে ভোট করলে গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে।’
তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব রেজাউল হক চাদপুরী বলেন, ‘সবাই যেহেতু ইভিএম বিষয়ে একমত না। এ জন্য কমপক্ষে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যেতে পারে।’
তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিন শ আসনেই ইভিএম চায় আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখানে এসেছে, আমার মনে হয় অধিকাংশই ইভিএমের পক্ষে বলেছে। আমরা সবার কথা শুনেছি। ইভিএম নিয়ে বিরুদ্ধেও বলেছেন দুয়েকজন। এটাই তো গণতন্ত্র। বিউটি অব ডেমোক্রেসি। বিরুদ্ধে তো বলবেনই। ভিন্নমত থাকতেই পারে। সেটা তো কোনো অসুবিধা নেই।’
৩০০ আসনে নির্বাচন করতে ইসি সক্ষম কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দ্যাট ইজ দ্যা ডিসিশন অব ইলেকশন কমিশন। এটা তাদের এখতিয়ার।’
আরও পড়ুন:দেশের ১৮ জেলার ৮৫টি উপজেলায় এক হাজার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মাউশির প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দেশের ১৮টি জেলার ৮৫টি উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ হাজার ১২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৪ জন শিক্ষার্থী বন্যার কবলে পড়েছে। তবে বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার কবলে পড়েনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্যাকবলিত উপজেলাগুলোর ১২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পাঠদান সম্ভব হচ্ছে। আংশিকভাবে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে ১০৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর ৮৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনও পাঠদান সম্ভব নয়। বন্যাকবলিত এলাকার ৬৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে।
সিলেটসহ সারা দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতির পর ২২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং থেকে সব আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালককে তথ্য পাঠানোর অফিস আদেশ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, বর্তমানে অতিবৃষ্টির কারণে উজান থেকে পানি নেমে আসায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় মাউশির আওতাধীন জেলা/উপজেলায় কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত এবং কতসংখ্যক শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত রয়েছে তার তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের ই-মেইলে ([email protected]) পাঠানোর অনুরোধ করা হলো।
আরও পড়ুন:নড়াইলে পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা দিয়ে অপদস্ত করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধান করে কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ দফতর) মো. আতাউর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘২৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৮তম সিন্ডিকেট সভায় স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আলোচনা হয় এবং নিন্দা প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ দোষী চিহ্নিত হলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ফেসবুকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার সমর্থনে কলেজের এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন দিনভর বিক্ষোভ, সহিংসতা চলে নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে। গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয় ওই শিক্ষার্থীর পক্ষ নিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস।
এরপর পুলিশ পাহারায় বিকেল ৪টার দিকে স্বপন কুমার বিশ্বাসকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দাঁড় করিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয় একদল ব্যক্তি। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে।
মোবাইল ফোনে ধারণ করা এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পুলিশের সামনে শিক্ষকের এমন অপদস্ত হওয়ার ঘটনায় তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ।
ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে শিক্ষক স্বপন কুমারের গলায় জুতার মালা পরানোর সময় আশপাশে পুলিশের উপস্থিতি দেখা গেলেও তারা এখন দাবি করছে, এমন কোনো ঘটনা তাদের চোখে পড়েনি। ঘটনার ৯ দিনের মাথায় এ ব্যাপারে মামলা করেছে পুলিশ। স্বপন কুমারকে জুতার মালা পরানোয় সরাসরি জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও জানিয়েছে পুলিশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, পরিবেশ ও সক্ষমতা তৈরিসহ ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে সুপারিশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। ওয়াশ খাতে বরাদ্দ না বাড়ালে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ ধীরগতিতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা এ বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজেট বরাদ্দ কম হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে।
বাজেটে হাওর এবং পার্বত্য এলাকায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে, তবে চর এবং উপকূলীয় এলাকায় বরাদ্দ বাড়েনি। প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। ওয়াশ খাতের আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বরাদ্দ বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
নিরাপদ পানি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা ওয়াটার এইড বাংলাদেশ, পিপিআরসি, ইউনিসেফ বাংলাদেশ, ফানসা-বিডি, এফএসএন নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইনটিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, অ্যান্ড ওয়াটার পভার্টি, এমএইচএম প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াটার এইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর হোসেন ইশরাত আদিবসহ ওয়াশ নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য