নোয়াখালী সদরে ট্রাকচাপায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ।
বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সুধারাম থানার ওসি শাহেদ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
এর আগে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার সেতু ভাঙ্গা এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত চালকের নাম মামুন হোসেন। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাতগাড়ী এলাকায়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মাইজদি থেকে সিএনজি অটোরিকশা করে মান্নান নগরের দিকে যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অজয় মজুমদার। এ সময় সোনাপুর জিরো পয়েন্টে গাড়ি থেকে নামার সময় একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট সড়কে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
নোয়াখালীতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার।
ছাত্রদলের ওই নেতার নাম আবদুর রহমান (৩৩), যিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে।
আবদুর রহমান সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আবদুর রহমানের চাচা মো. হানিফ অভিযোগ করেন, ‘গতকাল (সোমবার) ভোররাতের দিকে যৌথবাহিনী হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায়। একপর্যায়ে আমার ভাতিজা আবদুর রহমান ও একই বাড়ির আরেক ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে যৌথবাহিনী।
‘আটকের পর তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর করা হয়। এরপর সকালে স্থানীয় পশ্চিমপাড়ার বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এরপর সকাল আট-নয়টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়।’
হানিফ জানান, থানায় সোপর্দ করার পর তারা সেখানে গিয়ে তার ভাতিজাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তারা পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। পুলিশ জানায়, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
হানিফ অভিযোগ করেন, সারা দিন থানা থেকে তার ভাই ও ভাতিজাকে আদালতে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় বিকেল পাঁচটায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার ভাই আবদুর রহমান মারা যান। আর ভাতিজা হাবিবুর রহমান একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, ‘সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। তখন তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যখন তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়, তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তখন তাদের স্থানীয় বজরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
‘আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া পূর্বের তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নাই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুইটি গুলি ও তিনটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।’
ওসি মোরশেদ আলম জানান, যুবকের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মঙ্গলবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রাজিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আবদুর রহমান ও হাবিবুর রহমান নামের দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুইজনেরই শরীরে নীলা-ফোলা জখম ছিল।’
আরও পড়ুন:মুন্সীগঞ্জ সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ফুলতলা এলাকায় আলু ক্ষেতে পুঁতে রাখা হালিমা বেগমের (৩৪) কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে।
আলুক্ষেতের পাশে পড়ে থাকা জামাকাপড় দেখে সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে ওই নারীকে শনাক্ত করে পরিবার। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে মরদেহ উদ্ধারে আসে তারা।
এক মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন হালিমা।
পরিবারের ভাষ্য, ৯ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই নারী। পরে এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন। থানা পুলিশ মামলার প্রধান আসামি সামিউল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন না হওয়ায় তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য মর্গে পাঠানো হয়। অপহরণ মামলার প্রধান আসামিকে কারাগার থেকে ফের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে বোরো ধানের জমি থেকে নাক ও কান কাটা এক যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমি থেকে রোববার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই যুবকের নাম মনির হোসেন (৩০), যিনি শান্তিগঞ্জের উকারগাঁও গ্রামের প্রয়াত মোকসেদ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দুজন পরিচিত মানুষ ওই যুবককে ডেকে নিয়ে যায়। সারা রাত বাড়িতে না ফেরায় সকালে পরিবার ও গ্রামের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলে উকারগাঁও গ্রামের বোরো জমিতে নাক-কান কাটা অবস্থায় যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ বোরো জমি থেকে লাশ উদ্ধার করে।
কী কারণে যুবককে এভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘নাক-কান কাটা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন:লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি গোপনে রংপুরে চিকিৎসাধীন বলে খবর পাওয়া যায়।
আহত শহিদুল ইসলামের (৪০) বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিজিবি জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের চার থেকে পাঁচজনের একটি দল ভারতের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা থানার ময়নাতলী গ্রামে গরু আনতে যান। ওই সময় ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় শহিদুল গরু নিয়ে ফেরার পথে ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচটি গুলি ছোড়েন। এতে তার পায়ে গুলি লাগে।
পরে সঙ্গীরা তাকে রাতেই রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে গোপনে চিকিৎসাধীন তিনি।
বিজিবির কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আহত গরু ব্যবসায়ী (ডাঙ্গোয়াল) ছিলেন। এ ঘটনায় রোববার সকালে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে।
‘বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদকে রোববার একটি কক্ষে আটকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চাকরি হারানো অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ডা. শামীম।
অভিযোগে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক লিখেন, ‘১০০ শয্যাবিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার শাহাদাত হোসেন ১২ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় আমার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আমাকে উদ্ধার করেছে।’
লিখিত অভিযোগে সদর হাসপাতালের শাহাদাত হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হতে গাড়িচালক শাহাদাত হোসেনের চাকুরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। চালক শাহাদাতের কাছে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহন বাবদ সরকারি ইউজার ফি জমা প্রদানের জন্য পত্র দেওয়া হয়েছে।
‘সে হাসপাতালের অফিসার্স কোয়ার্টারে অবৈধভাবে রুম দখল করে মাদক সেবন ও মাদকের কর্মকাণ্ড করে। তাহার কর্মকাণ্ডে ও চলাফেরায় সন্দেহ হয়েছে।’
তিনি আরও লিখেন, ‘ইতিপূর্বে শাহাদাতের অ্যাম্বুলেন্স থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১১ জানুয়ারি গাড়িচালক শাহাদাত আমাকে হুমকি প্রদান করে। সে আমার সরকারি বাসভবনের সিসি ক্যামেরাটি নষ্ট করেছে, যা তার আচরণে প্রমাণিত হয়।’
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালক শাহাদাত হোসেনের এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ বেআইনি ও হত্যাচেষ্টার শামিল। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানা পুলিশকে লিখিত অবগত করেন তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ।
ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামীম আহম্মেদের দেওয়া লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে উল্লেখিত আসামি গাড়িচালক শাহাদাতকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
‘এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান। মামলা রুজুর পরে আসামি শাহাদাতকে আদালতে পঠানো হবে।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচএম জহিরুল ইসলাম হাসপাতালের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে রেখেছে। তার উদ্দেশ্য মহৎ নয়। শাহাদাতকে দিয়ে গ্যাঞ্জাম করানোর পেছনেও তার হাত আছে।’
আরও পড়ুন:‘বিডিআরের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আর মাত্র তিন মাস বাকি ছিল আমার বাবার। আমি তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। এখন আমি দুই সন্তানের জননী।
‘দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত বাবার জন্য অপেক্ষা করছি। কী দোষ ছিলো আমার বাবার? আমার বাবা মিথ্যা সাক্ষী দেয়নি বলেই কি জেলে তাকে আটকে রেখেছেন আপনারা? মিথ্যা রাজসাক্ষী না দেওয়াই কি ছিল তার অপরাধ? আমি স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে বলব যেন দ্রুত আমার বাবাসহ নির্দোষ সকল বিডিআরকে মুক্তি দেওয়া হয়।’
অশ্রুসিক্ত চোখে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন জেলবন্দি বিডিআর সদস্য আক্তার আলীর কন্যা আফরিন আক্তার।
একই মানববন্ধনে কাঁদেন অন্য এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান জয়দেব বিডিআরের মুক্তি চাই। তার চাকরি ফেরত চাই।’
মানবন্ধনে এ প্রতিবেদককে ডেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চন্দন বিডিআরের বোন মুক্তি রাণী বলছি ভাই। আমার ভাইটাকে কবে ফেরত পাব? আমার ভাইয়ের ছেলে শ্রাবণ বুঝ হবার পর থেকে বাবাকে খুঁজছে।
‘কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না? তাদের নিয়ে কি নতুন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে? আমরা খুব আশা নিয়ে আছি ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাবার পর তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিবে।’
ঠাকুরগাঁওয়ে তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা।
ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার পিলখানাসহ সারা দেশে চাকুরিচ্যুত সব বিডিআর সদস্যের পরিবারকে পুনর্বাসনপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহাল, ১৬ বছর যাবত জেলবন্দি সব নির্দোষ বিডিআর সদস্যকে জেল থেকে মুক্তি, স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সত্য উদঘাটন ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত ও আটজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের বানাইল গ্রামে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত আবুল হাসান রতন (৫৫) বানাইল গ্রামের প্রয়াত নূরুল হকের ছেলে ও রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাঈদুজ্জামান মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন লিটনের পরস্পরবিরোধী দুটি গ্রুপ আগে থেকেই সক্রিয় রয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে দুজনই সভাপতি প্রার্থী। সম্মেলনকে সামনে রেখে শনিবার রাতে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন রাউতি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন লিটনের সমর্থক।
অপরদিকে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাঈদুজ্জামান মোস্তফার সমর্থক। আবুল হাসান রতন ও গিয়াস উদ্দিন আত্মীয়তার সূত্রে চাচা-ভাতিজা। পথসভায় গিয়াস উদ্দিন সভাপতিত্ব করায় ক্ষিপ্ত হন আবুল হাসান রতন ও তার লোকজন। রোববার সকালে এ নিয়ে কথাকাটাকাটি থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে আবুল হাসান রতন নিহত হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষে আহত হন আটজন।
স্থানীয় বিএনপির দাবি, দলীয় বিষয় নয়; পারিবারিক বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আবুল হাসান রতন নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে হত্যাকণ্ডের প্রতিবাদে নিহত রতনের সমর্থকরা রোববার দুপুরে তাড়াইল উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য