পুঁজিবাজার নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিএসইসিকে নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের আগে কয়েক দিন পুঁজিবাজারের লেনদেন গতি হারালেও বৈঠকের দিন দিয়েছে লাফ। শেয়ারদর ও সূচক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে অনেকটাই।
১০ কর্মদিবস পর সূচক আবার ৭ হাজার পার করেছে, যেটিকে একটি মনস্তাত্ত্বিক বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেই বিষয়টি অবশ্য লেনদেন চলাকাছে জানা যায়নি। তবে সকাল ১০টায় লেনদেনের শুরু থেকেই বাড়তে থাকে সূচক। বেলা ১১টা বাজার কিছুক্ষণ আগে সূচক বাড়ে ৭৫ পয়েন্ট। এরপরের বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত সেখান থেকে কিছুটা কমে সূচক। এরপর থেকে আবার বাড়ে।
শেষ পর্যন্ত আগের দিনের চেয়ে ৭০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শেষ হয় ৭ হাজার ৪৮ পয়েন্টে। লেনদেন হয় এক হাজার ৩৩১ কোটি ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা, যা গত ২১ নভেম্বরের পর সর্বোচ্চ। সেদিন লেনদেন ছিল ১ হাজার ৭৮৬ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
দিন শেষে বেড়েছে ২৭৪টি কোম্পানির শেয়ারদর, কমেছে ৬৯টির আর অপরিবর্তিত থাকে ৩২টি।
মঙ্গলবার পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যে বৈঠক হয়, তার প্রতিক্রিয়া বোঝা যাবে বুধবার। কারণ, এই বৈঠক শেষে এর সভাপতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং শেয়ারবাজার কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি কমিটির আহ্বায়ক মফিজ উদ্দীন আহমেদ যে বক্তব্য রাখেন, তা লেনদেনের পরেই বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন।
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে বলেন, ‘ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। ২০১৯ সালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যেসব আলোচনা হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে কথা হয়েছে। এখন চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আরও একটি বৈঠক করতে হবে। সেটি চলতি মাসে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে।… ওই বৈঠকে পুঁজিবাজারের জন্য দৃশ্যমান কিছু দেখা যাবে।’
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিট গণনা পদ্ধতি আর বন্ডে বিনিয়োগ এই সীমার বাইরে থাকবে কি না- এ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুবই সেনসিটিভ ইস্যু। এ ব্যাপারে এখনই কোনো কথা বলতে চাইছি না। এর জন্য আপনাদেরকে পরবর্তী বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’
আড়াই মাস ধরে দর সংশোধনে থাকা পুঁজিবাজারে সম্প্রতি টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিএসইসি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে বিরোধ ইস্যুতে।
গত ৩০ ডিসেম্বর দুই পক্ষের বৈঠকের পর পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা যা এক্সপোজার লিমিট ও বন্ডে বিনিয়োগ নিয়ে মতভিন্নতার অবসানের আশা তৈরি হয়।
সেই বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কেউ বক্তব্য না দিলেও বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, শেয়ারের ক্রয়মূল্যে এক্সপোজার লিমিট গণনা ও বন্ডে বিনিয়োগ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের বাইরে রাখার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। তারা নীতিগতভাবে এসব বিষয়ে একমত হয়েছেন।
পরদিন পুঁজিবাজারে হয় উত্থান। এক দিনেই সূচক বাড়ে ১৪৩ পয়েন্ট। তবে সেদিন সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরেক বিজ্ঞপ্তিতে তৈরি হয় উদ্বেগ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিএসইসি কমিশনারের বরাত দিয়ে যেসব সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, সেসব সঠিক নয়।
এই খবরে বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসে লেনদেন শুরুই হয় ৮৪ পয়েন্ট পতনের মধ্য দিয়ে। তবে এ সময় তার আগের রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশ তুমুল আলোচনা তৈরি করে, ঘুরে দাঁড়ায় বাজার। শেষ পর্যন্ত লেনদেন শেষ হয় ৮৯ পয়েন্ট সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে।
ওই বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনায় বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের যে আন্তরিকতা আছে, তা প্রকাশ হবে সামনের কিছু দিনে।
এসব ঘটনার পর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে যায় পুঁজিবাজার। এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নানা আলোচনা, পর্যালোচনা, তর্ক-বিতর্ক তৈরি হয়। বাজার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত কী আসছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান পাল্টাবে কি না, বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে- এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হতে থাকে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক বিভিন্ন ফেসবুক পেজে।
কিন্তু এই বৈঠকে কী হয়, তা নিয়ে সংশয়ে কমে যায় লেনদেন। দুই দিনই সূচক বাড়লেও লেনদেন একেবারেই কমে যায়। দুই দিনই নয়শ কোটি টাকার কম শেয়ার হাতবদল হয়। এতে স্পষ্ট হয় বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে না গিয়ে হাত গুটিয়ে আছেন।
বৈঠকের দিন হাত গুটিয়ে রাখা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনেকেই সক্রিয় হয়েছেন, এটা স্পষ্ট।
লেনদেন ও সূচকে ভূমিকা যেসব কোম্পানি ও খাতের
খাত হিসেবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আর্থিক, বস্ত্র, প্রকৌশল, সিমেন্ট খাতে প্রায় সব কোম্পানির দর বেড়েছে। ভালো দিন গেছে ব্যাংক, বিমা ওষুধ রসায়ন, তথ্য প্রযুক্তি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও।
লেনদেনে আবার সেরা ব্যাংক খাত। এর পরের অবস্থান যথাক্রমে ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ, বস্ত্র, আর্থিক ও বিমা খাত। মোট পাঁচটি খাতে লেনদেন হয়েছে একশ কোটি টাকার বেশি।
শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি না বাড়লেও সূচক বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর ২.১ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৫.৫৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, যার দর ২.৮২ শতাংশ বাড়ায় সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৬৩ পয়েন্ট।
সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ করেছে, এমন কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে উইনাইটেড পাওয়ার, আইসিবি, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণ ফোন, বার্জার পেইন্টস, ওয়ান ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ২৯.০৮ পয়েন্ট।
বাজারে ভালো দিনেও শেয়ারদর কমেছে ওয়ালটনের, যার দর ০.৩৬ শতাংশ কমায় সূচক থেকে হারিয়েছে ২.৩৬ পয়েন্ট।
এ ছাড়া রবি, শাহজিবাজার পাওয়ার, ফরচুর সুজ, সোনালী পেপার, আমান ফিড, পদ্মা অয়েল. ডেল্টা লাইফ, ইউনিক হোটেল, ও উত্তরা ব্যাংকও সূচক কমিয়েছে। তবে দরপতনের হার খুব একটা বেশি না হওয়ায় সূচকে প্রভাব পড়েছে কমই।
সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানি সূচক কমিয়েছে ৭.১৩ পয়েন্ট।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০
এই তালিকার প্রথম তিনটিই লোকসানি কোম্পানি, যেগুলোর দর বেড়েছে সমান ১০ শতাংশ করে। তিনটি কোম্পানিই লোকসানের কারণে এবার লভ্যাংশ দেয়নি আর এরপর ক্রমেই দর হারাচ্ছিল। এই তিনটির মধ্যে দুটির আবার গত এক যুগের লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস নেই।
কোম্পানিগুলো হলো খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, মেঘনা পেট ও মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক।
এর মধ্যে খাদ ব্রাদার্সের দর, যার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ১১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা। মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের দর ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা আর মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজের দর ১৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা ৯০ পয়সা।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকার বাকি ৭টি কোম্পানির দরও বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। এগুলো হলো ওটিসিফেরত তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, নতুন তালিকাভুক্তি সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, মুনাফায় থাকার পরেও লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর ক্রমেই দর হারানো ফুওয়াং ফুড, অ্যাপোলো ইস্পাত, ডেল্টা স্পিনার্স, ফাইন ফুডস ও জিএসপি ফাইন্যান্স।
আরও ৯টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দিনের দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায়।
আরও পাঁচটি কোম্পানির দর ৮ শতাংশের বেশি, ৬টি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৭টি কোম্পানির দর ৬ শতাংশের বেশি, ১০টি কোম্পানির দর ৫ শাতংশের বেশি, ২১টির দর ৪ শতাংশের বেশি, ১৭টির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৫২টির দর ২ শতাংশের বেশি, ৭৩টির দর বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি।
দর পতনের শীর্ষ ১০
যেগুলোর দর কমেছে, সেগুলোর দর শতকরা হারে খুব বেশি কমেনি। এই তালিকার শীর্ষে থাকা আমান ফিড দর হারিয়েছে ৩.৫৭ শতাংশ। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এশিয়ার ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ৩.০৬ শতাংশ।
জিবিবি পাওয়ার, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, দেশ গার্মেন্টস, সোনলী পেপার, শাহজিবাজার পাওয়ার দর হারিয়েছে ২ শতাংশের বেশি। আর তালিকায় ১০ নম্বরে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স দর হারিয়েছে ১.৮৯ শতাংশ।
দর হারানো বাকি কোম্পানিগুলোর মধ্যে আরও ১৫টি দর হারিয়েছে ১ শতাংশের বেশি, বাকিগুলোর দর কমেছে এক শতাংশের কম।
লেনদেনে সেরা যেগুলো
লেনদেনের এগিয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট ১৩০ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে মোট ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৫১টি।
একশ কোটি টাকার লেনদেনের ঘরে ছিল ওয়ান ব্যাংকও। ৫ কোটি ৬ লাখ ২৮ হাজার ৯৪১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১০০ কোটি ১১ লাখ টাকায়।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ারে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ১৩ লাখ টাকার। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৭৯টি শেয়ার।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাওয়ার গ্রিডে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকার। শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৫১ লাখ ৩ হাজার ২৫১টি।
পঞ্চম স্থানে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের ১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার ৮১টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যার বাজারমূল্য ছিল ২৮ কোটি ৭ লাখ টাকা।
এছাড়া প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলের ২৭ কোটি ৫১ লাখ, ডেল্টা লাইফে ২৫ কোটি ৭২ লাখ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালে ২৪ কোটি ২ লাখ টাকা, আইএফআইসি ব্যাংকে ২২ কোটি ১৯ লাখ টাকা, জিপিএইচ ইস্পাতে ২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
সব মিলিয়ে লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩৪.০৭ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ২০টি কোম্পানিতে হাতবদল হয়েছে ৬১৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪৬.১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য