যখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রসঙ্গ আসে, তখন ‘দ্য টারমিনেটর’, ‘আই রোবট’, ‘ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড’, ‘ব্লেড রানার’ সিনেমা কিংবা টিভি সিরিজগুলোতে দেখানো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা মনে পড়ে। সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিবাচক চরিত্র হিসেবে যেমন টার্মিনেটর ছিল আর ম্যাট্রিক্স সিনেমায় ছিল সেইন্টিনল।
এইচবিওর ‘ওয়েস্ট ওয়ার্ল্ড’ সিরিজে তো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই ভিকটিম হিসেবে দেখানো হয়।
এর পরেও সিনেমা ও বিনোদন জগতে শুরু থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ভালো প্রযুক্তি দেখানোর চেয়ে খারাপ হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছে সব সময়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে মানুষের ভীতি কাজ করে। তাই মানুষ কখনোই সেভাবে শিল্প, সাহিত্যের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে প্রাসঙ্গিক ভাবেনি।
তবে আই-দা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হিউম্যানয়েড রোবট কিন্তু সবাইকে ভিন্নভাবে ভাবতে শেখাবে। কারণ আই-দাই প্রথম কোনো রোবট শিল্পী ও কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
মহান ইতালীয় কবি দান্তে আলিঘিয়েরির মৃত্যুর ৭০০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত অ্যাশমোলিয়ান মিউজিয়ামে আই-দা তার লেখা কবিতা আবৃত্তি করে দর্শকদের শোনায়। সে দান্তের মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে তার নিজস্ব ডেটা ব্যাংক এবং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে দান্তের বক্তৃতার প্যাটার্ন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বিখ্যাত মহাকাব্য ‘ডিভাইন কমেডি’র প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাব্য রচনা করে।
আই-দা হলো অক্সফোর্ডের প্রকৌশলী আইদান মিলারের উদ্ভাবিত উচ্চ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট।
মিলার নিজেই তার বানানো রোবটের কাব্য রচনার দক্ষতায় মুগ্ধ। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘এত দুর্দান্ত, আপনি যদি তার লেখা কবিতা পড়েন তবে বুঝতেই পারবেন না যে এটি কোনো মানুষের লেখা নয়।'
শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন আই-দা তার কবিতা পড়ছিল তখন তিনি সিএনএনকে বলেন, ’তার সঙ্গে ভাব বিনিময় করলে আপনি ভুলেই যাবেন, আপনি একজন রোবটের সঙ্গে কথা বলছেন।'
‘আই-দা’ প্রজেক্টে কাজ করতে গিয়ে মিলার ও তার দল খেয়াল করেন, আসলে মানুষ কতটা কৃত্রিম। আর রোবট কতটা মানবিক।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করতে গিয়ে মিলারের মানুষ সম্পর্কে চিন্তাভাবনাই বদলে যায়।
আই-দা শুধু কবিতাই পড়তে ও লিখতে জানে না, ছবিও আঁকতে জানে। গত অক্টোবরে মিসরে দান্তেকে উপজীব্য করে তার আঁকা চিত্রকর্মের একটি প্রদর্শনীও হয়ে গেছে। তবে সে সময় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। মিসরীয় নিরাপত্তা বাহিনী নজরদারি করা হবে, এমন সন্দেহে আই-দার চোখে লাগানো ক্যামেরা খুলে নেয়।
‘এতেই স্পষ্ট হয় মানুষ প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাকে কতটা ভীতির চোখে দেখে’, সিএনএনকে এমনটাই বলেছেন মিলার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো আধুনিক কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা। যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটার অ্যালগরিদম কাজে লাগিয়ে যন্ত্র বা বিশেষায়িত কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রকাশ করার পদ্ধতি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
গবেষকরা এআইনিয়ন্ত্রিত এমন ক্যালকুলেটর তৈরি করেছেন যা বলে দিতে পারে আপনি আপনার মৃত্যুর ঠিক কতটা কাছে। ল্যানসেট ডিজিটাল হেলথ-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটা জানানো হয়েছে।
এআই-চালিত ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (AI-ECGs) একজন ব্যক্তির ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে পারে। অবশ্য দৈনন্দিন চিকিৎসা পরিষেবায় সেগুলো এটি ব্যবহার করা হয়নি।
বর্তমানে এআই ক্যালকুলেটরের এই ভবিষ্যদ্বাণী পৃথক রোগীদের জন্য স্পষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে না। সেসঙ্গে জীববিজ্ঞানের সঙ্গে এর কার্যকারিতা সারিবদ্ধ নয়। এই সমস্যাগুলো মোকাবেলায় ল্যানসেট গবেষকরা AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর (AIRE) নামে একটি নতুন টুল তৈরি করেছেন।
মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়ে AIRE ভবিষ্যতে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে হৃৎপিণ্ড পাম্প করা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে দশটির মধ্যে প্রায় আটটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সমস্যা এবং প্রাথমিকভাবে রোগীর মৃত্যু ঘটে।
গবেষকরা বলছেন, ‘আমরা AI-ECG রিস্ক এস্টিমেটর (AIRE) প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে পূর্ববর্তী AI-ECG পদ্ধতির সীমাবদ্ধতাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেছি।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের অধীনে দুটি হাসপাতাল আগামী বছরের মাঝামাঝি থেকে এই প্রযুক্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। আর বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে এটি পাঁচ বছরের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা জুড়ে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
হাসপাতালে আসা রোগীরা এআই ‘ডেথ ক্যালকুলেটর’ থেকে আনুমানিক আয়ুষ্কালের পূর্বাভাস পেতে পারে। এই টুলটি একটি একক ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG) পরীক্ষা ব্যবহার করে, যা কয়েক মিনিটের মধ্যে হার্টের কার্যকলাপ রেকর্ড করে অজানা স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো শনাক্ত করতে পারে। AI-ECG বা AIRE নামে পরিচিত এই প্রোগ্রামটি ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত নির্ভুলতার সঙ্গে ECG-এর পর ১০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারে বলে গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে।
ল্যানসেট গবেষকরা এক লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৯ রোগীর ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন ইসিজি পরীক্ষার ফলাফলের ডেটাসেট ব্যবহার করে প্রযুক্তিটির প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তারা দেখেছেন, এটি তিন-চতুর্থাংশ (৭৬ শতাংশ) ক্ষেত্রে এবং ভবিষ্যতের এথেরোস্ক্লেরোটিক কার্ডিওভাসকুলার রোগের মতো গুরুতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা (যেখানে ধমনি সংকীর্ণ, রক্তপ্রবাহকে কঠিন করে তোলে) দশটির মধ্যে সাতটি ক্ষেত্রে শনাক্ত করেছে।
শুধু রোগ নির্ণয় নয়, ‘এআই ডেথ ক্যালকুলেটর’ স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি পরিসরও জানাবে যা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি AIRE শনাক্ত করে যে আপনি একটি নির্দিষ্ট হৃদযন্ত্রের ছন্দের সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, তাহলে আপনি এটিকে প্রতিরোধ করতে আরও বেশি সক্রিয় হবেন।
পাট ও বস্ত্র এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে মিথ্যা ও বানোয়াট সাক্ষাৎকার তৈরি এবং তা প্রচারের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নাফিস ফুয়াদ ঈশান নামের এই তরুণকে রোববার ভোরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নাফিস ১৬ আগস্ট নাগরিক টিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত অন্তর্বর্তী সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেনের সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ কপি করে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট ফোনালাপ তৈরি করেন। জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির উদ্দেশ্যে তিনি ভিডিওটি ২৪ অক্টোবর নিজের পরিচালিত ‘কোয়ালিটি টিভি’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত নাফিস ফুয়াদ ঈশানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি কোয়ালিটি টিভি (Quality Tv) নামক অনলাইনভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিন। একইসঙ্গে তিনি কেস টিভি (Kes Tv) নামক ফেসবুক পেজেরও অ্যাডমিন।
নাফিস তার পরিচালিত কোয়ালিটি টিভির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও বানোয়াট কনটেন্ট তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন:ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বিশাল পরিসরে উদযাপন হলো ‘ইন্টারন্যাশনাল শেফস্ ডে ২০২৪’।
এ অনুষ্ঠানে অন্যতম স্পন্সর ছিল ‘ওমেরা এলপিজি’।
গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে এক হাজারেরও বেশি স্বনামধন্য শেফ অংশ নেন।
পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ওমেরা এলপিজির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে ভিন্ন মাত্রা দান করে।
উৎসবের অংশ হিসেবে ওমেরা এলপিজি তাদের অনলাইন ডেলিভারি সিস্টেম ‘এলপিজি সলিউশন’ অ্যাপের মোড়ক উন্মোচন করে।
এ অ্যাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষস্থানীয় শেফরা উপস্থিত ছিলেন, যারা এই সহজ ও সুবিধাজনক সেবার প্রশংসা করেছেন।
এটি ঘরোয়া এবং বাণিজ্যিক রান্নাঘরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি সেবা, যা গ্রাহকদের আরও সহজে হোম ডেলিভারি সুবিধা নিশ্চিত করে।
অ্যাপটি বর্তমানে গুগল প্লে-স্টোর ও অ্যাপ-স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে শেফদের জন্য বিশেষ ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি ট্রেনিং’ সেশনের আয়োজন করা হয় ওমেরার পক্ষ থেকে। কেননা ওমেরা বিশ্বাস করে নতুন প্রজন্মের শেফদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রজ বিষয় হলো কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক টেক কোম্পানি ওয়ানপ্লাস তার সর্বাধুনিক মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) ‘অক্সিজেন ওএস ১৫’ উন্মুক্ত করছে।
আগামী ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেটিং সিস্টেমটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
ওয়ানপ্লাসের সব অফিশিয়াল চ্যানেল থেকে অনলাইন ইভেন্টটি সরাসরি দেখা যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ওএসের ওপর ভিত্তি করে প্রথম অপারেটিং সিস্টেমগুলোর একটি হতে যাচ্ছে ওয়ানপ্লাসের ১৫ অপারেটিং সিস্টেমটি। নতুন ওএসটিতে ওয়ানপ্লাস তাদের নিরলস গবেষণা ও ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটিয়েছে।
অপারেটিং সিস্টেমটিতে ওয়ানপ্লাসের স্পিরিট ‘নেভার সেটেল’-এর প্রতিফলন পাওয়া যাবে। ওয়ানপ্লাসের আপডেটেড ওএসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ইন্ডাস্ট্রির সেরা ও দ্রুতগতির ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, নতুন ও কার্যকরী এআই ফিচার এবং বিশেষায়িত ডিজাইন, যা ওয়ানপ্লাসের সিগনেচার ডিজাইন ল্যাঙ্গুয়েজের অনুভূতি দেবে। এসব ফিচার নিয়ে বাজারের সবচেয়ে দ্রুতগতির ও ইউজার ফ্রেন্ডলি অপারেটিং সিস্টেম হতে যাচ্ছে অক্সিজেন ওএস ১৫।
গতি ও কৃত্রিম প্রযুক্তির মেলবন্ধন
যেকোনো প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ওয়ান প্লাসের মূল দর্শন হচ্ছে গ্রাহকদের দ্রুতগতির, মসৃণ ও ঝামেলাবিহীন অভিজ্ঞতা দেয়া। অক্সিজেন ওএস ১৫ অপারেটিং সিস্টেমটিতে ওয়ানপ্লাস বাজারের সেরা সফটওয়্যার অ্যালগরিদম টেকনোলোজি ও অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের সৃজনশীল নির্মাণের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মসৃণ অ্যানিমেশন ইফেক্ট দেবে।
এ ছাড়াও অক্সিজেন ওএস ১৫ এর ডিজাইনে সতেজ ও নতুন ভিজুয়াল স্টাইল এনেছে, যা ব্র্যান্ডটির স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ব্যবহারকারীদের আনন্দময়য় ও নির্ঝঞ্ঝাট অভিজ্ঞতা দেবে। ব্যবহারকারীদের কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ ব্র্যান্ডটিকে মাল্টিটাস্কিং সিনারিও ও বেশ কিছু পার্সোনালিটি এক্সটেনশন সিনারিও যোগ করতে সহায়তা করেছে।
অক্সিজেন ওএস ১৫তে ওয়ানপ্লাসের এআই ফিচার যোগ করার মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফিচারটি বেশ কিছু কমন সিনারিওতে সংযুক্ত করার মাধ্যমে প্রোডাক্টিভিটি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে ব্যবহারকারীর জীবনকে সহজ করে তুলবে। ফলে নতুন অক্সিজেন ওএস ১৫ হতে যাচ্ছে গতি, পারফরম্যান্স ও বুদ্ধিমত্তার পারফেক্ট কম্বিনেশন।
অক্সিজেন ওএস ১৫ ওয়ানপ্লাসের উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতির এক বহিঃপ্রকাশ, যা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী অনন্য এক সফটওয়্যার অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।
ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ সম্প্রতি তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক কমিউনিটি গ্রুপের সূচনা করেছে যেখানে ভক্তরা তাদের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রোডাক্ট ও ইভেন্ট সম্পর্কে তথ্য পাবেন।
গ্রুপটি একটি মানসম্মত যোগাযোগের ঘনিষ্ঠ কমিউনিটি গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে গড়া হয়েছে, যেখানে এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও ওয়ান প্লাস টিমের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে। তাই ওয়ান প্লাস সম্পর্কে আপডেটেড থাকতে ও সব তথ্য পেতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা ওয়ানপ্লাস কমিউনিটি গ্রুপে যোগ দিতে পারেন।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধায় তাঁতী লীগের এক নেতাকে কান ধরে উঠবোস করানোর ভিডিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নজরে আসে এই প্রতিবেদকের। ইংরেজিতে ‘এমডি সিরাজুল ইসলাম’ নামের ওই আইডিতে একদিন আগে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে বলে দেখা যায়।
তবে ঘটনাটি ঠিক কোন দিন বা সময়ের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিডিওতে কান ধরে উঠবোস করা ওই নেতার নাম ডিউক মিয়া। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলা তাঁতী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদক। তার বাড়ি একই উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্ব গোপালপুর (মিয়াপাড়া) গ্রামে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৪২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ডিউক মিয়াকে কোনো এক ব্যক্তির নির্দেশে কান ধরে উঠবোস করতে দেখা যায়। এ সময় একাধিক ব্যক্তির কণ্ঠ শোনা গেলেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
ভিডিওটিতে অজ্ঞাত যুবকের প্রশ্ন- ‘ভাই, তুমি আর আ.লীগ করব্যা (করবে)?
ডিউক উত্তরে বলেন- ‘না ভাই, আমি আর আ.লীগ করবো না।’
তারপর কয়েক সেকেন্ড কোনো কথা শোনা যায়নি।
এরপর ডিউককে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়- ‘কান ধরো, পশ্চিম মুখ হয়া (হয়ে)। মেলা (অনেক) জনেক তো (ব্যক্তিকে) ধর্যা (ধরে) দিছিলা আগে।’
উত্তরে ডিউক বলেন, ‘না ভাই, ধরে দেইনি।’
পরে ‘বসো’ বলে এই নেতাকে পেছন থেকে লাথি মারতে দেখা যায়। ভিডিওর শেষের দিকে তাকে আরও কয়েকটি লাথি মারতে দেখা যায়। ভিডিওর একেবারে শেষ অংশে দুই ব্যক্তির মুখ দেখা গেলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি নিউজবাংলা।
এ ঘটনায় ওই নেতার (ডিউক) বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ভিডিওতে কয়েক ব্যক্তির কথোপকথন থেকে ধারণা করা যায়, ডিউক মিয়াকে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার কারণে হেনস্থা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ফেসবুকে ডিউককে কান ধরে উঠবোস করানোর ভিডিওটি আমার চোখে পড়েনি। ডিউক পলাশবাড়ী উপজেলা তাঁতী লীগের পূর্বের কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।’
বিষয়টি নিয়ে তিনি আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:ভুয়া তথ্য নিয়ে বিরোধের কারণে ব্রাজিলে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এক্সের (সাবেক টুইটার) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তবে মোটা অঙ্কের জরিমানা দেয়ার পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
রায়ে ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস বলেন, ‘অবিলম্বে ব্রাজিলে এক্সের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অনুমতি দিতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এজন্য যোগাযোগ কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেয়া হলো।’
আল জাজিরার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানা দেয়ার পর আদালত এই রায় দিয়েছে।
তবে জরিমানার পরিমাণ ঠিক কত, তা প্রকাশ করা হয়নি।
এই রায়ের বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং স্বঘোষিত ‘বাক-স্বাধীনতা নিরঙ্কুশবাদী’ ইলন মাস্ক।
এর আগে ব্রাজিলে ভুয়া তথ্য প্রচারে অভিযুক্ত অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করতে এক্সকে নির্দেশ দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। তবে বাক-স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কারণ দেখিয়ে আদালতের রায় মানবেন না বলে জানিয়েছিলেন মাস্ক।
এমনকি আইনি লড়াইয়ের জন্য আদালতের দেয়া সময়সীমাও লঙ্ঘন করে সামাজিক প্ল্যাটফর্মটি। এরপর ব্রাজিলে এক্সের কার্যক্রম ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আদালত এক্স বন্ধের নির্দেশ দেয়ার পর বিচারপতি দে মোরায়েসকে ‘শয়তান স্বৈরশাসক’ আখ্যা দেন মাস্ক। সে সময় ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকদের প্রতিও সহানুভূতি প্রকাশ করেন তিনি।
২০২২ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে নির্বাচন সম্পর্কে যাচাইবিহীন তথ্য প্রচারের অভিযোগ ওঠে বলসোনারোর বিরুদ্ধে। এরপর ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি বলসোনারোর পরাজয় ঠেকাতে সামরিক অভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোর ওপর হামলা চালায় তার অনুসারীরা। পার্লামেন্ট, সুপ্রিম কোর্ট ও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢুকে ভাঙচুর করে তারা।
ওই ঘটনায় উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য বলসোনারোকে দায়ী করা হয় এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত তাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় অযোগ্য ঘোষণা করে দে মোরায়েসের আদালত। তার পর থেকে মাস্কের মতো তিনিও বিচারপতি দে মোরায়েসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছেন।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৪-এর বাংলাদেশ পর্বের ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
এ হ্যাকাথন শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলার পর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়।
গতকাল রাতে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।
টিমের সদস্যরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ রায়হান (টিম লিডার), ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের জাহাঙ্গীর হোসেইন ও ফারহান মাসুদ সোহাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি এবং ইউসুফ হাসান সিফাত।
গত ১০ বছর বিশ্বব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করা হয়।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
এবার বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন।
সর্বমোট ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে বাছাইকৃত শীর্ষ ৫০টি নিয়ে এআইইউবিতে এবং বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর দুই দিনব্যাপী নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য