অনিয়মে বেহাল হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় পাটকল। আপ্যায়ন ব্যয়ে নয়ছয়, বিধিবহির্ভূত সম্মানি ভাতা উত্তোলন, বৈদেশিক ভ্রমণ ভাতা বিল করে টাকা তুলে নেয়াসহ হয়েছে নানা অনিয়ম।
শুধু ছয় পাটকলই নয়, বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়েও আত্মসাৎ হয়েছে অর্থ। সবমিলিয়ে ৭৮ কোটি টাকার অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর।
সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় একটি ফসল। স্বাধীনতার সময় পাটই ছিল দেশের প্রধান রপ্তানি ফসল। পরে নানা প্রচেষ্টা এবং চক্রান্তে থমকে যায় পাটের অগ্রযাত্রা। নানা অনিয়মে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর উৎপাদন বাড়েনি। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে কার্যক্রম।
বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) মহাসচিব আবদুল বারিক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিজেএমসির দুর্নীতির কারণে পাটকলগুলো বন্ধ হয়েছে। চুরি করে খায়, সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল এমন অবস্থা। বিজেএমসির কারণে পাটশিল্পের আজ এ অবস্থা।’
তিনি বলেন, ‘এখন এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে প্রথমে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজন। যে মেশিনারিজ আছে সেগুলো অনেক পুরোনো। বিজেএমসির অনেক ঋণের সুদ মওকুফ করা হয়েছে। তেমনি পুরো পাট খাতে এ ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।’
আবদুল বারিক খান বলেন, ‘এ শিল্প বাঁচাতে হলে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বল্পসুদে ঋণ দিতে হবে। বিজিএমইএ গার্মেন্ট শিল্প রক্ষা করতে অনেক পলিসি সাপোর্ট দেয়। পাট খাতে এ ধরনের নীতি সহায়তা দিতে হবে।’
পাটকলে অনিয়ম
বাণিজ্যিক অডিট অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় পাট কলে ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে। এতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৮ কোটি ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩০ টাকা।
বিজিএমসির প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ জুট মিলস লিমিটেড, ইউএমসি জুট মিলস লিমিটেড, জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ, করিম জুট মিলস লিমিটেড, স্টার জুট মিলস লিমিটেড এবং হাফিজ জুট মিলস লিমিটেডে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে অডিট অধিদপ্তর।
বিজেএমসি কার্যালয়ে অনিয়ম
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন বা বিজেএমসি কার্যালয়ের অনিয়মে ৪০ লাখ ১০ হাজার টাকার আর্থিক ক্ষতি পেয়েছে অডিট অধিদপ্তর। আপ্যায়ন খাতে প্রকৃত খরচের বদলে বিল ভাউচার ছাড়া খরচ দেখানোর ফলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা।
তিনজন উপদেষ্টাকে বিধিবহির্ভূতভাবে একই সঙ্গে অবসর ভাতা এবং উপদেষ্টা হিসেবে সম্মানী ভাতা দেয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৯ লাখ ৩১ হাজার ৪২৯ টাকা। প্রাপ্যের চেয়ে অতিরিক্ত হারে বৈদেশিক ভ্রমণ ভাতা বিল দেয়ায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ ৩০ হাজার ৫২৭ টাকা।
সবচেয়ে বেশি অনিয়ম বাংলাদেশ জুট মিলসে
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের মধ্যে বড় অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলসে। চারটি খাতে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫২ কোটি ৭১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৭ টাকা।
অডিট অধিদপ্তর বলছে, মার্কেটিং ব্যবস্থাপনার গাফিলতির কারণে ক্রেতা সংগ্রহ না করার ফলে মজুদ বেড়ে যাওয়ায় আয় কম হয়েছে। ফলে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৩ টাকা। বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলোর কাছ থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের পাওনা আদায় না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির পরিমাণ ৬ কোটি ১২ লাখ ৬৬ হাজার ৫৬১ টাকা।
২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত বেতনের বিপরীতে প্রদত্ত অগ্রিম অনাদায়ী অবস্থায় রয়েছে ১৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬১৬ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন কেনার ক্ষেত্রে কেটে নেয়া ভ্যাট ও আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় দণ্ড সুদসহ সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ৯৩ লাখ ৫ হাজার ৮৫৭ টাকা।
ইউএমসি জুট মিলে টাকা পাননি সরবরাহকারীরা
রাষ্ট্রায়ত্ত ইউএমসি জুট মিলে ১১ কোটি ৭২ লাখ ৬৭ হাজার ৪১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি পেয়েছে বাণিজ্যিক নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, পাট বিভাগীয় প্রধান এস এ এইচ মনোয়ার আলী, চুরমুগুরিয়া কেন্দ্রের ইনচার্জ মোজাম্মেল হক, কামারপাড়া কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম এবং মিলের গোডাউন ইনচার্জ আরিফুল চালান জালিয়াতি করেছেন। বিভিন্ন পাট সরবরাহকারীর বিল পরিশোধ না করে তারা আত্মসাৎ করেছেন ২ কোটি ২৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯২ টাকা।
মিলে শ্রমিক হাজিরার বিপরীতে অতিরিক্ত শ্রমিকের মজুরি শোধ করায় ক্ষতি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া চালু তাঁতের বিপরীতে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বাজেট বরাদ্দ অপেক্ষা অতিরিক্ত ব্যয় করার ফলে প্রতিষ্ঠানের অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৮ টাকা।
বিজেএমসি নির্ধারিত হার অপেক্ষা অতিরিক্ত হারে বেলিং বাকেলস খরচ দেখানোর ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ১৪৮ টাকা।
জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্টিজে অনিয়ম
রাষ্ট্রায়ত্ত জুটো ফাইবার গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজে ১ কোটি ৪০ লাখ ৮৩ হাজার ১২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি পেয়েছে বাণিজ্যিক নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
ট্রেড ডেবটরস এবং অন্যান্য অগ্রিম বাবদ অর্থ দীর্ঘদিন অনাদায়ী অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৮৫ লাখ ৮১ হাজার ৩০৭ টাকা। বিভিন্ন অগ্রিম দীর্ঘদিন অনাদায়ী অবস্থায় পড়ে থাকায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৫ লাখ ১ হাজার ৮১৪ টাকা।
করিম জুট মিলে আর্থিক ক্ষতি
রাষ্ট্রায়ত্ত করিম জুট মিলস লিমিটেডে ২ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ৭৯৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি পেয়েছে বাণিজ্যিক নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
করিম জুট মিলে তিনটি পুকুর বা জলাশয় লিজ দিয়ে ভ্যাট না কাটায় সরকারের ক্ষতি ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকা।
কলতাপাড়া পাট ক্রয়কেন্দ্রের কেনা পাটের পরিমাণের চেয়ে কম পরিমাণ পাট মিলে গ্রহণ করায় হিসাবের গরমিল ৯৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬১৫ টাকা।
প্রাপ্যর অতিরিক্ত হারে বেলিং হুপস ও বেলিং বাকেলস খরচ করায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৭৩ হাজার ৪৩২ টাকা। সরবরাহকারী ও বিবিধ বিল থেকে কেটে নেয়া উৎসে আয়কর সরকারি কোষাগারে জমা না করায় রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫ টাকা।
অনুমোদনের বাইরে অতিরিক্ত হারে অধিকাল ভাতা দেয়ায় ক্ষতি হয়েছে ৩৯ লাখ ৮ হাজার ২৭ টাকা। এ ছাড়া শ্রমিক হাজিরায় অনুমোদনহীন কর্মচারী নিয়োজিত করায় নিরীক্ষা বর্ষেই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ১২ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৯ টাকা।
স্টার জুট মিলে আর্থিক ক্ষতি
রাষ্ট্রায়ত্ত স্টার জুট মিলস লিমিটেডে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪০ টাকার আর্থিক ক্ষতি পেয়েছে বাণিজ্যিক নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
চালু তাঁতে অনুমোদিত লোকবল অপেক্ষা অনিয়মিতভাবে মোট ৬ হাজার ২০৮ জন অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করায় এবং মজুরি দেয়ায় ক্ষতি হয়েছে ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা।
বিভিন্ন সরবরাহকারীর বিল ও বিবিধ থেকে কেটে রাখা আয়কর ও ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেয়ায় রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৪৮ লাখ ৩৬ হাজার ৮২৫ টাকা।
বাজেট বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও মিলের শ্রমিকদের অধিকার ভাতা স্বাভাবিক হাজিরা হিসেবে দেয়ায় মিলের ক্ষতি হয়েছে ৪৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৩৫ টাকা। বিপুল অঙ্কের ব্যাংক ঋণে পরিচালিত মিলের অর্থ থেকে পর্যাপ্ত অগ্রিম দেয়ার পর দীর্ঘদিনেও সমন্বয় না করায় সুদসহ আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০ টাকা।
হাফিজ জুট মিলে অনিয়ম
রাষ্ট্রায়ত্ত হাফিজ জুট মিল লিমিটেডে ১ কোটি ১৮ লাখ ২৬ হাজার ২০৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি পেয়েছে বাণিজ্যিক নিরীক্ষা অধিদপ্তর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা লঙ্ঘন করে বছরের পর বছর কেটে নেয়া ভ্যাট, উৎসে আয়কর ও রেভেনিউ স্ট্যাম্প বাবদ প্রাপ্ত সরকারি রাজস্ব কোষাগারে জমা না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ২৩ হাজার ৪৩ টাকা।
আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও বিজেএমসির পাটক্রয় নির্দেশনা পালনে ব্যর্থতায় খানখানাপুর পাটক্রয় কেন্দ্রে পাটের মানজনিত ও পরিমাণজনিত আর্থিক ক্ষতির জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দুই কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র সরকার ও সহকারী পাটক্রয় কর্মকর্তার কাছে পাওনা ১২ লাখ ৩ হাজার ১৬১ টাকা।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য