আড়াই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি নাটোরের কাঁচাগোল্লার খ্যাতি এখন আর দেশের সীমানার মধ্যে আবদ্ধ নেই। নাটোর নামের সঙ্গে প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে এ খাবার। দিন দিন এর কদর বাড়ছে।
কীভাবে এই বিশেষ ধরনের মিষ্টির রেসিপি বা রন্ধনকৌশল তৈরি হলো, সে সম্পর্কে কয়েকটি জনশ্রুতি চালু আছে।
একটি জনশ্রুতিতে বলা হয়: প্রায় আড়াই শ বছর আগে একদিন নাটোরের লালবাজারে মধুসূদন পালের মিষ্টির দোকানে কারিগর না আসায় দোকানে থাকা ছানা নিয়ে বিপাকে পড়েন দোকানি। ছানা রক্ষায় তিনি চিনির রস ঢেলে জাল দেন। চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিজেই তা খেয়ে পরীক্ষা করেন। চমৎকার স্বাদ পেয়ে নাম দেন কাঁচাগোল্লা।
অনেকে বলেন, নাটোরের রানি ভবানীর সময়ে কাঁচাগোল্লা তৈরি শুরু হয়। তবে নাটোরের ইতিহাসপ্রণেতা সমর পাল বলেন, ‘বলা হয়, রানি ভবানীর সময়ে মধুসূদন পাল কাঁচাগোল্লার উদ্ভাবক। আমার পূর্বপুরুষরা মূলত নাটোর শহরের প্রথম মিষ্টি ব্যবসায়ী। লালবাজার ও নিচাবাজারে আমাদের স্বজনরাই বিরাট জায়গাজুড়ে ব্যবসা করতেন। রানি ভবানী মারা যান ১৮০২ সালে, আর মধুসূদন পালের জন্ম ১৮৮৫ সালে। ফলে এই জনশ্রুতির সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।’
কাঁচাগোল্লা নিয়ে আরেকটি জনশ্রুতি হলো, নাটোর রাজের বড় তরফের রাজা গোবিন্দ্রনাথের স্ত্রী ব্রজসুন্দরীর দত্তকপুত্র মহারাজা জগদিন্দ্রনাথ রায় (১৮৬৮-১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দ) একটু খেয়ালি প্রকৃতির ছিলেন। এক রাতে মিষ্টি খাওয়ার বায়না ধরেন তিনি। ডাকা হয় রাজার মিষ্টি তৈরির কারিগরকে। কিন্তু এত রাতে কোথায় পাওয়া যাবে মিষ্টি? কীভাবেই বা মিষ্টি তৈরি হবে?
কারিগর নিজের বুদ্ধিতে গাভির দুধ সংগ্রহ করে ছানা তৈরি করলেন। এরপর কড়াইয়ে জল-চিনি মিশিয়ে উনুনে কিছুক্ষণ জ্বাল দিলেন। পরে তাতে ছানা ঢেলে দিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি হয়ে গেল সুস্বাদু এক নতুন মিষ্টি।
মহারাজা তা খেয়ে দারুণ খুশি। এমন স্বাদের মিষ্টির নাম জানতে চাইলেন তিনি। কোনো কিছু না ভেবেই কারিগর বললেন ‘কাঁচাগোল্লা’।
তবে কাঁচাগোল্লা নিয়ে কোনো গবেষণার কথা শোনা যায় না। এটি তৈরির সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত ছিলেন, সেসব কারিগরের উত্তরসূরিদের অধিকাংশই সাতচল্লিশে ‘দেশভাগের’ পর ভারতে চলে যান। তাই কাঁচাগোল্লার সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় না।
জনশ্রুতি যাই হোক, সুস্বাদু মিষ্টি হিসেবে সারা দেশে ও দেশের বাইরে নাটোরের কাঁচাগোল্লা এখনও বিখ্যাত। প্রস্তুতকারকদের দক্ষতার কারণে কাঁচাগোল্লার কদর এখনও অটুট। অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় কাঁচাগোল্লার বিক্রি বরাবরই বেশি।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা তৈরির কারিগর সমর চন্দ্র সরকার জানান, রাজারাজড়াদের আমল থেকেই কাঁচাগোল্লা সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। নামে কাঁচাগোল্লা হলেও এ মিষ্টির আকার গোল নয়। ছানা থেকে তৈরি এক ধরনের শুকনা মিষ্টি এটি।
কাঁচাগোল্লা তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে সমর চন্দ্র জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে নাটোর শহরের মিষ্টির দোকানগুলোর কারখানায় আসতে থাকে খাঁটি গরুর দুধ। শুরু হয় কাঁচাগোল্লা তৈরির প্রস্তুতি। চুলায় গনগনে আগুনের উত্তাপ ছড়াতে থাকে। সেই সঙ্গে বড় বড় কড়াই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দুধ ঢেলে জাল দেয়া শুরু হয়।
এক থেকে দেড় ঘণ্টা ফুটিয়ে দুধ ঘন করেন কারিগররা। এরপর জাল দেয়া দুধে ছানা তৈরির উপকরণ মিশ্রিত পানি মিশিয়ে নাড়াচাড়া করলেই তৈরি হয় ছানা। পরে গরম দুধ থেকে পানি ফেলে ছেকে নেয়া হয় ছানা।
এক মণ দুধ থেকে সাত থেকে সাড়ে সাত কেজি ছানা হয়। তারপর সেই ছানা চুলা থেকে নামিয়ে কাপড়ে পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। দিনভর ধীরে ধীরে ছানার পানি নেমে যায়। তারপর শুকনা অবস্থায় সেই ছানা নিয়ে মধ্যরাত থেকে শেষ পর্যায়ের কাঁচাগোল্লা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কারিগররা। ওজন দিয়ে প্রথমে হাত দিয়ে ছেনে ছানা মিহি করে নেন তারা।
তিন কেজি চিনি ও তরল দুধের সঙ্গে মিহি করা সাত কেজি ছানা আবারও গনগনে চুলায় জ্বাল দেয়া হয়। ১ কেজি কাঁচাগোল্লা তৈরি করতে প্রায় ১ কেজি কাঁচা ছানা ও ৪০০ গ্রাম চিনির প্রয়োজন হয়।
৪০ থেকে ৪৫ মিনিট জ্বাল দেবার পর তা চুলা থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করা হয়। কেউ কেউ কাঁচাগোল্লায় ছোট এলাচ ব্যবহার করেন। তবে বেশির ভাগ কারিগর মনে করেন, ছোট এলাচ দেবার ফলে প্রকৃত কাঁচা ছানার ঘ্রাণ ক্ষুণ্ন হয়। এভাবে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টার প্রক্রিয়া শেষে তৈরি হয় নাটোরের কাঁচাগোল্লা।
পরদিন সকাল থেকে তৈরীকৃত কাঁচাগোল্লা বিক্রির জন্য নেয়া হয় মিষ্টির দোকানে। দিন দিন বাড়ছে কাঁচাগোল্লা বিক্রির পরিমাণ। প্রতি কেজির দাম সাড়ে চার শ থেকে ৫০০ টাকা। নাটোরে আসা বিভিন্ন জেলার মানুষ ও পর্যটকরা কিনে নিয়ে যান কাঁচাগোল্লা।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসিবুল হাসান শান্ত জানান, বর্তমানে সব অনুষ্ঠানে কাঁচাগোল্লা দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। তারা সময় পেলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বেরিয়ে পড়েন কাঁচাগোল্লা খেতে।
এ ছাড়া নাটোরে বেড়াতে আসা আদিত্য অন্তর জানান, নাটোরের কাঁচাগোল্লার কথা বই পুস্তকে পড়েছেন। নাটোর এসে তিনি এই মিষ্টি খেয়েছেন, যার স্বাদ অতুলনীয়।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, নাটোরের কাঁচাগোল্লার একটি ঐতিহাসিক সুনাম আছে। এর সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা অব্যাহত আছে। মাঝে মাঝে ভেজালবিরোধী অভিযান চালানো হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রায়ই মতবিনিময় সভা করা হয়।
নাটোর শহরে কাঁচাগোল্লার বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোকান আছে। ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে আছে লালবাজারের জয়কালীবাড়ি দোকান, শহরের মৌচাক মিষ্টান্ন ভাণ্ডার ও আদি নিমতলা মিষ্টান্ন ভাণ্ডার এবং শিলা মিষ্টি বাড়িসহ আরও ছোট বড় কয়েকটি দোকান।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেলের জালে এবার ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ।
পরে সেই মাছটি কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়।
কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারের ‘কুয়াকাটা ফিস পয়েন্টের’ পরিচালক নাসির উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছটি কেনেন।
তিনি বলেন, ‘সাগর মোহনায় সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আজ দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই।’
স্থানীয় জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার কুয়াকাটার বাবলাতলা এলাকার জেলে রাসেল ‘মায়ের দোয়া’ নামের তার ট্রলারটি নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে রওনা হন। পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় রাত ২টার দিকে রাসেলের জালে এ বিশাল কোরাল মাছটি ধরা পড়ে।
রাসেল বলেন, ‘তীব্র তাপদাহ শুরুর পর থেকে সাগরে মাছ পড়ে না। ভাগ্য সহায় বলে এত বড় মাছ আল্লাহ দিয়েছেন। মাছটি তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা মাছটি ক্রয় করতে চেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি করেছি।’
জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরে বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। সব সময় বড় মাছ ধরা পড়ছে না। সামুদ্রিক কোরাল এর চেয়েও অনেক বড় হয়।
সরকারের দেয়া ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার সফল কার্যক্রমের কারণেই এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখার ভোল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে আটক করেছে পুলিশ।
অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক তিনজন হলেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী। তাদের তিনজনেরই বাড়ি পাবনা জেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী।
আরও আসছে…
আরও পড়ুন:
কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আয়ুব ও তার লোকজন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷
এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’
থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’
টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।
মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানাধীন সাজেকে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।
এর আগে বিকেলে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জনের মৃত্যু হয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।
অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।
এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে রুহুল আমিন নামে এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। বাবার নাম কোরবান আলী।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মধ্যে ট্রাক পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার অফিস কক্ষে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল আমিন। সহকর্মীরা তাকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মারা যান। হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন যে তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়েছিলেন।
তবে তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অন্য কোনো রোগেও তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতে পারে।
মন্তব্য