টিকে থাকার প্রয়োজনে জীবের বংশবৃদ্ধি আবশ্যিক প্রাকৃতিক ঘটনা। তবে এই প্রথম জৈবিক প্রজননে সক্ষম রোবট উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এই জীবন্ত রোবট ক্রমাগত তৈরি করতে পারে নিজের প্রতিলিপি।
যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানীর তৈরি রোবট এক ধরনের জেনোবট (জীবন্ত রোবট) । তবে রোবট বলতে প্রচলিত অর্থে আমরা যা বুঝি এই জেনোবট ঠিক তেমন নয়। সুপার কম্পিউটারের ডিজাইন অনুসারে জৈবিক বংশবিস্তারের এক নতুন কৌশল কাজে লাগানো হয়েছে এ ক্ষেত্রে।
গবেষণাগারে এই ডিজাইন মেনে বিশেষ এক ধরনের ব্যাঙের কোষ নতুন ধরনের প্রাণ তৈরি করেছে। অতি ক্ষুদ্র এই জীবসত্তা (অর্গানিজম) ক্ষুদ্র থালায় সাঁতার কাটতে পারে, নতুন একক কোষ খুঁজে বের করতে পারে ও এক সঙ্গে শত শত একত্রিত হতে সক্ষম।
এক মিলিমিটারের চেয়েও ছোট (০.০৪ ইঞ্চি) জেনোবটগুলো শিশু জেনোবট তৈরি করতে পারে। এসব শিশু জেনোবট এরপর আবার নতুন কোষ খুঁজে বের করে নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই জেনোবট সনাতনি ধরনের রোবট যেমন নয়, তেমনি আবার কোনো প্রচলিত প্রাণীও নয়। কম্পিউটারে তৈরি ডিজাইন অনুসারে এটি কাজ করে এবং অতিক্ষুদ্র এই জীবসত্তার মাধ্যমে আগামীতে মানবদেহের অভ্যন্তরে ওষুধ পরিবহন সম্ভব।
গবেষণা দলের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ভারমন্টের (ইউভিএম) কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও রোবটিকস বিশেষজ্ঞ জশুয়া বোনগার্ড বলেন, ‘সঠিক ডিজাইন করা গেলে জেনোবটগুলো নিজে থেকেই নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করবে।’
তাদের গবেষণার ফল গত ২৯ নভেম্বর প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে।
জেনোবট তৈরিতে বেছে নেয়া হয়েছে আফ্রিকান ব্যাঙের প্রজাতি জেনোপাস লিভিসের বিশেষ ধরনের কোষ। এই ভ্রূণ কোষগুলো পরে ব্যাঙের ত্বকে পরিণত হয়।
গবেষণা দলের আরেক সদস্য ম্যাসাচুসেটসের টাফটস ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল লেভিন বলেন, ‘বিশেষ ভ্রূণকোষগুলো ব্যাঙাচি জন্মের ত্বক আবরণ তৈরি করে। এই কোষ শ্লেষাজাতীয় পদার্থের নিঃসরণ ঘটিয়ে ব্যাঙকে রোগজীবাণুর হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। তবে ল্যাবরেটরিতে আমরা এদের নতুন একটি পরিস্থিতিতে রেখেছি। এগুলোর বহুকোষী বৈশিষ্ট্যকে নতুন ভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি করেছি। এর ফলে কোষগুলো নতুন যা তৈরি করছে তা ত্বক থেকে একেবারে আলাদা।’
গবেষক দলের সদস্য টাফটস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ডগলাস ব্ল্যাকিস্টন বলেন, ‘এতদিন মানুষের ধারণা ছিল, জীবনের বিস্তার বা বংশবৃদ্ধি কীভাবে ঘটে সে বিষয়ক সব রহস্য ভেদ করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই পরীক্ষা এমন কিছু পাওয়া গেছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি।’
বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে গবেষক দলটি। অধ্যাপক মাইকেল লেভিন বলেন, ‘এই কোষগুলোতে ব্যাঙের জিনোম রয়েছে, কিন্তু এরা ব্যাঙাচিতে পরিণতা হওয়ার দায়িত্ব থেকে মুক্ত। ফলে এরা যৌথ বুদ্ধিমত্তা, নমনীয়তা প্রয়োগ করে অবাক করার মতো অনেক কিছু ঘটাতে সক্ষম।’
গবেষণায় দেখা গেছে, কম্পিউটারে ডিজাইন করা কোষগুলো নিজে থেকেই নিজের প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে।
গবেষণা দলের প্রধান স্যাম ক্রিগম্যান বলেন, ‘ব্যাঙের এই কোষগুলো নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করছে এক দম আলাদা পদ্ধতিতে। ব্যাঙের দেহে সাধারণভাবে প্রতিলিপি তৈরির চেয়ে এই প্রক্রিয়া একেবারে ভিন্ন।’
জেনোবটের জনক কোষ নিজে থেকেই ৩ হাজার কোষের সমন্বয় ঘটিয়ে একটি বৃত্ত তৈরি করে।
ক্রিগম্যান বলেন, ‘এগুলো সন্তান তৈরি করতে পারে, কিন্তু এর পরই প্রক্রিয়াটির অবসান ঘটে। এই প্রক্রিয়াটি অব্যাহত রাখার পদ্ধতিটি খুবই জটিল।’
জেনোবটের আকৃতি তৈরির জন্য গবেষণায় ডিপ গ্রিন সুপার কম্পিউটারে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) প্রোগ্রামের নতুন ধরনের এলগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে। কোন আকৃতি বংশবিস্তারের জন্য উপযোগী সেটি জানতে ত্রিভূজ, চতুষ্কোণ, পিরামিড বা তারকাকৃতি তৈরি করা হয়েছে।
ক্রিগম্যান বলেন, ‘আমরা কম্পিউটারকে বলেছিলাম, জনকের আকৃতি ঠিক করতে। এআই কয়েক মাস চেষ্টার পর কয়েকটি অদ্ভূত ধরনের আকৃতি তৈরি করে, যার একটি দেখতে প্যাক-ম্যানের (ভিডিও গেইম চরিত্র) মতো। এটা সে সজ্ঞানে করেনি। এরপর ওই জনক থেকে সন্তান তৈরি হলো। তাদের থেকে আবার সন্তান ও তাদের থেকে আবারও। এক কথায় সঠিক ডিজাইনের কারণে বংশবিস্তার কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত চলেছে।’
বোনগার্ড বলেন, ‘আমরা আবিষ্কার করেছিম অর্গানিজম বা কোনো কোষীয় জীবন ব্যবস্থার মধ্যে এমন সব জায়গা রয়েছে যার সম্বন্ধে আমরা জানতাম না। এর আগে আমরা হাঁটতে পারে এমন রোবট পেয়েছি। সাঁতরাতে পারে এমন রোবট পেয়েছি। আর এই গবেষণায় পেলাম এমন কিছু জেনোবট যারা নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করতে পারে।’
নতুন জেনোবটের সম্ভাবনা নিয়ে বোনগার্ড বলেন, ‘নতুন ওষুধ তৈরি করা বা পানি থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক পরিষ্কার করার কাজে এ যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করা যাবে। আমরা চাই যে হারে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, ঠিক একই হারে প্রযুক্তিগত সমাধান খুঁজে বের করতে।’
আরও পড়ুন:পদার্থবিজ্ঞানে এবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির গবেষক জন জে. হপফিল্ড ও কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির গবেষক জেফরি ই. হিন্টন।
সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কৃত্রিম স্নায়বিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করা মৌলিক আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য ২০২৪ সালের নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে জন জে. হপফিল্ড ও জেফরি ই. হিন্টনকে।
এতে উল্লেখ করা হয়, হপফিল্ড একটি কাঠামো নির্মাণ করেন, যেটি তথ্য মজুত ও পুনর্নির্মাণ করতে পারে। অন্যদিকে হিন্টন এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন, যা ডেটাতে স্বতন্ত্রভাবে প্রোপার্টি আবিষ্কার করতে পারে। বর্তমানে ব্যবহৃত বৃহদাকার স্নায়বিক নেটওয়ার্কের জন্য এ উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ।
পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে ১৯০১ সাল থেকে। আজকের আগে ১১৭ জন এ পুরস্কার পান।
এ শাস্ত্রে সবচেয়ে কম ২৫ বছর বয়সে নোবেল পান লরেন্স ব্র্যাগ, যিনি ১৯১৫ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। সবচেয়ে বেশি ৯৬ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পান আর্থার অ্যাশকিন। তিনি ২০১৮ সালে পুরস্কারটি পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার।
সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিট) পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করবে রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি।
পুরস্কার ঘোষণার সব তথ্য নোবেলপ্রাইজ নামের ওয়েবসাইটে গিয়ে সরাসরি দেখা যাবে। এ বছরের নোবেল পুরস্কারের সমস্ত ঘোষণা nobelprize.org ও নোবেল পুরস্কার কমিটির ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
প্রথা অনুযায়ী অক্টোবরের প্রথম সোমবার হিসেবে এবার ৭ অক্টোবর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
যৌথভাবে ২০২৪ সালের চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল পুরস্কার জিতে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকান।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নোবেল কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি ‘মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার এবং পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকার জন্য’ ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রাভকানকে সোমবার চিকিৎসা বা ওষুধশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার-২০২৪ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
১৯০১ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান জার্মানির নাগরিক ভিলহেল্ম কনরাড রন্টগেন। এক্সরে বা রঞ্জন রশ্মি আবিষ্কার এবং এবং এ ধরনের রশ্মির যথোপযুক্ত ব্যবহারিক প্রয়োগে সফলতা অর্জনের জন্য তিনি এ পুরস্কার পান।
আরও পড়ুন:চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাভকুন। দুজনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
মাইক্রোআরএনএ আবিষ্কার ও জিন নিয়ন্ত্রণে এর ট্রান্সক্রিপশন-পরবর্তী ভূমিকাবিষয়ক গবেষণার জন্য তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এই আবিষ্কার কোনো প্রাণীর দেহ গঠন ও কীভাবে কাজ করে তা বুঝতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোমে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস।
ভিক্টর অ্যাবব্রোস ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৯ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
এছাড়া ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত একই প্রতিষ্ঠানে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, ম্যাসাচুয়েটসের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেটস মেডিক্যাল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাচারাল সায়েন্সের প্রফেসর হিসেবে কাজ করছেন।
নোবেল জয়ী গ্যারি রাভকুন ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতাল এবং হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের প্রধান গবেষক হন। বর্তমানে তিনি এখানেই জেনেটিকসের প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চিকিৎসাশাস্ত্রে গত বছর নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন ক্যাথলিন কারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। এমআরএন করোনা টিকা আবিষ্কারের জন্য তাদেরকে পুরস্কার দেয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ‘নোবেল’, যা ১৯০১ সাল থেকে দেয়া হয়ে আসছে। এ পুরস্কারটির নামকরণ করা হয়েছে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামানুসারে।
উনবিংশ শতকে এই বিজ্ঞানী শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিনামাইট আবিষ্কার করে বিপুল অর্থের মালিক হন। তিনি উইল করে যান যে তার যাবতীয় অর্থ থেকে যেন প্রতি বছর পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্য এই পাঁচটি খাতে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পাঁচ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত হয় অর্থনীতিও।
আরও পড়ুন:নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২৪-এর বাংলাদেশ পর্বের ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
এ হ্যাকাথন শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে একটানা ৩৬ ঘণ্টা চলার পর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয়।
গতকাল রাতে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে শুরু হওয়া নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ‘কোয়ান্টাম ভয়েজার্স’ তাদের গৌরবগাঁথা সাফল্য রচনা করে।
টিমের সদস্যরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের নাহিদ রায়হান (টিম লিডার), ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের জাহাঙ্গীর হোসেইন ও ফারহান মাসুদ সোহাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মুয়াম্মার তাজওয়ার আসফি এবং ইউসুফ হাসান সিফাত।
গত ১০ বছর বিশ্বব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করা হয়।
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়।
এবার বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশ নেন।
সর্বমোট ৫০০টি প্রকল্পের মধ্যে হাইব্রিড মডেলে বাছাইকৃত শীর্ষ ৫০টি নিয়ে এআইইউবিতে এবং বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪-এর দুই দিনব্যাপী নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন।
আরও পড়ুন:তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি এআই∞ (Infinix AI∞) চালু করেছে ট্রেন্ডি টেক ব্যান্ড ইনফিনিক্স।
এটি পরবর্তী প্রজন্মের এআই সল্যুশনস, যার কেন্দ্রবিন্দু হলো ফোলাক্স, যা আধুনিক ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করে।
ফোলাক্সটি জিপিটি-৪০, জেমিনি এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে ইনফিনিক্স-এর নিজস্ব এআই মডেল দিয়ে চালিত।
ইনফিনিক্সের এ উদ্ভাবন তরুণদের মধ্যে নতুন একটি ট্রেন্ডের শুরু করতে যাচ্ছে, যা তাদের জীবনকে সহজ ও উন্নত করবে।
টেক্সট, ভয়েস বা ইমেজ ইনপুটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইনফিনিক্স এআই∞-এর মাধ্যমে একটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা উপভোগ করেন, যেখানে রিয়েল-টাইম ফিডব্যাক এবং ব্যক্তিগত সুপারিশ পাওয়া যায়। এটি বুদ্ধিমান সৃজনশীল সহকারীর কাজ করে, যা নিত্যদিনের কাজকে আরও সহজ, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে মানুষের উৎপাদনশীলতাকে বাড়িয়ে দেবে।
ইনফিনিক্স এআই∞-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো লাইভ টেক্সটস, যা ছবি এবং নথি থেকে মুহূর্তের মধ্যেই তথ্য নেয় এবং সেটিকে ছোট করে। শিক্ষার্থী, প্রফেশনালস এবং গবেষকদের জন্য নতুন এ প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লাইভ টেক্সটস∞ ডেটাকে দ্রুত ও সংক্ষিপ্ত করে, যা ডেটা পুনরুদ্ধারকে আরও কার্যকর এবং দক্ষ করে তুলবে।
যারা সৃজনশীল কাজ করতে চান, তাদের জন্য আছে এআই ম্যাজিক ক্রিয়েট∞ টুল, যা ব্যবহারকারীর ধারণাকে সহজেই বাস্তবে রূপান্তর করতে সহায়তা করে। বিশেষ এ টুল আইডিয়া জেনারেশন এবং সেটি পরিমার্জনের প্রক্রিয়াও নির্দেশ করতে পারে। পাশাপাশি ম্যাজিক ক্রিয়েটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস, স্টোরি, পোস্ট, ভিডিও বা ছবির ক্যাপশন তৈরিতে সহায়তা নেয়া যাবে।
অন্যদিকে যারা ভ্রমণপিপাসু এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর, তাদের জন্য ভিজ্যুয়াল লুক আপ∞ ফিচারটি একটি আদর্শ গাইডলাইন, যেখানে বিভিন্ন নিদর্শনের ছবি, দিক নির্দেশনা, ইতিহাস, সংস্কৃতি বা বিভিন্ন সাইট সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেয়া থাকে।
ইনফিনিক্স এআই∞ নিত্যদিনের কাজ সহজ করতে অ্যাডভান্স কিছু ফিচারও সাজেস্ট করে। যেমন: এআই ওয়ালপেপার, যা ব্যবহারকারীর সাংস্কৃতিক এবং আঞ্চলিক পছন্দগুলোর সঙ্গে খাপ খায়।
এ ছাড়া এআই ইরেজার ও স্মার্ট কাটআউটের মতো টুল ইমেজ এডিটিংকে আরও উন্নত করে। এআই স্কেচ ব্যবহার করে কঠিন সব ধারণাকে পলিশ ডিজাইনে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। আরও আছে স্মার্ট সার্চ, যা দ্রুত ও প্রয়োজনীয় ভাষায় খুঁজে বের করার সুযোগ দেয় এবং মোবাইল ডেটা ও ব্যালেন্স অনুসন্ধানও করতে সাহায্য করে।
ইনফিনিক্সের এআই∞ উদ্ভাবন স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। প্রযুক্তিটি অ্যাপ, ক্লাউড পরিষেবা এবং ভয়েস রিকগনিশনকে একত্রিত করে একটি ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম তৈরি করেছে, যা প্রতিটি মিথস্ক্রিয়ার সঙ্গে বিকাশ লাভ করে এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে।
তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে হাজারের বেশি পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে উন্নত হওয়া টুলটি ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী রিয়েল টাইমে ব্যক্তিগত ফিডব্যাকও দেয়।
ইনফিনিক্স এআইয়ের ব্যবস্থাপক তুয়ানওয়ে শি বলেন, ‘ইনফিনিক্স এআই∞ প্রথমবারের মতো ১০০টির বেশি ভাষাকে সমর্থন করছে, যা আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার মতো অঞ্চলে ভাষা ও কমিউনিকেশনের ফাঁক রোধ করবে। এ উদ্ভাবনী এআই প্রযুক্তি সৃজনশীলতা, উৎপাদনশীলতা এবং বৈশ্বিক সংযোগকে এক জায়গায় এনেছে।’
ট্রান্সফরমার প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই টুল যেকোনো প্রসঙ্গ বোঝা এবং ব্যক্তিগত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর। উন্নত প্রশিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে এটি দ্রুত এবং সঠিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে। পাশাপাশি কর্মক্ষমতাকে অপ্টিমাইজ করে।
ফোলাক্সের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোর সাহায্যে এটি স্মার্টফোন এআইতে নতুন একটি মান স্থাপন করছে এবং দক্ষ ও উচ্চ স্তরের কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করছে।
আরও পড়ুন:পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এজন্য শনিবার রাত ২টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন বা ধীরগতি দেখা দিতে পারে।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের সি-মি-উই-৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এসময় সি-মি-উই সাবমেরিন ক্যাবলসের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইথড পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে সি-মি-উই-৪ সাবমেরিন ক্যাবলসের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
বাংলাদেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে নোট ৪০ সিরিজের নতুন স্মার্টফোন ‘নোট ৪০এস’ উন্মোচন করেছে ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে ও ওয়্যারলেস চার্জিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্যের স্মার্টফোনটিতে ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা পাবেন বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইনফিনিক্সের ভাষ্য, নোট ৪০এস স্মার্টফোনটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তরুণ, টেক-স্যাভি ব্যবহারকারী এবং পেশাদারদাররা পাবেন টপ-নচ পারফরম্যান্স ও সুবিধা।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস মডেলটিতে রয়েছে উজ্জ্বল ৬.৭৮-ইঞ্চি থ্রিডি কার্ভড অ্যামলয়েড ডিসপ্লে। ডিসপ্লের ফ্ল্যাগশিপ স্তরের থ্রিডি কার্ভড এজগুলো নান্দনিক আকর্ষণ সৃষ্টি করে, পাশাপাশি এটি ত্রিমাত্রিক দেখার অভিজ্ঞতা দেবে। স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের রেজুলেশন ২৪৩৬*১০৮০ পিক্সেল এবং এতে রয়েছে ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটসহ আল্ট্রা ক্লিয়ার ভিজুয়ালস এবং ফ্লুইড অ্যানিমেশন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হতে পারে ভালো বিকল্প। ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এবং ডিভাইস ব্যবহারের সময় চোখের আরামের জন্য নীল রশ্মি নির্গমনের ফিচারও যুক্ত করা হয়েছে।
ডিভাইসটিতে আছে ২০ ওয়াট ওয়্যারলেস ম্যাগচার্জ এবং ৩৩ ওয়াট অলরাউন্ড ফাস্টচার্জ ২.০। এটি ম্যাগ পাওয়ার এবং ম্যাগ প্যাড ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেমের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ব্যবহারকারীরা একই সঙ্গে দ্রুত ও সুবিধাজনক চার্জিং প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস-এর প্রধান আকর্ষণ ব্যাটারি লাইফ। ডিভাইসটিতে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি রয়েছে, যা একবার ফুল চার্জে দিনভর ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। ম্যাগচার্জারে ব্যবহারকারীরা ঘরে বা বাইরে ডিভাইসটিকে দ্রুত চার্জ করার সুবিধা পাবেন।
ফটোগ্রাফি, রিলস, ভিডিওতে জেন-জিদের রয়েছে বিশেষ আকর্ষণ। তাদের কথা মাথায় রেখে ইনফিনিক্স নোট ৪০এস ডিভাইসটির ক্যামেরা ফিচারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে, যা নির্বিঘ্নে তাদের সব চাহিদা পূরণ করতে পারে।
ফোনটির প্রধান ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেলের। এ ছাড়াও রয়েছে একটি ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স এবং ৩২ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা, যা দিয়ে ঝকঝকে নিখুঁত সেলফি তোলা সম্ভব। একই সঙ্গে এতে আছে সুপার নাইট, স্লো মোশন এবং টাইম-ল্যাপসের মতো দরকারি সব মোড, যার সাহায্যে ব্যবহারকারীরা কম আলোতে দিনে বা রাতে যেকোনো পরিবেশে অসাধারণ ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে পারবেন।
ইনফিনিক্স নোট ৪০এস স্মার্টফোনটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে দেয়া হয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৯ চিপসেট, যা মাল্টিটাস্কিং এবং এটি উচ্চ-গতির কর্মক্ষমতার জন্য অপ্টিমাইজ করা। এটি সারা দিন ল্যাগমুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করে।
ডিভাইসটিতে আছে ৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ। নতুন স্মার্টফোনে ইনফিনিক্সের সবশেষ এক্সওএস ১৪ স্কিনের সাথে অ্যান্ড্রয়েড ১৪ এর সমন্বয় থাকায় ব্যবহারকারীরা কাস্টমাইজযোগ্য ইন্টারফেসের সুবিধা পাবেন। ডিভাইসটিতে আছে ইন-ডিসপ্লে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এবং আইপি ৫৪ ধুলোবালি ও স্প্ল্যাশ প্রতিরোধের মতো বৈশিষ্ট্য, যা এটিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সুরক্ষিত এবং টেকসই করে তোলে।
অবসিডিয়ান ব্ল্যাক এবং ভিনটেজ গ্রিন—এ দুটি রঙে স্মার্টফোনটি বাজারে এসেছে, যার মূল্য মাত্র ২৬ হাজার ৯৯৯ টাকা। বাজেট ফ্রেন্ডলি ফোনটি ব্যবহারকারীদের একটি প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করছে ইনফিনিক্স।
সারা দেশের যেকোনো অফিশিয়াল স্টোর থেকে গ্রাহকরা ইনফিনিক্স নোট ৪০এস স্মার্টফোনটি কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য