× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Will Vikarunnisa not work without this principal High Court
google_news print-icon

এ অধ্যক্ষ ছাড়া কি ভিকারুননিসা চলবে না: হাইকোর্ট

এ-অধ্যক্ষ-ছাড়া-কি-ভিকারুননিসা-চলবে-না-হাইকোর্ট
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। ফাইল ছবি
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিষয়ে বিচারপতিদের একজন বলেন, ‘তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না।’

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ছাড়া প্রতিষ্ঠান চলবে কি না, সে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট।

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের আইনজীবীর উদ্দেশে মঙ্গলবার এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিচারপতিদের একজন বলেন, ‘তিনি এমন কোনো লোক না যে তাকে ছাড়া ভিকারুননিসা চলবে না। এসব কথা কোর্টে এসে বলবেন না।’

পরে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

এটাই শেষ সময় উল্লেখ করে আদালত বলেছে, ‘এরপর আর কোনো সময় দেয়া হবে না।’

মামলার শুনানির সময় রিটকারী আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল আদালতে বলেন, ‘আদালতের আদেশের পরেও দীর্ঘ সময় নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘উনি (কামরুন্নাহার) অধ্যক্ষ পদে থাকা অবস্থায় তদন্ত হলে তা ঠিকমতো হবে না। উনার বিপক্ষে কেউ রিপোর্ট দেবে না। তাই রিপোর্ট দাখিলের আগ পর্যন্ত কামরুন নাহারকে অধ্যক্ষ পদ থেকে বিরত রাখার আদেশ দেন। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি যাতে দ্রুত রিপোর্ট দাখিল করে সে নির্দেশ দেন।’

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ‘এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়।’

একই দাবি করেন অধ্যক্ষের আইনজীবী মুশফিক উদ্দিন বখতিয়ারও।

তিনি বলেন, ‘মাই লর্ড, রিট তো চলে না প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে একটা সিন্ডিকেটও আছে। কামরুন নাহার একজন বিসিএস ক্যাডার। তিনি একটি কলেজের অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এখানে থাকতে চান না। তাকে জোর করে ভিকারুননিসায় আনা হয়েছে।’

তখন আদালত বলে, ‘উনাকে ছাড়া কি ভিকারুননিসা চলবে না?’

পরে আদালত ৩১ জানুয়ারি এই রিটের পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়।

গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরামের নেতার ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট করেন দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।

এ রিটের শুনানির সময় গত ৯ আগস্ট আদালত বলেছিল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা সত্যি হয়ে থাকলে অবশ্যই নিন্দনীয়। এটা অপ্রত্যাশিত। তার মুখ থেকে এ ধরনের ভাষা আশা করা যায় না।

এরপর ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপর দুই দফায় সময় দিলেও রিপোর্ট জমা হয়নি।

অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

আরও পড়ুন:
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের পদত্যাগ দাবি
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ: রিপোর্ট দাখিলে বাড়ল সময়
অধ্যক্ষের মুখে এমন শব্দ অপ্রত্যাশিত: হাইকোর্ট
ভিকারুননিসায় ‘ব্যয় মানেই অনিয়ম’
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের অডিওর ফরেনসিক চান সুমন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Kubi Teachers Association announces 7 day class boycott if demands are not met

দাবি না মানায় ৭ দিন ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

দাবি না মানায় ৭ দিন ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির সোমবার জরুরি সাধারণ সভা শেষে কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। ছবি: নিউজবাংলা
কুবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক। এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।’

সাত দফা দাবি না মানায় আবারও সেমিস্টার পরীক্ষা ব্যতীত সাত কর্মদিবসের জন্য সকল শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

সোমবার জরুরি সাধারণ সভা শেষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের একটি সাংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের আগের যে দাবিগুলো ছিল, সেগুলো উপাচার্য মানেননি। তাই আমরা আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল (১৯ মার্চ) থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করছি।’

এই ক্লাস বর্জন প্রক্রিয়ায় মিডটার্ম, অ্যাসাইনমেন্ট- এগুলো অন্তর্ভুক্ত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চূড়ান্ত পরীক্ষা (সেমিস্টার) হবে, তবে বাকি মিডটার্ম বা প্রেজেন্টেশন অ্যাসাইনমেন্ট- সকল বিষয়ই এর অন্তর্ভুক্ত।’

এদিন দুপুরের পর শিক্ষক লাউঞ্জে জরুরি সাধারণ সভা ডাকে শিক্ষক সমিতি। সভা শেষে সমিতির আগে নেয়া সিদ্ধান্ত এবং দাবি-দাওয়ার বিষয় কথা বলতে উপাচার্য দপ্তরে যান তারা। উপাচার্যের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তার দপ্তর থেকে ক্ষুব্ধ অবস্থায় বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সমিতির নেতাদের। সেখান থেকে আসার পর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আহ্বান করে সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংকট দেখছেন না বলছেন৷ উনি বলছেন, এই সংকট শিক্ষক সমিতির, উনার নয়। আমাদের আগের যে সিদ্ধান্ত এবং দাবিসমূহ নিয়ে একটি চিঠি তাকে দিয়েছিলাম, সেটি তিনি পড়েও দেখেননি। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সংকটে হস্তক্ষেপ করুক। এই প্রশাসন থেকে আমরা আর এই সংকটের সমাধান পাবো বলে আশ্বাস রাখতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে কুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমি উনাদের বলেছি যে, বিষয়গুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কথা বলতে, কিন্তু উনারা আমার রুমে এসে নিজেরা নিজেরা গোলযোগ করেন। কথা বলার কোনো পরিবেশ রাখেন না তারা।

‘তাদের বলেছি, আপনাদের আইনসিদ্ধ যেকোনো দাবি অবশ্যই কার্যকর করব। শুধু শুধু শিক্ষার্থীদের জিম্মি করবেন না।’

এর আগে, গত ১২ মার্চ জরুরি ভিত্তিতে ডাকা এক সাধারণ সভায় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি ও তিন সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবিগুলো হলো-

১. গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সবার সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিত করা এবং হামলায় মদদদানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ।

২. শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ অবমুক্ত করা।

৩. অধ্যাপক গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা।

৪. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহের ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসব বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তাদের প্রত্যাহার করা।

৫. শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইনবহির্ভূত ও অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে, দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ।

৬. ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে আগের নীতিমালা বহাল রাখা।

৭. ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

আরও পড়ুন:
কুবি ভিসির নামে আবারও ভুয়া অ্যাকাউন্ট
৭ দাবি বাস্তবায়নে ক্লাস বর্জন কুবি শিক্ষক সমিতির
কুবিতে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত, উপাচার্যকে ‘ডাস্টবিন’ বললেন শিক্ষক সমিতির সম্পাদক
আগে ফুল দেয়া নিয়ে শহীদ মিনারে কুবি শিক্ষকদের হট্টগোল
কুবি শিক্ষক সমিতির নতুন সভাপতি তাহের, সম্পাদক মেহেদী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The third phase exam for the recruitment of assistant teachers is on March 29

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ

সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা ২৯ মার্চ ফাইল ছবি।
প্রার্থীদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে। প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ মার্চ, শুক্রবার। এই ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আবেদনকারীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আবেদনকারী প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলায় ২৯ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লিখিত মোবাইল নম্বরে যথাসময়ে ০১৫৫২-১৪৬০৫৬ নম্বর থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের এসএমএস পাঠানো হবে।

তৃতীয় ধাপের এই পরীক্ষার জন্য প্রার্থীরা ২৩ মার্চ থেকে এসএসসির রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে রঙিন প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদেরকে অবশ্যই ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (মূল এনআইডি/স্মার্ট কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেক্ট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস, জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) ব্যতীত কোনো ধরনের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড অথবা অন্য কোনো কার্ড বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jabirs new proctor is Alamgir Kabir

জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর

জাবির নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আলমকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। এর পরিপ্রেক্ষিতে আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে সাময়িকভাবে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে চলতি বছরের ১৮ মার্চ অপরাহ্ন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।’

নতুন দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। তিনি বলেন, ‘আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরণে আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব।’

প্রসঙ্গত, ১১ মার্চ থেকে ৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ’। ১৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আলমকে ১৭ মার্চের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। পরে উপাচার্য ১৮ মার্চ অব্যাহতি দেয়ার আশ্বাস দিলে নতুন প্রশাসনিক ভবনের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন:
প্রক্টর প্রভোস্টকে অব্যাহতির আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ স্থগিত
প্রক্টর-প্রভোস্টের অব্যাহতিসহ পাঁচ দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
প্রক্টরের অপসারণসহ ৫ দফা দাবি জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The committee wants information about the involvement of Deen Islam in Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুতে দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তথ্য চায় কমিটি

অবন্তিকার মৃত্যুতে দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে তথ্য চায় কমিটি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ও দ্বীন ইসলাম। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
জাকির হোসেন বলেন, কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের কাছে জমা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় প্ররোচনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ চেয়েছে তদন্ত কমিটি।

সুষ্ঠু তদন্তের জন্য এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের সম্পৃক্ততার তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সোমবার তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন পেশ করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রকৃত ঘটনা বিষয়ে তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণাদি প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, কারও কাছে কোনো তথ্য ও উপযুক্ত প্রমাণ থাকলে তা আগামী ২০ মার্চের মধ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনের কাছে জমা দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

এর আগে রোববার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে দেড়টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টাব্যাপী কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, প্রথম সভায় ঘটনা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছে। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন-চারটা সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে আগাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে ফ্যানের সঙ্গে অবন্তিকার গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করেছেন তার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় তার সহপাঠী ও শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়ে এরই মধ্যে রিমান্ডে আছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Human chain at Jabi demanding justice in the case of Avantikas death

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: নিউজবাংলা
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে শোক র‍্যালি ও মানববন্ধন করছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনের প্রকৃত অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে আইন বিভাগের ব্যানারে একটি শোক র‍্যালী পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে আইন বিভাগের শিক্ষকসহ অনুষদের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা আইন বিভাগের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মতো একজন ফাইটারের এভাবে চলে যাওয়া আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না। এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।

এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী এনামুল হক বিজয় বলেন, আজকে মানববন্ধনে এই বার্তাই থাকবে যেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি কোথাও-ই যেন এমন যৌন হয়রানিমূলক ঘটনা না ঘটে এবং আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই। শুধু গ্রেপ্তার নয় যতদিন পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না হয় ততদিন পর্যন্ত আমাদের এ মানববন্ধন চলবে।

আরেক শিক্ষার্থী ফারিয়া তাহসিন বলেন, অভিযুক্তরা দোষী হয়ে থাকলে তারা যেন সর্বোচ্চ শাস্তিটা পায়, এটাই আমাদের দাবি। গ্রেপ্তার হয়েছে এটাই সবকিছু নয়। তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা যেনো সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে, মূল ঘটনা উত্থাপন করে আর এর পেছনে আরও কারা জড়িত তাদের বের করে শাস্তির আওতায় আনে এটাই আমাদের চাওয়া।

বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, অবন্তিকা আপু সাতবার প্রশাসনের কাছে গেছেন।তবুও বিচার পাননি। এখানে অবশ্যই প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। আমরা তাদেরও বিচার চাই।

ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ল বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী জান্নাত সরকার নিতু বলেন, সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত এ মানববন্ধন চলবে। এর আগেও আমরা অনেককে হারিয়েছি। পরবর্তীতে যেন এমন কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা উচিৎ।

আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আলী আক্কাস বলেন, অবন্তিকার মৃত্যুর পেছনে কারা জড়িত তা যথাযথ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে শোক র‍্যালি করেছি। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বের করে এটাই আমাদের আজকের মানববন্ধনের মূল দাবি।

এর আগে রোববার রাতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করে মশাল মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছয় দফা দাবি আদায়ে নতুন করে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেনআন্দোলনকারীরা। একই সময়ে বামপন্থীরা গলায় রশি বেঁধে ও মুখে টেপ মেরে প্রতীকী আন্দোলন করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে গলায় রশি বাঁধা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় অবন্তিকার। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

এরপর থেকেই অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত ওই দুজনকে।

আরও পড়ুন:
জবি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা: সহপাঠী, সহকারী প্রক্টর রিমান্ডে
অবন্তিকার মৃত্যুতে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল
অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Avantikas suicide The investigation committee received the documents

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি

অবন্তিকার আত্মহত্যা: কাগজপত্র হাতে পেল তদন্ত কমিটি ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ছবি: সংগৃহীত
তদন্ত কমিটির প্রথম সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বলে অভিযুক্তদের সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করব।’

শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ওই শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কমিটির আহ্বায়কের কক্ষে রোববার দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছি। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। শুরু থেকেই এই ঘটনায় যারা যারা সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ উঠেছে তাদের সবাইকে আমরা ধারাবাহিকভাবে ডাকার চেষ্টা করব।’

তদন্ত কমিটির দ্বিতীয় সভা সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রথম সভায় ঘটনা-সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে এবং নিজেরা বিশ্লেষণ করেছি। সেগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। আরও তিন/চারটি সভার পর তদন্ত কোন দিক দিয়ে এগিয়ে নেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারব।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রঞ্জন কুমার দাস।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও ‘পিসি পার্ক স্মরণিকা’ নামের ১০ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় অবন্তিকা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

আত্মহত্যার ১০ মিনিট ‌আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠীকে দায়ী করেন। একইসঙ্গে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকেও এ ঘটনার জন্য দায়ী করেন তিনি।

আরও পড়ুন:
অবন্তিকার আত্মহত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বাবার পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন অবন্তিকা
অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও যাদের নাম
জবি ছাত্রীর মৃত্যু: অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বহিষ্কার, শিক্ষক বরখাস্ত
আত্মহত্যা নিয়ে স্ট্যাটাসের পর জবি ছাত্রীর মৃত্যু, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Avantika case has to wait for a fair investigation Jobi Vice Chancellor

অবন্তিকার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে: জবি উপাচার্য

অবন্তিকার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে: জবি উপাচার্য ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। ফাইল ছবি
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়েছে। তৎক্ষণাৎ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা তাদের কাজও শুরু করে দিয়েছে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনাটি বড় পরিসরে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম। তড়িঘড়ি না করে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি। পাশাপাশি নারী শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ থাকলে সরাসরি তাকেই দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন উপাচার্য।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, ‘অবন্তিকার বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়েছে। তৎক্ষণাৎ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্যদের নিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তারা তাদের কাজও শুরু করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তে বড় পরিধিতে সবকিছু সুক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করেই দেখা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক প্রশাসন কাজ করছে। এই ধরনের নজির বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। এসব বিষয়ে তড়িঘড়ি করে তদন্ত করলে কিন্তু দুর্বলতা থেকে যায়। তবে আমরা খুব দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাব বলে আশা করছি।’

সাদেকা হালিম বলেন, ‘পূর্ববর্তী যত ঘটনা আছে সেগুলোর সবগুলো পরবর্তী সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। এটা আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা নগরীর বাসা থেকে অবন্তিকার ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর ১০ মিনিট আগে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি আম্মান সিদ্দিকী নামে তার এক সহপাঠী ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান।

পোস্ট করা সুইসাইড নোটে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে হয়রানি, হুমকিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আর সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অফিসে ডেকে নিয়ে হয়রানি ও মানহানির অভিযোগ তুলেছেন। তা ছাড়া ‘সেক্সুয়ালি অ্যাবিউজিভ কমেন্ট’ করার অভিযোগ তুলেছেন ওই ছাত্রী।

এ ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে আগুন জ্বালিয়ে ভোর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। পরে রাত দেড়টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ক্যাম্পাসে এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের। উপাচার্যের আশ্বাসের পরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাননি।

শনিবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। ওই দিন রাতে অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকি আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করে। শনিবার রাতে পুলিশ অভিযুক্ত আম্মান ও দ্বীন ইসলামকে আটক দেখায়।

আরও পড়ুন:
জবি ছাত্রীর মৃত্যুতে সহপাঠী ও প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ
জবি ছাত্রীর মৃত্যু: সহপাঠী ও প্রক্টরের নামে কুমিল্লায় মামলা
অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠী আম্মান ও শিক্ষক দ্বীন ইসলাম আটক

মন্তব্য

p
উপরে