রাজধানীর রামপুরায় সোমবার রাতে বাসের চাপায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সেখানে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সে সঙ্গে বিক্ষোভ হয়েছে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, সায়েন্সল্যাব, এলিফ্যান্ট রোড এলাকায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ পথচারীরা।
নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেননি অনেকেই। গাড়িতে অপেক্ষা করে যখন আর চলছিলই না তখন অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।
ভোগান্তির এমন দৃশ্য ছিল সারা ঢাকাতেই।
সকাল ১০টার দিকে রামপুরা ব্রিজ এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। নিরাপদ সড়ক, শিক্ষার্থী নিহতের বিচার দাবি, গণপরিবহনে হাফ ভাড়া দাবিসহ বেশ কিছু দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ করেন।
রামপুরায় অবরোধের পর সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রামপুরা থেকে কোনো দিকেই কোনো গাড়ি আর চলতে পারছে না।
বনশ্রী-রামপুরা, রামপুরা-মালিবাগ, মেরুল বাড্ডা, গুলশান লিংকরোড, উত্তর বাড্ডা-শাহাজাদপুর, হাতিরঝিল এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বিক্ষোভের প্রভাবে। যার রেশ পড়েছে প্রগতি সরণিসহ উত্তরার রাস্তাতেও।
সড়ক অবরোধ করে যানবাহনের ফিটনেস সনদ ও চালকদের লাইসেন্সও যাচাই করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
কোনো ব্যত্যয় পাওয়া গেলে তাদের ট্রাফিক পুলিশের কাছে নিয়ে মামলা দিতে বলছেন তারা।
রামপুরা এলাকায় দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা সড়কে জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়িগুলোর জন্য রাস্তা ছেড়ে দিচ্ছেন।
রামপুরা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক পায়ে হেঁটে পাড়ি দিচ্ছেন সাধারণরা।
হেঁটে বাড্ডা থেকে রামপুরা ব্রিজ পার হচ্ছিলেন ষাটোর্ধ্ব শ্যামল দাস। তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন বারিধারায়। সেখান থেকে আজিমপুরের বাসায় ফিরতে গিয়ে বাড্ডায় ভয়াবহ যানজটে পড়েছেন। উপায় না দেখে স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটা শুরু করেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আজিমপুর যাব। আমি আর আমার স্ত্রী বয়স্ক মানুষ, হাঁটতে পারি না। আবার রাস্তাও চিনি না। কিন্তু ছাত্ররা আমাদের গাড়ি যেতে দেবে না, তাই নেমে হাঁটছি। কিন্তু কোনদিকে যাব বুঝতে পারছি না।’
পরে প্রতিবেদকের সহযোগিতায় তারা হাতিরঝিল থেকে আজিমপুর চলে যান।
অসুস্থ্য ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন নাজমা বেগম। ছেলের প্রচণ্ড জ্বর। তাকে নিয়ে বনশ্রী এলাকার একটি হাসপাতালে যাচ্ছেন তিনি।
বলেন, ‘আমি একটা সিএনজি করে যাচ্ছিলাম, কিন্তু জ্যামের কারণে এগুতে পারছিলাম না। এর মধ্যে ছেলেটা বমিও করেছে। তাই বাধ্য হয়ে কিছুটা হেঁটে রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে একটা রিকশা নিলাম।’
পুরো সড়কে কোন যানবাহন না থাকায় পায়ে হেঁটেই রামপুরা মালিবাগ সড়ক পাড়ি দিচ্ছেন সাধারণরা। মাঝে কিছু রিকশা পাওয়া গেলেও আকাশ ছোঁয়া ভাড়া চাওয়ায় অনেকেই আর তাতে যাচ্ছেনও না।
রামপুরা পুলিশ বক্সের সামনে এক রিকশাচালকের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্কে জড়াতে দেখা গেল একজন চাকরিজীবীকে। তিনি রামপুরা থেকে গুলিস্তান যাবেন। রিকশাচালক ভাড় চাইলেন ২৫০ টাকা। আরেকজন সেখান থেকে মালিবাগ পর্যন্ত ভাড়া হাঁকছেন ১০০ টাকা।
বিভিন্ন দাবি নিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে মিরপুর-নিউমার্কেট সড়কে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি শুরু করেন। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিরপুর-নিউমার্কেট সড়কের জটের প্রভাব পড়ে সংসদ ভবনের সামনের রাস্তা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। সেখানেও গাড়ির সারি দেখা যায়।
লোকজন বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মতিঝিলেও রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার কিছু পর শাপলা চত্বর এলাকায় নেমে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবির পাশাপাশি নটর ডেম, একরামুন্নেছার শিক্ষার্থী নিহতের বিচার দাবি করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা মিডলাইন পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করেন।
শিক্ষার্থীরা মোহাম্মদপুর এলাকাতেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। নিরাপদ সড়ক চাই, শিক্ষার্থী নিহতের বিচারসহ কয়েকটি দাবি জানান তারা।
সহপাঠী হত্যার বিচার চেয়ে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও নীলক্ষেত এলাকায়ও বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
সেখানে শিক্ষার্থীদের উই ওয়ান্ট জাস্টিস; নিরাপদ সড়ক চাইসহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে কলেজের শিক্ষকরা তাদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বাধ্য করেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান, তারা বিক্ষোভ শুরু করলে কিছু পরেই তাদের শিক্ষকরা গিয়ে মারমুখী আচরণ করে তাদের সরে যেতে বাধ্য করেন। পরে অবশ্য অন্য কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামলে তারা তাদের সঙ্গে যোগ দেন।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা দাবিতে বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১টা ২৫ মিনিটে বনানীর বিআরটিএ ভবনের সামনে ছাত্ররা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
এ সময় ছাত্ররা নিরাপদ সড়ক চাই; ছাত্ররা মরবে কেন, প্রশাসন জবাব চাইসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বিআরটিএর কাছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে আবদুল কাদের নামের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ছাত্রদের হাফ ভাড়া কার্যকর হয়েছে তাহলে আবার আন্দোলন কেন? এসব করে সাধারণদের ভোগান্তি বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই মিলবে না।’
তনিমা হামিদ নামের একজন চিকিৎসক বলেন, ‘ছাত্রদের দাবি সবার আগে প্রাধান্য দেয়া উচিত সরকারের। তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো সাথে সাথে মেনে নিলেইতো হয়। ছাত্রদের রাস্তায় কেন থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।
একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের কোনো আঙুলই রাখার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রোববার ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আহত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের আঙুল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে পাঁচটা আঙুলের কোনটাই রাখা সম্ভব না। এছাড়া ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ও হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ডা. বিধান সরকার বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগ, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। বর্তমানে তিনি অপারেশন থিয়েটারে আছেন। তবে তার অবস্থা স্ট্র্যাবল। এ ছাড়া বাম পায়ের পাতার টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পায়ের আঙুল কাটা পড়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের (৬০)।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. মো. হারুন অর রশিদ জানান, দিনাজপুর ফুলবাড়িয়া গিয়েছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিভিন্ন সময় কয়লা খনির শ্রমিকদের মৃত্যুতে দিনাজপুরে শনিবার একটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।
আনু মুহাম্মদের সাথে থাকা মো. মাহাতাব বলেন,‘ট্রেনটি খিলগাঁও ক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে গতি কমিয়ে দেয়। তখন সেখানে ট্রেন থেকে নামছিলেন তিনি। তবে নামার সময় তার পা পিছলে মাজা পর্যন্ত চাকার নিচে চলে যায়। এমন সময় ট্রেনটি চলতে শুরু করে। দেখতে পেয়ে দ্রুত ট্রেনের নিচ থেকে বের করতে করতে চাকার নিচে পায়ের আঙুলগুলো কাটা পরে।
দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল ক্যায়াজুয়ালিটি বিভাগের ১০৫ নম্বর কক্ষে আহত আনু মুহাম্মদকে অপারেশন থিয়েটার (ওটিতে) নেয়া হয়। দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পোস্ট অপারেটিভ নেয়া হয় তাকে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের।
কমলাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনে ওঠার সময় রোববার বেলা ১১টার দিকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এ শিক্ষক।
পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় তাকে, যেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে তার।
আনু মুহাম্মদকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহতাব বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ধীরগতিতে চলা একটি ট্রেন কমলাপুরের দিকে যাওয়ার সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ওই ট্রেনে উঠতে যান। ওই সময় পা পিছলে চাকার নিচে পা চলে যায়। এতে তার বাম পায়ের আঙুল থেঁতলে যায় এবং কাটা পড়ে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট থেকে ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা অবস্থায় আনু মুহাম্মদকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
মন্তব্য