× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
BUETs EEE will be the first Siam in 3 universities
google_news print-icon

বুয়েটের ইইইতে পড়বেন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সিয়াম

বুয়েটের-ইইইতে-পড়বেন-৩-বিশ্ববিদ্যালয়ে-প্রথম-সিয়াম
বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র মেফতাউল আলম সিয়াম তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তিন ইউনিট ও বিভাগে প্রথম হন। ছবি: নিউজবাংলা
বুয়েটের ইইইতে ভর্তি কেন হতে চান জানতে চাইলে সিয়াম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি একজন রিসার্চার হতে চাই। ইইইতে রিসার্চের ফিল্ডটা বেশি।’

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৌশল এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগে প্রথম হয়েছেন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের ছাত্র মেফতাউল আলম সিয়াম।

এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা এবং গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম হন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় সিয়ামের অবস্থান ছিল ৫৯তম। এ ছাড়া তিন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় হন তিনি।

ধারাবাহিক এ সাফল্যের কারণ, অনুপ্রেরণাসহ প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে সিয়ামের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার।

নিউজবাংলা: আইইউটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিট, বুয়েটের একটি বিভাগে আপনি প্রথম হয়েছেন। এ সাফল্যের মূল কারণ কী বলে মনে করেন?

সিয়াম: এইচএসসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার পড়ালেখায় রেগুলার ছিলাম। বেশ কিছু রাইটারের বই ফলো করেছি। এইচএসসি থেকেই বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন সলভ করার প্র্যাকটিস ছিল, যার কারণে ভর্তি পরীক্ষার পূর্ব সময়ে প্রস্তুতি নিতে অসুবিধা হয়নি।

আগে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে ধারণা ছিল। আমি এইচএসসি ফার্স্ট ইয়ার থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করেছি। নিয়মিত পরিশ্রম করাটা এ ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে।

নিউজবাংলা: আপনার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা কার?

সিয়াম: অবশ্যই মায়ের ভূমিকা বেশি। ছোটবেলা থেকে অনুপ্রেরণা জোগাত। সে-ই পাশে ছিল। বাবার ভূমিকাও কম নয়।

আব্বু অবসরপ্রাপ্ত এনজিও কর্মকর্তা। আম্মু গ্র্যাজুয়েশন করা। আম্মু প্রাইমারি পর্যন্ত আমাকে গাইড করেছেন। পরবর্তী সময়ে আমি নিজেই নিজেকে সামলে নিয়েছি।

বুয়েটের ইইইতে পড়বেন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সিয়াম

নিউজবাংলা: কোনো পরীক্ষা দেয়ার আগে প্রথম হওয়ার লক্ষ্য ছিল কী?

সিয়াম: পরীক্ষার হলে ও রকম টার্গেট ছিল না। নিজের বেস্ট আউটপুটটা দেয়ার চেষ্টা করছি। হয়তো আশা ছিল ভালো কিছু করব। আমি ফার্স্ট হব, সে রকম কোনো টার্গেট ছিল না।

নিউজবাংলা: আপনার সামনে অনেকগুলো অপশন। কোথায় ভর্তি হবেন?

সিয়াম: বুয়েটের ইইইতে (ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)।

নিউজবাংলা: কেন?

সিয়াম: আমি একজন রিসার্চার হতে চাই। ইইইতে রিসার্চের ফিল্ডটা বেশি।

নিউজবাংলা: এসএসসি থেকেই কি এমন স্বপ্ন ছিল?

সিয়াম: এসএসসি পর্যন্ত আমার লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক হওয়ার। আমার আম্মুও চেয়েছিলেন আমি চিকিৎসক হই, কিন্তু এইচএসসিতে এসে লক্ষ্য পাল্টে যায় একজন স্যারের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। আমি একজন সফল গবেষক হয়ে দেশ ও জাতির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই।

নিউজবাংলা: আপনার সাফল্যে বন্ধু-বান্ধব কিংবা বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া কী?

সিয়াম: কলেজের শিক্ষকগণ অনেক খুশি। বন্ধুরা অনেক খুশি; তাদের ফ্রেন্ড ফার্স্ট হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

নিউজবাংলা: অনেকে বলে থাকেন তুখোড় মেধাবীরাও একসময় অতীতের সাফল্য ভুলে স্রোতে গা ভাসান। আপনি এ ব্যাপারে কতটা সতর্ক?

সিয়াম: আমরা যখন এসএসসি বা এইচএসসি লেভেলে পড়ি, তখন মা-বাবার গাইডলাইনে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সে গাইডলাইন থাকে না। ফলে আমাদের ম্যাচিউরিটির অভাবে বা নতুন জীবনযাপনের সম্পর্কে ধারণা না থাকায় এমনটা হয়ে থাকে। অনেকে খাপ-খাইয়ে নিতে পারে না।

আমি মনে করি এ জায়গাগুলো বুঝে চললে কোনো সমস্যা হবে না।

নিউজবাংলা: আপনার জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী?

সিয়াম: একজন গবেষক হয়ে কাজ করা। ভালো কিছু করা, যা দেশের জন্য গর্বের হয়।

নিউজবাংলা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের জন্য আপনার কোনো পরামর্শ আছে?

সিয়াম: পড়াশোনায় সবসময় রেগুলার থাকতে হবে। রেগুলার পড়ব। বুঝে পড়ার চেষ্টা করব। পাশাপাশি বিনোদনও থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যয় না হয়, সেটা খেয়াল রাখব। পড়াশোনায় যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে, সেটা সবসময় খেয়াল রাখতে হবে।

নিউজবাংলা: আমাদের সময় দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

সিয়াম: আপনাকেও ধন্যবাদ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chabi honors 50 brave freedom fighters

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা রোববার ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা সম্মানিত করছি ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা আমাদের হৃৎস্পন্দন। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ, তাদেরকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ বদান রাখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে রোববার দুপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার৷

সম্মাননা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, রফিক আহম্মাদ (বিল্লা), অমল মিত্র, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শাহ আলম, মুকুল দাস, মোহাম্মদ ইসমাইল, আনোয়ারুল আজিম, প্রফেসর ডা. জাহিদ শরিফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, এ. এইচ. এম. জিলানী চৌধুরী, মো. আবুল ফয়েজ, নির্মল চন্দ্র নাথ, ফজরুল হক ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, বদিউল আলম, মোহাম্মদ ইউনুস, এ কে এম সরওয়ার কামাল দুলু, মো. গোফরানুল হক ও আলহাজ্ব সুলতানুল কবির চৌধুরী (মরণোত্তর)।

অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন- মোহাম্মদ আবু ইউসুফ চৌধুরী, রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সোলায়মান, সৈয়দ মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম, পংকজ কুমার দস্তিদার, নাসির উদ্দীন চৌধুরী, নওশের আলী খান, এস এম কামাল উদ্দিন (মরণোত্তর), মো. ইদ্রিস (মরণোত্তর), আবুল কাশেম চিশতী, ইউসূফ সালাহউদ্দিন আহমদ, মো. ছালেহ আহমেদ, শহীদুল হক চৌধুরী (সৈয়দ), আহামদ উল্লাহ, মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, আবু সাঈদ সরদার, শেখ সাইফুল আনোয়ার, নুরুল বশর, শাহজাহান খান, হাজী জাফর আহমদ, সৌরেন্দ্র নাথ সেন, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিঞা, শেখ মো. নুরুজ্জামান (মরণোত্তর), ফজলুল হক ভূঁইয়া, আফছার উদ্দিন আহমদ, মোখতার আহমদ (মরণোত্তর) ও এস. এম. ফজলুল হক।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা সম্মানিত করছি ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা আমাদের হৃৎস্পন্দন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত। তাদেরকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরও আমরা ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছি। আমরা দুটি ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে এই সম্মাননা দিচ্ছি। একটি হলো যারা ভাতাপ্রাপ্ত, আরেকটি হচ্ছে যাদের নাম লাল বইয়ে আছে। আমরা যেসব নাম প্রস্তাব করি, সেগুলো আবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ভেরিফাই করেছি।

‘মুক্তিযোদ্ধা যারা আজ সম্মাননা নিচ্ছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা প্রতিবছর সম্মাননা দেয়ার এই ধারা অব্যাহত রাখব।’

অনুষ্ঠান বর্জন শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন/বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি।

অনুষ্ঠানে প্রক্টরকে স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা, প্রশাসনিক পদে নেই এমন একজনকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করা এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা না করায় অনুষ্ঠান বর্জন করে শিক্ষক সমিতি।

অন্যদিকে অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্বে রেজিস্ট্রারকে না রাখায় অফিসার সমিতি অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

আলোচনা সভা বয়কটের বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এমন একজন ব্যক্তিকে (প্রক্টর) স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা হয়েছে যার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে৷ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এক ব্যক্তি। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আইকিউএসির পরিচালককে রাখা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো পদে নেই। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে আমরা সংগঠন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।’

অন্যদিকে চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা বা সভাপতিত্ব করে থাকেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা বা সভাপতিত্ব কোনটিতেই রেজিস্ট্রারকে রাখা হয়নি। এছাড়া অন্যান্যবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অফিসার সমিতিসহ অন্যান্য কর্মচারী সমিতির সভাপতিদের জন্য মঞ্চে আসন রাখা হয়। এবার এটাও করা হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা মনে করেছি যে অনুষ্ঠানে আমাদের মূল্যায়ন নেই, সেখানে না যাওয়াই ভালো।’

আরও পড়ুন:
মাঝসমুদ্রে চবি শিক্ষার্থীদের মারধর, আহত ১০
চবিতে ১৬ জনের পর আরও তিনজনের পদত্যাগ
চবি প্রশাসনে গণপদত্যাগের নেপথ্য কারণ কী?
চবিতে প্রক্টরের পদত্যাগের ঘণ্টাখানেক পর নতুন প্রক্টর
চবি প্রক্টরসহ বিভিন্ন পর্ষদের ১৬ জনের পদত্যাগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Canadian University of Bangladesh Summer Semester admission process has started

সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু
স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।

রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে সামার ২০২৩ সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম।

স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-ই দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে শিপিং এবং মেরিটাইম সাইন্স নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ। শিপিং এন্ড মেরিটাইম সায়েন্সে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য সমুদ্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, ভূ-ভাগ ও সাগরের আন্তঃসম্পর্ক, সমুদ্রসম্পদ আহরণের উপায় ও সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে জানা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর সৈয়দ আখতার হোসেন। বিভাগে রয়েছে একঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক, রয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম। বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ইনোভেশন ইনকিউবেশন এনবং রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা।

স্কুল অফ বিজনেসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অধ্যাপক এবং সিইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা ড. রিদওয়ানুল হক। ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ জহুরুল হক। এমবিএ ও ইএমবিএ’র কোর্স পরিচালনা করেন মার্কেটিংয়ের কিংবদন্তী শিক্ষক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বিভাগে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহরিন আশরাফসহ আরও অনেকে।

তাছাড়াও মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে পড়ার মাধ্যমে।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপরে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি থাকছে। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যাদের চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ–৫ রয়েছে, তারা টিউশন ফিতে শতভাগ ছাড় পাবেন। পাশাপাশি তিন বা ততোধিক ছাত্র/ছাত্রী একসাথে ভর্তি হলে আরো ৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে ৪০% ছাড়। মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস-এ ভর্তিতে রয়েছে ২৫% ছাড়। তাছাড়াও ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়া যাবে এমবিএ (রেগুলার) প্রোগ্রামে ও ৬০ শতাংশ ছাড়ে ইএমবিএ (এক্সিকিউটিভ) প্রোগ্রামে।

ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০৭০৭০২৮০-৮৪ নম্বরে। উক্ত নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে সিইউবির অ্যাডমিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণী, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার মানসিকতা ছাড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি
সিইউবির প্রথম সমাবর্তন আজ, থাকছেন রাষ্ট্রপতি
সিইউবির প্রথম সমাবর্তন ৩১ জানুয়ারি
ইংলিশ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সিইউবিতে ছাড়
সিইউবিতে ৩ দিনব্যাপী রোবোফেস্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The judge of Bogra lost his judicial power

বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার সেই বিচারক

বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার সেই বিচারক বিচারকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের বচসা ও ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।

দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বগুড়ার অতিরিক্তি জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’

“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।

‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’

এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

আরও পড়ুন:
বিচারকের পা ধরলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক বদলির আল্টিমেটামের সময় বাড়ালেন আইনজীবীরা
বিচারককে গালির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি নারী বিচারকদের
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিচার আদালত করবে: আইনমন্ত্রী
বিচারকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা: খুলনার ৩ আইনজীবী নেতাকে ভর্ৎসনা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demand international recognition of Genocide Day on March 25

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে বক্তব্য দেন বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম। ছবি: নিউজবাংলা
বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে- এই দাবি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।’

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম।

বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘১৯৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি: প্রয়োজন গবেষণা, প্রকাশনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার তাৎপর্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ দাবি জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা বা জেনোসাইডের স্বীকৃতি দিতে হবে- এই দাবি নতুন প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেলাম কি পেলাম না সেদিকে না তাকিয়ে আমাদের দাবি তুলে ধরতে হবে।

‘বাঙালিকে ধর্ম দিয়ে বিভক্তিকরণের চেষ্টা সবসময়ই ছিল। তারপরও আমাদের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান।

রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফিস আহমদের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষকা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তি চায় জবি শিক্ষক সমিতি
জবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা
‘উত্ত্যক্তের’ প্রতিবাদ, দিনাজপুরে মারধরের শিকার জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
জবিতে ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ
গুচ্ছ পরীক্ষা থেকে বেরিয়ে আসতে জবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Primary schools open till 15 Ramadan new schedule

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ রমজান পর্যন্ত খোলা, নতুন সময়সূচি

প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ রমজান পর্যন্ত খোলা, নতুন সময়সূচি ফাইল ছবি।
পবিত্র রমজান মাসে মহানগর, ডবল শিফট ও সিঙ্গেল শিফট সব প্রাথমিক স্কুলের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে মহানগর, ডবল শিফট ও সিঙ্গেল শিফট সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫ রমজান পর্যন্ত ৯ কার্যদিবস খোলা থাকবে।

সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shabirs 16 students banned from hall for ragging

র‌্যাগিংয়ের দায়ে শাবির ১৬ শিক্ষার্থী হলে নিষিদ্ধ

র‌্যাগিংয়ের দায়ে শাবির ১৬ শিক্ষার্থী হলে নিষিদ্ধ
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’

র‌্যাগিংয়ের দায়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আরেক ছাত্রকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানান।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থীকে আবাসিক হলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখানে পুরো শিক্ষা জীবনে তারা আর হলে থাকতে পারবে না।’

বহিষ্কৃত সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী। তবে তাদের নাম প্রকাশ করেননি উপাচার্য।

তিনি আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদকাসক্তিসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে।’

অন্য এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গাড়িচালককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ১১১ নম্বর কক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি সিনিয়ররা জুনিয়রদের র‌্যাগিং করার অভিযোগ ওঠে। ২২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সেদিন অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তারা হলেন- আপন মিয়া, আল আমিন, পাপন মিয়া, রিয়াজ হোসেন ও আশিক হোসেন। তারা সবাই ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ওই ঘটনায় অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন:
শাবি ছাত্রলীগের ২ কর্মীকে হল থেকে বহিষ্কার
শাবিতে পরিসংখ্যান দিবস পালন
র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে শাবির ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
স্বপদে শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন, প্রত্যাহার হয়নি শিক্ষার্থীদের মামলাও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Publication of recruitment circular in primary schools in 3 categories

৩ বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

৩ বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ফাইল ছবি
আবেদন শুরু হবে আগামী ৩০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। চলবে ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

ময়মনসিংহ, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি বুধবার প্রকাশ করা হয়। তবে এতে কতজন নিয়োগ পাবেন তা জানানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবেদন শুরু হবে আগামী ৩০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। চলবে ১৪ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

একযোগে না করে বরং বিভাগভিত্তিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়েছে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জন্য বিজ্ঞপ্তি।

অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও। এই ধাপের বিজ্ঞপ্তির পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহ খুলনা রাজশাহী বিভাগে প্রাথমিকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই
প্রধানমন্ত্রীর এসাইনমেন্ট অফিসার হলেন সনজিত দাস
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি

মন্তব্য

p
উপরে