কুমিল্লায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ হত্যায় অংশ নেয়াদের আরেকটি ভিডিও হাতে পেয়েছে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হওয়া ২৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, গুলি ছুড়তে ছুড়তে দৌড়াচ্ছেন ১ নম্বর আসামি শাহ আলম ও অজ্ঞাত এক যুবক।
কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এসব জানান।
তিনি বলেন, ‘এজাহারে নাম না থাকলেও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয়েছি, শাহ আলমের সঙ্গে থাকা যুবকের নাম নাজিম। তার বাড়ি কুমিল্লায়। তিনিও ওই হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। এজাহারে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।’
সোহান সরকার আরও বলেন, ‘অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয়েছি হিট স্কোয়াডে ৬ জন ছিলেন। তারা হলেন ১ নম্বর আসামি শাহ আলম, ২ নম্বর আসামি সোহেল, ৩ নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন, ৫ নম্বর আসামি সাজেন। বাকি দুজন নতুন সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত হওয়া নাজিম ও ফেনী থেকে আসা অজ্ঞাত এক আসামি। আসামি সাজেনের বাসায় হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল।’
সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে গত ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ৬ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হওয়া মামলায় ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় ১০-১২ জনকে।
মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন মো. মাসুম, মো. সুমন, আশিকুর রহমান রকি, আলম মিয়া ও জিসান মিয়া। এজাহারের বাইরের মোহাম্মদ রাব্বি ইসলাম অন্তু নামের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে আলোচিত এই হত্যায় অংশ নেয়া দুজনের গুলি করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সুজানগরের পাথুরিয়াপাড়ায় থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজ নামে কাউন্সিলরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে তাকে গুলির ভিডিও পাওয়া না গেলেও প্রতিষ্ঠানটির সামনের একটি রাস্তায় অস্ত্রধারীদের গতিবিধি ধরা পড়ে ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরায়।
২ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, সোহেলের কার্যালয় থেকে পশ্চিম দিকে সুজানগর থেকে পাথুরিয়াপাড়া সড়কে দুই যুবক প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছেন। এ সময় আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায়ও কাউকে চলাচল করতে দেখা যায়নি।
ফুটেজে আরও দেখা যায়, গুলি করতে থাকা যুবকদের মুখে মুখোশ। তারা বিভিন্ন ছাদের দিকে লক্ষ্য করে গুলি করছে। ওই সময় ওপর থেকে তাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পশ্চিম দিকে গিয়ে ফের পূর্ব দিকে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের দিকে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয়রা বাড়িঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পূর্ব দিকে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের দিকে যান। ভিডিও ফুটেজে এক যুবকের হাতে দুটি এবং আরেক যুবকের হাতে একটি পিস্তল দেখা যায়।
ওই ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম বলেন, ‘ফুটেজটি ২২ নভেম্বরের। এটি বিশ্লেষণ করছি। দ্রুত ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হবে।’
আরও পড়ুন:পাহাড় থেকে দল বেঁধে নেমে আসে হাতি। গুঁড়িয়ে দেয় মানুষের ঘর-বাড়ি, নষ্ট করে ফসলি জমি। এমনকি হাতির আক্রমণে মানুষের মৃত্যুও ঘটে।
ক্ষতি থেকে বাঁচতে হাতির এমন উন্মত্ত্ব পালকে সংঘবদ্ধ হয়ে, ভয় দেখিয়ে তাড়া করে মানুষও। তাড়া খেয়ে পালিয়ে যায় হাতিরা। মাঝেমাঝে ঘটে তাদেরও প্রাণহানি।
শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় হাতি-মানুষের এমন দ্বন্দ্ব বহু বছর ধরেই চলছে। ভারত সংলগ্ন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তজুড়ে এই গারো পাহাড় অঞ্চল। এখানে ভারত থেকে নেমে আসা বন্য হাতিরা প্রায়ই বিচরণ করে।
বর্তমানে হাতির একাধিক দল ওই পাহাড়ি এলাকায় স্থায়ীভাবেই অবস্থান নিয়েছে। খাদ্যের সন্ধানে তারা ঘন ঘন নেমে আসছে লোকালয়ে। ক্ষিপ্ত হাতিদের তাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। বর্তমানে আতঙ্কে দিন কাটছে সীমান্তবাসীর।
এমন ভীতিকর পরিস্থিতির জন্য হাতির খাদ্য সংকটকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ে ফলজ ও পরিবেশ সহায়ক বনজ বৃক্ষ নিধন এবং হাতির খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত গাছপালা রোপণ না করে ক্ষতিকর আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোকেই সবচেয়ে বেশি দায় দিচ্ছেন তারা। খাদ্য না পেয়েই জীবন বাঁচাতে লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। মানুষ তাদেরকে তাড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এতে হাতিও ক্ষিপ্ত হচ্ছে। ক্ষিপ্ত হাতির আক্রমণে মারা পড়ছে মানুষ। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মারা পড়ছে হাতিও।
সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় মানুষেরা দাবি করেছেন, হাতি তাড়াতে গিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত শতাধিক মানুষের মৃত্যু ছাড়াও আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। এসব ঘটনায় অর্ধশতাধিক হাতিও মারা পড়েছে। হাতি-মানুষের এই দ্বন্দ্বের নিরসন চায় এখন সীমান্তবাসী।
সীমান্তবর্তী রাংটিয়া গ্রামের আলম হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে হাতি আইলে আমরা ঘুমাইতেও পারি না। কেমনে ঘুমাই? ঘুমের মধ্যে হাতি চইলা আইলে বাঁচুম কেমনে? হাতি আইলে কামেও যাইতে পারি না। কারণ রাতে হাতি পাহারা দিয়া সারা দিন ঘুমাই।’
ছোট গজনীর কাশেম মিয়া বলেন, ‘পাহাড়ে অনেকদিন ধরেই হাতি আছে। কিন্তু পাহাড় থেকে এরা এখন আমাদের গ্রামে চলে এসেছে। আমি লিচু আর কাঁঠালের বাগান করছি এক একর জমিতে। কিছুদিন পরই পেকে যেতো লিচুগুলো। কিন্তু হাতির ভয়ে ভালো করে পাকার আগেই সব লিচু পেড়ে বেচে দিচ্ছি।’
তাওয়াকুচার তোতা মিয়া বলেন, ‘হাতি তো আইতে আইতে আমাদের গ্রামেও চলে আইছে। এইডাই ডর। আমাদের যেন জীবনের ক্ষতি না করে আবার।’
নওকুচি গ্রামের ফজেন মারাক জানান, পাহাড় থেকে নেমে তাদের পাড়ার খুব কাছেই ৩০ থেকে ৪০টি হাতি অবস্থান করছে। এ জন্য গ্রামের সবাই এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ে এখন আসলে খাবারের অভাব। তাই আমগোর বাড়িঘরে হাতি নাইমা আহে। পাহাড়ে আগে পশুপাখির খাবারের অনেক গাছ আছিল। অহন নাইক্কা। পশুপাখির খাবারের গাছ থাকলে আমাদের ওপর আক্রমণ কম হতো।’
শেরপুরের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘পাহাড়ে হাতির বিচরণ দেখা যাচ্ছে। রাংটিয়া রেঞ্জের তাওয়াকুচা ও গজনী এলাকাগুলো একসময় হাতির রাস্তা ও বিচরণ ভূমি ছিল। তাই সেই রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে হাতি লোকালয়ে ঢুকে পরছে। আমরা সবাইকে নিয়ে চেষ্টা করছি যেন হাতিগুলো লোকালয়ে না আসে। তবে মানুষ-হাতি উভয়কে রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য একটি অভয়ারণ্য তৈরির কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ চলছে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:বরিশালের উজিরপুরে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ আট যাত্রী নিহত হয়েছেন।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আরশাদ নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যমুনা পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার দিকে যাচ্ছিল। বামরাইলে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ আটজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০ জন।
আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এখনও হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাদের দুটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। বাসটি গাছের মধ্যে ঢুকে গেছে। গাড়ি কেটে হতাহতদের বের করতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম একটি সড়কে প্রাইভেটকার উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর ফজলুল হক অ্যাভিনিউ এলাকায় জেলা জজ কোর্টের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী নূরুল আমিন বলেন, ‘লঞ্চঘাটের দিক থেকে নীল রঙের প্রাইভেটকারটি দ্রুতগতিতে কাকলীর মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ফজললু জজ কোর্টের সামনে স্পিড ব্রেকার পার হওয়ার সময় ব্রেক ফেল করে উল্টে যায় গাড়িটি।’
তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময় প্রাইভেটকারটিতে চালক ছাড়া কেউ ছিলেন না। পরে গাড়ির মালিক ঝালকাঠি জেলা সমাজসেবা প্রবেশন কর্মকর্তা সাদিয়া আয়েশা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত ওই গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রাইভেটকারটির চালক মো. সাগর বলেন, কিভাবে গাড়ি উল্টে গেল বুঝতে পারছি না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণে কিছু সময় ওই লেনে যান চলাচল বন্ধ ছিল। উল্টে যাওয়া প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাট এলাকার তরুণ সিরাজুল ইসলাম। দেড় বছর ধরে পালন করছেন ঘোড়া। ঘোড়দৌড় আর গাড়ি চালানোর জন্য তার আস্তাবলে রয়েছে ছয়টি তরতাজা ঘোড়া। যার দুটি দিয়ে চালান গাড়ি, যা তার আয়ের অন্যতম উৎস। আর দুটি দিয়ে গ্রাম্য ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা করেন সিরাজুল।
তার ঘোড়ার গাড়ি ঝালকাঠিতে বেশ জনপ্রিয়। বিয়ে, শো-ডাউন, ঘুরতে যাওয়াসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভাড়া দিয়ে পয়সা রোজগার করেন সিরাজুল।
গাড়ি টানার জন্য পালন করা তার দুটি ঘোড়ার একটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিরাজুল।
তার অভিযোগ, তার সঙ্গে কথাকাটাকাটির একটা পর্যায়ে আস্তাবলের পাশে বাস করা নজরুল তার ঘোড়া হত্যার হুমকি দেয়। পরে তার একটি ঘোড়া বিষপ্রয়োগ ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়।
সিরাজুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে ঘোড়াগুলো রাখতাম। তার পাশেই নজরুল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শুক্রবার রাতে আমার সাথে তর্ক হয়। তখন নজরুল আমাকে ধমক দিয়ে বলেছে, আমাকে ঘোড়ার গাড়ির ব্যবসা করতে দিবে না, কী করে ঘোড়া পালি সেটা সে দেখিয়ে দেবে।’
সিরাজুল আরও বলেন, ‘শনিবার সকালে ঘোড়া দুটো শিশুপার্কের মাঠে বেঁধে রেখে বাসায় যাই। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোড়া আনতে গিয়ে দেখি একটি ঘোড়া মৃত অবস্থায় মাঠে পড়ে আছে। দেখি ঘোড়াটির শরীরে পেটানো ও পায়ের রগ কাটার চিহ্ন।’
তিনি বলেন, ‘শনিবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় পশু চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে পারিনি।’
সিরাজুলের দাবি, তার ঘোড়াকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে হত্যা করেছে নজরুল।
শনিবার বিকেলে প্রাণি হত্যার বিচারের দাবিতে মৃত ঘোড়া ভ্যানে তুলে সদর থানায় নিয়ে যান সিরাজুল। তিনি পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
বলেন, নজরুল ইসলাম তার ঘোড়া হত্যা করেছেন।
পরে সদর থানা পুলিশের পরামর্শে সন্ধ্যা ৬টায় ঘোড়াটিকে পৌর কসাইখানা সংলগ্ন সুগন্ধা নদীর পাড়ে মাটিচাপা দেন সিরাজুল।
ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে সিরাজুলের ঘোড়া রাখার ঘরে গিয়ে দেখা যায়, ওই ঘরটির পাশেই অভিযুক্ত নজরুলের একটি গোয়ালঘর রয়েছে। প্রায়ই গরুর দড়ি না পেয়ে সিরাজুলকে দোষারোপ করতেন নজরুল।
ঘোড়া হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে নিউজবাংলাকে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোড়ার মৃত্যু সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।’
ঝালকাঠি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিরাজুলকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে ঘোড়ার ময়নাতদন্ত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:এক বিধবাকে লাঠিপেটা করা হচ্ছে- ১০ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
নাটোরের সিংড়ায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটলেও শনিবার তা ভাইরাল হয়। পরে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে অভিযুক্ত আইয়ুব আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
সিংড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার বেলোয়া গ্রামের এক বিধবা বাড়ির পাশ্ববর্তী এক দোকানে সেমাই কিনতে যায়। এ সময় একই গ্রামের অছিমদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে আইয়ুব আলীর সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আইয়ুব ওই নারীকে অশ্লীল গালিগালাজের পাশাপাশি লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আইয়ুব ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।
এ ঘটনায় ১০ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এলে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বেলোয়া গ্রাম থেকে আইয়ুব আলীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আইয়ুব আলী ওই বিধবাকে উত্যক্ত করতেন। এর প্রতিবাদ করায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আইয়ুবকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
আরও পড়ুন:নরসিংদীতে নবজাতকসহ প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে মেরী স্টোপস ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দুজনকে।
ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে শহরের বাসাইল এলাকার ক্লিনিকটিতে শনিবার দুপুরে ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও রোগীর স্বজনরা জানান, শহরের শালিধা এলাকার হান্নান মিয়ার স্ত্রী সালেহা বেগমকে শুক্রবার ভর্তি করা হয় মেরী স্টোপস ক্লিনিকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলেনা হালিম রিপোর্ট দেখেই দ্রুত সিজার করার পরামর্শ দেন। প্রসূতি ও তার স্বজনরা রাজি না হলে চিকিৎসক তাদের জানান দেরি করলে বাচ্চার ক্ষতি হবে।
স্বজনদের অভিযোগ, সালেহা বেগমকে অনেকটা জোর করেই অপারেশনের জন্য নিয়ে যান চিকিৎসক হেলেনা। কিন্তু অপারেশনের টেবিলেই সালেহা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চিকিৎসক রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। স্বজনদের না জানিয়েই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়া হয়।
রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মা ও নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ভুল চিকিৎসায় নরসিংদীতেই সালেহার মৃত্যু হয় এবং তা গোপন করে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে অভিযোগ তুলে স্বজন ও এলাকাবাসী শনিবার দুপুরে ক্লিনিকে হামলা চালান।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ক্লিনিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসূতির মৃত্যু ও ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে মেরী স্টোপস ক্লিনিক সংশ্লিস্ট কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন:নওগাঁয় বিল থেকে হাঁসের দল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নে সরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই কৃষকের নাম আয়েন উদ্দীন। তার বয়স ৫০ বছর। তিনি শিকারপুর ইউনিয়নের সরাইল গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ‘নিহত আয়েন উদ্দীন হাঁসের খামার রয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির পাশে গুটিয়ার বিল থেকে হাঁসের দল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আয়েন উদ্দীন পেশায় কৃষক।’
ওসি আরও জানান, বজ্রপাতে মারা যাওয়ার কারণে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। রোববার সকালে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য