× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Even though the fall has stopped he has lost interest in buying shares
google_news print-icon

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ

পতন-থামলেও-হারিয়েছে-শেয়ার-কেনার-আগ্রহ
আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে মন্দাভাবের কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে। ফাইল ছবি
১৪৬ কর্মদিবসের সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। হাতবদল হয় ৭০৮ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম লেনদেন হয় গত ১৯ এপ্রিল। সেদিন হাতবদল হয় ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসার দুই দিন আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠকের পর দিন পুঁজিবাজারে পতন থেমেছে। তবে লেনদেনের পৌনে দুই ঘণ্টায় সূচক যতটা বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল, দিন শেষে সেখান থেকে অনেকটাই কমেছে।

বাজার নিয়ে আস্থাহীনতার কারণে নতুন বিনিয়োগে যেতে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা। বরং হাতে থাকা শেয়ারের দর আরও কমে যাবে, এই আশঙ্কায় কম দামে হলেও ছেড়ে দিতে চাইছে বহুজন। এই অবস্থায় লেনদেন একেবারে তলানিতে নেমেছে।

মাস তিনেক আগে এক ঘণ্টায় যতটুকু লেনদেন হতো, সারা দিনে সাড়ে চার ঘণ্টাতেও অতটা লেনদেন দেখা যায়নি।

দিন শেষে লেনদেন কোনো রকমে সাতশ কোটির ঘর অতিক্রম করে। হাতবদল হয় ৭০৮ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।

১৪৬ কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন দেখল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এর চেয়ে কম লেনদেন হয় গত ১৯ এপ্রিল। সেদিন হাতবদল হয় ৬৯৭ কোটি ২৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার আড়াইশর বেশি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও সূচকে অতটা প্রভাব পড়েনি মূলত বেক্সিমকো গ্রুপের কারণে। গ্রুপের দুই প্রধান কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড ও বেক্সিমকো ফার্মার টানা দরপতনে সূচক থেকে কমে গেছে ১০ পয়েন্ট। এই দুটি কোম্পানি ছাড়া দর হারানো অন্য কোম্পানিগুলো সূচক সেভাবে কমাতে পারেনি।

বিপরীতে ব্যাংক ও আর্থিক খাত, প্রকৌশল, খাদ্য বিমা, ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধির কারণে টানা ছয় কর্মদিবস পর অবশেষে থামল পুঁজিবাজারের দরপতন।

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ
ছয় কর্মদিবস পর সূচক বাড়লেও লেনদেনের এই চিত্র বিনিয়োগকারীদেরকে স্বস্তি দেবে না

গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সূচকের টানা পতন। এ নিয়ে ছয় দিনেই সূচক পড়ল ৩১৮ পয়েন্ট।

এর আগে গত ১৬ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ছয় দিন পতন হয় ৬ কর্মদিবস।

গত দুই বছরে এর চেয়ে বেশি পতন চলতি বছরের ১০ থেকে ১৯ অক্টোবর দেখা দিয়েছিল। সে সময় টানা সাত কর্মদিবস সূচক পড়ে ৩৪৭ পয়েন্ট।

গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দর সংশোধনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কিছু পদক্ষেপ বাজারে অর্থপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে তাদের বিনিয়োগের তথ্য প্রতিদিন জানানোর নির্দেশ দেয়া ছাড়াও শেয়ার মূল্য বেড়ে যাওয়ার পর বিনিয়োগসীমা এক দিনের জন্য অতিক্রম করে যাওয়ার পর বেশ কিছু ব্যাংককে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংক বন্ডে যে বিনিয়োগ করবে, তা তার বিনিয়োগসীমার মধ্যে হবে।

এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ড পরিচালনা করা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির লেনদেনের তথ্যও প্রতিদিন জানানোর আদেশ এসেছে, যে আদেশ আসার পর বিএসইসি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বলেছে, এটা তারা পারে না।

ওয়ান ব্যাংকের লভ্যাংশ ইস্যুতে দুই পক্ষের মধ্যে মতভিন্নতা ছিল আগে থেকেই। সেই সঙ্গে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ক্রয়মূল্য নাকি বাজারমূল্যে হবে- এ নিয়ে মতপার্থক্য প্রায় এক দশক ধরেই। বাজারমূল্য বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করায় পুঁজিবাজারে অযাচিত ক্রয়চাপ তৈরি হয় আর গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে দুই পক্ষের বৈঠক শেষে বিএসইসি জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রয়মূল্যে বিনিয়োগসীমা নির্ধারণে রাজি হয়েছে। কিন্তু আট মাসেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে অর্থপ্রবাহ কমে আসার পর গত বৃহস্পতিবার দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। আগমী মঙ্গলবার এই বৈঠক হবে, এমন খবর আসার পরও রোববার বড় দরপতনে দেখা দেয় আতঙ্ক।

সেই সন্ধ্যাতেই বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম দেখা করেন অর্থ সচিবের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। বন্ডে বিনিয়োগ যেন পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বাইরে থাকে, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে আলাদাভাবে বসতে মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন তিনি।

এই বৈঠকের খবর গণমাধ্যমে আসার পর সোমবার সূচক বেড়েই শুরু হয় লেনদেন। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন হচ্ছিল। তখন মনে হচ্ছিল, আগের ছয় দিনের চাপ থেকে বুঝি মুক্তি মিলবে। কিন্তু শেয়ারদর বেড়ে যাওয়ার পর বিক্রয় চাপ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে বেলা ২টা ৭ মিনিটে সূচক দিনের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে ৬৫ পয়েন্ট কমে লেনদেন হতে থাকে।

সে সময় সূচক আগের দিনের চেয়ে বেশি ছিল কেবল ৫ পয়েন্ট। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, পতনে টানা সাত দিনের পতনের বেদনাদায়ক স্মৃতি বুঝি আবার ফিরে আসে। তবে দিন শেষে সেখান থেকে কিছুটা বেড়ে লেনদেন শেষ হয় ৬ হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট বেশি।

সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব যেসব কোম্পানির

সূচক বাড়ানোয় প্রধান ভূমিকায় ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ বা আইসিবি। শেয়ারদর ৩.৩৬ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৪.৭ পয়েন্ট।

ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারদর ২.২৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ২.১৩ পয়েন্ট, আইএফআইসি ব্যাংকের দর ২.২৩ শতাংশ বাড়ার কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ১.০৯ পয়েন্ট।

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ
এই ১০টি কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে

এছাড়া লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার, পাওয়ারগ্রিড, ইসলামী ব্যাংক, জেনেক্স ইনফোসিস, আইপিডিসি ও পূবালী ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়ায় সূচকে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট যোগ হয়েছে।

এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক বেড়েছে ১১.৪০ পয়েন্ট।

বিপরীতে কেবল বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারদর ২.৭৬ শতাংশ কমার কারণে সূচক পড়েছে ৫.০৪ পয়েন্ট। একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্মিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের দর ২.৫৮ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৩.০২ পয়েন্ট।

রেনাটা, গ্রামীণ ফোন, বিকন ফার্মা, মবিল যমুনা, মেঘটা পেট্রলিয়াম, সোনালী পেপার ও ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি শেয়ারের দর কমার কারণেও সূচক থেকে কমেছে কিছু পয়েন্ট।

সব মিলিয়ে এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচক কমেছে ১১.৮৯ পয়েন্ট।

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ
সূচক সবচেয়ে বেশি কমিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি

দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০

নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি পেস্ট্রিসাইডস ও সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স আবারও দর বৃদ্ধির শীর্ষ দুই কোম্পানি হিসেবে উঠে এসেছে।

গত ১৪ নভেম্বর তালিকাভুক্ত হওয়ার পর টানা ১২ কর্মদিবস শেয়ারদর যত বাড়া সম্ভব, বাড়ল ততটাই। গত দুই কর্মদিবস ধরে লেনদেনের গতি বেশ ভালো।

আগের দিন প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার লেনদেন হয়। সেদিন হাতবদল হয় ২ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ টি শেয়ার। এবার আরও বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ২৬ হাজার ৩০৩টি।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সেনাকল্যাণের শেয়ারদর সর্বোচ্চ পরিমাণ বাড়ল টাকা ১৭ কর্মদিবস। কোম্পানিটির লেনদেন শুরু হয় গত ৭ নভেম্বর। ১০ টাকায় তালিকাভুক্ত হয়ে দাম উঠেছে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। তবে এখনও বলার মতো শেয়ার লেনদেন হয়নি। আজই সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪২ হাজার ৯০৭টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা একটিভ ফাইন কেমিক্যালসের দর বেড়েছে ৯.৬৭ শতাংশ। পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করার পর ফ্যামিলি টেক্স উঠে এসেছে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানির চতুর্থ স্থানে। আগের দিন শেয়ারদর ছিল ৪ টাকা ৪০ পয়সা। বাড়ার সুযোগ ছিল ৪০ পয়সা। বেড়েছেও তা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৯.০৯ শতাংশ।

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ

বস্ত্র খাতেরই আরেক কোম্পানি জেনারেশন নেক্সটের দর ৮.৯২ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এএফসি অ্যাগ্রোর দর ৮.৭৫ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমানের দর ৮.৭১ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের দর ৮.১০ শতাংশ আর সালভো ক্যামিকেলের দর বেড়েছে ৭.৭১ শতাংশ।

সব মিলিয়ে ৯ শতাংশের বেশি শেয়ারদর বেড়েছে ৪টি কোম্পানির, ৮ শতাংশের বেশি বেড়েছে আরও ৪টির দর।

এ ছাড়া ২টি কোম্পানির দর ৭ শতাংশের বেশি, ৩টি কোম্পানির ৫ শতাংশের বেশি, ৫টি কোম্পানির ৪ শতাংশের বেশি, ১৩টি কোম্পানির দর ৩ শতাংশের বেশি, ৫৬টি কোম্পানির দর বেড়েছে ২ শতাংশের বেশি।

দরপতনের শীর্ষ ১০

এই তালিকায় শীর্ষে ছিল এমারেল্ড অয়েল যার দর কমেছে ৩.৯২ শতাংশ। চার বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ কোম্পানিটি সম্প্রতি উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই উৎপাদন শুরুর ঘোষণা ছিল গত ১ সেপ্টেম্বর থেকেই। তবে নানা জটিলতায় তা করা যায়নি।

এ কারণে শেয়ারদর ৪৪ টাকা থেকে কমে ৩১ টাকায় নেমে এসেছিল। সম্প্রতি গণমাধ্যমের খবরে এসেছে যে, আগের মালিকের শেয়ার হস্তান্তরসহ নানা জটিলতার অবসান হয়েছে। এই খবরে শেয়ারদর ৩১ টাকা থেকে বেড়ে আবার ৩৬ টাকা হয়ে যায়। তবে আজ কিছুটা কমে দাম দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৩০ পয়সা।

পতন থামলেও হারিয়েছে শেয়ার কেনার আগ্রহ

লোকসানে থেকেও শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিচ হ্যাচারির দর কমেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.৭৪ শতাংশ।

এছাড়া সুঋদ ইন্ডাস্ট্রিজের দর ৩.৬৩ শতাংশ, আমামিট সিমেন্টের দর ৩.৬০ শতাংশ, দেশ গার্মেন্টসের দর ২.৯৯ শতাংশ, কুইন সাউথ টেক্সটাইলের দর ২.৯৭ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর ২.৭৬ শতাংশ, বেক্সিমকো লিমিটেডের দর ২.৭৫ শতাংশ, বেক্সিমকো ফার্মার দর ২.৫৭ শতাংশ ও ইনডেক্স অ্যাগ্রোর দর কমে ২.০৪ শতাংশ।

লেনদেনের শীর্ষ ১০

টানা চার কর্মদিবস দরপতন হওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড লেনদেনের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। তবে কিছুদিন আগে নিয়মিত দুই থেকে তিনশ কোটি টাকার বেশি টাকার শেয়ার হাতবদল হলেও তা নেমে এসেছে একশ কোটি টাকার নিচে। হাতবদল হয়েছে ৮৩ কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।

লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জেনেক্স ইনফোসিস, যার ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়।

বেক্সিমকো ফার্মা, ব্র্যাক ব্যাংক, ডেল্টা লাইফ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, আইএফআইসি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ফরচুন সুজ ও এএফসি অ্যাগ্রো ছিল সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি।

এই ১০টি কোম্পানিতেই হাতবদল হয়েছে৩২৫ কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৪৬.০২ শতাংশ।

সব মিলিয়ে শীর্ষ ২০ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ৪০৭ কোটি ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫৭.৫৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিটের বাইরে থাকতে পারে বন্ড
শেয়ারে দেড় টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা বিকনের
বৈঠকের খবরেও বড় পতনে আতঙ্ক
দরপতন: পুঁজিবাজার নিয়ে বসছে বাংলাদেশ ব্যাংক-বিএসইসি
পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Capital Market Index is increasing transactions

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

p
উপরে