দিন দিন পুরান ঢাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং ও এর সদস্যরা। তারা প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাই, মেয়েদের লাঞ্ছিত করা ও মাদকের আসর বসানোর মতো অপরাধ করছে।
শুধু তা-ই নয়, লালবাগ, বংশাল, চকবাজার, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, ওয়ারী ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গত এক বছরে এ চক্রের সদস্যদের হাতে ১০ কিশোর নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় কয়েকজন কারাগার ও কিশোর সংশোধনাগারে থাকলেও অন্য সদস্যরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে ভিকটিমদের হুমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
গত মার্চে পবিত্র শবেবরাতের রাতে সূত্রাপুরের ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় সিগারেট খাওয়া নিয়ে কিশোরদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারায় আরিফ হোসেন অনন্ত নামে আরেক কিশোর। হামলায় আহত হয় নিহতের বন্ধু সাজু আহমেদ ও সোহেল। হতাহতদের বয়স ১৪-১৫ বছরের মধ্যে।
গত ২১ জুন কিশোর গ্যাংয়ের হাতে বংশাল আগামসিহ লেনে আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইমন খুন হয়। এ ঘটনায় পাঁচ আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠালেও গত মাসে দুই আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্রয় পাচ্ছে তারা। ওই এলাকার বাংলাদেশ মাঠসংলগ্ন (পাকিস্তান মাঠ নামেও পরিচিত) আলাবাসুদ গ্রুপের সদস্য সাত রওজা এলাকার লিমন, আকাশ, সিহাব, বাচ্চা সিপাত ও দাঙ্গা রাও সোহাগ নামের কয়েক কিশোর এসব হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, তারা একটি গ্যাংয়ের সদস্য।
গত মার্চে বাংলাদেশ মাঠের পাশে মাজেদ সরদার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আকিব হোসেন আলতাবকে কুপিয়ে ফেলে রাখে একদল কিশোর। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের কারণে তার শতাধিক সেলাই লেগেছে। দুই মাস বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ছিল আকিব।
ফুটবল খেলার আলোচনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ মাঠের পাশে আকিবকে কুপিয়েছে উঠতি বয়সী ১০-১২ কিশোর। বাবু নামের এক কিশোর আকিবের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে, ‘তোর টিকটক বানানো ছুটাইয়া দিমু।’
এ সময় কালু নামের এক কিশোর পেছন থেকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। বাবু নামের এক কিশোর চাকু দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ফুসফুস ফেটে যায়।
এ মামলার আসামিদের অনেককে জেলে পাঠানো হলেও পরে বের হয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সিফাত, শাহাদাত, জিহাদ ও বাবু প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে তাকে। এ নিয়ে বংশাল থানায় ফের জিডি করেও কোনো প্রতিকার পায়নি আকিবের পরিবার।
গত ২৭ জুন পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাসার প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কবি নজরুল কলেজের পাশে উইনস্টন গলিতে প্রবেশ করলে একটি ছেলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী প্রথমে সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরে মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। প্রভাবশালী কোনো নেতার ছত্রছায়ার কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শনাক্ত হতে দেরি হচ্ছে, দাবি করেন ওই এলাকায় থাকা তার সহপাঠীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির নাট্যকলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীকে দুই কিশোর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লক্ষ্মী বাজারের অনার্সের এক ছাত্রী বলেন, কিছুদিন আগে সন্ধ্যার দিকে লালকুঠিতে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাই। হঠাৎ সে সময় আমাদের ঘিরে ধরে ১০-১২ জন উঠতি বয়সী ছেলে। সবার চুল ও পোশাক দেখে বখাটে মনে হয়েছে। পরে চিৎকার দিয়ে আমরা চলে আসি।
পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের কাঠের পুল লেনের বাসিন্দা জেসমিন আক্তার (ছদ্মনাম)। মেয়েসহ পরিবার নিয়ে যে নির্মাণাধীন ভবনে তারা থাকেন রাত হলেই সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিদিন ১০-১৫ জন কিশোর মাদক নিতে সেই ভবনে ওঠে। সবারই বয়স ১৫-২২ বছরের মধ্যে। মাদক গ্রহণসহ রাতে যেসব ফ্ল্যাটে মেয়ে আছে সেসব দরজায় তারা শব্দ করতে থাকেন অনবরত। তাদের অত্যাচারে ভবনের মালিক গেটে একাধিকবার তালা দিলেও সেটি ভেঙে ছাদে উঠে তারা। সারা রাত সেখানে মাদক সেবনসহ চিৎকার-চেঁচামেচি করে সকালে বের হয়।
তাদের বিপক্ষে কথা বললে উল্টো বিপদ আরও বাড়ে বলে জানান জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমি চাকরি করি। কিছু বলতে পারি না, কারণ আমার ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। ওরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকে। পুলিশের কথা বললে তারা বলে, আমাদের বের হতে কয়েক মিনিটের ব্যাপার।’
এ এলাকা ছাড়াও পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার, কলতাবাজার, পানিটোলা, লালকুঠি, শ্যামবাজার, ইসলামপুর, বাবুবাজারসহ সদরঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেরদৌস গ্রুপ, সাজু গ্রুপ, সিনিয়র গ্রুপ, জুনিয়র গ্রুপ, টাইগার গ্রুপ, চিতা গ্রুপ, বড় বাপের পোলাসহ অংসখ্য কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। প্রতিটি গ্যাংয়ে ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি কিশোর রয়েছে।
এদের কেউ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে। কেউ এখনও পড়ছে। কেউ মাদকের মামলার আসামি। সন্ধ্যা হলেই পুরান ঢাকার গলিগুলো ভীতিকর অবস্থায় পরিণত হয়। গলিতে গলিতে জড়ো হয়ে চালায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল।
এ ছাড়া আড্ডার সময় কোনো পথচারী, মেয়ে বা বৃদ্ধ রিকশাচালক সামনে পড়লে রেহাই নেই। কেউ হারায় কাছে থাকা অর্থ-সম্পদ সর্বস্ব। নারীরা হারায় সম্মান। হাতিয়ার হিসেবে তারা ব্যবহার করে ছুরি, চায়নিজ চাকু ও ব্লেড। বীরত্ব দেখাতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে রাস্তায় খুনোখুনি করতেও তাদের হাত কাঁপে না।
গত শবেবরাতের রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত হয় অন্তর নামের এক কিশোর। প্রথম তারাবির দিনেও একজন জখম হয়। এ ছাড়া তাদের মাধ্যমে ধর্ষণ ও ইভ টিজিংয়ের মতো ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীবাজারের অনেক ভবনের ছাদে ছাদে চলে মাদকের আসর। বাংলাবাজার ও সদরঘাটে কর্মরত কম বয়সী কিশোর-যুবকরা স্থানীয়দের নিয়ে ছাদে মদ, গাঁজা ও জুয়ার আসর বসায় বলে অভিযোগ।
এতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মাদকাসক্ত এসব কিশোর-যুবক সুযোগ পেলেই বাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে চুরির মতো অপরাধে জড়ায়। তারা মাদকের টাকার জন্য ছিনতাইও করে।
পুরান ঢাকায় ছিনতাইয়ের অধিকাংশ ঘটনা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। গলির ভেতরে কাউকে একা পেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করা হয়। স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পদধারী বা নামধারী কোনো না কোনো ‘বড় ভাই’-এর শেল্টারে থাকায় ছিনতাইয়ের ভাগ এসব বড় ভাই ও নেতাদের দিতে হয়।
সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিপ্রা সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারিতে উঠতি বয়সী ছেলেদের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাইরে তাদের আড্ডা দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বয়সন্ধিকালের এ সময়ে তারা কখন কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। আবেগ ও অনুভূতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসব কিশোর পরিবারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও থাকে না।
‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, দারিদ্র্য, পরিবারে ভাঙন ও প্রযুক্তির প্রভাবে তারা ছোট ছোট অপরাধ করতে করতে বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
তিনি বলেন, হতাশা ও সমাজের নানা পারিপার্শ্বিকতায় তারা অপরাধী হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইন প্রয়োগের অভাবেও এসব অপরাধ বাড়ছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কিশোরদের তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান চলছে। এতে অনেককে আটক করা হয়েছে। বড় ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অনেককে ধরেছি। তাদের একেকজনের অপরাধ একেক রকম। যারা আড্ডার সময় মুরুব্বিদের ও মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে তাদের ধরে তাদের পরিবারের মাধ্যমে সংশোধনের ব্যবস্থা করছি। এ ছাড়া যারা বড় ধরনের অপরাধ করছে, তাদের ধরে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কারো কোনো অভিযোগ আমাদের জানালে আমরা অভিযান চালাব।’
আরও পড়ুন:দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন, হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে ঘিরে বুধবার সকাল থেকেই চবিতে ঈদের উৎসব বিরাজমান। শিক্ষার্থীরা দলে দলে শাটলে ও বাসে এসে সবুজের রাজ্য খ্যাত চবি ক্যাম্পাসে নামছেন। সকাল নয়টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে এখনো চলমান রয়েছে। ভোট প্রদানের পর শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোন হাতে ছবি, ভিডিও নিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেছেন। তবে এসব আনন্দের অংশ হতে পারেনি ২৪২ জন ভোটার।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন এবং হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকেই চবি ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শাটল ট্রেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে দলে দলে শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সবুজে ঘেরা ক্যাম্পাসে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ দুপুর পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চলতে থাকে। ভোট প্রদান শেষে শিক্ষার্থীরা স্মার্টফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আনন্দ-উচ্ছ্বাস ভাগাভাগি করেন।
তবে এই আনন্দের অংশ হতে পারেননি ২৪২ জন শিক্ষার্থী, যারা বৈধ ছাত্র হয়েও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
চাকসু নির্বাচনে এবার ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন ভোটার রয়েছে পিএইচডি ও এমফিল গবেষক শিক্ষার্থী। যারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গেও তারা যুক্ত আছেন। এতে নৈতিকতার দিক থেকে ভোট প্রদান করতে পারবেন না তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২৭ হাজার ৫০০ ভোটারের মধ্যে ২৪২ জন পিএইচডি ও এমফিল পর্যায়ের শিক্ষার্থী। নিয়ম অনুযায়ী তারাও এবার ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ফলে এসব শিক্ষকদেরও ভোটার হিসেবে ধরা হয়েছে, যেহেতু তারা এখনো শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত।
তবে আমি নিজেও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা, হোস্টেল, হল ও প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করছেন। তাই আমি মনে করি, ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও আমাদের ভোট প্রদান করা নৈতিক হবে না। এ কারণেই সংশ্লিষ্ট সবাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”
২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’
রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।
নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।
এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।
এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”
ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।
ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।
মন্তব্য