দিন দিন পুরান ঢাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং ও এর সদস্যরা। তারা প্রতিনিয়ত চুরি-ছিনতাই, মেয়েদের লাঞ্ছিত করা ও মাদকের আসর বসানোর মতো অপরাধ করছে।
শুধু তা-ই নয়, লালবাগ, বংশাল, চকবাজার, কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, ওয়ারী ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গত এক বছরে এ চক্রের সদস্যদের হাতে ১০ কিশোর নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় কয়েকজন কারাগার ও কিশোর সংশোধনাগারে থাকলেও অন্য সদস্যরা জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে ভিকটিমদের হুমকি দিচ্ছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
গত মার্চে পবিত্র শবেবরাতের রাতে সূত্রাপুরের ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় সিগারেট খাওয়া নিয়ে কিশোরদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরই একপর্যায়ে এক কিশোরের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারায় আরিফ হোসেন অনন্ত নামে আরেক কিশোর। হামলায় আহত হয় নিহতের বন্ধু সাজু আহমেদ ও সোহেল। হতাহতদের বয়স ১৪-১৫ বছরের মধ্যে।
গত ২১ জুন কিশোর গ্যাংয়ের হাতে বংশাল আগামসিহ লেনে আহমেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইমন খুন হয়। এ ঘটনায় পাঁচ আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠালেও গত মাসে দুই আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে মামলার বাদী ও পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। অভিযোগ আছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্রয় পাচ্ছে তারা। ওই এলাকার বাংলাদেশ মাঠসংলগ্ন (পাকিস্তান মাঠ নামেও পরিচিত) আলাবাসুদ গ্রুপের সদস্য সাত রওজা এলাকার লিমন, আকাশ, সিহাব, বাচ্চা সিপাত ও দাঙ্গা রাও সোহাগ নামের কয়েক কিশোর এসব হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, তারা একটি গ্যাংয়ের সদস্য।
গত মার্চে বাংলাদেশ মাঠের পাশে মাজেদ সরদার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আকিব হোসেন আলতাবকে কুপিয়ে ফেলে রাখে একদল কিশোর। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর জখমের কারণে তার শতাধিক সেলাই লেগেছে। দুই মাস বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ছিল আকিব।
ফুটবল খেলার আলোচনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ মাঠের পাশে আকিবকে কুপিয়েছে উঠতি বয়সী ১০-১২ কিশোর। বাবু নামের এক কিশোর আকিবের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলে, ‘তোর টিকটক বানানো ছুটাইয়া দিমু।’
এ সময় কালু নামের এক কিশোর পেছন থেকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। বাবু নামের এক কিশোর চাকু দিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ফুসফুস ফেটে যায়।
এ মামলার আসামিদের অনেককে জেলে পাঠানো হলেও পরে বের হয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সিফাত, শাহাদাত, জিহাদ ও বাবু প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে তাকে। এ নিয়ে বংশাল থানায় ফের জিডি করেও কোনো প্রতিকার পায়নি আকিবের পরিবার।
গত ২৭ জুন পুরান ঢাকার কলতাবাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাসার প্রয়োজনীয় বাজার নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় কবি নজরুল কলেজের পাশে উইনস্টন গলিতে প্রবেশ করলে একটি ছেলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী প্রথমে সূত্রাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও পরে মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। প্রভাবশালী কোনো নেতার ছত্রছায়ার কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শনাক্ত হতে দেরি হচ্ছে, দাবি করেন ওই এলাকায় থাকা তার সহপাঠীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির নাট্যকলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থীকে দুই কিশোর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লক্ষ্মী বাজারের অনার্সের এক ছাত্রী বলেন, কিছুদিন আগে সন্ধ্যার দিকে লালকুঠিতে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে যাই। হঠাৎ সে সময় আমাদের ঘিরে ধরে ১০-১২ জন উঠতি বয়সী ছেলে। সবার চুল ও পোশাক দেখে বখাটে মনে হয়েছে। পরে চিৎকার দিয়ে আমরা চলে আসি।
পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের কাঠের পুল লেনের বাসিন্দা জেসমিন আক্তার (ছদ্মনাম)। মেয়েসহ পরিবার নিয়ে যে নির্মাণাধীন ভবনে তারা থাকেন রাত হলেই সেখানে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রতিদিন ১০-১৫ জন কিশোর মাদক নিতে সেই ভবনে ওঠে। সবারই বয়স ১৫-২২ বছরের মধ্যে। মাদক গ্রহণসহ রাতে যেসব ফ্ল্যাটে মেয়ে আছে সেসব দরজায় তারা শব্দ করতে থাকেন অনবরত। তাদের অত্যাচারে ভবনের মালিক গেটে একাধিকবার তালা দিলেও সেটি ভেঙে ছাদে উঠে তারা। সারা রাত সেখানে মাদক সেবনসহ চিৎকার-চেঁচামেচি করে সকালে বের হয়।
তাদের বিপক্ষে কথা বললে উল্টো বিপদ আরও বাড়ে বলে জানান জেসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমি চাকরি করি। কিছু বলতে পারি না, কারণ আমার ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। ওরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকে। পুলিশের কথা বললে তারা বলে, আমাদের বের হতে কয়েক মিনিটের ব্যাপার।’
এ এলাকা ছাড়াও পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারীবাজার, কলতাবাজার, পানিটোলা, লালকুঠি, শ্যামবাজার, ইসলামপুর, বাবুবাজারসহ সদরঘাটের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফেরদৌস গ্রুপ, সাজু গ্রুপ, সিনিয়র গ্রুপ, জুনিয়র গ্রুপ, টাইগার গ্রুপ, চিতা গ্রুপ, বড় বাপের পোলাসহ অংসখ্য কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। প্রতিটি গ্যাংয়ে ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি কিশোর রয়েছে।
এদের কেউ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে। কেউ এখনও পড়ছে। কেউ মাদকের মামলার আসামি। সন্ধ্যা হলেই পুরান ঢাকার গলিগুলো ভীতিকর অবস্থায় পরিণত হয়। গলিতে গলিতে জড়ো হয়ে চালায় বেপরোয়া মোটরসাইকেল।
এ ছাড়া আড্ডার সময় কোনো পথচারী, মেয়ে বা বৃদ্ধ রিকশাচালক সামনে পড়লে রেহাই নেই। কেউ হারায় কাছে থাকা অর্থ-সম্পদ সর্বস্ব। নারীরা হারায় সম্মান। হাতিয়ার হিসেবে তারা ব্যবহার করে ছুরি, চায়নিজ চাকু ও ব্লেড। বীরত্ব দেখাতে তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে রাস্তায় খুনোখুনি করতেও তাদের হাত কাঁপে না।
গত শবেবরাতের রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত হয় অন্তর নামের এক কিশোর। প্রথম তারাবির দিনেও একজন জখম হয়। এ ছাড়া তাদের মাধ্যমে ধর্ষণ ও ইভ টিজিংয়ের মতো ঘটনা অহরহ ঘটতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, লক্ষ্মীবাজারের অনেক ভবনের ছাদে ছাদে চলে মাদকের আসর। বাংলাবাজার ও সদরঘাটে কর্মরত কম বয়সী কিশোর-যুবকরা স্থানীয়দের নিয়ে ছাদে মদ, গাঁজা ও জুয়ার আসর বসায় বলে অভিযোগ।
এতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। মাদকাসক্ত এসব কিশোর-যুবক সুযোগ পেলেই বাসার মধ্যে ঢুকে পড়ে চুরির মতো অপরাধে জড়ায়। তারা মাদকের টাকার জন্য ছিনতাইও করে।
পুরান ঢাকায় ছিনতাইয়ের অধিকাংশ ঘটনা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মাধ্যমে হয়ে থাকে বলে জানা গেছে। গলির ভেতরে কাউকে একা পেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করা হয়। স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের পদধারী বা নামধারী কোনো না কোনো ‘বড় ভাই’-এর শেল্টারে থাকায় ছিনতাইয়ের ভাগ এসব বড় ভাই ও নেতাদের দিতে হয়।
সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিপ্রা সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারিতে উঠতি বয়সী ছেলেদের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বাইরে তাদের আড্ডা দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। বয়সন্ধিকালের এ সময়ে তারা কখন কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। আবেগ ও অনুভূতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এসব কিশোর পরিবারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও থাকে না।
‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, দারিদ্র্য, পরিবারে ভাঙন ও প্রযুক্তির প্রভাবে তারা ছোট ছোট অপরাধ করতে করতে বড় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
তিনি বলেন, হতাশা ও সমাজের নানা পারিপার্শ্বিকতায় তারা অপরাধী হয়ে উঠছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইন প্রয়োগের অভাবেও এসব অপরাধ বাড়ছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কিশোরদের তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযান চলছে। এতে অনেককে আটক করা হয়েছে। বড় ধরনের অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
‘আমরা সাম্প্রতিক সময়ে অনেককে ধরেছি। তাদের একেকজনের অপরাধ একেক রকম। যারা আড্ডার সময় মুরুব্বিদের ও মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে তাদের ধরে তাদের পরিবারের মাধ্যমে সংশোধনের ব্যবস্থা করছি। এ ছাড়া যারা বড় ধরনের অপরাধ করছে, তাদের ধরে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কারো কোনো অভিযোগ আমাদের জানালে আমরা অভিযান চালাব।’
আরও পড়ুন:টানা বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বুধবার (৯ জুলাই) ডিএসসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করার কারণে আজ এসব এলাকায় আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় দক্ষিণ-পূর্ব বা দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি বেগে বাতাসসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৪৫ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বৃষ্টিপাত আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ার্ডভিত্তিক ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় কোথাও অস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিলে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের (০১৭০৯৯০০৮৮৮) নম্বরে জানানোর জন্য জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবের মদিনা থেকে ৩৮৭ জন হজযাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণের পর যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এ কারণে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
শনিবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি১৩৮ ফ্লাইটটি শাহ আমানতে অবতরণের পর এ গোলযোগ দেখা দেয়। এরপর ত্রুটি সারিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নমিয়ে আনা হয়।
বিষয়টি নিশ্চত করে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, আজ সকালে অবতরণের পর রানওয়ে-২৩ প্রান্তে গিয়ে ফ্লাইটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে থেমে যায় এবং আর চলতে পারে না।
এরপর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমানটিকে টাগকারের মাধ্যমে রানওয়ে থেকে সেটিকে সরিয়ে অ্যাপ্রোনে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রানওয়ে সাময়িক বন্ধ থাকলেও বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং ফ্লাইটে থাকা সব হজযাত্রী নিরাপদেই ছিলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃক আজ শনিবার (০৫ জুলাই) সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর উদ্যান সংলগ্ন ডিএসসিসি অঞ্চল-০৪ এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংসে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া এঁর উপস্থিতিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী উপর্যুক্ত অভিযানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ০৬:০০ ঘটিকায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের ছয় শতাধিক কর্মী এবং স্থানীয় সোসাইটির জনগণ এই বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে ডিএসসিসির অঞ্চল-০৪ ভুক্ত ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪২ ও ৪৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় ড্রেন, নর্দমা ও ফুটপাতের ময়লা পরিষ্কার ও মশার ঔষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে জনসচেতনতামূলক একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
পরিচ্ছন্নতা প্রোগ্রাম চলাকালীন সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ ব্যতিত বিশাল জনসংখ্যার এই ঢাকা শহরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়।আমরা যদি নিজেরা সচেতন হই, অন্তত নিজের আঙিনা নিজে পরিষ্কার করি তাহলে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।" সরকার 'ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অনান্য রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকা-২০২৫' প্রণয়ন করছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, নির্দেশিকায় সরকারের এবং নাগরিকদের দায়িত্ব সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, "ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও বিশেষ মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানের এটি আমাদের চতুর্থ পর্ব। বিশেষ এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় নাগরিকদের সম্পৃক্তকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি।" বিশেষ অভিযানের পাশাপাশি নিয়মিত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, এডাল্টিসাইডিংয়ে ব্যবহৃত প্রতিটি ফগার মেশিন প্রতি কীটনাশক ৩০ লিটার থেকে দ্বিগুন বৃদ্ধি করে ৬০ লিটার করা হয়েছে। এছাড়া, মশার ঔষধ ছিটানো নিশ্চিতকরণে অঞ্চলভিত্তিক তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো: জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় প্রধান এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত নরসিংদী বেলাবো উপজেলার মো. ইমরান হোসেনের চিকিৎসা ও অপারেশনের সার্বিক দায়িত্ব নিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান।
তারেক রহমানের নির্দেশনায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)-এর সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহর নেতৃত্বে এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুনের উপস্থিতিতে শুক্রবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে যান একটি প্রতিনিধি দল।
এ সময় নেতৃবৃন্দ চিকিৎসাধীন মো. ইমরান হোসেনের কাছে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডা. জুবাইদা রহমানের সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এম আর হাসান, ডা. রাকিব জামান, শেকৃবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কৃষিবিদ নাহিয়ান হোসেন, কৃষিবিদ মহতির অন্তর, কৃষিবিদ মিসবাউল আলম, কৃষিবিদ শোয়াইব হোসেন, কৃষিবিদ মোরসালিন অনিক, কৃষিবিদ সালমান রকিব, কৃষিবিদ মারুফ আহমেদ, কৃষিবিদ আল মোন্তাকিম নোমান, কৃষিবিদ তাকরিম তাসওয়ার, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের ডা. ফিরোজ আহমেদ, ডা. নাফিস বিন শামিম, ডা. নাফিস মাহমুদ ও ডা. আজহারুল ইসলামসহ অসংখ্য কৃষিবিদ ও ডাক্তার ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি’র মিডিয়া সেলের ফেইসবুক পেইজে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন পর গতকাল সকালে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোর। তবে এক দিন পরই বায়ুমানে ফের অবনতি হয়েছে শহরটির। অন্যদিকে, কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে ঢাকার বাতাসের।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় লাহোরের বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১৫৩, দূষণের এই মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
দীর্ঘদিন একিউআই স্কোর ১৫০ বা তার ওপরে থাকা লাহোরের বাতাসের মান গতকাল সকালে ১২৪-এ নামে। সেইসঙ্গে দূষিত শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকেও বের হতে সক্ষম হয় শহরটি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই তা আবারও পুরনো জায়গায় ফিরে গেছে পাকিস্তানের এই শহর।
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ শহর হয়েছে লাহোর। ১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তার ঠিক উপরে রয়েছে মিসরের কায়রো। আর ১৮৯ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ সকালে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস বিরাজ করছে চিলির সান্তিয়াগোতে।
কেমন আছে ঢাকা
এদিকে, বর্ষার কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকার বায়ুমান ‘মাঝারি’ অবস্থায় রয়েছে। গতকালও তা-ই ছিল, তবে আজ বাতাসের মানে তার চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঢাকার।
আজ সকালে ৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার ৩১তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা। গতকাল সকালে এই স্কোর ছিল ৭৯।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে গতকাল সকালের মতোই তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ। একই সময়ে দিল্লির বাতাসের সূচক ৮৯ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ২০তম।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।
তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।
আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।
আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মন্তব্য