× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is a doctor in the 31 bed hospital
google_news print-icon

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’

৩১-শয্যার-হাসপাতালে-চিকিৎসক-থাকেন-একজন
নেত্রকোণার ৩১ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন মাত্র একজন। ছবি: নিউজবাংলা
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলা হাসপাতালে কাগজে-কলমে পাঁচজন চিকিৎসক থাকলেও বাস্তবে দেখা মেলে মাত্র একজনের। কর্মরত চিকিৎসকরা সেখানে সপ্তাহভিত্তিক পালা করে থাকেন। সেই একজন চিকিৎসক দিয়েই চলে গোটা উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দার চিকিৎসা।

নেত্রকোণার বানিয়াহাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু দেব রায় কিছুদিন আগে প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে সকাল ৭টার দিকে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে দেখেন, পুরো হাসপাতালেই নেই কোনো চিকিৎসক। ওয়ার্ডবয় আর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা চালাচ্ছেন জরুরি বিভাগ।

অমলেন্দু রায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে কর্মচারীরা হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকা এক চিকিৎসককে ফোন করলে তিনি কিছু ওষুধের কথা বলে দেন। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অমলেন্দু নিজেই পরে ফোন করেন চিকিৎসককে। এর ঘণ্টাখানেক পর ওই চিকিৎসক হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেন।

ঘটনাটি নেত্রকোণার হাওরদ্বীপ খ্যাত খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। লক্ষাধিক জনসংখ্যার দুর্গম উপজেলাটিতে এটিই একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। তবে চিকিৎসক ও কর্মচারীর সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব এবং অবহেলা ও নানা অব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি থেকে স্থানীয়রা ন্যূনতম সেবাও পাচ্ছেন না।

সাধারণ চিকিৎসার জন্যও তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে জেলা সদর বা কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের হাসপাতালগুলোর ওপর। অথচ অবকাঠামোর দিক দিয়ে খালিয়াজুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অন্য অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেয়ে উন্নত।

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেন, কিন্তু নেই কোনো চালক

৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এটির নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় প্রায় দুই যুগ আগে। এ হাসপাতালে রোগীদের সেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকের ১০টি পদ থাকলেও আছেন পাঁচজন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে কাগজে-কলমে পাঁচজন চিকিৎসক থাকলেও বাস্তবে দেখা মেলে মাত্র একজনের। কর্মরত চিকিৎসকরা সেখানে সপ্তাহভিত্তিক পালা করে থাকেন। সেই একজন চিকিৎসক দিয়েই চলে গোটা উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দার চিকিৎসা।

আধুনিক জীবনযাত্রা এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ না থাকায় চিকিৎসক-কর্মচারীদের কেউই সেখানে থাকতে চান না। কাউকে সেখানে নিয়োগ দেয়া হলেও তদবির করে কিছুদিনের মধ্যেই অন্য স্থানে বদলি হয়ে যান।

এ ছাড়া পাঁচটি ইউনিয়ন সাব-সেন্টারের জন্য পাঁচজন মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেই পদগুলোও খালি পড়ে আছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চিকিৎসকের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদও এক-তৃতীয়াংশ খালি। কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৮৬টি পদের বিপরীতে আছেন ৩২ জন। গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি।

সবশেষ হাসপাতালটিতে নার্সের ১৪ পদের বিপরীতে ছিলেন ৯ জন। মাসখানেক আগে তাদের সবাইকে অন্য স্থানে বদলি করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনজন চলে গেছেন। নতুন কেউ না আসায় বাকিরা যেতে পারছেন না।

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’
নৌকায় অথবা কাদাপানি মাড়িয়ে প্রসূতিরা সেবা নিতে গেলেও পড়েন নানা বিড়ম্বনায়। ছবি: নিউজবাংলা

এ ছাড়া চারজন মিডওয়াইফের জায়গায় আছেন দুজন। উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসারের দুটি পদে একজনও নেই। দুজন ফার্মাসিস্টের জায়গায় আছেন একজন। রেডিওগ্রাফারের পদ মাত্র একটি, সেটিও শূন্য।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের (ল্যাবরেটরি) দুটি পদেও কেউ নেই। কাগজপত্রে একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) কাজ করলেও তিনি প্রায় এক যুগ ধরে প্রেষণে অন্য হাসপাতালে দায়িত্বে আছেন। ওয়ার্ডবয়ের তিনটি পদে আছেন একজন। আয়া ও বাবুর্চির দুটি করে পদ থাকলেও বাস্তবে একজনও নেই।

ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পাঁচ পদের সবই শূন্য। অফিস সহায়কের পাঁচটি পদেও কেউ নেই।

আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা কিছু জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কিছু দায়িত্ব। তবে নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

হাসপাতালের চিকিৎসা যন্ত্রগুলোও ব্যবহার হয় না ঠিকমতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, শুরু থেকেই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি অকেজো। রেডিওগ্রাফার না থাকায় তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয় না। আল্ট্রাসনোগ্রাফির মেশিনটি সচল থাকলেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় সেটি বাক্সবন্দি।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি) না থাকায় প্যাথলজি বিভাগটিও কবে থেকে বন্ধ কেউ বলতে পারেননি।

সড়কের দুরবস্থার কারণে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। তবে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেন, কিন্তু চালকের কোনো পদ সৃষ্টি করা হয়নি।

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’
বছরের প্রায় ছয় মাস ক্লিনিকগুলোর চারপাশ অথৈ পানিতে নিমজ্জিত থাকে

স্থানীয় উপজেলা পরিষদ অস্থায়ীভাবে একজন চালক নিয়োগ করলেও অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ এবং ওঠা-নামায় সমস্যার কারণে এটি সচরাচর ব্যবহার করেন না কেউ। এ ছাড়া কম পানির রাস্তায়ও এটি চলে না।

তারা আরও জানান, হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ রোগী চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে আসেন। কখনও চিকিৎসক, আবার কখনও নার্স বা অন্য কর্মচারীরা তাদের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভর্তি করা রোগীর সংখ্যা থাকে সব সময়ই অনেক কম। গড়ে আট-দশজন। তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক আবার বিভিন্ন মামলার আসামি। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিতে তারা ভর্তি থাকেন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় বেশি জটিল বা সংকটাপন্ন রোগীরা কখনই ভর্তি হতে আসেন না। চলে যান জেলা সদরে অথবা ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে।

উপজেলার মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার চিত্র আরও করুণ। ছয় ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও মেন্দিপুর ইউনিয়ন ছাড়া আর কোথায়ও তা নেই। একমাত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতেও নেই কোনো চিকিৎসক।

কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা থেকেও বঞ্চিত খালিয়াজুরীর হাওরের বাসিন্দারা। ছয় ইউনিয়নে ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১০টি। এসব ক্লিনিকে ১৮ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন।

অবকাঠামোগত অসুবিধার কারণেও এসব ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পান না রোগীরা। দাউদপুর, পাঁচহাট, আদমপুর ও নাজিরপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর চারপাশে কোনো রাস্তাই নেই। প্রায় ছয় মাস ক্লিনিকগুলোর চারপাশ অথৈ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। নৌকায় অথবা কাদাপানি মাড়িয়ে প্রসূতিরা সেবা নিতে গেলেও পড়েন নানা বিড়ম্বনায়।

খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী স্বাগত সরকার শুভ বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এ উপজেলার বাসিন্দাদের জরুরি ও জটিল চিকিৎসার একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। এখানে আর কোনো বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র নেই। এমনকি একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারও নেই গোটা উপজেলায়।

‘তাই প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে এখানকার প্যাথলজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে বিভাগটি চালুর পাশাপাশি চিকিৎসকদের শূন্য পদগুলো পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।’

উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহসিন মিয়া বলেন, ‘দিনের বেলায় ডেকেডুকে হলেও অন্তত একজন চিকিৎসক পাওয়া যায়, কিন্তু রাতে নার্স-কর্মচারীরা ছাড়া আর কোনো ভরসা মিলে না। এ কারণে রাতে কেউ অসুস্থ হলে তার স্বজনদের মারাত্মক দুশ্চিন্তা ও দুর্ভোগে পড়তে হয়।

‘গভীর রাতে হাওরের অথৈ জলরাশি বা দুর্গম পথ মাড়িয়ে ছুটতে হয় জেলা সদর বা আশপাশের উপজেলায়, যা দুঃখজনক। বিশেষ করে প্রসূতি নারীদের নিয়ে প্রায়ই এমন বিপাকে পড়তে হয়।’

খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আতাউল গণি উসমানী বলেন, ‘জনবলের অভাবই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সংকট।’

এ ছাড়া কর্মরত চিকিৎসকদের পালাক্রমে দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘দুর্গম এই জনপদে থাকা-খাওয়ার কোনো সু-ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় একেকজনকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই তারা সপ্তাহে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।’

জেলা সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা বলেন, ‘খালিয়াজুরীসহ হাওরাঞ্চলের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই জনবল সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। এ ছাড়া এই দুর্গম জনপদে কেউ থাকতে চায় না। কাউকে এখানে নিয়োগ দেয়া হলে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই বদলির জন্য তদবির শুরু করেন।

‘অনেকে রাজনৈতিক তদবিরে বদলি হয়ে চলে যান। তবে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কিছু জনবল নিয়ে আমরা সংকট সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তা ছাড়া শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছি।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের ৭ বছরেও চালু হয়নি শিশু হাসপাতাল
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরেই রোগীদের নিয়ে দালালদের টানাহ্যাঁচড়া
বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনে গ্যারেজ, আসবাবের স্তূপ
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হুইলচেয়ার আটকে রাখা নারী কে?
সরকারি হাসপাতালে ৯৭ শতাংশ রোগী ওষুধ পায় না

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The bodies of the couple were recovered from the flat in Gazipur

গাজীপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির মরদেহ, টেবিলে চিরকুট

গাজীপুরে ফ্ল্যাটে দম্পতির মরদেহ, টেবিলে চিরকুট গাজীপুরে একটি ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
রোকেয়ার ভাই বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সাত থেকে আট মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছি। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়েছিল। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় টেবিলের ওপরে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

উপজেলার মুলাইদ গ্রামের ফারুক খানের বহুতল ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে শুক্রবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো ইসরাফিল (১৭) শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানান হলদি গ্রামের বাসিন্দা ও তার স্ত্রী রোকেয়া খাতুনের (১৫) বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার পস্তারি গ্রাম।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে গত সাত থেকে আট মাস আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। তারা দুজনই শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের ফারুক হোসেনের বহুতল ভবনে ভাড়া থাকতেন। ইসরাফিল স্থানীয় একটি ওয়ার্কসপে ও রোকেয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।

রোকেয়ার ভাই বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘সাত থেকে আট মাস আগে পরিবারের অমতে তারা বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। বিয়ের পর তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছি। সম্প্রতি ইসরাফিল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। পরে বৃহস্পতিবার তাদের বুঝিয়ে বাসায় আনা হয়। সকালে তাদের মৃত্যুর খবর পাই।’

ইসরাফিলের বাবা মফিজুল হক জানান, পাশাপাশি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন তারা। পরিবারের রান্নার কাজ তারা ইসরাফিলের ফ্ল্যাটে করতেন। শুক্রবার সকালে তাদের ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে যান এবং ইসরাফিলকে ওড়নায় পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় এবং রোকেয়ার মরদেহ খাটের ওপর বিছানায় দেখতে পান।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাখাওয়াত হোসেন জানান, ‘খবর পেয়ে একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে স্ত্রী আত্মহত্যা করে। স্ত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি স্বামী সইতে না পেরে তিনিও আত্মহত্যা করেন।’

এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
গাইবান্ধায় অটোরিকশার চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
ভুট্টা ক্ষেতের পাশে নারীর মরদেহ, পাশে রক্তাক্ত কাঁচি
পদ্মার শাখা নদীতে এবার ভেসে উঠল রামিনের মরদেহ
ঈদের সকালে লিচু বাগানে ট্রাক ড্রাইভারের মরদেহ, নারী আটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A 26 kg coral was caught in the ocean estuary

সাগর মোহনায় ধরা পড়ল ২৬ কেজির কোরাল

সাগর মোহনায় ধরা পড়ল ২৬ কেজির কোরাল কোরাল মাছটি কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়। ছবি: নিউজবাংলা
‘কুয়াকাটা ফিস পয়েন্টের’ পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সাগর মোহনায় সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আজ দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই।’

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর মোহনায় জেলের জালে এবার ধরা পড়েছে ২৬ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের একটি কোরাল মাছ।

পরে সেই মাছটি কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ৩২ হাজার ৭৫০ টাকায়।

কুয়াকাটা পৌর মাছ বাজারের ‘কুয়াকাটা ফিস পয়েন্টের’ পরিচালক নাসির উদ্দিন বৃহস্প‌তিবার দুপুরে মাছটি কেনেন।

তি‌নি বলেন, ‘সাগর মোহনায় সচরাচর এত বড় মাছ পাওয়া যায় না। আজ দুপুরে মাছটি মার্কেটে আসার পর এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে কিনে নেই।’

স্থানীয় জেলেরা জানান, গত মঙ্গলবার কুয়াকাটার বাবলাতলা এলাকার জেলে রাসেল ‘মায়ের দোয়া’ নামের তার ট্রলারটি নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরতে রওনা হন।‌ পরবর্তীতে বলেশ্বর নদীর সাগর মোহনায় রাত ২টার দিকে রাসেলের জালে এ বিশাল কোরাল মাছটি ধরা পড়ে।‌

রাসেল বলেন, ‘তীব্র তাপদা‌হ শুরুর পর থেকে সাগরে মাছ পড়ে না। ভাগ্য সহায় বলে এত বড় মাছ আল্লাহ দিয়েছেন। মাছ‌টি তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় মাছ ব‌্যবসায়ীরা মাছ‌টি ক্রয় করতে চেয়েছেন। পরে কুয়াকাটা মাছ বাজারে এক হাজার ২৫০ টাকা কেজি দরে মাছ‌টি বি‌ক্রি করেছি।’

জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নদ-নদী এবং সাগরে বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। সব সময় বড় মাছ ধরা পড়ছে না। সামুদ্রিক কোরাল এর চেয়েও অনেক বড় হয়।

সরকারের দেয়া ৬৫ দিন সাগরে সব ধরনের মাছ ধরার সফল কার্যক্রমের কারণেই এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:
মেহেরপুরে মৌমাছির আক্রমণে অন্তত ২৫ জন আহত
নেট দুনিয়ায় তথ্য বিক্রির ফাঁদ, পা দিলেই সর্বনাশ
‘আমাদের স্বপ্ন এখন পুকুরের পানিতে ভাসছে’
বিলে বিষ দিয়ে ‘লক্ষাধিক’ টাকার মাছ নিধন
বরগুনার সোনা-বাইম মাছ যাচ্ছে চীনে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegation of embezzlement of Tk 10 crore from the vault of Agrani Bank in Pabna

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা প্রাঙ্গণ। ছবি: নিউজবাংলা
সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অডিটে আসেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায়। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান তারা। পরে অডিট কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনজনকে আটক করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম ও ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী, যাদের বাড়ি পাবনার বিভিন্ন উপজেলায়।

পুলিশের ভাষ্য, টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচ কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অডিটে আসেন অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায়। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান তারা। পরে অডিট কর্মকর্তা সাঁথিয়া থানাকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ করেন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় অফিস থেকে পাঁচ সদস্যের অডিট টিম ব্যাংকে অডিট শুরু করে। ওই টিমের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরা দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তিনজনের কাছ থেকে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। পরে রাতে তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আটককৃতদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন:
কর্মচারীকে অজ্ঞান করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকে টাকা লুটের অভিযোগ
রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুট: গ্রেপ্তার আরও চার আসামি
জমেছে নতুন টাকার বাজার, দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা
সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে বেসিক ব্যাংক
ভুয়া এনআইডি তৈরি করে ৩০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
It is alleged that Teknaf entered the house and beat up the mother and daughter

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে অভিযুক্ত আয়ুব খান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আয়ুব ও তার লোকজন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷

এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’

থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্তে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’

অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সুবেদারের ‘অপকর্ম’ দেখে ফেলায় নারী হাজতিকে নির্যাতন!
নকল দুধের সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের পা ভাঙার অভিযোগ
টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ
১৭০ টাকার জন্য বসতঘরে হামলা, নারীকে পেটানোর অভিযোগ
ফেনীতে মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 BNP leaders in jail in Moulvibazar

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।

মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।

মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death toll in Sajeke dump truck ditch rises to 9

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। ছবি: নিউজবাংলা
বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানাধীন সাজেকে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।

এর আগে বিকেলে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্য, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই নারী ও শিশু নিহত, আহত আরেক শিশু
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
চট্টগ্রামে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
গাছে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত, আহত ৭

মন্তব্য

বাংলাদেশ
60 year old man arrested for child rape

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের প্রৌঢ় গ্রেপ্তার

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের প্রৌঢ় গ্রেপ্তার ছবি: নিউজবাংলা
শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।

পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।

অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।

এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’

আরও পড়ুন:
তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ
নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি

মন্তব্য

p
উপরে