× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is a doctor in the 31 bed hospital
google_news print-icon

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’

৩১-শয্যার-হাসপাতালে-চিকিৎসক-থাকেন-একজন
নেত্রকোণার ৩১ শয্যার এই হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন মাত্র একজন। ছবি: নিউজবাংলা
নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলা হাসপাতালে কাগজে-কলমে পাঁচজন চিকিৎসক থাকলেও বাস্তবে দেখা মেলে মাত্র একজনের। কর্মরত চিকিৎসকরা সেখানে সপ্তাহভিত্তিক পালা করে থাকেন। সেই একজন চিকিৎসক দিয়েই চলে গোটা উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দার চিকিৎসা।

নেত্রকোণার বানিয়াহাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা অমলেন্দু দেব রায় কিছুদিন আগে প্রস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ে সকাল ৭টার দিকে গিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে দেখেন, পুরো হাসপাতালেই নেই কোনো চিকিৎসক। ওয়ার্ডবয় আর চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা চালাচ্ছেন জরুরি বিভাগ।

অমলেন্দু রায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে কর্মচারীরা হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকা এক চিকিৎসককে ফোন করলে তিনি কিছু ওষুধের কথা বলে দেন। তবে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অমলেন্দু নিজেই পরে ফোন করেন চিকিৎসককে। এর ঘণ্টাখানেক পর ওই চিকিৎসক হাসপাতালে গিয়ে তার সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার করেন।

ঘটনাটি নেত্রকোণার হাওরদ্বীপ খ্যাত খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। লক্ষাধিক জনসংখ্যার দুর্গম উপজেলাটিতে এটিই একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। তবে চিকিৎসক ও কর্মচারীর সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব এবং অবহেলা ও নানা অব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি থেকে স্থানীয়রা ন্যূনতম সেবাও পাচ্ছেন না।

সাধারণ চিকিৎসার জন্যও তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে জেলা সদর বা কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের হাসপাতালগুলোর ওপর। অথচ অবকাঠামোর দিক দিয়ে খালিয়াজুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি অন্য অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চেয়ে উন্নত।

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেন, কিন্তু নেই কোনো চালক

৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির এটির নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয় প্রায় দুই যুগ আগে। এ হাসপাতালে রোগীদের সেবা নিশ্চিতে চিকিৎসকের ১০টি পদ থাকলেও আছেন পাঁচজন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে কাগজে-কলমে পাঁচজন চিকিৎসক থাকলেও বাস্তবে দেখা মেলে মাত্র একজনের। কর্মরত চিকিৎসকরা সেখানে সপ্তাহভিত্তিক পালা করে থাকেন। সেই একজন চিকিৎসক দিয়েই চলে গোটা উপজেলার লক্ষাধিক বাসিন্দার চিকিৎসা।

আধুনিক জীবনযাত্রা এবং প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ না থাকায় চিকিৎসক-কর্মচারীদের কেউই সেখানে থাকতে চান না। কাউকে সেখানে নিয়োগ দেয়া হলেও তদবির করে কিছুদিনের মধ্যেই অন্য স্থানে বদলি হয়ে যান।

এ ছাড়া পাঁচটি ইউনিয়ন সাব-সেন্টারের জন্য পাঁচজন মেডিক্যাল অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেই পদগুলোও খালি পড়ে আছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, চিকিৎসকের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদও এক-তৃতীয়াংশ খালি। কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৮৬টি পদের বিপরীতে আছেন ৩২ জন। গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি।

সবশেষ হাসপাতালটিতে নার্সের ১৪ পদের বিপরীতে ছিলেন ৯ জন। মাসখানেক আগে তাদের সবাইকে অন্য স্থানে বদলি করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনজন চলে গেছেন। নতুন কেউ না আসায় বাকিরা যেতে পারছেন না।

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’
নৌকায় অথবা কাদাপানি মাড়িয়ে প্রসূতিরা সেবা নিতে গেলেও পড়েন নানা বিড়ম্বনায়। ছবি: নিউজবাংলা

এ ছাড়া চারজন মিডওয়াইফের জায়গায় আছেন দুজন। উপসহকারী মেডিক্যাল অফিসারের দুটি পদে একজনও নেই। দুজন ফার্মাসিস্টের জায়গায় আছেন একজন। রেডিওগ্রাফারের পদ মাত্র একটি, সেটিও শূন্য।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের (ল্যাবরেটরি) দুটি পদেও কেউ নেই। কাগজপত্রে একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ডেন্টাল) কাজ করলেও তিনি প্রায় এক যুগ ধরে প্রেষণে অন্য হাসপাতালে দায়িত্বে আছেন। ওয়ার্ডবয়ের তিনটি পদে আছেন একজন। আয়া ও বাবুর্চির দুটি করে পদ থাকলেও বাস্তবে একজনও নেই।

ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে, পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পাঁচ পদের সবই শূন্য। অফিস সহায়কের পাঁচটি পদেও কেউ নেই।

আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা কিছু জনবল দিয়ে চালানো হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কিছু দায়িত্ব। তবে নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

হাসপাতালের চিকিৎসা যন্ত্রগুলোও ব্যবহার হয় না ঠিকমতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, শুরু থেকেই হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি অকেজো। রেডিওগ্রাফার না থাকায় তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয় না। আল্ট্রাসনোগ্রাফির মেশিনটি সচল থাকলেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় সেটি বাক্সবন্দি।

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাবরেটরি) না থাকায় প্যাথলজি বিভাগটিও কবে থেকে বন্ধ কেউ বলতে পারেননি।

সড়কের দুরবস্থার কারণে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই। তবে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার হিসেবে একটি নৌ অ্যাম্বুলেন্স দেন, কিন্তু চালকের কোনো পদ সৃষ্টি করা হয়নি।

৩১ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক থাকেন ‘একজন’
বছরের প্রায় ছয় মাস ক্লিনিকগুলোর চারপাশ অথৈ পানিতে নিমজ্জিত থাকে

স্থানীয় উপজেলা পরিষদ অস্থায়ীভাবে একজন চালক নিয়োগ করলেও অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ এবং ওঠা-নামায় সমস্যার কারণে এটি সচরাচর ব্যবহার করেন না কেউ। এ ছাড়া কম পানির রাস্তায়ও এটি চলে না।

তারা আরও জানান, হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন এক থেকে দেড় শ রোগী চিকিৎসা ও পরামর্শ নিতে আসেন। কখনও চিকিৎসক, আবার কখনও নার্স বা অন্য কর্মচারীরা তাদের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভর্তি করা রোগীর সংখ্যা থাকে সব সময়ই অনেক কম। গড়ে আট-দশজন। তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক আবার বিভিন্ন মামলার আসামি। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিতে তারা ভর্তি থাকেন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় বেশি জটিল বা সংকটাপন্ন রোগীরা কখনই ভর্তি হতে আসেন না। চলে যান জেলা সদরে অথবা ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে।

উপজেলার মাঠপর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার চিত্র আরও করুণ। ছয় ইউনিয়নে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকার কথা থাকলেও মেন্দিপুর ইউনিয়ন ছাড়া আর কোথায়ও তা নেই। একমাত্র ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতেও নেই কোনো চিকিৎসক।

কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা থেকেও বঞ্চিত খালিয়াজুরীর হাওরের বাসিন্দারা। ছয় ইউনিয়নে ১৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১০টি। এসব ক্লিনিকে ১৮ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র সাতজন।

অবকাঠামোগত অসুবিধার কারণেও এসব ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় সেবা পান না রোগীরা। দাউদপুর, পাঁচহাট, আদমপুর ও নাজিরপুর গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর চারপাশে কোনো রাস্তাই নেই। প্রায় ছয় মাস ক্লিনিকগুলোর চারপাশ অথৈ পানিতে নিমজ্জিত থাকে। নৌকায় অথবা কাদাপানি মাড়িয়ে প্রসূতিরা সেবা নিতে গেলেও পড়েন নানা বিড়ম্বনায়।

খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের কর্মী স্বাগত সরকার শুভ বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এ উপজেলার বাসিন্দাদের জরুরি ও জটিল চিকিৎসার একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। এখানে আর কোনো বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র নেই। এমনকি একটি প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারও নেই গোটা উপজেলায়।

‘তাই প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে এখানকার প্যাথলজি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও এক্স-রে বিভাগটি চালুর পাশাপাশি চিকিৎসকদের শূন্য পদগুলো পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি।’

উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মহসিন মিয়া বলেন, ‘দিনের বেলায় ডেকেডুকে হলেও অন্তত একজন চিকিৎসক পাওয়া যায়, কিন্তু রাতে নার্স-কর্মচারীরা ছাড়া আর কোনো ভরসা মিলে না। এ কারণে রাতে কেউ অসুস্থ হলে তার স্বজনদের মারাত্মক দুশ্চিন্তা ও দুর্ভোগে পড়তে হয়।

‘গভীর রাতে হাওরের অথৈ জলরাশি বা দুর্গম পথ মাড়িয়ে ছুটতে হয় জেলা সদর বা আশপাশের উপজেলায়, যা দুঃখজনক। বিশেষ করে প্রসূতি নারীদের নিয়ে প্রায়ই এমন বিপাকে পড়তে হয়।’

খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আতাউল গণি উসমানী বলেন, ‘জনবলের অভাবই এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সংকট।’

এ ছাড়া কর্মরত চিকিৎসকদের পালাক্রমে দায়িত্ব পালনের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘দুর্গম এই জনপদে থাকা-খাওয়ার কোনো সু-ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় একেকজনকে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই তারা সপ্তাহে পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।’

জেলা সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা বলেন, ‘খালিয়াজুরীসহ হাওরাঞ্চলের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই জনবল সংকট রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। এ ছাড়া এই দুর্গম জনপদে কেউ থাকতে চায় না। কাউকে এখানে নিয়োগ দেয়া হলে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই বদলির জন্য তদবির শুরু করেন।

‘অনেকে রাজনৈতিক তদবিরে বদলি হয়ে চলে যান। তবে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কিছু জনবল নিয়ে আমরা সংকট সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তা ছাড়া শূন্য পদগুলোতে নিয়োগের জন্যও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছি।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের ৭ বছরেও চালু হয়নি শিশু হাসপাতাল
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরেই রোগীদের নিয়ে দালালদের টানাহ্যাঁচড়া
বঙ্গবন্ধু কর্নারের সামনে গ্যারেজ, আসবাবের স্তূপ
সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হুইলচেয়ার আটকে রাখা নারী কে?
সরকারি হাসপাতালে ৯৭ শতাংশ রোগী ওষুধ পায় না

মন্তব্য

আরও পড়ুন

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালীতে করোনায় বৃদ্ধের মৃত্যু

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত জেবল হক (৮০) কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের লামছি গ্রামের মৃত গনু মিয়ার ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তার মৃত্যু হয়।

ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে মারা যান তিনি। এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের এক জনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা.মরিয়ম সিমি বলেন, মারা যাওয়া ব্যক্তি সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দুপুরে তার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত নোয়াখালীতে মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কিট সল্পতার কারণে উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট এখনো শুরু করা হয়নি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The terrorist attack on journalists at Satkhira Press Club and injured

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, সভাপতিসহ আহত ৩০

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।

সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Daudkandi Municipality announces a budget of Tk 12 crore

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

দাউদকান্দি পৌরসভায় ৪২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।

এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shot in Rupganj protesting drunkenness 2 young men

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Village Court Awareness Workshop held in Noakhali 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সচেতনতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত 

নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jessore court disappears from the document of the case

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোর আদালতে মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি গায়েব

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।

এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’

অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।

যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’

আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on my newspaper representative in Daulatpur

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

দৌলতপুরে আমার সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধির উপর হামলা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।

গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।

এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।

এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।

এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু

মন্তব্য

p
উপরে