বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল বসানোয় আপত্তি তোলা রাজশাহীর কাটাখালীর নৌকার মেয়র আব্বাস আলীকে দলে অনুপ্রবেশকারী বলেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। তার রাজনৈতিক উত্থানের পেছনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে আব্বাসকে নৌকা প্রতীক দিতে সুপারিশ করেছিলেন তারা।
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ইস্যু নিয়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর ওই সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এখন আব্বাসের শাস্তি দাবি করছেন। আর আব্বাস বলছেন, তিনি বিপদে পড়েছেন, এ জন্য তাকে ঘিরে অপপ্রচার চলছে। তিনি দলে সব সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতিই করেছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ২০০২ সালের পর আব্বাস আলী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু করেন। এর তিন বছরের মাথায় তিনি মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি পদ পেয়ে যান। এর পর থেকে তিনি রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে থাকেন। দলের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বিরোধে। এরই জেরে ২০০৭ সালে তিনি যুবলীগের সহসভাপতি পদ থেকে বহিষ্কৃত হন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মেরাজউদ্দিন মোল্লা। আব্বাস তার সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেন এবং কাটাখালী এলাকায় নিজের আধিপত্য পাকাপোক্ত করেন। গড়ে তোলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। পশুর হাটের ইজারাসহ শ্যামপুর বালু মহাল দখলের অভিযোগ ওঠে তার বিরদ্ধে।
২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আয়েন উদ্দিন। তখন মেরাজ উদ্দিন মোল্লা হন বিদ্রোহী প্রার্থী। নৌকার প্রার্থী আয়েন উদ্দিনের বিপক্ষে মাঠে ছিলেন আব্বাস ও তার সমর্থকরা। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায় আব্বাস বাহিনী।
নির্বাচনে আয়েন উদ্দিন বিজয়ী হলে আব্বাস আবার তার অবস্থান পাল্টান। এমপি আয়েনও তাকে কাছে টেনে নেন নিজের অবস্থান শক্ত করার আশায়। ফলে এমপি বদল হলেও আব্বাসের আধিপত্য থেকেই যায়। এর সুবাদে দলে কোনো পদে না থাকলেও ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কাটাখালী পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে যান আব্বাস আলী। মেয়র হওয়ার পর তার প্রতাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয় আব্বাসের। এই সময়ে তার বেপরোয়া আচরণে ক্ষুব্ধ হলেও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা হয়ে যান নিরুপায়।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর ২০১৮ সালে কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি (আহ্বায়ক কমিটি) দেয়া হয়। এই কমিটির আহ্বায়ক হন আব্বাস।
২০২০ সালের পৌরসভা নির্বাচনে একটি বড় অংশ তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি তারা। সেবারও আওয়ামী লীগের টিকিট পান মেয়র আব্বাস। দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে আব্বাস হয়ে যান লাগামহীন। নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও তিনি থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
পৌরসভা ভবনে শুক্রবার প্রতিবাদ সভায় কাউন্সিলররা মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তোলেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান বলেন, ‘রাজস্ব আদায় বাবদ পৌরসভার ফান্ডে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ছিল। অথচ এখন চা খাওয়ার টাকাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ করে পৌর ফান্ডের টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি আমি দ্রুত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘করোনাকালীন অনুদান দেয়ার জন্য কাটাখালী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করেন মেয়র আব্বাস। কিন্তু সে টাকা কাউকে দেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।
‘কারোনাকালে চা দোকানদারদের অনুদান দেয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা পৌরসভার ফান্ড থেকে হাতিয়ে নেন মেয়র। কিন্তু কোনো চায়ের দোকানদার করোনাকালে অনুদান পাননি।’
৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ জানান, পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩৬ মাসের বেতন-ভাতা বকেয়া আছে। ফান্ডে টাকা থাকার পরও মেয়র আব্বাস এই বেতন-ভাতা দেননি। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোর করে বিভিন্ন কাগজে সই করতে বাধ্য করেন। কেউ সই না করলে তাকে চাকরিচ্যুতিসহ নানা হুমকি দেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদ করলে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গালিগালাজ করতেন মেয়র। আত্মীয়-স্বজনদের নামে ঠিকাদারী লাইসেন্স করে নগর অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ মেয়র নিজে করতেন। আত্মীয়-স্বজনদের নামে হাট-ঘাট ও যানবাহনের টোল আদায়ের ইজারা নিয়েছেন। এসব টোল আদায়ের নামে নিজের লোকজন দিয়ে চাঁদাবাজি করেন।’
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, ‘মেয়র ভোটের পর থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে চলেন না। তার সঙ্গে থাকেন বিএনপি নেতারা। কৃষি প্রণোদনাও পায় বিএনপি নেতারা। তার আপন ভাই বিএনপি করে। অন্য এক পক্ষের ভাই করে জাতীয় পার্টি।’
কাঁটাখালি পৌরসভার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জনি ইসলাম বলেন, ‘মেয়র বিভিন্ন জায়গা দখল করেছেন। স্কুলের জমি দখল করে তার বাড়ি যাওয়ার রাস্তা তৈরি করছেন। জমি দখল করে তার বাবার নামে স্কুল করেছেন। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার দোকানদারদের হয়রানি করে চাঁদাবজি করেছেন। সরকারি খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেছেন।’
কাটাখালি পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোত্তালেব বলেন, ‘মেয়রের অপকর্মের শেষ নেই। একেবারে জিরো থেকে হিরো। প্রথম মেয়র হওয়ার সময় তেমন টাকা ছিল না, অথচ এখন এখন তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক।’
তিনি বলেন, ‘৯০ সালের দিকে তিনি (আব্বাস) জাতীয়তাবাদী তরুণ দল করতেন। তারপর তিনি জাতীয় পার্টি করতেন। গোপনে গোপনে জামায়াতের সঙ্গে তার আঁতাত ছিল। তার প্রমাণ হচ্ছে ২০১১ সালের নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে বিদ্রোহী হওয়া। ওই নির্বাচনে তিনি নিজেও হারেন, দলীয় প্রার্থীকেও হারান। জিতে যান জামায়াতের নেতা।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের কাছে বৃহস্পতিবার আব্বাসের উত্থান প্রসঙ্গে জানতে চান সংবাদ কর্মীরা। এ সময় তিনি জানান, তাকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপত্র দেয়ার দায়িত্ব আসলে মহানগর আওয়ামী লীগের নয়। এটি কেন্দ্রীয় কমিটি যাচাই-বাছাই করে দেয়। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের হয়তো সুপারিশ থাকে। এভাবে হয়তো সুপারিশের ভিত্তিতে নৌকা পেয়ে থাকতে পারেন।
ডাবলু সরকার বলেন, ‘আমরা জানি, আব্বাসের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার এক ভাই হত্যা মামলার আসামি। তার ভাই যুবদল করে। আমাদের বুঝতে দেরি হয়েছে, তিনি একজন অনুপ্রবেশকারী।’
কার ছত্রছায়ায় তিনি আওয়ামী লীগে প্রবেশ করলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলেন, সে বিষয়ে তদন্ত হবে বলেও জানান ডাবলু সরকার।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিউজবাংলাকে জানান, ওই সময় কে বা কারা তাকে দলে ঢোকাল, কার সুপারিশে আব্বাস আলী নৌকার মনোনয়ন পেল, এটা তারও প্রশ্ন। তিনি নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ওই সময়ের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই সময়ে পৌর আওয়ামী লীগ এবং থানা আওয়ামী লীগের রেজুলেশনে মনোনয়নের জন্য চার জনের নামের তালিকা দেয়া হয়েছিল। তার মধ্যে আব্বাসের নাম এক নম্বরে দিয়েছিল তারা। আমি আর জেলা সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক, কাটাখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক বসেছিলাম।
‘তখন এমপি আয়েন উদ্দিন বলল, আব্বাসকে দিলে আমরা জিততে পারব। প্রস্তাবিত চার জনের নামই আমরা পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। সেখান থেকেই তাকে মনোনয়োন দেয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকেই তাকে দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে যে প্রস্তাব এসেছিল সেই প্রস্তাবগুলো আমার শুধু বাহক হিসেবে পৌঁছে দিয়েছি কেন্দ্রে।’
মেয়র আব্বাস আলীর উত্থানের জন্য অনেকে দায়ী করেন রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আয়েন উদ্দিনের ভূমিকার। তবে আব্বাসের অডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সংবাদ সম্মেলন করে তার শাস্তির দাবি করেন এমপি আয়েন।
দলে তার অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা তো অনেক সময় বুঝতে পারি না। যদি বুঝতেই পারতাম...তাহলে জাতির পিতাকে হারাইতাম না। খন্দকার মোশতাকের অনুসারীরা অনেক সময় অনেক ঘটনা ঘটায়। সেটি শুধু দলের নয়, দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জা ও দুঃখজনক ঘটনা।’
আয়েন বলেন, ‘এটাও সত্য তার (আব্বাস) ভাই যুবদল করত। সে অন্য দলের সঙ্গে জড়িত ছিল। আপনারা নিশ্চই জানেন, এক ভাই বিএনপি করে, এক ভাই আওয়ামী লীগ করে - এটি দেশের অনেক জায়গাতেই আছে। সংসদ সদস্য নির্বাচনে রহিম ভরসা, করিম ভরসার মতো দুই ভাই দু দলের হিসেবে কাজ করেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা হয়তো সেটি মনে করেছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মেয়র আব্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পৌরসভার ফান্ড থেকে টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। অনুপ্রবেশকারী নয়, আমি শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। এখন আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্এণ এসেছে মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) ভিআইপি-ব্যাগ কারখানার আগুন। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় আগুন লাগার পর নৌবাহিনী, খুলনা, বাগেরহাট ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিচ্ছিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
তবে কারখানায় কর্মরত শ্রমিক এমাদুল শেখ বলেন, ‘কারখানায় ঝালাইয়ের কাজ চলছিল। এ সময় আগুনের ফুলকি এসে পড়ে ফোমের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে কক্ষটি ধোঁয়ায় আচ্ছন হয়ে পড়ে এবং আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. মামুন মাহমুদ বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টার সময় আগুনের খবর পেয়ে নৌবাহিনীসহ ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। ফ্যাক্টরিতে ফ্যাব্রিক্স, পলিথিন, ফ্যাব্রিকেটেড পণ্য রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে।
‘এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ফায়ার ফাইটাররাও আহত বা নিহত কাউকে পাননি। তবে আগুন পুরোপুরি নেভানোর পর আমরা পুরো ফ্যাক্টরি তল্লাশি করব। তখন বোঝা যাবে যে আসলে কেউ হতাহত হয়েছে কি না।’
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ‘কারখানায় কোম্পানিটির ফোম ও ব্যাগ ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত সেখানে কর্মরত শ্রমিকেরা বেরিয়ে আসেন। এ ঘটনায় ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে দুই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- জাফর ইসলাম রিজভী (৩৬) ও সজিব ভূঁইয়া বাবু (৩৬), তবে রায় ঘোষণার সময়ে আদালতে তারা অনুপস্থিত ছিলেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জের পূবেরগাঁও এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে ধর্ষণ করেন আসামিরা। এরপর কিশোরীর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
দম ফুরিয়ে যাওয়ায় বিএনপি হাঁটা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
চট্টগ্রামে আরবান ট্রান্সপোর্টেশন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং মেট্রোরেলের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম শুরুর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ বিএনপিতো আগে মিছিল করত। এখন মিছিলের পরিবর্তে হাঁটা শুরু করেছে। দম ফুরিয়ে গেছে সম্ভবত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি যে পদযাত্রা শুরু করেছে, কারও কাছ থেকে নকল করছে সম্ভবত। আপনারা চোখ মেলে দেখুন, কারও কাছ থেকে নকল করছে কি না। তবে পদযাত্রা করুক আর যে যাত্রাই করুক, তাদের এই যাত্রায় তাদের কর্মীরাও নাই। জনগণ তো দূরের কথা, সাধারণ কর্মীরাও এই যাত্রায় শামিল হননি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে মানুষের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আবার জনগণের কাছে যদি যেতে হয়, তাহলে সেগুলোর জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
বিএনপির নির্বাচনে না আসলে এতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমি আশা করি, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নেবে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার পছন্দ করুক, সেটি আমরা চাই।’
আরও পড়ুন:পল্লী বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ কার্ডে ২৪০ ডিজিট নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে নরসিংদীতে দফায় দফায় প্রতিবাদ সভাসহ মানববন্ধন করা হলেও কোনো সুফল পাননি গ্রাহকরা।
সদর উপজেলার মেহেরপাড়া গ্রামের আহসান হাবীব রোমান সম্প্রতি বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে এক হাজার টাকা রিচার্জ করতে গেলে ভুল করেন দুইবার। শেষ পর্যন্ত আধা ঘণ্টার চেষ্টায় সফল হন তিনি।
নিউজবাংলাকে রোমান বলেন, ২৪০টি নম্বর চাপতে চাপতে আমি ক্লান্ত। ভুল হয়েছে দুবার , সময় লেগেছে আধা ঘন্টার ওপরে। এর মানেটা কী? এটা কেমন ডিজিটাল বাংলাদেশরে বাবা ?
আমিনুল নামের আরেক গ্রাহক বলেন, মিটার রিচার্জ করতে ঝামেলা হয়। পরে অফিসে গিয়ে অবগত করা হলে লোক এসে তা রিচার্জ করে দেয়। আমাদের ভোগান্তি দূর করতে রিচার্জ ব্যবস্থা আরও সহজ হওয়া দরকার।
মাহমুদুল হাসান নামের এক শিক্ষক বলেন, প্রি-পেইড মিটার রিচার্জের সময় সংখ্যাগুলো কেবল একবারই প্রবেশ করাতে হবে। আরও সহজ সিস্টেম হলে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারে গ্রাহকদের আগ্রহ বাড়ত।
প্রি-পেইড মিটারের রিচার্জ ভোগান্তির বিষয়ে নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. সোহেল পারভেজ নিউজবাংলাকে বলেন, প্রি-পেইড মিটারের বাটন চেপে এতগুলো ডিজিট প্রবেশ করানো কঠিন কাজ। গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়টি বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। তারা বলেছে যে, প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ অফলাইন হওয়ায় বিকল্প আর কোনো উপায় নেই ।
আরও পড়ুন:মোংলা ইপিজেডে ভিআইপি-১ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিক বলেন, ‘ইপিজেডে ভিআইপি প্রতিষ্ঠানের ১ নম্বর কারখানায় বিকেলের দিকে আগুন লাগে। এ কারখানায় কোম্পানিটির ফেব্রিক্স ছিল। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসেন। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।
মোংলা বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. আরবেশ আলী বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৩টায় অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে। শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইপিজেডের ভিআইপি কোম্পানির কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় কোম্পানির কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কেউ হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’
কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডের সময় কতজন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে ভোট বুধবার। একই দিনে হচ্ছে আরও ৫টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। তবে এর মধ্যে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। এর মূল কারণ সংসদ থেকে পদত্যাগ করা ও বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া।
তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন সংগ্রহ থেকে শুরু করে সোমবার দুপুর ১২টা প্রচারণার শেষ সময় পর্যন্ত সাত্তার নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করে নানা চমক দেখেছে সাধারণ ভোটাররা। বিএনপির সাবেক এই নেতার পক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা মরিয়া হয়ে মাঠে নেমে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়ায় ভোটারদের মনে জেগেছে নানা প্রশ্ন।
আওয়ামী লীগ আসনটিতে নৌকার প্রার্থী দেয়নি। তবে দলটি সমর্থিত তিন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপির সাবেক এই নেতাকে জেতাতে সেই তিন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। আবার প্রত্যাহার না করেও সাবেক সাংসদ জিয়াউল হক মৃধা এক বিবৃতিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বীরা সরে দাঁড়ানোয় উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার জয়ের বিষয়টি এক প্রকার নিশ্চিতই হয়ে যায়। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন লাঙ্গল প্রতীকের আব্দুল হামিদ ভাসানী, গোলাপফুল মার্কা পাওয়া জহিরুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ।
নির্বাচনী সমীকরণ মিলিয়ে যখন ভোটাররা সাত্তারের বিপক্ষে কোনো হেভিওয়েট প্রার্থী পাচ্ছিলেন না তখনই প্রচার ও প্রসারে আলোচনায় আসেন আবু আসিফ। সাত্তারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা প্রচারণা চালালেও বিএনপির সাবেক নেতা আবু আসিফের প্রচারণায় দলের কোনো প্রভাবশালী নেতা ছিলেন না। তবে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সাত্তারের বিপক্ষে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আসেন তিনি।
তবে সেখানে আরেক চমক। হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ। নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষসহ স্বজনরাও জানেন না তিনি কোথায় আছেন। তবে প্রথমে কোনো অভিযোগ না দিলেও মঙ্গলবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেন আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা মেহরিন। এ ঘটনায় নতুন করে বিরূপ আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
আবু আসিফ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টিকে ক্ষমতাসীন দলের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে বিএনপি। তারা বলছে, উকিল সাত্তারের জয় নিশ্চিতে আসিফের ওপর চাপ ছিলো। তাই আসিফকে সরিয়ে ফেলে সাত্তারের পথ পরিষ্কার করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে আবু আসিফ স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গেছেন-এমন প্রচারও আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসিফের স্ত্রী ও বাসার দারোয়ানের একটি অডিও কথোপকথন ছড়িয়ে পড়েছে, যা এমন প্রচারের পক্ষে হাওয়া দিচ্ছে। যদিও ওই অডিও টেপের বক্তাদের পরিচয় নিয়ে পুলিশও পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, দলছুট নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞাকে জেতাতে আওয়ামী লীগের এমন মরিয়া হওয়ার কারণ বিএনপি ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিএনপিকে জনগণের কাছে বিতর্কিত করতে আওয়ামী লীগের এমন প্রয়াস বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী। তাছাড়া ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রেখেই সাত্তারের পক্ষে মরিয়া হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।
এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের প্রতাশা করছেন জাতীয় পার্টির মনোনীয়ত প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম ভূঞা। তারা বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা জয়ী হবেন।
এসব চমকের সমাপ্তি ঘটছে বুধবার। তবে নির্বাচনটি একতরফা হিসেবেই দেখছেন ভোটাররা। নিজের ভোট নিজে না দিতে পারার শঙ্কাও প্রকাশ করছেন অনেকে।
ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জামাদি। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুই উপজেলায় রয়েছে ১৭টি ইউনিয়ন। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় ৯টি ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৩২টি। মোট ভোটার ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে সরাইলে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯ ও আশুগঞ্জে ১ লাখ ৩২ হাজার।
ভোটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১১ শ’ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে ৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে ৩জন পুলিশ, অস্ত্রধারী ২জন আনসার, লাঠিধারী ১০জন আনসার ও ২জন গ্রামপুলিশ।
১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘উপনির্বাচন উপলক্ষে আমরা ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:নওগাঁর মান্দায় একটি আমবাগান থেকে অবিস্ফোরিত ১৮টি ককটেল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের আমবাগান থেকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ভোরে উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া ডিবি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ভুট্টুর আমবাগানে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। ককটেলগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল বলেন, ‘পুলিশ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে আটকের জন্য আগে থেকেই ওই এলাকায় ছিল। আমবাগানে ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ব্যাগ থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’
মন্তব্য