আওয়ামী লীগ সরকারকে সরানোর জন্য সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। অধিকার আদায়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে বলেছেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার ‘নাগরিক ফোরাম’-এর উদ্যোগে ‘সমুদ্রে সার্বভৌমত্ব: আইনি অধিকারে কত দূর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। বারবার বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সরকার বলে চিকিৎসা নেয়ার আইনগত ব্যবস্থা নাই।
‘এদেশে সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় আব্দুর রহমানকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আব্দুল জলিলকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছিল। অথচ বেগম খালেদা জিয়া তার মৌলিক অধিকারটুকু পাচ্ছেন না। দেশবাসীকে এর প্রতিবাদ করতে হবে। এই সরকারকে নামানোর জন্য যা যা করা দরকার, প্রয়োজনে রাজপথে নামতে হবে।’
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা বিএনপির একার দায়িত্ব না উল্লেখ করে বিএনপির এই ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অনেকেই ভাবতে পারেন এটা বুঝি শুধু বিএনপির দায়িত্ব। এটা শুধু বিএনপির দায়িত্ব নয়। স্বাধীনতা ভোগ করতে হলে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে সাধারণ মানুষদেরও অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। প্রয়োজনে রাজপথে নেমে তাদের অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে হলে এই দেশে এখন একটি জাতীয়তাবাদী শক্তির সরকার প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, সমাবেশ করার অধিকার নেই। আমরা একটি অধিকারহীন জাতিতে পরিণত হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষের মতো অধিকারহীনতা মনে হয় পৃথিবীতে আর নাই। এই অধিকার আদায় করতে হবে, সেজন্য জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহিল মাসুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুর রব, হেলাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
আগামী বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও অর্থ উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত অ্যানুয়াল বাল্টিক কনফারেন্স অন ডিফেন্সের (এবিসিডি) উদ্বোধন অধিবেশনে তিনি দেশের জটিল অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অগ্রগতির ইঙ্গিত দেন।
আয় বৈষম্যকে দেশের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেন এ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘এই বৈষম্য মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।’
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু সুবিধা ধরে রাখার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন ড. মাহমুদ।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের আর এলডিসি হিসেবে থাকা সম্ভব নয়। উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে কিছু সুবিধা বজায় রাখার জন্য আলোচনা চলছে। অনেক দেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।’
একটি আলাদা অধিবেশনে বাংলাদেশ কীভাবে মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে, তার চিত্র তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্ডারমিট এস গিল।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি ফোকাল পয়েন্ট হওয়া উচিত উল্লেখ করে তিনি দেশে উদ্যোক্তা গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুক্রবার নিয়মিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই নারী। একই সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৫১৭ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭০ জন।
বঙ্গবন্ধু মৎস্যজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ ফেরদৌসকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থী-জনতার ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে খিলগাঁও থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯ জুলাই মেরাদিয়া বাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতার একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি বের হয়।
আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে আহাদুল ইসলাম নামে একজন নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোহাম্মদ বকর বাদী হয়ে ১৭ অক্টোবর খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, মামলায় গ্রেপ্তার আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের সি ব্লকের পাঁচ নম্বর এভিনিউর একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
সর্বশেষ শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে প্রাণ হারানো মোহাম্মদ আবদুল্লাহর (১৩) শরীরের ৩৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এ কিশোর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছিল।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, মিরপুর থেকে গত ২৪ নভেম্বর গ্যাস বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছিল। তাদের মধ্যে আবদুল খলিল, রুমা আক্তার ও তার ছোট ভাই মোহাম্মদের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। আজ সকালের দিকে আবদুল্লাহ নামে আরেক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
তিনি জানান, আর দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে স্বপ্নার শরীরের ১৪ শতাংশ ও একই পরিবারের আবদুল খলিলের ছেলে ইসমাইলের শরীরে ২০ শতাংশ দগ্ধ। এদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
গত ২৪ নভেম্বর গভীর রাতে সিলিন্ডারে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজনসহ সাতজন দগ্ধ হন।
তাদের মধ্যে শাহজাহান মিয়া নামের একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তার শরীরের ছয় শতাংশ দগ্ধ ছিল।
আরও পড়ুন:রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মাধবী (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে শ্রেষ্ঠাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি (ওএসইসি) সার্ভিসে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সালাউদ্দিন নামের যুবক মাধবী ও শ্রেষ্ঠাকে ঢামেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে মাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক। তার শিশুটিকে ওএসইসিতে ভর্তি করা হয়।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ভেতর এক নারী অসুস্থ অবস্থায় ও তার শিশু মায়ের পাশে বসে কাঁদছিল। পরে আমরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। শিশুটি চিকিৎসাধীন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।’
জনগণের সেবক হয়ে রাজনীতি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, নিজেদের সংস্কার করাই রাজনীতির মূল চ্যালেঞ্জ।
আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির প্রয়াত নেতা আতিকুর রহমান সালুর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)।
বিএনপির এই বর্ষীয়াণ নেতা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে যত সংস্কারই করুক না কেন, নিজেরা নিজেদের সংস্কার না করা পর্যন্ত কোনো লাভ হবে না। আজকের রাজনীতির মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের প্রত্যেককে নিজেকে নিজের সংস্কার করা। একইসঙ্গে রাজনীতি মানেই হতে হবে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করা।’
তিনি বলেন, ‘জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার ঐক্য অবশ্যই প্রয়োজন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আমি আরও একটু সতর্ক করে দিতে চাই, ঐক্য করতে গিয়ে আবার নতুন করে যদি বাকশাল করে ফেলি তাহলে সেই ঐক্যে কাজ হবে না।
‘জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার জীবনের বিনিময়ে স্বৈরাচারকে দেশ থেকে হটানো হয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এটা নয় যে, দেশে গণতন্ত্র পুনরায় ফিরে এসেছে। এই সত্যকে আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রে রূপান্তরের মাত্র একটি ধাপ আমরা অতিক্রম করেছি, তা হচ্ছে স্বৈরাচারের বিদায়। আরও কঠিন দুটি ধাপ রয়েছে।
‘দ্বিতীয় ধাপ হলো- অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার সম্পাদন করে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে কোটি কোটি মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা।
‘তৃতীয় ধাপ হলো- জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তর করা।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘দেশে জনগণের সরকার আসতে হবে। যারা একটি স্বাধীন সংসদ গঠন করবে, যারা সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে, ডামি বা ভুয়া সংসদ নয়। এ গুরুদায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। সে কারণেই আমরা এই সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছি।
‘আমরা কোনো অবস্থাতেই চাই না তারা ব্যর্থ হোক। কেননা, এই সরকার ব্যর্থ হলে তা শুধু তাদের ব্যর্থতা হবে না, সেটা হবে পুরো জাতির ব্যর্থতা।’
আতিকুর রহমান সালুর স্মৃতিচারণ করে ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘একটি নাম আতিকুর রহমান সালু, একটি প্রতিবাদ আতিকুর রহমান সালু। আজ তার মৃত্যুর এক বছর পর আমরা এখানে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এই মানুষটিকে কেন এতদিন আমরা স্মরণ করিনি?
‘দ্য ডেমোক্রেটিক গভর্নমেন্ট অফ ইস্ট বেঙ্গলের ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন সালু। ইতিহাস সবসময় মানুষের ওপর সুবিচার করে না। পরবর্তী জীবনে তিনি নতুন করে একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ২০০৫ সালের ৫ মে দ্বিতীয় ফারাক্কা লংমার্চ করেছিলেন তিনি। তার সমগ্র জীবন আবর্তিত হয়েছে এই দেশের কল্যাণে।’
আইএফসি’র সভাপতি অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার, আইএফসি বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ড. নাজমা আহমেদ, সাবেক এমপি জহিরুদ্দিন স্বপন, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।
আরও পড়ুন:ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও বাকি তিনজন নারী।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১৪ জন। একই সময়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ হাজার ৮৮৪ জন।
মন্তব্য