নওগাঁর মান্দায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়ার চাকরি দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার শামুকখোল গ্রামের ফারুক হোসেন নামে একজন। সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি।
মান্দার বুড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃপ্তিস মণ্ডল এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় প্রামাণিকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন ফারুক।
তার অভিযোগ, বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে নিয়োগের জন্য আড়াই মাস আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় প্রামাণিক তাকে যোগাযোগ করতে বলেন। দেখা করলে ফারুকের স্ত্রী শরিফুন নাহারকে আয়া পদে চাকরি দেবেন বলে জানান সভাপতি। এরপর তাকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বসে চাকরির বিষয়ে মৌখিক চুক্তি করেন।
আর চাকরির জন্য টাকার বিষয়ে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আহাদ আলীর সঙ্গে বসে কথা বলতে বলেন। ফারুক তার সঙ্গে দেখা করলে, স্কুলের উন্নয়নের জন্য ১২ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পরে ৯ লাখ টাকায় দফা হয়।
চুক্তি অনুযায়ী, আগাম টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান সভাপতি সুজয়। পরে জমি বিক্রি করে ও উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে তিন ধাপে ৯ লাখ টাকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সুজয় প্রামাণিককে দেন ফারুক।
তবে টাকা পাওয়ার পর দলীয়ভাবে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন সুজয়। এখন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে ফারুককে হয়রানি ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক তিপ্তিস মণ্ডল ও সভাপতি সুজয়।
ফারুক নিউজবাংলাকে জানান, মৌখিক চুক্তির পর স্ত্রীর জমি বিক্রি করে ৬ লাখ ও এক ব্যক্তির কাছ থেকে চড়া সুদে ৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রথম ধাপে প্রধান শিক্ষককে ৫ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি কনফার্ম করি। দ্বিতীয় ধাপে সভাপতি সুজয়কে তার অফিসে রাতে ৩ লাখ টাকা দেই এবং তৃতীয় ধাপে আরও ১ লাখ টাকা দেই।
‘টাকা দেয়ার সময় আমাদের গ্রামের তিনজনকে সাক্ষী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে গেছি। তাদের সামনেই টাকা লেনদেন হয়েছে।’
ফারুক আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা আরও ১ লাখ টাকা দাবি করে। আমি সে টাকা না দিতে পারায় কিছু দিন পর তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা আমাকে এড়িয়ে যান।
‘এর বেশ কিছু দিন পরে তারা জানান, চাকরি দলীয় নেতা-কর্মীরা দেবে। আমাদের হাতে কিছু নেই। আমি আমার টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা শুরু করেন তারা। পরবর্তীতে টাকা চাইতে গেলে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় তারা।’
বুড়িদহ গ্রামের সুজন কুমার ও দীপঙ্কর চৌধুরী জানান, ফারুকের স্ত্রীর চাকরির জন্য দেড়-দুই মাস আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ৫ লাখ টাকা এবং সভাপতি সুজয়কে ৩ লাখ টাকা দেয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন। টাকাগুলো তাদের সামনেই ফারুক হস্তান্তর করেছেন। তারা বিষয়টি জানেন।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আহাদ আলী বলেন, ‘যেহেতু একটা অভিযোগ উঠেছে, অবশ্যই কেউ না কেউ কিছু নিয়েছে। নয়ত কথা আসবে কী করে। তবে কে কত টাকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিপ্তিস মণ্ডল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফারুকের কাছ থেকে কোনো প্রকার টাকা আমি নেই নাই। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। ফারুক আমার কাছে তার স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে এসেছিল। আমি বলেছি, দরখাস্ত করুক, ভাগ্যে থাকলে হবে।’
লেনদেনের বিষয়ে সাক্ষী আছে জানালে তিনি বলেন, ‘এখন তো তথ্য প্রযুক্তির যুগ। আমার কথা কেউ নকল করতে পারে। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুজয় প্রামাণিকও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অভিযোগ করলেই যে তার সত্যতা থাকবে সেটা কে বলেছে? ফারুক আমার কাছে আসেনি বা আমার সঙ্গে তার কোনো লেনদেন হয়নি। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট কথা।’
মান্দা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম শেখ বলেন, ‘বুড়িদহ স্কুলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে ব্যস্ত আছি। পরে তদন্ত করে সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।
বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।
এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় গত দুই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমন বাস্তবতায় হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলাটির মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
তীব্র দাবদাহে হিট অ্যালার্ট জারি করে জেলা প্রশাসনের ভাষ্য, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
জেলায় দিনের বেশির ভাগ সময় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হতাশ হতে দেখা গেছে তাদের।
প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না অনেকে।
দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্যানচালক আবদুর রহিম বলেন, ‘যে তাপ পড়চি, তাতে বাইরি বের হওয়া যাচ্চি না। তাপে হাত-পা জ্বালাপুড়া করচি। ছায়ায় গিয়িও শান্তি নেই।’
আবহাওয়া অফিসের চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’
আরও পড়ুন:মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
ওই কলেজছাত্রীর মা এ মামলা করেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
মামলার প্রধান আসামি ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।
স্থানীয়, পুলিশ ও কলেজছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের নাজমুছ সাকিবের সঙ্গে একই এলাকার কলেজছাত্রীর প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে গত শুক্রবার রাতে ওই কলেজছাত্রীকে তার বসতঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন নাজমুছ সাকিব।
এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন সালিশ করে নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞাসা করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন, কিন্তু সালিশের বেশ কয়েক দিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান সাকিব।
পরে কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাজমুছ সাকিবসহ তার পরিবারের তিনজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। এর প্রেক্ষাপটে থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মামলার বাদী কলেজছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে নাজমুছ সাকিব, কিন্তু এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না বলে ধর্ষণকারীসহ তার পরিবারের তিনজনের নামে আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।’
বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই ঘটনা জানতে পেরে আমরা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়, কিন্তু ঘটনার বেশ কয়েক দিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে ধর্ষণকারী ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়, তবে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা আরও আছে।’
কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জে একটি মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় মামা-ভাগ্নে নিহত হয়েছেন।
সদরের ভৈরব মহাসড়কের কামালিয়ারচর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ গ্রামের দিলবাহারের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (২৫) ও একই এলাকার আবদুল্লাহ আল রাজিবের ছেলে আশরাফুল ইসলাম লাদেন (২০)। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।
কটিয়াদী হাইওয়ে থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন এবং তার ভাগ্নে লাদেন মোটরসাইকেল করে বাজিতপুর থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যাওয়ার সময় কামারিয়ারচর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তারা।
‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বাসটিকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।’
ওসি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারি আনি পাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো ৩৫ বছর বয়সী নাজমা আক্তার একই এলাকার আবদুল মান্নানের স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের মা।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া শেষে রাতে পান কিনতে বের হন নাজমা আক্তার। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করলে সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানক্ষেতে ওই নারীকে ক্ষতবিক্ষত উলঙ্গ অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
‘পরে খবর পেয়ে নাজমার পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁন মিয়া, ফাহিম ও নাঈম নামে তিন যুবককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নাজমার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
আরও পড়ুন:গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার এক আসামির ছুরিকাঘাতে ওই মামলার বাদী হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান।
নিহত রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় হামলা চালিয়ে আহত করা হয় তাকে।
মামলার জেরেই রাহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চলতি বছরের একটি গরু চুরি মামলার বাদী ছিলেন রাহিদুল ইসলাম। আর ওই মামলর আসামি ছিলেন খলিলসহ অন্যরা।
উদয় কুমার বলেন, সেই মামলার জেরে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় একই মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাহিদুলের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা রাহিদুলের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি ও ঘটনার সাথে জড়িত খলিলসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
মন্তব্য