× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Excluding coal the power master plan is being updated
google_news print-icon

কয়লা বাদ দিয়ে হালনাগাদ হচ্ছে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা

কয়লা-বাদ-দিয়ে-হালনাগাদ-হচ্ছে-বিদ্যুতের-মহাপরিকল্পনা
বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয় ২০১০ সালে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রণীত এ পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে মোট ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র ছিল ৫০ শতাংশ। এই মাস্টারপ্ল্যান ২০১৬ সালে হালনাগাদ করা হয়। তাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জ্বালানিভিত্তিক ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন পরিকল্পনা দেখানো হয়। এতে কয়লার ব্যবহার ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারের অস্থিতিশীলতা ও জলবায়ুর ক্ষতিকর পরিবর্তন সামনে রেখে বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যানে (পিএসএমপি) পরিবর্তন আসছে। জ্বালানি খাত অন্তর্ভুক্ত করে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান (পিইএমপি) প্রণয়নের কাজ চলছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নিউজবাংলাকে বলেন, সমন্বিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মাস্টারপ্ল্যান জ্বালানি নিরাপত্তা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে।

‘এই মহাপরিকল্পনায় ২০৫০ সাল অবদি জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত উন্নয়নের পরিকল্পনা এবং দিকনির্দেশনা রয়েছে। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’

জ্বালানি বিভাগের মতে, মহাপরিকল্পনায় পরিবেশ দূষণ রোধে ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনায় কয়লার ব্যবহার কমানো হচ্ছে। বিপরীতে বাড়ানো হবে আমদানি করা গ্যাসভিত্তিক (এলএনজি) বিদ্যুৎ প্রকল্পের সংখ্যা। জোর দেয়া হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপরও।

মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সঞ্চালন ও বিতরণ এবং মূল্য ও সরবরাহব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করা হবে।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা এই মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে সহযোগিতা করছে। এ জন্য ইতিমধ্যে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠিত হয়েছে। এর অধীনে খাতভিত্তিক কয়েকটি কারিগরি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। জাইকাকে এ কাজে সহযোগিতা করছে স্থানীয় দুটি ফার্ম।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যান পর্যালোচনা করে প্রযুক্তি ও নীতিমালা যুগোপযোগী করা, জ্বালানি তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উন্নয়ন করা, প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ চূড়ান্ত করে বিশ্লেষণ, চাহিদার পূর্বাভাস, পাওয়ার সিস্টেম পরিকল্পনা গ্রহণ, এলএনজি আমদানি, পরিবেশ ও সামাজিক অবস্থা বিবেচনা- এই সমন্বিত মহাপরিকল্পনায় স্থান পেয়েছে। এখানে চাহিদার পূর্বাভাস বিষয়ে বিভিন্ন মডেল তুলে ধরা হয়েছে।

নসরুল হামিদ বলেন, ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ গ্রিন হাউস গ্যাস কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে। সরকার কার্বন নিঃসরণ কমানোকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। বাস্তবায়ন অগ্রগতি কম- এমন ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা চাইলে কয়লার পরিবর্তে এই প্রকল্পগুলো এলএনজিভিত্তিক করার উদ্যোগ নিতে পারে।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া ও পটুয়াখালীর পায়রায় কয়লাভিত্তিক তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে। এগুলোর উৎপাদনক্ষমতা এক হাজার ৬৮৮ মেগাওয়াট, যা মোট উৎপাদনের ৮ শতাংশ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৩ শতাংশ বা ৭২২ মেগাওয়াট, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশে উন্নীত করার চিন্তা রয়েছে সরকারের।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির প্রসারে জোর দিয়েছে। তাছাড়া কপ-২৬-এ বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেয়া হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে, সোলার বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসছে। এ খাতে আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে।

পাওয়ারসেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, সারা বিশ্ব পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। চীন কয়লার ব্যবহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগী অনেক সংস্থাও কয়লাভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার ঘোষণা দিয়েছে। সব মিলিয়ে সামনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও নিউক্লিয়ার বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়বে। বাংলাদেশও সেদিকে এগোচ্ছে।

হালনাগাদ হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

জাইকার সহযোগিতায় বিদ্যুৎ খাতের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয় ২০১০ সালে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রণীত এ পরিকল্পনায় ধাপে ধাপে মোট ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র ছিল ৫০ শতাংশ। এই মাস্টারপ্ল্যান ২০১৬ সালে হালনাগাদ করা হয়। তাতে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন জ্বালানিভিত্তিক ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন পরিকল্পনা দেখানো হয়। এতে কয়লার ব্যবহার ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

জ্বালানি বিভাগ বলছে, বিদ্যুতের মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদে কয়লার ব্যবহার কমবে। গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির দিকে বেশি জোর দেয়া হবে।

বাতিল ১০ বিদ্যুৎ প্রকল্প

কয়লা বাদ দিয়ে হালনাগাদ হচ্ছে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প।

তালিকায় বাদ পড়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- সরকারি প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ পাওয়ার কোম্পানির (এপিএসসিএল) পটুয়াখালী এক হাজার ৩২০ ও উত্তরবঙ্গে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট (গাইবান্ধা) কেন্দ্র এবং ওরিয়নের মাওয়া ৫২২, ঢাকা ২৮২, চট্টগ্রাম ২৮২ ও খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কেন্দ্র। এর মধ্যে খুলনার কেন্দ্রটির স্থান পরিবর্তন করে মহেশখালীতে ৭২৬ মেগাওয়াটের এলএনজিভিত্তিক করার প্রস্তাব দিয়েছে ওরিয়ন।

মহেশখালীতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট করে দুটি প্রকল্প বাতিল করেছে সরকার। এর একটি নির্মাণ করার কথা ছিল পিডিবি ও চায়না হুয়াদিয়ান হংকং (সিএইচডিএইচকে) কোম্পানির যৌথ অংশীদারত্বে প্রতিষ্ঠিত বে অব বেঙ্গল পাওয়ার কোম্পানি। এটি কয়লার পরিবর্তে এলএনজিভিত্তিক প্রকল্পে রূপান্তর হতে পারে। মহেশখালীর অন্য প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার কেপকোর সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে নির্মাণের কথা ছিল।

বাতিলের তালিকায় আরও রয়েছে মাতারবাড়ীতে প্রস্তাবিত কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (সিপিজিসিবিএল) এক হাজার ২৫০ মেগাওয়াট প্রকল্প। জাপানের সুমিতোমোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি নির্মাণের কথা ছিল। এ প্রকল্পটি এলএনজিভিত্তিক প্রকল্পে রূপান্তরিত হতে পারে। এ ছাড়া কোল পাওয়ার কোম্পানির ৭০০ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের সিম্বকোর্পের সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে এটি স্থাপনের কথা ছিল।

এ ছাড়া ওরিয়নের গজারিয়া ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্রকল্পটি এলএনজিতে রূপান্তরের কথা রয়েছে।

নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতি

ছয় হাজার ৬৯১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে সিপিজিসিবিএলের কক্সবাজারের মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির নির্মাণকাজে অগ্রগতি ৪৬ শতাংশ। জাইকার আর্থিক সহযোগিতায় দেশটির সুমিতোমো করপোরেশন এটি বাস্তবায়ন করছে।

বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির (বিআইএফপিসিএল) এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। এটি পিডিবি ও ভারতের এনটিপিসির যৌথ মালিকানায় নির্মিত হচ্ছে।

রুরাল পাওয়ার কোম্পানি (আরপিসিএল) ও চীনের নরিনকো ইন্টারন্যাশনালের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন পটুয়াখালীর এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ। পায়রায় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানির (বিসিপিসিএল) দ্বিতীয় পর্যায়ের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের অগ্রগতি ২০ শতাংশ। চীনের সিএমসির সঙ্গে যৌথ অংশীদারত্বে কেন্দ্রটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল)।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের (এসএস পাওয়ার) এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বরগুনায় নির্মাণাধীন আইসোটেকের বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে হাংঝু চায়নার ১২৪০ মেগাওয়াট প্রকল্পের এলওআই ইস্যু করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির স্পন্সর বদলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানা গেছে।

এলএনজিভিত্তিক প্রকল্প

কয়লা বাদ দিয়ে হালনাগাদ হচ্ছে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা
বাগেরহাটের এলএনজি প্রকল্প।

এলএনজিভিত্তিক দুই হাজার ৭৬৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার চারটি কেন্দ্রের নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে একটি দ্বৈত জ্বালানির। খুলনার রূপসায় এনডব্লিউপিজিসিএলের ৮৮০ মেগাওয়াট প্রকল্পের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে সামিটের ৫৮৩ মেগাওয়াটের একটি দ্বৈত জ্বালানির (এলএনজি/ডিজেল) নির্মাণ অগ্রগতি ৩৩ শতাংশ। একই স্থানে ইউনিক গ্রুপের ৫৮৪ মেগাওয়াটের এলএনজিভিত্তিক প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ২২ শতাংশ।

মেঘনাঘাটেই ভারতের রিলায়েন্সের ৭১৮ মেগাওয়াট প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৭ শতাংশ। চুক্তি প্রক্রিয়াধীন মেঘনাঘাটে আনলিমা পাওয়ারের ৪৫০ ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ইউনাইটেড গ্রুপের ৫৯০ মেগাওয়াটের দুটি প্রকল্প।

এ ছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে পায়রায় এনডব্লিউপিজিসিএল ও জার্মানির সিমেন্সের যৌথ অংশীদারত্বের ২৪০০ মেগাওয়াট, মহেশখালীতে পিডিবি ও যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) যৌথ মালিকানায় ২৪০০ মেগাওয়াট, পিডিবির হরিপুরে ২৫০, সিদ্ধিরগঞ্জে ৬০০, ভেড়ামারায় ৬০০ ও ঘোড়াশালে ২২৫ মেগাওয়াট; গজারিয়ায় আরপিসিএলের ৬০০ মেগাওয়াট, ফেনীর সোনাগাজীতে ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (ইজিসিবি) ৬০০ মেগাওয়াট এবং মহেশখালীতে জাপান-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ৬০০ মেগাওয়াটসহ আট হাজার ২৭৫ মেগাওয়াটের মোট ৯টি এলএনজিভিত্তিক প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব প্রকল্পের অধিকাংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। যৌথ প্রকল্পগুলোর যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠনের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ঝুঁকছে দেশ

কয়লা বাদ দিয়ে হালনাগাদ হচ্ছে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা
কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প।

সিরাজগঞ্জে পিডিবির দুই মেগাওয়াটের একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। বরিশালে পিডিবির ১, ফেনীতে ইজিসিবির ৫০, মোংলার দুর্গাপুরে এনারগনের ১০০, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বাংলাদেশের জিএইচইএল ও চীনের সিইটিসির ৫, সিলেটের গোয়াইনঘাটে ইকি সুজি সান সোলার পাওয়ারের ৫, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইন্ট্রাকো সোলারের ৩০, গাইবান্ধার লাটশালে তিস্তা সোলারের (বেক্সিমকো গ্রুপ) ২০০, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় করতোয়া সোলারের ৩০ এবং সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এডিসন-হাওরবাংলা-কোরিয়া গ্রিন এনার্জির ৩২ মেগাওয়াটসহ মোট ৪৫১ মেগাওয়াটের ৯টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে রয়েছে। কক্সবাজারে ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জির ৬০ মেগাওয়াটের একটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়ায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- জামালপুরের মাদারগঞ্জে সিআইআরবিআর পাওয়ার জোনের ১০০, মৌলভীবাজারে ১০, সিঙ্গাপুর হোল্ডিংসের পঞ্চগড়ে ৫০, অ্যাপোলো ইঞ্জিনিয়ারিং ও এসএমই ইলেকট্রিক্যালের চাঁদপুরে সাত, নীলফামারীর ডিমলায় এসকেটিকের ৫০, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে রহিমআফরোজের ২০, ঢাকার ধামরাইয়ে আইবিভি-এসএস অ্যাগ্রোর ৫০, পাবনায় ভারতের সাপরজি পালনজির ১০০, চট্টগ্রামের বারইয়ারহাটে ৫০, পাবনার বেড়ায় মোস্তফা মোটরের ৩ দশমিক ৭৭ ও রাঙ্গুনিয়ায় ৫৫ মেগাওয়াট এবং জামালপুরে ৮১৩ কিলোওয়াটসহ মোট ৪৯৬ মেগাওয়াটের ১২টি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বর্জ্যভিত্তিক দুটি প্রকল্পও বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। ছয় মেগাওয়াটের একটি বর্জ্যভিত্তিক কেন্দ্র হবে নারায়ণগঞ্জে। চীনের সিএমসির সঙ্গে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াটের বর্জ্যভিত্তিক আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

বায়ুভিত্তিক দুটি প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষরের পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো হলো ফেনীর সোনাগাজীতে ৩০ ও মোংলায় ৫০ মেগাওয়াটের বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প। সোনাগাজীর প্রকল্পটি যৌথভাবে করবে ভাগতী প্রোডাক্টস ও রেগান পাওয়ার টেক।

দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ৩৩২ মেগাওয়াটের ছয়টি প্রকল্পে। এর মধ্যে এনডব্লিউপিজিসিএল এবং চীনের সিএমসি যৌথভাবে দুটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করবে পাবনা (৬৪ মেগাওয়াট) ও সিরাজগঞ্জে (৬৮ মেগাওয়াট)। এ জন্য বাংলাদেশ-চায়না রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানি (বিসিআরইসিএল) নামে যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে।

বেসরকারি উদ্যোগে নেত্রকোণা ও চুয়াডাঙ্গায় ৫০ মেগাওয়াট করে দুটি এবং চাঁদপুর ও কক্সবাজারের ইনানীতে ৫০ মেগাওয়াট করে দুটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প হওয়ার কথা রয়েছে।

পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির এক হাজার ৯৯ মেগাওয়াটের ১৭টি প্রকল্প নির্মাণের কথা রয়েছে। এর মধ্যে ২২১ মেগাওয়াটের চারটি বায়ুভিত্তিক প্রকল্প রয়েছে। এগুলো হলো- চট্টগ্রামের আনোয়ারার পার্কি বিচে পিডিবির ২ ও ইজিসিবির ১০০, পটুয়াখালীতে আরপিসিএলের ১০ এবং মাতারবাড়ীতে কোল পাওয়ার কোম্পানির ১০০ মেগাওয়াট প্রকল্প।

সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো হলো- পিডিবির সেন্ট মার্টিনে ৫০০ কিলোওয়াট, সোনাগাজীতে ৮৩, রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৬৯ ও বরিশালে ১০০ মেগাওয়াট করে দুটি প্রকল্প; আরপিসিএলের পঞ্চগড়ে ৩০, জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ ও গজারিয়ায় ৫০; ইজিসিবির সোনাগাজীতে প্রতিটি ১০০ মেগাওয়াটের দুটি, সিপিজিসিবিএলের মাতারবাড়ীতে ৫০, এসপিএসসিএলের পটুয়াখালীতে ২০০ ও সাতকানিয়ায় ১০০ মেগাওয়াট কেন্দ্র।

এই প্রকল্পগুলো সম্ভাব্যতা যাচাই, দরপত্র আহ্বান বা ভূমি অধিগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। যৌথ অংশীদারত্বে বিসিআরইসিএলের ৫০ মেগাওয়াটের একটি বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে পায়রায়।

এ ছাড়া বেসরকারি খাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন ৩৫ মেগাওয়াটের দুটি বর্জ্যভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প দুটি স্পন্সর করছে ক্যানভাস এনভায়রনমেন্টাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প

কয়লা বাদ দিয়ে হালনাগাদ হচ্ছে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

পাবনার রূপপুরে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। এটি ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে। একই স্থানে সমান ক্ষমতার আরেকটি পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান পরিস্থিতি

দেশে স্থাপিত ১৪৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে গ্যাসভিত্তিক ১১ হাজার ১০০, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক পাঁচ হাজার ৩৪১, ডিজেল এক হাজার ২৮৬, কয়লা এক হাজার ৬৮৮, হাইড্রো ২৩০, আমদানি এক হাজার ১৬০, অন-গ্রিড সৌরবিদ্যুৎ ১২৯ মেগাওয়াট এবং ক্যাপটিভ দুই হাজার ৮০০ ও অফ-গ্রিড নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০৪ মেগাওয়াটসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২৪ হাজার ১৩৮ মেগাওয়াট।

তবে চাহিদা না থাকায় এবং সঞ্চালনব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে পুরো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না। চাহিদার বিপরীতে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট।

আরও পড়ুন:
দুর্গম এলাকায় বিদ্যুৎ দিতে নতুন উদ্যোগ চান প্রধানমন্ত্রী
বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু, পরিবারকে ইউএনওর সহায়তা 
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দোকানমালিক ও কর্মচারীর মৃত্যু
ইঁদুর মারা ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Tribute to memorial on 11th anniversary of Rana Plaza tragedy

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।

ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।

একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ
সাভারে গোডাউন খুলতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ তিন
টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1500 megawatts loadshedding people suffer in extreme heat

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ প্রতীকী ছবি।
এনএলডিসির তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। বুধবার সকাল ৭টায় তা ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে এলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।

ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
গ্যাস সংকটে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appointment of 3 judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার শপথ

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis returned from Myanmar after serving their sentences

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি প্রিয়জনের উদ্দেশে তীর থেকে হাত নাড়ছে অপেক্ষায় স্বনজরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরে যাবে।

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।

প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।

মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The new chairman of CDA is Mohammad Yunus

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ

সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার। একই দিন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ। আগামী তিন বছরের জন্য এই পদে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

বুধবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর ধারা-৭ অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপ-সচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেয়া হয়। বিকেলে তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এই পদে যোগদান করেন।

মোহাম্মদ ইউনুছ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সদস্য সচিব।

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে বুধবার (২৪ এপ্রিল)। ২০১৯ সাল থেকে দুই মেয়াদে টানা পাঁচ বছর এই পদে ছিলেন তিনি।

২০০৯ সাল থেকে সরকারের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার এই পদে চুক্তিভিত্তিক রাজনৈতিক নিয়োগ দিয়ে আসছে সরকার। মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম টানা ১০ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নিয়োগ দেয়া হয় মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জহিরুল আলম দোভাষকে।

চিটাগাং ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯ কে যুগোপযোগী করে ২৯ জুলাই ২০১৮ সালে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়। সেই আইনের ৭ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে- চেয়ারম্যান বা বোর্ড সদস্য হিসেবে কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি সময়ের জন্য নিয়োগলাভের জন্য বলে বিবেচিত হবেন না। জহিরুল আলম দোভাষ ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল প্রথম মেয়াদে দুই বছরের জন্য ও ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে তিন বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

সিডিএ’র উপ-সচিব অমল কান্তি গুহ বলেন, ‘দুপুরে প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আমরা পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী, নতুন চেয়ারম্যান মহোদয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে এরপর সিডিএ কার্যালয়ে আসবেন।’

মোহাম্মদ ইউনুছ প্রয়াত রাজনীতিক এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভাবশিষ্য হিসেবে পরিচিত। সত্তরের দশকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ইউনুছ বর্তমানে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Ministers red carpet reception in Thailand

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাংককে পৌঁছালে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। ছবি: বাসস
২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ব্যাংকক পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুপুর ১টা ০৮ মিনিটে (স্থানীয় সময়) পৌঁছালে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। খবর ইউএনবির

বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অফ অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেয়া হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

কর্মকর্তারা জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতেই এ সফর।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এ প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর এটি।

২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অফ ইনটেন্টসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতা নথি সই হবে।

‘দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণে পর্যটন খাতে সহযোগিতা ও শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আরও ২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সহযোগিতা চাইবে জানিয়ে হাছান মাহমুদ জানান, নৌ সংযোগের বিষয়েও আলোচনা হবে।

২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হবে। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে নথি সই শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

সফরকালে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া এবং ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে এ বহুপক্ষীয় সফরে ২৫ এপ্রিল কমিশন ফর ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেখানে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই দিনে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়া আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

‘লিভারেজিং ডিজিটাল ইনোভেশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অষ্টম অধিবেশনটি টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ অ্যাজেন্ডা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে অঞ্চলব্যাপী সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ জোরদার করার একটি সুযোগ হবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ডিজিটাল উদ্ভাবন কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারি নেতা ও মন্ত্রী এবং অন্যান্য মূল স্টেকহোল্ডারদের এ অধিবেশনে একত্রিত করবে।

আরও পড়ুন:
দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির দিকে চোখ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Arafat Islam is the new director of RABs media wing

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক আরাফাত ইসলাম

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক আরাফাত ইসলাম কমান্ডার আরাফাত ইসলাম। ছবি: র‌্যাব
কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

বাহিনীটি বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, (এনডি), বিপিএম (সেবা), এনইউপি, পিসিজিএম, বিএন অদ্য ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি কমান্ডার খন্দকার আল মঈন (সি), বিপিএম (বার), পিএসসি, বিএনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

‘কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার। তিনি ১৯৯৫ সালে ৩৫তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই এক্সিকিউটিভ ব্রাঞ্চে কমিশন লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন নৌ বাহিনীতে ছোট ও মাঝারি বিভিন্ন জাহাজের অধিনায়ক হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। কমান্ডার আরাফাত ইসলাম দেশ ও বিদেশে নৌবাহিনীর বিভিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কমান্ডার আরাফাত ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রেষণে র‌্যাবে যোগ দেন। তিনি ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাব-১৩-এর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন:
বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার উদ্ধার
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৬ বন্যপ্রাণী
ময়মনসিংহে তিন হাসপাতাল এক ক্লিনিক সিলগালা
ডিসি এসপি র‌্যাবের সিও পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি
নওগাঁয় ৭২ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে