× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
After 6 months on the fifth consecutive day of decline the transaction is below one thousand crores
google_news print-icon

পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে

পতন-টানা-পঞ্চম-দিনে-৭-মাস-পর-লেনদেন-হাজার-কোটির-নিচে
পুঁজিবাজারে ক্রমাগত পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেনদেন একটি পর্যায় পর্যন্ত ঠিক ছিল। সূচকের বড় পতন হলেও লেনদেন হাজার কোটি টাকার ওপরে ছিল। কিন্তু এখন তা এর অনেক নিচে নেমে আসায় কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

ব্যাংকের বিনিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ির ঘটনায় পড়তে থাকা পুঁজিবাজারে পতন থামছে না। টানা পাঁচ দিন কমল সূচক। আর ৭ মাস পর লেনদেন নামল এক হাজার কোটি টাকার নিচে।

আগের কর্মদিবসে ৯৫ পয়েন্ট সূচক পতনের স্মৃতি নিয়ে বৃহস্পতিবার লেনদেনের আগেই বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল চিড় ধরা। বেলা ১১টা পর্যন্ত সূচক তার অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও এরপর শেয়ারগুলো দর হারাতে থাকায় শেষ পর্যন্ত ৬৫ পয়েন্ট পতন দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন।

সূচকের এই অবস্থান গত ৮ নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন। সেদিন সূচক ছিল ৬ হাজার ৭৯৯ পয়েন্ট। সেদিনের পর থেকে সূচক বেড়ে ১৮ নভেম্বর দাঁড়ায় ৭ হাজার ৯১ পয়েন্ট। কিন্তু এরপর সেখান থেকে আবার শুরু হয় পতন।

সূচকের পতনের পাশাপাশি লেনদেনও কমে আসছিল গত কয়েক দিনে। এবার সেটি গত ২৮ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো নেমে গেল এক হাজার কোটি টাকার নিচে।

১৩৬ কর্মদিবস আগে সেদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে হাতবদল হয়েছিল ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। আজ লেনদেন হয়েছে ৮৪৯ কোটি ৯৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

গত ১২ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া বাজার সংশোধনে যে পর্যন্ত লেনদেন সেভাবে কমেনি, সে পর্যন্ত পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা সেভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। তবে লেনদেন হাজার কোটি টাকার নিচে নামার পর তারাও এখন আর আশার কথা বলছেন না।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেনদেন একটি পর্যায় পর্যন্ত ঠিক ছিল। সূচকের বড় পতন হলেও লেনদেন হাজার কোটি টাকার ওপরে ছিল। কিন্ত এখন তা এর অনেক নিচে নেমে আসায় কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারী মশিউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে পতনে বিনিয়োগকারীরা এখন আতঙ্কিত। গত কয়েক সপ্তাহ আগে যে শেয়ার ৫০ টাকায় কেনা হয়েছে, সেটির দাম এখন ৩০ টাকার ঘরে। ফলে কেনা দামে আবার শেয়ার বিক্রি করা যাবে কি না, সেটি নিয়েও সংশয় আছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার যখনই ভালো হতে থাকে, তখনই বাংলাদেশ ব্যাংকের নজর আসে এদিকে। সম্প্রতি এক্সপ্লোজার লিমিটের কারণে কয়েকটি ব্যাংককে জরিমানা করায় অন্য ব্যাংকগুলো এখন হাত গুটিয়ে নিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো যেভাবে বিনিয়োগে আসছিল সেখান থেকে ফিরে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘এক্সপ্লোজার লিমিট অবশ্যই কেনা দাম বিবেচনা করা উচিত। মার্কেট প্রাইসের ভিত্তিতে বিবেচনা করলে যখনই বাজার ভালো হবে তখনই স্বাভাবিকভাবে ব্যাংকের ওপর শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়বে। পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনার জন্য দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।’

আগের দিনের মতো এদিনও প্রায় আড়াই শ কোম্পানির দরপতন হলো এক দিনে। দিন শেষে বেড়েছে কেবল ৮৯টি কোম্পানির দর, কমেছে ২৪১টির। ৩২টি কোম্পানি দর ধরে রাখতে পারে।

পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে
বেলা ১১টা পর্যন্ত সূচক অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও পরে সূচক টানা কমেছে

লেনদেন শুরুর এক ঘণ্টা পর বেলা ১১টায় সূচক দিনের সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৯২২ পয়েন্টে ছিল। সেখান থেকে বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক টানা নেমে আসে ৬ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে।

সেখান থেকে কিছুটা উত্থান হলেও দেড়টাই সূচক দিনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে ৬ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে।

সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় যারা

এদিন সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের। কোম্পানির শেয়ার দর দশমিক ৯৩ শতাংশ কমায় সূচক কমেছে ৬.২৭ শতাংশ।

গত এক বছরে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া বেক্সিমকো লিমিটেড আরও ২.০৭ শতাংশ দর হারানোয় সূচক কমেছে ৬.২৭ শতাংশ। কোম্পানিটির মালিকপক্ষ তিন কোটি শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়ার পরও দাম কমে যাওয়ার এই বিষয়টি বাজারের প্রতি অনাস্থার প্রমাণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ইউনাইটেড পাওয়ার অ্যান্ড জেনারেশনের শেয়ার দর কমেছে আরও ১.৯৫ শতাংশ। এতে সূচক কমেছে ৫.৭১ শতাংশ।

পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে
সূচক কমায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০ কোম্পানি

কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১৭ টাকা লভ্যাংশ ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত ৫০ টাকারও বেশি দর হারিয়েছে। যারা এই লভ্যাংশ নিয়েছেন, লাভ হয়নি তাদের। যত টাকা লভ্যাংশ পেয়েছেন, রেকর্ড ডেটের পর দাম কমেছে এর চেয়ে বেশি।

সূচক পতনে ভূমিকা রেখেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ১.৭ শতাংশ দরপতনও। এর ফলে সূচক থেকে কমেছে আরও ৩.১১ পয়েন্ট। দরপতন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাও।

ব্যাংক খাতের পাঁচটি কোম্পানিও সূচক ফেলে দিয়েছে অনেকখানি। এগুলো হলো হলো ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি, সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।

এই ১০টি কোম্পানির কারণেই সূচক পড়েছে ৩৪.৩ পয়েন্ট।

এর বিপরীতে আগের তিন দিন টানা পতন হওয়া এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার দর কিছুটা বাড়ায় সূচকে একক কোম্পানি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১.৪৫ পয়েন্ট যোগ করেছে।

ওরিয়ন ফার্মা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, গ্রামীণফোন, আমান ফিড, ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট ও আমান ফিডের শেয়ার দর কিছুটা বাড়ায় সূচকে অল্প কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে।

তবে শেয়ার দর অল্প বাড়ার কারণে সূচকে খুব বেশি পয়েন্ট যোগ হয়নি। ১০টি কোম্পানি মিলিয়ে যোগ হয়েছে ৮.৭৩ পয়েন্ট।

পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে
এই ১০টি কোম্পানি অল্পবিস্তর পয়েন্ট যোগ করেছে সূচকে

আগের দিনের মতোই ঢালাও দরপতন হয়েছে ব্যাংক খাতে। তবে আগের দিনের মতো সব ব্যাংকের শেয়ার দর কমেনি। ৪টির দর অল্প বেড়েছে।

বিমা খাতেও দেখা গেছে একই চিত্র। এই খাতের ৫২টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪৩টি। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে কেবল ৭টির দর।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডে দর বৃদ্ধির হারও বেশি নয়, কমার হারও বেশি নয়। ১০ থেকে ২০ পয়সা পর্যন্ত পার্থক্য ছিল ইউনিটপ্রতি। সেখানেও ৩টির ইউনিট দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৫টির।

কেবল তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে দেখা গেছে। এই খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ৬টির দর, কমেছে ৪টির। একটির লেনদেন ছিল স্থগিত।

দর বৃদ্ধিতে ১০ কোম্পানি

দর বৃদ্ধিতে থাকা সেরা ১০ কোম্পানির মধ্যে দুটি ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত। তবে আগের মতোই দিনের সর্বোচ্চ দরেও শেয়ার বিক্রিতে আগ্রহী হয়নি বিনিয়োগকারীরা।

সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯৪ শতাংশ আর একমি পেস্টিসাইডসের দর বেড়েছে ৯.৮১ শতাংশ।

দর বৃদ্ধিতে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতের আধিক্য ছিল বেশি। বস্ত্র খাতের নিউ লাইনের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.০৪ শতাংশ। আর দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৮৬ শতাংশ।

পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে
৭ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেনের দিন কেবল দুটি খাতেই লেনদেন হয়েছে এক শ কোটি টাকার বেশি

প্রকৌশল খাতের সুহৃদের দর বেড়েছে ৯.৬৭ শতাংশ। কোম্পানিটির লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২১ লাখ ৫ হাজার ৯৪৫টি শেয়ার। একই খাতের আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের দর বেড়েছে ৬.৬৯ শতাংশ।

দর বৃদ্ধির সেরা দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সমতা লেদারের শেয়ার দর ৫.৪৫ শতাংশ, আমান ফিডের দর ৪.৬৫ শতাংশ, হেমিনি সি ফুডের দর ৪.৯৫ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের দর বেড়েছে ৪.৬৫ শতাংশ।

সেরা দশের পর ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ৫টি কোম্পানির। দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১৭টি কোম্পানির। আর ১ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ৩৩টি কোম্পানির।

দর পতনের সেরা ১০

সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়া কোম্পানির তালিকায় ছিল এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান, যার ইউনিটপ্রতি দর কমেছে ৯.৮৭ শতাংশ। আগের দিন বুধবারও একই হারে দর কমেছিল এই ফান্ডটির।

ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৫১ পয়সা লভ্যাংশ যারা নিয়েছেন, রেকর্ড ডেট শেষে দ্বিতীয় দিনেই তারা লোকসানে পড়ে গেছেন। দুই দিনে ইউনিট দর কমেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা।

দ্বিতীয় স্থানে ছিল ন্যাশনাল টি কোম্পানি, যার শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ৬.০৩ শতাংশ।

শ্যামপুর সুগার মিলের শেয়ার দর কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭৪ টাকা। ২৩ লাখ টাকা লেনদেন হাতবদল হয়েছে ৩২ হাজার ১০২টি শেয়ার।

এ ছাড়া কেডিএস একসেসোরিজের দর কমেছে ৫.৭৪ শতাংশ। ৬৭ টাকা ৯০ পয়সার শেয়ার কমে হয়েছে ৬৪ টাকায়।

পেনিনসুলার দর কমেছে ৫.৬০ শতাংশ। ৩৫ টাকা ৭০ পয়সার শেয়ার কমে হয়েছে ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এ ছাড়া ঢাকা ডাইংয়ের দর ৫.২৪ শতাংশ, বারাকা পাওয়ারের দর ৫.১১ শতাংশ, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ৪.৬৬ শতাংশ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর ৪.৫৬ শতাংশ আর ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার পর এসএস স্টিলের দর কমেছে ৪.৪৪ শতাংশ।

লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানি

লেনদেনে সেরার অবস্থান এক দিন পরই ফিরে পেয়ছে বেক্সিমকো লিমিটেড, যার মোট ১১৮ কোটি ৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ৬৮ লাখ ১৯ হাজার ২১৪টি শেয়ার।

কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা। ১৭৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৭০ টাকা ২০ পয়সা।

আগের দুই দিন লেনদেনে শীর্ষে থাকা ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ২৭ লাখ টাকার। আগের দিন ৫ কোটির বেশি শেয়ার হাতবদল হলেও বৃহস্পতিবার হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬ হাজার ১৭৩টি শেয়ার।

পতন টানা পঞ্চম দিনে, ৭ মাস পর লেনদেন হাজার কোটির নিচে
এই খাতগুলোর প্রতিটিতেই লেনদেন একসময় এক শ কোটি টাকার বেশি হতো

প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলের ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪২টি শেয়ার ৪৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় হাতবদল হয়েছে। এই কোম্পানিটি সবচেয়ে বেশি লেনদেনের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল।

চতুর্থ স্থানে থাকা ব্যাংক খাতের আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর হারিয়েছে ৫০ পয়সা। আগের দিন দাম ছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা, সেটি কমে হয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক ছিল লেনদেনে সেরা ১০ কোম্পানির ৬ নম্বরে। ব্যাংকটির ১ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ২৬৯টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকায়।

জেনেক্স ইনফোসিসের লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। হাতবদল হয়েছে ২১ লাখ ৩৭ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার।

এ ছাড়া ফরচুন সুজের ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, এনআরবিসির ২১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেকের ১৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মার ১৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।

ব্যাংক খাতের আরও কিছু প্রতিষ্ঠান লেনদেনে এগিয়ে থাকলেও কমেছে শেয়ার দর। এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৪০ পয়সা। ব্যাংকটির লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংকের দর কমেছে ৫০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
আবার বড় পতন, লেনদেনেও খরা, সূচক ৭ হাজারের নিচে
উৎপাদন বাড়াচ্ছে ফ্যামিলিটেক্স, তবে দিচ্ছে না তথ্য
টানা তিন দিন দরপতন, গতি ফেরেনি লেনদেনেও
এবার বেক্সিমকোর মালিকপক্ষের বড় শেয়ার কেনার ঘোষণা
ব্যাংক খাতে উল্টো চিত্র, সূচকে বড় পতন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Capital Market Index is increasing transactions

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

পুঁজিবাজার : সূচক বেড়ে চলছে লেনদেন

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।

এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।

রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।

সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।

অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।

এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction is going on in the capital market of Dhaka Chittagong

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
At the end of the holidays the capital market starts with the big ups

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

ছুটি শেষে বড় উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু পুঁজিবাজারে

তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the first hour of the capital market the rise in the index has risen to most companies

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থান, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।

দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will form a committee to find a long term financing way from the capital market

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজতে কমিটি গঠন করবে সরকার

পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।

তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।

সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

p
উপরে