× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Technology is good variety and price is good in agriculture
google_news print-icon

প্রযুক্তি, ভালো জাত আর দামে কৃষিতে সুদিন

প্রযুক্তি-ভালো-জাত-আর-দামে-কৃষিতে-সুদিন
কৃষিতেই এখন সফলতা দেখছেন কৃষক। ছবি: নিউজবাংলা
কুষ্টিয়ার বানিয়াপাড়ার কৃষক মুনসাফ শেখ বলেন, ‘লাভ পাওয়ায় ধানের চাষ বাড়াচ্ছি। কয় বছর আগে ৫০০-৬০০ টাকা মণ ধান বিক্রি করে লোকসান খেয়ে চাষ ছেড়েই দিয়েছিলাম। সরকার আবার ধানের দাম দিচ্ছে। তারাই কিনে নিচ্ছে। এখন ধানের আবাদ বাড়াচ্ছি। সব কৃষকই বাড়াচ্ছে।’

কয়েক বছর আগেও কৃষিতে একের পর এক লোকসান গুনেছেন কুষ্টিয়ার চাষিরা। অলাভজনক সেই কৃষিতেই এখন সফলতা দেখছেন তারা।

কৃষকরা বলছেন, নতুন প্রযুক্তি আর উচ্চ ফলনশীল জাতের কারণে ভালো ফলন পাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের দামও এখন ভালো পাওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন। বিশেষ করে ধান, পেঁয়াজ ও সবজিতে ভালো লাভ হচ্ছে কুষ্টিয়ায়।

কৃষি বিভাগ বলছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি ও উচ্চ ফলনশীল জাতে বেড়েছে ফলন। সেই সঙ্গে সরকারের ভর্তুকি ও প্রণোদনায় উৎপাদন খরচ কমেছে কৃষকের।

জেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ার কৃষক মুনসাফ শেখ এ বছর ধান চাষ করেছিলেন ৬ বিঘা জমিতে। প্রতি বিঘায় লাভ পেয়েছেন ১২-১৪ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ‘লাভ পাওয়ায় ধানের চাষ বাড়াচ্ছি। কয় বছর আগে ৫০০-৬০০ টাকা মণ ধান বিক্রি করে লোকসান খেয়ে চাষ ছেড়েই দিয়েছিলাম। সরকার আবার ধানের দাম দিচ্ছে। তারাই কিনে নিচ্ছে। এখন ধানের আবাদ বাড়াচ্ছি। সব কৃষকই বাড়াচ্ছে।’

প্রযুক্তি, ভালো জাত আর দামে কৃষিতে সুদিন

ধান চাষের খরচ নিয়ে জানান, ধানে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে সার, সেচ, জমি চাষ, রোপন ও ধান কাটার শ্রমিক খরচ রয়েছে। বিঘায় এখন ১৮-২০ মণ ধান পাচ্ছেন। খড় বিক্রি করে আসে আরও ৪ হাজার টাকা। সেই হিসাবে হাজার টাকা মণে ধান বেচতে পারলে বিঘায় ১৪ হাজার টাকা লাভ থাকে।

মুনসাফ বলেন, ‘সব জমিতে এক রকম ফলন হয় না। কম-বেশি হয়। তবে গড় হিসাবে বিঘায় ১২-১৪ হাজার টাকা লাভ থাকছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কৃষিতে লাভবান হচ্ছি। ধান-পেঁয়াজের দাম ভালো আছে। সরকারের পক্ষ থেকে উচ্চ ফলনশীল ভালো বীজ দেয়া হয়েছে।

‘মাঠে সবাই ধান আর পেঁয়াজের আবাদ বাড়াচ্ছে। আমি নিজে আগে ৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতাম। বাড়াতে বাড়াতে এবার করছি ১২ বিঘায়। কয়েক বছর আগে একবার পেঁয়াজ ২২ টাকা কেজি বিক্রি করে অনেক টাকা লোকসান খেয়েছি। গতবার অবশ্য লাভ করেছি। মৌসুমে আমাদের পেঁয়াজ ওঠার সময় সরকার আমদানি বন্ধ রাখলে ভালো দাম পাব।

মূলকাটা পেঁয়াজে খরচ বেশি আর চারার পেঁয়াজে খরচ কম জানিয়ে কুষ্টিয়ার এ কৃষক বলেন, ‘মূলকাটায় এক বিঘা জমিতে সাত থেকে আট মণ বীজ দরকার হয়। এই পদ্ধতিতে ছোট সাইজের পেঁয়াজ রোপণ করা হয়। জমি প্রস্তুত, সেচ, সার, ওষুধ মিলিয়ে ২৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অন্তত ৪৫ মণ পেঁয়াজ তুলতে পারব। হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারলেও ১০ হাজার টাকার কাছে লাভ থাকবে।

‘পেঁয়াজ তোলার পর সব জমিতে ভুট্টা লাগিয়ে দেব। ওটাও এখন লাভজনক ফসল। সারা বছরই ক্ষেত করছি। কোনো জমিই পড়ে থাকছে না। আবহাওয়া খারাপ না হলে বা কোনো রোগ-বালাই না থাকলে এখন আর ক্ষতি নেই। লাভই হচ্ছে।’

একই এলাকার কৃষক হবিবার রহমান বলেন, ‘নতুন জাতের বিএডিসি রেড নাসিক এন-৫৩ পেঁয়াজের বীজ দিয়েছে সরকার। এক বিঘা জমি চাষের সার, কীটনাশকসহ সব খরচ দিচ্ছে তারা। বলেছে, এটার ভাল ফলন হবে। দেখি গ্রীষ্মকালীন এই পেঁয়াজ যদি ভালো হয়, তাহলে পরে আমরা এটাই করব।

প্রযুক্তি, ভালো জাত আর দামে কৃষিতে সুদিন

‘ডিসেম্বরে মূলকাটা পেঁয়াজ আসার ২০-৩০ দিন পর উঠবে এই জাতের পেঁয়াজ। আর চারার পেঁয়াজ উঠবে মার্চ-এপ্রিলে। নতুন এই জাত আসায় বছরে এখন তিন ধাপে পেঁয়াজ উঠবে। এভাবে আগে পিছে উঠলে ভালো হবে। দাম ভালো পাওয়া যাবে।’

কয়ায় গড়াই নদী পাড়ের জমিতে লাল শাকের সঙ্গে টমেটো চাষ করেছেন কৃষক ফারুক শেখ। তিনি এরই মধ্যে ২০ হাজার টাকার লালশাক বিক্রি করেছেন। এতেই সব খরচ তুলে ১২ হাজার টাকা লাভ করেছেন। কিছু দিনের মধ্যে টমেটো ওঠা শুরু হবে। সেখানে আরও ৮-১০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

ফারুক বলেন, ‘অল্প দিনের ফসল লাল শাক। ২০-২৫ দিনের মধ্যেই বেচাকেনা শেষ। এখন টমেটো ক্ষেতে মনোযোগ দিয়েছি। এটাও ভালো হচ্ছে।’

সারের দাম নিয়ে অবশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার দাম ধরে দিলেও দোকানিরা বাড়িয়ে বেচছেন। অভিযোগ দিলেও কেউ সমাধানে এগিয়ে আসছেন না।’

সরেজমিনে কুষ্টিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। কোনো কোনো এলাকায় হালকা সবুজ আভার ছোট পেঁয়াজ কলিও দুলছে।

এর সঙ্গে দুলছে কৃষকের মন। তারা বলছে, ধানে মনপ্রতি আগের মতো দাম পেলে ভালো লাভ ঘরে তুলতে পারবেন তারা। আর পেঁয়াজের দাম এখনও পড়েনি। তারা এখনকার দামই পেতে চান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ উৎপাদন হয় যে পাঁচ জেলায় তার মধ্যে কুষ্টিয়া অন্যতম। জেলায় এ বছর ১২ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এতে ১ লাখ ৮০ হাজার ৭১৪ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা তাদের।

নতুন জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। আগামীতে এর উৎপাদন আরও বাড়বে বলছে কৃষি বিভাগ।

ধান উৎপাদনে কুষ্টিয়াকে অপার সম্ভাবনার জেলা হিসেবে ধরে কৃষি বিভাগ। তারা বলছে, গত বছর জেলায় ৮৮ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। সেখানে উৎপাদন হয় ৪ লাখ ৪৬ হাজার টন ধান। এ বছর আমন চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে, চাষ হয়েছে ৮৮ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে। এবার ফসল ভালো হয়েছে, সাড়ে ৪ লাখ টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা তাদের।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিত্তিপাড়ার আশপাশে হয় নানা রকমের সবজির চাষ। ভালো দাম পাওয়ায় সবজি চাষিরও লাভ ঘরে তুলতে পারছেন। তবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ওই এলাকার কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। সেচ ও জমি চাষ করতে এখন অনেকটা ডিজেলচালিত যন্ত্রের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে। আর পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাপারিরা সবজির দাম কমিয়ে দিতে চাচ্ছেন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার প্রধান কর্মকর্তা উপপরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে হাঁটছে সরকার। আধুনিক প্রযুক্তি দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। ভালো মানের বীজ সরবরাহ করে সুষম সারের পরামর্শ দিয়ে ফলন বাড়িয়ে দিচ্ছেন সম্প্রসারণ কর্মীরা।

‘আবার কৃষিবান্ধব সরকার খেয়াল রাখছে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের বিষয়টিও। সব মিলিয়ে কৃষি এখন লাভজনক।’

কৃষকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘অনেক কৃষক নিজেরাই এতটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন যে, বিশেষজ্ঞদেরও হার মানায়। এরা আবার অন্য কৃষকদেরও লাভজনক চাষের দিকে মনোযোগী করছেন। যেমন কুমারখালীর কৃষক আবু তালেব পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনে অভিজ্ঞ। তিনি সব কৃষককে সহযোগিতা করে থাকেন।’

সারের দাম বেশি রাখার বিষয়ে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘মনিটরিং করা হচ্ছে। এসব সমস্যারও সমাধান করা হবে।’

আরও পড়ুন:
কৃষিপণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্য ২ বিলিয়ন ডলার
রপ্তানিতে নতুন আশা কৃষিপণ্য
কৃষি পণ্য বেচাকেনার জন্য সদাই অ্যাপ
কৃষিপণ্য রপ্তানিতে সরকারের গুরুত্ব
কৃষিপণ্য ও শ্রমিকের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখতে চিঠি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
It is alleged that Teknaf entered the house and beat up the mother and daughter

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ

টেকনাফে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে মারধর, বিবস্ত্র করার অভিযোগ কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনে অভিযুক্ত আয়ুব খান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপে ঘরে ঢুকে এক নারী ও তার মেয়েকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

গত সোমবারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগটি করেন ছেনুয়ারা বেগম নামের নারী।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, গত সোমবার রাত দুইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পূর্ব উত্তরপাড়া এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগমের ঘরের দরজা ভেঙে আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন প্রবেশ করেন। তারা ছেনুয়ারা ও তার মেয়ের হাত-পা বেঁধে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে এলোপাতাড়ি লাথি ও ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে মা ও মেয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করেন আইয়ুব ও তার লোকজন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়ে কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান৷

এ বিষয়ে ছেনুয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্ত্রাসী আয়ুব খানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক আমার বাড়িতে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রবেশ করে। পরে বাড়ি থেকে আমাকে জোরপূর্বক কয়েকজন লোক বের করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে এবং আমার মেয়েকে নির্যাতন করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া বিষয়ে কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে চলে যায়।’

থানায় অভিযোগের পর আয়ুব হুমকি দিয়েছে জানিয়ে ছেনুয়ারা বলেন, ‘সেই আয়ুব খান মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বলে, মামলা হলে কী হবে? জামিন নিয়ে বাহির হয়ে আমাকে আর আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আমি টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’

এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিম রেজু বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি এবং সঠিক তদন্ত করে পুলিশকে সহযোগিতা করব।’

অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘আমি ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং আমি মামলা করার জন্য ওসি বরাবর সুপারিশ করেছি।’

টেকনাফ মডেল থানার ওসি ওসমান গণি বলেন, ‘আরও গভীরভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসির সামনে মানববন্ধন
এফডিসিতে সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটালেন শিল্পীরা
দিনমজুরকে মারধরের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
নারী কয়েদিকে ‘নির্যাতনের’ তদন্ত শুরু, দুই কারারক্ষী বদলি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
14 BNP leaders in jail in Moulvibazar

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে

মৌলভীবাজারে বিএনপির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে ছবি: নিউজবাংলা
মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মৌলভীবাজারে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা নাশকতা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এমএ মুহিতসহ ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের মঞ্জুরকৃত জামিন শেষ হওয়ায় তারা আদালতে হাজির হন।

মৌলভীবাজার মডেল থানায় ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে করা দুটি রাজনৈতিক মামলার ১৪ জন আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সবার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহিতুর রহমান হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহমেদ আহাদ, যুবদলের এমএ নিশাদ, যুবদলের সিরাজুল ইসলাম পিরুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নুরুল ইসলাম, যুবদলের ওয়াহিদুর রহমান জুনেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল হান্নান, স্বেচ্ছাসেবক দলের রোহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুনুর রশিদ ও যুবদলের জাহেদ আহমেদ।

মৌলভীবাজার জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. ইউনুছ মিয়া জানান, ২০২৩ সালে নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিরা। আদালত শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death toll in Sajeke dump truck ditch rises to 9

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯

সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯ খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। ছবি: নিউজবাংলা
বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি থানাধীন সাজেকে শ্রমিকবাহী ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তিনজনকে মৃত বলে জানান।

এর আগে বিকেলে সাজেকের উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্য, খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদয়পুর সীমান্তবর্তী সড়ক নির্মাণের জন্য ডাম্প ট্রাকে ১৪ জন শ্রমিক জামান ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সেতুর কাজে যাচ্ছিলেন। পথে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের ঢালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি খুবই দুর্গম এলাকা। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই নারী ও শিশু নিহত, আহত আরেক শিশু
ছাত্রলীগ নেতা রকি হত্যা মামলার আসামি বাসচাপায় নিহত
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১
চট্টগ্রামে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২
গাছে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত, আহত ৭

মন্তব্য

বাংলাদেশ
60 year old man arrested for child rape

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের প্রৌঢ় গ্রেপ্তার

শিশু ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের প্রৌঢ় গ্রেপ্তার ছবি: নিউজবাংলা
শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় ৭ (সাত) বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দ সরাফত আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের পরিদর্শক রিপন চন্দ্র গোপের নেতৃত্বে একটি অভিযানিক দল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

৬০ বছর বয়সী সৈয়দ সরাফত আলী রাজনগর থানার করিমপুর চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।

পিবিআই জানায়, শিশুটিকে বাঁশের বাঁশি বানিয়ে দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১৪ এপ্রিল বেলা পৌনে দুইটার দিকে সৈয়দ সরাফত আলী তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হলে তিনি আত্নগোপন করেন।

অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে গত প্রথমে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হয়।

এ বিষয়ে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রাজনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

পিবিআই মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীর পার পাওয়ার সুযোগ নেই। আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হবে। মামলার খুঁটিনাটি বিষয় বিবেচনায় রেখে নিখুঁত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।’

আরও পড়ুন:
তরুণীকে বাসায় আটকে এক মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ
নওগাঁয় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষক কারাগারে
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় নারীর শাস্তি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death of traffic inspector while on duty at Sonamsjid land port

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু
সোনা মসজিদ স্থল বন্দর। ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মারা যান। তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে দায়িত্ব পালনকালে রুহুল আমিন নামে এক ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি যশোরের বেনাপোলে। বাবার নাম কোরবান আলী।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের মধ্যে ট্রাক পরিদর্শন শেষে দুপুর পৌনে ১টার অফিস কক্ষে ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন রুহুল আমিন। সহকর্মীরা তাকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রুহুল আমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মারা যান। হাসপাতালে যারা নিয়ে এসেছিলেন তারা বলেছেন যে তিনি তৃষ্ণার্ত ছিলেন, পানি খেতে চেয়েছিলেন।

তবে তার মৃত্যু যে হিট স্ট্রোকে হয়েছে এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। অন্য কোনো রোগেও তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে এখন যেহেতু প্রচণ্ড গরম চলছে তাই এটার প্রভাব থাকতে পারে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
288 Myanmar soldiers and BGP members returned

ফেরত গেলেন মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য

ফেরত গেলেন মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য কড় নিরাপত্তায় পানি পথে ফেরত পাঠানো হয় মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের। ছবি: নিউজবাংলা
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিটিএ জেটি ঘাট থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টাগবোটে তুলে দেয়া হয়।

সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধের মধ্যে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৮৮ জন সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিটিএ জেটি ঘাট থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের টাগবোটে তুলে দেয়া হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, গভীর সাগরে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে অপেক্ষায় থাকা মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইনে তাদের তুলে দেয়া হবে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের ওই জাহাজ বুধবারই বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছায়। ওই জাহাজে করেই ১৭৩ জন বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন। যারা বিভিন্নভাবে মিয়ানমারে আটকা পড়েছিলেন বা সাজা পেয়ে জেলখানায় ছিলেন।

মিয়ানমার নৌবাহিনীর ওই জাহাজে করে দেশটির ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও বুধবার দুপুরে কক্সবাজার পৌঁছায়। পরে তারা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নে বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর তারা মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের যাচাই-বাছাইসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

বিজিবি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ১১টি বাসে করে মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনা সদস্যদের কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।

সেখানে আনার পর ইমিগ্রেশন ও ডকুমেন্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে শুরু হয় হস্তান্তর প্রক্রিয়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিজিবি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ দেশটির প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।

এরপর সকাল ৭টার দিকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কর্ণফুলি টাগবোটে তুলে দেয়া হয়। কোস্ট গার্ডের একটি ট্রলার টাগবোটটিকে পাহারা দিয়ে গভীর সাগরে নিয়ে যায়।

দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাতেও। সীমান্তের ওপারের মর্টার শেল ও গুলি এসে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

ওই সংঘাতের মধ্যে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ ৩৩০ জনকে প্রথম দফায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠিয়েছিল সরকার।

তাদের মধ্যে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপি ৩০২ জন, তাদের পরিবারের চার সদস্য, দুজন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।

এরপর বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত নিয়ে কয়েক দফায় আরো ২৮৮ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনা সদস্য এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এবার তাদের ফেরত পাঠানো হলো।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two dredgers seized in Padma illegally extracting sand in the dark of night

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ

রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, পদ্মায় দুই ড্রেজার জব্দ পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় বুধবার গভীর রাতে দুটি ড্রেজার জব্দ করে নৌ-পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বুধবার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুটি ড্রেজার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

মাওয়া নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে উপজেলার মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশিলদিয়ায় বুধবার রাত দেড়টার দিকে পদ্মা নদীতে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় নিয়ম অমান্য করে বালু উত্তোলন করায় ওই দুটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, ড্রেজার জব্দ করার সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ড্রেজার দুটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল তুলেছে পদ্মা সেতু
পদ্মা সেতুতে ৮ ঘণ্টায় পৌনে দুই কোটি টাকা টোল আদায়
একীভূত হতে পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে পদ্মা ব্যাংক
পদ্মা ব্যাংকের আরও এক ঋণখেলাপি গ্রেপ্তার

মন্তব্য

p
উপরে