বাসে হাফ ভাড়া নিতে হবে, এমন কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। তার পরেও বিষয়টি নিয়ে বারবার বিরোধ তৈরি হয়।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়িয়ে বিআরটিএর আদেশ আসার পর ছাত্রদের সঙ্গে বাস ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এর কারণও এই হাফ ভাড়া বিতর্ক।
বাসগুলো সরকারনির্ধারিত হারের বদলে ওয়েবিল নামে এক পদ্ধতিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। এবার বাস ভাড়া বাড়ানোর পর কিলোমিটার দূরত্বে হিসাবে না দিয়ে ওয়েবিলের ভাড়া আরও বাড়িয়ে দেয়া হয়।
এই বাড়তি ভাড়া আদায় ঠেকাতে যখন ওয়েবিল বন্ধের চাপ দেয়া হচ্ছে, সে সময় গত এক সপ্তাহ ধরেই অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ সময় ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নেয়ার বিষয়টি ছিল মৌখিক। কেউ নিতেন, কেউ নিতেন না।
তবে গত কয়েক বছরে ওয়েবিলের বাসে ‘হাফ পাস’ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার কম ভাড়া একেবারেই নিতে চাইছেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
তারা বলছেন, হাফ ভাড়া নিয়ে সড়কে বাস চালানো সম্ভব না। জ্বালানির দাম বাড়ার পাশাপাশি সব খরচ বেড়েছে।
তবে ছাত্রদের হাফ ভাড়ার আন্দোলনও বড় হচ্ছে। একজোট ছাত্রদের কারণে যান চলাচল প্রায়ই বন্ধ থাকছে বিভিন্ন রুটে। আবার ছাত্ররা চাপ দিলে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও বাস বন্ধ রেখে ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
এই মধ্যে ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, এমনকি তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানও। তিনি ছাত্রদের দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে একটি রুটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য হাফ ভাড়া মেনে নিয়েছেন বাসমালিকরা। সদরঘাটগামী বাসে অর্ধেক ভাড়ায় যাতায়াতের পাশাপাশি ছাত্রদের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ টাকা রাখা হবে বলে সমঝোতা হয়েছে।
বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন মকবুল হোসেন কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘হাফ পাস চাই’, ‘হাফ পাস ভিক্ষা নয়, আমাদের অধিকার’, ‘দাবি একটাই, হাফ পাস চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেয়।
হাফ পাস দাবির বিষয়ে মকবুল হোসেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, ‘আমরা স্কুলে থাকাকালীন হাফ ভাড়া দিয়েছি। ২-৩ বছর ধরে কোনো বাসে আর হাফ ভাড়া নেয় না। আর তেলের দাম বাড়ানোর পর একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে। ছাত্রদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতে হবে।’
সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা চাই অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসুক। যাতে কোনো বাসের চালক বা সহকারী অর্ধেক ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি না জানাতে পারে।’
তবে কেন শুধু বাসেই হাফ ভাড়া দেবেন? অন্য কোনো সেবা নিতে তো হাফ দেন না। হাফ পাস কি আইনে আছে? এমন প্রশ্ন করা হলে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলেননি।
যা বলছেন বাসমালিকরা
হাফ ভাড়া নিয়ে ছাত্রদের বিক্ষোভ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হচ্ছে মিরপুর রুটে। এই রুটে অনেক বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে আজিমপুর পর্যন্তই আছে তিনটি বড় বলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ।
একটি বাসের এক শ্রমিক বলেন, বিশেষ করে সকালে এই রুটে যত যাত্রী ওঠে তার একটি বড় অংশই ছাত্র। যদি সবার কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া নিতে হয়, তাহলে বাস চালানোর টাকাই উঠবে না।
বিকাশ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হাফ ভাড়া নিতে হইলে আমাদের এক পয়সাও লাভ হবে না। উল্টো ভর্তুকি দিয়ে গাড়ি চালাইতে হবে। হাফ ভাড়া বিআরটিসি নিলে নিতে পারে, আমরা নেব কেন? আমরা তো কোনো কিছুতেই হাফ ট্যাক্স দিই না।‘
অর্ধেক ভাড়া নিতে হলে আর্থিক সহযোগিতা দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের ভর্তুকি দিক, ভাড়া আরও বাড়াক, আমরা হাফ ভাড়া নেব। নইলে আমাদের পোষাবে না। ডিজেলের দাম আর বর্তমান ভাড়াতেই আমরা লাভ নিয়ে ঘরে যেতে পারি না।’
সোহরাব হোসেন মিরপুর রোডের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার এই রাস্তায় চারটা কলেজ। হাফ ভাড়া দিয়ে আমি কেমনে চালামু। শুক্রবারও কয় হাফ ভাড়া।’
মিরপুর সুপার লিংক পরিবহনের দুটি বাসের মালিক হাসান শেখ। তিনি বলেন, পরিবহন সম্পূর্ণ প্রাইভেট সেক্টর। এখানে সরকার কিছু দেয় না। গণপরিবহন সাধারণ জনগণ চালায়। সরকার পরিচালিত বাস-ট্রেনেই হাফ ভাড়া নেই। যেটা সাধারণ মানুষ চালাচ্ছে সেখানে হাফ ভাড়া দাবি অযৌক্তিক।’
ছাত্ররা কেবল বাস ভাড়ার ক্ষেত্রে কেন ছাড় চায়- এই প্রশ্নও রাখেন এই বাসমালিক। বলেন, ‘ছাত্ররা অন্য কোথাও কি হাফ পাস পায়? পরীক্ষার বেতন কি হাফ দেয়, না কলেজের ক্যানটিনে হাফ টাকায় খায়? সরকারের কোনো সেবাপ্রতিষ্ঠানও তাদের সেবার বিনিময়ে হাফ টাকা নেয় না। তাহলে আমাদের ওপরে হাফ ভাড়া নেয়ার দায় কেন চাপানো হচ্ছে?’
তিনি বলেন, ‘যখন গ্যাসে চলত, তখন হাফ পাস ছিল। কিন্তু গ্যাসের দামও বাড়ার পর হাফ পাস দেয়া হয় না। বিহঙ্গ গাড়িতে হাফ পাস ছিল। তারাও বাধ্য হয়ে চালু করেছিল।’
এই বিতর্কে মাঝেমধ্যেই বাস বন্ধ রেখে চাপ দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এসব কারণে শ্রমিকরা বাস চালাতে চাচ্ছে না।’
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হাসান শেখের দুটি গাড়িই ভাঙচুরের শিকার হয়েছে বলে দাবি তার।
বলেন, ‘আমার দুইটা গাড়ি ভাইঙ্গা শেষ করে দিছে। দুই গাড়িতে একটা গ্লাসও নাই। ৬৪-৬৫ হাজার টাকা খরচ কইরা গ্লাসগুলো লাগাইছিলাম। এই ছাত্ররা সবগুলো ভাইঙ্গা দিছে। এই খরচ কইরা আমার ঘরে এখন বাজার নাই। কোম্পানিরে বলছিলাম, ওরাও কোনো সহযোগিতা করবে না।’
‘শিক্ষার্থীদের দাবির আইনগত ভিত্তি নেই’
শিক্ষার্থীদের দাবি এবং মালিক-শ্রমিকদের অবস্থান প্রসঙ্গে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই দাবির আইনগত কোনো প্রবেশন নাই। তাদের এই দাবির বিষয়টা আমরা দেখছি, আমাদের পক্ষ থেকে সরকারকে অবগত করেছি। এগুলো নিয়ে বৈঠক করেছি।’
তিনি বলেন, ‘অর্ধেক ভাড়ার দাবিটা নতুন নয়। যুগে যুগেই ছাত্রদের এই দাবি ছিল। সমাধানে চেষ্টা করছি।’
বাসমালিকদের সংগঠন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ দেখান আইনের বিষয়। তিনি বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনে হাফ ভাড়া নেয়ার বিষয়ে কোনো প্রবেশন নাই। বিআরটিসি দিলে দিতে পারে, যেহেতু তারা ভর্তুকি দেয়। আমাদের দেয়ার কোনো বাধ্যবাধকা এবং সুযোগ নেই, সম্ভবও না।‘
শিক্ষার্থীরা প্রতিদিনও এই দাবিতে আন্দোলন করছে, সমাধান কী হবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সমাধানটা সরকারকে করতে হবে। আমাদের প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। সরকার আমাদের বলছে, তারা সামাধানে চেষ্টা করছে।’
আগে পেতেন- এটাই ছাত্রদের প্রধান বক্তব্য
সোমবার মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ‘হাফ পাস চাই’, ‘হাফ পাস ভিক্ষা নয়, আমাদের অধিকার’, ‘দাবি একটাই, হাফ পাস চাই’সহ নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশ নেয়।
তবে অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য নেই তাদের। কেবল অতীতে এই সুবিধা পেতেন- এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন তারা।
হাফ পাস দাবির বিষয়ে মকবুল হোসেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর রহমান বলেন, ‘আমরা স্কুলে থাকাকালীন হাফ ভাড়া দিয়েছি। ২-৩ বছর ধরে কোনো বাস নেয়, কোনো বাসে নেয় না। আর তেলের দাম বাড়ানোর পর একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে। ভাড়া নিতে হবে।’
সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল আমিন বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা চাই অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসুক, যাতে কোনো বাসের চালক বা সহকারী অর্ধেক ভাড়া নিতে অস্বীকৃতি না জানাতে পারে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, সারা দেশে দেশীয় মাছের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। এই সংকট নিরসনে উন্মুক্ত জলাশয়ের কোন বিকল্প নাই। সরকার দেশের নদ-নদীতে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করতে কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
উপদেষ্টা আজ সকালে কুড়িগ্রামে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,নারী কৃষক এবং স্হানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, বন্যায় নদীগুলোতে পলি পরার কারণে নাব্যতা হ্রাস, পানি দূষণ, চায়না জাল ব্যবহার ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে মাছ কারণে দিনদিন মাছের পরিমাণ কমছে। জোরালো অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ মাছ ধরার যন্ত্রপাতি উদ্ধার করতে হবে। অভিযান চলমান রাখতে নদীগুলোতে স্পীড বোটের ব্যবহার করা হবে।
চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে তারা সরকারি অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া তিনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান।
খামারিদের উৎপাদিত দুধ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যথাযথ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের অভাবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই এই অঞ্চলে চিলিং সেন্টার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, জুলাই যোদ্ধাগণ অনেকে জীবন উৎসর্গ করেছেন আবার অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের এই ঋণ ভুলবার নয়। এজন্য তিনি সরকারি ও এনজিওর উদ্যোগে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানান।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে আরো উপস্হিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোক্তাদির খান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণের অতিরিক্ত উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানাসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর উপদেষ্টা কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের ছড়ারপাড় গ্রামে নারী কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
সরকার দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনীত করেছে। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খাদিজা তাহের ববির সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রেস কাউন্সিলের ৫ নম্বর ক্রমিকের প্রতিনিধি নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীর পদত্যাগ করায় তার পরিবর্তে সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার সম্পাদক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে প্রেস কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হলো।’
বর্তমান কাউন্সিলের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এ মনোনয়ন কার্যকর থাকবে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রেস কাউন্সিলের বর্তমান চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম, সচিব (উপসচিব) মো. আব্দুস সবুর।
এছাড়া ১২ জন সদস্য হচ্ছেন—১. বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ২. ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মিস দৌলত আকতার মালা, ৩. ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ৪. ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, ৫. দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ৬. দৈনিক বণিক বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ৭. দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ৮. দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, ৯. নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়ার) উপদেষ্টা আখতার হোসেন খান, ১০. বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, ১১. বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলাম এবং ১২. বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন।
অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মিয়া শাহবাজ শরিফের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে পিএম হাউসে উভয়ের এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ধর্ম উপদেষ্টা ও তার প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং সখ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও জোরদার হবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ও কায়রোতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানান।
এদিকে ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি পত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এ পত্রে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে নজিরবিহীন বন্যায় সে দেশের সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর সহমর্মিতা ও আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভয়াবহ এ দুর্যোগে নিহতদের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ পত্রে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কঠিন এ সময়ে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আপনার সুদক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তানের জনগণ তাদের অসাধারণ ধৈর্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রয়োজনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা ও করাচীর মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল দ্রুত পুনঃস্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া কৃষি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ধর্মতত্ত্ব ও চিকিৎসা বিষয়ে উভয়দেশের শিক্ষার্থী বিনিময়ে বৃত্তি প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, ধর্মবিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি মন্ত্রী সরদার ইউসুফ খান, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতা তারার, ইসলামাবাদে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও শরীফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রভাষক মুফতি জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের একটি স্বাধীন তদন্ত সার্ভিস গঠন করা হবে, যাতে কোনো রাজনৈতিক বা অন্য কোনো প্রভাব ছাড়াই তদন্ত সম্পন্ন করা যায়।’ এর পাশাপাশি পুলিশের ভেতরে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ‘এই দুই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করবে। এ কাজে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী যুক্ত থাকবেন।’
সভায় স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়েছেন যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও ক্ষমতায়িত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন যেন নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা করতে পারে সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
স্বাস্থ্য খাত নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। শফিকুল আলম জানান, ‘কিছু মেডিকেল কলেজে যোগ্য শিক্ষকের সংকট রয়েছে। তাই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পরামর্শক বা অন্যভাবে সম্পৃক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রমের মান উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিষয়েও সভায় আলোকপাত করা হয়। প্রেস সচিব বলেন, ‘নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভালো আছেন, দূতাবাস তাদের দেখভাল করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বিশেষ ফ্লাইটে জাতীয় ফুটবল দলকে দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ বৈঠক প্রসঙ্গে শফিকুল আলম আরও বলেন, ‘আজকের বৈঠকের প্রতিটি সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি, শাসনব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।
সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’
সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।
কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।
জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।
তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"
তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য