জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মেদ সোলিহর ঢাকা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ঢাকা সফররত মালদ্বীপের উপরাষ্ট্রপতি ফয়সাল নাসিম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গভবনে মালদ্বীপের উপরাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং ক্রমান্বয়ে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তা সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
মালদ্বীপের উপরাষ্ট্রপতির এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের বিরাজমান সম্পর্ক আগামীতে আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও আশা করেন রাষ্ট্রপতি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ একযোগে কাজ করতে পারে।’
সাক্ষাতে মালদ্বীপের উপরাষ্ট্রপতি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন সফররত উপরাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এইচএসসি ও সমমানের এবারের পরীক্ষায় শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
ফল নিয়ে ব্রিফিংয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৯৫৩টি। আর ২০২৪ সালে এসেছে ১ হাজার ৩৮৮। বেড়েছে, কিন্তু শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৪২টি। এ বছর এসেছে ৬৫টি। দ্যাট ইজ এটা বেড়ে গেছে; শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান।’
বিগত বছরের সঙ্গে এবারের ফলের তুলনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ২০২৩ সালে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এক শতাংশেরও কম কমেছে পাসের হার। আর ২০২৩ সালে আমাদের জিপিএ-৫ ছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
‘এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, দ্যাট ইজ আমাদের জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে ৬৫টিতে দাঁড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
ফল নিয়ে ব্রিফিংয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ২০২৩ সালে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এক শতাংশেরও কম কমেছে পাসের হার। আর ২০২৩ সালে আমাদের জিপিএ-৫ ছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
‘এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, দ্যাট ইজ আমাদের জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’
শতভাগ পাস ও ফেল করা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৯৫৩টি। আর ২০২৪ সালে এসেছে ১ হাজার ৩৮৮। বেড়েছে, কিন্তু শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৪২টি। এ বছর এসেছে ৬৫টি। দ্যাট ইজ এটা বেড়ে গেছে; শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান।’
এইচএসসি ও সমমানের এবারের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণ বুধবার থেকে শুরু হয়ে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
ফল নিয়ে ব্রিফিংয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমাদের রেজাল্ট প্রকাশের পরপরই রিস্ক্রুটিনির (পুনঃনিরীক্ষণ) জন্য আবেদন করতে হয়।
‘সেটা আমাদের আগামীকাল (বুধবার) থেকে, ১৬.১০.২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২২.১০.২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এসএমএসের মাধ্যমে আমাদের এ আবেদন গ্রহণ করা হবে।’
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন প্রায় দেড় লাখ পরীক্ষার্থী।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার সামান্য কমলেও অনেক বেড়েছে জিপিএ ফাইভ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের ২০২৩ সালে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪ (শতাংশ)। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এক শতাংশেরও কম কমেছে পাসের হার। আর ২০২৩ সালে আমাদের জিপিএ-৫ ছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
‘এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, দ্যাট ইজ আমাদের জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’
ফলের তুলনামূলক পরিসংখ্যান জানাতে গিয়ে এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৯৫৩টি। আর ২০২৪ সালে এসেছে ১ হাজার ৩৮৮। বেড়েছে, কিন্তু শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৪২টি। এ বছর এসেছে ৬৫টি। দ্যাট ইজ এটা বেড়ে গেছে; শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান।’
আরও পড়ুন:চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার সামান্য কমলেও অনেক বেড়েছে জিপিএ ফাইভ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।
আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০২৩ সালে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪ (শতাংশ)। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এক শতাংশেরও কম কমেছে পাসের হার। আর ২০২৩ সালে আমাদের জিপিএ-৫ ছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
‘এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, দ্যাট ইজ আমাদের জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’
এ কর্মকর্তা বলেন, ‘শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৯৫৩টি। আর ২০২৪ সালে এসেছে ১ হাজার ৩৮৮। বেড়েছে, কিন্তু শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৪২টি। এ বছর এসেছে ৬৫টি। দ্যাট ইজ এটা বেড়ে গেছে; শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান।’
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে মঙ্গলবার।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সার্বিক ফল
তপন বলেন, ‘এ রেজাল্টের যে পরিসংখ্যান ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের, মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে আমাদের মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ছিল ৬ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৩ জন; ছাত্রী ছিল ৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৫ জন। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১০ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন, যার মধ্যে ছাত্র হলো পাঁচ লাখ তিন হাজার ৫৯৫ জন এবং ছাত্রী হলো ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন।
‘আমাদের ১১টি বোর্ডের পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ (শতাংশ), যার মধ্যে ছাত্র পাস করেছে ৭৫.৬১ শতাংশ এবং ছাত্রী পাস করেছে ৭৯.৯৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বমোট ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন এবং ছাত্রী হলো ৮০ হাজার ৯৩৩ জন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ১১টি বোর্ডে মোট কেন্দ্র ছিল ২ হাজার ৬৯৫টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান ছিল ৯ হাজার ১৯৭টি। এটা হলো আমাদের আন্তবোর্ডের সামগ্রিক যে ফলাফল।’
৯ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ফলের চিত্র
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, তার মধ্যে সর্বমোট ছাত্র-ছাত্রী ছিল ১১ লক্ষ ৩১ হাজার ১১৮ জন, যার মধ্যে ছাত্র হলো ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৮২৫ জন। ছাত্রী হলো ৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯৩ জন। পাস করেছে ৮ লক্ষ ৫৪ হাজার ৬৪৪ জন, যার মধ্যে ছাত্র হলো তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৭০ জন এবং ছাত্রী হলো ৪ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৪ জন।
‘৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৫৬ শতাংশ, যার মধ্যে ছাত্র ৭২.৫৫ শতাংশ এবং ছাত্রী হলো ৭৮.২৭ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন, যার মধ্যে ছাত্র পেয়েছে ৫৮ হাজার ৫৮৮ জন এবং ছাত্রী পেয়েছে ৭২ হাজার ৭৮৮ জন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মোট কেন্দ্র হলো ১ হাজার ৫৬৬টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান হলো ৪ হাজার ৬৯৮টি।’
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ফল
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সর্বমোট ছাত্র-ছাত্রী ছিল ৮৫ হাজার ৫৫৮ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৪৬ হাজার ৪৩৩ জন এবং ছাত্রী ৩৯ হাজার ১২৫ জন। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৭৯ হাজার ৯০৯ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৪২ হাজার ৭৯৩ জন; ছাত্রী ৩৭ হাজার ১১৬ জন। পাসের হার ৯৩.৪০ শতাংশ।
‘ছাত্র পাস করেছে ৯২.১৬ শতাংশ এবং ছাত্রী পাস করেছে ৯৪.৮৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ৯ হাজার ৬১৩ জন, যার মধ্যে ছাত্র পেয়েছে ৪ হাজার ৮৬০ জন এবং ছাত্রী পেয়েছে ৪ হাজার ৭৫৩ জন। মোট কেন্দ্র ছিল ৪৫২টি এবং মোট প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৬৮৩টি।’
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফল
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), বিএম ডিপ্লোমা ইন কমার্স, এই পরীক্ষায় মোট ছাত্র-ছাত্রী ছিল ১ লাখ ১৪ হাজার ৩৮২ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৮২ হাজার ৭৫৫ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৬২৭ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ৭৫৬ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৭১ হাজার ৩৩২ জন, ছাত্রী ২৯ হাজার ৪২৪ জন।
‘পাসের হার ৮৮.০৯, যার মধ্যে ছাত্র ৮৬.২০ শতাংশ এবং ছাত্রী পাস করেছে ৯৩.০৩ শতংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯২২ জন, যার মধ্যে ছাত্র পেয়েছে ১ হাজার ৫৩০ জন এবং ছাত্রী ৩ হাজার ৩৯২ জন। মোট কেন্দ্র ৬৭৭ এবং মোট প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৮১৬টি।’
বিগত বছরের সঙ্গে তুলনামূলক পরিসংখ্যান
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের ২০২৩ সালে সম্মিলিত পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এক শতাংশেরও কম কমেছে পাসের হার। আর ২০২৩ সালে আমাদের জিপিএ-৫ ছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন।
‘এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন, দ্যাট ইজ আমাদের জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৯৫৩টি। আর ২০২৪ সালে এসেছে ১ হাজার ৩৮৮। বেড়েছে, কিন্তু শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালে ছিল ৪২টি। এ বছর এসেছে ৬৫টি। দ্যাট ইজ এটা বেড়ে গেছে; শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠান।’
ফল পুনঃনিরীক্ষণ
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, আমাদের রেজাল্ট প্রকাশের পরপরই রিস্ক্রুটিনির (পুনঃনিরীক্ষণ) জন্য আবেদন করতে হয়। সেটা আমাদের আগামীকাল (বুধবার) থেকে, ১৬.১০.২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২২.১০.২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এসএমএসের মাধ্যমে আমাদের এ আবেদন গ্রহণ করা হবে।’
বিদেশ কেন্দ্র
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘বিদেশ কেন্দ্রে আমাদের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৮২ জন। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ২৬৯ জন। অনুত্তীর্ণ ১৩ জন।
‘পাসের মোট হার ৯৫.৩৯ শতাংশ। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান তিনটি। আর কেন্দ্রে সংখ্যা ছিল আটটি।’
আরও পড়ুন:এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে মঙ্গলবার।
প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল জানা যাবে।
এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে 2024 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল চলে আসবে।
এ ছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd এবং www.eduboardresults.gov.bd -এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে। রোল এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমেও রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এবারের এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হয় যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে। যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফল প্রকাশ করা হয় এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা রয়েছে।
এ পদ্ধতিতে একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় ৩০ জুন। এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
আট দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তবে স্থগিত পরীক্ষা না নিতে আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে বাতিল করা হয় পরবর্তী পরীক্ষাগুলো।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য