× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is no end to the misery of the people of Kishoreganj
google_news print-icon

মানহীন বাসে বাড়তি ভাড়া, কিশোরগঞ্জবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই

মানহীন-বাসে-বাড়তি-ভাড়া-কিশোরগঞ্জবাসীর-দুর্ভোগের-শেষ-নেই
ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রোডের বেশির ভাগ বাসই মানহীন। ছবি: নিউজবাংলা
গাজীপুরের কাপাসিয়া হয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে যে দূরত্ব, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুটেও দূরত্ব একই রকম। তবে দুই পথের বাসভাড়ার মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। সাধারণ মানের বাসে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ভাড়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, কিন্তু কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটের ভাড়া ন্যূনতম ২৭০ টাকা। এসব বাসে একটি আসন থেকে অন্যটির দূরত্ব খুবই কম। যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারে না, হাঁটু ব্যথার অভিযোগ করছেন তারা।

ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর বাসভাড়া বেড়ে যত হয়েছে, আগে থেকেই তার চেয়ে বেশি আদায় করা বাসগুলো ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে আরও বেশি টাকা আদায় করছে। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, এমনকি বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনাও করেনি।

বাস মালিক সমিতির দাবি, আনুষ্ঠানিকভাবে ভাড়া এখনও বাড়েনি। তাহলে কেন, কোন হিসাবে বেশি নেয়া হচ্ছে- এই প্রশ্নের কোনো জবাব নেই।

দূরপাল্লার বাসে চড়া কতটা কষ্টদায়ক হতে পারে, তা কিশোরগঞ্জের মানুষ মাত্রই জানেন। বেশির ভাগ বাসেই আসনগুলো এত কাছাকাছি যে ঠিকমতো বসা যায় না। লম্বা দূরত্বের পথেও বাস চলে লোকালের মতো, যাত্রীও তোলা হয় আসনের অতিরিক্ত।

ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে গত ৭ নভেম্বর বাস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকের পর সড়ক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ ভাড়ার হার ঠিক করে দেয় কিলোমিটারপ্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা।

এই হারে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে যত টাকা ভাড়া নেয়া হয়, আগে থেকেই যাত্রীদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আদায় করা হচ্ছিল। এখন নতুন করে টিকিটপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বিভিন্ন পথ দিয়ে এই রুটে যে বাসগুলো চলাচল করে, তার মধ্যে গাজীপুরের কাপাসিয়া হয়ে যে দূরত্ব, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুটেও দূরত্ব একই রকম। এই পথের বাসগুলোর মান কিশোরগঞ্জ রুটে চলা বাসের চেয়ে অনেক ভালো, কিন্তু কিশোরগঞ্জের রুটের তুলনায় ভাড়া অনেক কম।

ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলা এনা পরিবহনের আরামদায়ক আসনের বাসে ভাড়া নেয়া হয় ২৬০ টাকা, সাধারণ বাসের ভাড়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।

কিন্তু ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে গাজীপুরের কাপাসিয়া হয়ে চলা একেবারেই সাধারণ মানের বাসেও ভাড়া নেয়া হয় ২৭০ টাকা।

বাসভাড়া বাড়ানোর পর এই বিষয়গুলো সামনে এনে সমালোচনা করছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশাসনের সমালোচনাও করছেন তারা।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজকাপন এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসাইন। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ২৭০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে অনন্যা পরিবহনে এসে নামেন গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে।

বাস থেকে নেমেই কাউন্টারে গিয়ে অভিযোগ করেন, আসন একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব খুবই কম, তিনি বসার পর নড়াচড়া করতে পারেননি, হাঁটুর ব্যথা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

নিউজবাংলাকে ফরহাদ বলেন, ‘সেবার মানের নামে খবর নাই, খালি বাড়তি ভাড়া আদায় করেন পরিবহন মালিকরা।’

কাউন্টারে অভিযোগ করার পর কী বলা হয়েছে- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বেশি কথা বলিনি। কারণ কিছুদিন আগে একজন প্রতিবাদ করে লাঞ্ছিত হয়েছে আমার সামনেই।’

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে বাস চলে নানা দিক দিয়ে। কিশোরগঞ্জের একরামপুর ও গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে মহাখালী পর্যন্ত দুটি রুট দিয়ে বাস চলে। একটি রুট গাজীপুরের কাপাসিয়া দিয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে; অন্য একটি রুট নরসিংদীর পাঁচদোনা হয়ে চলে।

একরামপুর ও গাইটাল থেকে কাপাসিয়া হয়ে ঢাকার মহাখালী টার্মিনালের দূরত্ব ১১০ থেকে ১১২ কিলোমিটার। নরসিংদী হয়ে যেসব গাড়ি চলে, সেগুলোর দূরত্ব ১২০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার।

একরামপুর থেকে মহাখালী পর্যন্ত চলা উজান-ভাটি আর গাইটাইল থেকে মহাখালী পর্যন্ত চলা অনন্যা ও অনন্যা ক্লাসিক ভাড়া নেয় ২৭০ টাকা। আর গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে ভৈরব হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত চলা যাতায়াত পরিবহনের ভাড়া নেয়া হয় ৩০০ টাকা।

করিমগঞ্জ উপজেলার চামড়াবন্দর থেকে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি পর্যন্ত চলে দুটি পরিবহন। একটি ভাটিবাংলা পরিবহন। অন্যটির নাম হাওরবিলাস। এই বাসগুলোতে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা, যদিও দূরত্ব অনুযায়ী হওয়ার কথা ২৫০ কিলোমিটারের আশপাশে।

শাহপরান পরিবহন নামের একটি বাস যায় মিরপুর-১৪ নম্বরে। এস ইসলাম নামের একটি বাস চলে কামরাঙ্গীরচরে। যোগাযোগ নামের আরেকটি বাস চলে চাঁনখারপুলে। এগুলো ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে। প্রতিটি বাসেই ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি আদায় করা হয়।

তাড়াইল উপজেলার বাসিন্দা হাদিউল ইসলাম। বেসরকারি একটি মাদ্রাসায় চাকরি করেন। গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে যাবেন সায়েদাবাদ। কাউন্টার থেকে ৩০০ টাকায় টিকিট কিনেছেন যাতায়াত পরিবহনের। দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। ভাড়া হওয়ার কথা সর্বোচ্চ ২৮০ টাকা।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা কিশোরগঞ্জবাসী যে ভাড়া দিয়ে ননএসি গাড়িতে যাতায়াত করি, অন্য জেলায় এই ভাড়া দিয়ে এসি গাড়িতে যাতায়াত করা যায়।’

বেশি ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রে যুক্তি দিতে গিয়ে দূরত্ব বেশি দেখাচ্ছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। গাইটাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার হলেও যাতায়াত পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আনিসুজ্জামান রিপন দাবি করেন, দূরত্ব ১৫৩ কিলোমিটার।

অন্যদিকে গাজীপুরের কাপাসিয়া হয়ে মহাখালী পর্যন্ত চলা বাস ১১০ থেকে ১১২ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেও কাউন্টার মাস্টার ওমর ফারুক এবং অনন্যা ক্লাসিকের মালিকদের একজন উবাইদুল হোসেন দাবি করেন, এই পথের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার।

প্রতিটি বাসেই নির্ধারিত আসনের চেয়ে বেশি যাত্রী বসানোর অভিযোগ আছে। ফলে যাত্রীরা আরাম করে বসতে পারেন না।

কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার বাসিন্দা, হাফিজুর রহমান। অনন্যা ক্লাসিক পরিবহনে গেছেন গাজীপুর। তিনি বলেন, ‘এই কোম্পানির বেশির ভাগ বাসে সিট বাড়িয়ে এমন অবস্থা করেছে যে একবার সিটে বসলে পরে আর নড়াচড়া করার কোনো উপায় থাকে না।’

৮০ কিলোমিটার দূরত্বে হাফিজুরের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হয়েছে ২৪০ টাকা। অথচ ভাড়া হয় ১৭০ টাকা।

ভুক্তভোগী এই যাত্রী বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত হার সারা দেশে কার্যকর হয় একভাবে আর কিশোরগঞ্জে এর ভিন্ন রূপ দেখা গেছে। পরিবহন মালিক সমিতি মনগড়া একটা ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে আর কাউন্টার থেকে সে অনুযায়ী ভাড়া আদায় করছে। তা নাহলে কিশোরগঞ্জ থেকে গাজীপুরের ভাড়া ২৪০ টাকা হয় কী করে?’

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির আগে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এই রুটের কিছু গাড়ি চলে সিএনজিতে, কিছু গাড়ি চলে ডিজেলে। তেলে চললে ইঞ্জিন ভালো থাকে, তাই বেশির ভাগ মালিক তেলে চালান। তবে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পর তারা জানান কিশোরগঞ্জ থেকে চলা সব বাসই ডিজেলেই চলে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যসচিব শেখ ফরিদ নিউজবাংলাকে জানান, ‘ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির পর বিআরটিএ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য আমরা বলেছি। এখনো ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। বিআরটিএ থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়ার পর বলতে পারব।’

ভাড়া নির্ধারণ হওয়ার আগেই তাহলে অতিরিক্ত টাকা কেন নেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি দাবি করেন, বিষয়টি তার অজানা।

বিআরটিএ কিশোরগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি.) বখতিয়ার উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আন্তজেলার পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ করে হেড অফিস। হেড অফিস থেকে ভাড়া নির্ধারণ করে ওয়েবসাইটে দিয়ে দিয়েছে।

বাসে অতিরিক্ত আসন, যাত্রীদের চলাচলে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে গতানুগতিক জবাব আসে তার কাছে। বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন বাসগুলো বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ নাই। কেউ যদি বাড়তি ভাড়া আদায় করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তা ছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ করতে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
ডিজেলের বাড়তি দামে বিপাকে উপকূলের জেলেরা
বিশ্ববাজারে ৭৫ ডলারে নেমেছে জ্বালানি তেলের দাম
সড়কজুড়ে বিশৃঙ্খলা
সিটিং সার্ভিস চালুর দাবি, বাস কমল ঢাকায়
কত টাকা ভর্তুকি দেব, তেলের দাম বৃদ্ধির প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Anup with cancer needs financial support to survive

ক্যানসার আক্রান্ত অনুপের জন্য সহায়তা চায় পরিবার

ক্যানসার আক্রান্ত অনুপের জন্য সহায়তা চায় পরিবার অনুপ কুমার পাল
ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না।

সমাজের অনেকের মতো অনুপ কুমার পালেরও স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষে অসহায় দরিদ্র পরিবারের হাল ধরবে। কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারবে কষ্ট। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যানসার তার সেই স্বপ্নে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব পেরিয়ে অনুপের এখন চাওয়া, এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকা। সে জন্য সমাজের প্রতি সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি।

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয় গ্রামের বাসিন্দা অনুপের বয়স ২৩ বছর। তিনি ২০১৭ সালে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পরই তার বা পায়ের হাঁটুর ওপরে একটি টিউমার চোখে পড়ে।

পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে টিউমারটি অপারেশন করার পর বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার দেখানোর পর, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে ৬টি সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়া হয়।

শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি তার পড়াশোনা ত্যাগ করেননি। ২০২২ সালে তিনি সিভিল টেকনোলজিতে সিজিপিএ ৩.৮৪ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।

২০১৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ চেন্নাইয়ে নেয়া হয় এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। সেখানে ৩৩টি রেডিও থেরাপি দেয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।

এর পর প্রতিবছর মেডিক্যাল চেকাপের জন্য ভারতে যান এবং স্বাভাবিকভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এভাবে ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকাপের ফলে জানা যায়, ক্যানসার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতে তাকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে ৩ বার কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এরপর তাকে সার্জারির জন্য সাজেস্ট করা হয়েছে। এভাবে তার এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা অসহায় পরিবারের পক্ষে এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকারও বেশি।

এখন আবার এই মাসের শেষের দিকে তার সার্জারি করা হবে ভারতের সিএমসি হাসপাতাল। এ জন্য খরচ হবে ১০ লাখেরও বেশি টাকা। পরবর্তীতে রেডিও থেরাপি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হবে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা।

এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না।

এখন তার আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তিনি পরিবারের আহার পর্যন্ত ঠিকমতো জোগাড় করকে পারছেন না। তার সকল সহায়-সম্বল, জমিজমা বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা চালানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না।

একজন অসহায় বাবা তার ছেলের জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। অনুপকে বাঁচতে আপনার হাত বাড়িয়ে দিন।
অনুপকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:

অনুপ কুমার পাল, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ,কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 0561110010815

অধীর কুমার পাল, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 2213100000286, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম্বার:2551050039312, বিকাশ নাম্বার: 01792-639549, রকেট নাম্বার: 01792-6395492, নগদ নাম্বার: 01537-367600

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gambling police case led by UP member in Gaibandha

মেলায় জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের নামে মামলা

মেলায় জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্যের নামে মামলা গাইবান্ধা সাদুল্লাপুরের জামালপুর ইউপি সদস্য আল-আমিনের জুয়ার আসর বসানোর ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: নিউজবাংলা
সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কল্যাণপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়াড়িকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে।’ 

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বারুনীর মেলায় রাতভর জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বুধবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউপি সদস্যের নামে সাদুল্লাপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে জুয়া আইনে মামলা করেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আল-আমিন সরকার, যিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

জামালপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুরে গত ১৫ এপ্রিল রাতে বারুনীর মেলা উপলক্ষে জামুডাঙ্গা গ্রামের গোলজারের বাড়ির সামনে জুয়া বসান আল-আমিন।

জুয়ার আসরের একটি ভিডিও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

জুয়া খেলার সময় প্রত্যক্ষদর্শী একজনের ধারণ করা ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জুয়ার বোর্ডে বসে আল-আমিন নিজেই গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন।

ইউপি সদস্যের জুয়ার আসর বসানোর ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল-আমিন সরকার তার নেতৃত্বে জুয়া বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।

তিনি মেলা উপলক্ষে জুয়ার আসরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি জুয়ার আসরে ছিলাম, কিন্তু জুয়া আমি বসাইনি।’

মামলার বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কল্যাণপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়াড়িকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

‘এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে, তবে ঘটনার পর থেকে আল-আমিন পলাতক। তাই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় অটোরিকশার চালকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
বন কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার
সাংবাদিককে মারধর: আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনের নামে মামলা
বান্দরবানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় ৪ মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The elder brother was killed in a fight between two brothers in Manikganj

মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত

মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত মানিকগঞ্জ থানা ফটক। ছবি: নিউজবাংলা
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

মানিকগঞ্জ পৌরসভায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে একজন নিহত হয়েছেন।

পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো কমল রায় (৬২) মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বদাশড়া এলাকার প্রয়াত কৃষ্ণ রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কমল রায়ের সঙ্গে ছোট ভাই মিঠু রায়ের কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতিতে বড় ভাই কমল রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

‘এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
পাবনায় ভুল চিকিৎসায় দুই প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল সিলগালা
টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ কিশোরের মৃত্যু
পানিতে ডুবে তিন জেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ১
ইটবোঝাই ট্রাক্টর থেকে পড়ে যাওয়া স্কুলছাত্রের মৃত্যু
টেকনাফে পিটুনিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
11 killed in road accident in Jhalkathi

ঝালকাঠিতে ইজিবাইক ও মাইক্রোতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১৪

ঝালকাঠিতে ইজিবাইক ও মাইক্রোতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১৪ মরদেহ উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে। ছবি: নিউজবাংলা
সদর উপজেলার গাবখান সেতু টোলপ্লাজায় বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে, এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।

সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আফরুজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ১০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের রাখা হয়েছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে।

এদিকে নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম।

শেখেরহাট হাট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা চারটি ইজিবাইক এবং একটি মাইক্রো গাড়িতে শেখেরহাট গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। গাবখান সেতুর টোলে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক আমাদেরকে সামনো থেকে চাপা দেয়। এতে আমার ছোট ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া আতিকুর রহমান সাদি নিহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাইনুল হোসেন বলেন, বেপরোয়া গতিতে আসা ট্রাকটি ব্রেক ফেল করে চারটি ইজিবাইক এবং একটি মাইক্রোবাসকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন বিয়ের যাত্রী মারা যান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two youths were hacked to death in Chakaria

চকরিয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

চকরিয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা ফাইল ছবি
বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে সেলিম ও শফিউল আলমের বড় ভাই শামসুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেলিম ও শফিউল আলম নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে গত ইউপি নির্বাচনের সৃষ্ট বিরোধের জের রয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম ওই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে। অপরজন শফিউল আলম একই এলাকার আবু সালামের ছেলে।

নিহত সেলিমের পিতা নুর মোহাম্মদ জানান, স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম ও সেলিমের মধ্যে গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মানিকপুর উত্তরপাড়া বাজার এলাকার নবীন ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায় নিহতদের ওপর।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত সেলিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন শফিউল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শফিউল আলমের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক।

প্রসঙ্গত, বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে সেলিম ও শফিউল আলমের বড় ভাই শামসুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে এই জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিহত দুজনই একটি হত্যা মামলার আসামি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
কুমিল্লায় অপহরণের পর যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, সাবেক চেয়ারম্যান আটক
সর্বহারা নেতা রাজ্জাক হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫
বন কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামি চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে হাত-পা ও মুখ বাঁধা এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার আলোচিত লেবু শেখ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cousins ​​died in ponds of various houses in Kurigram

কুড়িগ্রামে নানা বাড়ির পুকুরে প্রাণ গেল খালাতো ভাইবোনের

কুড়িগ্রামে নানা বাড়ির পুকুরে প্রাণ গেল খালাতো ভাইবোনের ফাইল ছবি
দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরতে যায় আহাদ ও আফরোজাসহ তিন শিশু। এ সময় বাড়ির লোকজন সবাই কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের খবর রাখতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর এক শিশু বাড়িতে ফিরে আসলেও বাকি দুজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে আহাদ ও আফরোজা নামের যথাক্রমে ৫ ও ৭ বছরের দুই শিশু নিহত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের পশ্চিম সুখাতি গ্রামের বোর্ডঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুদুটি সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন।

নিহত আহাদ নাগেশ্বরীর আমতলা এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে এবং বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর আফরোজা ওই এলাকায় মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে থাকত।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরতে যায় আহাদ ও আফরোজাসহ তিন শিশু। নানা বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরার জন্য ফাঁসি জাল ফেলে রাখে আহাদ ও আফরোজা। সেখানে ওই তিন শিশু জাল থেকে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন সবাই কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের খবর রাখতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর এক শিশু বাড়িতে ফিরে আসলেও বাকি দুজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই শিশুকে জিজ্ঞাসা করলে বাকি দুজন পুকুরের পানিতে পড়েছে বলে জানতে পারে পরিবারের লোকজন।

পরে পুকুরে নেমে খোঁজার এক পর্যায়ে দুজনকে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। এরপর তাদের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নাগেশ্বরী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Goods and passenger traffic through Banglabandha is closed for three days

বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ

বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বুধবার ‘ভারতের লোকসভা নির্বাচন কারনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আজ (বুধবার) থেকে শুক্রবার বন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে ১৭, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পাথরসহ সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও বন্ধ থাকবে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয় ।

এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বুধবার দুপুরে ৩ দিন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ভারতের লোকসভা নির্বাচন কারনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আজ (বুধবার) থেকে শুক্রবার বন্দর দিয়ে দুই দেশের মাঝে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এ সময় অফিস যথারীতি খোলা থাকবে।’

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কর্মকর্তা অমৃত অধিকারী জানান, দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধের সঙ্গে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাওয়া-আসাও বন্ধ থাকবে।

হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই বন্দর দিয়ে পার হতে আসা যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। বিশেষ করে, জরুরি চিকিৎসার জন্য যাতায়াতকারী মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে।

আরও পড়ুন:
চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
দুর্গাপূজা: বাংলাবান্ধায় ৮ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি

মন্তব্য

p
উপরে