এক সপ্তাহ ধরে ব্যাংক খাতে টানা উত্থানের মধ্যে এবার দল বেঁধে সব শেয়ারের দরপতন ঘটল পুঁজিবাজারে। এ কারণে সূচকেও বড় পতন হলো। তবে লেনদেনে আবার সবাইকে ছাড়িয়ে এই খাত। লেনদেনের প্রায় অর্ধেক হলো একটি খাতেই।
গত বছরের মাঝামাঝি থেকে পুঁজিবাজারে উত্থানের মধ্যেও সবচেয়ে বড় বাজার মূলধনের ব্যাংক খাতে সেভাবে উত্থান দেখা যায়নি। তবে গত মঙ্গলবার থেকে বাজারের আচরণ এই খাতের বিনিয়োগকারীদের আনন্দিত করে।
সেদিন থেকে সূচক বাড়ুক আর কমুক, একদিন বাদে বেশিরভাগ ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে। মাঝে যে এক দিন বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমে, সেদিন পতনের হার খুব একটা বেশি ছিল না।
এর মধ্য রোববার নতুন সপ্তাহে সূচক কমার মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও ব্যাংক খাতে ছিল ঝলমলে চিত্র। পাঁচটি ছাড়া সব কটি কোম্পানির দর বাড়ে, দর বৃদ্ধির হারও ছিল বেশ ভালো।
তবে দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার একেবারেই উল্টোচিত্র। এদিন ওয়ান ও এসআইবিএল ছাড়া সব কটি ব্যাংকের শেয়ার দর হারায়। ছয়টি ব্যাংকের শেয়ার দর হারায় ৫ শতাংশের বেশি।
সূচক কমে ৬৩ পয়েন্ট, সেই সঙ্গে কমে যায় লেনদেন। আগের দিন পৌনে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি টাকার শেয়ার হাতবদল হলেও সেটি কমে এক হাজার দুইশ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে।
অবশ্য এর পেছনে একগাদা শেয়ারের লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটও কারণ। বড় মূলধনি বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, স্কয়ার টেক্সটাইলসহ অনেকগুলো কোম্পানির লেনদেন ছিল স্থগিত।
আরও এক ঝাঁক কোম্পানি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটকে সামনে রেখে লেনদেন হচ্ছে স্পট মার্কেটে। নগদ টাকা ছাড়া সেগুলোর শেয়ার কেনা যায় না।
ব্যাংকে দরপতনের দিনে আর্থিক, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রকৌশল, সিমেন্ট, তথ্যপ্রযুক্তি, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও দেখা গেছে ঢালাও দরপতন। ওষুধ ও রসায়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বস্ত্র, বিমা খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
সকালে বিমা খাতে প্রায় সব কটি কোম্পানির দর বাড়লেও বেলা শেষে অনেকগুলোর দর কমে যায়।
মোট লেনদেনের ৪৪ শতাংশ হয়েছে ব্যাংক খাতে। আগের দিন পৌনে আটশ কোটি টাকা হাতবদল হলেও সেটি কমে পাঁচশ কোটি টাকার কিছুটা বেশি হয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকার কিছু বেশি হয়েছে।
সূচক পতনে প্রধান ভূমিকায় ছিল বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি, যেটি আগের দিন সূচক সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছিল।
সূচক পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখা ১০টি কোম্পানির ৫টিই ছিল ব্যাংক খাতে। এগুলো হলো: ডাচ্-বাংলা, এনআরবিসি, আইএফআইসি, ইসলামী ও প্রাইম ব্যাংক।
অন্য চার কোম্পানি হলো: লাফার্জ হোলসিম, আইসিবি, কোহিনূর কেমিক্যালস এবং ওয়ালটন।
বিপরীতে সূচকে কিছু পয়েন্ট যোগ করেছে রবি, ওয়ান ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এসআইবিএল, সামিট পাওয়ার, বার্জার পেইন্টস, আমান ফিড, অলিম্পিক, বিকন ফার্মা ও এসিআই লিমিটেড।
লেনদেনে শীর্ষে দশ কোম্পানি
বছর জুড়ে প্রায় প্রতিদিনই লেনদেনের শীর্ষে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের লেনদেন বন্ধ ছিল লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের কারণে। কেবল এই কোম্পানি নয়, নিয়মিত লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকে, এমন অনেক কোম্পানিই হয় রেকর্ড ডেট, নয় রেকর্ড ডেটের কারণে স্পটে ছিল। এ কারণে লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় এমন সব কোম্পানিকে দেখা গেছে, যা সচরাচর দেখা যায় না।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় এদিন এগিয়ে ছিল ব্যাংকের শেয়ার। এই লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ওয়ান ব্যাংক। ব্যাংকটির এদিন মেটি ১৪২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে মোট ৮ কোটি ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩২টি শেয়ার।
কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। ১৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।
লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৯০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে মোট ৬৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার ৯০১টি শেয়ার।
দর পতনের থাকা এনআরবিসি ব্যাংক ছিল লেনদেনের তৃতীয় স্থানে। এদিন ব্যাংকটির মোট ৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৩০২টি শেয়ার। ৩৫ টাকা ৬০ পয়সা মূল্যের শেয়ার এদিন কমে হয়েছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা।
ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের মোট লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৬টি শেয়ার। শীর্ষ লেনদেনের ১০ কোম্পানির মধ্যে চতুর্থ স্থানে থাকা ব্যাংকটির শেয়ার দর ১৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৪ টাকা ৫০ পয়সা।
চারটি কোম্পানির ভিন্ন খাতের হলেও নবম ও দশম কোম্পানি দুটিও ছিল ব্যাংক খাতের। এরমধ্যে প্রিমিয়ার ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ১২২টি শেয়ার।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ৮৪ হাজার ১৬২টি শেয়ার।
ব্যাংক খাতের বাইরে থাকা ফরচুন সুজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ১৯ লাখ টাকা। ওরিয়ান ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ১৮৫টি শেয়ার।
ডেল্টালাইফের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১৪ লাখ ৯ হাজার ৭১৫টি শেয়ার।
দর বৃদ্ধিতে সেরা ১০
রোববার দর বৃদ্ধিতে ব্যাংক খাতের আধিক্য থাকলেও সোমবার ছিল ভিন্ন চিত্র। ব্যাংকের কোম্পানির স্থান দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। এদিন দর বৃদ্ধিতে সদ্য তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি ছাড়া বস্ত্র খাতের কাট্টালি টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৪৮ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট ২২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৬৪ লাখ ৩৭ হাজার ৭৭টি শেয়ার।
আমান ফিডের দর বেড়েছে ৮.১০ শতাংশ। কোম্পানিটিতে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২০ লাখ ৯৫ হাজার ২২০টি শেয়ার।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৮৩ শতাংশ। প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৭৪ শতাংশ। এদিন এই দুটি কোম্পানি ছিল লেনদেন শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকাতেও।
স্যোসাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.৫৫ শতাংশ। হাতবদল হওয়া ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৪১টি শেয়ারের মূল্য ছিল ১২ কোটি ২ লাখ টাকা। ফু ওয়াং ফুডের শেয়ার দর বেড়েছে ৫.২২ শতাংশ। হাতবদল হয়েছে ১০ লাখ ৯২ হাজার ১৫৩টি শেয়ার।
আলিফ ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৬৯ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৭৮ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫৩ টি শেয়ার।
এদিন তিন শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে মাত্র চারটি কোম্পানির। আর দুই শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ১১টি কোম্পানির। এক শতাংশের বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ৩৩টি কোম্পানির। আর এক শতাংশের কম শেয়ার দর বেড়েছে ৪৯টি কোম্পানির।
দরপতনের শীর্ষ ১০
২০২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারধারীদের কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা না করা রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দরে সোমবার কোনো প্রান্তসীমা ছিল না। ফলে এদিন কোম্পানির শেয়ার দর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বাড়ার পাশাপাশি কমার সুযোগ ছিল। একইভাবে লভ্যাংশ ঘোষণার পর রেকর্ড ডেট পরবর্তী প্রথম লেনদেনেও একইভাবে প্রান্তসীমা ছিল না।
কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১২.৭২ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট ১ কোটি ৪ লাখ টাকা।
আরামটি সিমেন্টের ৯.৭৩ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭০৫টি শেয়ার।
বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৯.০৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৭ টাকা। লেনদেন হয়েছে ২ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ৩০ হাজার ৮০২টি শেয়ার।
আমরা টেকনোলজির শেয়ার দর কমেছে ৮.৭৬ শতাংশ। হাতবদল হয়েছে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৬১০টি শেয়ার। লেনদেন হয়েছে ৯৯ লাখ ২২ হাজার টাকার।
স্ট্যাইল ক্রাফটের ২ লাখ ২৭ হাজার ২১৮টি শেয়ার হাতবদলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। শেয়ার দর কমেছে ৭.৯৩ শতাংশ।
ব্যাংক খাতের এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ৭.৮৬ শতাংশ। হাতবদল হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯২ হাজার ৩০২টি শেয়ার। লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
মন্তব্য