× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
More than 21000 absent on the 5th day of SSC
google_news print-icon

এসএসসির ৫ম দিনে অনুপস্থিত ২১ হাজারের বেশি

এসএসসির-৫ম-দিনে-অনুপস্থিত-২১-হাজারের-বেশি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শিফটের  পরীক্ষায় ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৭২ শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৩ শিক্ষার্থী।

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পঞ্চম দিনে নয়টি শিক্ষা বোর্ডে ২১ হাজার ৬১০ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নকল করার অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন দুই শিফটে অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এদিন সকাল ১০টায় ভূগোল ও পরিবেশ এবং দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা। এর মধ্যে ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ে ১৬ হাজার ৪০৯ জন এবং ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষায় ৫ হাজার ২০১ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ২০০ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শিফটের পরীক্ষায় ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৭২ শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৩৬৩ শিক্ষার্থী।

এর মধ্যে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ হাজার ৮৬৯ জন, চট্টগ্রামে ১ হাজার ৫৩৭ জন, রাজশাহীতে ১ হাজার ৬৯০ জন, বরিশালে ১ হাজার ২১৯ জন এবং সিলেটে ১ হাজার ৪৪১ জন। এছাড়া দিনাজপুরে ১ হাজার ৪৯৭ জন, কুমিল্লায় ২ হাজার ১২৭ জন, ময়মনসিংহে ১ হাজার ১৬৭জন এবং যশোরে ১ হাজার ৮৬২ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

এদিন ঢাকা বিভাগের একজন, বরিশালে একজন ও দিনাজপুরে দুইজন পরীক্ষার্থীকে নকলের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

রোববার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়ার কথা থাকলেও অংশ নেন ৩ লাখ ২৯ হাজার ১০৯ জন শিক্ষার্থী। ওই হিসাবে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ হাজার ২০১ জন। এদিন কুমিল্লা বিভাগের একজন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও এ বছর করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার।

এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বেড়েছে। গতবার পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন।

মোট ২৯ হাজার ৩৫টি স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ পরীক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন:
দাখিল পরীক্ষার্থী ১৫, বিয়ে হওয়ায় অনুপস্থিত সবাই
এসএসসির তৃতীয় দিনে অনুপস্থিত ৩ হাজারের বেশি
২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষাও পেছাবে: শিক্ষামন্ত্রী
দ্বিতীয় দিনে এসএসসিতে নেই সাড়ে ২৩ হাজার পরীক্ষার্থী
কেন্দ্র সচিবের ভুলে দুইবার পরীক্ষা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
100 discount on Canadian University of Bangladesh admission fee

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড়

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে ভর্তি ফিতে শতভাগ ছাড় ভর্তি উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতি দিন ভর্তি উৎসবে ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ।

ভর্তি ফির ওপর শতভাগ ছাড়ে ভর্তি উৎসব শুরু হয়েছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনে গতকাল বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ ভর্তি উৎসব।

এ উৎসবে প্রতি দিন ভর্তি হওয়া পাঁচজন শিক্ষার্থীকে লটারির মাধ্যমে এ সুবিধা দেয়া হবে। এ ছাড়া ভর্তি হওয়া প্রথম তিনজনও এ সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে সর্বোচ্চ শতভাগ পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তি প্রদান করা হবে।

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ থাকছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, সিএসই, ইইই, বিবিএ, ইংলিশ, এলএলবি, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে। স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি চলছে এমবিএ, ইএমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) এবং মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিভাগে।

ভর্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. গিয়াস ইউ আহসান।

অভিজ্ঞ শিক্ষক, আধুনিক ক্লাসরুম, ডিজিটালাইজড লাইব্রেরি ও মডার্ন ল্যাবের সুব্যবস্থা কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশকে ক্রমেই জনপ্রিয় করে তুলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে।

বাংলাদেশে একমাত্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স এবং মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস বিষয়ে শিক্ষার সুবিধা রয়েছে, যেটা আর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের রয়েছে শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে থাকা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার করার সুযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়া উচ্চতর পড়াশোনার জন্য সুযোগ থাকছে কানাডা, ইউকে, মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- 01707070280, 01707070284 (হোয়াটসঅ্যাপ)।

অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

আরও পড়ুন:
বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
রাবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু আজ
চবিতে ভর্তিযুদ্ধ শুরু শনিবার, আসনপ্রতি প্রার্থী ৪৯
গুচ্ছে আবেদনের সময় বাড়ল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
UNO warned that the classes were going on during the closure

বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও টিনশেডের ঘরে ক্লাস করতে করতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে একটি শিশু। কোলাজ: নিউজবাংলা
ইউএনও উপস্থিত হওয়ার পরপরই গরমে রায়হান নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা ছিল না। এমতাবস্থায় ইউএনও তার গাড়িতে রাখা খাবার পানি এনে শিশুটির মাথায় ও চোখমুখে দেয়ার ব্যবস্থা করান।

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। সে নির্দেশ অমান্য করায় টাঙ্গাইলের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছেন গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার সূতি পলাশ মহল্লার দারুল কোরআন ও কওমী মাদ্রাসায় যান ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। সেখান গিয়ে তিনি দেখতে পান সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টিনের ঘরে দমবদ্ধ পরিবেশে ছোট ছোট শিশুরা ক্লাস করছে।

তিনি উপস্থিত হওয়ার পরপরই গরমে রায়হান নামের প্রথম শ্রেণির এক ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। অথচ সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা ছিল না। এমতাবস্থায় ইউএনও তার গাড়িতে রাখা খাবার পানি এনে শিশুটির মাথায় ও চোখমুখে দেয়ার ব্যবস্থা করান।

খবর পেয়ে শিশুটির বাবা বাছেদ মিয়া সেখান হাজির হন এবং চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে যান।

পরে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের বাছেদ মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরমে যেখান কোথাও একদণ্ড তিষ্ঠানো (থাকা) যায় না, সেখান প্রতিষ্ঠান প্রধান সরকারি নির্দেশে ছুটি না দিয়ে জলন্ত দুপুরজুড়ে ক্লাস নেন। অভিভাবকরা সন্তানদের ক্লাসে পাঠাতে বাধ্য হন।’

তিনি বলেন, ‘দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তখন টিনের ঘর নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠানে আইপিএস বসানোর জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ফিসও আদায় করা হয়েছে, কিন্তু আইপিএস বসানো হয়নি।’

সরকারি আদেশ লঙ্ঘন করে ক্লাস চালু রাখায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শেখ সাদী ইউএনওর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারি নিয়ম মানার প্রতিশ্রুতি দিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে মুচলেকা দেন।

বন্ধের মধ্যেই চলছিল ক্লাস, সতর্ক করলেন ইউএনও

এরপর তপ্ত দুপুরজুড়ে ক্লাস নেয়ার অভিযোগ পেয়ে পৌর শহরের কোনাবাড়ী বাজারে লাইটহাউজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড আলহেরা নূরানী মাদ্রাসায় হাজির হন ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা। সেখানে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পান তিনি।

ওই স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক নিউজবাংলাকে জানান, স্কুলপ্রধান মৌখিক ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোনো শিশু ক্লাস না করলে পরীক্ষায় নম্বর কমিয়ে দেয়া হবে। ফলে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের ক্লাসে পাঠাচ্ছেন।

ওই স্কুল ও মাদ্রাসাপ্রধান হাবিবুর রহমানও ইউএনওর কাছে মুচলেকা দেন।

ইউএনও সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যের চেয়ে শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে, শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রেখে কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the new curriculum no more than 55 students per class
ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

নতুন কারিকুলামে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়

নতুন কারিকুলামে এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয়
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে সব সমস্যারই সমাধান হবে।’

নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার চাঁপা।

সাভারে ব্র্যাক সিডিএমে বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রম নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েই বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা উচিত নয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আস্তে আস্তে সব সমস্যারই সমাধান হবে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের ‘ডিসেমিনেশন অফ নিউ কারিকুলাম’ স্কিমের বাস্তবায়নাধীন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এসইডিপির কর্মকর্তাদের ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং’ বিষয়ক দুদিনব্যাপী বরবা কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতও হয়তো কাঙ্ক্ষিত মানে নেই। এনটিআরসিএ শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার সময় এসেছে। শিক্ষার রূপান্তরের সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের দায়িত্ব এবং কর্তব্যেরও রূপান্তর জরুরি।’

শামসুন নাহার বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে মূল্যায়ন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের মনে উদ্বেগ রয়েছে। সবাইকে এই নতুন ভাবনার সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরসন করতে হবে।’

কর্মশালা বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করতে সহযোগিতা করবে। শিক্ষার উন্নয়নে বাজেট বা অর্থসংস্থান কোনো বড় বাধা নয়। শিক্ষায় আগের তুলনায় বরাদ্দ ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে। আগামীতে আরও বাড়বে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন নতুন কারিকুলাম বিস্তরণ, মনিটরিং ও মেন্টরিং স্কিমের পরিচালক অধ্যাপক মাহফুজ আলী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব উন্নয়ন ও এসইডিপির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ খালেদ রহীম এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Holidays are not increasing schools are opening on Sunday amid the heat wave

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার শর্তসাপেক্ষে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছবি: সংগৃহীত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো যাবে না।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিন থেকে যথারীতি চলবে ক্লাস। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দিয়ে না করানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপপ্রবাহের কারণে ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি শেষ হওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

প্রজ্ঞাপনে চারটি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণিকক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সূর্যের সংস্পর্শে আসতে হয়, সেসব কার্যক্রম সীমিত থাকবে।

তাপপ্রবাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা পূরণ এবং নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার জানিয়েছিলেন, বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না সে বিষয়ে শুক্রবার অথবা শনিবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে। শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব।’

পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। তবে দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দীর্ঘ ছুটি শেষেও খোলেনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২১ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

আরও পড়ুন:
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
আরও এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত আসছে
ঈদ ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটি শেষ, তবু আমেজ কাটেনি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chuet is closed indefinitely and students are instructed to vacate the hall
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের চুয়েট বন্ধ ও হলত্যাগের নির্দেশ দেয়ার পর বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ছবি: নিউজবাংলা
কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। একইসঙ্গে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো বৃহস্পতিবারও ক্যাম্পাসে নিহত শিক্ষার্থীদের সহপাঠীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন।

এর মধ্যে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষার্থীরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এদিন দুপুরে ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।

বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।

চুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

চুয়েট অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা, হল না ছাড়ার ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

এদিকে হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় দুপুরের দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিকেল পৌনে ৫টায় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবির বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেসবের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একমত হননি। তাই আন্দোলন চলবে। তারা হল ত্যাগ করবেন না।

রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বার বার আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা আশানুরূপভাবে সাড়া দেয়নি। তাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হল না ছাড়লে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসচাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের তৌফিক হোসেন। দুর্ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু নামে আরেক শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে অবস্থান নেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।

ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম দফায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পুড়িয়ে দেয়া হয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। পাশাপাশি আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত ১০টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।

পরবর্তীতে সেদিন রাত তিনটায় নতুন আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করা হয়। এরপর বুধবার প্রায় ১৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় চলা আন্দোলনের রেশ বৃহস্পতিবারও ছিলো। শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত, আহত ১

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ministry is preparing to open educational institutions from Sunday

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, শনিবার সিদ্ধান্ত
প্রচণ্ড গরমের কারণে দেশের স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে দেশের স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আবহাওয়ার সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না সে বিষয়ে শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে।

তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল রোববার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে শনিবারও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালু রাখা হবে।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। আপ-ডাউন হয়। সামনে দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে। আমরা একটু দেখি, তারপর সিদ্ধান্ত নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

এদিকে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে কিছু প্রস্তাব দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। স্কুল খুলে দেয়া হলেও শিশুদের স্কুলের সময় এগিয়ে আনা এবং ক্লাস সংখ্যা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শামসুন নাহার বলেন, ‘সেটা নিয়ে কাজ করব পরে। আগে সামনে যেটা আছে সেটা শেষ করে নেই।’

কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না- এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।

‘শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। দুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই।’

দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে। অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসাবে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে স্কুল খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

তাপপ্রবাহ চলমান থাকার এই পরিস্থিতিতে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে কীনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা প্রশাসনের অধিদপ্তরগুলোতে আলোচনা চলছে।

সেসব আলোচনায় কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। যেমন চলমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া দেশের সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রা সমান নয়। তবে ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।

আর রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও কিছু শর্ত থাকবে। যেমন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। আর শিখন ঘাটতি পূরণে ৪ মে থেকে শনিবারও ক্লাস চলবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Kabir Vice Chancellor Treasurer and Proctor Office Tala Jhulal Teachers Association

কুবির উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির তালা

কুবির উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টর কার্যালয়ে শিক্ষক সমিতির তালা তিন কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে শিক্ষক সমিতি। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এই কার্যালয়গুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

প্রশাসনিক ভবনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে তালা লাগানো আছে।

দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।

এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।’

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি হলো- গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্য কার্যালয়ে উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদদ দানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য অবমুক্ত করা, অধ্যাপক গ্রেড-১ ও অধ্যাপক গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষকদের অবিলম্বে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান ও অনুষদসমূহে ডিন নিয়োগ এবং ইতোমধ্যে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেসকল বিভাগে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যাহার করা, শিক্ষক নিয়োগ, পদোন্নতি ও স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে আইন বহির্ভূত অবৈধ শর্ত আরোপ করে জ্যেষ্ঠতা ক্ষুণ্ণ করার মাধ্যমে যে সীমাহীন বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে দ্রুততম সময়ে সেসবের নিষ্পত্তিকরণ, ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত বিতর্কিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা রহিত করে পূর্বের নীতিমালা বহাল রাখা এবং ৮৬তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর উপাচার্যের কক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে শিক্ষক সমিতির সঙ্গে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য এবং ছাত্রলীগের বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনা নিয়ে কর্মসূচি দেয় শিক্ষক সমিতি।

মন্তব্য

p
উপরে