× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The A League is not able to stop the scattering of rebels in Sylhet
google_news print-icon

সিলেটে বিদ্রোহীর ছড়াছড়ি, থামাতে পারছে না আ.লীগ

সিলেটে-বিদ্রোহীর-ছড়াছড়ি-থামাতে-পারছে-না-আলীগ
সুনামগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র। ছবিটি ১১ নভেম্বর তোলা। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৬ জন, জৈন্তাপুরে ২, দক্ষিণ সুরমায় ৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১৪, শান্তিগঞ্জে ১২, হবিগঞ্জ সদরে ৮, নবীগঞ্জে ১৬, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৪ এবং কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহীদের থামাতে পারছে না আওয়ামী লীগ। তৃতীয় ধাপে বিভাগের ৭৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অন্তত ৮০ জন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে এসব ইউনিয়নে ভোট ২৮ নভেম্বর। বিদ্রোহী প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীতরা পড়েছেন কঠিন চ্যালেঞ্জে ।

এর আগে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ৪৩টি ইউনিয়নে ভোট হয়। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে ২৩টিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বেশির ভাগ ইউনিয়নে বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবি হয় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের।

পরের ধাপের নির্বাচনেও সিলেট বিভাগের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

সিলেট বিভাগের ৯ উপজেলার ৭৭ ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। প্রতীক পেয়ে প্রচারে নেমেছেন তারা।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সূত্র জানায়, এবারও ইউপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরাও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নৌকার প্রার্থীদের।

তবে বিদ্রোহীদের বসাতে এখনও চেষ্টা চলছে বলে জানান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। এতেও যদি তারা প্রার্থিতা থেকে সরে না আসেন তবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলার ১৬টি, সুনামগঞ্জের ১৭টি, হবিগঞ্জের ২১টি এবং মৌলভীবাজারের ২৩ ইউনিয়নে ভোট হবে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও সিলেটের জৈন্তাপুরে বিদ্রোহী কম থাকলেও অন্য উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি।

সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৬ জন, জৈন্তাপুরে ২, দক্ষিণ সুরমায় ৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১৪, শান্তিগঞ্জে ১২, হবিগঞ্জ সদরে ৮, নবীগঞ্জে ১৬, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৪ এবং কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ ওলিদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বিদ্রোহী মুজিবুর রহমান। জালালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়েছ আহমদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন দলীয় নেতা নেছারুল হক চৌধুরী মোস্তান। লালাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোয়াজিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী (বিদ্রোহী) হয়েছেন আব্দুল মুহিত। মোগলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সদরুল ইসলাম। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা। দাউদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দলের নেতা নুরুল ইসলাম আলম।

গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল মতিন। ফতেহপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন বিদ্রোহী আমিনুর রহমান চৌধুরী। লেঙ্গুরা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মুজিবুর রহমান। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেল। নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল হাসান আমিরুল। তার সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম।

ডৌবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাষ দাশের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম নিজাম উদ্দিন। তোয়াকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লোকমান আহমদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন শামসুদ্দিন আহমদ।

সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজা। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আব্দুল কাইয়ুম। চা-বাগান অধ্যুষিত চিকনাগুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ প্রার্থী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনির উদ্দিন। দলীর প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন আব্দুছ সালাম। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকছুদ আলী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলীয় নেতা আব্দুল কাদির। কোরবাননগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামস উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা আফজাল নূর ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী কোহিনূর আলম।

মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সীতেশ রঞ্জন দাস তালুকদার। দলীয় নেতা মঈন উল হক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন। কাঠইর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বুরহান উদ্দিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে আছেন দলীয় নেতা আজিজুর রহমান তালুকদার ও আব্দুল মতিন। সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আমির হোসেন রেজা ও তাজুল ইসলাম। গৌরারং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেত্রী চম্পা বেগম এবং সারুয়ার আহমেদ।

শান্তিগঞ্জের শিমুলবাক ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান জিতুকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটে আছেন দলীয় আব্দুল্লাহ মিয়া ও শাহীনুর রহমান। জয়কলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছেন দলীয় নেতা আব্দুল বাছিত সুজন, হাছান মামুদ তারেক, রাজা মিয়া ও আব্দুল লতিফ কালা শাহ। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জগলুল হায়দারের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হক। পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রাশিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দলীয় নেতা কামাল হোসেন ও জয়নাল আবেদীন।

দরগাপাশা ইউনিয়নে দলের প্রার্থী মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাছুদুল হাসান। পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী রিয়াজুল ইসলামের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা মসফিকুর রহমান ও রুবেল মিয়া। পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবাংশু শেখর দাশের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলীয় নেতা সফিকুল ইসলাম ও শামছুল আলম ভূঁইয়া। পাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামছুল ইসলাম রাজাকে লড়তে হচ্ছে দলীয় নেতা শহীদুল ইসলাম ও হারুনুর রশীদ তালুকদারের সঙ্গে।

মৌলভীবাজারের বড়লেখার বর্ণি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ এবং তাঁতী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত। দাসেরবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার চক্রবর্তী।

উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিক উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আতাউর রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মুমিনুর রহমান টনি। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নাহিদ আহমদ বাবলুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন।

বড়লেখা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত সালেহ আহমদ জুয়েলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজ উদ্দিন। তালিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত বিদুৎ কান্তি দাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান।

দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল জলিল ফুলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমদ ও ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন কয়েক বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজির উদ্দিন।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্রোহীদের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘দলের মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে যারা ভোটে লড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় আ.লীগের ২৬ নেতা বহিষ্কার
সংরক্ষিত সদস্য পদে বউ-শ্বাশুড়ির লড়াই
নৌকার বিপক্ষে কাজ করায় ৭ জনকে অব্যাহতি
আ.লীগ-জাপা সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৭
প্রার্থী হয়ে পদ গেল ৩ আ.লীগ নেতার

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Called from the house to kill expatriates and demand trial

ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি  

ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার বিচার দাবি   মুন্সীগঞ্জের চরপানিয়া এলাকায় শনিবার ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
চরপানিয়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে গত ১০ মার্চ প্রবাসী মুজিবুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় অভিযুক্ত জহির হোসেন। 

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের বালুচরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রবাসীকে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন স্বজন ও স্থানীয়রা।

উপজেলার চরপানিয়া এলাকায় শনিবার বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন নিহতের স্ত্রী-সন্তানসহ শতাধিক মানুষ।

পরিবারের এক সদস্যের ভাষ্য, পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় সৌদি আরব প্রবাসী মুজিবুরকে (৪৫)। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও ঘটনায় জড়িত খাসকান্দি এলাকার জহির হোসেনকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। জহির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসি দিতে হবে।

চরপানিয়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে গত ১০ মার্চ প্রবাসী মুজিবুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায় অভিযুক্ত জহির হোসেন।

আরও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ ঢাকা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত পথচারী
‘ছাত্রদল শিবির হিজবুতের কর্মকাণ্ডেরও প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা’
শ্রীনগরে আগুনে পুড়ল পাঁচ ঘর
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালাবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Father and son killed by car in Sonargaon

সোনারগাঁয়ে গাড়ির চাপায় বাবা-ছেলে নিহত

সোনারগাঁয়ে গাড়ির চাপায় বাবা-ছেলে নিহত কাঁচপুর হাইওয়ে থানা। ছবি: নিউজবাংলা
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হক জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী-সন্তানসহ নারায়ণগঞ্জে ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী’ মন্দিরে পূজার করতে যান তারা। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বামী স্ত্রী ও সন্তান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে গাড়ির চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওডালা এলাকায় শনিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার খেজুরা এলাকার সুরেশ ডাকুয়া (৩৫) ও তার ছেলে লোকেশ ডাকুয়া (৯)। এ ঘটনায় আহত লোকেশ ডাকুয়ার মা নিপু রায় (৩০) বলে জানিয়েছেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হক।

তিনি জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী-সন্তানসহ নারায়ণগঞ্জে ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী’ মন্দিরে পূজা করতে যান তারা। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে স্বামী স্ত্রী ও সন্তান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালা এলাকা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, আহত অবস্থায় তিনজনকে স্থানীয়রা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে লোকেশকে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। সুরেশ ও নিপু রায়কে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে সুরেশ ডাকুয়ার মৃত্যু হয়।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল হক বলেন, ‘নিপু রায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। নিহত দুইজনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

এ ঘটনায় মামলাসহ গাড়ি ও চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
ঈদুল ফিতরের যাত্রায় সড়কে নিহত ৪০৭, গতবারের চেয়ে বেশি
পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে ২ জন নিহত
ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন, সন্দেহের জেরে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে দুই শ্রমিক নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Symbolic march in Naogaon to commemorate the refugees of 1971

একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা

একাত্তরের শরণার্থীদের স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী পদযাত্রা ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিলের এ দিনে ‘রোড টু বালুরঘাট’ স্মরণ করল নওগাঁবাসী। ছবি: নিউজবাংলা
একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষ নওগাঁ শহরের ওপর দিয়ে দেশ ছেড়েছিল দেশকে মুক্ত করার জন্য। চলার পথে সেই সময় পাকহানাদার ও দোসরদের আক্রমণে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নওগাঁর মূল ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এ জেলার সব তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের জানানোর লক্ষ্যেই আয়োজনটি করা হয়েছে।’

নওগাঁয় সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁর উদ্যোগে ১৯৭১ সালের অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ স্মরণে ‘রোড টু বালুরঘাট’ প্রতীকী পদযাত্রায় ফুটে উঠেছে নওগাঁয় রোড ধরে ভারতে পাড়ি দেয়া শরণার্থীদের দুর্দশার চিত্র।

ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিলের এ দিনে ‘রোড টু বালুরঘাট’ স্মরণ করল নওগাঁবাসী। প্রায় ৬০ মিনিটে ৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় যুদ্ধকালীন নওগাঁ রোডের শরণার্থীদের যুদ্ধ বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় দুর্দশা তুলে ধরা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে পাঁচ শতাধিক মানুষ নওগাঁ রোডে এ প্রতীকী পদযাত্রায় অংশ নেন। শহরের তাজের মোড় শহিদ মিনার পাদদেশ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মুক্ত মঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে শরণার্থীদের প্রতীকী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা মইনুল হক দুলদুল, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ বিন আলী পিন্টু, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, সাইমা ফেরদৌসী, নাইস পারভীন, বিষ্ণু কুমার দেবনাথ, গুলশানারাসহ অনেকে।

এ সময় বক্তারা জানান, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার-নিপীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে বিশেষ করে ২০ এপ্রিল এই দিনে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক পথে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেন। চলার পথে সেই সময় পাকহানাদার ও দোসরদের আক্রমণে অনেকের মৃত্যু হয়। সে সব শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ স্মরণে একুশে পরিষদ নওগাঁ ‘রোড টু বালুরঘাট’ প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী বলেন, ‘আমরা অনেকেই একাত্তরের ইতিহাস ভুলে গেছি। ৫৩ বছরের আগে কী ঘটেছিল। লাখ লাখ মানুষ নওগাঁ শহরের ওপর দিয়ে দেশ ছেড়েছিল দেশকে মুক্ত করার জন্য। চলার পথে সে সময় পাকহানাদার ও দোসরদের আক্রমণে অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নওগাঁর মূল ইতিহাস ও ঐতিহ্যবাহী এ জেলার সব তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীদের জানানোর লক্ষ্যেই আয়োজনটি করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
কলাপাতায় মোড়ানো মুক্তিযুদ্ধের গল্প
ব্যাংককে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক বৈঠক শুরু মঙ্গলবার, যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘এ যুদ্ধ জয় করলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিতে হবে’
মুক্তিযোদ্ধা জাল সনদের ‘কারিগর’ গ্রেপ্তার
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের শাস্তির আইন চান মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
16 people were arrested for attacking four people including the police in Tangail

টাঙ্গাইলে পুলিশসহ চারজনের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১৬

টাঙ্গাইলে পুলিশসহ চারজনের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১৬ টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানা ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। হামলার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’ 

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে জোর করে ধান কাটা বন্ধে উদ্যোগ নেয়ায় সন্ত্রাসীদের হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক তথা এসআইসহ চারজন আহত হয়েছেন।

উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের পলশিয়া গ্রামে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতে পাঠায় পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘পলশিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের কাজিম মন্ডল একদল সন্ত্রাসী নিয়ে একই গ্রামের সানু মিয়ার ডুব বিলের দুই বিঘা পাকা বোরো ধান কাটা শুরু করেন। সানু মিয়া ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে গোপালপুর থানার এসআই সাইফুল ইসলাম একজন কনস্টেবল নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পুলিশ দেখে সস্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়।

‘তারা রামদা, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামের মাথা ফেটে যায়। কনস্টেবল শফিকুল ইসলামসহ সানু মিয়ার দুই আত্মীয় আহত হয়। আহতরা সবাই গোপালপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

গোপালপুর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলামের মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে।’

গোপালপুর থানার ওসি ইমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। হামলার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
অস্ত্রাগার নিয়ে ৩ বহিরাগতের ফেসবুক লাইভ, এসপি রানা বাধ্যতামূলক অবসরে
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
নওগাঁয় ঈদসামগ্রী পেলেন শতাধিক গ্রাম পুলিশ
ঈদে মহাসড়কে তিন স্তরের ব্যবস্থা: অতিরিক্ত আইজিপি
বান্দরবানের ঘটনার প্রভাব পড়বে না পর্যটনে: টুরিস্ট পুলিশ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three killed four injured in two separate road accidents in Chittagong

পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার

পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার প্রতীকী ছবি
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম দুই দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।

চট্টগ্রামের পটিয়ার সড়কে শুক্রবার বিকেল ও রাতে দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

বাস উল্টে হেলপার নিহত

পটিয়ার মনসা বাদামতলা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামমুখী একটি মিনিবাস বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে শুক্রবার বেলা সাড়ে পাঁচটার দিকে মহাসড়কের পাশে উল্টে যায়। ওই সময় বাসটির হেলপার রফিক (২৩) লাফ দিলে বাসের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান তিনি।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি জানিয়েছেন।

অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত

উপজেলার খরনা চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

নিহত দুজন হলেন চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসিফ (১৮) ও কক্সবাজারের ঈদগাহ মধ্যম মাইজপাড়া এলাকার নুরুল আমিন (২৭)।

আহত চারজন হলেন বৈলতলীর রাকিব হোসেন (২০), মোহাম্মদ জাবেদ (১৯), মোহাম্মদ সিহাব (২২) ও চকরিয়ার অটোরিকশার চালক লিটন (৩৫)।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখী দ্রুতগামী মারসা পরিবহনের একটি বাস নম্বরবিহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা অটোরিকশার যাত্রীদের উদ্ধার করে চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চারজনকে হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত
ঝালকাঠিতে ইজিবাইক ও মাইক্রোতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১৪
কাপাসিয়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত
তেজগাঁওয়ে পড়ে গেছে যমুনা এক্সপ্রেসের বগি
ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে হারিয়ে গেল পুরো পরিবার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Section 144 was issued on the roof due to fear of conflict

সংঘর্ষের আশঙ্কায় ছাতকে ১৪৪ ধারা জারি

সংঘর্ষের আশঙ্কায় ছাতকে ১৪৪ ধারা জারি সুনামগঞ্জের ছাতকে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
আদেশ অনুযায়ী, এ সময় উক্ত এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা, সভা সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

সুনামগঞ্জের ছাতকের ঐতিহ্যবাহী জাউয়া বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি ধারা জারি করা হয়েছে।

সংঘর্ষ এড়াতে শনিবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যধারার এক আদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেন ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মুস্তাফা মুন্না।

আদেশে বলা হয়েছে, “যেহেতু ছাতক উপজেলাধীন ‘জাউয়া বাজার’ ইজারাকে কেন্দ্র করে বিবাদমান পক্ষসমূহের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং এর ফলে আইন শৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা বিদ্যমান রয়েছে মর্মে অফিসার ইন- চার্জ, ছাতক থানা, সুনামগঞ্জ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে।

“সেহেতু সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমি গোলাম মুস্তাফা মুন্না, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ছাতক, সুনামগঞ্জ আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ২০ এপ্রিল সকাল ৬ ঘটিকা হতে রাত ১২ ঘটিকা পর্যন্ত জাউয়া বাজার এলাকা এবং তার আশেপাশের এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করলাম।”

আদেশ অনুযায়ী, এ সময় উক্ত এলাকায় সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশীয় কোনো অস্ত্র বহন বা প্রদর্শন, যে কোনো ধরনের মাইকিং বা শব্দযন্ত্র ব্যবহার, পাঁচ বা তার অধিক সংখ্যক ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা, সভা সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

আরও পড়ুন:
পাবনায় জমির বিরোধে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত, প্রাণে বাঁচল শিশুসন্তান
নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
মুন্সীগঞ্জে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
কিশোরগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ১৫

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jugantars crime reporter was threatened to leave the area where the chemical was thrown

সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ

সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ফরিদকে। ছবি: নিউজবাংলা
সাভার মডেল থানার ওসি মো.শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ঢাকার সাভারে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের ওপর ঝাঁঝালো রাসায়নিক নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা।

অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে কলমা এলাকায় শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ইকবাল হাসান ফরিদ দৈনিক যুগান্তরের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক।

ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফরিদকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ বলেন, ‘রাতে অফিস শেষে ঢাকা থেকে সাভারের বাসায় ফিরছিলাম। আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে বাসার অদূরে অন্ধকার গলিতে পৌঁছালে পেছন থেকে একজন মুখোশধারী যুবক আমাকে নাম ধরে ডাক দেয়। ডাক শুনে দাঁড়ানোর পর মুখোশধারী দুই যুবক স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে আগামী এক মাসের মধ্যে সাভার এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এলাকা ছেড়ে না গেলে সপরিবারে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় তারা।

‘এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগে পেছন থেকে তাদের একজন মরিচের গুঁড়াসদৃশ এক প্রকার ঝাঁঝালো কেমিক্যাল আমার মাথায় ও চোখে-মুখে ছিটিয়ে দেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়। ঝাঁঝালো কেমিক্যাল ছিটিয়ে দেয়ার পর চোখে-মুখে ও শরীরে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া শুরু হলে তাৎক্ষণিকভাবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা সাভারের যে দুইজন জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করে আমাকে হুমকি দিয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে আমার পরিচয়, যোগাযোগ কিংবা কোনো ধরনের বিরোধ নেই। তৃতীয় কোনো পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের লক্ষ্যে তাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হাসপাতালে অসুস্থ সাংবাদিক ফরিদকে দেখতে যায় সাভার মডেল থানা পুলিশ।

সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজামান বলেন, ‘তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন:
সাভারে সাংবাদিকের ছেলেসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম: চারজন গ্রেপ্তার
সাংবাদিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাংবাদিক রানা
শেরপুরের সাংবাদিককে কারাদণ্ড: সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

মন্তব্য

p
উপরে