সিলেট বিভাগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহীদের থামাতে পারছে না আওয়ামী লীগ। তৃতীয় ধাপে বিভাগের ৭৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অন্তত ৮০ জন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
তৃতীয় ধাপে এসব ইউনিয়নে ভোট ২৮ নভেম্বর। বিদ্রোহী প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীতরা পড়েছেন কঠিন চ্যালেঞ্জে ।
এর আগে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ৪৩টি ইউনিয়নে ভোট হয়। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে ২৩টিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বেশির ভাগ ইউনিয়নে বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবি হয় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের।
পরের ধাপের নির্বাচনেও সিলেট বিভাগের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
সিলেট বিভাগের ৯ উপজেলার ৭৭ ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। প্রতীক পেয়ে প্রচারে নেমেছেন তারা।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সূত্র জানায়, এবারও ইউপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরাও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নৌকার প্রার্থীদের।
তবে বিদ্রোহীদের বসাতে এখনও চেষ্টা চলছে বলে জানান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। এতেও যদি তারা প্রার্থিতা থেকে সরে না আসেন তবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলার ১৬টি, সুনামগঞ্জের ১৭টি, হবিগঞ্জের ২১টি এবং মৌলভীবাজারের ২৩ ইউনিয়নে ভোট হবে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও সিলেটের জৈন্তাপুরে বিদ্রোহী কম থাকলেও অন্য উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৬ জন, জৈন্তাপুরে ২, দক্ষিণ সুরমায় ৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১৪, শান্তিগঞ্জে ১২, হবিগঞ্জ সদরে ৮, নবীগঞ্জে ১৬, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৪ এবং কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ ওলিদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বিদ্রোহী মুজিবুর রহমান। জালালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়েছ আহমদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন দলীয় নেতা নেছারুল হক চৌধুরী মোস্তান। লালাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোয়াজিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী (বিদ্রোহী) হয়েছেন আব্দুল মুহিত। মোগলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সদরুল ইসলাম। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা। দাউদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দলের নেতা নুরুল ইসলাম আলম।
গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল মতিন। ফতেহপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন বিদ্রোহী আমিনুর রহমান চৌধুরী। লেঙ্গুরা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মুজিবুর রহমান। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেল। নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল হাসান আমিরুল। তার সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম।
ডৌবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাষ দাশের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম নিজাম উদ্দিন। তোয়াকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লোকমান আহমদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন শামসুদ্দিন আহমদ।
সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজা। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আব্দুল কাইয়ুম। চা-বাগান অধ্যুষিত চিকনাগুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ প্রার্থী হয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনির উদ্দিন। দলীর প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন আব্দুছ সালাম। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকছুদ আলী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলীয় নেতা আব্দুল কাদির। কোরবাননগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামস উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা আফজাল নূর ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী কোহিনূর আলম।
মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সীতেশ রঞ্জন দাস তালুকদার। দলীয় নেতা মঈন উল হক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন। কাঠইর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বুরহান উদ্দিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে আছেন দলীয় নেতা আজিজুর রহমান তালুকদার ও আব্দুল মতিন। সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আমির হোসেন রেজা ও তাজুল ইসলাম। গৌরারং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেত্রী চম্পা বেগম এবং সারুয়ার আহমেদ।
শান্তিগঞ্জের শিমুলবাক ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান জিতুকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটে আছেন দলীয় আব্দুল্লাহ মিয়া ও শাহীনুর রহমান। জয়কলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছেন দলীয় নেতা আব্দুল বাছিত সুজন, হাছান মামুদ তারেক, রাজা মিয়া ও আব্দুল লতিফ কালা শাহ। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জগলুল হায়দারের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হক। পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রাশিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দলীয় নেতা কামাল হোসেন ও জয়নাল আবেদীন।
দরগাপাশা ইউনিয়নে দলের প্রার্থী মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাছুদুল হাসান। পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী রিয়াজুল ইসলামের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা মসফিকুর রহমান ও রুবেল মিয়া। পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবাংশু শেখর দাশের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলীয় নেতা সফিকুল ইসলাম ও শামছুল আলম ভূঁইয়া। পাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামছুল ইসলাম রাজাকে লড়তে হচ্ছে দলীয় নেতা শহীদুল ইসলাম ও হারুনুর রশীদ তালুকদারের সঙ্গে।
মৌলভীবাজারের বড়লেখার বর্ণি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ এবং তাঁতী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত। দাসেরবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার চক্রবর্তী।
উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিক উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আতাউর রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মুমিনুর রহমান টনি। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নাহিদ আহমদ বাবলুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন।
বড়লেখা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত সালেহ আহমদ জুয়েলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজ উদ্দিন। তালিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত বিদুৎ কান্তি দাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান।
দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল জলিল ফুলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমদ ও ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন কয়েক বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজির উদ্দিন।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্রোহীদের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘দলের মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে যারা ভোটে লড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃত্ব নিয়ে চলমান বিরোধের জেরে ক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেমসহ সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ক্লাবের কথিত সভাপতি মাদকাসক্ত আওয়ামী দোসর আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আল ইমরান ও অমিত ঘোষ বাপ্পাসহ ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা এই হামলা চালায়।
সোমবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই হামলায় ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম, ভোরের আকাশের সাংবাদিক আমিনুর রহমান, ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক বেলাল হোসেন, অনির্বানের সোহরাব হোসেনসহ অন্তত ৩০ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে একটি সভা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তে আবু সাঈদ ও আব্দুল বারীর নেতৃত্বে আলিপুর থেকে আনা ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্তরা আমাদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। তাদের হামলায় আমাদের অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক ও সদস্য আহত হয়েছেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আবু সাঈদ ও আব্দুল বারী দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছেন এবং তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলেই এভাবে হামলা ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরার সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিকরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট ঘোষণা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও দাউদকান্দি পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে পৌরসভা হলরুমে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেটে সর্বমোট আয় ৪২ কোটি ৯১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ও মোট ব্যয় ৩৬ কোটি ৭৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। পৌর প্রশাসক রেদওয়ান ইসলাম তার প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে রাজস্ব খাত থেকে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৩ শত ৩১ টাকা ও উন্নয়ন খাত থেকে ২৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৫ টাকা আহরনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। বাজেটে উদ্ধৃত্ত ধরা হয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ২ হাজার ৩ শত ৭৮ টাকা।
এছাড়াও বাজেটে খাতওয়ারী ব্যয়ের হিসেবে দেখা যায় রাজস্ব খাতে ব্যয় ৯ কোটি ৫৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় দুই কোটি ১৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হাবিবুর রহমান,পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম, হিসাবরক্ষক শাহাদাত হোসেনসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তারা।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।
তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নোয়াখালীতে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচরতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশ গ্রহণের সমন্বিত পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে (২৫ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় তৃতীয় তলায় মিনি কনফারেন্স হলরুমে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন,নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইয়াসিন, গ্রাম আদালত নোয়াখালী ম্যানেজার আহসানুল্লাহ চৌধুরী মামুনসহ এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের একটি বিচারাধীন মামলার নথি থেকে এজাহারের কপি রহস্যজনকভাবে গায়েব হয়ে গেছে। আদালতের নথি থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই কাগজ হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে মামলার বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুলকে শোকজ করেছেন বিচারক। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ঘটনাটি ঘটে গত ২২ জুন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে। ওই দিন মামলাটির (এসসি-১৬৬৯/২০১৮) সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্ধারিত ছিল। আদালতে আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও আসামিপক্ষের আইনজীবী—সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে বিচারক মো. সালেহুজ্জামান মামলার নথি পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পান, নথিতে মামলার এজাহারের কপি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের আগে আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল তার কাছ থেকে নথি নিয়ে গিয়েছিলেন এবং এজাহার দেখে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবার নথি বিচারকের কাছে জমা দেন।
এরপর এজলাসেই বিচারক আইনজীবীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারাসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এজলাসে হাজির হন। একপর্যায় বিচারক ওই দুইজনকে শোকজ করে আগামী ১৩ আগস্ট মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বেঞ্চ সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বিচারক এজলাসে ওঠার আগে আইনজীবী মামলার নথি নিয়েছিলেন। পরে ফেরত দেন। আমি নিজে নথিতে কোনো হেরফের করিনি। আইনজীবী কিংবা আইনজীবীর সহকারীর মাধ্যমে এই ঘটনা ঘটতে পারে।’
অন্যদিকে, আইনজীবী আহসান হাবিব মুকুল জানান, তিনি নথি নিয়েছিলেন ঠিকই, তবে বিচারক এজলাসে চলে আসায় তা যথাযথভাবে বেঞ্চ সহকারীর কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আসামির চালান কপি থেকে তথ্য নিয়েছেন। এজাহার সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন।
যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। একজন আইনজীবী এমন কাজ করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।’
আদালত ও আইনজীবী সমিতি সূত্র আরও জানায়, আদালতে থাকা মামলার মুল কপি থেকে মামলার এজাহারের কপি সরিয়ে নিয়ে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এজাহার কপি হারিয়ে গেলেও মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ওই মামলার এজাহারের ফটোকপি রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলির কাছে সংরক্ষিত থাকে। এর বাইরেও অনেক মাধ্যমে মামলার এজাহারের কপি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তবে, মুল নথিতে এজাহারের কপি না থাকাটা সমীচীন নয়। এ বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানায় সূত্র।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে মিজানুর রহমান রিপন (৪৮) নামের এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীকে মারধর ও লাঞ্চিতের ঘটনা ঘটেছে। মিজানুর রহমান রিপন ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
গত রবিবার সন্ধার দিকে দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমান রিপন ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমর সংবাদ পত্রিকার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ডেইলি নিউজ বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করে আসছেন। এঘটনায় ওই দিন রাতে ভূক্তভুগী নিজে বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এযাহার সূত্রে জানাযায়, গত ৮ জুন উপজেলার তারাগুনিয়া থানার মোড় এলাকার তারাগুনিয়া ক্লিনিকে আখি খাতুন (২২) নামের এক প্রশুতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ প্রকাশ করে। তারি জের ধরে উপজেলা বাজারে থাকা সরকার নিষিদ্ধ ক্লিনিক বেবি নার্সিং হোম এর মালিক আহসান হাবিব কালুর ছোট ছেলে খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারে তাকে মারধর করে।
এবিষয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই গণমাধ্যম কর্মী বলেন, গতকাল বিকেলে আমি উপজেলা বাজারে বাড়ির দৈনন্দিন বাজার করছিলাম এসময় খালিদ হাসান আর্জু উপজেলা বাজারের বেবী ক্লিনিক মালিকের ছেলে আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সে আমাকে বলে আমার হাসপাতালে যে ডাক্তার আসে সেই ডাক্তারের নামে তুরা নিউজ করেছিস বলে আমার উপর হামলা চালিয়ে বেদড়ক মারধর করে। এঘটনার পর আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
গণমাধ্যম কর্মীকে মারধরের বিষয়ে, দৌলতপুর উপজেলার একজন প্রবীন গণমাধ্যম কর্মী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে এটি কখনই কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া উচিৎ।
এঘটনায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হুদা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযুক্ত খালিদ হাসান আর্জু
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী এলাকায় গত '২৪ এর ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক, সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ জুন) সকাল ১১ টায় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের দুর্গাপুরে হাবিব উল্যাহ খাঁন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি।
বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী এলাকায় বন্যা পরবর্তী উন্নয়নমূলক সংস্কার ও পুর্নগঠন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বৃক্ষরোপণ ও পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সহায়তায় ছাগলনাইয়া উপজেলার হাবিব উল্যাহ খান উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্মিত শাহীন ভবন উদ্বোধন এবং দুর্গাপুর সিংহনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নুরুল কোরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।
এ ছাড়া বিমান বাহিনী কর্তৃক ফেনী জেলার বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম, বন্যা দুর্গতদের জন্য মেডিকেল সেবা পরিচালনা ও চিকিৎসা সেবা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমান বাহিনী প্রধান ফেনী জেলায় ২০২৪ সালের আকস্মিক বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে বিমান বাহিনীর ভুমিকার ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে যে সকল প্রতিষ্ঠান আর্থিক, ত্রাণ ও বিভিন্নভাবে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেছেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়ন কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও বিমান বাহিনী দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, বন্যার সাথে তৎকালীন বৈরী আবহাওয়া ও বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পেশাদারিত্বের সাথে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনায় এবং বিমান বাহিনী প্রধানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভয়াবহ এ বন্যাদুর্গত কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং বিশেষ করে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফেনী জেলায় হেলিকপ্টার ও ইউএভি এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে এরিয়াল রেকোনাইসেন্স মিশন পরিচালনা করে বন্যা দুর্গত মানুষের সহায়তায় প্রয়োজনীয় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
বিমান বাহিনীর সূত্র জানায়, সামগ্রিকভাবে বিমান বাহিনী বন্যা পরবর্তী এ পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা, ধর্মীয় উপাসনালয় ও রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ এবং সংস্কার কার্যক্রম ইতিমধ্যে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, দূর্গাপুর, ছাগলনাইয়্যা-এ অবস্থিত হাবিব উল্যাহ্ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা বিবেচনা করতঃ শাহীন ভবন নামে একটি চারতলা ভিত বিশিষ্ট দুইতলা ভবন আসবাবপত্রসহ নির্মাণ করা হয়েছে, যেটি দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে। এ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকাস্থ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার ও বিমান বাহিনী ঘাঁটি একে খন্দকার।
অনুষ্ঠানে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান ঘাঁটি বাশারের এয়ার অধিনায়ক, বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ, ফেনী জেলা প্রশাসক, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য