× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The A League is not able to stop the scattering of rebels in Sylhet
google_news print-icon

সিলেটে বিদ্রোহীর ছড়াছড়ি, থামাতে পারছে না আ.লীগ

সিলেটে-বিদ্রোহীর-ছড়াছড়ি-থামাতে-পারছে-না-আলীগ
সুনামগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র। ছবিটি ১১ নভেম্বর তোলা। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৬ জন, জৈন্তাপুরে ২, দক্ষিণ সুরমায় ৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১৪, শান্তিগঞ্জে ১২, হবিগঞ্জ সদরে ৮, নবীগঞ্জে ১৬, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৪ এবং কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন।

সিলেট বিভাগে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহীদের থামাতে পারছে না আওয়ামী লীগ। তৃতীয় ধাপে বিভাগের ৭৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অন্তত ৮০ জন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে এসব ইউনিয়নে ভোট ২৮ নভেম্বর। বিদ্রোহী প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি লড়াইয়ে থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীতরা পড়েছেন কঠিন চ্যালেঞ্জে ।

এর আগে ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ৪৩টি ইউনিয়নে ভোট হয়। বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে ৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে ২৩টিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা। বেশির ভাগ ইউনিয়নে বিদ্রোহীদের কারণে ভরাডুবি হয় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের।

পরের ধাপের নির্বাচনেও সিলেট বিভাগের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

সিলেট বিভাগের ৯ উপজেলার ৭৭ ইউনিয়নে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। প্রতীক পেয়ে প্রচারে নেমেছেন তারা।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সূত্র জানায়, এবারও ইউপি নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের পাশাপাশি বিএনপির (স্বতন্ত্র) প্রার্থীরাও চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন নৌকার প্রার্থীদের।

তবে বিদ্রোহীদের বসাতে এখনও চেষ্টা চলছে বলে জানান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। এতেও যদি তারা প্রার্থিতা থেকে সরে না আসেন তবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে সিলেট জেলার ১৬টি, সুনামগঞ্জের ১৭টি, হবিগঞ্জের ২১টি এবং মৌলভীবাজারের ২৩ ইউনিয়নে ভোট হবে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও সিলেটের জৈন্তাপুরে বিদ্রোহী কম থাকলেও অন্য উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি।

সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৬ জন, জৈন্তাপুরে ২, দক্ষিণ সুরমায় ৫, সুনামগঞ্জ সদরে ১৪, শান্তিগঞ্জে ১২, হবিগঞ্জ সদরে ৮, নবীগঞ্জে ১৬, মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ১৪ এবং কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হয়েছেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহ ওলিদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বিদ্রোহী মুজিবুর রহমান। জালালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়েছ আহমদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছেন দলীয় নেতা নেছারুল হক চৌধুরী মোস্তান। লালাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোয়াজিদুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী (বিদ্রোহী) হয়েছেন আব্দুল মুহিত। মোগলাবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সদরুল ইসলাম। সেখানে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন ফখরুল ইসলাম শায়েস্তা। দাউদপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দলের নেতা নুরুল ইসলাম আলম।

গোয়াইনঘাটের রুস্তমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাসুক আহমদ। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আব্দুল মতিন। ফতেহপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন বিদ্রোহী আমিনুর রহমান চৌধুরী। লেঙ্গুরা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মুজিবুর রহমান। এখানে বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া রাসেল। নন্দীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুল হাসান আমিরুল। তার সঙ্গে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সিরাজুল ইসলাম।

ডৌবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুভাষ দাশের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এম নিজাম উদ্দিন। তোয়াকুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী লোকমান আহমদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন শামসুদ্দিন আহমদ।

সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক রাজা। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন আব্দুল কাইয়ুম। চা-বাগান অধ্যুষিত চিকনাগুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রশিদ প্রার্থী হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনির উদ্দিন। দলীর প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন আব্দুছ সালাম। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকছুদ আলী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন দলীয় নেতা আব্দুল কাদির। কোরবাননগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামস উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা আফজাল নূর ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী কোহিনূর আলম।

মোহনপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সীতেশ রঞ্জন দাস তালুকদার। দলীয় নেতা মঈন উল হক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন। কাঠইর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বুরহান উদ্দিন। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মাঠে আছেন দলীয় নেতা আজিজুর রহমান তালুকদার ও আব্দুল মতিন। সুরমা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস ছাত্তারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আমির হোসেন রেজা ও তাজুল ইসলাম। গৌরারং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছালমা আক্তার চৌধুরী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেত্রী চম্পা বেগম এবং সারুয়ার আহমেদ।

শান্তিগঞ্জের শিমুলবাক ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান জিতুকে চ্যালেঞ্জ করে ভোটে আছেন দলীয় আব্দুল্লাহ মিয়া ও শাহীনুর রহমান। জয়কলস ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছেন দলীয় নেতা আব্দুল বাছিত সুজন, হাছান মামুদ তারেক, রাজা মিয়া ও আব্দুল লতিফ কালা শাহ। পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জগলুল হায়দারের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন দলীয় নেতা বর্তমান চেয়ারম্যান নুরুল হক। পূর্ব পাগলা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী রাশিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন দলীয় নেতা কামাল হোসেন ও জয়নাল আবেদীন।

দরগাপাশা ইউনিয়নে দলের প্রার্থী মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাছুদুল হাসান। পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী রিয়াজুল ইসলামের বিপরীতে ভোটে লড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতা মসফিকুর রহমান ও রুবেল মিয়া। পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেবাংশু শেখর দাশের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলীয় নেতা সফিকুল ইসলাম ও শামছুল আলম ভূঁইয়া। পাথারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামছুল ইসলাম রাজাকে লড়তে হচ্ছে দলীয় নেতা শহীদুল ইসলাম ও হারুনুর রশীদ তালুকদারের সঙ্গে।

মৌলভীবাজারের বড়লেখার বর্ণি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জোবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদ এবং তাঁতী লীগ নেতা আব্দুল মুহিত। দাসেরবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার চক্রবর্তী।

উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রফিক উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আতাউর রহমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. মুমিনুর রহমান টনি। দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নাহিদ আহমদ বাবলুর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন।

বড়লেখা সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত সালেহ আহমদ জুয়েলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সিরাজ উদ্দিন। তালিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত বিদুৎ কান্তি দাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান।

দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল জলিল ফুলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমদ ও ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন। এর মধ্যে ইউনিয়ন তাঁতী লীগের আহ্বায়ক আশরাফ হোসেন কয়েক বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজির উদ্দিন।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্রোহীদের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রের নির্দেশের অপেক্ষায় আছি। কেন্দ্রের নির্দেশ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন, ‘দলের মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে যারা ভোটে লড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন:
দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় আ.লীগের ২৬ নেতা বহিষ্কার
সংরক্ষিত সদস্য পদে বউ-শ্বাশুড়ির লড়াই
নৌকার বিপক্ষে কাজ করায় ৭ জনকে অব্যাহতি
আ.লীগ-জাপা সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৭
প্রার্থী হয়ে পদ গেল ৩ আ.লীগ নেতার

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In Jhenaigati the people of the bunch of sacrifice got the meat of sacrifice after that time

ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ

ঝিনাইগাতীতে ১ যুগ পর কোরবানির মাংস পেলো গুচ্ছগ্রামের মানুষ গোমড়া গুচ্ছগ্রামে এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। ছবি: নিউজবাংলা

শেরপুরের ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রাম - গোমড়া ও কান্দুলীর বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা এক যুগ এবং কান্দুলী গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা গত ৬ বছর ধরে কুরবানীর মাংস পায়নি। তবে এবার ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের উদ্যোগে এই দুটি গ্রামের মানুষ কোরবানির মাংস পেয়েছে।

গোমড়া গুচ্ছগ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা আঙ্গুরী বেগম (৭০) বলেন, ‘১২ বছর ধরে আমরা কোরবানির মাংসের স্বাদ পাইনি। এবার রক্তসৈনিক ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য গরু দিয়েছে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুন।’

গুচ্ছগ্রামের সাধারণ সম্পাদক আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেক গরিব মানুষ আছে যারা কোরবানি দিতে পারে না। এই উদ্যোগ আমাদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। আমরা সংগঠনটির কাছে কৃতজ্ঞ।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘গুচ্ছগ্রামের দুঃস্থ মানুষেরা দীর্ঘদিন ধরে কোরবানির মাংস থেকে বঞ্চিত ছিল। স্থানীয় সংগঠন ও দাতাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। আমরা সামাজিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে কাজ করে সবাইকে কোরবানির মাংসের আওতায় আনার চেষ্টা করব। আমাদের বিভাগীয় কমিশনার স্যারও গোসত পাঠাচ্ছেন। যদি কোনো অসহায় মানুষ কোরবানির মাংস না পেয়ে থাকে, আমরা নিশ্চিত করব যেন তারা গোসত পায়।’

পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন সংগঠনটি বিষয়টি নজরে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। সংগঠনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া গোমড়া গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের জন্য একটি গরু কোরবানির ব্যবস্থা করেন।

অন্যদিকে কান্দুলী গুচ্ছগ্রামে শাহ অলি উল্লাহ ইসলাম সেন্টার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে এবং অরফান শেল্টার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যের আর্থিক সহায়তায় একটি গরু কোরবানি দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, গত ৬ বছর ধরে এই গ্রামে কুরবানীর মাংস বণ্টন হয়নি। এবার দাতাদের সহযোগিতায় গ্রামবাসী মাংস পেয়ে খুশি।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে ঝিনাইগাতীর দুটি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন পর কুরবানীর মাংস পেয়ে আনন্দিত। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কুরবানীর মাংস থেকে বঞ্চিত না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Benapole Checkpost cautions on the corona virus infection

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়ায় বেনাপোল চেকপোষ্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাচ্ছিদের। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরনের (Sub variant), কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমুহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইসহ শরীরের তাপমাত্রা মাফতে দেখা গেছে।

ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশদিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী সীমা রানি বলেন, একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরন (Sub variant) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Benapole Checkpost cautions on the corona virus infection

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় বেনাপোল চেকপোস্টে সতর্কতা

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দেয়ায় বেনাপোল চেকপোষ্টে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাচ্ছিদের। জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরনের (Sub variant), কারণে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেশী দেশসমুহে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সকল নৌ, স্থল ও আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সমুহে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি মাসের ৪ জুন রোগ নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালীর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক আদেশ জারি করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় ভারতসহ বিভিন্ন সংক্রমিত দেশ থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের দেশের স্থল, নৌ বন্দর এবং বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্কের সহায়তার বিষয়ে স্বাস্থ্য বার্তা প্রদান এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিবিড়ভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি কর্মকর্তাদের ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা যাচাই-বাছাইসহ শরীরের তাপমাত্রা মাফতে দেখা গেছে।

ভারত ফেরত যাত্রী পরিতোষ মন্ডল জানান, দশদিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।

ভারত ফেরত যাত্রী সীমা রানি বলেন, একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরে আসলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে ভারতের কিছু কিছু স্থানে ওমিক্রন ধরনের (variant) LF.7, XFG, JN.I and NB.1.8.1 উপধরন (Sub variant) সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে করোনার এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতার জন্য ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে পরিচালক স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপধারার উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Demand for small and medium beef in Chittagong Hut

চট্টগ্রামের হাটে ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা

চট্টগ্রামের হাটে ছোট আর মাঝারি গরুর চাহিদা

কোরবানির ঈদের আগ মুহূর্তে চট্টগ্রাম নগরীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। এবার চাহিদা বেশি ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর।

টানা ছয়দিন বৃষ্টির পর বুধবার সকাল থেকে তা কিছুটা কমায় হাটমুখো হয়েছেন ক্রেতারা। তবে এর মাঝেও থেমে থেমে চলা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ভোগাচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

কাদা আর গরুর হাটের আবর্জনা মাড়িয়ে হাটগুলোতে চলছে দরদাম। জমে উঠেছে বেচাকেনাও। ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা এবার সবচেয়ে বেশি।

বুধবার বিকালে নগরীর বিবিরহাট গরুর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এই হাটে বেশিরভাগ গরু এসেছে উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে। পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও গরু নিয়ে হাটে এসেছেন ব্যাপারিরা।

জামালপুর থেকে তিনদিন আগে এই হাটে আসা বিক্রেতা সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২২টা গরু নিয়ে আসছি। এখন পর্যন্ত চাইরটা বেচছি। লোকজন দাম বলে কম।

“দুই লাখ ২০ হাজার টাকা একটা গরুর দাম চাইলাম। কাস্টমাররা ১ লাখ ৪০ হাজার পর্যন্ত বলছে। এই দামে গরু বেচা সম্ভব না। আরেকটু বাড়তি পেলে বিক্রি করতাম।”

তবে পাল্টা অভিযোগ ক্রেতাদের; বলছেন- বিক্রেতারা দাম ছাড়ছে না; ঈদের আগের দুই দিনের বাজার পরিস্থিতি দেখার অপেক্ষায় বিক্রেতারা।

এই হাট থেকে দেড় লাখ টাকায় একটি গরু কিনে ফেরার পথে নগরীর কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা তরিকুল ইসলাম বুধবার বলেন, “গরুর দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে খুব বেশি না।

“বাজারে অনেক গরু আছে। আজকে একটা কিনলাম। কালকে বাজার দেখে আরেকটা কিনব।”

বুধবার নগরীর আতুরার ডিপো থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিবিরহাটে গরু কিনতে আসা আকবর হোসেন বলেন, “একটার সময় হাটে আসছি। ৩ ঘণ্টা ঘুরে বেশ কয়েকটা গরু দেখলাম। বাজারে গরু আছে পর্যাপ্ত। কিন্তু ব্যাপারিরা দাম ছাড়ছে না।

“তারা মনে করছে কাল-পরশু দুইদিন সময় হাতে আছে। আমরাও অপেক্ষা করব। কালকে দেখেশুনে কিনব।”

বুধবার দুপুরে গিয়ে নগরীর সবচেয়ে বড় কোরবানি পশুর হাট সাগরিকা গরুর বাজারেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেছে। সেখানে কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের গরু নিয়ে এসেছে ব্যাপারিরা।

সাগরিকা গরুর বাজারে কুষ্টিয়া থেকে ৪৫টি গরু নিয়ে আসা সিরাজুল আলম বলেন, “চারদিন হলো আসছি। আমাদের বেশিরভাগই বড় গরু। বৃষ্টি বেশি থাকায় এতদিন হাটে লোকজন আসেনি।

“কালকে আর আজকে মিলে মাঝারি সাইজের ৫টা গরু বেচছি। বড় গরুর পার্টি আজকে কেবল আসা শুরু করছে। তারা দর দেখতেছে। কালকে থেকে হয়ত কিনবে।”

সাগরিকা গরু বাজারের হাসিল গ্রহণকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “হাটে প্রচুর গরু আছে। এতদিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় লোকজন খুব একটা আসেনি। আজকে আসতেছে। বেচাকেনাও হচ্ছে। শহরের লোকজন কোরবানের ২-৩ দিন আগেই গরু কেনে।

“আমাদের হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিমও আছে। এখন পর্যন্ত সব ভালোভাবে চলছে।”

বিবিরহাট গরু বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বুধবার বিকালে একটি দলকে টহল দিতে দেখা গেছে। তারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করেন। হাটের বাইরেও সেনা সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।

এ হাটে গরুর চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর একটি দল কাজ করছে।

এই দলের সদস্য সুব্রমনিয়ম বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দূর-দূরান্ত থেকে গরুগুলো দীর্ঘ সময় ধরে গাড়িতে করে এখানে আনা হয়। পাশাপাশি গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টি পড়েছে।

“একারণে কিছু কিছু গরুর শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এরকম গরু চিহ্নিত হলে জ্বরের ওষুধ ও অ্যান্টি হিস্টামিন ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২০টি গরু নিয়ে গত ২৯ মে বিবিরহাটে এসেছেন আবদুস সামাদ ও তার সঙ্গীরা। সেখানে গরুগুলোর পাশেই খালি জায়গায় নিজেদের জন্য খাবার রান্নার কাজও চলছিল।

আবদুস সামাদ বলেন, “এতদিন বৃষ্টিতে খুব কষ্ট পাইছি। কালকে থেকে বিক্রি শুরু হইছে। আজ পর্যন্ত ১১টা গরু বিক্রি করছি। বাকি গরু আশা করি, কালকের মধ্যে বিক্রি হয়ে যাবে।”

হাটের বাইরে গরু সাজানোর গলার মালা বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রেতা মো. শফিও খুশি বেচাকেনা জমে ওঠায়। দেড়শ থেকে তিনশ টাকার মধ্যে মালা বিক্রি করছেন তিনি।

গরুর সাজসজ্জা সামগ্রী বিক্রেতা মো. শফি বলেন, “গতকাল প্রায় ১০ হাজার টাকার মাল বেচেছি। আজকেও বিক্রি ভালো। বৃষ্টির কারণে সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি বাড়লে মানুষ হাটে কম আসে।”

বিবিরহাট বাজার লাগোয়া বাইরের গলিতে বিক্রি হচ্ছে ছাগল। সাড়ে ১৯ হাজার টাকায় একটি ছাগল কেনা হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা মো. কামাল বলেন, “বাড়ি যাবার পথে ছাগল কিনে নিলাম। গরু কিনব গ্রামে খামারির বাড়ি থেকে।”

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা পশুর সংখ্যা মোট ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৬২টি। জেলায় এবার কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। সে হিসাবে জেলায় এবার ৩৫ হাজার পশুর ঘাটতি আছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীর হাটগুলোতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৪০ হাজারের বেশি গরু এসেছে আজকে পর্যন্ত। আরো আসতে পারে। কাজেই এবার গরুর স্বল্পতা হবে না।

“গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম সামান্য বেড়েছে। এটা সহনীয় পর্যায়ে আছে। হাটগুলোতে বিক্রিও শুরু হয়েছে। হাটে আসা গরু-মহিষে তেমন কোনো রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়নি।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০২৪ সালে জেলায় কোরবানি হয়েছিল ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৮টি পশু।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Nine Six for the advanced varieties of grass farming projects at Daulatpur Livestock Department

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে উন্নত জাতের ঘাস চাষ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খামারীকে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ‘‘শীর্ষক” প্রকল্পেরে আওতায় দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতি ইউনিয়নে ২জন করে নির্বাচিত ২৮ জন খামারীকে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ প্রর্দশনী প্লট স্থাপন বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সরকারি এ বরাদ্দকৃত অর্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারীদের প্রদান করেন জনপ্রতি ৪৪০০ টাকা। এতে খামারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের খামারী ময়না খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ সেটা ঠিক জানিনা, তবে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে মোট ৮৮০০ টাকা আমাকে দিয়েছে।

মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামের খামারী জোয়াদুর রহমানসহ একাধিক খামারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের বরাদ্দ ৫০০০ টাকা থাকলেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে ৮৮০০ টাকা সকলকে দিয়েছে। কেন কম দিলো সেটা আমরা জানিনা।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কমিউনিটি এক্সট্রেনশন এজেন্ট শাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা স্যার যা বলেছে আমি তাই করেছি, আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম খামারীদের প্রাপ্য অর্থ কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অডিট ও মাঠ পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য টাকা কম দেয়া হয়েছে। এসকল খরচ তো আমি পকেট থেকে দেবনা। তাই খামারীদের ৬০০ টাকা করে কম দেয়া হয়েছে। আপনি অফিসে আসেন কথা বলি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Surma Kushiyara at 5 points of water is above the danger line

সুরমা-কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে

নিম্নাঞ্চলে নতুন করে বন্যার শঙ্কা
সুরমা-কুশিয়ারার ৪ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপরে

ভারতের মেঘালয় ও আসামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা উজানি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। এতে করে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে নতুন করে বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদী দুটির চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কানাইঘাটে সুরমা নদীর পানি বইছে ১৩ দশমিক ৬২ মিটার উচ্চতায়। যেখানে বিপৎসীমা হচ্ছে ১২ দশমিক ৭৫ মিটার। অমলশিদে কুশিয়ারা নদীর পানি বইছে ১৭ দশমিক ২৫ মিটার উচ্চতায়, যেখানে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ মিটার। শেওলায় কুশিয়ারা নদীর পানি ১৩ দশমিক ৫১ মিটার উচ্চতায় বইছে, যেখানে বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৪৬ মিটার ওপরে রয়েছে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে কুশিয়ারার পানি বইছে ৯ দশমিক ৭৯ মিটার উচ্চতায় যা বিপৎসীমার চেয়ে ০ দশমিক ৩৪ মিটার বেশি।

পাউবো কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতের পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা অতিরিক্ত পানি এবং টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীগুলোর পানি দ্রুত বাড়ছে। বিশেষ করে উজানের ঢলের প্রভাব বেশি পড়ছে সীমান্তবর্তী পয়েন্টগুলোতে।

এদিকে, জেলার ধলাই নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর হলো—সারি, ডাউকি ও সারি-গোয়াইন নদ-নদীর পানি কমতির দিকে আছে।

জকিগঞ্জ উপজেলার কসকনকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ভারতের দিক থেকে হঠাৎ করে ঢল নামায় কুশিয়ারা নদীর পানি খুব দ্রুত বাড়ছে। নদীর পাড়ঘেঁষে অনেক ঘরবাড়ি আছে, এখনই পানি না নামলে কয়েকদিনের মধ্যেই প্লাবিত হওয়ার ভয় আছে। আগে থেকে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। নিচু এলাকা ও প্লাবনপ্রবণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলায় আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। প্রত্যন্ত ও প্লাবনপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ
The Sundarbans will be surrounded by nets to prevent tigers in the locality

লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা, রুখতে জাল দিয়ে ঘেরা হবে সুন্দরবন

লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা, রুখতে জাল দিয়ে ঘেরা হবে সুন্দরবন

সুন্দরবন বনাঞ্চল লাগোয়া এলাকায় প্রায়ই বাঘ চলে আসে। সম্প্রতি এই ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাই লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ রুখতে বাঘ প্রকল্পের বিস্তীর্ণ অংশ ঘেরা রয়েছে জালের বেড়া দিয়ে। তবে বহু অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রয়েছে। আবার বেশ কিছু জায়গায় এখনও দেওয়া হয়নি জালের বেড়া। এবার বন্যপ্রাণী বিশেষ করে বাঘের প্রবেশ থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত করতে পুরনো নেট পরিবর্তন করে নতুন নেট লাগানো হবে। একইসঙ্গে, এখনও পর্যন্ত যেসব এলাকা অরক্ষিত রয়েছে সেগুলি প্রথমবার জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হবে।

বাঘ প্রকল্পের দুটি রেঞ্জে ১০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে জালের বেড়া রয়েছে। এই পুরো এলাকা জুড়ে নতুন জাল লাগানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন আধিকারিকরা। জুলাইয়ের শেষ থেকে তাঁরা এই কাজ করতে চাইছেন। সে বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আধিকারিকরা। এই অবস্থায় কথাটা যার প্রয়োজন? কত খরচ পড়বে? তার হিসেবে চলছে বলে জানা গিয়েছে। সেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর বন বিভাগের কাছে প্রস্তাব দেবেন আধিকারিকরা। এবিষয়ে বাঘ প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন জানিয়েছেন, এ নিয়ে এখনও পরিকল্পনা চলছে। জুলাইয়ের শেষ থেকে এই কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সুন্দরবনে। যার ফলে বিভিন্ন অংশে জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। আর সেই সুযোগে বার বার লোকালয়ে এসে পড়ে বাঘ। তাছাড়া, বহুদিন ধরে নতুন জল লাগানো হয়নি। অনেক জায়গায় জলের বেড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এসব কারণেই নতুন জাল লাগাতে উদ্যোগী হয়েছেন বা প্রকল্পের আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, বিশেষ করে গত বছর সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামগুলিতে বাঘের আনাগোনা বেড়েছিল। এইসবের কারণে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দাদের সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সে কথা মাথায় রেখেই ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় কোনও বনাঞ্চল রাখতে চাইছেন না আধিকারিকরা। তাই বাসিন্দাদের সুরক্ষায় যাতে কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত জালের বেড়ার সুযোগে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ না করতে পারে তারজন্য নতুন জল টাঙানোর জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন বাঘ প্রকল্পের আধিকারিকরা।

মন্তব্য

p
উপরে